ভবঘুরে সমরাঙ্গন পর্ব ১০
তাজরীন ফাতিহা
ইমতিয়াজ ভুঁইয়া নিজের কক্ষে কিছু কাগজপত্র নিয়ে ঘাটাঘাটি করছেন। উর্মি ভুঁইয়া বিছনার উপরে চার্লস ডিকেন্সের বিখ্যাত বই “Great Expectations” বইটি পড়ছেন। এক অনাথ ছেলে পিপের জীবনসংগ্রাম, সামাজিক উন্নতি এবং ভালো-মন্দের দ্বন্দ্ব নিয়ে লেখা এই বইটি। উর্মি ভুঁইয়ার বইটি পড়ে অনাথ পিপের জন্য কখনো চোখে পানি এসেছে আবার কখনো উপলব্ধি হয়েছে সামাজিক শ্রেণীবিন্যাস এই সমাজে কি ভয়ংকর প্রভাব ফেলে। ইমতিয়াজ ভুঁইয়া স্ত্রীকে আড়চোখে দেখছিলেন। কঠিন হৃদয়ের উর্মি ভুঁইয়াকে চোখের কোণা মুছতে দেখে একটু অবাকই হয়েছিলেন তিনি। যদিও পানি গড়ায়নি চোখ দিয়ে তবে চোখে যে পানি এসেছিল তা তিনি নিশ্চিত।
ইমতিয়াজ ভুঁইয়ার নিজের যৌবনের কথা মনে পড়ে গেলো। উর্মি ভুঁইয়া নামক নারীটি ছিল মায়াবিনী। কিভাবে যে তাকে বশ করে ফেললো সে বুঝতেই পারেনি। নারীটির চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যই কি তার কারণ? ইমতিয়াজ ভুঁইয়া ভেবে কোনো কূলকিনারা পেলেন না। কি তেজ, কি ব্যক্তিত্ব যা তাকে খুব সহজেই আকৃষ্ট করে ফেলেছিল নারীটিকে মনে জায়গা দিতে। এখনো নারীটির সামনে ভেবেচিন্তে কথা বলতে হয়। এরকম ইস্পাত মানবী তিনি জীবনে কমই দেখেছেন।
উর্মি ভুঁইয়া বইটি বন্ধ করে চশমা খুলে রাখলেন। তারপর উঠে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন। ইহাবের দরজায় নক করলেন। খানিকক্ষণ পর ইহাব দরজা খুলে বললো,
“কিছু বলবে আম্মু?”
উর্মি ভুঁইয়া বললেন,
“ভিতরে আসবো?”
“আসো।”
ছেলের খাটের উপরে বসে ছেলেকে তার কাছে ডাকলেন। ইহাব মায়ের কোলে মাথা দিয়ে বললো,
“আম্মু মাথাটা মালিশ করে দাও তো।”
উর্মি ভুঁইয়া মাথা মালিশ করে দিতে দিতে বললেন,
“তোমার নিজস্ব কোনো পছন্দ আছে ইহাব?”
ইহাব ঘাড় ঘুরিয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন আম্মু?”
“ছেলেকে তো বিয়ে দিতে হবে। বয়স তো তোমার কম হলো না।”
ইহাব আস্তে করে বললো,
“যদি বলি পছন্দ আছে তাহলে কি তুমি রাগ করবে?”
