শিমুল ফুল পর্ব ২১

শিমুল ফুল পর্ব ২১
জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর

শিমুল দরজায় থা/প্পড় দিতে দিতে ডাকে।কেউ সারা দেয় না।তখনি মোবাইলে রিংটোন বেজে উঠে।ইচ্ছা না থাকা সত্বেও তিয়াসের ফোন দেখে ধরে।ফোন কানে দেয়ার সাথে সাথে তিয়াসের কন্ঠ শুনে,

“শিমুল পুষ্পকে তো লুকিয়ে ওই সাফিনের সাথে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে।তুই তাড়াতাড়ি আয়।”
পুষ্পর বিয়ে?এই ভ/য়টাই সে পাচ্ছিলো।তার বুকের গহীনে ভ/য়ংকর ব্যাথা হয়।গলা আটকে কান্না আসে।জড়ানো গলায় বলে,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“কিভাবে আসবো?আমাকে আ/টকে রেখছে।”
তিয়াস অবাক হয়ে বলে,
“বলিস কি?তাহলে কি করবো?”
“আমাকে বের করার ব্যবস্থা কর।”
“আচ্ছা দেখি।শুনেছি যোহরের পরেই বিয়ে হয়ে যাবে।”
শিমুল ফোন কেটে চিৎ/কার করে তার মাকে ডাকে।

“মা,মা দরজা খুলো।মা তোমার পায়ে পড়ি মা।আমার পুষ্পর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে মা।”
তখন দরজার ওপাশ থেকে শওকত হাওলাদার গা জ্বা/লানো হাসি দেয়।
“কি ব্যাপার কালকে না বড়ো বড়ো কথা বললে।তোমার পুষ্পর তো বিয়ে হয়ে যাচ্ছে অথচ তুমি রুম থেকেই বেরোতে পারছনা।প্রেমিক হিসাবে তুমি ফেইল।”
শিমুল গলা ফাটিয়ে চি/ৎকার করে উঠে।

“দরজা খুলে দে নাহলে আমি কি করবো ভাবতে পারবি না।”
“যোহরের পরে খুলবো।বিয়েটা হয়ে যাক।”
শিমুল মুহূর্তেই কেঁদে দেয়।

“আব্বা আপনার পায়ে পড়ি আব্বা।দরজা খুলে দেন,সারাজীবন আপনার গোলাম হয়ে থাকবো।”
“চুপচাপ থাকো।আর সবাই শোনো এই দরজার সামনে যেন কেউ না আসে।আমার অনুমতি ব্যতীত যে দরজা খুলবে তার অবস্থা হবে ভ/য়াবহ।”
শিমুল চেচিয়ে বলে,

“ওই কু/ত্তার বাচ্চা তুই দরজা খোল।কাপুরুষের বাচ্চা আমাকে আটকে রেখে জিতে যেতে চাস?পারলে দরজা খুলে দে।”
“আজকে গা/লাগা/লি করলে আমি মাইন্ড করবো না।ইচ্ছেমতো গা/লি দাও।আমি বিয়ে দিয়ে আসি।”

শিমুল সত্যি সত্যিই তার আব্বাকে সব বি/শ্রী গা/লি দেয়।ঘরের সব ভেঙে চুরমার করে ফেলে।দরজায় চেয়ার দিয়ে আঘাত করে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে।কিন্তু কাঠের দরজা ভাঙ্গে না।শিমুল জোড়ে জোড়ে কাঁদে।অসহায় হয়ে ফ্লোরে বসে পড়ে।কালকে রাতেই ভুল হয়েছে,পুষ্পর বাচ্চামোকে প্রাধান্য দেয়া ঠিক হয়নি,শিমুলের উচিত ছিলো পুষ্পকে নিয়ে চলে যাওয়া।

