বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ১১

বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ১১
লেখিকা: অনিমা কোতয়াল

আদ্রিয়ান দরজাটা বন্ধ করার পরপরই অনিমা আবার কেঁদে দিল। খুব ভয় লাগছে ওর কারণ আকাশে একটু পরপর মৃদু গ্রুম শব্দ আর আলোর ঝলকানি দেখা দিচ্ছে। ও কাঁদতে কাঁদতে দরজার সামনের সিঁড়ির ওপর বসে পরল। বেশ অনেকটা সময় ওখানেই বসে রইল। ওর মনের কোথায় আশা ছিল যে একটুপর আদ্রিয়ান ঠিক এসে দরজা খুলে দেবে কিন্তু সেটা আদ্রিয়ান করল না। অনিমার মনে এবার একটু জেদ চেপে গেল। ও ছোটবেলা থেকেই ভীষণ জেদি। আর সবাই বলে ওর এই স্বভাবটা নাকি ওর বাবার মত। অন্যায়ের সাথে ও কখনও আপোষ করে না, আর মাথা নিচু করতেও পারেনা। যত কিছুই হয়ে যাক ও অন্যায়টা মেনে নিতে পারে না আর না কারো সামনে নিজেকে ছোট করতে পারে। আর ওর জীবনের সব সমস্যার মূল কারণ ওর এই স্বভাবটাই। অনিমা চোখ মুছে উঠে দাঁড়াল। তারপর ভাঙা গলায় বলল,

” থাকবোনা আমি আর এখানে। চলে যেতে বলেছেতো লোকটা? সত্যিই চলে যাবো। কারো করুণা নিয়ে থাকবোনা এখানে। যা হওয়ার হোক। ”
কথাগুলো বলে অজানা উদ্দেশ্যে হাটতে শুরু করল ও। কোথায় যাচ্ছে নিজেও জানেনা কিন্তু যেতে তো হবেই কিছু করার নেই। যত এগোচ্ছে ততই ওর ভয় বেড়ে যাচ্ছে ওর। কারণ ও যেই রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে। সেই রাস্তায় বেশ নিরব, লোকজন নেই বললেই চলে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ইতমধ্যে হালকা বাতাস প্রবাহিত হওয়া শুরু হয়ে গেছে। ও খুব ভয় লাগছে এইমুহূর্তে। কী করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেনা। শুধু এদিক ওদিক তাকিয়ে হাটছে আর চোখ দিয়ে নিরব ধারায় অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছে। কিন্তু ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় সেটাই হল। ধীরগতিতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। অনিমা ভিজে যাচ্ছে তাই আশেপাশে তাকাচ্ছে একটা দাঁড়ানোর জায়গা খোঁজার জন্যে। হঠাৎ করেই ওর চোখ পাশের বড় বটগাছে গোড়ায় ছাওনিসহ সিমেন্ট দ্বারা তৈরী করা বসার জায়গায় পরতেই বুক কেঁপে উঠল ওর।

কারণ পাঁচটা ছেলে ওখানে বসে ড্রিংক করছে আর টাস খেলছে। এখন কী করবে ও? লোকগুলো তো ড্রাংক অবস্থাতে আছে। ওর সাথে খারাপ কিছু করবে না তো? কীকরে পাস করবে লোকগুলোকে। এসব ভাবতে ভাবতে ওদের মধ্যে একটা ছেলের চোখ পরল অনিমার দিকে। ছেলেটা বাকি ছেলেগুলাকেও অনিমাকে দেখাল। বৃষ্টি ইতিমধ্যে মাঝারি আকার ধারণ করেছে। অনিমা এবার শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওর ইচ্ছে করছে দৌড়ে পালিয়ে যেতে কিন্তু পারছেনা। সেই শক্তিটাও পাচ্ছেনা।

বাইরে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাই রঞ্জিত চৌধুরীর সাথে কবির শেখ ও এই বাড়িতেই এলেন। মিসেস লিমাও স্বামীর ফেরার অপেক্ষা করছিলেন। স্নিগ্ধাও ওনার পাশে বসে আছে।দুজনে বাড়ি ফিরে ওপর থেকে একেবারে ফ্রেশ হয়ে নামতেই মিসেস লিমা দুজনকে টেবিলে বসিয়ে খেতে দিলেন। স্নিগ্ধাও হেল্প করছে। কিন্তু এই দুটো লোককে ও সহ্যই করতে পারেনা। দেখলেই ঘৃণায় গা রি রি করে ওঠে ওর। মিসেস লিমা বললেন,

