বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৫

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৫
shanta moni

শুভ্র এতো জোরে গলা চেপে ধরেছে। যে নিশ্বাস নিতে পারছে না রোদ। আর কিছুক্ষন যদি এই ভাবে গলা চেপে ধরে রাখে। তাহলে এইখানে হয়তো ইন্না-লিল্লাহ হয়ে যাবে। মনে মনে কালেমা পড়ছে রোদ। আজই বুঝি তার শেষ দিন। হটাৎ গলা ছেড়ে দিয়ে। শুভ্র ধাক্কা মারে। রোদ ছাদের ফ্লোরে পড়ে যায়। পড়ে গিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে। আর কাঁশতে থাকে।
শুভ্র রাগান্বিত হয়ে বলে?
শুভ্র: আমি তোকে বলেছিলাম। আমার রুমে আসতে।
কিন্তু তোর দেখি কলিজা অনেক বড় হয়ে গেছে। আমার কথা শুনিস না। আমার অবাধ্য হোস।
কিছুক্ষন চুপ থেকে আবার বলে।

শুভ্র: রোদ তোকে আমি পাঁচ মিনিট টাইম দিলাম। এর মধ্যে আমার রুমে আয়।
বলেই ধপ ধপ পা ফেলে। নিচে চলে যায়। রোদ এখনো ফ্লোরে পড়ে আছে। আস্তে করে উঠে দাঁড়ায়। তারপর কিছুক্ষণ আগের কথা ভাবতে থাকে।
কিছুক্ষণ আগে
রোদ দুপুরের খাবার খেয়ে। রুমে বসে বই পড়ছিলো এমন সময় এই বাড়ির একজন কাজের লোক এসে বলেন।
রহিমা: রোদ মা শুনছো।
কারো ডাক শুনে বই থেকে মাথা তুলে তাকায় রোদ।
রহিমা খালাকে বলে।
রোদ: খালা কিছু বলবে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রহিমা খালা আমতা আমতা করে বলে।
রহিমা: আসলে মা তোমাকে শুভ্র ভাবাজি ডাকছে।
তার রুমে।
রোদ ভয়ে কেঁপে ওঠে। তারপর মনে মনে বলে।
এই লোক আমাকে ডাকছে কেনো।
রহিমা খালা আবার বলে।
রহিমা: রোদ মা তোমাকে তাড়াতাড়ি যেতে বলছে।
রোদ ভয়ে ভয়ে রহিমা খালার দিকে তাকায়। তারপর
বলে।

রোদ: আমাকে কেনো ডাকছে খালা।
রহিমা : আমি জানিনা মা কেনো ডাকছে। শুধু বল্লো তোমাকে তাড়াতাড়ি রুমে যেতে।
রোদ কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে বলে।
রোদ: তুমি যাও। আমি যাচ্ছি।
রহিমা খালা চলে যায়। কিন্তু রোদ শুভ্র রুমে যায় না। অনেক ক্ষন রুমে বসে ছিলো। তার পর ছাঁদে চলে যায়।
কারন সে যেনে শুনে বাঘারের খাঁচায় নিজেকে শিকার বানাতে চায় না। তারপর এই ঘটনা ঘটে।
রোদ গুটি গুটি পায়ে৷ হেঁটে শুভ্র রুম এর সামনে দাঁড়ায় আর দোয়া পড়তে থাকে।
আস্তে করে রুমের দরজা খুলে ভিতরে যায়। শুভ্র বেড এর উপর বসে আছে।
হটাৎ দরজা খুলার আওয়াজে শুভ্র রোদের দিকে তাকায়। মাথা নিচু করে আছে রোদ। শুভ্র গম্ভীর স্বরে বলে।

শুভ্র: এই দিকে আমার সামনে আয়।
রোদ শুভ্রের কথা মতো। সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
শুভ্র আবার গম্ভীর স্বরে বলে উঠে।
শুভ্র : আচ্ছা তোকে বলেছিলাম। পাঁচ মিনিট এর মধ্যে রুমে আসতে। কিন্তু তুই দুই মিনিট লেট করে আসছিস। এখন কি শাস্তি দেওয়া যায় বলতো।
শুভ্র কিছুক্ষণ থেমে আবার বলে।
শুভ্র: তোকে আমি বলেছিলাম। আমার আশে পাশে না আসতে। তুই কি আমার কথা শুনেছিস। এখন তো তোকে এর শাস্তিও পেতে হবে।
রোদ মাথা নিচু করে। ভয়ে কাঁপছে।
শুভ্র আবার বলে।
আচ্ছা একটা কাজ করলে। কেমন হয়। তোকে আমি আমার বেলকনি থেকে নিচে ফেলে দিলে কেমন হয়। তিন তলা থেকে পরলে তোর মতো পুচকে মেয়ের হাত পা হাড়গোড় আর তোর শরীরে থাকবে না। এই টাই বেস্ট হবে। কি বলিস।

