বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৪

বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৪
লেখিকা: তানজিল মীম

গাড়ির সাথে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে আদ্রিয়ান আহিকে। চোখে মুখে স্পষ্ট রাগের ছাপ তার। আহি তো আদ্রিয়ানের চোখ দেখেই ভয়ে প্রায় শেষ। কিন্তু এবার আর কোনো ভয় পাবে না সে।যথেষ্ট সাহস নিয়েই তাকিয়ে আছে আহি আদ্রিয়ানের দিকে।

|| কিছুক্ষন আগে ||
আহি ভেবেছিল আদ্রিয়ান গাড়ি থেকে বের হতে হতে সে গাড়ি থেকে বেরিয়ে দৌড়ে পালাবে কিন্তু তাঁর সেই ভাবনাকে ভুল প্রমানিত করে দিল আদ্রিয়ান। যেই না গাড়ি থেকে বেরিয়ে দৌড়াতে নিল আহি তক্ষুনি আদ্রিয়ান গিয়ে ধরে ফেললো আহিকে। আহিকে ছটফট করতে দেখে সোজা টেনে এনে গাড়ির সাথে চেপে ধরলো সে। বর্তমানে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে আহি আদ্রিয়ানের দিকে সে ভাবেনি হুট করে এমন কিছু হবে। ভয় তো যথেষ্ট লাগছে তার কিন্তু সেটাকে আপাতত দমিয়ে রেখেছে সে। অন্যদিকে আদ্রিয়ান রাগী দৃষ্টিতে আহির দিকে তাকিয়ে বললো,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

‘ তুমি আমার গাড়ির ভিতর কি করছো?’
‘ আসলে?’
‘ দেখো আমায় রাগাবে না আমি প্যাঁচানো করে কথা বলা একদম পছন্দ করি না কাল নিলয় ছিল বলে বেঁচে গেছো কিন্তু আজ?’
বলেই আশেপাশে তাকালো আদ্রিয়ান। আদ্রিয়ানকে এদিক সেদিক তাকাতে দেখে আহিও তাকালো, আশেপাশে দূর দূরান্তে কাউকে দেখা যাচ্ছে না এখান থেকে। প্রায় শহর থেকে অনেকটা দূরে চলে এসেছে তাঁরা। এখানে আহিকে মেরে ফেলে চলে গেলেও কেউ খুঁজতে আসবে না কথাটা ভাবতেই ভয়ে ঢক গিললো আহি। কিছুটা আমতা আমতা করে বললো সে,

‘ কি করবেন?’
‘ এই নির্জন জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে তুমি প্রশ্ন করছো কি করবো।’
এবার আর আহি নিজের ভয়কে দমিয়ে রাখতে পারলো না ভয়ার্ত চেহারা নিয়ে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বললো,
‘ প্লিজ আমায় মারবেন না বিশ্বাস করুন আমি ইচ্ছে করে আপনার গাড়িতে উঠি নি,আপনি যাতে আমার মুখ না দেখেন সেই জন্যই উঠেছিলাম।’
আহির কথা শুনে আদ্রিয়ান বেশ অবাক হয়ে হাল্কা উচ্চ স্বরে বললো,
‘ হোয়াট?’
আদ্রিয়ানের চেঁচানো শুনে হাল্কা কেঁপে উঠল আহি। তারপরও ভয়ার্ত চেহারা নিয়েই আমতা আমতা করে বললো সে,

‘ আপনি এমন কেন অল্পতেই এত রেগে যান। বললাম তো আমি ইচ্ছে করে উঠিনি আমার মুখ আপনাকে যাতে দেখতে না হয় সেই জন্য উঠেছিলাম কিন্তু এটা যে আপনারই গাড়ি হবে কে জানতো প্লিজ আমায় মারবেন না।’
আহির কথা শুনে আর ওর চেহারার ধরন দেখে আদ্রিয়ানেরও কেন যেন মনে হলো সত্যি কথা বলছে। আদ্রিয়ান আহির হাত ছেড়ে দিয়ে বললো,
‘ তুমি সত্যি কথা বলছো?’

