ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ১১

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ১১
সাইয়্যারা খান

হঠাৎ হঠাৎ পা ব্যাখা উঠে আদ্রিয়ানের। আজকেও অনেকদিন পর ব্যাথা অনুভব হতেই উঠে একটা পেইন কিলার নিলো ড্রয়ার থেকে ওমনিই ঝড়ের বেগে এগে হামলে পরলো রোদ। হাত থেকে মেডিসিনের পাতা টেনে নিয়ে পাশে রেখে আদ্রিয়ানের হাত ধরে টানাটানি করলো কিন্তু এত শক্তপোক্ত আদ্রিয়ানকে কি আর রোদ টানতে পারে? উহু একটুও না তাই রোদ একটু রেগে বললো,

— ওই আপনি নড়েন না ক্যান হ্যাঁ? শালায় দিনটাই খারাপ আজ। কার মুখ দেইখা যে উঠসি আল্লাহ মালুম।
রোদের পরিবারের সবাই নরমালি কথা বলে কিন্তু দুই এক সময় হুট হাট করে আবার পুরান ঢাকার দুই একটা বুলিও বলে ফেলে। রেগে গেলে তখন আবার বেশিই বলপ ফেলে।একটু আগেই আদ্রিয়ানের পায়ের ব্যাথা শুনে রোদ বলেছিলো,
— আসুন টিপে দি।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

কিন্তু না আদ্রিয়ান শুনে নি। রেস্ট নিবে বলেছে তাই রোদও রুমের লাইট অফ করে দরজা ভিরিয়ে বাইরে চলে যায় বাচ্চাদের কাছে। হঠাৎ এতক্ষণ পর রুমে আসতেই দেখলো আদ্রিয়ান পেইন কিলার নিচ্ছে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অল্প কারণে বা ব্যাথায় পেইন কিলার সেবন করা ক্ষতিকর। এটা ধীরে ধীরে আমাদের ইমিউনিটি দূর্বল করে ফেলে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে আনে তখন আপনার অল্প ব্যাথা হলেও তা নিজে নিজে সারবে না ঔষধ লাগবে। এছাড়াও আরো সাইড এফেক্ট আছে। কিডনির ওপর প্রেশার পরে এতে।

এসব কথা আদ্রিয়ানকে শুনিয়ে দশ মিনিট ভাষণ দিলো রোদ। আদ্রিয়ান তখনও ঠাই দাঁড়িয়ে। রোদ আরেকবার টান দিতেই আদ্রিয়ান ব্যাথা যুক্ত পা ফেলে বেডে বসলো ওমনিই রোদ ধাক্কা দিয়ে শুয়িয়ে দিয়ে ঠেলতে ঠেলতে বললো,
— উল্টো হয়ে শোন।

আদেশ পালনে আর দেড়ী করলো না আদ্রিয়ান। বউ রেগে আছে ভীষণ। রোদ উঠে দাঁড়িয়ে গেল বেডে। আস্তে করে এক পা রাখলো আদ্রিয়ানের এক পায়ে পরপর ব্যালেন্স করতে আরেক পা দিলো অন্য পায়ে। আদ্রিয়ান চমকে মাথা উঁচু করে কিছু বলতে গিয়েও বললো না। বালিশে মুখ গুজে রইলো। রোদ আগ পিছ করে পারা দিতে দিতে বললো,

— আব্বুর তো প্রায় প্রায় এমন পা আর পিঠ ব্যাথা হতো তখন আমাকে বলতো, “আম্মাজান আপনার রুগীর সেবা দরকার”। ব্যাস কে আর ঠেকায় আমাকে পুরো দুই পা সহ পিঠ পারিয়ে দিতাম। আসলে হাত দিয়ে টিপলেও কাজ হতো না। কিন্তু বড় হওয়ার পর আর বলে নি। রুদ্রকে দিয়ে পারাতো মাঝে মধ্যে আবার রুদ্র ঝারি ও খেত জোরে পারিয়ে দেয়াতে।
রোদ একমনে কথা গুলো বলতে বলতে আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে আবার নিজের কাজে মনোযোগ দিলো। আদ্রিয়ান মনোযোগ দিয়ে শুনলো রোদের সব কথা। ব্যাথায় টিকতে না পেরেই আজ মেডিসিন নিতে চাচ্ছিলো কিন্তু এখন মনে হচ্ছে মেডিসিন না নিয়েই ভালো হ’য়েছে। মেডিসিনের থেকে বেশি আরাম পাচ্ছে রোদের সেবায়। এরমধ্যেই রোদ জিজ্ঞেস করলো,

