শিমুল ফুল পর্ব ৪৪

শিমুল ফুল পর্ব ৪৪
জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর

শিমুলের কথায় পুষ্প হতবাক।কথা বলার শক্তি যেনো ফুরিয়ে গেছে।ঠোঁট নেড়ে কোনোরকমে বললো,
“সত্যি?”
শিমুল মাথা ঝাকায়।একটা চাকরি যে তাদের দুজনের কাছে কি এটা শুধুমাত্র তারাই জানে।শিমুলের কথা যেনো পুষ্পর বিশ্বাস হয় না।সে মাথা নেড়ে বলে,

“আসলেই?এসব নিয়ে একদম মজা করবেনা বলে দিলাম।”
অনেকদিন পরে শিমুলের মুখে খুশীর ঝলকানি পুষ্পর নজর এড়ায় না।এতেই শিমুলের কথার সত্যতা যাচাই করে নেয়।সে শিমুলের খুশীতে উজ্জ্বল মুখের দিকে তাকিয়ে কেঁদে দেয়।হাত দিয়ে শিমুলের গলা আঁকড়ে ধরে। শিমুল থেমে বলে,
“আরে এখন কাঁদো কেনো?তোমার কাঁদার দিন শেষ পুষ্পরাণী।তোমার বর ভার্সিটির লেকচারার হয়ে গেছে।শনিবার থেকেই জয়েনিং ”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তার কথা শুনে পুষ্প বাচ্চাদের মতো ভে ভে করে কেঁদে দেয়।শিমুল পুষ্পকে সহ ফ্লোরে বিছানো তোষকে বসে।কান্নারত বউয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসে।শিমুলের মিটিমিটি হাসা দেখে পুষ্প কান্না থামায়।শিমুল বলে,
“আরো কাঁদো।দেখতে ভালোই তো লাগছে।”
পুষ্প শিমুলের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।চোখ দিয়ে ঠিক পানি পড়ছে।চোখের পানির দিকে তাকিয়ে শিমুল থম মেরে তাকিয়ে থাকে।কিছুক্ষণ পরে গম্ভীর গলায় বলে,
“তোমার চোখ থেকে অনেক পানি ঝরেছে।আজকেই যেনো শেষ কান্না হয়।আর কখনো কাঁদবে না।মনে থাকবে?এখন হাসো তো।”

পুষ্প কান্নারত মুখেই হাসে।চোখে জল মুখে হাসি।মথা নেড়ে বললো,
“আমার খালি কান্না আসতেছে।”
এটা বলে আবার কেঁ/দে দেয়।শিমুল কিছু বলেনা।সে জানে পুষ্প খুশীতে কাঁ/দছে।থাক কাঁ/দুক।মাঝে মাঝে কাঁ/দার প্রয়োজন হয়।

রাতে শিমুল পুষ্পকে নিয়ে বাহিরে খেতে যায়।দুজনে খাওয়ার পরে কতোক্ষন হাটে।তারপর দুজনে ব্রীজের উপর গিয়ে দাঁড়ায়।রাতের খোলা বাতাস এলোমেলো ছুটে দুজনকে ছুঁয়ে দেয়।পুষ্প মুগ্ধ চোখে রাতের ঢাকা দেখে।আজকে রাতের ঢাকা দেখতে ভালো লাগছে।শিমুল পুষ্পর হাত ধরে টেনে দুজনের মাঝের কিঞ্চিৎ দুরুত্ব ঘুচিয়ে দেয়।তাদের বিয়ের বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু শিমুল পুষ্পর কোনো শখ আহ্লাদ পুরণ করতে পারেনি।

আসলে পুষ্প কোনো শখ করেইনি।সে সবসময় শিমুলের পকেটের খবর জেনে কিছু চায় কিন্তু শিমুলের ইচ্ছা করে বউকে এটা সেটা কিনে দিতে।বিয়ের পরে এখনো দুজনে কোথাও ঘুরতে যায়নি।শিমুলের খুব ইচ্ছা করে দূরে পাহাড় ঝর্ণা ঘুরে আসতে কিন্তু টাকার কারণেই যাওয়া হয় না।একদিন টাকা হবে কিন্তু এই শখের বয়সটা আর থাকবে না।তখন মানিব্যাগ ভর্তি টাকা থাকবে কিন্তু কিছু খেতে,ঘুরতে বা কিনতে ইচ্ছা করবেনা।শিমুল দীর্ঘশ্বাস ফেলে পুষ্পর কাধে চোয়াল ঠেকিয়ে বলে,