তার বুঝা উচিত ছিলো যারা এভাবে মা/রতে পারে তারা কখনোই পুষ্পর কথায় রাজি হবেনা।পুষ্পর আবেগকে আগে ভাবা ঠিক হয়নি।যদি চলে যেতো তাহলে আজকে এই দিন এই বি/শ্রী সময় আসতো না।অহ পুষ্প তুই কি করলি?শিমুল হাটুর ভাজে মুখ লুকিয়ে কেঁদে দেয়।বাচ্চাদের মতো শব্দ করে কাঁদে।আল্লাহর কাছে আর্জি করে,আল্লাহ আমার সহায় হও।বের হওয়ার ব্যবস্থা করে দাও।আবার দরজায় হাত চাপরে বলে,

“মা তুমিও এতো নি/ষ্ঠুর!মা হয়ে বুঝলে না সন্তানের কোথায় জ্বলে।আমি ম/রে যাবো মা।তোমরা পুষ্পর বিয়ে দিতেছো না আমার ক/বর করতেছো।অ মা দরজা খুলো মা।আমার পুষ্প ম/রে যাবে।”

শিমুল আকুতি মিনতি করতে করতে কাঁদে।ঘরের সবাই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।শিমুলের থেকে এমন কান্না আসা করেনি।কখনো কেউ ভাবেনি একটা সস্তা মেয়ের জন্য শিমুল এভাবে কাঁদবে।সবাই ভেবেছিলো পুষ্পর সাথে মজা করে ছেড়ে দিবে কিন্তু শিমুল যেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।শিমুলের চিৎকারে হাওলাদার বাড়ি কেঁপে ওঠে।

রাবেয়া ছেলের কান্না সহ্য করতে পারেনা।মুখে আঁচল চেপে ধরে।তার ইচ্ছা করছে দরজা খুলে দিতে। ছেলের খুশী চোখ ভরে দেখতে।কিন্তু সামনের সোফায় শওকত হাওলাদার বসে আছে। উনি চলে যাবে বললেও যায় নি হয়তো যোহর পর্যন্ত বসে থাকবে।রাবেয়া উনার কাছে গিয়ে বলেন,

“একটু দয়া করেন।আমার ছেলেটা ম/রে যাবে।আল্লাহর দোহাই লাগে।আপনার পায়ে পড়ি।”
এটা বলতে বলতে রাবেয়া বসে স্বামীর পায়ে ধরে।
শওকত হাওলাদার বললো,

“তোমাকে বিয়ে করাই আমার ভুল ছিলো।এখন আমাকে এতো রাগিয়ো না যে এতো বছর পরে ভুল সংশোধন করতে তিন কথা বলে দেই।”
রাবেয়া স্তব্ধ হয়ে স্বামীর দিকে তাকিয়ে থাকে।কি নি/ষ্ঠুর মানুষ!রাবেয়ার মনে হচ্ছে তার জীবনটাই বৃথা।বড়ো ছেলের কান্না দেখেও কিছু করতে পারেনি আর ছোটো ছেলের বেলায়ও অসহায়।মা হিসেবে সে ব্যর্থ।

কালকে রাতে পুষ্পর বলা কথাটা শিমুলের কানে বাজে, “পুষ্প বেঁচে থাকলে তোমার আর যদি বেঁচে থাকতে অন্য কারো হতে হয় তাহলে পুষ্প বাঁচবে না।সইচ্ছায় মরে যাবে।”তার পুষ্প যদি উল্টাপাল্টা কিছু করে ফেলে!শিমলতো জানে পাখিটা তাকে কতো ভালোবাসে।তার জন্য কতো পাগল।সে জোড়ে জোড়ে বলে,

“আমার পুষ্পর কিছু হলে তোদের একেকটা কে জ্যান্ত ক/বর দিবো। শওকত তুই দরজা খুল আমার পুষ্পর কিছু হলে তুই শে/ষ।”
শিমুল আবার বাচ্চাদের মতো কাঁদে।হাত দিয়ে চুল খাম/চে ধরে।পাগ/লের মতো মাথা নেড়ে নিজে নিজে বলে না না।আমার পুষ্পর কিছু হবে না।জান তুই অপেক্ষা কর আমি আসবো।আমি আসবো জান।তারপর আবার গলা উচিয়ে তার আব্বাকে বি/শ্রী সব গা/লি দেয়।তখনি তিয়াস আসে শওকত তিয়াসকে দেখে বলে,

