ফেরারি প্রেম পর্ব ৪৭

ফেরারি প্রেম পর্ব ৪৭
নিশাত জাহান নিশি

“আহা সবিতা। তুমি এত ভয় পাচ্ছ কেন? পুলিশ দেখে সব হাওয়া কী ফোঁস হয়ে গেল? এতক্ষণ তো পাতানো প্রেমিকের পক্ষ নিয়ে খুব ঝারছিলে আমায়। শুধু তাই নয় খুব সাহসও দেখাচ্ছিলে। এখন কোথায় গেল সেই সাহস? পশ্চাৎপদ দিয়ে বের হয়ে গেল?”

রূপলের অকপট কথায় যদিও ভীষণ রাগ হচ্ছিল সবিতার তবে সে এই সংকটাপন্ন মুহূর্তে নিজেকে ধীর স্থির রাকার চেষ্টা করল। ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা করল। জবাবে সে মাথা নুইয়ে বেশ নমনীয় গলায় রূপলকে বলল,
“আকাশ আমার পাতানো প্রেমিক নয় রূপল। আকাশ আমার কলেজ ফ্রেন্ড! ঘটনাচক্রে একদিন তার সাথে আমার দেখা হয়েছিল।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তখন তার অসুস্থতা এবং এক্সিডেন্টের কথা জানতে চাইলে সে আমাকে নীহারিকার সম্পর্কে বিস্তারিত খুলে বলে। আকাশের কথা শুনে তখন মনে হয়েছিল সত্যিই হয়ত নীহারিকা আকাশের সাথে অন্যায় করেছে। তাই আমি আকাশের পক্ষ নিয়ে নীহারিকাকে একটা চরম শাস্তি দিতে চেয়েছিলাম! কিন্তু এখন তো নীহারিকার কথা শুনে মনে হচ্ছে আকাশ এবং আমি দুজনই ভুল ছিলাম! সব দোষ আসলে নীহারিকার নয় বরং দিশার ছিল। কেন যে একতরফা সব শুনতে গেলাম! আমার উচিৎ ছিল নীহারিকার কাছ থেকেও সব জানতে চাওয়া। এখন বড্ড আফসোস হচ্ছে।”

সবিতা তার মিষ্টি মিষ্টি কথায় রূপলকে ভুলাতে পারলনা! সবিতার চালাকি ধরতে রূপলের এক সেকেন্ডও সময় লাগলনা। ভনিতা ভুলে রূপল সোজাসাপটা গলায় সবিতাকে বলল,
“এখন প্যাচে পরে আর ভালোমানুষি করতে হবেনা সবিতা! তোমার আসল রূপ আমার দেখা হয়ে গেছে। তুমি শুধু অন্যায় করোনি, ইভেন তুমি অন্যায়কে প্রশ্রয়ও দিয়েছ। যার শাস্তি তোমাকে আইন দিবে। তবে আমি ভাবতে পারিনি সবিতা, তোমরা দুই বোনই সেইম হবে।

ভেবেছিলাম তুমি অন্তত ভালো হবে। কারণ, একজন মা কখনও খারাপ মানুষ হতে পারেনা। কিন্তু আমার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ছিল সবিতা। ভালো খারাপ কখনও মাতৃত্বে প্রকাশ পায়না! তাছাড়া তুমিতো আমার হৃদির মা ও নও! মা এবং ভালো মানুষ হওয়ার মর্ম তুমি কীভাবে বুঝবে?”

