ভবঘুরে সমরাঙ্গন পর্ব ৪
তাজরীন ফাতিহা
দুপর দুটো বাজে। এ সময় সকলে ভাত ঘুম দিয়ে একটু বিশ্রাম নেয়ার তাগিদে থাকে। নিশাত ক্লান্ত পায়ে বাসায় ঢুকলো। মারওয়ান দরজা খুলে চেঁচামেচি করলেও অন্যান্য দিনের মতো নিশাত প্রতিউত্তর করেনি। নির্জীবের মতো ঘরে ঢুকে বোরকা খুলে বিছানায় বসেছে। নাহওয়ান মাকে দেখেই কোলে ঝাঁপিয়ে পড়লো। বাচ্চাটা মায়ের জন্য সবসময় অপেক্ষা করে থাকে। মা কখন ঘরে ঢুকবে আর মাকে নিয়ে একসাথে বসে ভাত খাবে।
নিশাত ছেলেকে কিছুক্ষণ আদর করলো। মারওয়ান ভ্রু কুঁচকে মা, ছেলেকে দেখছে। মনে মনে ভাবছে, তার দিকে আজকে তাকালোও না ঘটনা কি?
নাহওয়ান মাকে বললো,
“মা, তক্কেট আনচো?”
নিশাত ছেলেকে কোলের মধ্যে নিয়ে আদর করে বললো,
“মনে ছিল না বাবা। কালকে আনবো ঠিক আছে?”
নাহওয়ান মাথা কাত করে সম্মতি জানালো। নিশাত উঠে গোসল সেরে নামাজ পড়ার জন্য জায়নামাজ বিছালো। কোথা থেকে নাহওয়ান টুপি পড়ে ছোট ছোট পায়ে জায়নামাজে দাঁড়ালো। মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে ফোকলা দাঁতে হাসলো। নিশাত ছেলেকে মন ভরে দেখলো। বাচ্চাটা নামাজ পড়তে আসলেই তার পাশে এসে দাঁড়াবে। অবুঝের মতো মা যা করবে তাই করবে। মা যখন সূরা পড়ার জন্য ঠোঁট নাড়ায় তখন সে এমনিতেই অনবরত ঠোঁট নাড়াতে থাকে। কি যে সুন্দর সেই মুহূর্ত!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নিশাত মনে মনে খুব করে দোয়া করে তার সন্তান যেন আল্লাহর প্রিয় বান্দা রূপে এই পৃথিবীতে পদচারণা করতে পারে। বাবার সঙ্গ পেয়ে যেন বিগড়ে না যায়। এমনিতেই বেশিরভাগ সময় বাবার কাছেই থাকে বাচ্চাটা। তাই প্রায়ই তার সংশয় জাগে বাচ্চাটা বাপের মতো আল্লাহ বিমুখ না হয়। মারওয়ান যদিও আল্লাহকে অবিশ্বাস করে না কিন্তু ইসলামের আদেশ, হুকুম আহকাম তো মানে না। এটাই নিশাতকে বড় চিন্তিত আর ভয়ে ফেলে দেয়। কত ভয়ংকর কথা ফরজ নামাজ দিনের পর দিন এই লোক মিস করে যাচ্ছে। নিশাত আল্লাহর কাছে স্বামীর হেদায়েত কামনা করে।