‘ হুম সত্যি বলছি কালও আমি আপনাকে লাভ লেটার দিতে চাই নি অন্য আরেকজনকে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু বদমাইশ বাচ্চাটা ভুল করে আপনাকে দিয়ে দিয়েছিল। এতে আমার কোনো দোষ নেই বিশ্বাস করুন।’
আহির এবারের কথা শুনে আদ্রিয়ান তো আরো অবাক কিন্তু কেন যেন এবারের কথাটা সত্যি বলে মনে হলো না আদ্রিয়ানের। হয়তো তার কাছ থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যে কথা বলছে। আদ্রিয়ান কিছুটা শান্ত গলায় বললো,
‘ তুমি এগুলো সব সত্যি বলছো নাকি আমার কাছ থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যে বলছো?’
আদ্রিয়ানের শান্ত গলার কন্ঠ শুনে আহি আদ্রিয়ানের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বললো,

‘ এই তো কি সুন্দর শান্ত গলায় কথা বললেন সবসময় এইভাবে কথা বলতে পারেন না সবসময় শুধু চেঁচান।’
আহির এই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বলা কথা শুনে আদ্রিয়ানের মেজাজ বিগড়ে যাচ্ছে প্রায়। আবারো চেঁচিয়ে বললো সে,
‘ তোমায় যেটা বলেছি তার উওর দেও এইমাত্র যা বলছো সব সত্যি?’
‘ আবার রেগে যাচ্ছেন কেন?’
এবার আদ্রিয়ানের রাগ মাথায় উঠে গেছে আহির কাছাকাছি এগিয়ে এসে কড়া গলায় বললো সে,
‘ তোমাকে তো আম’

বলেও থেমে গেল আদ্রিয়ান প্রচন্ড রাগ হচ্ছে তাঁর কিন্তু এই মেয়েটার ওপর ঠিকভাবে রাগটা দেখাতে পারছে না আদ্রিয়ান। আদ্রিয়ান তার রাগকে কন্ট্রোল করে বলে উঠল,
‘ তুমি থাকো এখানে আমি গেলাম।’
আদ্রিয়ানের কথা শুনে ঘাবড়ে গিয়ে আহি আদ্রিয়ানের সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
‘ গেলাম মানে আমায় এইভাবে নির্জন জায়গায় একলা ফেলে চলে যাচ্ছেন?’
‘ হুম যাচ্ছি কারন তোমার মতো মেয়ের সাথে আমি কখনোই একসাথে থাকতে পারবো না।’
‘ আপনাকে আমার সাথে থাকতেও হবে না কিন্তু এখন আপাতত আমায় একটু নিয়ে চলুন।’
‘ না নিয়ে গেলে কি করবে তুমি?’

‘ কি করবো?’
‘ হুম কি করবে?’
‘ কি করবো?’
বলেই আশেপাশে তাকিয়ে হাত জড়ো করে আদ্রিয়ানের দিকে ফিরে মিনতির স্বরে বললো,
‘ প্লিজ প্লিজ আমায় নিয়ে চলুন আমি কথা দিচ্ছি আমি আর কখনো আপনার সামনে আসবো না।’
হুট করে আহির এমন কান্ডে চমকে উঠলো আদ্রিয়ান পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে বললো সে,
‘ ঠিক তো।’
‘ হুম একশো পারসেন্ট ঠিক এবার অন্তত নিয়ে চলুন আমায়।’
উওরে কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো আদ্রিয়ান।
‘ ঠিক আছে।’
আদ্রিয়ানের কথা শুনে আহি খুশি হয়ে বললো,
‘ থ্যাংকু থ্যাংকু।’

বলেই সামনের সিটে গিয়ে বসে পড়লো সে। আদ্রিয়ানও আর বেশি কিছু না ভেবে চললো গাড়ির কাছে। সময়টা বিকেল ছাড়িয়ে গেছে এই মুহূর্তে এইরকম নির্জন জায়গায় থাকাটা ঠিক নয়। আদ্রিয়ান বেশ খানিকটা বিরক্ত নিয়ে বসলো গাড়িতে তবে সেটা প্রকাশ করলো না। চুপচাপ গাড়ি স্টার্ট দিয়ে এগিয়ে চললো সামনে। হঠাৎই কিছুদূর এগোতেই আহি বলে উঠল,
‘ বলছিলাম কি আমার চিঠিটা কি আপনি পড়েছিলেন নাকি ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে…?’
আহির পুরো কথা শেষ হওয়ার আগেই জোরে ব্রেক কষলো আদ্রিয়ান হঠাৎ করে এমনটা হওয়াতে আহি সোজা গিয়ে সিটকে টাক খেলো গাড়ির সামনে থাকা কাঁচের গ্লাসটার সাথে কারন সে সিটবেল পড়তে ভুলে গিয়েছিল। আহি ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠে বসলো,

