বিষাক্তফুলের আসক্তি পর্ব ৩

বিষাক্তফুলের আসক্তি পর্ব ৩
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা

ভোর হতে খুব একটা সময় বাকি নেই। ওয়াশরুম থেকে পানির শব্দ আসছে ঘন্টাখানেক ধরে৷ রাগের বশে কী করে ফেলেছে বুঝতেই নিজের মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে তাজের। সে কীভাবে এই মেয়েকে কাছে টেনে নিতে পারলো ? বেডে আধশোয়া হয়ে বসে আছে তাজ। এখন মনে হচ্ছে একটা সিগারেটের খুব দরকার। স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ায় সকল প্রকার নেশাদ্রব্য থেকে বরাবরই দূরে থাকে তাজ। তাই একটা সিগারেটও নেই তার কাছে। গায়ের ব্ল্যাঙ্কেট সরিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে টাওয়েল জড়িয়ে নিলো কোমরে। বেডে চোখ পড়তেই বিস্ময়ে চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।

How is this possible?
বেডের সাদা চাদরে ছোপ ছোপ রক্তের দাগগুলো যেনো বলে দিচ্ছে মেয়েটা ভার্জিন ছিলো। কিন্তু সেটা কীভাবে সম্ভব ? মেয়েটা তো প্রেগনেন্ট তাহলে ? মস্তিষ্কে একটু চাপ দিতেই গতরাতের প্রতিটা মুহুর্ত স্পষ্ট হয়ে উঠলো তাজের সামনে। রাগের বশে তখন বুঝতে না পরলেও এখন ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে গেলো, মেয়েটা ভার্জিন ছিলো। তিতিরকে দু’বছর ধরে চেনে তাজ। তার কোনো কালেই বয়ফ্রেন্ড ছিল না, এটাও জানে।
তাজ মাথা চেপে ধরে বেডে বসে পড়লো, আমি তো ভেবেছিলাম সব মিথ্যে হলেও তিতির প্রেগনেন্ট এটা সত্যি। কিন্তু এখন দেখছি সেটাই সবচেয়ে বড় মিথ্যে। তাহলে রিপোর্টটা কার ? আর তিতির কেনো নিজের নামে এতবড় মিথ্যা বললো। নাহ্ আর ভাবতে পারছি না।
ওয়াশরুমের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে আছে তিতির। শরীরের খুব কম জায়গায় অক্ষত আছে। পানি স্পর্শে প্রচন্ড জ্বালাপোড়া করছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

তিতির নিজের দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো, দেখ বোনু তোকে ভালোবাসার পুরষ্কার পেয়েছি আমি। বাবা-মায়ের দেওয়া দ্বায়িত্ব পালনের কত সুন্দর পুরষ্কার মিলেছে আজ। তোকে ভালোবাসার অপরাধে সবার চোখে আজ আমি চরিত্রহীন ঘৃণ্য একজন মানুষ। না স্যারের উপর আমার কোনো অভিযোগ নেই। তার থেকে আমি যা কেড়ে নিয়েছি সে তুলনায় এসব তো কিছুই না। আমি জানি আরো কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে আমার জন্য। কিন্তু তুই চিন্তা করিস না বোনু তোর জন্য আমাকে যতটা স্বার্থপর হতে হয় হবো, যতটা নিচে নামতে হয় নামবো। পৃথিবীর সব মানুষ আমাকে ঘৃণা করুক শুধু তুই ভালোবেসে আপুনি বলে গলা জড়িয়ে ধরলেই হবে, সব ভুলে যাবো আমি। কিন্তু তোর গায়ে ফুলের টোকাও পড়তে দিবো না আমি। তোকে যেদিন ফিরে পাবো সবকিছু থেকে অনেক অনেক দূরে চলে যাবো আমরা। যেখানে আপন মানুষের মুখোশধারী নরপিশাচরা থাকবে না।

তাজ উঠে ওয়াশরুমের দরজায় আঘাত করে বললো, এই মেয়ে বের হ বলছি। এই মুহুর্তে বের না হলে দরজা ভেঙে ফেলবো।
তাজের আওয়াজে চমকে উঠলো তিতির। কিন্তু বের হবে কী করে ? তার কাছে তো পড়ার মতো কোনো কাপড় নেই। তাজ সমানে দরজা ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে যেকোনো সময় দরজা ভেঙে যাবে। তিতির কোনোরকমে টাওয়েল জড়িয়ে দরজা খোলে দিলো। তাজ কোনো দিকে খেয়াল না করে হাত ধরে টেনে বেডের সামনে দাঁড় করিয়ে দিলো।
রাগী গলায় বললো, তুমি যদি প্রেগনেন্ট হও। তাহলে এসবের মানে কী ?
ছোপ ছোপ রক্তের দাগগুলো দেখে আবার চোখ ভড়ে এলো তিতিরের, আনমনে বলে উঠলো, পঁচিশ বছরের আগলে রাখা সতীত্বের প্রমাণ।

