পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২৩

পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২৩
মম সাহা

বড় ফ্লাইওভারের কিনারে চিন্তিত মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সবাই। সবার মুখের আদলে একটাই প্রশ্ন,”বিহঙ্গিনী এমন অদ্ভুত ভাবে দৌড় দিলো কেনো?” বিহঙ্গিনীকে ঘিরেই দাঁড়িয়ে আছে সবাই। বিহঙ্গিনীর দৃষ্টি স্থির। মুখে থমথমে ভাব বিরাজিত। দর্শিনী তার হাতের জলের বোতলটা এগিয়ে দিলো বিহঙ্গিনীর কাছে। ধীর,নম্র,শীতল কণ্ঠে বললো,

“আগে জলটুকু খা,বিহু। তারপর নাহয় বাকি কথা বলা যাবে?”
বিহঙ্গিনীর চোখের পাতা পিটপিট করে নড়লো। কোনো বাক্যব্যয় না করেই জলের বোতলটা নিয়ে ঢকঢক করে অনেকখানি জল খেয়ে নিলো। সে যেন এতক্ষণ এই জলের অপেক্ষাতেই ছিলো। অতঃপর বোতলের মুখটা লাগাতে লাগাতে ধীর কণ্ঠে বললো,
“দুঃখীত, সবাইকে এত বিচলিত করে তোলার জন্য। হুট করে আমার এমন ছুটে যাওয়া উচিত হয় নি। আ’ম এক্সট্রিমলি সরি।”
বিহঙ্গিনীর কথার বিপরীতে দর্শিনী তার শাড়ির আঁচল দিয়ে ঘামে চুপচুপে হয়ে যাওয়া বিহঙ্গিনীর লাল মুখ খানা মুছে দিলো পরম যত্নে। আদুরে কণ্ঠে বললো,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“ছুটে গিয়েছিলি কেনো,বিহু? কী দেখেছিলি?”
বিহঙ্গিনী ক্ষানিকটা চমকালো। অতঃপর আমতা-আমতা করে বললো,
“আমি ভেবেছিলাম আমার পরিচিত একজনকে দেখেছি, তাই ছুটে গেছিলাম। কিন্তু কেউ তো ছিলো না। আমার চোখের ভ্রান্তি হয়তো সেটা।”
“পরিচিতকে দেখে গগন কাঁপানো চিৎকার দিয়ে কান্নার সাইন্স টা বুঝলাম না, ম্যাডাম?”
দৃষ্টান্তের খোঁচা মারা কথায় হেসে উঠলো সবাই। কেবল বিহঙ্গিনীর মুখে ঘন আঁধার করে মেঘ জমলো। ঠাট্টাটা যে সে ঠিক হজম করতে পারে নি সেটারই বহিঃপ্রকাশ ঘটালো যেন মুখমন্ডলটা। দর্শিনী হয়তো আঁচ করতে পারলো সে মন খারাপ। তাই সবার দিকে তাকিয়ে গমগমে স্বরে বললো,

“হাসাহাসি হয়ে গেলে এবার গন্তব্যে রওনা হওয়া যাক? অনেক কাজ বাকি, তাই না?”
সবাই সায় জানালো দর্শিনীর কথায়। হাঁটা ধরলো গন্তব্যে। দর্শিনী ধীরে বিহঙ্গিনীকে উঠিয়ে খুব যত্নে আগলে ধরলো তার হাত খানা। যেন বিহঙ্গিনীর হঠাৎ চলে আসা মন খারাপের মেঘকে সে মুছে দিবে। বিহঙ্গিনী হাসলো। মেয়েটা এখনো এতটা ভাবে সবাইকে নিয়ে! অথচ মেয়েটারই কপাল পুড়া।
মৃত্যুঞ্জয় আরেকটু মুগ্ধ হয়। প্রতিনিয়ত সে এই নারীর প্রতি মুগ্ধ হচ্ছে। প্রাক্তন স্বামীর বোনকে এতটা নিঃস্বার্থ ভাবে আগলে নিতে ক’জনেই পারবে?

