প্রিয়োসিনী পর্ব ৬

প্রিয়োসিনী পর্ব ৬
নীরা আক্তার

“তুমি কি দরজা খুলবে নাকি আমাকে দরজা ভাঙ্গতে হবে?”
ইসরাক দরজার সামনে দাড়িয়ে আছে।
নওরিন বাসা থেকে বার হওয়া মাত্রই ইশা ইশরাককে ফোন দেয়।
-ভাইয়া নওরিন চলে গেছে?পাগলামো করছে।তুমি নাকি নীলাঞ্জনাকে….

এতোটুকু বলেই ইশা চুপ হয়ে যায়।এমন অসভ্য কথা ভাইকে বলতে তার ভীষন লজ্জা লাগছে।
ইসরাক জোরে দম ছাড়ে।নওরিন এমন কিছু যে করবে তা সে বেশ বুঝতে পেরেছিলো।
ইশা আরেকটু থেমে বলে উঠে,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-পাগলীটাকে নিয়ে আয় ভাইয়া।কি না কি করে বসবে কে জানে
ইসরাক ধমকের সুরে বলে উঠে,
-তোর মাথা খারাপ বন্ধুর ছাগলামো দেখার সময় আমার নেই। ক্লাস আছে রাখছি।আর ফোন দিবি না
-ভাইয়া…
ইসরাক ফোন কেটে দেয়।
ক্লাস শেষ করে ইসরাক বেরিয়ে পরে নওরিনের বাড়ির উদ্দেশ্যে।

ইসরাক নওরিনকে দরজা খুলতে বলে দরজায় সজোড়ে বারি দেয়।
নওরিন কোনো উওর দিচ্ছে না।
-দরজা খুলবা নাকি সত্যি ভাঙ্গবো।আমি কিন্তু কোনো কিছুর পরোয়া করি না।

ইসরাকের কথাটা নওরিনের কান অব্দি পৌছানো মাত্রই খট করে দরজাটা খুলে দেয়।নওরিন সবার ডাক উপেক্ষা করতে পারলেও ইসরাকের ডাক উপেক্ষা করতে পারে না।লোকটা প্রচুন্ড বদ মেজাজি সঙ্গে পাগল।মাথার কয়টা তারটা কটা কে জানে!বাড়ি ভর্তি লোকের সামনে হয়তো এমন কিছু করে বসবে যে লজ্জায় নওরিন মুখ দেখাতে পারবে না।
ইসরাক মুচকি হাসে।

-নিজে থেকে বাড়ি যাবে নাকি আমি কোলে করে নিয়ে যাবো?
নওরিন ছোট্ট একটা ঢোক গিলে ইসরাকের পেছনে তাকিয়ে দেখে তার পেছনে তার দুই ভাবি মুখ টিপে হাসছে আর নওরিনের বাবা লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে।তিনি সেখান থেকে প্রস্থান করেন।হাজার হোক মেয়ে জামাইয়ের এমন কথার মাঝে শ্বশুর হয়ে না থাকায় ভালো
নওরিনের মা ইসরাকের কাছে যায়

-বসো বাবা।বিয়ের পর প্রথম এলে একটু আপ্যায়ন তো করতে দেবে।
ইসরাক শ্বাশুড়ির দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দেয়,
–আপনার মেয়ে বাড়িতে কাওকে কিছু বলে আসে নি।সবাই জানে ও কলেজে এসেছে।কলেজ আওয়ার তো শেষ হতে চললো। মা জানলে খুব রাগ করবে প্লিজ কিছু মনে করবেন না অ্যান্টি।আমাদের যেতে হবে
-কি বলো বাবা….বেশ তুমি ওকে নিয়ে যাও কোনো সমস্যা হলে জানিও।আর অ্যান্টি বলো কেন আমি তো তোমার মায়ের মতো মা বলে ডাকো।শ্বাশুড়ি তো আরেক মা।

