মেঘের আড়ালে রোদ পর্ব ৪০

মেঘের আড়ালে রোদ পর্ব ৪০
লেখিকা Sabihatul Sabha

গাড়িটি গিয়ে থাকলো একটা খোলা অন্ধকার মাঠে।
রাত তখন গভীর।
গাড়ি থেকে পুলিশ আর মুখোশ পড়া ছেলেগুলো নেমে গেল৷
আফজাল রেগে বলে উঠলো, ‘ তোমরা কোথায় যাচ্ছ.? আর এটা কোথায়.??

কেউ কোনো শব্দ করলো না। আফজাল গাড়ি থেকে নেমে অন্ধকারে চারপাশ দেখার চেষ্টা করলো।
পেছন থেকে দুইজন লোক এসে আফজালের হাত, পা বেধে হাঁটু গেড়ে নিচে বসিয়ে দিলো। মুখ শক্ত কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেললো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আফজাল বুঝতেও পারলো না এই কয়েক মিনিটে কি হয়ে গেল!!
অন্ধকার মাঠে আলো জ্বলে উঠলো। সাদা শাড়ি পড়ে এগিয়ে আসলো এক রমনী।
আফজাল তাকিয়ে রইলো চেষ্টা করেও মুখ থেকে একটা শব্দ বের করতে পারলো না।
” ওয়েলকাম তোমাকে নরপিশাচ। আজ তোমাকে এইসব কিছু থেকে মুক্ত দিতে নিয়ে আসলাম। ভালো লাগছে না..??”

সময় ঘড়ায় উত্তর আসে না।
~ ওপ্স তুমি তো এখন একটা পুতুল হয়ে আছো। আমাকে দেখে ভালো লাগছে না.??
আফজাল মুখ দিয়ে শব্দ বের করার চেষ্টা করলো৷
রমনীটি পাশে দাঁড়ানো একজন পুলিশের থেকে ছুরি নিয়ে আফজালের সামনে বসলো।

আফজালের ভয়ে কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে গেছে। এতো ভয়ংকর লাগছে কেন সামনের রমনীটি কে..? আফজাল এই নারী কে চিনে না। এটা ওর নিরু হতেই পারে না। ওর নিরু ছিলো কোমল, নরম মনের মেয়ে। একটু কষ্ট পেলেই কান্না করে পুরো বাড়ি মাথায় নিয়ে নিত। আঘাত পেলে চুপচাপ সরে যেত নিজেকে কষ্ট দিত তবুও কাউকে কিছু বলতো না। আফজাল বলতেই পাগল ছিল। আজ সে কাকে দেখছে..??

~অবাক হচ্ছ.? বলেই আফজালের গালে ছু*রি রেখে আলতো করে টান দিল।
হঠাৎ কোমল মুখটা শক্ত হয়ে গেল। আফজালের গাল গুলো শক্ত করে চেপে ধরলো কাঁটা জায়গা দিয়ে ফিরকি দিয়ে রক্ত ঝড়ছে।

নিরুপমা রক্ত হাতে নিয়ে হাসতে লাগলো কি ভয়ংকর হাসি। এই মাঝ রাতে আশেপাশে কোনো জীবজন্তুর ও শব্দ শুনা যাচ্ছে না নিরবতায় চারপাশ থমকে আসে তার মধ্যে এই হাসি ভীষণ ভয়ংকর শোনালো।
নিরুপমা একজন কে ইশারা করলো ফুটন্ত গরম পানি নিয়ে আসলো।
আফজাল কে পানিটা দেখিয়ে বলে উঠলো, ‘ মনে আছে এই পানির কথা!.???’

আজফার ভীতু চোখে পানির দিকে তাকালো। নিরু কিভাবে জানলো!.?? ভয়ে জীবন যায় যায়।
নিরুপমা পানিটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে বললো,’ আমার পিচ্চি বোনটা। কতোবার অনুরোধ করে ছিল, পায়ে ধরে ছিল তুমি শুনোনি। নরপিশাচদের মনেও তো একটু মায়া হয় তোর মতো নরপিশাচের মায়া হলো না। আমার বোন তো তোরও বোন ছিল। সারাদিন জিজু জিজু বলে মাথায় নিয়ে রাখতো কি করলি ওর সাথে!! ।
নিরুপমার রাগে শরীর কাপছে। পাশের জনকে ইশারা করতেই ফুটন্ত গরম পানি আফজালের উপর ডেলে দিল।
গরম পানি পড়তেই ছটফট শুরু করলো আফজাল।