কথাটা বারবার কানে বাজতে লাগলো তাজের। এই মেয়ে নিজের মুখে স্বীকার করছে সে প্রেগনেন্ট নয়।
তাজ রেগে ধমক দিয়ে বললো, What ?
তাজের ধমকে হুঁশ ফিরলো তিতিরের। আনমনে কী বলে ফেলেছে ভাবতেই চমকে উঠলো। তার তো কিছু বলার অনুমতি নেই। তাকে তো শুধু কাঠের পুতুলের ন্যায় অন্যের ইশারায় নাচতে বলা হয়েছে। তোতাপাখির মতো শেখানো বুলি আওড়াতে বলা হয়েছে। সে কোনো ভুল করলে তার মাশুল যে দিতে হবে অবুঝ প্রাণটাকে।
রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে তাজের। সবকিছু এলোমেলো লাগছে। কিছু হিসাব মিলে গিয়েও আবার গড়মিল হয়ে যাচ্ছে। ড্রয়ার থেকে প্রেগনেন্সি রিপোর্ট বের করে তিতিরের দিকে ছুঁড়ে দিলো তাজ।
এসব যদি তোমার সতীত্বের প্রমাণ হয় তাহলে এটা কী ?

তিতির কিছু না বলে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। কোনো উত্তর না পেয়ে রাগ বেড়ে গেলো তাজের।
একটু দম নিয়ে বললো, তারমানে এতসব নাটকের মুল উদ্দেশ্য আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেওয়া, আমাকে ধ্বংস করে দেওয়া। এই জন্যই বেছে বেছে বিয়ের দিনটা টার্গেট করেছিস। যাতে মিডিয়ার সাহায্যে সারাদেশের মানুষের সামনে আমাকে খারাপ আর চরিত্রহীন প্রমাণিত করতে পারিস।
তিতিরের প্রতি তাজের ঘৃণা বেড়ে গেলো কয়েক গুণ। এগিয়ে এসে তিতিরের গাল চেপে ধরলো, কত টাকার বিনিময়ে এসব করেছিস ? এই নাটকের মুল চরিত্র কে বল ? তোর একার পক্ষে এসব করা সম্ভব নয় আর আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে তো তোর কোনো লাভও নেই। বল কে আছে এসবের পিছনে ? আমার ভাবতেই ঘৃণা লাগছে একটা মেয়ে হয়ে টাকার বিনিময়ে নিজের চরিত্র বিক্রি করে দিয়েছিস তুই।
তিতির তাজের দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে থেকে বললো, টাকা ?
কিছুটা সময় দম নিয়ে আবার বললো, স্যার আমি তো এই খেলার কেবল একটা গুটি মাত্র। পারলে আসল কালপ্রিটটাকে খোঁজে বার করুন আর আমাকেও মুক্তি দিন।

তাজ ছেড়ে দিলো তিতিরকে। হনহনিয়ে ওয়াশরুমে ঢোকে ঠাস করে দরজাটা লাগিয়ে দিলো। তার বুঝা হয়ে গেছে মেয়েটা কারো হাতের পুতুল। এর থেকে কিছুই জানা যাবে না। যা করার তাকেই করতে হবে। তাজ চলে যেতেই তিতির বেডে বসে পড়লো ধপ করে। একটা ফোন করা খুব প্রয়োজন কিন্তু তাজ থাকতে সেটা সম্ভব নয়। নিজের দিকে তাকিয়ে খেয়াল হলো এখনো টাওয়েল পড়ে আছে। চেঞ্জ করা প্রয়োজন কিন্তু পড়বেটা কী ? অনেক ভেবে তাজের কাবার্ডের দিকে এগিয়ে গেলো। একপাশে তাজের পোশাক রাখা আর অন্য পাশে কিছু শাড়ি আর ড্রেস। মনে হয় মৌয়ের জন্য ছিলো এগুলো। মৌয়ের কথা ভাবতেই দীর্ঘ শ্বাস বেড়িয়ে এলো বুক চিঁড়ে।
বিড়বিড় করে বললো, এতো মানুষের অভিশাপে তুই শেষ হয় যাবি তিতির। আপুটার কী দোষ ছিলো তিতির ?