ইসরাক মাথা নাড়ে।নওরিন সেখানে দাড়ায় না ঘরের ভেতরে চলে যায়।নওরিনের মা নওরিনের হাত চেপে ধরে,
-পুরুষ মানুষের শত দোষ থাকলেও মেয়ে মানুষকে দুধে ধওয়া তুলসি পাতা হতে হয়।পুরুষ মানুষের এতো দোষ ধরলে চলে না।মেয়ে মানুষকেই বিশুদ্ধ হতে হয়।কথায় আছে পুরুষ মানুষের সাত খুন মাফ।
নওরিনের মা কথাগুলো ইসরাকের সামনেই বলে।ইসরাক ভ্রু কুচকে তাকায়!
সত্যিই কি তাই?

বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও সেখান থেকে প্রস্থান করে।
ইসরাক শার্টের কলারের কাছের দুইটা বোতাম খুলতে খুলতে নওরিনের কাছে আসে।নওরিন বিছানায় বালিস কোলে করে বসে আছে।ইসরাক নওরিনকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে থাকে,
মুখটা শুকিয়ে গেছে।চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে।হাতে কালচে দাগ।গত রাতে একটু বেশিই শক্ত করে হাতটা ধরেছিলো হয় তো তাই এমন হয়েছে।এই মুহূর্তে ইসরাকের ভিষন মায়া হচ্ছে।বাচ্চা একটা মেয়েকে হয়তো একটু বেশিই কষ্ট দিয়ে ফেলছে।

কিন্তু নওরিনের অতীতটা যে এমনই বার বার ইসরাককে বাধ্য করে নওরিনকে কষ্ট দিতে।
ইসরাক নওরিনের কাছে গিয়ে বসে পড়ে।নওরিনের হাতটা নিজের হাতের মধ্যে নেয়,
-আমার উচিত তোমাকে ঘৃনা করা।আমাই চাই তোমাকে প্রচুন্ড ঘৃনা করতে।কিন্তু আমার মন মানছে না।ইচ্ছে করছে না তোমায় কষ্ট দিতে…এটাকে কি ভালোবাসা বলে?
নওরিন থতমত খেয়ে যায়।

-কিসব বলছেন আপনি।আপনি আমায় ভালোবাসেন?
ইসরাক হো হো করে হেসে দেয়।
-তোমার থেকেই শেখা।
-কি?

-ছলাকলা…এটাকে কি বলে জানো ছলনা।আমি তোমায় ভুলিয়ে ভালিয়ে নিজের সাথে নিয়ে যাবো তারপর ইচ্ছা মতো পিটাবো।পিটায়ে তক্তা বানিয়ে ফেলবো।বিয়াদপ মেয়ে।এভাবে কেউ বেরিয়ে আসে?
নওরিন চোখ বড় বড় করে তাকায় ইসরাকের দিকে,
ঘামে প্রায় ভিজে গেছে শার্ট টা।শার্টের হাতা ফোল্ড করা।বুকের কাছে দুইটা বোতাম খুলে রেখেছে।লোমশ বুকটা দেখা যাচ্ছে।

-অসভ্য একটা এভাবে বুক দেখিয়ে মেয়ে পটান বুঝি?
ইসরাক ভ্রু কুচকে তাকায়।
–আমি যাবো না আপনার সাথে প্লিজ আমাকে জোর করবেন না।রাগ থেকে বলছি না,ঠান্ডা মাথায় বলছি,আপনার নীলাঞ্জনাকে বিয়ে করে নেওয়া উচিত।পিতার পরিচয় ছাড়া সন্তানের কোনো দাম নেই।
-কিসের সন্তান?