” রিক ফোন করেছিল। বারবার মেয়েটার সাথে কথা বলতে চাইছিল কোনমতে সামলে নিয়েছি।”
রঞ্জিত চৌধুরী আর কবির শেখ একে ওপরের দিকে তাকালেন। রঞ্জিত চৌধুরী মিসেস লিমার দিকে তাকিয়ে বলল,
” কী বলেছ তুমি?”
মিসেস লিমা ভয় নিয়েই সবটা খুলে বললেন যে রিককে কী বলেছেন আর তাকে কী কী বলেছে। সবটা শুনে রঞ্জিত চৌধুরী বললেন,
” হ্যাঁ তোমরা এখন এখান থেকে যাও। খাওয়া হলে ডেকে নেব।”
মিসেস লিমা কিছু না বলে চলে গেলেন। স্নিগ্ধা এখনও দাঁড়িয়ে আছে। সেটা দেখে কবির শেখ ধমক দিয়ে বললেন,

” তোমাকে কী আলাদাভাবে বলতে হবে?”
স্নিগ্ধার এইমুহূর্তে ভীষণ রাগ হচ্ছে এদের ওপর। কিন্তু চুপ থাকতে হচ্ছে নিজের পরিবারের কথা ভেবে। তাই দাঁতে দাঁত চেপে ওখান থেকে চলে গেল। স্নিগ্ধা চলে যেতেই রঞ্জিত চৌধুরী কবির শেখের দিকে তাকিয়ে বলল,
” এখন কী করব ভেবেছ? রিক এলে বলব টা কী?”
কবির শেখ চিন্তা করতে করতে বললেন,

” রিকের আসতে এখনও অনেক দেরী আছে। ভাবতে হবে দ্রুত।”
” কিন্তু ওর যাতে কোনমতেই আমাদের ওপর সন্দেহ না হয়।”
” সন্দেহ তো হবেই। তবে ব্যাপরটা যাতে ঘোরানো যায় সেই ব্যবস্হা করছি। তবে আমি আবারও বলল আমাকে না বলেই এমন একটা কাজ করা তোমার উচিত হয়নি।”
রঞ্জিত চৌধুরী বিরক্তি নিয়ে বসে আছেন। কিছুক্ষণ নিরব থেকে কবির শেখ আবারও বললেন,
” আর আমি যাই করছি সবটাই আমার দুই ভাগ্নের জন্যে। ওদের ভালো থাকাটাই আমার কাছে সবার আগে।”

রঞ্জিত চৌধুরী একটু শক্ত গলায় বললেন,
” আরে যা হওয়ায তাতো হয়ে গেছে বদলাতে তো পারব না। এসব কথা বাদ দিয়ে এখন ভাবো।”
কবির শেখ চামচ নাড়াতে নাড়াতে বললেন,
” এতো ভাবাভাবির তো কিছু নেই, এমন কিছু বলতে হবে যাতে সাপও মরে লাঠিও না ভাঙে। বরাবরের মতই সব দোষ ঐ মেয়েটার ঘাড়ে দিয়ে আমরা সাধু হয়ে বসে থাকব। ”
” সাধু?”
” উমহুম। সাধু বাঘ।”
রঞ্জিত চৌধুরীর শব্দ করে হেসে দিলেন।কবির শেখ কিছুক্ষণ গম্ভীরভাবে ভেবে ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসলেন।

অনিমা ভিজে চুবচুবে হয়ে গেছে বৃষ্টিতে। পাঁচজন ছেলেই ওর দিকে তাকিয়ে আছে। ওর মনে হল না দাঁড়িয়ে থাকলে হবেনা। এখান থেকে যেতে হবে ওকে। ও দ্রুতপদে হাটতে শুরু করল। ছেলেগুলাকে পাস করে চলেও গেল কিন্তু হঠাৎ খেয়াল করল ছেলেগুলোও ওর পেছনেই আসছে। ওর হৃদপিণ্ড জোরে জোরে স্পন্দিত হচ্ছে। ও নিজের পায়ের গতি যত বাড়াচ্ছে, ছেলেগুলো তারচেয়েও দ্রুত হাটছে। অনিমা বেখেয়ালিভাবে দ্রুত হাটতে গিয়ে রাস্তার একটা গর্তের মধ্যে পা পরে গেল। পায়ে চোট পেয়ে মৃদু চিৎকার করে ওখানেই বসে পরল। ছেলেগুলো এসে অনিমার চারপাশটা ঘিরে দাঁড়ালো। অনিমা পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখল ওর পা দিয়ে রক্ত বেড়োচ্ছে। ও ভীত দৃষ্টিতে তাকাল সামনের দিকে। ছেলেগুলো কেমন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। অনিমা নিজের পা ধরে কেঁদে দিল। ওদের মধ্যে একটা ছেলে বলল,