সবিতাকে আর কিছু বলার সুযোগ দিলোনা রূপল। পুলিশের হাতে আকাশ এবং সবিতাকে তুলে দিলো। পরবর্তী মিশন তাদের দিশাকে আটক করা! দিশার মুখ থেকে স্বীকারোক্তি বের করা। হৃদিকে পাশের রুম থেকে রূপল ঘুমন্ত অবস্থায় কোলে তুলে নিলো। হৃদি, রূপল এবং নীহারিকা তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেল। অন্যদিকে পুলিশ তাদের গাড়ি নিয়ে থানার উদ্দেশ্যে রওনা হলো।

নীহারিকাকে বাড়ির সামনে দাড় করিয়ে রেখে রূপল হৃদিকে নিয়ে তার বাড়ির ভেতর প্রবেশ করল। নীহারিকাকে যদিও রূপল বলেছিল বাড়ির ভেতরে আসতে তবে নীহারিকা নাকচ করে দিলো। এই মুহূর্তে কিছুই ভালো লাগছেনা তার। সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো লাগছে। নীহারিকার মনের কথা চিন্তা করে রূপল আর তাকে জোর করলনা। হৃদিকে রাখতে বাড়ির ভেতর ঢুকে গেল। সবিতার সব কুকীর্তি রূপল তার মাকে সংক্ষেপে বলল। সব শুনে নাজনীন বেগম বেশ হায় হুতাশ করলেন। হৃদির জন্য কষ্ট পেলেন। ভবিষ্যতে হৃদির কী হবে তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ডুবে গেলেন। হৃদিকে বিছানার উপর শুইয়ে রেখে রূপল যেইনা রুম থেকে বের হতে যাবে অমনি নাজনীন বেগম উদাস গলায় রূপলকে বললেন,

“হৃদির তো এখন একজন মা প্রয়োজন রূপল! বাবা হিসেবে তুই তো আছিসই!”
নাজনীন বেগমের আবেগী কথায় রূপল পিছু ফিরল। নিশ্চল দৃষ্টিতে তার মায়ের দিকে তাকালো। কয়েক সেকেণ্ড মৌন থেকে হটকারি গলায় প্রশ্ন ছুড়ল,
“স্ট্রেঞ্জ হৃদির জন্য আমি মা কোথা থেকে আনব?”
“কেন? তুই চাইলেই তো পারিস হৃদির জন্য মা আনতে!”
রূপল বেশ বুঝতে পারল তার মা কোন প্রসঙ্গে কথা বলছে! তাই সে তার মাকে প্রশ্রয় না দিয়ে বরং কড়া গলায় বলল,
“আমি এখনি বিয়ে করতে চাইনা মা! সো এসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো।”
“আর কখন বিয়ে করবি তুই? বয়স কী কম হলো তোর?”
“শুধু বয়সটাই দেখলে মা? আমার যে চাকরী বাকরী কিছু নেই তা দেখলে না? একটা বেকার ছেলের হাতে কোন পরিবার তার মেয়েকে তুলে দিবে?”

“হাসালি রূপল! তুই জানিস? আমার এই বেকার ছেলের হাতেই কত পরিবার তার মেয়েকে তুলে দেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পরে আছে? তুই শুধু মুখ খুলে একবার হ্যাঁ বল বাবা! বাকিটা আমি বুঝে নিব!”
“অবিবেচকের মত কথা বলো না তো মা। আমার কী সেল্ফ রেসপেক্ট নেই? যে নিজে কোনো আয় রোজগার না করেই একটা মেয়েকে নিজের ঘাড়ে তুলতে যাব? বাপের টাকায় নিজেও চলব, আমার বউকেও চালাব! সবসময় তোমার এসব বোকা বোকা কথা। মুডটাই নষ্ট করে দাও তুমি।”
বেশ মেজাজ দেখিয়ে রূপল বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল। রূপলের যাওয়ার পথে তাকিয়ে নাজনীন বেগম ফোঁস করে শ্বাস ফেললেন। শক্ত গলায় বললেন,

