মম চিত্তে শেষ পর্ব 

মম চিত্তে শেষ পর্ব 
সাহেদা আক্তার

দুপুরে খেতে বসে ফেরদৌসী বললেন, এগুলো কে রান্না করেছে। মম করেছে তো মনে হচ্ছে না। মৌনী বলল, আমি আন্টি। সারারাত তো কষ্ট করল ও। আপনার কাছে ছিল। তাই ভাবলাম আমি রান্না করি। ফেরদৌসী মমর দিকে তাকাল। মম চুপচাপ খেয়ে চলছে কোনোদিকে না তাকিয়ে। সবার আগে খেয়ে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল ও। কয়েকবার কয়েকজন ডাকতে এলেও সবাইকে বলল, শরীর ভালো লাগছে না। তাই পরে আর কেউ বিরক্ত করতে এল না।

সন্ধ্যা নামতেই রিয়ানকে রুমে দেখে খানিকটা অবাক হলো মম। বলল, তুমি এ সময়ে? রিয়ান কোট খুলে এসে ওর পাশে বসে কপালে শরীরে হাত দিয়ে বলল, তোমার নাকি শরীর খারাপ!? তাই তাড়াতাড়ি চলে এলাম। মম বলল, তেমন কিছু না। আচ্ছা মৌনীকে রান্নার কথা কে বলেছে? রিয়ান বলল, গতকালকে আসার পর আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল রান্নার কথা। আমরা যে কথা বলছিলাম। তাই জানতে চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম। তখন জিজ্ঞেস করল কি কি রান্না করতে হবে। আমিও বলে দিলাম। কেন? কি হয়েছে?
– ও সব রান্না করেছে আজ।
– তাহলে তো ভালোই। তোমার উপর চাপ পড়েনি।
– মোটেই ভালো না। আম্মু আমার রান্না খেতে চেয়েছিলেন। আমি খাওয়াতে পারিনি। নিশ্চয়ই রাগ করে আছেন অনেক।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

মমর চোখে পানি। রিয়ান ওকে বুকে টেনে বলল, আরে ধুর পাগলি। মেয়ের উপর মা কখনো রাগ করে? আম্মু রাগ করেনি। মম মুখ গুঁজে রইল। একটু পর সরে এসে বলল, আমি একটু শুবো। তুমি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে এসো।
– তুমি যাবে না?
– আমার ইচ্ছে করছে না। প্লিজ যাও।

মম শুয়ে পড়ল। ওকে আর ঘাটালো না রিয়ান। ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে এল। নিচে সবাই মৌনীর রান্নার প্রসংশা করছে। রিতু ওকে টেনে সোফায় বসাতে যাচ্ছিল। রিয়ান মানা করে বলল, আমি উপরে চলে যাবো নাস্তা নিয়ে। ফুলি আমাকে নাস্তা দে। মৌনী হাত ধরে টানতে টানতে বলল, চলো না জামাইবাবু একসাথে নাস্তা করবো সবাই। রিয়ান খানিকটা গরম হয়ে বলল, তোমার বোন অসুস্থ তার খবর না নিয়ে তুমি আমাকে নাস্তা করতে টানছো!? এতটুকু মায়া নেই বোনের প্রতি? ওর রেগে যাওয়া দেখে মৌনী খানিকটা পিছিয়ে গেল। চোখে পানি চলে এল ওর। নাহার বললেন, আহা! মেয়েটাকে বকছিস কেন!? তোর জন্যই তো বলল। রিয়ান চুপ করে রইল।
রুমের লাইট জ্বলতেই মম বলল, লাইট জ্বালিয়েছো কেন? লাইটটা অফ করো। কারো গলায় মম ডাক শুনে চোখের উপর থেকে হাত সরালো মম। ফেরদৌসী ওর কাছে এসে বসলেন। মম উঠে বসতেই বললেন, আরে উঠছো কেন!? তোমার না শরীর খারাপ?

– না, আম্মু আমি ঠিক আছি।
– আমি কালকে বাচ্চাদের মতো রাগ করেছিলাম। তাই তুমি কালকে রাতে আমার সাথে ছিলে। এখন আমার জন্য তোমার শরীর খারাপ।
– না না আম্মু। আমিই তো আপনার কথা রাখতে পারিনি।
– থাক। ভালোই হয়েছে এই শরীর নিয়ে রান্না না করায়। আমিও যে কি করি!
মম হঠাৎ বলল, সরি আম্মু। ফেরদৌসী ওর চোখে পানি দেখে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। মম জিজ্ঞেস করল, আপনি রাগ করেননি তো আম্মু? তিনি হাত বুলাতে বুলাতে বললেন, আরে না। এই নাও। হা করো তো। নাস্তাটা খেয়ে নাও। মম বলল, আপনি আনতে গেলেন কেন? তিনি হেসে বললেন, মেয়ের মন খারাপ ভাঙাতে। মম হাসল।