— পিঠেও দিব।
— উহু।
রোদ আর কথা বাড়ালো না। বেশ কিছু সময় পর খেয়াল করলো আদ্রিয়ানের ঘন ঘন নিশ্বাস পড়ছে। তাই আস্তে করে পা থেকে নেমে পড়লো। রোদ ও হালকা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। আদ্রিয়ানের পায়ের কাছে বসে এক পা নিজের কোলে তুলে আঙুল গুলো টেনে দিতে লাগলো। একমনে নজর দিলো আদ্রিয়ানের পায়ের লম্বা লম্বা আঙুলে। ফর্সা পায়ের আঙুলে কালো কালো ছোট ছোট লোম গুলো যেন বেশ গুছিয়ে আকর্ষণীয় করে তুলেছে আদ্রিয়ানের পা। মুহূর্তেই রোদের মনে জাগ্রত হলো নিষিদ্ধ কিছু ইচ্ছে। মন চাইলো এই আঙুলে চুমু খেতে। একটু নেড়েচেড়ে দেখতে।

হঠাৎ দরজায় কারো আওয়াজে ধ্যান ভাঙলো রোদের। কি সব ভাবছিলো এতক্ষণ রোদ? ভাবতেই নাক, গাল গরম হয়ে উঠলো। কি একটা অবস্থা? এই ঘুমন্ত আদ্রিয়ানের পা কি না রোদকে সিডিউস করছে? লজ্জায় একবার বুড়িগঙ্গায় ডুব দিতে মন চাইলো রোদের কিন্তু এতো ময়লা পানিতে ডুব দেওয়া যাবে না ভাবতেই মিশি দৌড়ে রুমে ডুকলো।

আদ্রিয়ান চোখ খুলতেই নজরে এলো বুকের উপর বসে থাকা মিশির দিকে। একটু হেসে মেয়েকে বুকে নিয়ে উঠে বসতেই টান লাগলো। খেয়ালে এলো রোদের কোলে ওর পা। ঝট করে পা সরিয়ে নিতেই রোদ বললো,
— আজব কি হয়েছে?

আদ্রিয়ান কিছু বলার আগেই খেয়াল করলো মিশানও রুমের কাউচে হেলান দিয়ে ফোন টিপছে। অবাক হয়ে তাকালো আদ্রিয়ান। গত দুই দিনে মিশান এই রুমে ডুকে নি। আজও দরজা থেকেই চলে গিয়েছিলো। মিশানের সঙ্কোচ বুঝতো আদ্রিয়ান তাই জোর করে নি কোন কিছুর জন্য। আজকে এতটা স্বাভাবিক দেখে নিজের মনে কতটা শান্তি পাচ্ছে বলে বুঝতে অক্ষম আদ্রিয়ান।
আদ্রিয়ান উঠে ফ্রেশ হয়ে এলো।ওমনিই মিশি বাবার কোলে উঠে পড়লো। চুমু খেল গালে, ঠোঁটে। আদ্রিয়ান নিজেও পাল্টা চুমু খেয়ে বললো,

— আমার মা এত আদর দিচ্ছে কেন?
মিশি কুট্টি কুট্টি দাঁত বের করে হেসে বললো,
— বাবাই ঘুরতে যাব।
— কোথায় যাবে আমার মা?
মিশি তো জানে না কোথায় যাবে? মূলত তাকে ভাই শিখিয়ে দিয়েছে বাবাকে বলতে যে ঘুরতে যাবে কিন্তু কোথায় যাবে তা তো বলে নি। তাই অবুঝ গলায় মিশি মিশানের দিকে তাকিয়ে বললো,

— ভাই বলো বাবাইকে।
মিশান গেল চমকে। এত ট্রেনিং দিলো তবুও এই বোন ফাঁসিয়ে দিলো ওকে। রোদ হেসে দিতেই মিশান অসহায় চাহনি দিলো। আদ্রিয়ান কিছুটা আন্দাজ করে বললো,
— মিশান কি হয়েছে?
— না তো বাবা কিছু না।
রোদ মাঝখান থেকে বললো,

— আরে ভয় কিসের। নিজের বাবা মানেই সরকারি মাল যা খুশি বলবা। ওহ তুমি তো বাচ্চা মানুষ দাঁড়াও আমি বলছি।
বলেই আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে বললো,
— শুনুন ছোট মানুষ একটা রেস্ট্রুরেন্ট দেখেছে এফ বিতে। এটা মূলত কিছুটা রিসোর্ট ও। নতুন খুলেছে। তাই যেতে চাচ্ছে কিন্তু আপনি নাকি রাতে এলাও করেন না তাই ছোট মানুষ ভয় পাচ্ছে।
মিশান রেগে টেগে বললো,

