পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ১৩

পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ১৩
মম সাহা

ঝিরিঝিরি বৃষ্টির জন্য দর্শিনীর শরীর প্রায় খানিকটা ভিজে গেছে। সে প্রাণপণে দৌঁড়িয়ে তাদের মাঠে হাজির হয়। তার পিছে পিছে তৃণা,নিধি,নিপা সবাই হাজির হয়েছে। মাঠের মাঝামাঝি তখন দাঁড়িয়ে আছে অনেকে। ভীষণ হট্টগোল সেথায়। দর্শিনী এগিয়ে গেলো, এগিয়ে যেতেই তার পিলে চমকে উঠলো। বাবার মাথার এককোণা দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত। তাকে ধরে দাঁড়িয়ে আছে দৃষ্টান্ত দা। সেথায় চলছে নিরলস বাক-বিতর্ক। দর্শিনী সহ সকল মহিলা আৎকে উঠলো। দর্শিনী ছুটে বাবার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো,বাবার মাথায় ছাই রাঙা শাড়ির আঁচলটা চেঁপে ধরলো। উৎকণ্ঠিত গলায় বললো,

“কী হয়েছে বাবা? ব্যাথা পেলে কীভাবে?”
প্রতাপ সাহা এত ব্যাথা পাওয়া স্বত্বেও মিষ্টি হাসলেন। শীতল কণ্ঠে বললেন,
“কিছু হয় নি, মা। শান্ত হও।”
বাবা-মেয়ের কথার মাঝে কেউ একজন হুংকার দিয়ে উঠলো,
“প্রতাপ,তবে তুমি কী এ জমিন ছাড়বে না? এটাই কী তোমার শেষ সিদ্ধান্ত?”
প্রতাপ সাহা মেয়ের থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে লোকটার দিকে তাকালেন। অদ্ভুত এক দাম্ভিক হাসি দিয়ে বললেন,
“আমি একবার যা বলি তা কখনোই বদলাই না। আমার ‘না’ কথাটি আর হ্যাঁ হবে না।”
প্রতাপের উত্তরে হরমোহন সেন কুটিল হাসলেন। রহস্যময় কণ্ঠে বললেন,
“ভেবে বলছো তো?”
“একদম।”
প্রতাপের দ্বিধাহীন উত্তরে হরমোহনের হাসি প্রশস্ত হলো। সে এবার দর্শিনীর দিকে অযাচিত দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো। কাজের ছেলেটা থেকে হুঁকা নিয়ে সেটাই কয়েকটা টান দিয়ে ধুঁয়া ছাড়লো। অতঃপর পাঞ্জাবির হাতা ঠিক করতে করতে দর্শিনীর উদ্দেশ্যে বললো,
“দেখেছেন তো মা, আপনার বাবা বড্ড অবুঝ সাজছে। সে বুঝেও বুজছে না। আমাকে রাগালে তার পরিণতি কিন্তু খারাপ হতে পারে।”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

দর্শিনী এতক্ষণ চুপ থাকলেও এখন আর চুপ থাকতে পারলো না। কণ্ঠে তার উত্তপ্ত তেজ নিয়ে বললো,
“ছোট বেলা থেকেই তো দেখে এসেছি এ জমি আমার বাবার। হুট করে আপনি চাইলেই তো আমার বাবার সাধের জমি আপনাকে দিয়ে দিবে না, তাই না? এ ছাড়াও শুনেছি এ জমিতে নাকি আপনি তামাক চাষ করবেন। যেখানে তামাক ক্ষতিকর জিনিস। আমার বাবা তার জমিকে সন্তানের মতন মানে। সেই সন্তানের এমন নিকোষ কালো ব্যবহার তো সে হতে দিবে না। আর না আমরা মেনে নিবো এই অবমাননা। এতক্ষণ আপনি দৃষ্টান্ত দা’র বাবা দেখে সম্মান করেছি। কিন্তু আপনি আপনার সম্মান রক্ষা করতে অক্ষম, জেঠামশাই। দুঃখের সাথে বলছি যে, এ জমির আশা আপনি ছেড়ে দেন।”
দর্শিনীর কথার ধরণে হরমোহনের বিশ্রী, প্রশস্ত হাসিখানা দমে এলো। মুখে ভর করলো অদ্ভুত হিংস্রতা। কণ্ঠস্বরে কাঠিন্যতা এনে সে হুমকির স্বরে বললো,
“আমিও দেখি,তোমরা কীভাবে আটকাও। মূল্য না বড় মাপের দিতে হয় দেখো।”