আর কিছু না ভেবে নামাজে দাঁড়িয়ে গেলো সে। বাচ্চাটা ঘাড় ঘুরিয়ে মাকে বুকে হাত বাঁধতে দেখে নিজেও বুকে হাত বাঁধলো। তারপর একটু পর আবারও ঘাড় ঘুরিয়ে মায়ের দিকে তাকায় হাত ছেড়েছে কিনা দেখতে। নিশাত রুকু তে গেলে নাহওয়ানও রুকু তে গেলো। নিশাত সিজদা দিতে গিয়ে ছেলেকে নিয়েই সিজদা দিলো। মারওয়ান এতক্ষণ মা, ছেলের মুহূর্তটি দেখছিল। তার কাছে খারাপ লাগছে না। প্রায়ই এই মুহূর্তটি সে দেখে। আরাম করেই মা, ছেলের নামাজ দেখে। কিন্তু নিজে নামাজের বেলায় গাফেল। সিগারেট প্যাকেট থেকে বের করে বারান্দায় চলে গেলো সে। নামাজের সামনে আর যাইহোক সিগারেট টানা অনুচিত। এতটুকু বোধ তার আছে।
নামাজ শেষ করে মোনাজাতে অনেক কিছু চাইলো নিশাত। বাচ্চাটাও ছোট ছোট হাত দিয়ে মায়ের সাথে মোনাজাত ধরেছে। নিশাত মোনাজাত শেষ করে ছেলের গায়ে ফুঁ দিলো। তারপর ছেলেকে কোলে নিয়ে জায়নামাজ ভাঁজ করলো। নাহওয়ান মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে মায়ের ঘাড়ে মাথা ফেলে রাখলো। নিশাত ছেলেকে নিয়ে রান্নাঘরে গেলো। ভাত তরকারি দুই প্লেটে বেড়ে নিলো। ঘরে প্লেট দুটো নিয়ে এসে মেঝেতে পাটি বিছালো। নাহওয়ানকে খাইয়ে দিতে চাইলে বাচ্চার বললো,
“বাবা কুই? বাবাল হাতে কাবো?”
নিশাত বললো,
“আজকে মায়ের হাতে খাও পাখি। কালকে বাবার হাতে খেও।”
নাহওয়ান দুই পাশে মাথা নাড়িয়ে না করলো অর্থাৎ সে বাবার হতেই খাবে। নিশাত তাই হতাশ হয়ে বললো,
“যাও বাবাকে ডেকে নিয়ে আসো তাহলে।”
নাহওয়ান মায়ের কোল থেকে নেমে “বাবা, বাবা” ডাকতে ডাকতে দৌঁড়ে বারান্দায় গেলো। মারওয়ান সিগারেটের ধোঁয়া উড়াতে মগ্ন ছিল। ছেলের ডাকে ঘোর থেকে বেরিয়ে সিগারেট ফেলে দিলো। বাচ্চাটা বাবার ঠ্যাং ধরে ঝুলে আছে। আর বলছে,
“বাবা ভাতু কাবে না? মা, আমি ভাতু নিয়ে বসি আচি। তলো তালাতালি।”
মারওয়ান ছেলেকে কোলে নিয়ে ঘরে ঢুকলো। তারপর পাটির দিকে অগ্রসর হতে গিয়ে খেয়াল আসলো সিগারেটের গন্ধ আসছে তার শরীর থেকে। তাই হাত, মুখ ধুয়ে পাটিতে বসলো। আড়চোখে নিশাতের দিকে বার কয়েক চাইলো কিন্তু নিশাত ভুলেও তাকাচ্ছে না। যেন তাকাবে না বলে আজকে পণ করেছে। মারওয়ানের ভ্রু আপনাআপনি কুঁচকে গেলো। সকালে ঝাপটে ধরেছিল দেখে কথা বলছে না নাকি? নাকি অন্য কারণ? ধুরু এসব নটাংকি মেয়েছেলেরই মানায়। যত্তসব নাটক। নাক কুঁচকে রইলো সে। নাহওয়ান বাবার হাঁটুর উপরে বসে ভাত খাচ্ছে। মারওয়ান ভাত খাইয়ে দিচ্ছে আর নিজেও খাচ্ছে।