‘ ও মা গো আমার মাথাটা ফেটে গেলরে এইভাবে কেউ গাড়ি থামায়?’
আহির কথার শুনে আহির দিকে না তাকিয়েই স্ট্রেট কন্ঠে বললো,
‘ গাড়িতে বসলে সিটবেল লাগাতে হয় জানো না সেটা।’
এতটুকু বলে নিজের গায়ে থাকা সিটবেলটা খুলে বেরিয়ে গেল আদ্রিয়ান। কারন সে ইচ্ছে করে গাড়ি থামায় নি হুট করে গাড়ির নিচে কিছু একটা বাজার ফলে ব্যালেন্স সামলাতে না পেরে গাড়ি থামিয়ে ছিল সে।
অন্যদিকে আদ্রিয়ানকে বের হতে দেখে আহিও কপাল ডলতে ডলতে বেরিয়ে পড়লো গাড়ি থেকে।’
বিরক্তি আর চোখে মুখে রাগের ছাপ নিয়ে তাকিয়ে আছে আদ্রিয়ান কারন তার গাড়ির টায়ার পানচার হয়ে গেছে। প্রচন্ড রাগ নিয়ে গাড়িটাকে একটা লাথি মেরে বললো আদ্রিয়ান,

‘ ড্যামেট।’
আদ্রিয়ানের রাগ দেখেও কিছুটা ভিতু কন্ঠ নিয়ে বললো আহি,
‘ আমরা এবার কি করে ফিরবো?’
এমন একটা মুহূর্তে আহির মুখে এমন কথা শুনে আদ্রিয়ান কড়া দৃষ্টিতে আহির দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ আমার মাথায় করে।’
‘ আপনি এমন কেন বলুন তো একটু মিষ্টি করেও তো কথা বলতে পারেন।’
‘ তোমার কাছে এখন মিষ্টি করে কথা বলার সময় বলে মনে হচ্ছে?’
‘ দেখুন এইভাবে বলবেন না দেখুন তো জায়গাটা কত সুন্দর?’

বলেই সামনে থাকা আকাশের দিকে তাকালো আহি। দু’দিকে খোলা মাঠের মাঝখানে একটা সমতল গ্রামীন রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে আদ্রিয়ান আর আহি। সূর্য্যিমামা তখন বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে কেবল,ধীরে ধীরে চারপাশের পরিবেশ অন্ধকার ভিড়দের মাঝে হারিয়ে যেতে শুরু করলো সাথে সূর্য্যিমামাও লালচে বর্ন হতে শুরু হতে লাগলো। চারপাশে থাকা গাছ বেয়ে বয়ে আসছে ঠান্ডা বাতাস। চোখ বন্ধ করে জোরে এক নিশ্বাস ফেললো আহি।’
আহির এমন কাজে বিরক্তির একদম শেষ পর্যায়ে চলে গেছে আদ্রিয়ান। হঠাৎই আহির পায়ের কাছে কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখে উঠালো আদ্রিয়ান। এটার উপরেও ‘লাভ লেটার’ লেখা দেখে মেজাজ বিগড়ে গেল তাঁর। তাঁর মানে কিছুক্ষন আগে আহি যা বলেছিল তা মিথ্যে ছিল। আদ্রিয়ান রেগে বলে উঠল,
‘ এটা কি?’

হুট করে আদ্রিয়ানের কথা শুনে আহি পিছন ফিরে তাকালো আদ্রিয়ানের হাতে নিজের লেখা কালকের লাভ লেটারটা দেখে হকচকিয়ে উঠল সে। ওটা ওখানে গেল কি করে? তাহলে কি হাত থেকে পড়েছিল নাকি।’ ওহ নো এখন কি করি?’ আহি শুকনো ঢোক গিলে বললো,
‘ ওটা আমায় দিয়ে দিন প্লিজ?’
‘ তাহলে এই কারনেই তুমি আমার গাড়িতে উঠেছিলে?’
‘ আপনি আমায় ভুল বুঝছেন।’
বলেই আদ্রিয়ানের কাছে এগিয়ে গিয়ে চিঠিটা নিতে নিলো আহি। আহিকে আসতে দেখে আদ্রিয়ান তার হাত উপরে উঁচকিয়ে বললো,
‘ এইবার আমার কাছে সব ক্লিলিয়ার।’
‘ বিশ্বাস করুন ওটা আপনার জন্য নয় অন্য কারো জন্য কিন্তু কেন যে ওটা বারবার আপনার কাছে চলে যায় বুঝি না।’

‘ আমাকে কি তোমার বোকা মনে হয়?’
উওরে কি বলবে বুঝতে পারছে না আহি। সে সত্যি বুঝে উঠতে পারছে না বার বার কেন এই ভুল বুঝাবুঝি?’
‘ কি হলো এখন চুপ কেন?’ তোমার সাহস দেখে আমি জাস্ট অবাক হয়ে যাচ্ছি, কাল তোমায় কি বলেছি আর আজ তুমি?’
‘ আপনি বুঝতে কেন পারছেন না?’
আহি আর কিছু বলার আগেই আদ্রিয়ানের ফোনটা বেজে উঠল উপরে নিলয়ের নাম দেখে আদ্রিয়ান কল রিসিভ না করে আহির দিকে তাকিয়ে রাগী কন্ঠে বললো,
‘ Stop talking,stupid girl?’

