বুকের বা পাশে পর্ব ১৮

বুকের বা পাশে পর্ব ১৮
written Nurzahan akter Allo

— “তোর মন যা বলবে তুই তাই করবি। আমি সব সময় তোর পাশে আছি। আমি জানি, তুই ভুল সিদ্ধান্তে নিজেকে জড়াবি না।” (আব্বু)
–“ধন্যবাদ আব্বু! এতটা বিশ্বাস করার জন্য!” (তুয়া)
তারপর তুয়ার আব্বু তুয়ার কপালে আদর দিলো। আর তুয়ার চুলে বিলি কেটে দিলো। একটা সময় তুয়া ঘুমের দেশে পাড়ি দিলো। একটুপরে তুয়ার আব্বু চলে গেলো।বিকেলে তুয়ার আম্মু তুয়াকে ঘুম থেকে টেনে উঠালো কোচিং যাওয়ার জন্য। তিন্নি এসে বসে আছে, আর ওর ঘুম থেকে উঠার নামই নেই। তুয়া বিরক্ত হয়ে উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলো। তারপর তুয়া আর তিন্নি বেরিয়ে গেলো। দুজন লিফটের ভেতর ঢুকে গেল। একটুপর লিফ্ট দোতলায় থেমে গেল। প্রত্যয় তাড়াহুড়ো করেই লিফ্টের ভেতর ঢুকে গেল। প্রত্যয় প্রথমে খেয়াল করেনি তুয়াদের কে, পরে খেয়াল করেছে। প্রত্যয় মুচকি হেসে তিন্নি সাথে কথা বললো। কিন্তু প্রত্যয় তুয়াকে কিছু বলেনি। লিফট গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে গেলে প্রত্যয় আগে বের হয়ে গেলো।তারপর তুয়া আর তিন্নি বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছিলো। তিন্নি হঠাৎ করো বলে উঠলো,

— “প্রত্যয় ভাইয়া খুব ভালো, তাই না রে তুয়া?”
— “হুম।”
— “খুব মিশুক, এতো বড় ডক্টর কিন্তু কোনো অহংকার নেই। আমার বড় বোন থাকলে প্রত্যয় ভাইয়াকে আমার জিজু বানাতাম। প্রত্যয় ভাইয়ার হাসিটা কিন্তু জোশ মাইরি। মনে হয়, টুপ করে গিলে খেয়ে ফেলি।” (তিন্নি)
— “তুরাগ ভাইয়াকে বলতে হবে, তুই আজকাল অন্য ছেলেদের দিকে নজর দিস। এখন লুচু হয়ে গেছিস তুই। দাঁড়া পরশুদিনই আসবে ভাইয়া। আর আসলেই আমি বলে দিবো।” (তুয়া)
— “তোরা দুই ভাই-বোনই এতো হিটলার কেন রে?”
— “কিহ্ বললি তুই?” (তুয়া ভ্রু কুচকে)
— “না আমি আর কি বলবো? কিছু বলিনি তো।” (তিন্নি)
— “আমাদেরকে হিটলার বললি, আমি সত্যি ভাইয়াকে বলে দিবো।” (তুয়া)
— “না না প্লিজ, বলিস না জানু! আমি আর বলবো না!” (তিন্নি)
— “সত্যি তো?”
— “হুম!”
— “তবে তিন্নি, এটাও মনে রাখিস যে যত বেশি ভদ্র দেখায়, তার ভেতরের রুপ তত বেশি ভয়ংকর। এজন্য চোখ দিয়ে দেখে সবকিছুর বিচার করতে নেই।” (তুয়া)

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

— “এর মানে কি বুঝবো? সহজ করে বল, আমি এত কঠিন কথা বুঝতে পারি না।” (তিন্নি)
— “তোকে আর কিছু বুঝতে হবে না। গাধী একটা! চল তারাতাড়ি!” (তুয়া)
তারপর ওরা কোচিং এ চলে গেলো। আজকে প্রত্যয়ের একটা সার্জারি করার কথা ছিল। কিন্তু দুপুরে বাসায় এসে লাঞ্চ সেরে শুয়েছিলো। আর কখন যেন ঘুমিয়ে গেছে। হসপিটাল থেকে ফোন কল আসতেই, ফ্রেশ হয়ে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে এসেছে।
সাদ আর মিশির ব্যাপারটা প্রিয়মের আম্মু শুনেছে। কোনো অমত করেনি, কারণ ছেলে ডক্টর। সাদের বাবা মা এসে মিশিকে দেখে এংগেজমেন্টের ডেট ফিক্সড করবে। দুই বাড়ির সবাই রাজি, তাই যত দ্রুত সম্ভব, ওদের কাজ সেরে ফেলতে চায়। প্রিয়ম মিশির কাছে থেকে সাদের কথা শুনে আগেই সাদের সাথে মিট করেছে, কথাও বলেছে। আর খোঁজ নিয়েও দেখেছে যে সাদ অনেক ভাল ছেলে। আর প্রিয়ম এটাও জেনেছে যে প্রত্যয়ের বন্ধু সাদ। এজন্য প্রিয়মও আর কোন আপত্তি করেনি।
প্রত্যয়ের আব্বু সোফায় বসে আছে। প্রত্যয়ের আম্মু কফির মগ এনে প্রত্যয়ের আব্বু দিকে এগিয়ে দিলো। প্রত্যয়ের আব্বু টিভির দিকে তাকিয়েই কফির মগটা হাতে তুলে নিলো। প্রত্যয়ের আম্মু হঠাৎ করে বলে উঠলো,