— তুমি এক লাইনে কয়বার আমাকে ছোট মানুষ ডাকো?
— যতবার মনে পরে ছোট মানুষ।
বলেই দাঁত বের করে হাসলো।মিশান মুখ ঘুরিয়ে বসে রইলো। রোদও ওয়াসরুমে ডুকে পড়লো। আদ্রিয়ান আর মিশি একে অপরের দিকে তাকিয়ে এদের হুদামার্কা ঝগরা দেখে হেসে উঠলো। মিশান আড় চোখ করে তাকিয়ে বললো,

— বাবা হাসবা না।
— কই হাসলাম।
বলেই হেসে দিলো আদ্রিয়ান। কাউচে হেলে বসে বললো,
— নিয়ে যাব। কেউ কি যাবে?
মিশান খুশি হয়ে ঘুরে বসে বাবাকে জড়িয়ে ধরলো। মিশিও খুশি হয়ে গেল। আদ্রিয়ান ছেলেকে বুক জড়িয়ে ধরে বললো,
— বাবাকে কিছু বলতে ভয় কিসের হুম?
— ভয় না ভেবেছিলাম তুমি না করে দিবে।
রোদ ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে একপলক ওদের দিকে তাকিয়ে নিচে চলে গেল। একটু পরই হাতে কফি আর হালকা খাবার নিয়ে রুমে ডুকে টেবিলে রেখে ওদের দিলো। আদ্রিয়ান কফি নিতে নিতে বললো,

— মিশি খেয়েছে?
— হুম।
বলে আবার মিশনের হাতে কফি দিলো। আদ্রিয়ান খাওয়া শেষ হতেই বললো,
— রাতে ডিনার বাইরে করব আমরা।
রোদ ভেবেছে হয়তো মিশানকে বলেছে তাই কোন উত্তর দেয় নি। আদ্রিয়ান ওর সাড়া না পেয়ে ডাকলো,
— রোদ?
বারান্দা থেকে রোদ উত্তর দিলো,

— কি হয়েছে?
— কিছু বললাম না আমি?
রোদ রুমে ডুকে বললো,
— কি বললেন?
— আজ রাতে বাইরে যাব।
— আচ্ছা যান। পারমিশনের কি আছে?
মিশান ফিক করে হেসে দিলো। আদ্রিয়ান একটু অসহায়ের মতো করে বললো,

— আমি একা যাব না রোদ। আমরা চার জনই যাব।
— আমি যাব না। এটা একটু দূরে। বমি হবে রাস্তায়। আপনারা যান।
আদ্রিয়ান কি করবে ভাবতেই মিশান উঠে রোদের হাত ধরে বাচ্চাদের মতো বায়না ধরে বললো,
— প্লিজ না করো না। জানো ওখানে গেমস জোন ও আছে। প্লিজ প্লিজ।
রোদ মিশানের এমন বায়না আর ফেলতে পারলো না।

রোদ মিশিকে রেডি করিয়ে নিজেও রেডি হতে লাগলো। হাটু সমান লং একটা জিন্সের ড্রেস সাথে জিন্সের প্যান্ট মাথায় কালো হিজাব, হাতে স্মার্ট ওয়াচ। সাজ বলতে হালকা বেসিক কিছু এই যা। আদ্রিয়ান ও ব্লাক একটা সার্ট পড়েছে। ফর্সা শরীরে যথেষ্ট মানানসই। কুনুই পর্যন্ত ফোল্ড করায় হাতের লোম গুলো খুব আকৃষ্ট করলো রোদকে। ধরতে মন চাইলো। নিজেকে ধমকালো রোদ। এমন বেহায়া তো সে কোনদিন ও ছিলো না। ভাইরা আজ ইয়াজ বাদে জীবনে কোন ছেলের কাছেও ঘেঁষে নি রোদ। এই আদ্রিয়ানের প্রতি দিন কে দিন কেমন সব অনুভূতি জন্মাছে ওর। একদম অগোছালো। দুষ্ট অনুভূতি। জ্বালাতন করা অনুভূতি।

হাতে ফোন নিয়ে মিশির হাত ধরে বের হলো আদ্রিয়ান। রোদ আগেই বের হয়ে মিশানকে তাড়া দিতে গিয়েছে। মিশানের রুমে যেতেই নজরে এলো মিষ্টি এক দৃশ্য। রোদ মিশানের চুল স্যাট করে দিচ্ছে। চুল গুছিয়ে দিয়েই রোদ বললো,
— এবার দেখ।
মিশানেরও অনেক পছন্দ হলো। রোদ মাথা নেড়ে বললো,
— আমার ছোট ভাইকেও আমি চুল স্যাট করে দিতাম। ওর ও অনেক ভালো লাগে আমার স্টাইল।
চারজন মিলে বেরিয়ে গেল। গাড়ীতে সামনে বসলো আদ্রিয়ান পাশেই মিশান। মিশিকে নিয়ে রোদ পেছনে বসেছে। আধ ঘন্টা যেতেই হাসফাস করতে লাগলো রোদ। এতক্ষণ মিশি আর মিশানের সাথে খোঁচা খোঁচি করলেও এখন একদম চুপ করে বসে আছে। একটু পর শুধু বললো,