উর্মি ভুঁইয়ার হাত থেমে গেলো খানিকক্ষণের জন্য। তারপর ছেলের কপাল টিপে দিতে দিতে বললেন,
“রাগ করবো কেন? কে সে নাম বলো? তোমার বাবার সাথে কথা বলবো তাহলে এই বিষয়ে।”
“সময় হলে বলবো।”
উর্মি ভুঁইয়া ভেবে চললেন কে সেই মেয়ে যাকে পছন্দ করে তার ছেলে? ইহাব তো প্রেম করে না যতটুকু তিনি জানেন কিন্তু পছন্দ আছে সেটা তো জানতেন না। অন্যদিকে ইহাব নিজের প্ল্যান অনুযায়ী আগাচ্ছে ভেবে মনে মনে হাসলো। পাপাকে রাজি করানো একটু ঝামেলার হলেও আম্মু সেটা সামলে নেবে তা ইহাব ভালো করে জানে।
“আস সুব হু বাদা মিন ত্ব’ল আ তিহি…
ওয়াল লাইলু দাযামিও ওয়াফরাতিহি…
হে নূরে সাহার চেহেরে সে তেরে…
অর শাব কি রওনাক জুলফ হে…
আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ…
আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ…”
নিশাত কাজের ফাঁকে ফাঁকে গজল, নাশিদ ইত্যাদি প্রায়ই গায়। তার কণ্ঠ মাশাআল্লাহ। মারওয়ানও মাঝে মধ্যে মন্ত্রমুগ্ধের মতো শোনে সুললিত কণ্ঠের সেই গজল। আজকেও সে রান্না করছে আর ছেলেকে গজল গেয়ে শোনাচ্ছে। নাহওয়ান মায়ের কোলে চুপটি করে বসে থেকে শ্রুতিমধুর এই গজলটি শুনে চলছে।
মারওয়ান আজকে সকালেই উঠে গেছে। রান্নাঘরের দরজায় এসে স্ত্রীর গজলটি শুনে থেমে গেলো তার পা। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনলো। তারপর নিশাত আচমকা থেমে যাওয়ায় বিরক্ত হলো বেশ। নাহওয়ান ঘাড় ঘুরিয়ে বাবাকে দরজায় দাড়ানো দেখে মায়ের কোলেই লাফিয়ে উঠে বললো,
“উইত্তো বাবা।”
নিশাতও ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো মারওয়ান দাঁড়িয়ে আছে। বললো,
“ওখানে দাঁড়িয়ে আছেন কেন? ছেলেকে নিন।”
মারওয়ান রান্নাঘরে ঢুকে ছেলেকে কোলে নিলো। নাহওয়ান বাবাকে দেখেই ঝাঁপিয়ে পড়লো একেবারে। নিশাত এতক্ষণ ঠিক করে কাজ করতে পারছিল না। এখন একটু রিল্যাক্স লাগছে তার। মারওয়ান উঁকি দিয়ে চুলোর দিকে চাইলো। কড়াইয়ে মাছ ভাজা হচ্ছে। তার নাক কুঁচকে গেলো। মাছ তেমন একটা পছন্দ না তার। নাক কুঁচকে রেখেই বললো,
“প্রতিদিন মাছ রাঁধতে হবে কেন? গোশতের আকাল পড়েছে?”
নিশাতের চলন্ত হাত থেমে গেলো। মুখ কঠিন করে বললো,
“প্রতিদিন গোশত খাওয়ার শখ থাকলে কামাই করে খান। আপনাকে কেউ বাঁধা দিবে না। নিজের অল্প ইনকামে যা পারি তাই-ই আনি। সংসারের খরচটা তো আমাকেই দেখতে হয়। দুই একদিন বাজার করে দেখুন সবকিছুর দাম কত চওড়া। মুখ খালি খেতেই চায়, হাত পা কাজ করতে চায়না তাই না?”