নিশাত খেয়ে দেয়ে উঠে বিছানায় শুয়ে পড়লো। আজকে তার শরীর বেশি ক্লান্ত। মারওয়ান ছেলের মুখ পরিষ্কার করে দিয়ে প্লেট ধুয়ে রাখলো। ছেলেকে নিয়ে বিছানায় এসে দেখলো নিশাত আগে থেকেই শুয়ে আছে। নাহওয়ান মাকে শুয়ে থাকতে দেখে লাফ দিয়ে বাবার কোল থেকে নেমে মায়ের কাছে গেলো। দেখলো মা চোখ বন্ধ করে আছে। নাহওয়ান তার ছোট ছোট হাত দিয়ে মায়ের বুকের উপর উঠলো। নিশাত চোখ খুলে তার মানিককে বুকের উপরে দেখে একটু হাসলো। তারপর ঝাপটে ধরে বললো,
“আব্বা একটু ঘুমান। মাকে জ্বালাবেন না। মা ভীষণ ক্লান্ত।”
মারওয়ান এখনো কপাল কুঁচকে নিশাতের দিকে তাকিয়ে আছে। এর হয়েছে কি? সে নিজে আগ বেরিয়ে জীবনেও জিজ্ঞেস করবে না কি হয়েছে? এটা তার স্বভাব বিরুদ্ধ। যা মন চায় হোক। তার কি? মারওয়ান অন্য পাশে শোয়ার জন্য বিছানায় যেই উঠতে নিলো অমনি নিশাত বললো,
“পুরুষ মানুষ দেখেছি কিন্তু এরকম আকাইম্মা, ভাদাইম্মা কাপুরুষ দেখি নি। এর মধ্যে আল্লাহ লাজ লজ্জার ছিটেফোঁটাও দেয়নি।”
মারওয়ান রাগে কিড়মিড় করতে লাগলো। সে কোনো কথা বললো না। বাচ্চার ঘুমের অপেক্ষা করতে লাগলো। নাহওয়ান যেই ঘুমালো অমনি নিশাতকে টেনে বিছানায় বসালো। নিশাতের মাত্রই চোখটা লেগে এসেছিল। হঠাৎ আক্রমণে তব্দা খেয়ে গেলো। চোখের সামনে মারওয়ানকে খিটখিটে নজরে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললো,
“সমস্যা কি? এরকম কেউ করে? আমাকে মানুষ মনে করেন না নাকি? ঘুমন্ত মানুষটাকে এরকম টেনে বসানোর কারণ কি? আল্লাহ কি আপনাকে আক্কেল বুদ্ধিও দেয়নি।”
মারওয়ান খিটমিট করতে করতে বললো,
“একটু আগে কি বলছিলি? আমি আকাইম্মা, ভাদাইম্মা, লাজহীন পুরুষ? কি করেছি যে এসব বললি? আমি কাজ করি না? আর পুরুষের কখনো লাজ শরম থাকতে নেই ওটা মেয়ে মানুষের ভূষণ। তাহলে এসব কথা আমাকে বললি কোন সাহসে?”
“বেশ করেছি বলেছি। আরও বলবো। আপনাকে আমার কলিগরা যেখানে সেখানে বিড়ি টানতে দেখে। একবার বলেছি না আমার স্কুলের ত্রিসীমানায় আপনি পা রাখবেন না। দরকার হলে দূরে গিয়ে আপনি বিড়ি কিনুন নাহয় ‘গু’ কিনুন ওটা আমার দেখার বিষয় না। কিন্তু আমার মান সম্মান নষ্ট করার কোনো রাইটস্ আপনার নেই।”
মারওয়ান বললো,
“কালকে থেকে তোর ওই কলিগের সামনে যেয়ে সিগারেট টেনে আসবো। কে কি করলো তা দিয়ে তোর ওই কলিগের কি? তোর কলিগ কি আমায় খাওয়ায় না পড়ায়। ফাত্রা মহিলা। তুই যেমন ফাত্রা তোর কলিগও তেমন। নিজের টাকায় বিড়ি কিনি। ওই কুটনি কিনে দেয় নাকি?
