বিয়ে পর্ব ৩৮

বিয়ে পর্ব ৩৮
ইসরাত জাহান ফারিয়া

ধ্রুব ওকে থামিয়ে দিয়ে নিজের ওয়ালেট বের করতে করতে বলল,
— একদম না। আমি দেবো, কথা ছিলো…
বলে কিছু নোট দিয়ে দেয় রিকশাওয়ালার হাতে। সারাদিন পরিশ্রম করে যে ক’টা টাকা পায় তার চেয়ে
বেশি টাকা টিপস পেয়ে রিকশাওয়ালা আনন্দে আটখানা হয়ে গেলো। দু-গাল প্রসারিত করে হেসে বলল,

— ভাইজানের মনডা আসলেই ভালা গো আফামণি৷ নইলে এত ট্যাহা আইজকাল কেউ কাউরে দেয় না, টিফস তো দূরের কথা। মনে কিছু নিয়েন না ভাইজান। ভালো থাইকেন আফনেরা। আসি গো আফা!
রিকশাওয়ালা খুশি মনে চলে গেলো। তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে ধ্রুব বিরক্তি নিয়ে বলল,
— টাকা পেয়েই ভাইজান? এতক্ষণ তো ষন্ডা বলছিলে…
অদ্রির হাসি পেলো কথাটা শুনে। তবুও যথাসম্ভব চুপ থেকে বলল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন হউন

— চলুন যাই।
ধ্রুব ঘাড় ফিরিয়ে বলল,
— হুঁ!
মৃদু স্বরে মিউজিক বাজছে। রেস্তোরার ভেতরটা মোমবাতির হলদেটে আলোয় ছেয়ে আছে। কখনো সখনো সোনালি এক অদ্ভুত আলোর ঝলকানি দিচ্ছে। ভেতরটা পরিপাটি, শান্ত। ওরা গিয়ে বসলো বুকিং করা টেবিলে। চারটে সাদা মোমবাতি ক্রিস্টালের স্ট্যান্ডে জ্বলজ্বল করছে। গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে আছে টেবিলের চারপাশে। ধ্রুব গম্ভীর হয়ে অদ্রিকে একমনে দেখছে।

কালো জামা আর ঘাড় অবধি নেমে আসা চুলগুলোতে পুরোপুরি পুতুল লাগছে। কি স্নিগ্ধ
দেখাচ্ছে এই পাথর মানবীকে! এইযে ঠোঁট নাড়িয়ে কথা বলছে, মাঝেমাঝে একটু হাসছে এতে করে ধ্রুব’র হৃদযন্ত্রের গতি ক্রমেই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। ওর ইচ্ছে হয় অদ্রির মনের গভীরে পৌঁছুতে, ওর মন পড়তে, কি ভাবছে তা জানতে। কিন্তু ওর অভিব্যক্তি বুঝা বড় দায়। কখন কি করে নিজেই জানেনা মেয়েটা। ধ্রুব হতাশ নিঃশ্বাস ফেলে। অদ্রি মেন্যুকার্ডটা ধ্রুব’র দিকে ঠেলে দিয়ে বলে,

— অর্ডার প্লিজ!
ধ্রুব ভ্রু কুঁচকে বলল,
— তুমি করো৷
অদ্রির জেদি কন্ঠ,
— না আপনি!
— তুমি করো, প্রবলেম কি?
অদ্রি কর্কশ গলায় বলল,

— এমনটা কথা ছিলো না, আমি যখন নিয়ে এসেছি তখন আমার কথাই সব….
ধ্রুব বুঝলো এই নাছোড়বান্দা মেয়ের সাথে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই৷ সেজন্য ওয়েটারকে ডেকে সী-ফুড, পাস্তা আর কোল্ড কফি কনফার্ম করলো।

এদিকে অদ্রি বিবশ চোখে রেস্তোরাঁর ডেকোরেশন মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করছে। ওর কাছে মন্দ লাগছে না। আশেপাশে বসা কতগুলো কাপল ওদেরই দেখছে। কতগুলো মেয়ে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে ধ্রুবকে। আর অদ্রি কি-না লক্ষ্যই করছে না ওকে? অজান্তে বুকের মধ্যিখানে ক্ষোভ জমলো ধ্রুব’র। ইচ্ছে করছে আচ্ছা করে কিছুক্ষণ বকাঝকা করতে। কিন্তু বউকে সে কাঁদাতে চায় না একদমই। না চায় ওকে বকতে। বরংচ হালকা তপ্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো,
— এত এদিকওদিক কি দেখছো?

