প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২৪

প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২৪
প্রজ্ঞা জামান তৃণ

রৌদ্রজ্জ্বল ঝলমলে দিন, অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবেই প্রজ্জ্বলিনী আর সুখ‍্যাত বিজনেসম‍্যান উজান মাহতাব চৌধুরীর বিয়েটা সম্পূর্ণ হয়। উজান যথেষ্ট সুদর্শন পুরুষ প্রজ্জ্বলিনী সেটা মানতে বাধ‍্য। কিন্তু দৃঢ় চিত্তের প্রজ্জ্বলিনী আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরীর উপর ক্রোধের বসে উজান মাহতাব চৌধুরীর নামে তিন কবুল বলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। প্রজ্জ্বলিনীর সেল্ফ রেসপেক্ট বেশি ছিল। তাইজন‍্য ক্রুদ্ধ হয়ে ঠিক করে উজানের সঙ্গে সুখী হয়ে আবিদ শাহরিয়ারকে দেখিয়ে দিবে।

লাল টকটকে লেহেঙ্গা পরিহিত ব্রাইডাল সাজে সুসজ্জিত রূপবতী প্রজ্জ্বলিনীকে দেখে উজান মাহতাব চৌধুরী বরাবরের মতো ঘায়েল হয়। এই অষ্টাদশী রূপবতী কন‍্যাকেই প্রথম দেখাতে হৃদয় নিঙ্গরে ভালোবেসে ফেলেছিল উজান। আজ সেই রূপবতী কন‍্যা তার অর্ধাঙ্গিনী। বাবা ছাড়া উজানের আপন কেউ নেই। ছোটবেলাতে মাকে হারিয়ে উজানের জীবনে কোন নারী ছিলনা। তবে এতোদিনে প্রিয়তমা অর্ধাঙ্গিনীর আগমন ঘটলো তার জীবনে। উজান নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবল প্রজ্জ্বলিনীকে অর্ধাঙ্গিনী হিসাবে পেয়ে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ছোটবেলা থেকে বাবার কাছে মানুষ উজান। মা-হীন জীবনে বাবার কাছেই তার যতসব আবদার। উজানের বাবা প্রয়াস মাহতাব চৌধুরী কখনো দ্বিতীয় বিয়েতে আগ্রহী ছিলেন না। তিনি একাই যথেষ্ট ছিলেন ছেলের জন‍্য। নিজের হাতে ছেলেকে আদর যত্নে মানুষ করেছেন। ছেলেকে সামলে আবার বিজনেস দেখাশোনাও করেছেন। বাবার কাছে যত্ন ভালোবাসায় ত্রুটি না থাকলেও, মায়ের ভালোবাসার কমতি থেকে গেছিল উজানের জীবনে।

উজান সহজসরল অদ্ভুত সুন্দর মনের অধিকারী। যথেষ্ট প্রভাবশালী আর অনেক সাফল্য থাকা সত্ত্বেও উজানের সাধারণ চিত্ত মুগ্ধ করেছিল আশরাফ মুহতাসিম ও সহধর্মিনী প্রিয়মা বেগমকে। এজন্য পুত্র সন্তান নেই বলে তারা এখন আর আফসোস করেনা। এখন উজানকেই নিজের পুত্রের মতো সবসময় স্নেহ করেন প্রিয়মা বেগম আর আশরাফ মুহতাসিম। অন‍্যদিকে আশরাফ মুহতাসিমের সঙ্গে বেয়াই প্রয়াস মাহতাব চৌধুরীর সম্পর্ক অসম্ভব সুন্দর।

উজান প্রজ্জ্বলিনীর বিয়ে দেওয়ার পর তাদের সম্পর্কের এমন উন্নতি হয়েছে। যেন একই মায়ের উদরের ভাই। বিয়ের পর যখন যখন উজান মুহতাসিম ভিলায় এসেছে। প্রিয়মা বেগম উজানকে মায়ের কষ্ট উপলব্দি করতে দেননি। উজানকে প্রিয়মা বেগম নিজের ছেলের মতো আদর করেছেন, খাইয়েছেন, শাসন করেছেন। উজান তো নিজেকে এজন্য সৌভাগ্যবান মনে করে।