নিশাত চোখ মুখ লাল করে বললো,
“লজ্জা করে না আপনার? আবার বলছেন নিজের টাকায় বিড়ি কিনি ওনার কি? মানুষের তো ন্যূনতম লাজ লজ্জা থাকে আপনার সেটাও নেই। আবার বড় গলায় বলছে এসব। আপনি নিজেই তো ফাত্রা নাম্বার ওয়ান। যত্তসব!”
এইটুকু বলেই নিশাত শুয়ে পড়লো। এদিকে মারওয়ান দাঁত খিঁচে নিশাতের দিকে কটমট নজরে তাকিয়ে আছে। এই চাহুনি বলে দিচ্ছে সামনে ভয়াবহ অশনি সংকেত।
নিশাতের ঘুম ভাঙ্গলো মাগরিবের একটু আগে। তাও আবার ফোনের শব্দে। স্ক্রিনে জ্বল জ্বল করে জ্বলে উঠেছে “আব্বা” নামটা। নিশাত চট করে উঠে ফোন কানে নিয়ে বললো,
“আসসালামু আলাইকুম আব্বা। কেমন আছেন?”
ওপাশ থেকে মাহাবুব আলম হেঁসে বললেন,
“আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছিরে মা। তোমার গলা এমন শোনাচ্ছে কেন মা?”
“এইতো আব্বা একটু ঘুমিয়ে ছিলাম। তাই এমন শোনাচ্ছে মনে হয়।”
“ও তাই বলো। ওই বেয়াদব টা কোথায় রে?”
“জানি না আব্বা। কোথাও বেড়িয়েছে বোধহয়। আমাকে বলে আপনার ছেলে কখনো বের হয়?”
“এই বেয়াদবটাকে নিয়ে আর পারিনা। আমার পরিবার, বংশে এমন একটা নমুনাও নেই। এই নমুনা কোথা থেকে যে হলো আল্লাহ জানেন।”
নিশাত বললো,
“থাক আব্বা। এসব নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। সে কোনোদিনও শোধরাবে না। এক আল্লাহ ছাড়া তাকে কেউ শোধরাতেও পারবে না। আম্মা, বাড়ির সবাই কেমন আছেন?”
“আলহামদুলিল্লাহ সবাই ভালোই আছে। শুধু তোমার শাশুড়ি ছেলের শোকে মাঝে মধ্যে বেঁহুশ হয়ে পড়ে থাকে।”
“আম্মার খেয়াল রাখবেন আব্বা। বুড়ো বয়সে বেশি চাপ দিলে উনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন। নিজেরও যত্ন নিয়েন।”
“ইংশাআল্লাহ নিবো মা। আমার দাদু ভাই কই?”
“ঘুমোচ্ছে আব্বা।”
“ওহ। একটু কথা বলতে ইচ্ছে করছিল নাতিটার সাথে। তোমার আম্মা খালি নাতির সাথে কথা বলবেন বলে মুখিয়ে থাকেন। কি আদর আদর চেহারা আমার দাদু ভাইয়ের। মাশাআল্লাহ নজর না লাগুক।”
নিশাত ফোন কানে নিয়েই ঘুমন্ত ছেলের আদুরে বদনে চুমু একে দিলো। বাচ্চাটার মায়ের আদরে ঘুম ভেঙে গেলো। নাহওয়ান মোড়ামোড়ি করে চোখ ডলে নিলো। নিশাত তা দেখে বললো,
“বাবা দাদুর সাথে কথা বলবে?”
নাহওয়ান চোখ ডলে সম্মতি জানালো। নিশাত ফোন ছেলের কানে দিয়ে বললো,
“দাদুকে সালাম দাও।”
“আচচালামু আলায়কুম।”
ওপাশ থেকে মাহবুব আলম বলে উঠলেন,
“ওয়ালাইকুমুস সালাম দাদু ভাই। কেমন আছেন আপনি?”
“ভালু।”
নিশাত বললো,
“তুমি জিজ্ঞেস করো দাদু কেমন আছেন?”