কয়েকদিন পর মম অফিস শেষে হাসপাতালে চলে এল। আজকে রিয়ানকে বলে হাফ টাইম করল। একটা রিপোর্ট নেওয়ার আছে। তাই কাজ শেষ হতেই দ্রুত বেরিয়ে পড়ল। রিপোর্টটা খুলতেই মম ফোন খুলে মৌনীকে ম্যাসেজ করে বলল, আজকে আমি আসতে পারবো না। তোর জামাইবাবুকে বলিস তো। মৌনী সাথে সাথে ম্যাসেজ সিন করে বলল, তুমি বলো। মম রিপ্লাই দিল, আমি একটা জায়গায় এসেছি। এখানে নেটওয়ার্ক ভালো না। যে কোনো মুহুর্তে চলে যেতে পারে। বলে দিস। লিখেই ডাটা অফ করে দিল ও। একটা জায়গায় যাওয়া লাগবে ওর। তারপর বাড়িতে ফিরবে ঠিক সময়ে।
রিয়ান অফিস থেকে ফিরে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়ল বিছানায়। ড্রেসিং টেবিলের সামনে মম বসে মাথা আচঁড়াচ্ছে। চেহারা দেখা যাচ্ছে না। শাড়ি পরে সেজেছে মনে হচ্ছে। রিয়ান টাই ঢিলা করতে করতে বলল, আজকে সেজেছেন যে মহারাণী? কি ব্যাপার? মম এসে ওর গলা জড়িয়ে ধরে বলল, কেমন লাগছে আমায়? রিয়ান গলা থেকে হাত ছাড়িয়ে বলল, তুমি?

– কি?
– তুমি মমর শাড়ি গয়না পরেছো কেন?
– আমিই তো মম, রিয়ান। তোমার মম।
ও আবার গলা জড়িয়ে ধরতেই রিয়ান সজোরে সরিয়ে বলল, মমকে আমি খুব ভালো করে চিনি মৌনী। ওর ছোঁয়া, প্রতিটা স্পর্শ আমার চেনা। আর ও কখনো আমাকে রিয়ান বলে ডাকে না। মৌনী বলল, আমাদের দুইজনেরই তো একই চেহারা। তাহলে ভালোবাসতে কি অসুবিধে? মৌনী আমার রিয়ানের দিকে হাত বাড়াতেই মম এসে ওর হাত ধরল। মৌনী ওকে দেখে হেসে বলল, মম, তুই? আজকে না আসবি না বলেছিলি?

– তা তো বলেছিলাম, কিন্তু না আসলে এসব কাহিনী তাহলে মিস করতাম।
রিয়ান বলল, কোথায় ছিলে তুমি? আর মৌনি তোমার শাড়ি গয়না পরে আছে কেন? মৌনী হেসে বলল, আরে জামাইবাবু আমি তো পরীক্ষা করছিলাম তোমাকে। তুমি আমাদের আলাদা করতে পারো কি না। কেমন অভিনয় করলাম বলো তো? মম বলল, তুমি খুব ভালো অভিনয় জানো ফারিজা। শুনে মৌনী বলল, ফারিজা কে? মম একটা অন্যরকম হাসি দিল ওর দিকে তাকিয়ে। তারপর বলল, আপনারা ভেতরে আসতে পারেন। দুইজন পুলিশ কনস্টেবল এসে ঢুকল রুমে। মম তাদের বলল, ওকে নিয়ে নিচে যান। তারা মৌনীকে টানতে টানতে নিয়ে যেতে লাগল। মৌনী বার বার বলতে লাগল, আমাকে নিয়ে যাচ্ছেন কেন? রিয়ান বাঁচাও। রিয়ান…। রিয়ান মমকে জিজ্ঞেস করল, কি হয়েছে মম? পুলিশ কেন?