এক মায়ের আদর থেকে সে বঞ্চিত ছিল। কিন্তু শাশুড়ি মায়ের এতো ভালোবাসা পেয়ে উজান প্রায় সময় কেঁদে ফেলতো। এতো ভালোবাসা সে হয়তো আশা করেনি। যখন সে কান্না করতো প্রিয়মা বেগম তাকে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করত শান্ত্বনা দিতো। ছোটতে যে ভালোবাসা মহান আল্লাহ তায়ালা তার থেকে কেড়ে নিয়েছিল। জীবনের একটা সময়ে এসে অন‍্যকোন মাধ‍্যমে তা ফিরিয়ে দিয়েছেন।

উজান প্রজ্জ্বলিনীর বিয়ে ভালোমতো সম্পূর্ণ হয়েছিল। তাদের বিয়েটা পারিবারিক ভাবে হয়েছে যেহেতু, তাই তারা দুজনেই একে অপরের কাছে অপরিচিত ছিল। তবে এখন পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। তাদের মধ‍্যে জানা শোনা, মনের মিল, মহব্বত বিয়ের পরে ঠিকই হয়ে যাবে। কিন্তু দেখার বিষয় হলো উজান প্রজ্জ্বলিনীর মনে জায়গা করে নিতে পারবে কি না। প্রজ্জ্বলিনীকে গাড়িতে উজানের পাশে বসানো হয়েছে।উজানের বাসার দূরুত্ব বেশি ছিলনা বিধায় কিছুক্ষণের মধ‍্যে তারা দ্রুত পৌঁছে যায়।

তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো প্রজ্জ্বলিনী একটুও কান্নাকাটি করেনি, সবটা চুপচাপ মেনে নিয়েছিল। অন‍্যদিকে প্রিয়মা বেগম আর প্রিয়দর্শিনী কান্নাকাটি করেছে। প্রিয়দর্শিনী ছোট ছিল! বোনের কাছে তার দুষ্টু-মিষ্টি আবদার থাকতো সবসময়। এখন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। বোনকে সবসময় পাশে পাবেনা এসব ভেবেই সে কান্না করছে। উজান, প্রজ্জ্বলিনী দুজনেই তার কান্না থামাতে কত রকম চেষ্টা করেছিল সেদিন।

লোক পাঠিয়ে বক্স ভর্তি চকলেট সহ প্রিয়দর্শিনীর জন‍্য মুহূর্তেই গিফট এনে হাজির করেছিল উজান। উজানের নিজের কোন বোন ছিলোনা। এজন্য প্রিয়দর্শিনীকে কান্না করতে দেখে প্রজ্জ্বলিনীর মতো উজানের বুকেও অস্থিরতা ছিলো। উজান নিজ ভাইয়ের মতো সেদিন দর্শিনীকে থামানোর জন‍্য কতো চেষ্টা করেছিল। শেষে তাদের সঙ্গে নিয়ে যায়। সহজসরল উজানকে দেখে সেসময় প্রথমবার প্রজ্জ্বলিনী উজানের জন‍্য কিছু অনুভব করে। উদাসীন মনে ভাবতে থাকে উজান ভিষণ ভালো ছেলে। হয়তো অর্ধাঙ্গ হিসাবে আরো বেশি ভালো হবে।