প্রশ্ন শুনে অদ্রি মুখ ঘুরিয়ে দেখলো ধ্রুব কপালে ভাঁজ ফেলে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। কেমন রাগী চাহনি। তবে তা প্রকাশ করতে চাইছে না। ও মৃদু হেসে বলল,
— ডেকোরেশন। কেন?
ধ্রুব’র গলার স্বর নেমে আসে,

— এসব এত দেখার কি আছে? অন্যকিছু দেখো।
— অন্যকিছু মানে?
— কিছু না৷
অদ্রি এবার বলেই ফেললো,
— আপনাকে দেখছি না বলে হিংসে হচ্ছে? আর ইউ জেলাস?
ধ্রুব’র চেহারায় আঁধার নেমে এলো। সে সামান্য হাসার প্রচেষ্টা করতে করতে বলল,

— আ আই ডোন্ট জেলাস…
অদ্রি ঠোঁট উল্টে বলল,
— আই নো! কজ আপনি বিবাহ বিরোধী কমিটির প্রধান কর্তা ছিলেন একসময়।
ধ্রুব’র কণ্ঠে মেঘ ঘনিয়ে বজ্রপাত নেমে এলো,
— কে বলেছে এসব তোমায়?
— আপনার না জানলেও চলবে!
— চলবে না, টেল মি নাও….
— রাদিফ ভাইয়া!

ততক্ষণে ওদের মেন্যু চলে আসে। ওয়েটার সব সাজিয়ে দিয়ে যায়। অদ্রি প্লেটে খাবার তুলে ধ্রুব’র দিকে এগিয়ে দিলে ও বিস্ময় নিয়ে কড়া গলায় জিজ্ঞেস করে,
— আর কি কি বলেছে?
অদ্রি স্ট্র’তে চুমুক দিয়ে বলল,

— বলেছে আপনি একজন পিওর মানুষ। কখনো ডেটে যান নি, কোনো মেয়ের হাত ধরেন নি, চুমু খাননি…
নিজেকে নিয়ে প্রশংসা শুনতে কে না ভালোবাসে? ধ্রুব মনে মনে গর্ববোধ করে নিজের প্রতি। যাক, রাদিফটা একটা ভালো কাজ করেছে। অদ্রি মনে রেখেছে কথাগুলো৷ ধ্রুব মনে মনে স্বস্তি পায়৷ কিন্তু অদ্রি এরপরই বলে,
— কিন্তু আপনিই বলুন এখনকার দিনে কোন ছেলের গার্লফ্রেন্ড থাকে না? হাত ধরে না?

অদ্রির গলায় সন্দেহ! ব্যাস! মেজাজ সপ্তমে পৌঁছাতে আর কি লাগে? ধ্রুব প্রচন্ড রেগে বলল,
— ডাউট হচ্ছে তোমার?
অদ্রি চোখ বড় বড় করে বলল,
— আপনার বন্ধু বলে কথা। হয়তো আমি আপনার বউ বলে সত্য গোপন করেছেন। এমনটা তো হতেই পারে! সন্দেহ হওয়াটা কি স্বাভাবিক নয়?
ধ্রুব জ্বলে ওঠলো,