বিহঙ্গিনীর মাথায় কেবল একটা ভাবনাই ঘুরছে। তার চোখ কী তবে ভুল দেখলো? এতটা নিখুঁত ভুল কীভাবে দেখলো? নাকি তার মনের ভ্রান্তি ছিলো? এতবছর পর মানুষটাকে দেখতে পাওয়াটা কেমন যেন ভ্রমের মতন লাগছে। তাকে দ্রুত বাড়ি ফিরতে হবে। রহস্য তো সব ঐ বাড়ি থেকে উৎপাদিত। ঐ বাড়িতে গিয়েই রহস্যের সমাধান পাবে সে নিশ্চয়।
বিহঙ্গিনীকে ভাবনায় বিভোর থাকতে দেখে ভ্রু কুঁচকালো দর্শিনী। বিহঙ্গিনীর বাহুতে সামান্য ধাক্কা দিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“কি ভাবছিস, বিহু? কোনো সমস্যা হয়েছে কি?”
বিহঙ্গিনী ডানে-বামে মাথা নাড়ায়। মুচকি হেসে বলে,
“বৌদি,তুই যে অন্তঃসত্ত্বা সেটা তো দাভাই জানে না। জানাবি না?”

বিহঙ্গিনীর প্রশ্নে দর্শিনীর পা থেমে যায়। সাথে থেমে যায় আরও তিন জোড়া পা। মৃত্যুঞ্জয়ও দর্শিনীর উত্তরের আশায় তাকিয়ে থাকে সে দিকে। দর্শিনী কিছুক্ষণ সময় নেয়। তপ্ত এক শ্বাস ফেলে বলে,
“তোর দাভাই জানলেই বা কী? না জানলেই বা কী? তার তো সংসার হয়েছে। দারুণ রঙের সংসার। দর্শিনীদের কোনো কিছু জানার অধিকার তার নেই।”
“কিন্তু সন্তানটা তো তারও। তুই অস্বীকার করতে পারবি?”
বিহঙ্গিনীর একটা প্রশ্নে থম মেরে গেলো সব। মৃত্যুঞ্জয়ের হৃদয়খানি বোধহয় কিঞ্চিৎ কেঁপে উঠলো। দর্শিনী চুপ রইলো কেবল। তন্মধ্যেই তৃণা তাচ্ছিল্য হেসে বললো,

“অস্বীকার না করার কী আছে? এমন নষ্ট পুরুষদের স্বীকার করার কোনো দরকার নেই। এ সন্তান কেবল দিভাইয়ের। তোমার ভাইয়ের মতন নোংরা মানুষের পরিচয় দিয়ে এ সন্তান বড় হবে না।”
“আমার মনে হয় বিহঙ্গিনী এত কিছু ভেবে বলেন নি। যে মেয়ে নিজের বৌদির প্রতি অবিচার সহ্য করতে না পেরে বাড়ি ছেড়েছে,সে নিশ্চয় ঐ অবিচারকদের পক্ষে কথা বলবে না। তাই না বিহঙ্গিনী?”
মৃত্যুঞ্জয়ের কথায় বিহঙ্গিনী মলিন হেসে মাথা নাড়ালো। অতঃপর দর্শিনীর দিকে তাকিয়ে মলিন কণ্ঠে বললো,
“তুই রাগ করিস নি তো বৌদিভাই?”