প্রজ্জ্বলিনী বিভিন্ন রকম ফুল দিয়ে সাজানো বেডে বসে আছে। দর্শিনী একটু আগেই চলে গেলো তার জন‍্য বরাদ্দ রুমে। এতোক্ষণ ছোট বোনের সঙ্গে বসেই গল্প করছিলো প্রজ্জ্বলিনী। এদিকে দর্শিনী চলে যেতেই সুন্দর গোছানো পরিপাটি রুমের চারিদিকে চোখ বুলিয়ে নেয় প্রজ্জ্বলিনী। পুরো ঘর গোলাপ রজনীগন্ধা দিয়ে সাজানো। রাত দশটা বাজছে। নিয়ম অনুসারে আজকে তাদের বাসর রাত। প্রজ্জ্বলিনীর অস্থিরতা বাড়ছে।

জীবন কতো বৈচিত্র্যময়, কীভাবে মুহূর্তের মধ‍্য সব পরিবর্তন হয়ে গেলো কেউ টের পেলো না। প্রজ্জ্বলিনী চেয়েছিল একজনকে এখন আরেকজনের বউ হয়ে বাসরঘরে তার জন‍্য অপেক্ষা করছে। আচ্ছা! উজান যখন তাকে গভীর ভাবে দেখবে, স্পর্শ করবে সে মানতে পারবে তো? প্রজ্জ্বলিনী নিজেকে বোঝায় পারতে তাকে হবে। উজান তার স্বামী। সব ধর্মীয় বিধিবিধান, নিয়মকানুন মেনে তাদের বিয়ে হয়েছে। প্রজ্জ্বলিনী নিজের ইচ্ছাতেই উজানের নামে তিন কবুল বলেছে।

উজানকে নিজের স্বামী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। উজানের সম্পূর্ণ অধিকার আছে তাকে হালাল ভাবে স্পর্শ করার। নিজের মনকে কঠোরভাবে শক্ত করে নেয় প্রজ্জ্বলিনী। আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরীর মতো অভিনেতাকে সে কিছুতেই মনে রাখবে না। ভাববে না সেই ধুরন্ধর লোকটিকে নিয়ে। বরং তার খুশি হওয়া উচিত এটা ভেবে সে আর কোনোদিন ওই লোকটির মুখ দেখবে না। প্রজ্জ্বলিনীর ভিতরে আবিদের প্রতি অজানা ক্রোধ ছাড়া যতটুকু অনুভূতি ছিল।

আশ্চর্যের বিষয় হলো উজানের নামে কবুল বলার পর সবকিছু পাল্টে গেছিলো। উজানের মায়াবী মুখে তাকালে কেমন যেন টান অনুভব হয় প্রজ্জ্বলিনীর। উজানের মা নেই কথাটা শুনে আরো উজানের জন‍্য আলাদা সফট কর্ণার তৈরি হয়েছিল। প্রজ্জ্বলিনীর মন আস্তে আস্তে পরিবর্তন হয়। পার্থক্য বুঝতে পারে কোনটা ভালোবাসা কোনটা ভালোলাগা। আবিদের প্রতি তার ভালোবাসা ছিলনা সেটাও স্পষ্ট হয়ে যায় তার কাছে। বুঝতে পেরেছিল নিজের ভুলটা।

মুরুভূমির সেই মরিচীকার পিছনে অজান্তে ছুটেছিল প্রজ্জ্বলিনী। তাইজন‍্য নিজের ভুল সুধরে নিতে তাদের বিয়ের প্রথমদিন উজানের ব‍্যাকুল আবদার প্রজ্জ্বলিনী উপেক্ষা করতে পারেনি। যে লোকটি তাকে এতো ভালোবাসে, মনপ্রাণ দিয়ে চায় তাকে কীভাবে উপেক্ষা করা যায়?প্রজ্জ্বলিনী সেদিন নিজেকে উজানের কাছে সম্পূর্ণ হালাল ভাবে সর্মপণ করেছিলো। প্রথমবার কোন পুরুষের হালাল স্পর্শ পেয়ে প্রজ্জ্বলিনী আবেশে উজানকে জড়িয়ে ধরে অশ্রুসিক্ত হয়। প্রজ্জ্বলিনীর সুখমিশ্রিত অশ্রু দেখে উজানের খারাপ লাগছিল। বারবার ভাবছিল সে হয়তো বেশি তাড়াহুড়ো করে ফেলেছে।