“হুমকি দিচ্ছেন? আপনার হুমকিতে কিছু যায় আসে না। আপনার ছেলে হয়েই আমি ওদের পক্ষে আছি। আমিও দেখি, আপনি কী করতে পারেন। আসলে আপনার ছেলে হিসেবে নিজেকে পরিচয় করাতেও আমার ঘৃণা লাগে। এই আপনার জন্য আমি দেশ ছেড়েছিলাম। আপনি একটা জঘন্য লোক।”
দৃষ্টান্তের কথায় কোনো রকমের প্রতিবাদ করলো না লোকটা। বরং বেশ সরল কণ্ঠে বললো,
“বাড়িতে এসো তুমি। অন্যের ঝামেলায় নিজেকে জড়িও না। তুমি আমাকে বাবা হিসেবে না মানলেও আমি তোমাকে ছেলে মানি। গ্রামে এসে অন্য জায়গায় থাকছো, সেটা দৃষ্টিকটু লাগে।”
দৃষ্টান্ত ঘৃণ্য দৃষ্টিতে বাবার দিকে তাকালো। হরমোহন তার দলবল নিয়ে মাঠ ছাড়লো। ততক্ষণে সন্ধ্যা নেমেছে পরিবেশে। সাথে ধীরে ধীরে বাড়ছে বৃষ্টির প্রকোপ।
হরমোহন চলে যেতেই দৃষ্টান্ত মাথা নিচু করে প্রতাপ সাহার দিকে তাকিয়ে লজ্জিত কণ্ঠে বললো,
“আমাকে ক্ষমা করবেন, কাকা। বাবা ধীরে ধীরে পিচাশে রূপান্তরিত হচ্ছে। আপনারা চাইলে মানহানীর মামলা করতে পারেন।”

দৃষ্টান্তের কথায় প্রতাপ সাহা হাসলেন। ছেলেটার বাহুতে ছোট একটা চড় দিয়ে বললেন,
“ছোট্ট একটা ব্যাপারে মানহানীর মামলা করার দরকার নেই। আর তাছাড়া তোমারও লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা তোমাকে আমাদের ছেলে হিসেবেই দেখি। এবার চলো আমাদের বাড়ি। আমার কপালটা তো ব্যান্ডেজ করাতে হবে।”
বরাবরের মতন প্রতাপ সাহার আচরণে মুগ্ধ হলো দৃষ্টান্ত। মাথা ঝাকিয়ে সাঁই দিলো বাড়ি যাওয়ার প্রস্তাবে। দর্শিনী, তৃণা আর দৃষ্টান্ত প্রতাপ সাহাকে আগলে ধরলো। তার পিছে পিছে আসলো তার দুই ছেলে আর ছেলের বউ।
_
নিস্তব্ধ ড্রয়িং রুমের মানুষ গুলোর মাঝে বিধ্বস্ত অবস্থা। মায়া বিহঙ্গিনীর চিঠিটা খুলে পড়া শুরু করলো,
“অপ্রিয় পরিবার,

তোমরা যখন আমার বিষাক্ত শব্দগুচ্ছ দিয়ে সাজানো পত্র খানা পাবে,তখন আমি তোমাদের কাছ থেকে অনেক দূর চলে গেছি। একদম ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। চিঠির শুরুতে নিজের পরিবারকে অপ্রিয় বলতে আমার হাত কেঁপেছিলো কিন্তু হৃদয় কাঁপানি একবারও। তোমাদের আচরণ ধীরে ধীরে আমাকে অতিষ্ঠ করে তুলছিলো, তাই চলে যাচ্ছি বহুদূর। আর ফিরে দেখবো না তোমাদের। নেই কোনো পিছুটান আমার। বৌদির সাথে তোমরা যা করেছো, তা-ই যথেষ্ট ছিলো আমার ঘৃণা কুড়াতে।