নিরুপমা আবার ইশারা করতে দুইজন গিয়ে আফজালর গলায় রশ্মি পেচিয়ে দুই পাশ থেকে টেনে ধরলো।
আফজালের জীবন যায় যায় অবস্থা নিরুপমা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে আফজালের পাশে গিয়ে বলে উঠলো, ‘ এখন কেমন লাগছে.? এই শাস্তি গুলো ২০, বছর আগে দিতে চেয়ে ছিলাম কিন্তু এই ভূয়া সমাজ, আইনের হাতে তুলে দিয়ে ভুল করে ছিলাম।
আফজালের চোখ উল্টে যাওয়া দেখে তৃপ্তির হাসি হেঁসে একজন কে ছেড়ে দিতে বললো। রুহ দেহ থেকে যেতে যেতে বেঁচে গেল।

নিরুপমা একটা চেয়ারে আয়েশ করে বসে বলে উঠলো, ‘ বাড়িতে সেইদিন কেউ ছিল না। সবাই গ্রামে গিয়ে ছিলো বিয়ের দাওয়াত খেতে। তুই অফিসের কাজের জন্য আঁটকে পড়ে ছিলি সিলেট। মারিয়াম ওর বাবার সাথে অভিমান করে গ্রামে যেতে চায়নি। বাসায় একমাত্র মারিয়াম ছিল। মারিয়াম প্রায় বাসায় একা থাকে তাই কেউ টেনশন করলো না ওকে রেখে গেল।

সব ঠিক ছিল কিন্তু মাঝ রাতে তুই বাড়িতে আসলি তাও নেশা করে। আমি তোর নেশা করার কথা সবার থেকে লুকিয়ে গিয়ে ছিলাম। ভালোবেসে বিয়ে করে ছিলাম বলে তুই বলতেই পাগল ছিলাম হাহ্ কতোটা ভালোবাসায় অন্ধ ছিলাম। তোর দোষ গুলো আমার চোখে পড়লেও দোষ মনে হতো না। বার বার বুঝিয়ে ছিলাম শুধু একটাই অজুহাত দেখাতি ভালোবাসার তুই তো জানতি আমার দূর্বলতা কি!!

সেই রাতে তুই মারিয়াম কে দেখে নিজের মধ্যে কাপুরুষের রুপ ধারণ করে ছিলি আমার পিচ্চি বোনটা কে জোর করে ধর্ষন করে ছিলি ওর চিৎকার চার দেয়াল ছাড়া কারো কানে যায়নি।
পিচ্চি মেয়েটা লজ্জায় কাউকে বলতে পারেনি। ও তো জানতো আমি কতোটা আফজাল বলতে পাগল ছিলাম।
ও গ্রামে চলে যেতে চাইলো কিন্তু আমরা কেউ দিলাম না। সবার এতো ভালোবাসা সেও ছেড়ে যেতে পারলো না।
তারপর থেকে বার বার এটা সেটা বলে ভয় দেখিয়ে ওর সাথে সম্পর্ক করতে চাইলি মারিয়াম নিষেধ করলে,

প্রতিবাদ করতে চাইলে আমাকে ব্যাবহার করলি। দিন দিন মেয়েটার জীবন অন্ধকার নেমে আসলো।
একদিন ঘুমের ঔষধ খাইয়ে তুলে নিয়ে গেলি বন্ধুদের আস্তানায়। তোর বুক কাঁপলো না একবারও! তুই তো পশুদের কাতারেও পরছ না। পশুদের এক বেলা খানা ছিটিয়ে দিলে মালিকের সঙ্গ ছাড়ে না। আমার ভাই নিজের কোম্পানিতে চাকরি দিল নতুন জীবন দিল আর আমি….

তাও আমাদের বুকেই ছু*রি মারলি.?
সেই দিন নিজের সাথে আরেক বন্ধু নিয়ে। নিরুপমার চোখ জলে ভরে উঠলো।
পিচ্চিটার যখন জ্ঞান ফিরলো তোর পায়ে ধরলো বাড়িতে আসতে দিতে তুই হেঁসে ছিলি, বিশ্রী হেসে গরম পানি, এসিডের ভয় দেখিয়ে পিচ্চিটার বেঁচে থাকা জাহান্নাম করে দিলি। ওখান থেকে এসেই নিজের জীবন দিয়ে দিলো মেয়েটা রেখে গেলো আমার জন্য উপহার হিসেবে একটা ডায়রী।

নিরুপমা নিজের চোখের পানি মুছে আফজালের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ তোর মতো পিশাচ কে নিজের হাতে শেষ না করলে আমার পিচ্চিটার আত্মা ও শান্তি পাবে না।’
নিরুপমা রেগে আফজালের হাতে কোপ বসালো। দুই কোপে দুই হাত শরীর থেকে আলাদা হয়ে গেল।
রক্ত চারপাশ ভেসে যাচ্ছে।
নিরুপমার চোখে মুখে প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে।