কথাটুকু বলে নিশাত আবার রান্নায় মনোনিবেশ করলো। তাকে আবার রেঁধে বেড়ে স্কুলে যেতে হবে
আজাইরা আলাপ করার সময় নেই তার। মারওয়ান মুখ কঠিন করে তাকিয়েই থাকলো। কোনো কথার জবাব দিলো না। ছেলেকে কোল থেকে নামিয়ে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। বিরক্ত লাগছে সবকিছু। নাহওয়ান কান চুলকে বাবার যাওয়ার পানে তাকিয়ে আছে। তারপর মায়ের পা জড়িয়ে ধরলো। নিশাত দেখলো মারওয়ান ছেলেকে রেখে গেছে। রাগ উঠলো তার। কথা বলেনি তো কি হয়েছে? ছেলেকে রেখে গিয়ে ঝাল মিটাচ্ছে। অভদ্র পুরুষ। নাহওয়ানকে বললো,
“আব্বা, বাবার কাছে যান।”
নাহওয়ান মায়ের কথা মেনে বাবার কাছে চলে গেলো। মারওয়ানকে শুয়ে থাকতে দেখে নিজেও খাটের উপরে উঠে বাবার বুকের উপরে বসলো। মারওয়ান চোখ থেকে হাত সরিয়ে ছেলেকে দেখে বললো,
“আমার কাছে কি? যা মায়ের কাছে যা। কিছু বলেও শান্তি পাই না। সব মায়ের কাছে সাপ্লাই করার জন্য বসে আছে মায়ের গুপ্তচর। তোর মা পাঠিয়েছে তাই না? যেন কি কি বলি সব খবর তার কানে পৌঁছিয়ে দিতে পারিস। বদ ছেলে।”
নাহওয়ান কিছুই বুঝলো না। সে ঠোঁট বাকিয়ে ঘাড় নেড়ে বললো,
“বড বাবা।”
মারওয়ান বললো,
“পাজি, হতচ্ছাড়া, নচ্ছার।”
নাহওয়ানও বাবার সাথে আওড়ালো,
“পাজি, হটচারা, নচ্চার।”
“এই তোর মাথায় এতো বুদ্ধি কেন?”
নাহওয়ান হাত নাড়িয়ে বললো,
“বুড্ডি নাই।”
বলেই ফিচ ফিচ করে হেঁসে দিলো। মারওয়ান ছেলেকে শুধালো,
“বাইরে যাবি?”
নাহওয়ানের চোখ চকচক করে উঠলো। বাবার উপর থেকে নেমে লাফ দিয়ে বললো,
“যাবো। টলো যাই।”
“আরে এখন না। তোর মা আগে স্কুলে যাক। শোন আমরা বাপ, বেটা বাইরে খেতে যাবো। এসব খাবার খাওয়া যায়? তুই কিচ্ছু খাবি না বুঝলি?”
“আচ্চা।”
“আর মাকে বলবি না। বল বলবো না।”
“বনবো না।”
“এবার ঠিক আছে।”
নিশাত আজকে ছেলেকে কিছুতেই খাওয়াতে পারলো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ঘাপটি মেরে শুয়ে আছে। নিশাতের স্কুলের সময় যাচ্ছে। তাই সবকিছু ঢেকে রেখে স্কুলে চলে গেলো। নিশাতের যাওয়ার আওয়াজ শুনে বাপ ছেলে চোখ খুলে একে অপরের দিকে চাইলো। তারপর ফিক করে হেঁসে দিলো। মারওয়ান গেট আটকিয়ে এসে নিজের ফোনের বিকাশ একাউন্ট চেক করলো। পাঁচ হাজার টাকা আছে। হয়ে যাবে বাপ, ছেলের আজকের খাওয়া। ছেলেকে রেডি করিয়ে নিজে তৈরি হলো। তারপর নাহওয়ানকে কোলে নিয়ে দরজা আটকে বাপ, ছেলে নিজেদের গন্তব্যে রওনা হলো।