“কি ব্যাপার কেনো এসেছো?”
শিমুল আর তিয়াস ছোটবেলা থেকে একসাথে বড়ো হয়েছে।একজন আরেকজনের খুব ভালো বন্ধু।শিমুলের কান্নায় তিয়াসের বুক ভারী হয়ে চোখ ভরে পানি আসে।চেয়ারম্যানের দিকে তাকিয়ে বলে,
“চাচা শিমুলকে যেতে দিন।”

তিয়াসের কথা শুনে শওকত হাওলাদার হো হো করে হাসে।
“আজকে দুনিয়া উল্টে গেলেও শিমুল বের হতে পারবেনা।”
হঠাৎ করে তিয়াস হাটুমুড়ে শওকত হাওলাদারের পায়ের কাছে বসে পা আঁকড়ে ধরে ফুপিয়ে কেঁদে দেয়।
“চাচা দুইটা’ই ম/রে যাবে চাচা।আপনি নিজেও জানেন না শিমুল পুষ্পকে কতো ভালোবাসে।”
শওকত বলেন,

“পা ছাড়ো।চামচামি করতে এসেছো?যাও বাড়ি যাও।”
“চাচা একটু দয়া করেন।বিয়েটা আটকান চাচা।”
শওকত হাওলাদার মুচকি হাসে।বিয়ে আটকাবে সে?কেন আটকাবে?কাল রাতে মিজান বলে গেছে আজকে পুষ্পর বিয়ে শিমুল যেন ওদিকে না যায়।তাইতো সকাল হওয়ার সাথে সাথেই শিমুলের দরজা বন্ধ করে এই এক জায়গায় বসে আছে।তিয়াসের দিকে তাকিয়ে বললো,

“বাড়ি যাও।যা আবদার করেছো তা কখনো পুরন হবেনা।”
শিমুল তিয়াসের কন্ঠ শুনে বলে,
“তিয়াস তুই এসেছিস?আমাকে নিয়ে যা।এই শুয়ো***বাচ্চা আমাকে আটকে রেখেছে আমাকে নিয়ে যা।আমার পুষ্প….. ”

এটুকু বলে শিমুল আবার কাঁদে।শিমুলের কান্না শুনে তিয়াস সব উপেক্ষা করে দরজার দিকে ছুটে।তা দেখে শওকত আর মজিব হাওলাদার তিয়াশকে পেছন থেকে কি/ল ঘু/ষি দিয়ে ধা/ক্কিয়ে বের করে দেয়।তিয়াস অসহায় হয়ে বাড়ির বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকে।বাপ ছেলের দিকে তাকিয়ে ঘৃ/ণায় মাটিতে থু থু মারে।

পুষ্প বিছানায় বসে পাগ/লের মতো কাঁদে।তার ভুলের জন্যই আজকে এই পরিনতি।কে বলেছিলো ফিরে আসতে?পাকনামি করে বাবা মায়ের কাছে তাদের মন রক্ষায় ফিরে এসেছে আর তারা কিনা বিয়ের বন্দোবস্ত করে ফেলেছে।ভুল করেছে সে তার শিমুলের সাথে চলে যাওয়া উচিত ছিলো।