মৌয়ের একটা ড্রেস বের করে ওয়াশরুমের দিকে একবার তাকিয়ে রুমেই চেঞ্জ করে নিলো। বড্ড ক্লান্ত লাগছে একটু ঘুমানো প্রয়োজন। কাবার্ড থেকে নতুন চাদর নিয়ে বিছানায় বিছিয়ে নিলো আর আগেরটা ঝুঁড়িতে রেখে দিলো। কিছু না ভেবেই শুয়ে পড়লো বেডে। চোখ বন্ধ করতেই মরিচের মতো জ্বলছে চোখ, অসহ্য ব্যাথা হচ্ছে সারা শরীরে। তবু একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলো। এখনো অনেক কিছু হওয়া বাকি আছে, অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হবে তাকে। অনেকটা সময় শাওয়ার নেওয়ার পর বের হলো তাজ। বের হয়ে তিতিরকে বেডে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে ধপ করে মাথায় আগুন জ্বলে উঠলো। তার জীবন নরক করে শান্তির ঘুম দেওয়া হয়েছে। তাজ চেঞ্জ করে বেডের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। গুটিশুটি মেরে শুয়ে আছে তিতির, যেটা একদমই সহ্য হচ্ছে না তাজের। হাত ধরে টান দিয়ে বসিয়ে ফেললো এক ঝটকায়। কেবল ঘুম লেগেছিলো চোখে, হঠাৎ এমন করায় ধড়ফড়িয়ে উঠে তিতির।
তাজ দাঁত খিঁচিয়ে বললো, তোর সাহস হলো কী করে আমার বেডে ঘুমানোর ?

তিতির কিছুটা সময় চুপ করে থেকে বললো, কোথায় ঘুমাবো তাহলে ?
যেখানে ইচ্ছে ঘুমা আমার বেডে তোর জায়গা হবে না, নাম বলছি।
তিতির কিছু না বলে উঠে দাঁড়ালো বেড থেকে। আশেপাশে তাকিয়ে সোফা দেখে সেখানে গিয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়লো। তাজ বেডে শুয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো।
এখন শুধু সকালের অপেক্ষা তার। সকাল হলেই হসপিটালে গিয়ে সব টেস্ট করে সত্যিটা সবার সামনে আনার পালা। বিয়ের আসরে এমন বিশ্রি একটা পরিস্থিতিতে পড়ে চিন্তা শক্তি লোপ পেয়েছিল তার। তখন এটা মাথায় আসলেই এই ঘৃণ্য মেয়েটাকে এতোটা সময় সহ্য করতে হতো না তাকে। কিছুটা সময় এসব চিন্তা করতে লাগলো তাজ। অপর দিকে তিতির ভাবছে শেষ কোথায় এই নাটকের। সে তো অভিনেত্রী নয়, হাঁপিয়ে গেছে এতটুকু সময়েই।
বোনু কোথায় তুই, কীভাবে খোঁজে পাবো তোকে আমি ? এতগুলো বছর সবার থেকে লুকিয়ে রেখেও শেষ রক্ষা করতে পারলাম না। ঠিক তোর খোঁজ পেয়ে গেলো রাক্ষসগুলো। ছিনিয়ে নিয়ে গেলো আমার থেকে আর আমাকে নামিয়ে দিলো জঘন্য এই খেলায়। খুব কষ্ট হচ্ছে রে বোনু।

আপুনি।
আশেপাশে তাকিয়ে ঠোঁট উল্টে কান্না করে দিলো ষোল বছরের মেয়েটা। একটা টেডিবিয়ার জড়িয়ে ঘুমিয়ে ছিলো, নিজের আপুনিকে স্বপ্নে দেখেই ঘুম ভেঙে গেছে। কোথায় তার আপুনি ? আপুনি তো তাকে একা ফেলে কোথাও যায় না। মানহা মাহমুদ পাখি, বয়স ষোল হলেও বুদ্ধি আট বছরের বাচ্চার সমান। কারণ মেয়েটা মৃদু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। পরণে তার বেবি পিংক কালার টিশার্ট আর প্লাজু। পুতুলের মতো মেয়েটাকে দেখতেও নিতান্তই বাচ্চা মনে হচ্ছে। পাখি বেড থেকে নেমে এদিক ওদিক তাকিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে গেলো। জোরে জোরে দরজা ধাক্কা দিতে লাগলো।
আপুনি দরজা খোলো না, আমার ভয় লাগে তো।
কেউ দরজা খুলছে না দেখে কান্না করে দিলো পাখি। তবে দরজা ধাক্কানো বন্ধ করলো না। একসময় বিরক্ত হয়ে দরজা খোলে ঘুম ঘুম চোখে সামনে দাঁড়ালো বছর পঁচিশের একটা ছেলে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে প্রচন্ড বিরক্ত সে।
এই পাগল ছাগল ঘুমাতে না ঘুমাতেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেছিস কেনো ? কেবল একটু ঘুম লেগেছিলো, দিলি নষ্ট করে।
ভয়ে গুটিয়ে গেলো পাখি। কান্নাও বন্ধ করে দিয়েছে কারণ সামনে দাঁড়ানো মানুষটাকে ভয় পায় সে।
ছেলেটা রেগে ধমক দিয়ে বললো, কী হলো এখন চুপ করে আছিস কেনো ? বল কেনো চিৎকার করছিলি ?
পাখি ঠোঁট উল্টে বললো, আপুনি।

