প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২৮

প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২৮
প্রজ্ঞা জামান তৃণ

কারুকাজ করা লাল লেহেঙ্গা পড়ে হ‍াস‍্যজ্জ্বল মুখে দ্বিতীয়বার তৈরি হয়েছে প্রিয়দর্শিনী। খুবই কম সময়ের মধ‍্যে তাকে নতুন করে সাজতে হয়েছে। প্রজ্জ্বলিনী দায়িত্ব নিয়ে তাকে শুরু থেকে সাহায্য করেছে। একটু আগে প্রজ্জ্বলিনী যতটা অসস্থি বোঁধ করছিল এখন সেটা অনেকটাই কমে গেছে। নিজেকে হালকা অনুভব করছে সে।

তীব্র অপরাধ বোঁধ থেকেই হঠাৎ তার দায়িত্বজ্ঞান জাগ্রত হয়েছে। আবিদের কয়েকটি থাপ্পড়ে বেচারী ঘাবড়ে গেছিলো সঙ্গে ভয়ও পেয়েছিল। একটু রেস্ট নেওয়া আবশ্যক তার। কিন্তু সেটা না করে; বসে থেকে দর্শিনীকে সাজাতে সাহায্য করেছে। এইমুহূর্তে প্রজ্জ্বলিনীর একটাই চাওয়া আবিদ দর্শিনীর বিয়েটা যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ হয়ে যায়। সে অবচেতন মনে যথেষ্ট গিল্টি ফিল করছে। যেটা কমে যাবে দর্শিনীর আনন্দে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

প্রিয়দর্শিনীর লেহেঙ্গা, মেকআপ সবকিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে পার্থক্য হচ্ছে এবার ব্রাইডাল মেকআপ নয়; লাইট মেকআপ লুক তার। চুলগুলো সুন্দর করে স্টাইল করে মাথায় লাল টকটকে ভারী ওড়না দেওয়া হয়েছে। লাইট মেকআপ লুকে ফর্সা, স্নিগ্ধ দর্শিনীকে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। প্রজ্জ্বলিনীর মনে হচ্ছে সাধারণ মেকআপে দর্শিনী সবার নজর কাড়তে বেশি সক্ষম। আদিবা দর্শিনীকে সাজাতে প্রজ্জ্বলিনীকে সাহায্য করেছে।

মূলত আবিদ তাকে পাঠিয়েছিল প্রজ্জ্বলিনীকে সহায়তা করতে। আদিবা ঘটনা কী হয়েছে জানেনা। তবে এটা শিয়র তার ছোট ভাই কোন ঝামেলা করেছিল। দর্শিনী আয়নায় নিজেকে সুসজ্জিত অবস্থায় আরেকবার দেখে নেয়। সে মিষ্টিমধুর হেসে আদিবা আর প্রজ্জ্বলিনীকে ইশারা করে সব ঠিকঠাক আছে বলে। আদিবা প্রজ্জ্বলিনী সবশেষে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে। আধাঘন্টার মধ‍্যে সবকিছু কম্পিলিট হয়েছে। প্রজ্জ্বলিনী দর্শিনীর জোরাজুরিতে পাশের বেডে শুয়ে রেস্ট নিতে থাকে। ঐদিকে আবিদের কিছু কাজিন আসে দর্শিনীকে দেখতে। তারা ক‍্যামেরা দিয়ে অনেক গুলো ছবি তুলে নেয়। পরবর্তীতে আদিবা দর্শিনীকে নিয়ে যায় বিয়ের আসরে।

বিয়ের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। দর্শিনী আর আবিদকে পাশাপাশি বসানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ব‍্যবধান একটা সাদা পর্দা। আবিদ অবশ‍্য সাদা পর্দা দিয়ে স্পষ্টত দর্শিনীকে দেখতে পাচ্ছে। ঠোঁটে টকটকে লাল লিপস্টিক, ফর্সা ত্বকে লাইট মেকআপ অসাধারণ লাগছে আবিদের। দর্শিনীকে মন ভরে দেখছে আবিদ। সম্পূর্ণ লাল রঙে সেজেছে দর্শিনী। একদম লাল টুকটুকে বধূ। দর্শিনী আবিদের দিকে একবারো তাকায়নি; সে তখন থেকে মাথা নিচু করে আছে। দর্শিনীর অন‍্যরকম অনুভূতি হচ্ছে।