“এসব বলে তুই আমাকে থামাতে পারবিনা রূপল। আমিতো তোর জন্য মেয়ে দেখবই দেখব। তবে আগে পিয়াসার রিসিপশনটা হয়ে যাক। এরপর তোর বিয়ের জন্য আমি আট ঘাট বেঁধে নামব!”
বাইক নিয়ে রূপল বাড়ির মেইন গেইটের সামনে যেতেই দেখল নীহারিকা তার জন্য অপেক্ষা করতে করতে প্রায় অধৈর্য্য হয়ে পরেছে! রিকশা ও ঠিক করে ফেলেছিল সে বাড়ি যাওয়ার জন্যে। তবে রূপলকে দেখে রিকশাটিকে সে চলে যেতে বলল। রূপলের বাইকের পেছনে ওঠে বসল সে। সঙ্গে সঙ্গেই বাইক ছেড়ে দিলো রূপল। নীহারিকা প্রথমে রূপলের কাঁধে হাত রাখলেও বাইকের ঝাঁকুনিতে সে হাতটা রূপলের কাঁধ থেকে নামিয়ে নিলো! ব্যাপারটায় ভীষণ অবাক হলো রূপল। কপাল ও কুঁচকে এলো তার। বিস্মিত গলায় সে ড্রাইভিংয়ে মনোযোগ দিয়েই নীহরিকাকে বলল,

“আপনার দেখি সবকিছুই উল্টা! ঝাঁকুনি খেলে মানুষ সামনের মানুষটাকে আরও শক্ত করে ধরে। যেন পড়ে না যায় তাই। আর আপনি কী-না ঝাঁকুনি খেয়ে হাতটা নামিয়ে নিলেন? পড়ে যাওয়ার ভয় নেই আপনার?”
শক্ত গলায় নীহারিকা বলল,
“না! কারণ আমার নিজের উপর কনফিডেন্স আছে। কারো উপর ডিপেন্ডেবল হতে চাইনা আমি। এতে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে!”
“আরে বাহ্! হোয়াট অ্যা লজিক। এসব ইবলিসি লজিক নিয়ে আপনি রাতে ঘুমান কীভাবে? ঘুমের মধ্যে তারা নাড়াচাড়া করে না?”

“বিদ্রুপ করলেন? আমার লজিককে ইবলিসি লজিক বললেন?”
“অভেয়েসলি এসব আপনার ইবলিসি লজিক! রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা এড়াতে অবশ্যই অন্যের উপর ডিপেন্ডেবল হতে হয়। এতে ঝুঁকি কম থাকে।”

“উঁহু! সবাই যে আমাকে বাঁচানোর জন্য দু’হাত বাড়িয়ে দিবে এমনটা কিন্তু নয়! কেউ কেউ আবার ওঁৎ পেতে থাকবে আমাকে মারার জন্য! আমাকে ধ্বংস করার জন্য। তাই যার তার উপর ডিপেন্ড করতে নেই। যদিও কথাটা আমি আপনাকে বলিনি। তবে ছোটোবেলা থেকে আমি এই লজিকেই বড়ো হয়েছি। বিপদে কারো উপর ভরসা করতে নেই! নিজের বল-ই হলো বাহুবল। কারণ, আমি মনে করি আমি নিজেকে বাঁচাতে যতটা কেয়ারফুল হব, অন্যরা ততটা কেয়ারফুল হবেনা! তাই নিজের প্রতিরক্ষা নিজেকেই করতে হবে।”

“আহা জ্ঞানের রাণী! তো বলি কী আপনার থেকে জ্ঞান অর্জন করতে কী আমার ফিস দিতে হবে?”
“ফাইজলামি করবেন না তো! এমনিতেই আছি আমি মহা টেনশনে।”
“কীসের টেনশান শুনি?”
“দিশা যদি সত্যিটা স্বীকার না করে?”
“করবেনা কেন? পুলিশের লাঠির বারি খেলে ফরফরিয়ে সব স্বীকার করবে।”
“দিশা তো এমনিতেই আমার উপর ক্ষিপ্ত! যদি কোনো ভাবে আমাকে ফাঁসিয়ে দেয়?”