“না বিহু,রাগ করবো কেনো? আর তুই তো জানিসই তোর ভাইকে আমি ডিভোর্স পেপার দিয়ে আসছি। কয়েকদিন পর কোর্ট থেকে ডাক আসবে। তারপর চিরদিনের জন্য খাতা কলমেও বিচ্ছেদ হবে আমাদের। তাহলে এ সন্তানের কথা তোর ভাই জানুক বা না জানুক তাতে কিছু আসে যায় না।”
“গর্ভধারণ কালীন ডিভোর্স তো হয় না মনে হয়, দিভাই?”
তৃণার কথায় সবারই মোটামুটি ভ্রু কুঁচকালো। সত্যিই তো,প্রেগন্যান্সি অবস্থায় তো ডিভোর্স হয় না। তাহলে!
সবাই যখন উত্তরের আশায় দর্শিনীর দিকে তাকালো,দর্শিনীর মুখে তখন মলিন হাসি বিরাজমান ছিলো।
“তাহলে কি বাচ্চাটা আসা অব্দি অপেক্ষা করতে হবে তোর,দর্শিনী?”

দৃষ্টান্তের প্রশ্নে ডানে-বামে মাথা নাড়ালো দর্শিনী। হাঁটার গতি স্বাভাবিক রেখেই বললো,
“যেহেতু ডিভোর্স ফাইল আমি করেছি তাই অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই৷ গর্ভাবস্থায় যদি কোনো স্ত্রী নিজ ইচ্ছায় ডিভোর্স দিতে চায় এবং সে-ই যদি ডিভোর্সের জন্য আপিল করে তবে কোনো ঝামেলা ছাড়ায় ডিভোর্স হয়ে যায়। এটা নিয়ে উকিল সাহেবের সাথে আমার খোলামেলা কথা হয়েছে। আর খুব শীগ্রই কোর্ট থেকে আমাদের ডাক এলো বলে। তারপর,চিরতরে মুক্তি।”
কথা শেষে ছোট্ট একটা শ্বাস ফেললো দর্শিনী। সে শ্বাসের সাথে যেন ভেসে গেলো কিছু হৃদয় নিংড়ানো হাহাকার। এই হাহাকার পাওয়া না পাওয়ার হিসেবের উপরে বেইমানী করা মানুষটার জন্য। এই হাহাকার জানে,এককালীন প্রিয় মানুষটার প্রতি অগাধ প্রেমের প্রাণঘাতী কতটা।
দর্শিনীর সাথে সাথে আর চার জন মানুষের দীর্ঘশ্বাস ভেসে এলো।

শহরের রাত আর দিনকে তেমন আলাদা করা যায় না। সবসময়ই রাস্তা ঘাটে মানুষের বিশাল স্তূপ থাকবেই। হৈচৈ, চেঁচামেচি এক ধরণের হট্টগোল পরিস্থিতিতে ভরা থাকবে শহর। এই বিশাল হৈচৈ পরিপূর্ণ রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে মায়া। তার পাশাপাশি হাঁটছে হৈমন্ত। শহরের বুকে তখন মুখ ভার করা সন্ধ্যা।
“তুই যে বাজারে যাচ্ছিস,আমাকে একটু বলে বের হলি না কেনো? আমি বারান্দা দিয়ে না দেখলে তো জানতামই না।”

হৈমন্তের কথায় তাদের নিশ্চুপতায় ভাঁটা পড়লো। মায়া একটু হেসে বললো,
“ভেবেছিলাম বাজার এখান থেকে এখানে। যাবো আর টুকটাক কেনাকাটা করে চলে আসবো।”
“তুই কী বিপ্রতীপের প্রতি আসক্ত হচ্ছিস, মায়া?”
হৈমন্তের এহেন প্রশ্নে চমকে যায় মায়া। হাতে থাকা ব্যাগটা সামান্য কেঁপে উঠে। হৈমন্তের নজর তখনও মায়ার উপর নিবদ্ধ। মায়ার খুব গোপনে কেঁপে উঠা টাও চোখ এড়ায় নি তার। হৈমন্ত খানিক বাঁকা হাসলো। হাসিটা তাচ্ছিল্যের নাকি বিষাদের ঠিক টের পাওয়া গেলো না।
মায়া তার শাড়ির আঁচলটা দিয়ে খুব সন্তপর্ণে কপালের ঘাম টুকু মুছে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালালো। কোনো মতে কথা কাটানোর চেষ্টা করে বললো,