বিয়েটা হয়ে গেলেই তাকে চলে যেতে হবে ভেবে, খারাপ লাগা কাজ করছে। এই দিনটা মেয়েদের জন‍্য স্পেশাল আবার কষ্টের। বাবা মা পরিবার পরিজনদের ছেড়ে অন‍্যের বাড়ি যেতে হয় মেয়েদের। এই বাস্তবতা মেয়েদের জন্য বেশি কষ্টের। আবার স্বপ্নের নায়কের অর্ধাঙ্গিনী হবে ভেবে ভালোলাগাও কাজ করছে। অদ্ভুত অনুভূতি! আবিদ পর্দার ভেতর থেকে তাকে দেখেই যাচ্ছে। সে এভাবে সারাজীবন তাকিয়ে থাকতে পারবে তার সুদর্শিনীর দিকে।

আবিদের পাশে তার বন্ধুরা বসে আছে। তারা সবার অগোচরে আবিদকে নিয়ে মজা করে যাচ্ছে। আনন্দমুখর পরিবেশে, পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহর করে কাজি বিয়ে পড়ানো শুরু করে। কাজি সাহেব প্রথমে আবিদকে কবুল বলতে বলে। আবিদ একটু সময় নিয়ে তিন কবুল বলে দেয়। সবাই সমস্বরে আলহামদুলিল্লাহ পড়ে। কাজি সাহেব পরবর্তীতে দর্শিনীকে কবুল বলতে বলে। দর্শিনী নিরাবতা পালন করে কিছুক্ষণ। কাজি অনেকবার কবুল বলতে বলেছে কিন্তু দর্শিনী কবুল বলছে না।

আশরাফ মুহতাসিম এবং প্রিয়মা বেগম মেয়ের পাশে বসে তাকে কবুল বলতে ইশারা করে। দর্শিনী সবার অগোচরে অশ্রুসিক্ত হয়। আবিদ দর্শিনীর অবস্থা বুঝতে পারছে। এই কঠিন বাস্তবতা মেনেই মেয়েদের চলতে হয়। এইযে তার দর্শিনী কাঁদছে সে তখনও মুগ্ধ হয়ে দেখছে। এজন্যই বলে, যাকে আমরা ভালোবাসি তাকে সবরকম ভাবে আমাদের ভালোলাগে। একরাশ মুগ্ধতা কাজ করছে আবিদের।

অবশেষে দর্শিনী সবার অপেক্ষার প্রহর শেষ করে আবিদের নামে তিন কবুল বলে দেয়। সবাই দ্বিতীয়বার সমস্বরে আলহামদুলিল্লাহ বলে আনন্দে মেতে উঠল। আবিদের বন্ধুরা তাকে কনুই দিয়ে ঠেস মেরে কনগ্রাচুলেট করে। আবিদ সবার সঙ্গে মিষ্টি হেসে আবারো দর্শিনীর দিকে তাকালো। এবার দর্শিনী নিজেও তার দিকে তাকিয়েছিল। আবিদ কিছু একটা ইশারা করতেই দর্শিনী চোখ নামিয়ে নেয়। আবিদকে মনে হলো এতোক্ষণে যেন দেহে প্রাণ ফিরে পেলো।

দীর্ঘক্ষণ দর্শিনীকে মুগ্ধ হয়ে দেখতে দেখতে অন‍্যজগতে পৌঁছে গেছিলো সে। দর্শিনীর মুখে তার নামে স্বীকারোক্তি মূলক কবুল শুনে প্রফুল্ল লাগছে আবিদের। এখন আবিদ দর্শিনীর মাঝে কোন বাঁধা ব‍্যবধান নেই। তারা ধর্মীয় রীতিতে স্বামী-স্ত্রীর পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। যেটা আল্লাহ প্রদত্ত সম্পূর্ণ হালাল বন্ধন। ইতিমধ্যে দুজনের মাঝে যে পর্দা ছিল সেটা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছুক্ষণ পরে তাদের রেজিস্ট্রি হয়।

আবিদ সাইন করার পরে দর্শিনীর সময় আসে। দর্শিনীর হাত মৃদু কাঁপছিল। দর্শিনী আবিদের দিকে তাকিয়ে সাইনটা করে দেয়। আইনী পদ্ধতিতেও তাদের বিয়েটা সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ হয়। সবাই মোনাজাত ধরে, আবিদ দর্শিনীর জন‍্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে। মোনাজাত শেষে সবাই মিষ্টি মুখ করতে ব‍্যাস্ত হয়ে পড়ে। এদিকে আবিদ তখন দর্শিনীর হাত শক্ত করে ধরে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে,

‘এইযে হাত ধরলাম; আর কখনো ছাড়ব না বউ!’
দর্শিনী অকস্মাৎ কেঁপে ওঠে। নিজের সদ‍্য বিয়ে করা বরের মুখে, শীতল কন্ঠের বউ ডাকটা কতোটা ভয়াবহ দর্শিনী উপলব্দি করতে পারছে। যারা সদ‍্য বিয়ে করা বরের কাছে বউ ডাকটা শুনেছে; তারা জানে কেমন অনুভূতি হয়। দর্শিনীর মনে একঝাঁক প্রজাপ্রতিরা উরে বেড়াচ্ছে। দর্শিনী আবিদের উদ্দেশ্যে বলে,