— না নয়। কারণ পৃথিবীর সব মানুষ এক না। যেমন তোমার মতো অন্য কেউ নয়। তবে তোমাকে আমি আর কোনো এক্সপ্লেনেশন দেবো না। অনেক হয়েছে….
অদ্রি আড়চোখে চেয়ে বলল,
— আপনি নিজেও তো আমায় বিশ্বাস করেন না।
— মানে?
— রাহাতের ফোন…
ধ্রুব বসা থেকে ওঠে দাঁড়ায়। এরপর আহত গলায় বলে,

— আর কত খোঁটা দেবে? এখন কি করলে তুমি ওই ঘটনা সম্পূর্ণ মাথা থেকে বের করবে? আমি মন থেকে অনুতপ্ত, তুমি না চাইলে আমি তোমার হাতটা পর্যন্ত ধরবো না, তবুও প্লিজ ভুলে যাও সেসব…
ধ্রুব রাগে ফুঁসছে। ওর উচ্চস্বরে চেঁচানো শুনে আশেপাশের কিছু টেবিলের মানুষ হা করে তাকিয়ে মজা নিচ্ছে। রাগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে ওর!

অদ্রি ধ্রুবকে শান্ত করার জন্য কি করবে বুঝতে পারলো না। মুখ ফুলিয়ে বলল,
— এতে এতো রাগ করার কি আছে? দেখেশুনে, জেনে নেবো না জীবনসঙ্গী কেমন? যেহেতু নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছি?
সিরিয়াসলি? বিবাহ জীবনের অর্ধেক পার করে ফেলার পর অদ্রি বলছে দেখেশুনে নেওয়ার কথা? নতুন জীবন তো কবেই পুরোনো হয়ে গেছে। শুধু নিত্যদিন নতুন নতুন কিছু অনুভূতি জড়ো হচ্ছে। এ পর্যায়ে ধ্রুব হতাশ গলায় বলে,
— এতদিনেও তোমার দেখাশোনা হয়নি? আর কত জ্বালাবে আমায়?

অদ্রি মুখ গোঁজ করে বলল,
— আমি আপনাকে জ্বালাই?
— না, জ্বালায় তো আমার হৃদয়। তোমার আর কি দোষ? কোনদিন দেখবে আমি এসব নিতে না পেরে মরেটরে যাই…

অদ্রি স্তম্ভিত হয়ে গেলো। হাত থেকে কাঁটাচামচটা পড়ে গেলো প্লেটের ওপর। মুখের হাসিটা মিলিয়ে গেলো নিমিষেই৷ অজান্তেই অভিমানে ছেয়ে গেলো মন। মৃত্যু জিনিসটাকে ও নিতে পারে না, কে বোঝাবে এটা ধ্রুবকে? ও ছলছল চোখে তাকালো ধ্রুব’র মুখপানে। সেই! ধ্রুব’র রাগ কর্পূরের মতো উবে গেলো৷ চোখবুঁজে নিজের স্বভাবকে গালি দিলো সে। অদ্রি ওকে কোন মায়াজালে আবদ্ধ করেছে যে সে কোনোভাবেই বেশিক্ষণ রেগে থাকতে পারে না? ধ্রুব হতাশ হয়ে চেয়ারে বসে কফির গ্লাসে চুমুক দিয়ে অদ্রির দিকে টিস্যু এগিয়ে দিতে দিতে বলল,

— শালার জীবন। এখন আর মরার কথাও বলা যাবে না। মা আমাকে বিয়ে দিলো নাকি শাস্তি জানি না…
অদ্রি মিইয়ে যাওয়া গলায় বলল,
— আসলেই আমার জন্য আপনার জীবনটা উলটপালট হয়ে গেছে তাইনা?
ধ্রুব’র মেজাজ চরম খারাপ হলো। ক্যান্ডেল লাইট ডিনারে এসেছে নাকি জীবন নিয়ে রচনা শুনতে এসেছে ওর সন্দেহ হচ্ছে। ও বিকট ধমকে অদ্রিকে চুপ করিয়ে দিয়ে বলল,

