মেঘের আড়ালে রোদ শেষ পর্ব 

মেঘের আড়ালে রোদ শেষ পর্ব 
লেখিকা Sabihatul Sabha

গাল ফুলিয়ে বসে আছে লম্বা ঘোমটা দিয়ে মেঘলা। দ্বিতীয় বাসর! উঁহু দ্বিতীয় কিভাবে হয়.? প্রথম বাসর তো হয়নি শুধু বিয়ে হয়ে ছিল যেখানে জামাই হাতটাও ধরেনি সেটাকে বাসর বললে বাসর শব্দটাকে অপমান করা হবে।
মেঘলা মনে মনে এইসব ভাবছে আর শ্রাবণের অপেক্ষা করছে।
কিছু সময় যেতেই খট করে রুমের দরজা খুলে কেউ প্রবেশ করলো।
মেঘলা ঘোমটা টেনে সোজা সুন্দর হয়ে বসলো।

শ্রাবণ মেঘলার দিকে তাকিয়ে রেগে গেল। রাগে শেরওয়ানির বোতাম একটা একটা করে খুলে বেলকনিতে চলে গেল। কিছু সময় বেলকনিতে কাটিয়ে রুমে উঁকি দিল।
মেঘলা আগের মতোই বসে আছে।
শ্রাবণ রুমে এসে কন্ঠ একটু মোটা করে বলে উঠলো, ‘ ঘোমটা উঠান।’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

মেঘলা নিজের মেহেদী দেওয়া হাতটা বের করে ঘোমটা শক্ত করে ধরে বলে উঠলো, ‘ আমি শুনেছি বর নিজে ভালোবেসে যতক্ষন ঘোমটা না তুলে বউ ঘোমটা তুলতে নেই এতে অমঙ্গল হয়।
মেঘলার এমন স্বাভাবিক কন্ঠ আর ভালোবাসার কথা শুনে শ্রাবণের রাগ সপ্তাহ আকাশে।
নিজের বউ আজ অন্যের জন্য এভাবে সেজেগুজে বসে আছে আবার কি সুন্দর করে ভালোবেসে ঘোমটা তুলতে বলছে রাগে দুঃখে শ্রাবণ কিছু সময় ঘোমটা দেওয়া মেঘলার দিকে তাকিয়ে রইলো।

মেঘলাঃ এভাবে বসে থাকতে থাকতে আমার কোমর ব্যাথা হয়ে গেল কি পাষাণ বর আপনি।
শ্রাবণ নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলো। হাত বাড়িয়ে ঘোমটায় হাত দিতেই মেঘলা ইচ্ছে করে নিজের হাত শ্রাবণের হাতে স্পর্শ করালো।

শ্রাবণ থমথমে মুখে একবার তাকিয়ে হাত সরিয়ে বলে উঠলো, ‘ নিজে ঘোমটা তুলে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। ‘
মেঘলার মন খারাপ হলো। যেখানে নিজে রাগ দেখানোর কথা সেখানে এইলোক কেন দেখাচ্ছে!.?
মেঘলা ঘোমটা না তুলেই বসে পড়লো৷

শ্রাবণঃ আপনাকে সব সময় এক কথা বার বার কেন বলতে হয় মেঘলা!.??
মেঘলা সাথে সাথে ঘোমটা তুলে অবাক হওয়ার মতো মুখ করে বলে উঠলো, ‘ আরেএ আপনি!.?’
শ্রাবণ গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো, ‘ কেন!.? অন্য কেউকে আশা করে ছিলেন.?’
মেঘলাঃ হুম অবশ্যই! আজ আমার বিয়ে হয়েছে বর কে আশা করেছি। আপনি এখানে কেন.? আমার বর রাগ করবে এখানে কেন এসেছেন! বের হন।

শ্রাবণ রেগে বলে উঠলো, ‘ মেঘলা! আপনার সাথে আমার ডিভোর্স হয়নি এখনো আপনি অন্য কেউকে বিয়ে করে সংসার করার স্বপ্ন দেখছেন? আপনি তো আজকাল বস্তির মেয়েদের মতো আচরণ করছেন!! আমি আপনার থেকে এমনটা আশা করিনি।
মেঘলাঃ তাহলে কি আশা করে ছিলেন.??

