প্রমত্ত অঙ্গনা পর্ব ১১

প্রমত্ত অঙ্গনা পর্ব ১১
আরোহী নুর

আঁখি বাড়ি চলে গেল,চোখের জল আর বইতে দিলো না,য*ন্ত্র**না*কে গায়ে মাখিয়ে নিলো,নিজ কক্ষের কাভার্ড থেকে আদৃতকে নিয়ে লিখা ডায়েরিটাও স্টোররুমে নিয়ে গেলো নিজ হাতে,ওখানের একটা থাক এর উপর ডায়েরিটা রেখে দিলো খুব যত্ন সহকারে,অল্পক্ষণ ডায়েরিটার উপর দৃষ্টি স্থীর রেখে বলল।

আপনাকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি ড.আদৃত,আপনি জীবন থেকে চলে যাওয়ার পর নিজেকে গোছাতে অনেক সময় লেগেছে আমার,অনেক শ্রুম দিতে হয়েছে আমায় সে প্রচেষ্ঠায়,এতটাই ভে*ঙে পরেছিলাম যে নিজের প্রাণ ত্যাগ করার চিন্তা করতেও দ্বিধা বোধ করি নি,হ্যাঁ সেদিন ম*র*তে বসেছিলাম আমি তবে আদ্রিশ হয়ত নিজে ভে*ঙে চু*র*মা*র করবে বলে বাঁচিয়ে নিয়েছিল,আপনাকে ছাড়া কখনোই দ্বিতীয় জনের চিন্তা আমি করি নি আর না চেয়েছি তা করতে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আদ্রিশ তো মাতোহারা ছিল আমার প্রেমে,আমার নামে পা*গ*ল,বন্ধু হিসেবে ছায়ার মতো পাশে ছিল আমার সর্বক্ষণ, ভালো লাগত তাকে কিন্তু কখনও ভালোবাসার অনুভুতি আসে নি তাকে নি,ও তো ভালোবাসতে বাধ্য করেছিল আমায়,আমি তাকে ফিরিয়ে দিলে সে আমার প্রত্যাখ্যান সহ্য করতে না পেরে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছে,

তখন ওর মধ্যে আমি নিজেকে দেখেছি,নিজের কষ্টটা উপলব্ধি করতে পেরেছি,ও আমাকে এতো বড় যন্ত্রণা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম করেছিল তাই আমি পারি নি সেই একই যন্ত্রণা ওকে ফিরিয়ে দিতে,জীবন তো আর থমকে থাকে না,ওর পাশে গেলে আমার মনের যন্ত্রণা অনেকটা কম থাকত,তাই নিজের যন্ত্রণা ভোলা আর তাকে সেই ক*ষ্টে*র বেড়াজালে পরতে না দেওয়ার প্রচেষ্ঠায় আমি এগিয়ে যাই জীবনে,ভেবেছিলাম আর কখনও কাউকে ভালোবাসব না,

কাউকে জীবনে জরাবো না,ভাবনার বিরুদ্ধে গিয়ে জীবনে ভালোবাসার ফুল দ্বিতীয়বারও ফোটলো আমার।আদ্রিশের প্রতিদান দিতে গিয়ে নিজেকে দ্বিতীয় সুযোগ দিলাম আমি,ওর সাথে থাকতে গিয়ে,মন কে ওর সাথে মানিয়ে নিতে গিয়ে ভালোবাসার বেড়াজালে আবদ্ধ হলাম আবারও,মন ভাঙার কষ্ট দ্বিতীয়বার সহ্য করার ভয়ে ওর প্রেমে সব ত্যাগ স্বীকার করলাম,ওর হাত ধরে চলে আসলাম বহুদূর,

তবে নিয়তি যে ঘুরিয়ে এনে সেই পী*ড়া*টা*ই আমাকে ফিরিয়ে দিল।কেন ছেড়ে চলে গেলেন আমায়?আজ আপনি থাকলে হয়ত এতো কিছু হতো না আমার সাথে,অনুভুতির মারপ্যাঁচে এভাবে গুলিয়ে যেতাম না আমি,কখনোই আদ্রিশ আসতো না আমার জীবনে,আর আমার এই পরিণতি মোটেও হতো না এরকম।