বলেই কলটা তুলে অন্য সাইডে চলে গেল আদ্রিয়ান। এদিকে আদ্রিয়ানের কাজে এবার রাগ হচ্ছে আহির। বার বার এই লোকটা তাকে রাগ দেখিয়ে দমিয়ে রাখে। কালও বলতে চেয়েছিল কিন্তু ইস্টুপিট বলে দমিয়ে রেখে ছিল। কি ভেবেছি কি লোকটা এই আহি ওনার প্রেমে পাগল। মানছি দেখতে সুন্দর কিন্তু তাই বলে সব মেয়েরা যে ওনার প্রেমে পাগল হয়ে যাবে এমনটা তো নয় আর আজকেও কি আমার চিঠিটা নিয়ে চলে যাবে না না এমনটা হতে দেওয়া যাবে না কোনো মতে। আজই এই ভুল বুঝাবুঝি শেষ করতে হবে।
ভেবেই একবুক সাহস নিয়ে এগিয়ে গেল আহি আদ্রিয়ানের দিকে। অন্যদিকে আদ্রিয়ান কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বললো নিলয়কে,
‘ I want a car in half an hour, Nilay?’
‘ ওকে দেখছি আমি,তুই চিন্তা করিস না।’
এতটুকু বলে ফোনটা কাটলো নিলয়। তারপর চটজলদি গাড়ি করে বেরিয়ে পড়লো সে।’

‘ আর ইউ ক্রেজি?এটা কি করলে তুমি?’
প্রচন্ড ক্ষিপ্ত মেজাজ নিয়ে কথাটা বললো আদ্রিয়ান আহিকে। কারন কিছুক্ষন আগে রাস্তার পাশে থাকা ধুুলো এনে সব আদ্রিয়ানের গায়ে মেখে দিলো আহি। আদ্রিয়ানের কথায় তেমন পাত্তা না দিয়ে বললো আহি,
‘ যা করেছি বেশ করেছি। নিজেকে কি ভাবেন বলুন তো? মানছি আপনি দেখতে সুন্দর তাই বলে সব মেয়েরা আপনার জন্য পাগল নাকি,প্রত্যেক বার শুধু চিঠির উপরের লেখাটা দেখে রেগে যায় ভিতরের লেখাটা দেখতে পারেন না। কতবার বলবো ওই চিঠিটা আপনার জন্য নয় অন্যকারো জন্য আরে বিশ্বাস না হলে চিঠিটা পড়ে দেখুন প্রথমেই লেখা প্রিয় ‘নীরব ভাইয়া। আর আপনার নাম কি নীরব নাকি প্রত্যেকবার শুধু রাগ দেখিয়ে দমিয়ে রাখে। হনুমান কোথাকার?’

আহির কথাগুলো চুপ করে শুনলো আদ্রিয়ান যেন ঝড় আসার পূর্বাভাস। শেষের কথাটা শুনে তো প্রচন্ড রেগে গিয়ে ঝাঁঝালো কন্ঠে বললো আদ্রিয়ান,
‘ তোমার এতো বড় সাহস, এক তো না জিজ্ঞেস করে গাড়িতে উঠেছো তারপরও তোমায় তে আমি?’
বলেই এগিয়ে গেল আদ্রিয়ান আহির দিকে। আদ্রিয়ানকে এগোতে দেখে আহিও বেশি কিছু না ভেবে দৌড় দিল উল্টো দিকে কারন আর যাই হোক সে বুঝতে পেরেছে আদ্রিয়ান ভয়ংকর ভাবে রেগে গেছে।
‘ রাগে রাগুক বার বার শুধু রাগ দেখিয়ে দমিয়ে রাখে আমায় এই বার আমিও দেখিয়ে দিয়েছি আহিকে রাগালে কি হয়?’ যতসব ফাউল লোকজন। সুন্দর বলে বেশি ভাব নেয় হুহ?’

বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৩

এসব ভাবতে ভাবতে দৌড়াতে লাগলো আহি।আহিকে দৌড়াতে দেখে আদ্রিয়ানও রেগে এগিয়ে গেল আহির দিকে। তারপর শুরু হলো ছোটাছুটি?’
রাস্তার যত ধুলো আছে সব নিয়ে মারামারি শুরু করে দিলো আদ্রিয়ান আর আহি। আর ওদের এই ছোটাছুটির মাঝেই সূর্য্যিমামা ডুবে গিয়ে বানিয়ে দিয়ে গেল দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা । হয়তো কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সন্ধ্যা পেরিয়ে ঘন কালো অন্ধকারে ঢেকে ঘনিয়ে আসবে রাত।’….

বাবুইপাখির অনুভূতি পর্ব ৫