শ্রাবণ মেঘলার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, আপনি বিবাহিত হয়ে অন্য কেউকে বিয়ে করতে এভাবে সাজগোছ করেছেন! এতো দিনে কি আমি আপনার মনে একটুও জায়গা পাইনি.?’
মেঘলা মুচকি হেসে বলে উঠলো, ‘ আপনিও তো বিবাহিত পুরুষ হয়ে বিয়ে করতে ড্যাং ড্যাং করে নাচছিলেন। ‘
শ্রাবণঃ নিজের বউকে বিয়ে করতে নেচেছি অন্য কেউকে নয়।

মেঘলাঃ আমিও নিজের জামাই কে বিয়ে করবো বলে সেজেছি অন্য কেউকে দেখাতে নয়।
শ্রাবণ ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই মেঘলা কোমরে হাত গুঁজে বলে উঠলো, ‘ রাগ আমি দেখানোর কথা অথচ আপনি দেখাচ্ছেন!.? এভাবে লুকিয়ে বিয়ে করার কোনো মানে খুঁজে পাচ্ছি না। ‘
শ্রাবণঃ সবাই তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়ে ছিল।

মেঘলা রেগে বলে উঠলো, ‘ এটা কেমন সারপ্রাইজ.? আপনার বাড়িতে বিয়ে আমার বাড়িতেও সাজগোজ চলছে একই দিনে সব কিছু, ডিভোর্স ও হয়নি এতো কিছুর পরেও কি আমি বুঝার বাকি আছি?
শ্রাবণ মাথা চুলকে বলে উঠলো, ‘ তার মানে তুমি জানতে.? ‘
মেঘলাঃ হুম।

শ্রাবনঃ তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে গিয়ে এই সাজগোজ দেখে আমি নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে গেছি।
মেঘলা হেসে উঠলো।
শ্রাবণ মেঘলার কাছে আসতে নিলে মেঘলা থামিয়ে দিল।
মেঘলাঃ দূরে থাকেন।
শ্রাবণঃ এখনো….!!

মেঘলা কিছু না বলে বিছানার উপরে গিয়ে সুন্দর করে ঘোমটা দিয়ে বসলো।
শ্রাবণ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে।
মেঘলাঃ এবার ঘোমটা তুলেন।
শ্রাবণ হেঁসে উঠলো।
বিছানায় বসে ঘোমটা তুলে মেঘলার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ মাশাল্লাহ ‘
মেঘলা লজ্জায় মুখ নিচু করে রেখেছে।

মহুয়া গাল ফুলিয়ে বসে আছে আহনাফ ঘুরে ঘুরে একটু পর পর মহুয়াকে দেখছে।
আহনাফঃ সরি..
মহুয়া চোখ বড় বড় করে রেগে তাকালো।
আহনাফঃ এই জন্যই আমার বড় বড় চোখ মেয়েদের পছন্দ না। চোখে কাজল দিয়ে এভাবে তাকালে ডাইনী পিশাচিনীদের মতো লাগে।
মহুয়া আরও রেগে গেল। আহনাফ মহুয়া কে রাগানোর জন্য বলে উঠলো, ‘ দ্বিতীয় বাসরও মনে হচ্ছে সিঙ্গেল ঘুমাতে হবে।’

মহুয়া চুপচাপ উঠে যেতে নিলে আহনাফ পেছন থেকে ডেকে উঠলো’ বউ সরি আমি তো সারপ্রাইজ দিতে চেয়ে ছিলাম। ‘
মহুয়া রেগে বলে উঠলো, ‘ এটা কেমন সারপ্রাইজ আহনাফ ভাইয়া!.? ‘
আহনাফঃ ভাইয়া! আমি তোমার ভাই হই.? কি কপাল বিয়ের রাতেও বউয়ের মুখে ভাইয়া ডাক শুনতে হয়।
মহুয়াঃ ভাইয়া মানে সাইয়া আর সাইয়া মানে ভাইয়া…

আহনাফঃ বাহ্ কি লজিক।
মহুয়াঃ কানে ধরেন।
আহনাফঃ এদিকে আসো।
মহুয়াঃ আমি কেন আসবো.?
আহনাফঃ তুমি তো বললে কানে ধরতে দূরে থাকলে ধরবো কিভাবে.?

মহুয়াঃ আমি আপনার কানের কথা বলেছি।
আহনাফ ছোট বাচ্চাদের মতো কানে ধরলো।
আহনাফের দিকে তাকিয়ে সব রাগ নিমিষেই উড়ে গেল মহুয়ার।
মহুয়াকে হাসতে দেখে আহনাফ হাফ ছেড়ে বাচলো।
আহনাফ ফ্রেশ হয়ে এসে বসলো। মহুয়া ফ্রেশ হওয়ার জন্য উঠতেই আহনাফ ওর হাত ধরে বলে উঠলো , ‘ চলো।’
মহুয়াঃ কোথায়.?