কথাগুলো বলে দীর্ঘ এক নিশ্বাস ত্যাগ করল আঁখি,চোখের অবাধ্য জল মুছে বলল আবার।
ছয় বছর পর আপনাকে এভাবে আবারও দেখতে পাবো ভাবি নি,তবে সত্যি বলতে কি জানেন?আপনাকে ছাড়া বাঁচতে শিখে গেছি আর আদ্রিশকে ছাড়াও এখন বাঁচতে শিখে নিতে হবে,এ জীবনে আর কখনও কাউকে জড়িয়ে নিব না,আপনারা ভালো থাকেন দূর থেকেই চাইব।

অতঃপর পুরনো সকল তিক্ত স্মৃতির ভার স্টোররুমের ভিতরে রেখে বাহির থেকে তালা দিল আঁখি,নিজ কক্ষের দিকে যেতে নিলে এক কাজের লোক এসে বলল।
″ম্যাম আদ্রিশ নামের কেউ আপনার সাথে দেখা করতে এসেছেন, আপনার সাথে দেখা করতে চান উনি।″
″ওকে বলো চলে যেতে আমি দেখা করতে চাই না ওর সাথে।গার্ডদের বলে দাও ও যাতে কোনোরুপ বাড়িতে ঢুকতে না পারে।″

কথাটা বলে আঁখি কক্ষে চলে এলো। আঁখির এতো পাশে এসেও তাকে এক পলক দেখতে পাওয়া ভাগ্যে জুটাতে পারল না আদ্রিশ,কাজের লোকের কথা অনুযায়ী গার্ডেরা তাকে বাড়িতে ঢুকতেই দিল না আদ্রিশের অনেক জোরাজুরির পরেও,রাস্তায় দাঁড়িয়ে অসহায়ের মতো ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে আঁখির বাড়ির দিকে তাকিয়ে আছে, কোথাও দিয়ে যদি আঁখির একটা জলক দেখতে পায়,বাড়ির বাইরে আদ্রিশ দাঁড়িয়ে আছে,আজ দু’দিন ধরে তাকে দেখে চোখ জোরায় না আঁখি,

বুকটা কেমন আনচান করে,নিজের চোখগুলো যেন অবাধ্য হয়ে চায় এবার।হুট করেই তো কাউকে মন থেকে মুছে ফেলা যায় না সে যতোই ক্ষ*ত দিয়ে থাকুক না কেন!তাই মনের অল্প শান্তনার সন্ধানে বারান্দার একপাশে গিয়ে দাড়িয়ে বাহিরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল আঁখি যদি আদ্রিশের অগোচরে হলেও তাকে একনজর দেখার সুযোগ পায়।

আশটা নিয়ে বাহিরে তাকালে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল তার মন জুরে বসবাস করা সেই বি*শ্বা*স*ঘা*ত*ক পুরুষকে,বুকে চিন চিন ব্যাথা অনুভব করতে পারছে আঁখি,চোখ দিয়ে আবারও জল নেমেছে,অপেক্ষার অবসান ঘটে গেল আদ্রিশেরও,মনের সেই অসীম আকাঙ্খা এক নিমিষেই পুরণ হয়ে গেল,ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসির জলক ফুটে উঠল,তার হৃদহরণী–তার ফুলপরিকে সে অবশেষে দেখতে পেলো।আদ্রিশের সাথে চোখাচোখি হতেই সেখান থেকে পালিয়ে গেল আঁখি,নিরাশতা ছেঁয়ে গেল আদ্রিশের মনে,মুখের হাসিটা পলকেই উদাও হলো।দৃঢ় বিশ্বাসের সহিত বলল।

আমি জানি আঁখি,তুমি আমাকে ভালোবাসো,তার পরিধি কতোটুকু তা পরিমাপ করার ক্ষমতা আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত কারো নেই,আমি জানি তুমি আমার থেকে দূরে থাকতে পারবে না,তোমাকে আমার কাছে ফিরে আসতেই হবে।আর তুমি আসবেই।
অনুভুতির তলে দমে পরে কাঁদছে আঁখি,আদ্রিশের সাথে কাটানো সুন্দর মুহুর্তগুলো আবারও চোখের সামনে আনাগোনা করতে শুরু হয়েছে,কান্নায় ভেঙে পরে বেশ চিৎকার করেই বলছে।
কেন আদ্রিশ কেন?কেন এমনটা করলে?