— আমি জানতাম তোমাকে, এরপরও বোকার মতো তোমার সাথে এলাম। এক্ষুনি বেরিয়ে যাচ্ছি…
— আমিও যাবো আপনার সাথে।
— তুমি কেন যাবে? তুমি বসে বসে সবাইকে এখন ফিরিস্তি শোনাও, জীবন নিয়ে রচনা লেখো। আমি কে? পথের কুকুর…

বলে ধ্রুব বেরিয়ে গেলো। অদ্রি হতবিহ্বল হয়ে হয়ে বসে রইলো। কি দরকার ছিলো ওকে রাগিয়ে দেওয়ার? নিজের প্রতি বিরক্ত হলো ও। খাবার তেমন কিছুই খাওয়া হয়নি, অদ্রি বিল মিটিয়ে বাইরে বেরিয়ে
আসতেই দেখলো ধ্রুব টং দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট কিনছে। ও জানে, ধ্রুব সিগারেট খায় না। কিন্তু যখন রেগে থাকে বা মন খারাপ হয় তখন আনাড়ি ভাবেই সিগারেট টানে। অদ্রিকে দেখে ধ্রুব ইগনোর করলো। নিজের মতো হাঁটতে লাগলো। অদ্রিও চুপচাপ ওর পেছন পেছন হাঁটতে শুরু করলো। বেশ রাত হয়েছে। গলিগুলো ফাঁকা। রাস্তার ধারে কতগুলো কুকুর ছোটাছুটি করছে। অদ্রি ছুটে এসে দ্রুত পায়ে ধ্রুব’র পায়ের সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটতে লাগলো। তবুও ওর ভয় করছে। অদ্রি পেছন থেকে ধ্রুব’র শার্টের কোণা শক্ত করে ধরলো। ধ্রুব বিরক্তি নিয়ে বলল,
— ছাড়ো। আমাকে এভাবে ধরেছো কেন?

অদ্রি অস্বস্তি নিয়ে বলল,
— আমি কুকুর ভয় পাই।
ধ্রুব তাচ্ছিল্যে করে বলল,
— তাতে আমার কী? আমি কি তোমার বডিগার্ড? তুমি তো একাই একশো….
বলতে বলতে ধ্রুব ঝাড়া দিয়ে অদ্রির হাত নামিয়ে দিলো। ওর মুখে আঁধার নেমে এলো, তবুও কুকুরের ভয়ে দ্রুত হাঁটার চেষ্টা করলো। ধ্রুব’র বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে করছে না। ওখানে গেলেই আবার সেই একই অশান্তি৷ হাত ঘড়িটা বারোটার কাঁটায়। ভালোই রাত হয়েছে। ধ্রুব রাস্তার পাশে একটা বেঞ্চিতে বসে পড়লো, অদ্রিও এসে বসলো। ধ্রুব সিগারেট ধরানোর চেষ্টা করলো, কিন্ত হাওয়ায় সেটাও জ্বললো না। অদ্রি বলল,

— সিগারেট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ফেলুন ওটা…
— আমার ব্যাপারে ইন্টারফেয়ার করবে না একদম…
অদ্রি ওঠে দাঁড়ালো। ধ্রুব’র সামনে কোমড়ে হাত রেখে ভ্রু কুটি করে দাঁড়াতেই ধ্রুব কেশে ওঠলো। তবুও জেদ করে সিগারেট জ্বালানোর চেষ্টা করতে লাগলো। অদ্রি সিগারেটটা টেনে রাস্তায় ফেলে দিয়ে বলল,
— আমি কি আপনাকে ছেড়ে চলে গেছি? যে এসব ছাঁইপাশ খাবেন?
ধ্রুব কটাক্ষ করে বলল,

— তখন সিগারেট নয়, হয়তো বি’ষ খেতে হতো…
অদ্রির বুক কেঁপে ওঠলো। খানিকক্ষণ চুপ থেকে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ধ্রুব’র হাতটা নিজের মুঠোয় নিয়ে
হাঁটু গেড়ে বসলো। এরপর চোখবন্ধ করে বলেই ফেললো,
— আপনি জানেন এই বারোদিন আপনি ছাড়া বারো বছরের ন্যায় দীর্ঘ মনে হয়েছে আমার? আপনাকে না দেখে, আপনার সাথে ঝগড়া না করতে পেরে কত মন খারাপ ছিলো আমার জানেন আপনি?