বিপ্রতীপ দাদা,বরাবরই তোমাকে আমি আমার আদর্শ মানতাম। কিন্তু মানুষের আসল রূপ যে খোলসের আড়ালে থেকে যায়, তোমাকে না দেখলে জানতামই না। বৌদিকে যখন তুমি এ বাড়িতে নিয়ে এসেছিলে সেদিন থেকে আমি পৃথিবীর সেরা একজন বন্ধু পেয়েছিলাম যা কালের গহব্বরে হারিয়ে গেছে তোমাদেরই কারণে। তুমুল স্বপ্ন চোখে নিয়ে যে মেয়েটা তোমাদের বাড়িতে পা দিয়েছিলো, রঙহীন জীবন নিয়ে সে মেয়েটা তোমাদের বাড়ি ছেড়েছে। দুজনই মেডিকেলের একই ইয়ারের স্টুডেন্ট ছিলাম। আমি ঘরের মেয়ে বলে আমাকে পড়াশোনা করিয়ে ডাক্তার বানানোর পর্যায়ে এনে দিয়েছো আর ও পরের মেয়ে বলে পায়ে চেপে হ’ত্যা করেছো ওর স্বপ্ন। মেয়েটা অভিযোগ করে নি। সকাল বিকেল খেটে গিয়েছে অক্লান্ত,কেবল তোমাদের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য। কিন্তু অভাগিনীর কী আর সে কপাল আছে? তুমি যেদিন নতুন বউ নিয়ে ঘরে ঢুকলে,সেদিন প্রথম মেয়েটা অভিযোগের ঝুলি খুলে বসেছিলো। ঢেলে দিয়েছিলো তার সকল ব্যাথা। আমি সহ্য করতে পারছিলাম না মেয়েটার এমন বিধ্বস্ত অবস্থা। এরপর আর তার চোখে চোখ মেলাতে পারি নি। প্রিয় বান্ধবীর করুণ দশা দেখে গেছি দূর হতে। সে তো পরের মেয়ে, তোমরা হলে ঘরের লোক। কিইবা আর করতে পারি?

আর মা,তোমাকে সত্যিই আমার কিছু বলার নেই। আমার চোখে সবচেয়ে ঘৃণ্য মানুষ তুমি। একমাত্র তোমার কারণে আমাদের হাসি খুশি পরিবার মূর্ছা গেছে। শুধু তোমার অহেতুক দম্ভের কারণে ঝলসে গেছে কত গুলো মানুষের সুখ। খুব নতুন বউয়ের প্রয়োজন ছিলো তোমার তাই না? এসেছে তো নতুন বউ। আমি প্রার্থনা করি তোমার প্রতিটা সময় তুমি গুমরে গুমরে শেষ হও।
প্রিয় বাবা,ক্ষমা করো আমায়। এই সবকিছুর মাঝে তোমার কোনো দোষ ছিলো না। আদৌও কী তুমি একেবারেই নির্দোষ, বাবা? অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহ্য করে তারা সমান দোষী। তাই তুমি আমিও দোষী। তাও তো আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু তুমি চুপ থাকতে সদা। মেয়েটাকে তো এত ভালোবাসতে,একটু পাশে দাঁড়াতে পারলে না? তোমার একটা বুলি হয়তো বদলে দিতে পারতো সবটা। তবুও আমি যেতে যেতে তোমায় দোষী করলাম বলে মন খারাপ করো না। তোমার সবচেয়ে বড় দোষ তুমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানো নি।

অতঃপর মায়া,তোমাকে দেখলাম আর কতদিনই বা হলো। তুমি এভাবে না আসলেই হয়তো পারতে। যাই হোক,তুমি না এলে আমার গুণধর ভাই হয়তো অন্য কাউকে আনতো। তাই সম্পূর্ণ দোষ তোমাকে দেওয়া যায় না। কেবল এতটুকু বলবো,আমার বাবাটাকে দেখে রেখো। আর কার কী করবে সেটা তোমার ব্যাপার।
তোমার সংসার তুমি সামলে রেখো।
ইতি
বিহঙ্গিনী”
প্রতিটি সদস্য মাথা নিচু করে সবটা নিরবে শুনলো। মোহনা আফসোস করতে করতে বললো,
“আমার মেয়েটাকে ঐ মুখপুরীই খেয়েছে। নিশ্চয় ও ই কুমন্ত্রণা দিয়ে গিয়েছিলো। নাহয় আমার সাধাসিধা মেয়ে এমন করে?”
মায়া চিঠিটা ভাজ করছিলো। শাশুড়ির কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে যায় তার। তীক্ষ্ণ কণ্ঠে বলে,
“মানুষটা তো এখন আর আপনাদের সাথে থাকে না। তবুও আপনারা ভালো হলেন না। তাকেই এসবের মাঝে টানতে হবে কেনো! একটু তো মানুষ হোন।”