“খুব ভালোবাসি পুষ্পরানী।”
পুষ্প দূরে টিমটিম করে জ্বলা লাল বাতিটার দিকে তাকিয়ে হাসে।এই পুরুষটা তার জীবনের সবথেকে বড়ো পাওয়া।যতো রকমে একটা মেয়েকে সুখী করানো যায় সবটাই শিমুল করে।নিজের সর্বস্ব উজার করে সে তার পুষ্পরানীকে ভালোবাসে।সুখে সুখে সর্বসুখী বানাতে চায়।শিমুলের এমন সহজ স্বীকারোক্তি শুনে পুষ্পর মনে ভালোলাগার পরিমান বাড়ে।হাত দিয়ে শিমুলের উষ্কখুষ্ক চুলে আঙুল ভুলিয়ে বলে,

“ভালোবাসি শিমুলরাজা।”
রাতে বাসায় ফেরার পরে শিমুল পুষ্পর সানিধ্য ছাড়ে না।আজকে তার রাজ্যত্ব চলবে।কোনো না টা চলবে না আজকে দুজনের খুশীর দিন।আর পাশে যদি থাকে পুষ্পর মতো প্রিয় রমনী তাহলে কোনো কথা শুনতে বা মানতে চায় কে?শিমুলের বেশামাল কথায়,আদুরে আবেশে পুষ্প খিলখিল করে হেসে উঠে।শিমুল মুগ্ধ নয়নে এই পবিত্র হাসি দেখে।এমন কঠিন পরিস্থিতিতে মেয়েটা যেভাবে তাকে সান্ত্বনা দিয়েছে এটাই শিমুলের শক্তি,এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।পুষ্প শিমুলের চোখের দিকে তাকিয়ে বলে,

“কি দেখো?”
“তোমাকে।”
পুষ্প লাজুক হাসে।ছেলেটা এতো সহজে সব স্বীকার করে নেয়!হতে পারে তাদের টাকা কম কিন্তু ভালোবাসায় একদম ভরপুর।পুষ্প মনে মনে ভাবে আচ্ছা শিমুলের টাকা হলেও কি এভাবে ভালোবাসবে সহয স্বীকারোক্তি করবে?কাঙাল হয়ে ভালোবাসা চাইবে?নাকি পুষ্পর থেকে দুরুত্ব বাড়িয়ে দিবে।পুষ্প মনের খচখচানি চেপে রাখতে পারে না।শিমুলের বুকে নাক ঘষে আদুরে গলায় বললো,

“যখন তোমার অনেক টাকা হবে তখনো কি আমাকে এভাবে ভালোবাসবে?”
শিমুল ভ্রুকুচকে বললো,
“টাকার সাথে ভালোবাসার কি সম্পর্ক?”
“না!টাকা হলে যদি কম ভালোবাসো!”
শিমুল বললো,

“দূর পাগলি।তুমি আমার রানী।রাজার কাছে রানীর গুরুত্ব সবসময়ই বেশী।আমার খারাপ সময়ে যে পাশে থেকেছে আল্লাহ চাইলে ভালো সময় আসলে তাকে ভুলে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।”
শিমুলের উত্তর শুনে পুষ্প খুশী হয়।আহ্লাদী গলায় বললো,
“কখনো কষ্ট দিবে না।আমি একদম সইতে পারবোনা।ম/রেটরেও যেতে পারি।”

শিমুল হাসে।পুষ্পকে কষ্ট দেয়ার প্রশ্নই আসে না।তাকে সুখে রাখতেই তো এতো ল/ড়াই।
পুষ্পর ফর্মফিলাপের জন্য টাকার দরকার।শিমুলের হাতে সামান্য টাকা আছে।শিমুলের হাতের মোবাইলটা বিক্রি করে দেয়।পলাশ যদিও শিমুলকে টাকাটা দিতে চেয়েছিলো কিন্তু শিমুল নেয়নি।এই দুর্গম পথে কারো সাহায্য ছাড়াই জয়ী হতে চায়।পুষ্প একবার বলেছিলো,
“পরিক্ষা না দেই!এই অবস্থায় এতোগুলো টাকা কোথায় পাবো?”
শিমুল কঠিন চোখে তাকিয়ে বলেছে,

“পরিক্ষা না দেই মানে?কার জন্য এতো কষ্ট করছি?মাথায় ঢুকিয়ে নাও তোমাকে অনেক পড়তে হবে পুষ্প।”
পুষ্প মাথা নিচু করে ফেলে।তাকে নিয়ে শিমুলের অনেক স্বপ্ন।মোবাইল বিক্রির অর্ধেক টাকা গ্রামে পাঠিয়ে বাকি টাকা দিয়ে শিমুল দুইটা পেন্ট আর দুইটা শার্ট কিনে।ভার্সিটিতে তো আর যেমন তেমন করে গেলে হবেনা।সে শিক্ষক মানুষ শালীনতা বজায় রেখে সুশীল পোষাকে যেতে হবে।চুল দাড়ি কেটে নিজেকে চলনসই করে।অবশেষে কাঙ্ক্ষিত দিন আসে।