” এতো রাতে বৃষ্টির মধ্যে একা একা কোথাও চলেছো।”
” আরে এরকম জিনিসগুলো রাতে একা বেড় হয় বলেইতো আমাদের রাতটা এন্টারটেইনিং হতে পারে।”
বলে এরা অট্টোহাসিতে ফেটে পরল। অনিমা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে পর পর দুবার চেষ্টা করার পর উঠে দাঁড়াতে পারল ও। কাঁপাকাঁপা গলায় বলল,
” দেখুন আমাকে যেতে দিন।”
ওর কথা শুনে আবারও হাসল ছেলেগুলো। যেনো অনিমা কোন জোকস বলেছে। আরেকটা ছেলে বলল,

” যেতে দেবোতো আগে আমাদের এরিয়ায় এসছো আর আমাদের একটু খুশি না করেই চলে যাবে। এটা কী ঠিক তোরা বল?”
বাকি সবাই তাল মিলিয়ে বলে উঠল, ‘নাহ একদমই না’। অনিমা বুঝতে পারছে ওরা ওকে ছাড়বেনা। তবে কী আজকের বর্ষণ ওর কাছ থেকে আবার কিছু কেড়ে নেবে। ওর সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটাই। একটা লোক ওর দিকে এগিয়ে আসতে নিলেই ও একটা ইটের টুকরো ছুড়ে মারল লোকটার দিকে। টুকরোটা লোকটার মাথায় গিয়ে লাগল। অনিমা পালাতে গেলে আরেকজন ওকে আটকে নিল। যার মাথায় ইটের টুকরো লেগেছে সে চেঁচিয়ে বলল,
” খুব বেশি সাহস না ওর? আমায় আঘাত করছে? তেজ দেখাচ্ছে। চল আজ দেখি ওর কত তেজ আছে।”

ইশারা করতেই অনিমার গায়ের ওড়না টেনে নিয়ে নিল ছেলেটা। অনিমা চেষ্টা করেও ওড়নাটা ধরে রাখতে পারল না। শুধু এটুকু করেই থামেনি ওড়নাটা দিয়ে নিজের মুখ মুছে নিচে ফেলে পা দিয়ে পিসে দিল। অনিমা দুহাত দিয়ে নিজেকে আড়াল করে শব্দ করে কেঁদে দিল। ছেলেটা এগিয়ে এসে অনিমাকে ছুঁতে গেলেই একটা গাড়ি এসে থামল ওখানে। হেডলাইটের আলোতে চোখ বন্ধ করে ফেলল অনিমা। কারণ পুরো হেডলাইটের আলোটা অনিমার চোখের ওপর পরেছে। চোখ খুলে তাকাতে পারছেনা। বেশ অনেকটা সময় পর হেডলাইটের আলো বন্ধ হতেই চোখ খুলে তাকাল অনিমা। তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল কারণ ওর সামনে অভ্র দাঁড়িয়ে আছে। অনিমা ভয়ে শক্ত হয়ে গেছে পুরো। কিছুক্ষণ আগের ঘটনা ভুলে উঠতে পারছেনা ও। লোকগুলো কোথায় গেল।অভ্র এগিয়ে এসে বলল,

” ম্যাম, আপনি ঠিক আছেন?”
অনিমা ভীত চোখে চারপাশে একবার তাকিয়ে আটকে যাওয়া কন্ঠে বলল,
” ও-ওরা..”
কথাটা বলে আবার কেঁদে দিল। অভ্র ভালো করে তাকাচ্ছেনা কারণ অনিমার গায়ে ওড়না নেই তার ওপর ভিজে আছে। অভ্র বলল,
” আচ্ছা ঠিকাছে, আপনি আসুন আমার সাথে।”
অনিমা কিছু ভাবতে পারছেনা এই মুহূর্তে। প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেছে তাই অভ্র যা বলছে তাই করল। অভ্র অনিমাকে গাড়িতে বসিয়ে নিজেও বসল। গাড়িতে একটা পাতলা চাদর রাখা ছিল অভ্র সেটা নিয়ে অনিমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
” ম্যাম এটা গায়ে জড়িয়ে নিন।”

অনিমা তাড়াতাড়ি গায়ে চাদরটা জড়িয়ে নিল। কিন্তু এখনও ওর কান্না থামেনি হিঁচকি দিয়ে কেঁদে চলেছে ওর। অভ্র গাড়ি চালিয়ে গাড়িটা আদ্রিয়ানের বাড়ির সামনে এনেই দাঁড় করাল। অনিমা অবাক হয়ে চারপাশে তাকিয়ে বলল,
” এখানে?”
অভ্র একটু হকচকিয়ে গেল তবুও হাসার চেষ্টা করে বলল,
” আপনিতো এখানেই থাকেন তাইনা?”
অনিমা মাথা নিচু করে কান্নামাখা গলায় বলল,
” আমি ওখানে আর যাবোনা।”
” তাহলে কোথায় যাবেন?”