— “দুইদিন হলো প্রত্যয়কে কেমন জানি মনমরা লাগছে। আমার ছেলেটার কি হলো কে জানে। জিজ্ঞাসাও তো করলাম, কিছু বললো না।” (আম্মু)
— “ছেলের মুখ দেখে সত্যিই কি কিছু বুঝতে পারছো না?” (আব্বু)
— “বুঝতে পারছি! কিন্তু চোরাবালিতে দাঁড়িয়ে আকাশ পানে হাত বাড়ালে কি চাঁদকে পাবে? প্রত্যয়ের আব্বু প্লিজ, তুমি প্রত্যয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করো। আমি আমার ছেলের কষ্ট সহ্য করতে পারছি না।” (আম্মু)
— “বিয়ে দিবো বললেই কি বিয়ে দেওয়া যায়? সব কাজ তো আর তাড়াহুড়ো করে হয় না।” (আব্বু)
— “তাহলে কি করবো? বসে বসে আমার সোনার টুকরো ছেলেটাকে কষ্ট পেতে দেখবো।” (আম্মু)
— “প্রত্যয় ছোট নেই যে ওকে যা বলবো ও তাই করবে।আমি তো ভেবেছিলাম, প্রত্যয় ফিরলে তুয়ার বাবার সাথে কথা বলবো। কিন্তু তার আগেই তো শুনলাম, তুয়ার আর প্রিয়মের বিয়ের কথা। মাঝখান থেকে আমার ছেলেটাই কষ্ট পেলো।” (প্রত্যয়ের আব্বু দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে)
— “হুম!”

প্রিয়ম ওর বন্ধুদের সাথে দেখা করে ফিরছিলো। ওর বন্ধু গুলো ছিলো পেছনের গাড়িতে। আর প্রিয়ম ছিলো বাইকে। তখনই কোথা থেকে একটা গাড়ি এসে প্রিয়মের বাইকে ধাক্কা দেয়। প্রিয়ম বাইক থেকে ছিটকে পড়ে!প্রিয়মের বন্ধু গুলোও স্পষ্ট দেখে ইচ্ছে করে গাড়ির মালিক প্রিয়মকে ধাক্কা দিয়েছে। পিচঢালা রাস্তায় পড়ে প্রিয়মের হাতের অনেকটাই ছিলে গেছে। পায়েও খুব ব্যাথা পেয়েছে। প্রিয়মের বন্ধুরা প্রিয়মকে হসপিটালে নিয়ে যায়। প্রিয়মের বন্ধু রিমন সে গাড়িটাকে ধাওয়া করে, কিন্তু ধরতে পারেনি। তবে রিমন ফোনে জুম করে গাড়ির নাম্বারটা টুকে নেয়। ডক্টর এসে প্রিয়মের মাথা, হাত পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দিলো। আর পায়ের জন্য কয়েকটা টেস্ট দ্রুত করে নিতে বললো। প্রিয়মের পা টেস্ট করে রিপোর্ট দেখে ডক্টর জানালো, যে পা ভাঙ্গেনি কিন্তু মচকে গেছে। প্রিয়ম আজকের রাতটা হসপিটালে থেকে কালকে বাসায় যেতে পারবে। প্রিয়ম বেডে শুয়ে ছিলো। পুরো শরীর খুব ব্যাথা পেয়েছে। তখন রিমন কেবিনে ডুকলো। প্রিয়ম মুচকি হেসে বললো,
— “রিমন আমার ফোনটা কই রে? তুই দেখেছিস?আসলে তুয়া আমাকে ফোন দিয়ে না পেলে,তুলকালাম বাঁধিয়ে দিবে।” (প্রিয়ম)
–“হুম। ভাবী ফোন দিয়েছিলো ১৭ বার আর ৪ টা মেসেজ। আর মেসেজে তোকে থ্রেটও দিয়েছে!” (রিমন)
— “ভাই তুই বলিস নি তো আমি এক্সিডেন্ট করছি? যদি জানে তাহলে আমাকে আরেকদফা পিটুনি দিবে।” (প্রিয়ম উত্তেজিত হয়ে,ভীতু সুরে)
— “ভাই আম…”