শিমুল ভার্সিটিতে যায়।সব শিক্ষকরা তাকে স্বাগতম জানায়।সব স্টুডেন্টের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।কিছুদিনের মাঝেই ছাত্রছাত্রীর প্রিয় স্যারের জায়গা দখল করে নেয়।শিমুল বেশ বুঝতে পারে মেয়েরা যে তাকে মুগ্ধ চোখে দেখে।তার নাম যেমন সে দেখতেও তেমন।

এক দেখায় সবার নজর কাড়তে সক্ষম।শিমুল ভুল করেও কোনো মেয়ের দিকে তাকায় না।সে জানে এটা ভার্সিটি কলেজ না।ভার্সিটির মেয়েরা স্যারকে কিছু বলতে দ্বিধা করবেনা।এই চাকরিটা তার সোনার হরিণের মতো এটা হারানোর মতো কোনো কাজ করা যাবেনা।এভাবেই কেটে যায় এক মাস।ইদানিং তিহা নামের একটা মেয়ে সারাক্ষণ ফলো করছে।ব্যাপারটা শিমুলের ভালো লাগে না।সে বেশ বিরক্ত।

শিমুল ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে রিকশার জন্য দাঁড়ায়।তখনি থার্ড ইয়ারের ক্লাস টপার তিহা এসে পাশে দাঁড়ায়।শিমুল একপলক তাকিয়ে আবার সামনে তাকিয়ে থাকে।তিহা গলা খাঁকারি দিয়ে শিমুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়।শিমুল ভদ্রতাবসত তাকায়।তিহা বলে,

“স্যার।”
তিহার না বলা কথা তার মুখের লাজুক হাসিতেই বুঝা যাচ্ছে।শিমুল বিরক্তিভাবে তিহার দিকে তাকিয়ে বললো,
“কিছু বলবেন?”
বড়োলোক বাবার একমাত্র মেয়ে।শিমুলকে নিজের কথা জানাতে দ্বিধা করেনা।
“স্যার!আপনাকে আমার ভালো লাগে।”
শিমুল আন্দাজই ঠিক হয়।সে মুচকি হেসে বললো,

“তারপর?”
“আপনি চাইলে আব্বুকে বলে আমরা বিয়ে করে ফেলবো যদি আপনার প্রেমে আপত্তি থাকে।”
“গুড আইডিয়া।তারপর?”
শিমুলের কথায় তিহা অপ্রস্তুত হয়।মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে।মিনমিন করে বলে,
“প্রথম দিন থেকে আপনাকে ভালো লাগে।আপনাকে না পেলে ম/রে যাবো।”
শিমুল মনে মনে হাসে।এই সিনেমাটিক ডায়লগ এই যুগেও ব্যবহার হয় নাকি!

“ম/রবেন কেনো আমি কি অক্সিজেন?”
শিমুলের কথায় তিহা খুশী হয়।লাজুক হেসে বললো।
“হ্যাঁ।”
শিমুল প্যান্টের পকেট থেকে ম্যানিব্যাগটা বের করে পুষ্প আর তার জড়িয়ে ধরে রাখা ছবিটা দেখিয়ে বলে,
“আমার অক্সিজেন।আশা করি আর কখনো এসব বলতে আমার সামনে আসবেন না।আমি শিক্ষক সম্মান দিতে শিখুন।”
তিহা অবাক চোখে ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকে।মেয়েটা কে জিজ্ঞাসু চোখে শিমুলের দিকে তাকালে শিমুল বলে,
“এটা আমার স্ত্রী।আমার পুষ্পরাণী।”

রিকশা আসলে তিহার অবাক হওয়া দৃষ্টি উপেক্ষা করে শিমুল বাসার উদ্দেশ্য যায়।তার পকেটে প্রথম মাসের বেতনটা।খুশীতে তার কেমন জানি লাগছে।বারবার পুষ্পর হাসিমাখা মুখটা ভেসে উঠে।ভাবছে গিয়ে টাকাটা পুষ্পর হাতে দেবে।
পুষ্প তখন বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছিলো।আজকাল শরীরটার অবস্থা ঠিক বোধগম্য হয় না সবসময় খারাপ লাগে।শরীর গুলিয়ে আসে শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করে।শিমুলকে ফোন দিতে ইচ্ছে করলেও উপায় নেই তার যে মোবাইল নেই,শিমুল একটা বারোশো টাকার সেট ব্যবহার করে।শিমুলের কথা ভাবতে ভাবতেই শিমুল আসে।পুষ্প ঠান্ডা পানি এনে দেয়।শিমুল পুষ্পর হাতে একটা খাম দিয়ে বলে,