— জানালা গুলো খুলে দিন।
আদ্রিয়ান তারাতাড়ি জানালা খুলে দিলো। মিশান অস্থির হয়ে বললো,
— তোমার কি খারাপ লাগছে?
— উহু একটু অস্থির লাগছে।
— আর একটু। এসে পরেছি আর একটু।
গাড়ী থামতেই সবার আগে বের হলো রোদ। মিশান বের হয়ে পানির বোতল দিতেই রোদ কুলি করে নিলো। মিশিকে কোলে নিয়ে আদ্রিয়ান এসে রোদের গালে হাত দিয়ে বললো,

— বেশি খারাপ লাগছে?
— এখন ঠিক আছে।
চারজনেই ভেতরে ডুকে পড়লো। সুন্দর করে গোছানো জায়গা৷ বাচ্চাদের জন্য বেস্ট বলা চলে। সবার আগেই রোদ গেমস জোনে ডুকে পড়লো। মিশান আর মিশি থেকে রোদই বেশি এক্সাইটেড। কে বলবে একটু আগেই এই মেয়ে ছটফট করছিলো? এখন একদম লাফিয়ে কুদিয়ে খেলছে। চারজনের রেসিং গেমে টেনে আদ্রিয়ানকেও নিয়ে এলো। জাম্পিং জোনে কতক্ষণ লাফালো তিনজন। আদ্রিয়ান বাইরে থেকে তাকিয়ে রইলো। তিনজনের সম্পর্ক যেভাবেই হোক সম্পর্কটা মা, মেয়ে, ছেলের। কে বলবে এরা সল্প পরিচিত? সব সম্পর্ক নাড়ির হতে হয় না কিছুটা আত্মার ও হয় যেমনটা রোদের সাথে আদ্রিয়ান সহ ওর বাচ্চাদের।

খেয়ে দেয়ে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করলো ওরা। এতকিছুর পরও রাস্তায় রোদের কটন ক্যান্ডি খেতে মন চাইলো। মিশান এগিয়ে গিয়ে নিয়ে এলো। তাও আবার একা খাবে না এই মেয়ে। ছিড়ে ছিড়ে চারজনের মুখে পুরে দিচ্ছে। সামনেই বসুন্ধরা তাই আদ্রিয়ান ওদের নিয়ে মলে ডুকলো। রোদের জন্য এ পর্যন্ত কিছু কেনা হয় নি। তাই ভাবলো কিছু কিনে দিবে। রোদ না করলেও শুনে নি আদ্রিয়ান।

ঘুরে ফিরে ওই ওভার সাইজ টিশার্ট আর প্যান্ট ই নিয়েছে রোদ। বাসায় তো এগুলোই পরে তবুও আদ্রিয়ান জোর করে এটা ওটা সহ অন্য কিছু ও নিলো। রোদ সুযোগে আবার মিশান আর মিশির জন্য কিছু নিলো।
সব মিলিয়ে বাসায় এলো ওরা রাত ১২ টায়। ক্লান্ত সবাই যার যার রুমে ডুকে পড়লো। মিশি তো সেই কখন থেকেই আদ্রিয়ানের কোলে ঘুম। রুমে ডুকেই রোদ ঘুমন্ত মিশির ড্রেস চেঞ্জ করে দিলো। নিজেও ফ্রেশ হয়ে গা এলিয়ে দিলো। একবার আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে বললো,

— পা কি এখনও ব্যাথা আছে?
আদ্রিয়ান দুষ্ট হেসে বললো,
— বউয়ের এমন সেবায় পা ব্যাথা কি আর থাকে?

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ১০

বউ বলে সম্মোধন বরাবরই লজ্জায় ফেলে রোদকে। অনুভূতি জাগায় ছোট্ট মনে। কেমন সব হযবরল ভাবনা হানা দেয় মস্তিষ্কে। লাইফের প্রথম সব কিছুর প্রতিই মানুষের চাহিদা, এক্সাইটেটমেন্ট, আবেগ বা প্রগাঢ়তা বেশি থাকে। রোদেরও ঠিক তাই। আদ্রিয়ান জনিত সকল বিষয়ই ইদানীং কেমন কেমন লাগে। বুঝে না রোদ আদ্রিয়ানের কি এমন লাগে না? কই আদ্রিয়ান তো কখনও কাছে আসে না। অস্থির অস্থির হয় না।

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ১২