“তুমিও না, হৈমন্ত ভাই। হুটহাট কি যে বলো। এসব কিছুই না। আমি এত সহজে আমার লক্ষ্যের কথা ভুলি নি।”
“লক্ষ্যের কথা ভুলিস নি মানে এই না যে তুই কারো প্রতি দুর্বল হতে পারবি না। তোর লক্ষ্যে তো এমন কোনো চুক্তি ছিলো না যে তুই কারো প্রতি আসক্ত হতে পারবি না। তা,কোনো কথা লুকোচ্ছিস নাকি মায়া? তাও আবার আমার কাছ থেকে?”
হৈমন্তের প্রশ্নের উত্তর এলো না। কেবল এলো কিছু নিরব দীর্ঘশ্বাস, যা হয়তো হৈমন্তের কথাকে সমর্থন জানালো।
হৈমন্ত হাসলো। রাস্তা বরাবর দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে হাসতে হাসতে বললো,
“বিপ্রতীপকে ভালোবাসা এক ধরণের অন্যায়। মনে রাখিস মায়া,তুই নিজের প্রতিশোধ পূরণের জন্য একটা সংসার ভেঙেছিস। যেটা অন্যায়, আমি তবুও তোর সাথ দিয়েছি ঐ মানুষ গুলোকে শাস্তি দেওয়ার জন্য। কিন্তু তুই যদি তাদের প্রতি দুর্বল হয়ে আরেকটা অন্যায় করিস, তবে তোর ক্ষমা নেই। এই অন্যায়ের শাস্তি কিন্তু আমি তোকে দিবো।”

মায়া চমকালো। পা দুটো তার থেমে গেলো। হৈমন্তের কথা বলার ভঙ্গিমাই ছিল এমন যে থামতেই হতো। মায়ার মনের কোণে ভয় জমা হলো। কণ্ঠ খাদে নামিয়ে বললো,
“তুমি আমায় শাস্তি দিতে পারবে, হৈমন্ত ভাই?”
“অন্যায়কারীর শাস্তি আমি দিবোই। সেটা তুই হলেও। আমার ভালোবাসা আমার দুর্বলতা না, মায়া।”
কথা থামিয়েই হৈমন্ত চলে গেলো। মায়া ড্যাব ড্যাব চোখে চেয়ে রইলো। আজ হৈমন্ত ভাইয়ার কথার ধরণ অন্যরকম। এর কারণ কী? মায়ার অহেতুক আবেগই কী এর কারণ!
হাজার কথা ভাবতে ভাবতে মায়া বাসায় এসে পৌঁছালো। হাতের বাজারের ব্যাগটা দরজার সাথে রেখে ড্রয়িং রুমে পা রাখতেই এক দানবীয় চড় এসে পড়লো তার গালে। সে হতভম্ব চোখে সামনে তাকালো। বিপ্রতীপের রাগী, জ্বলন্ত চোখ জোড়া চোখে পড়লো তার। মায়া বিপ্রতীপের এমন রাগের কারণ বুঝলো না। তাই অবাক কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,

“এটার মানে কী?”
“কার সাথে ছিলা তুমি? ঐ ছেলেটা কে? এত রাতে একটা ছেলের সাথে ঘুরে বেড়াতে লজ্জা লাগছে না? বাজারের কাছ দিয়ে না আসলে তো এমন লীলাখেলা দেখতেই পারতাম না।”
বিপ্রতীপের এমন কাজের কারণ এখন বোধগম্য হলো মায়ার। বিপ্রতীপের পিছে দাঁড়িয়েই মোহনা হাসছে। বাকিটা বুঝতে বাকি রইলো না মায়ার। হয়তো বিপ্রতীপের জ্বলন্ত আগুনে ঘি ঢেলেছে সেই মহিলা।
এতক্ষণের ভালো লাগাটা মুহূর্তেই মূর্ছা গেলো যেন। তেঁতে উঠলো মায়া। ভয়ংকর রকমের শব্দ করে পাশে রাখা ফুলের টবটা ভেঙে ফেললো। সে ভাঙা টবের টুকরোটা হাতে নিয়ে নিজের হাতেই দুইটা টান দিলো। বিপ্রতীপ কেবল অবাক ও হতভম্ব চোখে সবটা দেখলো। মায়ার নিজেকে আঘাত করার কারণ খুঁজে পেলো না মোহনাও।
মায়া এবার বিপ্রতীপের কলার টেনে ধরে বললো,