নাহওয়ান বললো,
“ডাডু কেমুন আচেন?”
“ভালোরে দাদু ভাই। দাদুর কাছে কবে আসবেন ভাই?”
নিশাত শিখিয়ে দিলো,
“বলো শীগ্রই।”
বাচ্চাটা মাকে অনুকরণ করে বললো,
“শিগলি।”
“ভাত খেয়েছেন ভাই?”
“কেয়েচি।”
“দাদুমণির সাথে কথা বলবেন?”
“বনবো।”
ফোন কানে নিলেন মায়মুনা বেগম। কানে নিয়েই বললেন,
“আমার নাতি কেমন আছে?”
“ভালু আচি। টুমি কেমুন আচো?”
নিশাত ফোনের ওপাশে সব শিখিয়ে দিচ্ছে বাচ্চাটাকে। বাচ্চাটা সেসবই অনুকরণ করে বলছে। মায়মুনা বেগম বললেন,
“আল্লাহ ভালো রেখেছেন ভাই। আপনার আব্বা কই ভাই?”
“বাবা নাই। বাইলে গেচে।”
এরকম আরও নানা কথা চললো দাদা, দাদি আর নাতির মধ্যে। বেশিরভাগই নিশাত শিখিয়ে দিয়েছে। এভাবেই সন্ধ্যাটা পার হলো তাদের।
মারওয়ান বাসায় ঢুকেই ছেলেকে নিয়ে কোথায় যেন বের হয়েছে। নিশাত জিজ্ঞেস করলেও কোনো উত্তর পায়নি। মারওয়ান ছেলেকে কোলে নিয়ে একটা জামাকাপড়ের দোকানে ঢুকলো। ছেলেকে দুটো শার্ট আর একটা প্যান্ট কিনে দিলো। রাতে এখানে দাম কিছুটা সস্তা থাকে। তাই কিনে নিলো মারওয়ান। ছেলের জন্য একজোড়া জুতাও কিনলো। নাহওয়ান খুশিতে হাত তালি দিতে থাকলো। সব কিছু কিনে বাসায় গেলো দুই বাপ, বেটা। নিশাত ছেলেকে নতুন জামা পড়নে দেখে বুঝলো মারওয়ান কিনে দিয়েছে। তাই আর জিজ্ঞেস করলো না কিছু। কিন্তু কথা হলো টাকা কোথায় পেয়েছে?
নাহওয়ান নতুন জামা পড়ে মাকে ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছে। একটু পর পর ছোট ছোট পায়ে দৌঁড়ে বাবার কাছে যাচ্ছে একবার, আবার মায়ের কাছে আসছে একবার। নিশাত ছেলেকে আদর দিয়ে রান্নাঘরে সবকিছু ধুয়ে মুছে রাখছে। সব কিছু গুছিয়ে রুমে এসে বিছানায় বসতেই দেখলো পাকেটে কি যেন একটা। প্যাকেট খুলে দেখলো একটা হিজাব, নিকাব আর একজোড়া ইমিটেশনের চুড়ি। এসবের নিচে একখানা চিঠিও আছে। ভাঁজ খুলে দেখলো সেখানে লিখা,
“বিড়ির টাকা জমিয়ে এসব কিনেছি। তোর কলিগকে এসব দেখাবি। দেখিয়ে বলবি আমার হাজব্যান্ড আমার যথেষ্ট কেয়ার করে। আপনার আমাদের স্বামী স্ত্রীর বিষয়ে নাক না গলালেও চলবে। ফালতু মহিলা।”
নিশাত মুখ ভেংচে বললো,
ভবঘুরে সমরাঙ্গন পর্ব ৩
“কলিগকে দেখানোর জন্য বিড়ি’খোরটা এসব এনেছে। তাও বিড়ির টাকায়। আহা কত স্যাক্রিফাইস করলো! তাই তো বলি ওই খাম্বা আমার জন্য আনবে জিনিস? পুরাই হাস্যকর।”