‘হাত ছাড়ুন! এখানে সবাই আছে। কেউ দেখে ফেলবে।’ ___দর্শিনী হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বলে।
এদিকে আবিদ ভাবলেশহীন। দর্শিনীর হাত ছাড়েনা বরং শক্তিশালী বলিষ্ঠ হাতে আলতো করে চেপে ধরে। ফের দর্শিনীর উদ্দেশ্যে বলে,

‘আমার সদ‍্য বিয়ে করা বউ! ছাড়ব না দেখলে দেখুক। আমি কী অন‍্যকারো বউয়ের হাত ধরেছি?’
দর্শিনী হাত ছাড়াতে ব‍্যার্থ হলে হাল ছেড়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর আবিদ এমনিতেই ছেড়ে দেয়। দর্শিনীর দিকে তাকিয়ে বলে উঠে,

‘আমার বউ!’
দর্শিনী মাথা নিচু করে রাখে। একটু আগে তার মনখারাপ ছিল। আবিদ মুহূর্তে সেই মন খারাপ দূর করে দিয়েছে। দর্শিনীকে নির্বিকার দেখে আবিদ দুষ্টুমি করে আবারো বলে,
‘আমার বউ!’
দর্শিনী দীর্ঘশ্বাস ফেলার মতো করে বলে,
‘হুম!’

দুপুরে জুম্মার নামাজের সময় সব পুরুষরা পাশের বড় মসজিদে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে চলে যায়। মসজিদে জুম্মার নামাজ, খুতবা শেষে সবাই ফিরে আসে। তারপর শুরু হয় খাওয়া দাওয়ার আনুষ্ঠানিকতা। আশরাফ মুহতাসিম আর উজান সবটা সুন্দরভাবে আয়োজন করেছে। কমিউনিটি সেন্টারের বাহিরে, গরীব দুঃখিদের জন‍্যও খাবারের প‍্যাকেট দেওয়া হয়েছে। মোট কথা বিয়েটা সম্পূর্ণ ত্রুটি ছাড়া শেষ হয়।

আসফি প্রয়োজনে একটু বাহিরে গেছিলো আবিদের গার্ডরা তাকে পুরোটা সময় নজরে রেখেছে। সে যখন ফিরে এসেছে; তখন জানতে পারে আবিদ দর্শিনীর বিয়ে হয়ে গেছে। আসফি ভাবতে পারছে না আবিদ প্রিয়দর্শিনীকে কীভাবে উদ্ধার করল? বন্ধ ঘরটার খবর কে দিলো আবিদকে? তার পুরো প্লানটা নষ্ট হয়ে গেছে; প্রিয়দর্শিনীকেও হারিয়ে ফেলেছে। মুহূর্তে আসফির চোখ অশ্রুতে চিকচিক করে উঠে।

তার সাজানো প্লানটা নিখুঁত ছিলো; এভাবে আনসাকসেসফুল হয়ে গেলো কীভাবে? আসফির প্রজ্জ্বলিনীর উপর মারাত্মক রাগ হচ্ছে। প্রজ্জ্বলিনী বলেছিলো বিয়েটা আটঁকাবে, তবে এসব কী? তার সঙ্গে নাটক করলো প্রজ্জ্বলিনী? এতোকিছুর পরে আবিদের আনন্দ দেখে আসফির সহ‍্য হচ্ছিলো না। সে কাউকে কিছু না বলে অগোচরে চোখের পানি মুছতে মুছতে চলে যায়। কেউ তাকে আর দেখেনি; খেয়ালও করেনি।

রৌদ্রতপ্তহীন বিকালে দর্শিনীকে বিদায় দেওয়ার জন‍্য প্রস্তুত আশরাফ মুহতাসিম সহ আত্মীয়স্বজনরা। বিদায় মুহূর্তে দর্শিনী কাঁদতে কাঁদতে বেহুশ প্রায়। আশরাফ মুহতাসিম, আহমেদ মুহতাসিম, প্রিয়মা বেগম সবার চোখে পানি। দর্শিনীকে, আশরাফ সাহেব আর প্রিয়মা বেগম বুকে জড়িয়ে চোখের পানি ফেলছে। প্রজ্জ্বলিনীও দর্শিনীর বিদায়ের সময় রুম থেকে বের হয়ে কান্না করছে। প্রিয়মা বেগমের নির্দেশে উজান তাকে থামানোর চেষ্টা করে। আজকে তার উপর অনেক অনেক ধকল গেছে। এমনকি তার মুখে তখনকার থাপ্পড়ের হালকা লাল আভা বোঝা যাচ্ছিলো। উজান ভেবেছে কান্নার জন‍্য এমনটা হয়েছে। সে শুধু নরম গালটায় হাত বুলিয়ে দেয়। উজান প্রজ্জ্বলিনীকে ধরে দূরে নিয়ে গিয়ে বোঝায়,