কেন? কেন এই জীবনে আসলে?আর কোন এভাবে ছেড়ে চলে গেলে?আমি তো তোমাকে জীবনে চাই নি,নিজে থেকে কেন আসলে আমায় আশ্রয় দিতে? আর কেন নিজে থেকেই আমার জায়গায় অপরকে বসিয়ে দিলে?এটাই কি ভালোবাসা ছিল তোমার আমার প্রতি?একসাথে কি দু’জনকে আদোও ভালোবাসা যায়?

ওপরকেই যখন নিয়ে এলে তবে কেন এখন আমার পিছন পরে আছো?কিভাবে আশা করো, আমি তোমার পাশে অন্য কাউকে মেনে নিব!তা মেনে নিতে পারা কি খুব সহজ?অসাধ্য কিছু নয়?না আদ্রিশ তোমার পাশে কখনও কাউকে মেনে নিতে পারব না আমি,এতে তোমাকেও ছাড়তে দ্বিধা নেই আমার,যার শরীরে অন্য নারীর ছোঁয়া সে আর যাই হোক আমার হতে পারে না।

মধ্যরাতে ড্রি*ংক করে বাড়ি ফিরেছে কলি,হেলদোল খেয়ে এসে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছে,ভাড়া এই বাড়িতে একা থাকে কলি,আজকে অতি খুশিতেই ড্রি*ংক করেছে সে,কারণ আগামীকাল সকালেই আঁখি আদ্রিশের উপর থেকে তার অপমানের শোধ তুলবে তাদের ব্যক্তিগত খবর ফাঁস করে,

অতিরিক্ত খুশিতে মনের সুখে বিছানায় এসে ঢলে পরেছ শান্তির এক ঘুম দিবে বলে,এদিকে ঘরের বাতি বন্ধ করতে ভুলে গেছে সে,ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় উঠে আসে বাতি বন্ধ করার সুবিধার্থে কিন্তু সুইচে হাত দেওয়ার পূর্বেই পুরো ঘরে অন্ধকার ছেঁয়ে যায়,বিদ্যুৎ চলে গেছে ভাবে কলি,তখনি কক্ষে কারো উপস্থিতি টের পায় সে,বেশ ঘাবড়ে গিয়ে ফোনের টর্চ জ্বালতেই পিছন থেকে মাথায় ভারী কিছুর আঘাত পায় সে,মুখ থু*ব*ড়ে পরে ফ্লোরে,

মাথায় হাত দিয়ে কোনোরুপ পাক ফিরে দেখার প্রচেষ্টা করতে লাগল সেই ঘা*ত**কারী ব্যক্তিকে,ফোনটা হাত থেকে ছিটকে পাশেই পরে গিয়েছিল তার,টর্চের আলোয় রুমটা অল্প প্রজলিত হলো,সেই আলোয় সে স্পষ্ট দেখতে পেলো কালো হুডি পরিহিত কেউ একজন তার সামনে দাঁড়িয়ে,

মুখে কালো মাস্ক উপর থেকে অন্ধকার কম নয় তাই তাকে একদমই চিনতে পারছে না কলি,কালো হাতমোজায় আবৃত হাতে ধা*রা*লো একটা ছু*রি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।কলির মনে বড্ড ভ*য় জোগান দিল,মৃ*ত্যু ভয়ে বুকের কম্পনের গতি বেড়ে গেল, কাঁপতে থাকা অধরে জিজ্ঞেস করল।