রিমন কিছু বলার আগেই তুয়া হুড়মুড় করে কেবিনের ভেতর ঢুকে গেলো। তুয়া প্রিয়মের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে। তুয়া প্রিয়মের ব্যান্ডেজ করা পা টা দুই হাত দিয়ে চেপে ধরতে ওদিকেই এগিয়ে গেল। রিমন চোখ বড় বড় করে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।
— “আহ্! ওমা মাগো আমি শেষ!” (চিৎকার দিয়ে)
তুয়া প্রিয়মের পা ধরেই নি! কিন্তু প্রিয়ম চোখ বন্ধ করে আগেই চিৎকার দিচ্ছে। প্রিয়ম এক চোখ খুলে দেখে তুয়া ওর দিকেই তাকিয়ে আছে। প্রিয়ম জোরপূর্বক একটা হাসি দিলো দাঁত বের করে। আর তুয়া দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
— “আমি বলেছিলাম তোমাকে সাবধানে থাকতে? আমি এর আগে বলিনি হাই স্পিডে বাইক চালাবে না? তাও কেন করলে? জলদি এর উওর দাও, তা না হলে আমি মেরে তোমার ওই পা টাও ভেঙে দিবো।” (রাগে ফোঁস ফোঁস করে)
— “আ আ আমি কিছু করিনি! একটা গাড়ি এসে হুদাই আমাকে মেরে দিয়ে চলে গেল। এখানে আমার কোন দোষ ছিল না।” (প্রিয়ম অসহায় চোখে)
— “ভাওতাবাজির জায়গা পাও না, তাই না? আমাকে যা বুঝাবে, আর আমি তাই বুঝবো। এই, এই তুই আমার সাথে কথা বলবি না! তোর মতো খচ্চর আর খাটাশের সাথে আমি আর কথা বলবো না‌। তোর মতো অসভ্য ছেলেকে বিয়েও করবো না, যা বিয়ে ক্যানসেল। তোর মতো উল্লুককে বিয়ে করার থেকে অবিবাহিত থাকাই বেটার!” (তুয়া ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে দিয়ে)

এটা নতুন কিছু না। প্রিয়মের কিছু হলে তুয়া আগে প্রিয়মকেই ঝাড়ে। তারপর নিজেই ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দেয়। রিমন নিঃশব্দে কেবিন থেকে বের হয়ে গেল। আর তুয়া প্রিয়মের সামনে গিয়ে প্রিয়মের বুকে মাথা রেখে শব্দ করে কেঁদে দিলো। প্রিয়ম ওর একটা হাত তুয়ার মাথায় রেখে বললো,
— “আর কাঁদে না জানপাখি টা। আমার কিছু হয়নি তো, আমি একদম ঠিক আছি। (প্রিয়ম আদুরে গলায় )
— “এ এত ব্যাথা পাওয়ার পরেও, তুমি এটা বলছো।
তু তুমি কেন ভাবো না, তোমার কিছু হয়ে গেলেয়আমি মরেই যাবো?” (হেঁচকি তুলে কেঁদে)
— “আমার জানপাখিটারে রেখে আমি কি কোথাও যেতে পারি? তোকে রেখে মরে গেলেও তো আমি শান্তি পাবো না রে।” (প্রিয়ম)
— “আবার মরার কথা বলছো?” (ঠোঁট ফুলিয়ে)
— “ওহ্ সরি, সরি! আর বলবো না!” (এক হাত দিয়ে কান ধরে)