– নিচে চলো। সব জানতে পারবে।
বসার রুমে সবাই বসে আছে। মৌনী মাথা নিচু করে আছে; দুই হাতে হাতকড়া পরানো। পুলিশ বসে আছে ওর পাশে। সাথে পরিবারের সবাই। রায়হান সাহেব আর খালা খালুও ছুটে এসেছেন মমর ফোন পেয়ে। কেউ কিছু বুঝতে পারছে না কি হয়েছে। নীরবতা ভেঙে মম শুরু করল।

– সবাই ভাবছে হয়ত কি হয়েছে। আমিই কাহিনীটা বলি। কি বলো ফারিজা?
রিতু জিজ্ঞেস করল, কে ফারিজা ভাবি? মম উত্তরে বলল, তোমাদের সামনে যে বসে আছে। আমার নকল বোন। ওর আসল নাম ফারিজা। রিয়ানের এক্স পিএ। গত মাসে কাজ ছেড়ে চলে গিয়েছিল। আমি ভাবছিলাম যে ও তো কাজ ছেড়ে চলে যাওয়ার মেয়ে নয়। হুট করে এমনটা হওয়া মেলাতে পারছিলাম না নিজের হিসাবের সাথে। কিন্তু খুব একটা মাথাও ঘামাইনি। কিন্তু সে যে এত বড় প্লট তৈরী করবে ভাবতে পারিনি৷ সে কোনো কিছু না ভেবেই কাজ ছেড়ে চলে যায় আমাদের ট্যুরের পর। তার কয়েকদিন পর আমার বাসায় আসে কলিগ পরিচয় দিয়ে৷ সেখানে মাধুরী খালা থেকে জানতে পারে মৌনীর কথা। তারপর এক কথা দুই কথা করে সবটা জেনে নেয় ওর ব্যাপারে। যেহেতু মাধুরী খালা আমাদের ছোটবেলা থেকে আছেন তাই তিনি সরল মনে মৌনীর ব্যাপারে সব বলে দেন। ফারিজা মানা করায় মাধুরী খালা এই ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানাননি।

তারপরই ও ছক কষে নেয়। প্লাস্টিক সার্জারি করে নেয় মুখে ঠিক আমার চেহারা দেখে। মুখের সার্জারি করালে যেহেতু তাড়াতাড়ি সেরে যায় তাই আমার জন্মদিনের দুই তিনদিন আগে আমাদের বাসায় গিয়ে ওঠে ও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে। তারপর জন্মদিনের দিন চলে আসে এখানে। আমিও আবেগ আপ্লূত হয়ে ওকে থাকতে বলে দেই। ব্যস, ও থাকার সুযোগ পেয়ে গেল এখানে। আমি না বললে হয়ত অন্য কোনোভাবে থাকাটা ম্যানেজ করে নিত।

সবার সামনে ভালো আচরণ করলেও ফুলির সাথে সে ঠিকই খারাপ আচরণ করত সবার আড়ালে। সেটা ফুলি আমাকে বলেও। সাথে এটাও বলে যে ও রোজ রাতে আমাদের রুমের সামনে ঘুরঘুর করে। আমিও সেটা ক’দিন খেয়াল করি। এখন বুঝতে পারছি আমার আর রিয়ানের একসাথে থাকাটা ও সহ্য করতে না পেরে এমন করতো। সবচেয়ে বড় সন্দেহটা আম্মু যেদিন অসুস্থ হয়ে যায় সেদিন থেকে শুরু হয়৷ মৌনীর ব্লাডগ্রুপ বি নেগেটিভ ছিল যেখানে ওর এবি পজেটিভ। নিজের ফেইস ঠিক রাখতে হুট করে রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়াটা ওর ভুল ছিল। একজনের ব্লাডগ্রুপ তো রাতারাতি পাল্টে যাবে না। তাই আমি ওকে লক্ষ্য করতে লাগলাম। ওর সবকিছু উল্টো। মৌনী ইলিশ মাছ খেতো না কিন্তু ইলিশ দেখলেই ওর চোখমুখই পাল্টে যেতো। ফারিজার ডাস্ট এলার্জি নেই যেখানে মৌনীর ছিল। সন্দেহ যখন গাঢ় হয় তখন আমি চিন্তা করতে থাকি কে হতে পারে।

তখনই ফারিজার কথা মনে পড়ল। তাই ওর বাসায় গিয়ে কথা বলে জানতে পারলাম, ও নাকি নতুন চাকরি হয়েছে বলে বাসা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার জন্য বেরিয়ে গেছে আরো আগে। তাই ওখান থেকেও তাদের অজান্তে নমুনা নিয়ে নেই। তারপর আমি ডিএনএ টেস্ট করিয়েছি। দুটো টেস্ট। একটা আমার সাথে আরেকটা ফারিজার মায়ের সাথে। আজকে রেজাল্ট পেয়েছি। আমার সাথে ওর নেগেটিভ এসেছে যেখানে ওর মায়ের সাথে পজেটিভ এসেছে। এরপর থানা হয়ে আসা। ওর উদ্দেশ্য ছিল আমার মৃত বোনের জায়গায় এসে আমাকে সরিয়ে রিয়ান আর সবাইকে আমার থেকে কেড়ে নেবে। তাই সবার মনে জায়গা করে নিচ্ছিলো আস্তে আস্তে। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হলো ও ছোটখাটো জিনিসগুলো খেয়াল না করায় আজ বিপদ করে ফেলল। তোমার কি আর কিছু যোগ করার আছে ফারিজা?
ফারিজা মাথা নিচু করে বসে ছিল। ওর কথা শুনে রক্তবর্ণ চোখে তাকালো। তারপর বলল, তোর সন্তানও বেঁচে নেই মম। মরে গেছে এতদিনে। মেরে ফেলেছি আমি। ওর কথায় সবাই ভয় পেয়ে গেল। ফারিজা ডাইনীর মতো হেসে বলল, প্রত্যেকদিন রাতে ওষুধ মেশানো দুধ খাইয়ে দিয়েছি তোকে। মম কিছু না বলে চুপ করে রইল।