আবারও রশ্মি পেচিয়ে টেনে ধরতে বললো।
গাড়িতে বসা মুখ কালো কাপড় দিয়ে পেঁচানো ছেলেটাকে চিৎকার করে বলে উঠলো, ‘ নির্জন গাড়ি চালিয়ে দে যেভাবে আমার ভাইয়ের উপর চালিয়ে ছিলো।’
নিরুপমা বলতে দেরি গাড়িটা আফজালকে পিষে দিতে দেরি হলো না।
রক্ত লাল হাতের দিয়ে তাকিয়ে তৃপ্তির হাসি হাসলো নিরুপমা।

ডায়রীটা কাঁপা কাপা হাতে শক্ত করে ধরে রাখলো মহুয়া।
সে এসে ছিলো নিরুপমার রুমে । নিরুপমা কে রুমে না পেয়ে চলে যাওয়ার সময় টেবিলের উপর পুরোনো ডায়রী দেখে হাতে নিয়ে উল্টে পাল্টে দেখছিল। কিন্তু ডায়রীতে এমন কিছু পাবে হয়তো সে কখনো কল্পনা করেনি। মারিয়ামের মৃত্যুটা জেনো ওর চোখের সামনে ভেসে উঠলো। পৃথিবীতে কেউ ভালো নেই আর না ছিল।

জীবন এতো কঠিন কেন.? মহুয়ার চোখ থেকে পানি পড়ছে। কেউ ইচ্ছে করে এতো সুন্দর পৃথিবী ছাড়তে চায় না আর যে ছাড়ে তার পেছনে হয়তো অনেক বড় সত্যি লুকিয়ে থাকে। মহুয়ার ইচ্ছে করলে সেই লোকগুলোর মতো আফজালের বুকেও নিজের সব রাগ শেষ করে দিতে। আজ থেকে একদিন আগেও কেন এই ডায়রী সে পেল না! তাহলে হয়তো আফজালের শেষ রাত কাল হয়ে যেত।

মহুয়ার ভাবনার মাঝে ঘরের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলো নিরুপমা।
কারো উপস্থিতি বুঝতেই হাত থেকে ডায়রীটা নিচে পড়ে গেল।
নিরুপমা শক্ত চোখে তাকিয়ে রইলো মহুয়া আর নিচে ডায়রীটির দিকে।
মহুয়া জলদি ডায়রীটা তুলে ভয়ে ভয়ে নিরুপমার দিকে তাকালো।

মহুয়াঃ আমি আসি বলে মহুয়া বের হয়ে যেতে নিলে নিরুপমা শান্ত এক গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো, ‘ যতোটুকু জেনেছো নিজের মধ্যে রাখো।’
মহুয়া ঘোমটা টেনে আঁড়চোখে তাকালো। নিরুপমার সাদা শাড়িতে রক্তের দাগ লাল হয়ে যাওয়া শাড়ি দেখে থমকে গেল।
মহুয়াঃ রক্ত!!
নিরুপমা মুচকি হাসলো।
মহুয়া কি বুঝলো জানা নেই তবে ঠোঁটের কোনে হাসির রেখা দেখা গেল।

সকাল থেকে সব চ্যানেলে একই সংবাদ দেখাচ্ছে। রাতে আফজাল জেল থেকে পালিয়েছে আর সকালে তার টুকরো টুকরো শরীর মাঠে পাওয়া গেছে। কে খু’ন করেছে.? খুনির কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। যে খু’ন করেছে খুন ঠান্ডা মাথায় আর বুদ্ধি দিয়ে করেছে কোনো ক্লো পাওয়া যাচ্ছে না।
ছোঁয়া চুপচাপ বসে তাকিয়ে রইলো টিভির দিকে। ওর কোনো অনুভূতি হচ্ছে না। সে তো ছোট থেকেই যেনে আসছে বাবা নামক ব্যক্তিটি জন্মের আগেই মা-রা গেছে হঠাৎ ঝড়ের মতো কেউ এসে বললো,’ সে ওর বাবা এক সপ্তাহ না যেতেই এতো নিষ্ঠুরতম ভাবে মৃত্যু। ‘ ওর কোনো অনুভূতি হচ্ছে না চোখে পানি আসছে না।

নির্জনের উপর দিয়ে খুব পেশার গেল কয়েকদিন। আফজালের মৃত্যু নিয়ে ঝামেলা চললো। লাস্ট প্রমাণিত হলো নিজের লোকদের হাতেই খু’ন হয়েছে আফজাল এটাসেটা দিয়ে ধামাচাপা পড়ে গেল আফজালের বিষয়টা।
নিরুপমা ছাঁদে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে । মেঘলা এসে পাশে দাঁড়ালো। নিরুপমা হেঁসে বলে উঠলো , ‘ তোমাকে ধন্যবাদ মেঘলা।’