প্রিয়ম তুয়ার চোখের পানি মুছে দিলো। আর তুয়ার কপালে একটা আদর দিয়ে দিলো। তুয়া ওর আব্বু আম্মুকে জানালো প্রিয়মের এক্সিডেন্টের কথা। উনারাও প্রিয়মকে দেখতে আসলো। আর প্রিয়মের আব্বু আম্মুকে জানাতে প্রিয়ম নিষেধ করেছে, তাই কেউ জানাই নি। তুয়ার আব্বু আরেকবার ডক্টরের সাথে কথা বলে নিলো। রাত ১০ টাই প্রিয়ম ওর বন্ধুদের চলে যেতে বললো। ওরা এতক্ষণ হসপিটালেই ছিলো। তুয়ার আম্মু বললো,
— “তুয়া তুমি তোমার বাবার সাথে বাসায় চলে যাও। আজকে আমি প্রিয়মের কাছে থাকি।” (আম্মু)
— *আম্মু, আমি থাকলে কি কিছু হবে?” (তুয়া মাথা নিচু করে)
— “না, সমস্যা হবে কেন? তুয়া মা তুই ই থাক প্রিয়মের সাথে। আর এই যে খাবার এনে দিলাম, এগুলো দুজনেই খেয়ে নিবি। আমরা গেলাম, দুজনেই সাবধানে থেকো।” (তুয়ার আব্বু)
— “জ্বি আংকেল।” (প্রিয়ম)
তুয়ার আব্বু-আম্মু কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল। তুয়াকে ওর আম্মু বার বার করে বলে গেল প্রিয়মের খেয়াল রাখতে! তুয়া মাথা উপর নিচ করে সম্মতি জানালো। তুয়ার বাবা-মা একটু সামনে এগোতেই প্রত্যয়ের সাথে উনাদের দেখা হলো। প্রত্যয় কেবল ওটি থেকে বের হলো। ওর সার্জারির পুরো ড্রেসে শরীরে রক্ত লেগে আছে। প্রত্যয় তুয়ার আব্বু আম্মুর সাথে কথা বললো, আর জানতে চাইলো হসপিটালে কেন? তুয়ার আম্মু প্রিয়মের কথা প্রত্যয়কে বললো। প্রিয়মের এক্সিডেন্টের খবর শুনে প্রত্যয়ের খারাপ লাগল। তখন প্রত্যয় বললো,
— “আচ্ছা আন্টি আংকেল আপনারা বাসায় যান। আমি আছি হসপিটালে। আচ্ছা প্রিয়মের সাথে এখন কে আছে? আর ও কত নং কেবিনে আছে?” (প্রত্যয়)
–‌ “প্রিয়মের সাথে তুয়া থাকবে।‌ ওরা ২০৪ নং কেবিনে আছে।” (আব্বু)
— “ওহ! আচ্ছা।” (প্রত্যয়)

বুকের বা পাশে পর্ব ১৭

তারপর তুয়ার বাবা-মা চলে গেল। প্রত্যয় ওর পার্সোনাল চেম্বারের দিকে গিয়ে ওর রক্তমাখা সার্জারির ড্রেস খুলে ফ্রেশ হয়ে নিলো। একটুপরে, প্রত্যয় প্রিয়মের সাথে দেখা করতে গেল। প্রত্যয় প্রিয়মের কেবিনের দরজায় টোকা দিলো। তুয়া দরজা খুলে ভেতর আসতে বললো। প্রত্যয় ভেতরে ঢুকে প্রিয়মের সাথে কথা বলতে বলতে প্রিয়মের টেস্ট রিপোর্ট, মেডিসিন, পা টা নেড়ে দেখলো। আর প্রিয়মকে জিজ্ঞাসা করলো কোন সমস্যা হচ্ছে কি না।প্রিয়ম বললো ওর সমস্যা হচ্ছে না। প্রত্যয় তুয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,
— “ওকে বাকিটা খাবারটা খাইয়ে মেডিসিন খাইয়ে দিস।আর কোন সমস্যা হলে আমাকে জানাস। কেবিনের দরজা খুলেই নার্সদের দেখতে পাবি। ওনাদের যে কাউকে আমার কথা বললে ওরা আমার কেবিন দেখিয়ে দিবে।” (প্রত্যয়)
— “আচ্ছা। তাহলে তুমি কি আজ বাসায় ফিরবে না?সারারাত কি হসপিটালেই থাকবে?” (তুয়া)
— “হুম! বাসাতেই ফিরতাম। কিন্তু আবার কাজ পড়ে গেল। তাই আজকের রাতটা হসপিটালেই থাকবো।আমাদের কিছু কিছু দায়িত্ব আছে! যেগুলো চাইলেও ঝেড়ে ফেলা যায় না। তাই আর কি!” (প্রত্যয় মুচকি হেসে)

তারপর প্রত্যয় আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেল। আর যাওয়ার সময় প্রত্যয় নার্সদের বলে গেল তুয়া একা আছে, ওর কখন কি লাগে নাসর্রা যাতে খেয়াল রাখে।প্রত্যয়ের এই কথা বলার পর‌ নার্সগুলোও আরো এ্যালার্ট হয়ে গেল।
প্রত্যয় যখন কেবিনে ঢুকেছিলো, তখন তুয়া প্রিয়মকে নিজে হাতে খাইয়ে দিচ্ছিলো। প্রিয়মের মুখে খাবার ছিলো। আর তুয়ার হাত এটো ছিলো। এগুলো প্রত্যয়ের চোখ এড়ায় নি। তাই প্রত্যয় অযথা আর ওখানে না থেকে চলে গেলো।

বুকের বা পাশে পর্ব ১৯