-এখনো অস্বীকার করবেন?
ইসরাক গলার স্বরটা গম্ভীর করে বলে উঠে,
-নাহ ভুল হয়ে গেছে আমার।নাও স্বীকার করছি বাচ্চাটা আমার।এমন আরো অনেক বাচ্চা আছে।ওরা সবাই পেট থেকে বার হলে তোমার কোলে তুলে দেবো।তুমি মানুষ করবে।সকাল বিকেল রাত তাদের ফিডার খাওয়াবে সাথে নিজেও খাবে বাচ্চাদের সাথে সাথে তোমার মস্তিষ্কেরও বিকাশ ঘটবে।
নওরিন দাঁত কিড় মিড় করে বলে উঠে,

-নির্লজ্জ লোক একটা
-বাড়িতে কি বলেছো?
–শুধু এতোটুকু বলেছি আমি আপনার থেকে ডিভোর্স চাই।ভয় নেই ইসরাক ইমতিয়াজ সিকদারের চরিত্রের বিবরণ কাউকে দেইনি।নিশ্চিন্তে থাকুন।আপনাকে নিয়ে কামড়াকামড়ি আমি করতে পারবো না মাফ চাই।আপনি ফিরে যান।আমি যাবো না।
ইসরাকের রাগ উঠে যায়।মাথার মধ্যে চিন চিন করছে,

এই মেয়ে কি ধাতু দিয়ে তৈরী,? ভাঙ্গবে তবুও মচকাবে না!
ইসরাক নওরিনকে কোলে তুলে নেই।দ্রুত পায়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নওরিনকে গাড়িতে বসিয়ে দেয়।ভেতরে সবাই হা করে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে।তবে ইসরাককে আটকানো সাহস কারোর নেই।
নওরিনের বাবা একটা জোড়ে নিঃশ্বাস ফেলে।”মেয়েটাকে সে একেবারে ভাসিয়ে দেয় নি বোধয়”
কিছু সময় বাদে নওরিন গাড়ির সিটের সাথে মাথা ঠেকিয়ে দেয়,

-খারাপ লাগছে?কার জার্নিতে কি প্রবলেম হয়?
নওরিন কিছু বলে না,
একটু পর নওরিন ইসরাককে গাড়ি থামাতে বলে,
ইসরাক রোড সাউডে গাড়ি থামায়।নওরিন গাড়ি থেকে নেমে গড়গড়িয়ে বমি করে দেয়।
রাস্তার পাশেই পেট ধরে বসে পড়ে
ইসরাক নওরিন কে ধরে।

-খারাপ লাগছে?
-উহু।পেট ব্যাথ্যা করছে।
-কেন?খাওয়ার অনিয়ম করেছো তাই হয়তো। কিছু খাবে…কবে থেকে পেট ব্যাথ্যা?বলোনি কেন?
-গত পরশু ভোর থেকে।টাইম টা বলবো?ওহ সরি টাইমটা তো আপনার চেয়ে ভালো আর কে জানে?নাকি আমাকে জোড় করতে এতোই ব্যস্ত ছিলেন যে দিন দুনিয়া সব ভুলে গিয়েছিলেন?

ইসরাক কিছু একটা বুঝে মাথা নিচু করে নেয়।
নওরিন শান্ত দৃষ্টিতে ইসরাককের দিকে তাকায়।
কোনো রকম আস্তে ধীরে করে গাড়িতে উঠে বসে।
-ডাক্তারের কাছে যাবে?আর কোনো প্রবলেম হচ্ছে কি?আগে বলোনি কেন?(ধীরে ধীরে)

-আমাদের সমাজে বিয়ের পর অনেক স্বামীরাই স্ত্রীকে ব্যাক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে দেখে। তাদের কাছে ব্যাপারটা এরকম যে তারা বিয়ের পর স্ত্রীর সাথে যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করবে।স্ত্রী টাকা দিয়ে কেনা কোনো সম্পদ নয়।শারীরিক সম্পর্কের আগে স্ত্রীরও অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন।অনুমতি ছাড়া কারো সাথে….এটাকে রেপ বলে।বিয়ের পর ম্যারিটাল রেপ।
আই আম ওনলি ১৯।আপনি না শিক্ষিত সমাজের একজন উচ্চ শিক্ষিত পুরুষ আপনি কি করে পারলেন?আই ওয়াজ ব্লিডিং বাট ইউ ডোন্ট নোটিশ এনিথিং।যন্ত্রণায় মরে গেলেও আপনি আপনার টা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন।