মেঘলাঃ ধন্যবাদ বলবেন না আন্টি।
নিরুপমাঃ আমাকে আন্টি না বলে ফুপিমণি বলো। আমি তোমার ফুপিশাশুড়ি।
মেঘলা হাসলো।
মেঘলাঃ আর মাত্র তিনদিন ফুপিমণি তারপর আমাদের সব শেষ। তিন মাস শেষ।
নিরুপমাঃ ভালো করে ভেবে দেখো বিয়ে, জন্ম, মৃত্যু আল্লাহর ইচ্ছে। শ্রাবণ কিন্তু খারাপ ছেলে নয় সব দিক দিয়ে সেরা।

মেঘলাঃ আমার শাশুড়ী আমাকে পছন্দ করে না।
দেখতে দেখতে তিনদিন চলে গেল।
মেঘলা ব্যাগ গুছিয়ে রাখলো। শ্রাবণ আসলে চলে যাবে। আচ্ছা শ্রাবণ কি ওকে আটকাবে..? বলবে যেও না, আমি তোমার সাথে শেষ অব্দি থাকতে চায়। জীবন তো একটাই এই এক জীবনে আমি তোমাকে চাই।
নিজের ভাবনায় নিজেই বিরক্ত হলো। আবার নিজেকে জিজ্ঞেস করলো ” তুমি কি পারবে ওকে ছাড়া থাকতে.? ওকে ভুলে যেতে.? ওর পাশে অন্য নারীকে দেখতে.? পারবে না মেঘ! তাহলে যেতে চাচ্ছ কেন.? তারা তো তোমাকে যেতে বলেনি।

মহুয়া মন খারাপ করে মেঘলার রুমে বসে আছে। মেঘলা যাওয়ার পর সেও চলে যাবে। মেঘলা গেলে বাড়িটা কেমন নিশ্চুপ হয়ে যাবে। এমনিতেই বাড়িটা কেমন হয়ে গেছে আগের মতো হুই হুল্লোড় নেই।
মেঘলা ব্যাগ নিয়ে নিচে নেমে আসলো। সবাই মেঘলার দিকে তাকিয়ে আছে। আমেনা বেগম সোফায় বসে আছেন।
আনোয়ার চৌধুরী মেঘলার মাথায় হাত রেখে বলে উঠলেন,’ ভালো করে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নও। তুমি যথেষ্ট বড় হয়েছো নিজের মন যা বলে তাই করো।’

হালিমা চৌধুরী জড়িয়ে ধরলেন। নিষেধ করলেন যেতে। ছোঁয়া রাগ করে বলে উঠলো, ‘ ভাবি মিস করবো। কয়েকদিন থেকে আবার ভাইয়ার কাছে চলে এসো। ‘
মেঘলা শাশুড়ীর দিকে তাকিয়ে হেঁসে বললো, ‘ আসি আন্টি দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন। ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করবেন নিজের যত্ন নিবেন। ‘

ধীর পায়ে দোতলায় গিয়ে আফরোজা বেগমের পাশে বসলো। মেঘলার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে সবাইকে ছেড়ে যেতে চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা পানি আফরোজা বেগমের হাতে পরলো। আফরোজা বেগম শুধু উপরের দিকে তাকিয়ে আছেন উনি তো মানুষ চিনেন না। শুধু বেঁচে আছেন, তাকিয়ে আছেন জীবন চলছে।
মেঘলা বাড়ি থেকে বের হতে নিলে কেউ আটকাতে গেলে আমেনা বেগম বলে উঠলো, ‘ আটকাবে না যেতে দাও। এই কয়েকদিনের মধ্যে বাড়িতে দুই ছেলের বিয়ের আয়োজন শুরু হবে।’

হালিমা বেগমঃ দুই ছেলে.?
আমেনা বেগমঃ হুম আমার বড় আর ছোট ছেলের।
মেঘলা আর এক মুহূর্ত দাড়ালো না মহুয়ার দিকে তাকিয়ে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। দুইজন আজ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে।

মেঘের আড়ালে রোদ পর্ব ৩৯

হালিমা বেগমঃ কি বলছেন ভাবি শ্রাবণের বউ দাঁড়িয়ে আছে কিসের বিয়ে.?
আমেনা বেগম মুচকি হেঁসে বসে রইলেন। কি চলছে উনার মাথায়!.??
মেঘলা শ্রাবণের সাথে দেখা না করে বেরিয়ে গেল বাড়ি থেকে। গাড়িতে বসেই কাঁদতে শুরু করলো। এতো শক্ত মনের মেয়েটাও আজ কাঁদছে প্রিয় মানুষটিকে হারানোর ভয়ে।

মেঘের আড়ালে রোদ পর্ব ৪১