″কে তুমি?আমাকে কেন মা*র*ছো?″
″প্রমত্ত অঙ্গনা,তোর মৃ*ত্যু।″
″প্লিজ আমাকে মে*রো না,আমি তোমার কি ক্ষতি করেছি?″
″জবাবদিহি করা আমার পছন্দ না।″

কলিকে আর কিছু করার বা বলার সুযোগ না দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে টান দিয়ে ছু*রি চালিয়ে দিল সেই অঙ্গাত ব্যক্তি কলির গলা বরাবর।মৃ*ত্যু যন্ত্রণায় মোচড়াতে শুরু করল কলি।

ভেজা নয়নে রাতের আঁধারের ঘনত্ব নাপছে আদৃত,আজকের রাতে যে চাঁদটাও লুকিয়ে গেছে মেঘাতলে,তারারাও যেন আজ দেখা দিবে না পণ করেছে,খুটখুটে অন্ধকার এক রাত,ঠিক যেন আদৃতের জীবনেরই বাস্তবতা,চাঁদ ব্যতীত রাত যেমন ঘন অন্ধকার এক দুঃস্বপ্ন আঁখি ব্যতীত আদৃতের জীবনও যে ঠিক তাই ই।

আজ ৬ বছর পরে ভালোবাসার সেই মানুষটাকে এতো কাছ থেকে দেখে কোনোমতেই তার স্মৃতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছে না,চোখের জল থামার নামই কই নিতে চাইছে,বুকের হওয়া ব্যাথার পরিমাণ কাউকে বলে বোঝানোর সীমান্ত পেরিয়ে গেছে।অসীম এই পী*ড়া*র চাইতে তাৎক্ষণিক মৃ*ত্য*টা*ই হয়ত বেশ সহজ এমনটাই মনে হচ্ছে আদৃতের,

বেঁচে থাকার সব আশই মরে গেছে তার,চেয়েও যে মরতে পারে না,মা বাবা দায়িত্ব আর দীনের কাছে বাঁধা পরে আছে যে আদৃত।তবে এভাবে বেঁচে থাকা মৃ*ত্যু যন্ত্রণার চাইতেও ভয়াবহ লাগে তার কাছে,রোজ প্রেমদ**হনে পোড়ে মর*তে হয় আদৃতকে,জীবন্ত লা*শ হয়ে বেঁচে থাকাই হয়ত তার কপালের লিখন,বাস্তব জীবনেও কেউ কারো ভালোবাসায় এতটা তলায় নিজে কাউকে ভালোবেসে এতটা গভীরে চলে না গেলে কখনোই তা মেনে নিত না আদ্রিশ।ভাবনার ফাঁকে হঠাৎ পাশে কারো উপস্থিতি পেয়ে তার অগোচরে চোখ মুছে নিল আদৃত,আদৃতের কাঁধে হাত রেখে বলল সিয়াম।

″জীবনের ৩০ বছর পার করে দিলি আদৃত,আজকাল তো ছেলেমেয়েরা ১৫ টা বছরও অপেক্ষা করতে পারে না,প্রেম ভালোবাসায় জড়িয়ে যায়,জীবনে নতুন মানুষের আগমণ ঘটায়,সেখানে জীবনের ৩০ টা বছর তুই একা পার করে দিলি।আঁখিও তো বিয়ে করে নিয়েছে,তোকে তো আঁখি পা*গ*লে*র মতো ভালোবাসত,

জানিনা কেন তোকে ছেড়ে দিল,তাও তো নিজের জীবনে এগিয়ে গিয়েছে আঁখি,জীবন কারো জন্য আটকে থাকে না আদৃত,দ্বিতীয় সুযোগ জীবনকে কে না দিয়ে থাকে।দেখ আমিও তো মিতালি কে কতো ভালোবাসতাম,কিন্তু ও আমায় ধোঁকা দিলো,আমাকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখিয়ে চলে গেল অন্যের হাত ধরে,