ছেলেটা বিরক্ত গলায় বললো, এই পাগল তো দিনরাত আপুনি আপুনি করে আমার মাথা খেয়ে ফেলছে। ভাইয়া কেনো যে এই পাগল আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে গেছে বুঝতে পারছি না। এই ন্যান্সি, ন্যান্সি।
ঘুম ঘুম চোখে হন্তদন্ত হয়ে মধ্য বয়সী এক মহিলা এসে হাজির হলো।
আমেরিকান ইংরেজিতে বললো, কী হয়েছে স্যার ?
উত্তরে ছেলেটা বললো, এই মেয়েকে সামলান। আমি এখন ঘুমাবো আবার যদি আমাকে বিরক্ত করেছে এর খবর আছে।
কথাগুলো শেষ করে ছেলেটা পাশের রুমে ঢোকে ঠাস করে দরজা আটকে দিলো। সেই শব্দে কেঁপে উঠলো পাখি। লন্ডনের একটা বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে আছে পাখি। তার আপুনির থেকে হাজার মাইল দূরে। ন্যান্সি নানা কথায় ভুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলো পাখিকে, নিজেও রুমে না গিয়ে পাখির সাথে ঘুমিয়ে পড়লো।
ছেলেটার আবার ঘুম ভেঙে গেলো ফোনের শব্দে। বিরক্তিতে বাজে গালি দিলো একটা তবে স্কিনে নিজের বড় ভাইয়ের নাম্বার দেখে তাড়াতাড়ি রিসিভ করলো।
কী করছিস আহান ?

হ্যাঁ ছেলেটার নাম আহান চৌধুরী। লন্ডনের নামকরা ইউনিভার্সিটিতে ডাক্তারি পড়ছে সে। এখানে সে একাই থাকে। পাখিকে দিয়ে যাওয়ার সময় তার দেখাশোনার জন্য ন্যান্সিকেও রেখে গেছে তার বড় ভাই।
আহান মনে মনে বললো, আমার ঘুমের বারোটা বাজিয়ে জিজ্ঞেস করছে কী করছি ?
মুখে বললো, এই তো ঘুমাতে যাচ্ছিলাম।
অপর পাশ থেকে বললো, পাখির কী অবস্থা ?
আহান অসহায় গলায় বললো, ভাইয়া এই পাগলকে কোথায় পেয়েছো তুমি ? প্লিজ এটাকে নিয়ে যাও নাহলে আমিও পাগল হয়ে যাবো। সারা দিনরাত আপুনি আপুনি করে আমার মাথায় খায়।
দেখ আহান তোকে আগেই বলেছি মেয়েটা আমাদের আপন কেউ যদিও ওর পরিচয় এখনই তোকে দিতে পারছি না আমি। আপুনি ওর বড় বোন, যে মারা গেছে কিছুদিন আগে। সেটা পাখি জানে না তাই ওকে সামলে রাখ। সময় হলে আমি ওকে ফিরিয়ে আনবো। তবে মনে রাখিস ওর গায়ে যেনো ফুলের টোকাও না পড়ে। তাহলে আমি ভুলে যাবো তুই আমার ভাই।
ওকে ভাইয়া, আমার উপর তুমি বিশ্বাস রাখতে পারো।

বিষাক্তফুলের আসক্তি পর্ব ২

নিজের আর পাখির খেয়াল রাখিস।
ফোন রেখে আহান ঘুমিয়ে পড়লো আর অপর পাশের ব্যাক্তি চেয়ারে মাথা এলিয়ে দিয়ে বিড়বিড় করে বললো, পাখি হচ্ছে এই খেলার প্রাণভোমরা। যতক্ষণ পাখি আমার হাতের মুঠোয়, তিতির ততক্ষণ আমার হাতের পুতুল। তাই প্রাণভোমরা তো আগলে রাখতেই হবে।
আবার ফোন বেজে উঠলে স্কিনে তিতির নামটা দেখে পৈশাচিক হাসি ফোটে উঠলো লোকটার ঠোঁটের কোণে।

বিষাক্তফুলের আসক্তি পর্ব ৪