রোদ চমকে উঠে মাথা তুলে তাকায়। শুভ্রের দিকে সত্যি সত্যি কি এই লোক তাকে ফেলে দিবে। ভয়ে কষ্টে রোদ এর চোখে পানি চলে আসে। টলমল চোখে তাকিয়ে আছে।
কান্নার জন্য মুখ লাল হয়ে আছে। চোখ গুলো ভুলে গেছে। কিছুক্ষণ পর পর ঠোঁট কেঁপে উঠছে।
শুভ্র আস্তে করে রোদের সামনে দাঁড়ায়। কেমন ভাবে যেনো তাকিয়ে আছে। রোদ ভয়ে কেঁপে ওঠে। আচ্ছা এই লোক কি তাকে সত্যি ফেলে দিবে।

শুভ্র আস্তে করে সামনে এসে দাড়ায়। রোদ ভয়ে কাঁপছে। চোখে পানি টলমল করছে।
শুভ্র আস্তে করে রোদের দুই গালে হাত রেখে। নিজের মুখের কাছে নিয়ে আসে। রোদ সমস্ত শরীরে যেনো থর থর করে কেঁপে ওঠে। শুভ্রের গরম নিশ্বাস রোদ এর মুখে পড়ছে।
শুভ্রের মনে হচ্ছে। সে কোনো ঘোরের মধ্যে আছে। রোদের ঠোঁট তর তর করে কাঁপছে। শুভ্র যখনি রোদের ঠোঁটের দিকে নিজের ঠোঁট নেয়। তক্ষুনি হটাৎ নিলয়ের চিৎকার আসে। হটাৎ কারো চিৎকার শুনে দুজনে ছিটকে দূরে সরে যায়। হুস ফিরে শুভ্রের
সামনে তাকিয়ে দেখে। নিলয় ফ্লোরে পড়ে আছে।
রোদের মনে হয়েছিলো সে এক্ষুনি জ্ঞান হারাবে।
রোদ শুভ্রের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে। দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
এইদিকে শুভ্র বিরক্ত হয়ে। তাকায় নিলয় দিকে। শুভ্র
ভেবে পাচ্ছে না। এই গাঁদা হটাৎ বেহুশ হলো কেনো।

শুভ্র নিলয়ের মুখে পানি ছুড়ে মারে। নিলয় চিৎকার করে উঠে। আর বলতে থাকে। বাঁচাও আমায় আমি নদীতে ডুবে যাচ্ছি।
শুভ্র রাগে জোরে ধমক দিয়ে বলে।
শুভ্র: স্টপ নিলয়। কি হচ্ছে। গাঁদার মতো লাফাচ্ছিস কেনো।
নিলয় থেমে যায়। শুভ্রের দিকে কেমন করে যেনো তাকিয়ে আছে।
তারপর বলে
নিলয়: Bro এখানে কি হচ্ছিলো। রুমের আসে পাশে তাকায় নিলয় তারপর শুভ্রের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবে। এমন সময় শুভ্র রাগি কন্ঠে বলে।
শুভ্র: আউট

নিলয় হাবলার মতো তাকিয়ে আছে। শুভ্রের দিকে। আবার কিছু বলতে যাবে। এমন সময় শুভ্র আবার বলে উঠে।
শুভ্র: আর একটা কথা বলবি। তো ঠ্যাং ভেঙে হাতে ধরিয়ে দেব তোর।
নিলয় ভয়ে ডোগ গিলে। তারপর দৌড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়। দৌড়ে যেতে যেতে বলে আগে নিজের জান বাঁচানো ফরজ পরে সব কিছু।
আর এইদিকে শুভ্র নিজের মাথা চেপে ধরে। বেডের উপর বসে পড়ে। তারপর বলে।

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৪

শুভ্র: নো নো নো শুভ্র তুই এটা কি করতে যাচ্ছিলি। এই ভাবে ওই মেয়ের প্রতি দুর্বল হলে চলবে না। এই মেয়ের কাছ থেকে দূড়ে থাকতে হবে। আর এই মেয়েকে তুই ঘৃণা করিস ঘৃণা। আর কিচ্ছু না।
শুভ্র নিজের রাগে চোয়াল শক্ত করে। দেয়ালে গুসি মারতে থাকে। হাত কেটে রক্ত পড়ছে।
সকাল: ১০: ৩০
শুভ্র শিয়েরি দিয়ে নিচে নামছিলো। অফিস যাবে।এমন সময় কোথা থেকে একটা মেয়ে দৌড়ে এসে শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে।

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ৬

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here