শিমুলের কথা ভাবা উচিত ছিলো।শিমুল বলেছিলো যারা মা/রা/মা/রি ছাড়া কিছু বুঝেনা তারা আর যাইহোক মেনে নিবেনা।এখন শিমুল কি করছে? আসছেনা কেন?নাকি জানেনা?পুষ্প হাত দিয়ে বিছানার চাদর খামচে ধরে।দাত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরে।হাত দিয়ে চুল খামচে বিছানায় হেলে পড়ে ঘুঙ্গিয়ে উঠে।শিমুলকে ছাড়া সে বাচ/বেনা।অন্য কারো বউ হওয়ার চেয়ে ম/রে যাওয়া অনেক ভালো।বুকে অসহ্য ব্যথা জানিয়ে দিচ্ছে বিচ্ছেদের করুণ হাহাকার।রোকসানা শাড়ী নিয়ে আসে পুষ্প মাকে দেখে মায়ের পায়ে লুটিয়ে পড়ে।

“আম্মাগো আমারে বিয়ে দিওনা।আমার শিমুল ম/রে যাবে।দয়া করো আম্মা।”
রোকসানা জোর করে পা ছাড়িয়ে নেয়।তখনি মিজান শেখ আসে,
পুষ্প হামাগুড়ি দিয়ে তার আব্বা পায়ে গিয়ে ধরে,

“আব্বা।অ আব্বা বিয়েটা বন্ধ করে দাও।আমি শিমুলকে ছাড়া বাঁচ/বো না।”
মিজান বা রোকসানা কারোরই মন গলেনা।মিজান বলে,
“কিছুক্ষণ পরেই আজান দিয়ে ফেলবে।মুন্নীকে বলো শাড়ী পড়িয়ে দিতে।”
পুষ্প ফ্লোরে হাত বারি মেরে বলে,

“আমাকে জোড় করে বিয়ে দিলে আমি ম/রে যাবো।কথা বুঝনা তোমরা?”
রোকসানা পুষ্পর গাল চেপে ধরে বললো,
“তোর লা/শের সাথেই বিয়ে দেবো।তাও শিমুলের কাছে দিবো না।”
পুষ্প ঠোঁট উল্টে কেঁদে বললো,
“তোমরা এতো নিষ্ঠুর গো আম্মা?এমন করো না,আমার শিমুল ম/রে যাবে।”

পুষ্পর করুন কান্নায় উনাদের মন গলেনা মন্নী আসলে উনারা চলে যায়।পুষ্প ফ্লোরে শুয়ে পড়ে।আহা শিমুলকে ছাড়া বাঁচবে কি করে?শিমুলের নামে নিজেকে লিখে না দিতে পারলে পুষ্পর মৃ/ত্যু হয়ে যাক।ফ্লোরে হাত থা/প্পড় মে/রে বলে জান তুমি কই?আমার ভুল হয়েছে।এইবার নিয়ে যাও আমি আর কখনো ফিরে আসবো না।শিমুল।”

মুন্নী তাকে টেনে তুলে।পুষ্প তার বোনকে দেখে।সবাই তাকে কতো ভালোবাসতো অথচ এখন কি নি/ষ্ঠুর তাদের ব্যবহার।পুষ্প মুন্নীকে কিছু বলতে চাইলে মুন্নী বলে,
“একটা কথাও বলবি না।বেশী পেকে গেছিস।”

মুন্নীর ফোনটা টেবিলের উপরে রাখা।পুষ্প আড়চোখে তাকিয়ে দেখে।তারপর আস্তে করে সরে মোবাইলটা আড়াল করে দাঁড়ায়।মুন্নী ড্রেসিংটেবিল থেকে সেফটিপিন আনতে গেলে পুষ্প মোবাইলটা খাটের তোশকের নিচে ঢুকিয়ে ফেলে।তারপরের সময়টা পুষ্প শান্ত হয়ে শাড়ী পড়ে নেয়।শাড়ী পড়ানোর পরে মন্নী মোবাইলটা খুঁজে ভাবে অন্যরুমে তাই খুঁজতে যায়।পুষ্প দ্রুত গিয়ে দরজা আটকে দেয়।

মোবাইলটা বের করে শিমুলের নাম্বার ডায়াল করে।
শিমুল তখনো দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করছে।ফোন আসাতে বিরক্ত হয় পরক্ষনেই ভাবে পুষ্প কিনা।তাই ধরে।
পুষ্প ধরা গলায় বলে,
“শিমুল,আমার জান।”