“যদিও আপনি কারো উপর ডিপেন্ডেড নন। তবুও বলছি এই বিষয়টা আমার উপর ছেড়ে দিন। টেনশন ফ্রি থাকুন। আপনি বরং এখন পিয়াসা এবং নিহাল ভাইয়ার রিসিপশন নিয়ে ভাবুন।”
“এতে আর ভাবার কী আছে? সময়মত তো রিসিপশন হবেই।”
“বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান লাগলে তো আপনাদের মেয়েদের সাজগোজ, রূপচর্চার কোনো কমতি থাকেনা। তার উপর শপিংয়েরও একটা ব্যাপার স্যাপার আছে। তাই বললাম আগে থেকেই প্রিপারেশন নিতে।”

“হাহ্! আমার আবার রূপচর্চা। হাজার রূপচর্চা করলেও গাঁয়ের কালো চামড়া তো আর ফর্সা করতে পারবনা! তাই বাড়ির কোনো অনুষ্ঠান নিয়ে আমার তেমন কোনো মাতামাতি নেই।”
“তার মানে আপনি মিন করতে চাইছেন গাঁয়ের ফর্সা চামড়াই সব?”
“যার যেটার কমতি কেবল সেই তার গুরুত্ব বুঝে জানেন? বাকিরা শুধু জ্ঞান দিতে আসবে। যাই হোক, রিসিপশনে আপনার কী প্ল্যান?”

“ঐ তো আপনার মতই। কোনো প্ল্যান নেই!”
“কী রঙের পাঞ্জাবি পরবেন?”
“এখনও ডিসাইড করিনি।”
“আমি একটা রঙ সাজেস্ট করব?”
“করুন।”
“মেরুন কালার।”

“এহ্! এসব হলো মেয়েদের কালার! আমি তো কালো সাদা ছাড়া পাঞ্জাবিই পরিনা।”
“কে বলল এসব মেয়েদের কালার? আর সবসময় তো একই রঙ ভালো লাগেনা পরতে তাইনা? মাঝে মাঝে একটু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।”
“মেরুন কালার আপনার প্রিয় রঙ?”
“হুম! আমার খুব শখ জানেন? মেরুন কালার পাথরের কাজ করা গর্জিয়াস একটা লেহেঙ্গা পরব। কিন্তু…
“কিন্তু কী?”
দীর্ঘশ্বাস ফেলল নীহারিকা। বিদ্রুপের হাসি হেসে বলল,

“আমার গাঁয়ের রঙ তো কালো! ড্রেসের চেয়ে আমার গাঁয়ের রঙটাই বেশী চকচক করবে!”
অমনি রাস্তার পাশ ঘেঁষে বাইকটা থামিয়ে দিলো রূপল! পিছু ফিরে নীহারিকার দিকে অগ্নিঝরা দৃষ্টি নিক্ষেপ করল! রূপলের আকস্মিক এই তেজী রূপ দেখে নীহারিকা ভয় পেতে শুরু করল! রূপলের এভাবে রেগে যাওয়ার কারণ সে বুঝল না! নীহারিকা তো রূপলকে কটাক্ষ করে কিছু বলেনি। কিয়ৎক্ষণ নীহারিকার দিকে এভাবে রক্তশূল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে রূপল তীক্ষ্ণ গলায় বলল,

“নিজেকে সবসময় ছোটো করে খুব মজা পান আপনি তাইনা? আপনি যেমনটা নিজেকে ভাবেন আপনি কিন্তু তেমনটাও আহামরি কালো নন। ডু ইউ নো দেট নীহু? আপনার গাঁয়ের রঙের চেয়েও আপনার চোখ, আপনার নাক, আপনার ঠোঁট, আপনার হাসি কতটা আকর্ষণীয়? যারা খাঁটি সৌন্দর্য খুঁজবে তারা কখনও আপনার গাঁয়ের রঙের দিকে নয় বরং আপনার চেহারায় যে অদ্ভুত মায়া আছে সেই মায়ার প্রেমে ডুবে যাবে!”

ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে নীহারিকা রূপলের দিকে তাকিয়ে রইল। রূপল এতটা নিঁখুতভাবে তার রূপের প্রশংসা করে দিলো? তবে কী রূপল এতটা সূক্ষ্ম নজরে তার দিকে তাকায়? এই প্রথম কোনো পুরুষ তার রূপের প্রশংসা করল! কুৎসিত দেখতে মেয়েটাকে এক পলকে রূপসী বানিয়ে দিলো! খুশিতে নীহারিকার চোখের কোণে স্বচ্ছ জল টলমল করছিল। সঙ্গে সঙ্গেই রূপল নীহারিকার দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলো! রাগের চোটে রূপল এতদিন যাবত নীহারিকাকে নিয়ে যা ভাবত সব অভিব্যক্তি প্রকাশ করে দিলো। যা তাকে এই মুহুর্তে লজ্জায় ফেলে দিলো!

কোনো কথা না বাড়িয়ে রূপল পুনরায় বাইক স্টার্ট করে দিলো। দুজনের মধ্যেই পিনপতন নীরবতা বিরাজ করতে লাগল। কিছুক্ষণের মধ্যেই রূপল নীহরিকাদের বাড়ির সামনে এসে বাইক থামালো। নিশ্চুপ হয়ে দুজনই বাইক থেকে নেমে পরল। নীহারিকার পিছু পিছু রূপল ও নীহারিকাদের বাড়িতে ঢুকে পরল। নিহালও তখন বাড়িতে উপস্থিত। রূপলকে দেখে ভীষণ খুশি হলো সে। তবে খুশি হতে পারলনা পিয়াসা!

রূপলের সাথে নীহারিকাকে একদমই মানতে পারেনা সে!
নীহারিকাকে ড্রাগস দেওয়ার ঘটনাটা এবং শেষ পর্যন্ত আসল দোষীদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার সব ঘটনা রূপল ধীরে ধীরে নিহাল, মারজিনা বেগম এবং পিয়াসাকে খুলে বলল। সব শুনে সবার মধ্যে যেমন আতঙ্ক কাজ করছিল তেমনি আনন্দও হচ্ছিল। এবার অন্তত নীহারিকা আকাশের হাত থেকে মুক্তি পেল। খারাপ কিছু হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেল। যদিও পিয়াসা এই গোটা ব্যাপারটায় বেশ নাক ছিটকাচ্ছিল! নীহারিকার পাশে ঢাল হয়ে রূপলের দাড়ানোটা তার সবচেয়ে অপছন্দের এবং বাড়াবাড়ি বলে মনে হচ্ছিল!

বাড়িতে পৌঁছেই নীহারিকা তার রুমে ঢুকে গেল। কারো সাথে দেখা করতে কিংবা কথা বলতে ইচ্ছে হলোনা তার। পিয়াসা এবং নাজনীন বেগম চলে গেলেন রান্নাঘরে রূপলের জন্য নাশতা তৈরী করতে। সেই সুযোগে রূপলকে একা পেয়ে নিহাল একটা সিক্রেট রূপলের কাছে শেয়ার করল! প্রাণোচ্ছ্বল হেসে সে প্রফুল্ল গলায় রূপলকে বলল,
“একটা গুড নিউজ আছে রূপল!”

ফেরারি প্রেম পর্ব ৪৬

বেশ আগ্রহী গলায় রূপল বলল,
“কী গুড নিউজ জিজু?”
“নীহারিকার জন্য একটা বিয়ে এসেছে! ছেলেটা অবশ্য আমার অফিসের-ই কলিগ। খুব তাড়াহুড়ো করছে তারা। আমার রিসিপশনের পর পরই নীহারিকাকে দেখতে আসবে তারা!”

ফেরারি প্রেম পর্ব ৪৮