“এটা তোমার।”
পুষ্প খামের দিকে তাকিয়ে বলে,
“কি?”
শিমুল পানি খায়।গায়ের শার্ট খুলতে খুলতে বলে,
“খুলো।খুলে দেখো।”
পুষ্প খামটা খুলে দেখে অনেকগুলো একহাজার টাকার নোট।তার চোখের মনি বড়ো হয়ে যায়।বিষ্ফোরিত নয়নে শিমুলের দিকে তাকায়।শিমুল পুষ্পর চাহনি দেখে হাসছে।পুষ্প দ্রুত বললো,

“বেতন পেয়েছো?”
“হ্যাঁ।”
“আল্লাহ কতোগুলো টাকা!”
শিমুল হাসে।পুষ্প টাকাগুলোর দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে যায় দুজনে এই টাকার জন্য কতো কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।এতোগুলো টাকা হাতে নিয়ে পুষ্প ঝরঝর করে কেঁ/দে দেয়।শিমুল অবাক হয়ে বললো,
“এই!এই মেয়ে আবার কাঁ/দো কেনো?আল্লাহ!কি য/ন্ত্রণা।”

পুষ্প কথা বলে না।শিমুলের দিকে তাকিয়ে কাঁ/দে।শিমুল কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরে।শাসানো গলায় বলে,
“আর কাঁ/দতে মানা করেছিলাম না।”
পুষ্প টাকাগুলো বুকে জড়িয়ে বলে,
“আজকেই শেষ।আর কখনো কাঁ/দবো না।”
শিমুলের চোখের কোনও পানিতে ভরে আসে।গলা বুজে কান্না আসতে চায় কিন্তু কাঁদে না তার যে শক্ত থাকতে হবে পুরুষ বলে কথা!নারীদের মতো সহজেই নিজেকে ভেঙে দেয়ার অধিকার যে বিধাতা দেয়নি।পুষ্পর মাথায় চুমু দিয়ে বললো,
“আচ্ছা।আজকেই লাস্ট।”

শিমুলের আশকারা পেয়ে পুষ্প হাউমাউ করে কাঁদে।এই টাকার জন্য শিমুল কতো অপমানিত হয়েছে।দুজনে খাবারের কতো কষ্ট পেয়েছে।শিমুলের মাথায় দুষ্টুমি আসে।আস্তে করে বললো,
“আজকে আমাকে আমার এক ছাত্রী বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে।”
সাথে সাথে পুষ্পর কান্না থেমে যায়।তড়িৎ গতিতে মাথা তুলে শিমুলের দিকে তাকায়।পুষ্পর থমকানো চেহারা দেখে শিমুলের খুব ভালো লাগে।আরেকটু রা/গাতে বলে,
“ছাত্রীদেরই’বা কি দোষ বলো?এমন তরতাজা স্যার যদি ঘুরে ঘুরে ক্লাস নেয় তাহলে কি প্রেমে না পড়ে পারে।ইশ কি ফিলিংস।আহা।”

পুষ্প রা/গলো না বরং পদ্মবরণ আঁখিতে পানির বাধ ভাঙলো।অবস্থা বেগতিক দেখে শিমুল কানে ধরে দাঁড়িয়ে সরি বললো।পরে উপায় না পেয়ে আধাখোলা শার্ট গায়েই কানে ধরে উঠবস করলো।পুষ্প ফোলাফোলা চোখে শিমুলের দিকে তাকিয়ে,ভাঙা গলায় ফ্যাসফ্যাস করে বললো,
“আমি পরিক্ষা দিয়ে তোমার ভার্সিটিতেই ভর্তি হবো।তারপর সব্বাইকে বলে দিবো শিমুল আমার।আমার জামাই,আমার কলিজা।”
শিমুলের বুকটা সুখে সুখে পূর্ণ হয়ে উঠে।পুষ্পর লাল হওয়া নাকের ডগায় আলতো টোকা দিয়ে বললো,

শিমুল ফুল পর্ব ৪৩

“এতো হিং/সে?”
পুষ্প শিমুলের হাত সরিয়ে বললো,
“এতো মা/র খেয়ে বিয়ে করেছি এসব শোনার জন্য?যে আসবে হাত পা ভে/ঙে গলায় ঝুলিয়ে দেবো।আমি শিমুলের বউ।”

শিমুল ফুল পর্ব ৪৫