পুষ্পর গলা শুনে শিমুল স্থির হয়ে যায়।পুষ্পই আবার বলে,
“আমার বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে তুমি কই?আসতে এতো লেট করছো কেন?আমার ভুল হয়ে গেছে কালকে রাতে ফিরে আসা উচিত হয়নি।এরা ভালো না।”
শিমুল ফুঁপিয়ে কেঁদে বলে,

“পুষ্প রে।আমাকে তো আটকে রাখছে।”
পুষ্পও হাহাকার করে বললো,
“আল্লাহ আমি কেন ফিরে আসলাম?অ-জান আমাকে নিয়ে যাও।”
শিমুল চুপ করে থাকে।পুষ্পই আবার বলে,
“আমি তোমাকে ছাড়া ম/রে যাবো।”

শিমুল কাঁদে।তার পা/গল পা/গল লাগছে।পুষ্প কাঁদতে কাঁদতে বললো,
“বিয়ের শাড়ী পড়িয়ে দিয়েছে।আমি ম/রে যাবো তাও বিয়ে করবনা।”
শিমুল বললো,

“দুনিয়া এতো নি/ষ্ঠুর কেন?ওরা আমাদের একসাথে বাঁ/চতে দিলো না।”
পুষ্প কান্না গলায় বলে,
“শিমুল,তোমার সাথে বাঁচতে না পারলে আর বাঁচার ইচ্ছা নাই।”

শিমুল কিছু বলার আগেই ফোনটা কেটে যায়।পুষ্প কান থেকে ফোনটা নামিয়ে দেখে মোবাইল বন্ধ হয়ে গেছে।তখনি বাহিরে বলতে শুনা যায় কাজী এসেছে,পুষ্প উঠে টেবিলের দিকে যায়।

আল্লাহর ঘরে নামায পড়তে যাওয়ার জন্য মোয়াজ্জিন আজান দিচ্ছে।শিমুল স্তব্ধ হয়ে আজানের সুরটা শুনে।তার পুষ্পর এখন বিয়ে হবে।পুষ্প অন্যকারো হয়ে যাবে।সে ব্যর্থ,প্রেমিক হিসেবে ব্যর্থ।শিমুল ঘর কাঁপিয়ে চি/ৎকার দিয়ে মাথা দিয়ে দেয়ালে আ/ঘাত করে।একটা দুইটা আ/ঘাত করে থামে না।অনেকগুলো আ/ঘাত করে যখন আর শক্তি পায় না তখন দেয়াল ঘেষে বসে পড়ে।মাথা থেকে র/ক্ত বেরোচ্ছে।বেরোচ্ছে বললে ভুল হবে যেন কলকল করে পানির মতো র/ক্ত পড়ছে।শিমুল শরীরের শেষ শক্তিটুকু দিয়ে চিৎ/কার করে বললো,

“তোরা বাঁচ/তে দিলি না।”
পুষ্প টেবিলের রেক্সিনের নিচে থেকে ব্লে/ডটা বের করে।অনেকদিন আগে খাতা বাধার পরে বাড়তি সুতো কাটার জন্য কিনেছিলো।আজকে সেটা পেয়ে পুষ্প তৃপ্তির হাসি হাসে।
ফ্লোরে বসে চোখ বন্ধ করে হাতে ব্লে/ড টেনে টেনে বলে তোমাকে ছাড়া বাঁচা সম্ভব না।কিছুক্ষণ পরেই ফ্লোর র/ক্তে লাল হয়ে যায়।পুষ্প বলে,

শিমুল ফুল পর্ব ২০

“তোমাকে আর পাওয়া হলো না শিমুল।”
পুষ্পর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়,হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্ট হয়ে বুকে চাপ পড়ে।
আশ্রুচোখে ঢলে পড়ে ফ্লোরে।

শিমুল ফুল পর্ব ২২