নওরিন একটু থেমে আবারও বলে উঠে,
-কোনো ডাক্তার দেখাতে হবে না।তখন যখন মরি নি এখনও আর মরবো না।ব্যাস শুধু একটু পেইন..ব্যাস ঠিক আছি আমি।
নওরিনের চোখ দিয়ে পানি পরছে।ইসরাক নওরিনের মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়,
–আমার ভুল হয়ে গিয়েছে।মাফ করে দাও আর কখনো হবে না।
–আমি আপনাকে জোর করার পর সেম কথা বললে আপনি আমাকে ক্ষমা করতেন?কি বলতেন তখন?
ইসরাক দ্রুত উওর দেয়,

-তুমিও চাইলে আমায় জোর করতে পারো।চাইলে এক্ষুনি করো সমস্যা নেই আমি কিছু মনে করবো না!বরং আমার ভালোই লাগবে
নওরিন ভ্যাব্যাচ্যাক্যা খেয়ে যায়।
-অসভ্য লোক একটা।

বাড়ি ফিরে ইসরাক নওরিনকে কোলে নিয়ে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে যায়।নওরিন ইসরাকের বেড রুম ছিলো দোতালায়। শিড়ির পাশের ঘরটার পর্দার ফাঁক দিয়ে এক জোড়া চোখ নওরিন আর ইসরাককে একদৃষ্টিতে দেখছিলো।ইসরাক সেদিকে লক্ষ না করলেও নওরিন ব্যাপ্যারটা ঠিকিই অনুভব করে।
অন্যসময় হলে ছুটে গিয়ে খপ করে ধরতো পর্দার আড়ালের মানুষটাকে।কিন্তু আজ তার শরীর কুলাচ্ছে না।
ইসরাক নওরিনকে বিছানায় শুয়ে দেয়।

যদিও সে নিজেও ক্লান্ত তাতে কি। আপাতোতে নওরিনের সেবা করাটায় তার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।ছোট চাচীকে বলে নওরিনের জন্য কিছু খাবার ব্যবস্থা করে।তারপর নিজে হাতে নওরিনকে খাইয়ে শুয়ে দেয়।
তারপর বিছানা থেকে বালিশটা নিয়ে সোফায় গা এলিয়ে দেয়।ভিষন রকম ক্লান্ত সে।
রাতে খাবারের ডাক পরে।ইসরাক ঘুমোচ্ছে।বিকেলে এসে সে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়ে।কখন ঘুমিয়েছে ইসরাক নিজেও টের পায় নি।নওরিনের গায়ে দুম জ্বার এসেছে।

নওরিন উঠে ইসরাককে কয়েকবার ডাক দেয়।ইসরাক হু হা করে আবার ঘুমিয়ে পড়ে।নওরিন ওয়াশরুমে চলে যায়।মাথা ঘুরাচ্ছে বমি পাচ্ছে।

নওরিন ওয়াশরুম থেকে বার হতেই দেখে একটা মেয়ে ইসরাকের মাথার কাছে বসে এক দষ্টিতে ইসরাককে দেখছে আর ইসরাকের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।মেয়েটি দেখতে প্রচুন্ড সুন্দরী।নওরিনের মনে হচ্ছে এ যেন কোনো পরী।ইসরাক ঘুমের মধ্যেই মেয়েটির হাত টেনে বুকের কাছে নিয়ে যায়।
নওরিনের চোখে অন্ধকার নামে ধপ করে সেখানেই পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।নওরিনের পড়ে যাওয়ার শব্দে ইসরাক লাফিয়ে উঠে।