এলাকার মধ্যে হাবিব ভাইয়ের পরোটা ভাজি বিখ্যাত। হোটেলে ঢুকে চারটে পরোটা, ডিম ও গরুর কলিজা ভুনা অর্ডার দিলো মারওয়ান। সাথে একটা বুটের ডালও অর্ডার করলো। নাহওয়ান বাবার কোলে বসে এপাশ ওপাশ চেয়ে দেখছে। একটুপর সবকিছু চলে আসলে মারওয়ান ছেলেকে ডিম দিয়ে পরোটা খাইয়ে দিতে লাগলো। নিজেও পাশাপাশি কলিজা ভুনা, বুটের ডালের সংমিশ্রণে পরোটা খেলো। মুখে দেয়ার সাথে সাথে চোখ তৃপ্তিতে মুদে গেলো তার। একটু ঝাল ঝাল লাগছিল যদিও তবে স্বাদের কোনো তুলনা হয়না।
কলিজা থেকে মসলা ছাড়িয়ে ছেলেকে খাইয়ে দিলো। নাহওয়ানও মাথা নাড়িয়ে মজা করে খেতে লাগলো। বাপ ছেলে সকালের নাস্তা ভালোভাবেই শেষ করলো।
হোটেল থেকে বেরিয়ে পার্কের উদ্দেশ্যে হাঁটতে লাগলো মারওয়ান। এই পার্কটা তাদের বাবা, ছেলের ভীষণ পছন্দের। কত সুন্দর প্রকৃতি! পার্কে ঢুকেই মারওয়ান ছেলেকে কোল থেকে নামিয়ে দিলো। নাহওয়ান ছাড়া পেয়ে দৌঁড় দিলো সামনে। তাদের বাপ বেটার জন্য এই জায়গাটা একটা ট্যুরের মতো। চারপাশে সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ। রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, বেলি, শিউলি, অশোক, জারুল ইত্যাদি বিভিন্ন ফুলের গাছে ভরা এই পার্কটি। ছেলেকে নিয়ে প্রায়ই তার আসা হয় এখানে। নাহওয়ান অনেক দূর দৌঁড়ে গেছে। মারওয়ান জোরে ডাক দিয়ে বললো,
“তুই থাক। আমি গেলাম।”
বলেই সে উল্টো ফিরে হাঁটতে লাগলো। নাহওয়ান বাবার কথা শুনে ভয় পেয়ে গেলো। লাফিয়ে লাফিয়ে দৌঁড়ে আসতে লাগলো মারওয়ানের কাছে। মারওয়ান আড়চোখে ছেলেকে লাফিয়ে লাফিয়ে আসতে দেখে আড়ালে হাসলো। নাহওয়ান দৌঁড়ে এসে বাবার পা জড়িয়ে ধরলো। মারওয়ান হেঁসে বললো,
“পেঙ্গুইন একটা।”
ছেলে ভয় পেয়েছে দেখে তাকে কোলে নিয়ে পার্কের বিভিন্ন জায়গা ঘুরলো। তারপর ছেলেকে নিচে নামিয়ে বললো,
“বাবাকে ধর তো ফাইয়াজ।”
বলেই দৌঁড়ে একটু দূরে চলে গেলো। নাহওয়ান হেঁসে দৌঁড় দিলো ধরার জন্য। এভাবে বাপ,ছেলের দৌড়াদৌড়ি, হাসি মজায় সকালটা পার হলো।
দুপুর দেড়টা বাজে। বাপ, ছেলে খাবার খাওয়ার জন্য হাত ধুয়ে বসলো। গরম গরম খিচুড়ি, মুরগি ভুনা অর্ডার দিয়েছিল। চেয়েছিল গরুর গোশত অর্ডার করতে কিন্তু টাকা বেশি খরচ করলে সমস্যা। তাই মুরগিটাই করেছে। ছেলেকে খাইয়ে দিলো। বাচ্চাটা মজা করে খেলো। মারওয়ান জিজ্ঞেস করলো,
“কেমন রে ফাইয়াজ?”
“মুজা মুজা।”
“তোর মায়ের রান্নার চেয়ে মজা না?”