“আপনি যখন ঘরে বউ রেখে বাহিরের মেয়ের পিছে ঘুরছেন,তখন আপনার লজ্জা করে নি? তাহলে আজ আমার কেনো লজ্জা করবে শুনি? মায়ার গালে চড় দেওয়া এত সোজা তাই না? দাঁড়ান, একটু সামান্য মজা দেখিয়ে দেই।”
কথা থামিয়েই মায়া “মরে গেলাম গো,মরে গেলাম গো” করে চিৎকার দিয়ে উঠলো। হাতে থাকা ফোনটা দিয়ে কল লাগালো অনাকাঙ্খিত জায়গায়। কথার ধাঁচে বোঝা গেলো মায়া পুলিশ স্টেশনে কল করেছে।
বিপ্রতীপ আর তার মা কেবল নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলো। এটা কী মেয়ে না অন্যকিছু!

দর্শিনী কেবল বিছানায় মাথা দিয়েছে। তন্মধ্যেই তার ঘরের দরজায় ক্রমাগত কেউ আঘাত করা শুরু করলো। দর্শিনীর সাথে সাথে বিহঙ্গিনী, তৃণাও লাফিয়ে উঠলো। সারাদিন পর তিনজন মাত্র ঘুমাতে এসেছিলো। এর মাঝেই এমন করাঘাতে কেঁপে উঠলো সব।
তৃণা দ্রুত গিয়ে দরজা খুলতেই হুড়মুড় করে প্রবেশ করলো মৃত্যুঞ্জয় আর দৃষ্টান্ত। দৃষ্টান্ত প্রবেশ করেই ব্যতিব্যস্ত কণ্ঠে বললো,
“দর্শিনী,তাড়াতাড়ি এখান থেকে যেতে হবে। বাড়ি থেকে কল আসছে। প্রদীপদা আর সুমনদা এর অবস্থা খুব খারাপ। আমাদের যেতে হবে দ্রুত।”
কথা টা বলতে দেরি, দর্শিনীর মাথায় বিনা মেঘে বজ্রপাত হতে দেরি হয় নি। সে কোনো মতে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বললো,

“কী হয়েছে তাদের?”
দৃষ্টান্ত আর মৃত্যুঞ্জঢ দর্শিনীর প্রশ্নের উত্তর দিলো না। দর্শিনী খাট থেকে নামতে নিলে অসাবধানতা বশত পা পিছলে যায়। মুখ থুবড়ে পড়ার আগে শক্ত একটা হাত আঁকড়ে ধরে তাকে। দর্শিনী হাতের মালিকের দিকে তাকাতেই দেখে মৃত্যুঞ্জয় খুব যত্নে তাকে আগলে ধরেছে আর ভয়ার্ত কণ্ঠে বলছে,
“দেখে চলবেন তো,বাবা। এখনই তো মুখ থুবড়ে পড়তেন। নিজে থেকে সাবধান না হলে আর কে সাবধান করবে বলুন। পাঁচমাস রানিং আপনার। এখন অন্তত নিজের কথাও ভাবেন। যাই হোক,ভয় পেয়েছেন? কিছু হবে না আপনার। আমি আছি তো।”

পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২২

হাজারো অনিশ্চয়তার মাঝে দর্শিনী যেনো কাউকে পেলো। যে হারাবে না, থেকে যাবে চিরকাল।
এর মাঝেই দৃষ্টান্ত তাড়া দিলো। বাড়ির পরিস্থিতি ভয়াবহ।

পথান্তরে প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২৪