আহনাফঃ তোমাকে বিক্রি করে দিব।
মহুয়া থমথমে মুখে আহনাফের দিকে তাকালো। ভেতরটা হঠাৎ কেমন করে উঠলো চোখের সামনে ভেসে উঠলো পলাশের মুখ। সেই পুরোনো স্মৃতি। চোখে জল এসে ভিড় করলো।
আহনাফঃ চলো..

মহুয়া নিজেকে সামলে আহনাফের দিকে তাকালো।
আহনাফ মহুয়ার হাত ধরে রুমের বাহিরে নিয়ে গেল মধ্য রাত হওয়ায় বাড়ির সবাই ঘুম। ড্রয়িং রুম জুড়ে মেহমানের ছড়াছড়ি কেউ সোফায় ঘুমিয়ে আছে।
আহনাফ মহুয়াকে নিয়ে সাবধানে পা ফেলে বের হয়ে গেল।
রাস্তার মাঝে গিয়ে দুইজন হাত ধরে হাঁটতে শুরু করলো।
বাড়ি থেকে অনেক দূর এসে আহনাফ মহুয়ার কানে ফুল গুঁজে দিল,মহুয়ার সামনে হাঁটু গেড়ে বসলো৷
মহুয়া তাকালো আহনাফের দিকে৷

আহনাফ পকেট থেকে এক জোড়া পায়েল বের করে মহুয়ার পা নিজের পায়ের উপর রাখলো যত্ন করে মহুয়ার পায়ে পায়েল পড়িয়ে মুগ্ধ চোখে মহুয়ার দিকে তাকালো।
মহুয়ার চোখ জলে ভরে উঠলো। পা সরিয়ে আহনাফের সামনে নিজেও রাস্তায় বসলো আহনাফের দিকে তাকিয়ে বললো,’ আমার দেখা সেরা সুন্দর পুরুষ আমার সামনে বসা পুরুষটি।’

আহনাফ মহুয়ার কথা শুনেহেসে বলে উঠলো, ‘ আজ এই রাতের চাঁদ ও হিংসে করবে আমার সামনের চাঁদটাকে দেখে। চাঁদের শরীরে কলঙ্ক থাকলেও আমার চাঁদের গায়ে কোনো কলঙ্ক নেই।
মহুয়া হাসলো আহনাফের কথা শুনে। এই পুরুষ কি জানে ওর সেই অন্ধকার অতীত সম্পর্কে!!? না সে কিছু জানে না জানলে আজ এমন কথা বলতো না। চাঁদের থেকেও যে বড় কলঙ্ক ওর জীবনে লেগে গেছে।
মহুয়াঃ আহনাফ আমি আপনাকে আজ কিছু বলতে চাই।

আহনাফ মহুয়ার দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ বলো..’
মহুয়াঃ আমার অতীত বলতে চাই।
আহনাফঃ আজ নয় মহুয়া অন্য একদিন দুঃখবিলাস করবো।
মহুয়াঃ কিন্তু…

মহুয়া আর কিছু বলার আগেই আহনাফ মহুয়ার ঠোঁটে হাত রেখে চুপ করিয়ে দিল।
আহনাফঃ আজ সুখের রাতে আমরা সুখবিলাস করি…
মহুয়া হেঁসে অন্য দিকে তাকালো।
মহুয়া কিছু একটা মনে করার মতো আহনাফের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ এ্যাই আপনি আমাকে প্রপোজ করলেন না!’

আহনাফঃ তুমি আমার প্রেমিকা নও যে প্রপোজ করতে হবে।
মহুয়া মুখ ভার করে বলে উঠলো, ‘ হুম আমি তো আর প্রেমিকা নই।’
আহনাফ মহুয়াকে নিজের পাশে বসিয়ে বলে উঠলো, ‘ আপনি আমার বউ’
মহুয়া দূরে সরে গিয়ে বলে উঠলো, ‘ কাল থেকে আমি আপনার প্রেমিকা আগে পটাতে হবে তারপর প্রপোজ তারপর কাছে আশা।’

আহনাফঃ দ্বিতীয় বিয়ে করেও সিঙ্গেল জীবন।
মহুয়া হাসছে আহনাফ মুগ্ধ হয়ে সেই হাসি দেখতে লাগলো। এই মেয়েটা শুধুই ওর ভাবতেই জীবন ভীষণ সুন্দর মনে হচ্ছে। আজ থেকে সে পরিপূর্ণ।

ছোঁয়া আশেপাশে তাকিয়ে হাত বাড়াতেই খপ করে ওর হাত ধরে ফেললো কেউ।
ভয়ে কেঁপে উঠল বুক। ধীরে ধীরে চোখ তুলে পাশে তাকাতেই নির্জন কে দেখে ভয়ে বলে উঠলো, ‘ হাত ছাড়ো’
নির্জনঃ তুই এখানে এতো রাতে দরজার সামনে কি করিস..।
ছোঁয়াঃ আ..আমি তো এখান দিয়ে ছাঁদে যাচ্ছিলাম।
নির্জন হেঁসে বললো,’ তাই নাকি.?’