“হু।”
বাচ্চা মানুষ অতকিছু ভেবে বলেনি। মুখে মজা লেগেছে দেখে এটাই মজা লাগছে তার কাছে। নিশাতের রান্নাও দারুন মজার। মারওয়ান স্বীকার করুক আর না করুক মায়ের পর নিশাতের রান্না ছাড়া কারো রান্নাই তার তেমন পছন্দের না। মারওয়ানের চোখে হঠাৎ করেই ক্লান্ত বিধ্বস্ত হয়ে ঘরে ফেরা নিশাতের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠলো। কি মনে করে খিচুড়ি, মুরগি ভুনা পার্সেল করে দিতে বললো।
বাসায় ফিরে বাপ, ছেলে গোসল দিলো। তারপর ঘুমিয়ে পড়লো। যেহেতু সারাদিন বাইরে ছিল তাই ঘুম সহজেই চোখে ধরা দিলো বাবা ছেলের।
নিশাত গোসল করে নামাজ পড়লো। ছেলে ঘুমিয়ে আছে। মারওয়ান দরজা খুলে আবারও ঘুমিয়ে পড়েছে। ভাত খেতে গিয়ে দেখলো একটু ভাতও পাতিল থেকে কমেনি। নিশাত চমকে গিয়ে ভাবলো,
“বাপ বেটা কিছু খায়নি? তার বাচ্চাটা এখনো না খেয়ে আছে?”
সে দ্রুত রুমে গিয়ে তাদের ডাকতে যাবে সেই সময় টেবিলের উপর প্যাকেট দেখে প্যাকেটটা খুললো। ভিতরে খিচুড়ি আর মুরগি ভুনা। নিশাত বুঝলো বাপ, বেটা বাইরে খেয়েছে। তার জন্যও নিয়ে এসেছে আবার। টাকা পেলো কই? নিশাত মারওয়ানকে ঠেলে ডাকলো। মারওয়ান চোখ খুলে বললো,
“কি সমস্যা?”
“এসব যে এনেছেন টাকা পেয়েছেন কোথায়?”
“তোর জানতে হবে? এনেছি খাবি ব্যাস।”
“আশ্চর্য টাকা কোথায় পেলেন জানতে হবে না? যদি হারাম টাকা হয়? এই টাকার খাবার আমি জীবনেও খাবো না। বাবার কাছে তো টাকা চাওয়ার কথা না তাহলে এই টাকা পেলেন কোথায়? চাকরি তো ছেড়ে দিয়েছেন শুনেছিলাম। আরেকটা জুটিয়েছেন নাকি?”
মারওয়ান চোখ বন্ধ করেই বিরক্তিকর শব্দ করলো। বললো,
“ওটা হারাম টাকার কোনো খাবার না। খেতে ইচ্ছে না করলে রেখে দে।”
নিশাত ভেবে পেলো না কি বলবে। রেখে দিয়ে নিজের রান্না করা ভাতই বেড়ে খেতে বসলো সে। নিশাতের সন্দেহ হচ্ছে টাকা পেলো কোথায় এই ভাদাইম্মা? তাকে না জানিয়ে কি কাজ করছে যে বলছে না? নিশাত আর না ভেবে নিজের খাবার শেষ করলো।
ভবঘুরে সমরাঙ্গন পর্ব ৯
রাত দশটা। মারওয়ান বাইরে থেকে এসে দেখলো নাহওয়ান খেলছে। পুরো শরীর তার ঘামে ভিজে গেছে। শার্ট খুলে ফেললো সে। নাহওয়ান বাবাকে উদোম দেখে বললো,
“বাবা নাঙ্গা কেনু? ”
মারওয়ান গরমে ত্যক্ত হয়ে বললো,
“নাঙ্গা থাকার শখ জেগেছে তাই। আয় তোকেও নাঙ্গা করে দেই।”
বলেই ছেলের দিকে এগিয়ে আসতে নিলো। নাহওয়ান দৌঁড় দিয়ে মায়ের কাছে যেতে যেতে বললো,
“ইন না। টওবা, টওবা।”