প্রজ্জ্বলিনীকে সময় দেওয়া দরকার ছিল। অদ্ভুত ব‍্যাপার হচ্ছে প্রথম মিলনে প্রজ্জ্বলিনী কষ্ট পেয়েছিল বলে, উজানের চোখ দিয়েও অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। প্রজ্জ্বলিনীর নরম কোমল শরীরটাকে উজান নিজের বুকের মধ‍্যে জায়গা দেয়। উজানকে তার কষ্টে অশ্রুসিক্ত হতে দেখে প্রজ্জ্বলিনী বিস্মিত হয়। কারণ স্ত্রীর অশ্রু দেখে অশ্রুসিক্ত হওয়া প্রথম পুরুষ সম্ভবত উজানই। স্বচ্ছ প্রণয়ের অনুভূতি হয়তো সেখান থেকেই শুরু।

উজানের সরলতা, সৌজন্যতা, ব‍্যাক্তিত্ব, সম্মোহনী চাহনী, প্রজ্জ্বলিনীকে নিদ্রিতা নামের সম্মোধন, আদুরে কথাবার্তা এসব কিছু প্রজ্জ্বলিনী উপেক্ষা করতে পারেনি। প্রজ্জ্বলিনী ঠিক করেছিল উজানকে কোনদিন কষ্ট পেতে দেবে না। উজানের মাঝেই নিজের সুখ খুঁজে নিবে। প্রজ্জ্বলিনী তার কথা রেখেছিল। একসময় যে ব‍্যাক্তি প্রজ্জ্বলিনীর কাছে সম্পূর্ণ অজানা ছিল। সেই ব‍্যাক্তিকেই প্রজ্জ্বলিনী উজার করে ভালো বেসেছে। এখন অজানা ব‍্যাক্তিটি তার সবচেয়ে চেনা, একদম কাছের কেউ। তার অনাগত সন্তানের বাবা উজান মাহতাব চৌধুরী।

প্রজ্জ্বলিনী স্মৃতি থেকে বেরিয়ে আসে। এরমাঝেই আকাশ থেকে ঝুমঝুম করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আকাশে মেঘের অস্তিত্ব আগে থেকেই ছিল। সুন্দর বৃষ্টিস্নাত পরিবেশ। প্রজ্জ্বলিনী উজানের কথা ভাবতে ভাবতে একটু হেসে ফেলে। লোকটি তার জীবনের সব বিষণ্নতা দূর করেছে। আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরী নামের যেই কালো অধ‍্যায়টা তার জীবনে একটু সময়ের জন‍্য ছিল। উজান সেটা সম্পূর্ণ মুছে দিয়েছে। তাকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে। নতুন করে পৃথিবীকে জানতে এবং দেখতে শিখিয়েছে।

প্রজ্জ্বলিনী উজানের সান্নিধ্য পেয়ে খুশি। সেদিন বিয়ের ডিসিশনের জন‍্য সে আফসোস করেনা বরং খুশি হয়। প্রজ্জ্বলিনী স্রষ্টার কাছে সহস্রবার কৃতজ্ঞ উজানের মতো লাইফ পার্টনারকে তার জীবনে উপহার স্বরূপ পাঠানোর জন‍্য। প্রজ্জ্বলিনী কস্মিনকালেও ভাবেনি তিনবছর পর আবিদ শাহরিয়ারকে আবার দেখবে।

আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরী নামের সেই কালো অতীত অগ্নিশিখা হয়ে তার বোনের লাইফেই ব‍্যাক করেছে। নিজের প্রাণপ্রিয় বোনকে ওই ধুরন্ধর, বাজে লোকটির সঙ্গে প্রজ্জ্বলিনী কীভাবে সহ‍্য করবে। আবিদ যদি তার উপর রাগে দর্শিনীর ক্ষতি করতে চায় তাহলে প্রজ্জ্বলিনী নিজেকে কীভাবে ক্ষমা করবে। তার পক্ষে সম্ভব হবে না। প্রজ্জ্বলিনী কিছুতেই বোনের খারাপ হতে দিতে পারেনা। তাকে যে করে হোক বিয়েটা আঁটকানোর ব‍্যাবস্থা করতে হবে। দরকার পড়লে মিথ‍্যার আশ্রয় নিবে।

বাইরে বৃষ্টির প্রখরতা বেড়ে গেছে। দু’একবার করে বাজ পড়ছে। উজান শোনা মাত্রই ঘুম থেকে উঠে গেছে। প্রজ্জ্বলিনীর প্রেগন‍্যান্সির জন‍্য সে খুব কম ঘুমায়। আর ঘুমালেও খুব হালকা ঘুম যাকে বলে। যেন কেউ একবার ডাকলে সহসা চেতনা ফিরে পায়। কারণ হঠাৎ প্রজ্জ্বলিনীর যদি সমস্যা হয় বা ওয়াশরুম যেতে চায় তখন যেন দ্রুত সাহায্য করতে পারে।

উজান পাশ ফিরে প্রজ্জ্বলিনীকে দেখতে না পেয়ে প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায়। লাফিয়ে উঠে বসে শোয়া থেকে। ঘরের চারপাশে এবং ওয়াশরুমে নজর বুলিয়ে নেয়। প্রজ্জ্বলিনী কোথাও নেই। উজান নিদ্রিতা বলে ডাকা মাত্রই বেলকনি থেকে আওয়াজ দেয় প্রজ্জ্বলিনী।

উজান দ্রুত বেলকনিতে গিয়ে দেখে প্রজ্জ্বলিনী ইজি চেয়ারে বসে বাহিরে বৃষ্টি দেখছে। উজান একটু শান্ত হয়। যেন তার হৃদপিণ্ডটা আবারো চলাচল শুরু করলো। সে প্রজ্জ্বলিনীর সামনে হাঁটু ভেঙ্গে বসে পড়ে। সহসা প্রজ্জ্বলিনীকে মৃদু রাগ দেখিয়ে বলে উঠল,

‘বজ্রপাতে বাবু ভয় পাচ্ছে নিদ্রিতা। তোমাকে শেষবার বলছি এভাবে একা একা কোথাও যাবেনা। যেখানে যাবে আমাকে বলবে এখন ঘরে চলো। কতো জোরে বজ্রপাত হচ্ছে দেখেছো? ভয় করছে না?’
প্রজ্জ্বলিনী মিষ্টিমধুর হাসে। হাত দিয়ে উজানের গাল আলতো করে ছুঁয়ে বলে,
‘ভুল হয়ে গেছে। এবার থেকে কোথাও গেলে জানাবো।’

উজান প্রজ্জ্বলিনীকে কোলে করে রুমে নিয়ে আসে। তারপর বেডে শুয়ে বলে,
‘এখন! এই মুহূর্তে ঘুমাবা। এই অবস্থায় রাতভর জেগে থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তোমার জন‍্য আমার বাবু কষ্ট পাবে। আমি সহ‍্য করছিনা নিদ্রিতা! হুউম।’

প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২৩

_____ বলেই রুমের জানালা, বেলকনির দরজা লাগিয়ে প্রজ্জ্বলিনীকে বুকে নিয়ে শুয়ে পড়ে।
প্রজ্জ্বলিনী উজানের সান্নিধ্য পেয়ে চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করে। বাহিরে বৃষ্টির সঙ্গে প্রিয় মানুষের বুকে মাথা রেখে প্রজ্জ্বলিনী খুব দ্রুত ঘুমিয়ে যায়। সে ঘুমাতেই উজান তার কপালে চুমু দেয়। একটুপর নিজেও চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে।

প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২৫