কতক্ষণ পর নওরিনের হুস ফিরে আসে।নওরিন চোখ খুলে দেখে ইসরাক তার পাশে বালিশে ঠেস দিয়ে বসে ফোন চাপছে!
নওরিন গোটা ঘরে চোখ বুলায়।
-শুনুন
ইসরাক ফোন রেখে ব্যস্ত হয়ে পড়ে
-কোনো সমস্যা হচ্ছে?দেখি জ্বরটা কমলো নাকি
ইসরাক নওরিনের গালে মুখে হাত বুলায়

-হাত সরান আপনার সাথে মেয়েটা কে ছিলো?কোথায় মেয়েটি?
ইসরাক ভ্রু কুচকে তাকায়
-মেয়ে কোথায় মেয়ে?কোন মেয়ে?মাথা ঠিক আছে?
-ভূত পেত্নীর সাথেও কি আপনার সম্পর্ক আছে?
-কি সব ভুল ভাল বকো?
-আমি তো দেখলাম!
-কিছু খেয়ে ঔষুধ খেয়ে নাও।আর দেখবে না

সকালে ইশার ডাকে ঘুম ভাঙ্গে নওরিনের
-জান তোর শরীর কেমন এখন?
-এই তো ভালো।
-নিচে চল আরো ভালো হয়ে যাবে
-কেন?
-তোর সতীন এসেছে বিয়ের দাওয়াত দিতে।
নওরিন অবাক হয়ে তাকায় ইশার দিকে,
-কিহ?

-হুম্ম নীলান্জনা আপু এসেছে।চল।
ইশা নওরিনকে টানতে টানতে নিচে নিয়ে আসতে থাকে।
সামনে নীলাঞ্জনার বিয়ে সজলের সাথে।বিয়ের ব্যবস্থা ইসরাকই করেছে।নীলাঞ্জনা ইসরাককে কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছে।
নীলাঞ্জনা এদিক সেদিক তাকিয়ে ইসরাকের নতুন বউকে খুজছে।
নওরিন নিচে আসতেই নীলাঞ্জনা নওরিনকে দেখে চমকে উঠে…
ইসরাক সেখানেই বসা…

-তুমি নওরিন না?ইসরাক তোমাকে বিয়ে করেছে?
নওরিম মুখ বাঁকিয়ে অন্য দিকে তাকায়।নীলাঞ্জনা বিষফোড়ক চোখে তাকিয়ে আছে নওরিনের দিকে,
-ইসরাক কি করে পারলো তোমায় বিয়ে করতে?তুমি তো কক্সবাজারের সেই মেয়েটা….তোমাকে কেন…? ইসরাক মা তোমাকে ঘেন্না করে?

ইসরাক দ্রুত এসে নীলাঞ্জনাকে থামিয়ে দেয়।পানির গ্লাসটা এগিয়ে দেয় ওর দিকে।নীলাঞ্জনা ঢক ঢক করে পানি খেতে থাকে।নওরিন অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।এই একটা ঘটনা কি তাকে সারা জীবন বয়ে বেরাতে হবে?প্রচুন্ড ঘেন্না লাগছে তার নিজের উপর।চরিত্রে দাগ যে কখনো মিটতেই চায় না….
হটাৎ ই নওরিনের চোখ যায় কিচেনের দিকে।কিচেন থেকে চায়ের কাপ হাতে বারিয়ে আসছে একটি মেয়ে।
এটাতো রাতের সেই মেয়েটা?কে এই মেয়ে?

প্রিয়োসিনী পর্ব ৫

(আজকে আমার ঈদের ছুটি শেষ হলো।ক্যাম্পাসে ফিরে আসলাম!লং জার্নি করে প্রচুন্ড ক্লান্ত আমি।ভেবেছিলাম গল্প দেবো না তারপরও কি মনে করে লিখলাম।বহু কষ্টে এতোটুকু লিখেছি।প্লিজ কেউ বলিয়েন না ছোট হয়েছে)

প্রিয়োসিনী পর্ব ৭