ছোঁয়াঃ হুম।
নির্জনঃ তাহলে দরজায় নক করতে যাচ্ছিলি কেন.?
ছোঁয়াঃ এমনি, সর সামনে থেকে।
নির্জনঃ আজ তাদের দ্বিতীয় বাসর রাত আপাতত ডিস্টার্ব না করে গিয়ে ঘুমা।
ছোঁয়া মুখ ভেংচি কেটে বলে উঠলো, ‘ আসছে আমার সাধু। ‘

ছোঁয়া হেলতে দুলতে ছাঁদে চলে গেল।
ছোঁয়ার পিছু পিছু নির্জন ও ছাদে গেল।
চুপচাপ পাশাপাশি বসে রইলো দুইজন।
রাত প্রায় শেষ আজান দিবে ছোঁয়া ছাঁদ থেকে নেমে যেতে নিলে পেছন থেকে নির্জন বলে উঠলো, ‘ ছোঁয়া আমাকে বিয়ে করবি.?’

ছোঁয়ার পা থেমে গেল। অবিশ্বাস চোখে নির্জনের দিকে তাকালো ছোঁয়া।
ছোঁয়াঃ কি বললে!!..?
নির্জনঃ আমাকে বিয়ে করবি.?
ছোঁয়াঃ আমি ফাজলামোর মুডে নেই নির্জন।
নির্জনঃ আমি মোটেও ফাজলামো করছি না সিরিয়াস।
ছোঁয়া কি বলবে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেললো।
নির্জনঃ এভাবে তাকিয়ে থাকার মতো কি বললাম!
ছোঁয়াঃ নিজেকে জিজ্ঞেস করো…

ছোঁয়া চলে যেতে নিলে নির্জন পেছন ফিরে আকাশের দিকে তাকালো। সে জানে ছোঁয়া ওকে পছন্দ করে না সে আজও ব্যর্থ হলো ভালোবাসা বুঝাতে। কেন সে ছোঁয়ার সামনে নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে না!!?
পাশে কারো উপস্থিতি বুঝতে পেরে তাকিয়ে দেখলো ছোঁয়া দাঁড়িয়ে আছে।
ছোঁয়া রেগে নির্জনের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ ডায়রীতে তো ভালোই সব লেখা যায় সামনে আসলে মুখ বন্ধ!!।’

নির্জন অবাক হয়ে বললো,’ ডায়েরী! তুই কোথায় পেয়েছিস.?
ছোঁয়াঃ কোথায় পেয়েছি সেটা বড় কথা নয়। সেই ছোট থেকে ভালোবাসিস কিন্তু এখনো বলার মতো সাহস হয়নি.? তোকে কে পুলিশ হতে বলেছে গাধার সাথে ঘাস কাট গিয়ে।
নির্জনঃ তোর মতো পেত্নী কে ভালোবাসে কে.? সর যা..

ছোয়াঃ আমি পেত্নী!.? তাহলে তুই কি.? তুই তো পেত্নীর জামাই।
নির্জনঃ যাক নিজের মুখেই শিকার করলি তুই পেত্নী।
ছোঁয়া রেগে তাকিয়ে অন্য দিকে ফিরে গেল।
নির্জন হেঁসে আবার বললো,’ ছোঁয়া আমাকে বিয়ে করবি..?’
ছোঁয়া কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,’ তোর মতো গাধা আমি জীবনেও দেখিনি। এমন গাধার মতো বিয়ের প্রস্তাব দেয় কে.?’

মেঘের আড়ালে রোদ পর্ব ৪৪

নির্জন ঠাসস করে নিচে পড়ে গেল৷
ছোঁয়া চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে কিছু বলার আগেই নির্জন বলে উঠলো, ‘ ঠিক এভাবে আজ থেকে ১৫বছর আগে আপনার প্রেমে পড়ে ছিলাম ছোঁয়ারাণী, ছোঁয়ারাণী আপনি কি আমার রাজ্যের রাণী হবেন..? আমার কিউট কিউট বাচ্চার আম্মু হবেন.? আমার জলদি বাড়িতে আশার কারণ হবেন.?আমার অর্ধাঙ্গিনী হবেন.?

সমাপ্ত