ও চলে যাবার পর কতোটা ভেঙে পরেছিলাম মনে আছে তোর?তারপর আমার জীবনে এলো ইশিকা,তাকে পেয়ে নতুন করে ভালোবাসতে শিখলাম,বাঁচতে শিখলাম আবারও,নিজেই তো তুই তোর বোনকে আমার হাতে তুলে দিলি,আজ আমাদের বিয়ের পাঁচটা বছর,দুইটা বাচ্চা হয়েছে আমাদের, সুখে সংসার করছি আমি।কই আমার জীবনে তো কোনো তিক্তটা রয়ে যায় নি। আমার কথা শোন এতবছর পর যখন দেশে ফিরেছিস তবে এবার বিয়েটা করে নে।নিজের জন্য না হলেও আব্বু আম্মু ইশিকা এদের সুখের কথা ভেবে নাহলে করে নে।″

″বিষয়টা তোর জন্য সহজ বলে মনে হলেও আমার জন্য মোটেও সহজ না সিয়াম,আমি জীবনে একজনকেই ভালোবেসেছি আর আমার সেই একজনকেই চাই,সে ব্যতীত জীবনে আমি চাইলেও কাউকে জড়াতে পারব না।মৃত্যুর আগ অব্দি আমি ওকেই চেয়ে যাব।আমি ওর জন্য বয়সের দোষ হতে পারি,হতে পারি ওর একসমকার আদম্য এক কৌতূহল, কিন্তু ও আমার কাছে আমার ভালোবাসা,আমার চাই তো শুধু ওকেই চাই,ও নয় তো কেউ নয়।″

″তুই আঁখির জন্য না তো ওর বয়সের দোষ ছিলি আর না তো কোনো কৌতূহল, আঁখিও তোকে ওতটাই ভালোবাসত যতটা তুই বাসিস,জানিনা আঁখি তোকে কেন ছেড়ে দিল তবে যতটুকু আমি জানি ওর ভালোবাসা তোর জন্য মিথ্যে বা কোনো মোহ ছিল না।″

″জানিনা কি ছিল,কেন আর কিভাবে,তবে এটাই সত্য ও জীবনে অনেক এগিয়ে গিয়েছে,ওর জীবনে এখন আমার আর কোনো অস্তিত্ব নেই,আর আমি ওর সুন্দর জীবনে ব্যাঘাত ঘটাব না,দূর থেকেই ওকে ভালোবেসে যাব,তুই প্লিজ যা এবার,আমায় একা থাকতে দে।আর সবাইকে জানিয়ে দিস আমাকে কেউ যেন বিয়ের জন্য জোর না করে।জানিনা কি করে বসবো।″

পরদিন,
স্যার আপনি বলেছিলেন শহরের বর্তমান সময়ের খ্যাত সার্জনদের লিস্ট আপনাকে দিতে,এখানে নামকরা ছয় জনই বেস্ট, এদের মধ্যে ডাক্তার আঁখি শীর্ষে অবস্থান করছেন,
আঁখি নামটা শুনা মাত্র ড.আশরাফ খান বুকে তী*রা*ঘা*ত অনুভব করলেন,অল্পক্ষণে চোখে বাসা বাঁধলো জল।অবাধ্য সন্তানের নামের অবস্থান দেখে খুশিতে আত্নহারা হবে না অগোচরে চোখের জল ফেলবে,না তার নামে তাচ্ছিল্যের কয়েকটা বাক্য জুরে দিবে কোনো কিছুরই সঠিক দিশা পেলেন না ড.আশরাফ খান।
লোকটা আরও বলল।

প্রমত্ত অঙ্গনা পর্ব ১০

তাছাড়া ড.লিমন উনিও আঁখি ম্যাডামের বরাবরেই অবস্থান করছেন।ড.আদৃত উনি আমাদের এখান থেকেই ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন, দীর্ঘ ৬ বছর উনি আমেরিকাতে ছিলেন, সেখানেও উনি বেশ সফল ছিলেন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তাই উনাকেও লিস্টে রাখা হলো,উনি গতকাল সকালেই দেশে ফিরে এসেছেন।

প্রমত্ত অঙ্গনা পর্ব ১২