‘প্রিয়দর্শিনী আবারো আসবে। একেবারের জন‍্য যাচ্ছে না নিদ্রিতা। এভাবে কান্না করোনা বাচ্চার ক্ষতি হবে তো।’
বাচ্চার কথা ভেবে প্রজ্জ্বলিনী চুপ করে যায়। হঠাৎ তার মাথা ঘুরে উঠে। উজান তাকে নিয়ে কমিউনিটি সেন্টারের রুমে চলে যায়। প্রিয়দর্শিনী জানলে টেনশন করবে; হয়তো শ্বশুরবাড়ি যেতে চাইবে না ভেবে কাউকে কিছু বলেনা। এদিকে দর্শিনীর চোখ মুছিয়ে আশরাফ মুহতাসিম আবিদের হাতে তার হাত তুলে দিয়ে বলে,

‘আমার আম্মাকে সম্মানে সঙ্গে তোমার হাতে তুলে দিলাম বাবা। তুমি তাকে কখনো কষ্ট পেতে দিওনা। তাকে আগলে রাখার দায়িত্ব আমি আজ থেকে তোমাকে দিলাম।’
আবিদ দর্শিনীর হাত ধরে বলে,
‘ইনশাআল্লাহ বাবা! আমি সবসময় আমার স্ত্রীর প্রতি সবরকম দায়িত্ব পালন করবো। তাকে কখনো কষ্ট পেতে দিবোনা সর্বদা রক্ষা করবো।’

ইতিমধ্যে অন‍‍্যান‍্য গাড়িতে সব বরযাত্রী উঠে গেছে। শুধু আবিদ দর্শিনী শাহরিয়ার সাহেব আর অনুসা বেগম এখনো উঠেনি। শাহরিয়ার চৌধুরী আশরাফ মুহতাসিমকে শান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। অনুসা বেগমও দর্শিনী আর প্রিয়মা বেগমকে কাঁদতে নিষেধ করেন। সবশেষে শাহরিয়ার চৌধুরী এবং অনুসা বেগম আলাদা আরেকটি গাড়িতে চড়ে বসেন। এদিকে আবিদ আশরাফ মুহতাসিমের ইশারায় দর্শিনীকে জোর করেই গাড়িতে বসাতে বাধ‍্য হয়।

মেয়েটা ননস্টপ কান্না করে যাচ্ছিলো গাড়িতে উঠতে চায়ছিল না। এজন্যই আশরাফ মুহতাসিম আবিদকে গাড়িতে তুলে নিতে ইশারা করে। যাওয়ার আগে দর্শিনী দাদু আহমেদ মুহতাসিমকে নিজের খেয়াল রাখতে বলে যায়। আবিদের বন্ধু গুলো অলরেডী অনুষ্ঠান শেষে চলে গেছে। এজন্য আবিদ দর্শিনী ফুল দিয়ে সাজানো মার্সিডিজ গাড়িতে সম্পূর্ণ একা। সামনে শুধু একজন ড্রাইভার আছে।

প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২৭

[ নোট ~ কালকে অনেকেই বলেছেন প্রজ্জ্বলিনীকে কঠিন শাস্তি দিতে। একজন প্রেগন‍্যান্ট মহিলাকে দু’চারটা থাপ্পড় ছাড়া বাড়াবাড়ি রকমের শাস্তি দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তার দোষ ছিল কিন্তু এখানে ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমি ক্লিয়ার করেছিলাম ২৩-২৪ পর্বে আপনারা পর্বগুলো স্কিপ করেছেন। আর হ‍্যাঁ, প্রজ্জ্বলিনী এবং আসফির অন‍্যায়ের কথা সবাইকে জানানোর বিষয়টি আমি সুবিধার্থে স্কিপ করেছি। নাহলে বিয়েতে সমস্যা হতো। দেখা গেলো বিয়েটাই আটঁকে গেছে। দর্শিনী সব জানতে পেরে নিজেই আটঁকে দিয়েছে। আর এটা আপনারা কেউ চাননা। আমিও চাইনা। আমি এভাবেই সাজিয়েছিলাম প্লটগুলো ]

প্রিয়দর্শিনী পর্ব ২৯