রিয়ান এসে হুট করে ওর গালে একটা চড় বসিয়ে দিল। সাথে সাথে পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ বসে গেল। মম বাঁধা দিয়ে ওকে বলল, আমার কিছুই হয়নি। ফুলির জন্য আমাদের বাবু এখনো বেঁচে আছে। ফারিজা যেদিন থেকে ওষুধ দেওয়া শুরু করেছে সেদিন থেকে ফুলি দেখতো। আর ও দুধটা ফেলে দিয়ে আমাকে বলতো, দুধ কেটে গেছে বা নষ্ট হয়ে গেছে। টানা এভাবে কয়েকদিন বলার পর ওকে জিজ্ঞেস করলাম ব্যাপারটা। প্রথমে আমতা আমতা করার পর সে সবটা বলেছে আমায়। আমার পেটে ওষুধ পড়েনি। সবাই মমর কথায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। ফারিজা হুট করে মমর উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে লাগলে কনস্টেবলরা ওকে ধরে ফেলল। ফারিজা পাগলের মতো হাতপা ছুড়তে ছুড়তে বলল, আমি তোকে দেখে নেবো। মেরে ফেলব। কুঁচি কুঁচি করে মারব। তোর জন্য রিয়ান আমাকে ছেড়ে গেছে। জবটা ছেড়েছি। তোকে আমি দেখে নেবো। রিয়ান অফিসারকে বলল, ওকে নিয়ে যান এখান থেকে। ওর ছায়াও দেখতে চাই না। পুলিশ ওকে নিয়ে গেল। তখনো ও হাত ছুড়তে লাগল।
সবাই আফসোস করতে লাগল। কি দেখল আর কি হল! মম শান্তিতে নিঃশ্বাস ফেলে বসল সোফায়। পুরো ব্যাপারটা ওর উপর এই ক’দিন চেপে বসে ছিল। অফিসের ফাঁকে দৌঁড়াদৌঁড়ি করে হাঁপিয়ে উঠেছিল। রিয়ান সবার সামনে মমকে জড়িয়ে ধরল। আজকে ওদের কোনো ক্ষতি হয়ে গেলে রিয়ান নিজেকে ক্ষমা করতে পারতো না।

মম চিত্তে  পর্ব ২৭

নয় মাস পর,
ডাক্তারের দেওয়া ডেটের আগেই মমর লিভার পেইন উঠে গেছে। সবাই অপারেশন থিয়েটারের বাইরে অপেক্ষা করতে লাগল চিন্তা নিয়ে। মম চাইছিল রিয়ান যাতে ওর পাশে থাকে। তাই অনেক অনুরোধ করার পর রিয়ানকে ওর পাশে থাকার অনুমতি দিলেন ডাক্তার। ব্যাথায় যখন ছটফট করতে লাগল মম তখন রিয়ান সারাক্ষণ ওর হাত ধরে সাহস যোগাতে লাগল। কয়েক ঘন্টার পরিশ্রমের পর মেয়ে সন্তান প্রসব করল মম। বাইরে থেকে বাচ্চার কান্না শুনে সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিল। মেয়েকে টাওয়াল জড়িয়ে মমর কোলে দিলেন ডাক্তার। রিয়ান মেয়ের দিকে তাকিয়ে রইল। মায়াভরা মুখটা দেখে বলল, তোমার মতো হয়েছে মহারাণী। মম হেসে বলল, গালে যে তোমার মতোই টোল আছে মনে হচ্ছে। রিয়ান হাসল। সাথে সাথে ওর গালে টোল পড়ল। মম রিয়ানকে কাছে টেনে কপালে কপাল ঠেকিয়ে বলল, ওকে নিয়ে আমাদের নতুন জীবনের অধ্যায় শুরু।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~সমাপ্তি