অনিমা কোন উত্তর দিতে পারলনা। সত্যিই তো কোথায় যাবে ও? কিন্তু এই বাড়িতেও যাবেনা। ওর যাওয়ার কোন জায়গা নেই বলে কী আত্মসম্মানও নেই নাকি? যেই লোকটা ওকে এত রাতে এভাবে বেড় করে দিল তারওপর একবার খোঁজ নেওয়ারও প্রয়োজন মনে করলনা যে মেয়েটা আদোও বেঁচে আছে কী-না তার কাছে থাকবেনা ও।
অভ্র বলল,

” দেখুন ম্যাম আজকে রাতের জন্যে হলেও আপনাকে এখানেই থাকতে হবে। কিছু করার নেই।”
অনিমা নির্জীব গলায় বলল,
” আপনার স্যার রেগে যাবেন যদি জানে যে আপনি আমায় নিয়ে এসছেন।”
অভ্র কিছু না বলে হাসল। তারপর বলল,
” সেটা আমার ওপর ছেড়ে দিন।”

অনিমা চেয়েও কিছু বলতে পারছেনা বাধ্য হয়েই অভ্রর সাথে গেল। ঠান্ডায় কেঁপে কেঁপে উঠছে ও, তারসাথে কিছুক্ষণ আগে ঘটা ঘটনাটার ভয়তো আছেই। অভ্র পরপর তিনবার বেল বাজানোর পর দরজা খুলল আদ্রিয়ান নিজেই। একটা চিকন স্লিভের গেঞ্জি আর থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট পরে আছে গলায় ঝোলানো টাওয়েল দিয়ে চুল মুছতে মুছতে সামনে তাকিয়ে ওদের দুজনকে দেখে ভ্রু কুচকে ফেলল। অনিমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে অভ্রর দিকে তাকিয়ে বলল,

বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ১০

” এই মেয়েটা এখানে কী করছে?”
আদ্রিয়ানের এরকম কথায় অনিমার আরো জোরে কান্না পাচ্ছে, লোকটা এমন কেন? অভ্র ইতস্তত করে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আদ্রিয়ান বলল,
” ভেতরে এসো।”
অভ্র অনিমাকে ইশারা করতে ইচ্ছা না থাকলেও ভেতরে গেলো ও। অভ্র বলল,
” স্যার আমি তাহলে আজ আসি?”
” ডিনার করেছ?”
” জি স্যার।”
” ওকে গো।”

বলে অভ্র চলে গেল। আদ্রিয়ান দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে সুক্ষ্ম দৃষ্টিতে ওর পা থেকে মাথা অবধি একবার স্কান করল। তারপর বলল,
” দাঁড়িয়ে আছেন কেন ম্যাডাম? ভেতরে আসুন? আপনারই তো গোটা রাজ্যপাট। আমরা তো সব আপনার বেতনমুক্ত দেহরক্ষী। চলুন? আপনার সেবার জন্যে সবাই অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে।”

অনিমা মুখ ফুলিয়ে তাকাল আদ্রিয়ানের দিকে। আদ্রিয়ান আবারও অনিমাকে স্কান করে বলল,
” চলে যাওয়ার শখ মিটেছে নাকি এখনও বাকি আছে? দেখা হয়ে গেছে বাইরের সেফটি জোন? মান সম্মান কিছু আছে নাকি সবটা খুইয়ে দিয়ে এসছেন কোনটা?”

অনিমা মনে পোষা অভিমানেল পাহাড়টা আরও উঁচু হল। আরো জোরে কান্না পাচ্ছে এই মুহূর্তে ওর। এই লোকটা কী দেখতে পাচ্ছেনা ওর অবস্থা। তবুও এভাবে কীকরে কথা বলছে সে?একটুও মায়া হয়না? হার্টলেস মানুষ একটা। কিন্তু এত রাতে শাওয়ার নিয়েছে কেন তাও এই ঠান্ডা আবহাওয়ায়? এই লোকটার মাথায় তো গন্ডগোল আছে তাই যা খুশি করতে পারে। সেখানে এটাঅবিশ্বাস্য কিছু না।

বর্ষণের সেই রাতে সিজন ২ পর্ব ১২