ধ্রুব চমকিত হলো, বিমোহিত হলো। তবুও স্থির বসে রইলো। কালচে পিচঢালা রাস্তায় মানুষের আনাগোনা নেই। ঠান্ডা বাতাসের সাথে সাথে কেঁপে ওঠছে ধ্রুব’র হৃদপিন্ডও৷ অদ্রির কথার পিঠে গম্ভীর কণ্ঠে সে বলল,
— সেজন্যই ফেরার পর থেকেই ঝগড়া করে যাচ্ছিলে? ইচ্ছে করে রাগাচ্ছিলে আমায়…
অদ্রি মাথা দোলালো। ধ্রুব ওর দিকে চেয়ে চুপ থেকে জিজ্ঞেস করলো,

— তো এসব করে কি পেলে?
অদ্রি প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বলল,
— পুরোনো ইফতেখার হাসানকে।
ধ্রুব উচাটন কন্ঠে প্রশ্ন করলো,
— কিন্তু আমি কবে নতুন অদ্রিকে পাবো? আদৌ পাবো নাকি ডিনারের নাম করে আবারও রচনা শোনাবে আমাকে?
অদ্রি মুখ গোঁজ করে উত্তর দিলো,

— কাল থেকে।
ধ্রুব ভ্রু কুঁচকালো,
— আজ নয় কেন?
অদ্রির ভাবুক কন্ঠস্বর,
— আজ তো ঝগড়াঝাটির দিন, সেজন্য!

বিয়ে পর্ব ৩৭

[পৃথিবীর সব মানুষ আমার, আপনার মতো নয়। অদ্রি টাইপ স্বভাব যাদের তারা হয়তো বুঝবেন, নিজের মনের ভাব অন্যের কাছে এক্সপ্লেইন করা কতটা কঠিন। আর লাইফ পার্টনার হচ্ছে একে-অপরের পরিপূরক, এই সম্পর্কে কোনো প্রতিযোগিতা খাটে না যে একজন রাগ করলে আরেকজনও রেগে থাকবে৷ এক্ষেত্রে একে-অপরের মন বোঝে রাগ, অভিমান ভাঙা জরুরি। কিন্তু অনেকেই অদ্রিকে ঘসেটি বেগমের সাথে তুলনা দিচ্ছেন। বলছেন যে ধ্রুব’র উচিৎ নিজের পার্সোনালিটি বজায় রাখতে, বউকে নরমাল করতে ওর কেন এত ঠ্যাকা পড়েছে এসব হাবিজাবি। আমি শুধু একটু অবাক হলাম যে এই সম্পর্কটা তো প্রতিযোগিতার নয়, ভালোবেসে যাওয়ার। অদ্রি অস্বাভাবিক, তাকে স্বাভাবিক করতে ধ্রুব যদি নিজের পার্সোনালিটি বিসর্জন দেয়ও তাতে কি আসে যায়। এমন নয় যে অদ্রির কোনো অন্য রিলেশন আছে, সেখানে ধ্রুব তৃতীয় ব্যক্তি। যদি সেটা হতো তাহলে আপনি ওকে ছ্যাছ্ড়া বলতে পারেন নিদ্বির্ধায়। এটা সম্পূর্ণই আমার মতামত। সম্পর্ক কোনো ঠুনকো জিনিস নয়, অদ্রির থেকে আরও ভয়াবহ ধরণের জেদি একজনের গল্প জানি, যার শেষপর্যন্ত এমন স্বভাবের জন্য ডিভোর্স হয়েছিলো, শুধুমাত্র তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ির জন্য। যাইহোক, ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আর শালীনভাবে মন্তব্য জানাবেন।]

বিয়ে পর্ব ৩৯