মোহনা ফুঁসে উঠলো। আর তো সয় না এ মেয়ের পটরপটর কথা। মোহনা উঠে দাঁড়িয়ে দাঁত কিড়মিড় করে যখন মায়ার গালে চড় দিতে যাবে তখনই তার হাত ধরে ফেলে নিলয় কুমার, মানে তার স্বামী। মায়া হঠাৎ আক্রমণে চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে ফেলে। মোহনা স্বামীর এমন আচরণে হা হয়ে যায়। অবাক কণ্ঠে দাঁত কিড়মিড় করে বলে,
“হাত ছাড়ো আমার। তোমার সাহস কী করে হয় আমার হাত ধরার? হাত ছাড়ো,,”
মহিলা আর কিছু উচ্চারণ করতে পারে না। তার আগেই সপাটে চড় পড়ে তার গালে। বিপ্রতীপ, মায়া এমনকি মোহনাও স্তব্ধ, বিস্ফোরিত নয়নে তাকিয়ে রইলো।
নিলয় কুমার হাত মুঠ করে তাচ্ছিল্য হেসে বললো,
“এই চড়টা কিছুদিন আগে মারলে আমার প্রিয়দর্শিনী থেকে যেতো শেষ অব্দি।”
নিলয় কুমারের এমন বদলে সবাই অবাক, বিষ্মিত। মায়া কেবল হাসলো। এইতো,বদল শুরু।

বাহিরে তুমুল বর্ষণ। কদম কেয়া হয়তো ভিজে সিক্ত বর্ষণের ছোঁয়ায়। দর্শিনীদের বাড়িতে বিরাট রান্নাবান্নার আয়োজন। খিচুড়ি চড়েছে চুলোয়। আবহাওয়া নির্ভর খাবার তৈরী হচ্ছে আজ। বসার রুমটাতে প্রতাপ সাহা, তার দুই ছেলে,স্ত্রী,নিপা,নিপার বাবা-মা,বোন,মৃত্যুঞ্জয়, দৃষ্টান্ত, তৃণা বসে আলাপ আলোচনা করছে। বিকেলের ঘটনাই আলোচনার মূল বিষয়।
রান্নাঘরে নিধি আর দর্শিনী রান্নার বন্দোবস্ত করছে। রাত হয়েছে সাথে বিদ্যুৎ নেই। হারিকেনের আলোয় সারছে সব কাজ। বৃষ্টি পড়লেই গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ থাকবে না। এটাই যেন নির্ধারিত।
ধৃষ্ট আর নিপার বোনের ছেলে আরেক জায়গায় বসে খেলছে। যে যার আলোচনায় যেন তুমুল ব্যস্ত।
রান্না-বান্না শেষ হতে দর্শিনী বসার ঘরে সবাইকে খাবার বেড়ে দিচ্ছে। আলোচনার এক পর্যায়ে দর্শিনীর মা বলে উঠলো,

“কী লাভ অত ঝামেলা করে? জমিটা দিয়ে দেও ওদেরকে। পরে যদি কোনো ক্ষতি করে?”
শাশুড়ির কথায় সায় জানালো নিধি। সেও শ্বশুরকে উদ্দেশ্য করে বললো,
“হ্যাঁ বাবা,শান্তিতে সবটা মিটমাট করে নেন না। পরে যদি কিছু করে?”
দর্শিনী রান্নাঘর থেকে মাংসের বাটিটা নিয়ে মাত্র ঘরে এসেছে। বড় বৌদির কথাতে সে প্রতিবাদ করে বলে উঠলো,
“না বৌদি,কেনো দিবে বাবা জমি? এটা আমাদের জমি। বাবার কত শখের জমি। এত সহজে তো দেওয়া হবে না।”
দর্শিনীর মা দর্শিনীকে ধমক দিয়ে উঠলো,
“চূপ কর। এত কথা তোকে কেউ জিজ্ঞেস করেছে নাকি? চিনিস না হরমোহন দাদাকে। উনি অনেক ভয়ঙ্কর।”
“দর্শিনী তো কোনো ভুল বলে নি। এ জমি আমি দিবো না, সরলা।”
প্রতাপ সাহার গম্ভীর কণ্ঠ ভেসে এলো। এরপর পিনপতন নীরবতায় ছেয়ে গেলো রুম। মৃত্যুঞ্জয় নিরবতা ঠেলে বলে উঠলো,

পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ১২

“আপনারা কিছু ভাববেন না৷ দৃষ্টান্ত আর আমি আপনাদের সাথে আছি। কে কী করবে আমরা দেখবো।”
মৃত্যুঞ্জয়ের কথায় আশ্বাস পেলো সবাই। দর্শিনী মাংসের বাটিটা নিয়ে আবার রান্নাঘরের দিকে অগ্রসর হলো। কিয়ৎক্ষণ পরে উঠোনে কারো পরে যাওয়ার শব্দ হলো। আৎকে উঠলো সবাই। তন্মধ্যে দৃষ্টান্ত খাবার রেখে ছুট লাগালো উঠোনের দিকে। তার ভয়ে হাত পা কাঁপছে। মেয়েটা এ অবস্থায় পড়ে গেলো নাতো! চারমাসের বেশি চলছে। এমন অবস্থায় এই বিপদ তো সর্বনাশ ডেকে আনবে।

পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ১৪