শেষ চৈত্রের ঘ্রাণ পর্ব ৪৫

শেষ চৈত্রের ঘ্রাণ পর্ব ৪৫
নূরজাহান আক্তার আলো

শুদ্ধ চট্টগ্রামে যাচ্ছে শুনে শীতলের মুখ হাসি ফুটল। অশ্রুসিদ্ধ দুচোখে বোনের দিকে একবার তাকিয়ে হাতের উল্টো পিঠে চোখ মুছল। নাকের সর্দি ওড়নায় মুছে মুখ কাঁচুমাচু করে আর দুই মিনিট সময় চেয়ে নিলো।
স্বর্ণ বুঝল তার পাগলি বোনটার মনের কথা। বুঝল, একবুক যন্ত্রণা নিয়ে স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ানো ভাইয়ের কথা। যে বাড়ির মেয়েদের আপন নানা মামাদের বাড়িতেও থাকার পারমিশন দিতো না। আজ এতকিছুর পরও সেই আবার ছুটে এসেছে শুধু নিরাপত্তার কথা ভেবে। জার্নি করে যাবে চট্টগ্রামে বারণ করেও যে কাজ হবে না সেটাও জানা কথা। তবে একটা কথা না বললেই নয় সে অমূল্য রত্ন দেখে নি তবে তার ভাইদের দেখেছে। যারা চৌধুরী নিবাসের গর্ব, দর্প!

সে আর দাঁড়াল না ধীর পায়ে হেঁটে এসে গাড়ির কাছটায় গিয়ে দাঁড়াল।
বুঝ হওয়ার পর থেকে সে কারো সামনে কাঁদতে পারে না। কাঁদতে গেলে
ভীষণ বোকা বোকা লাগে। মনে হয় কান্না হচ্ছে একান্ত আপন ও গোপন জিনিস। তাহলে কেঁদে অন্যকে দেখানোর কি আছে? অন্যরা কষ্টের ভাগ নেবে? নাকি কষ্ট মুছে দিতে পারবে? পারলে নাহয় গলাগলি করে একটু কাঁদতে পারত। বুকচাপা ব্যথাটা উগড়াতে পারত। এদিকে স্বর্ণের সাথে
শীতলকে না দেখে সিমিন আশেপাশে তাকিয়ে খুঁজল। তবে মেয়েকে না দেখতে পেয়ে ভার কন্ঠে বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-‘বোনকে নিয়ে এসে গাড়িতে বসো।’
-‘ওর শরীর খারাপ একটু বসে বিশ্রাম করছে করুক। তোমরা খেতে শুরু করো।’
-‘শুধু শুধু কথা বাড়িও না স্বর্ণ!’
-‘আমিও এটাই বোঝাতে চাচ্ছি কথা বাড়িও না খেতে শুরু করো।’
একথা বলে মায়ের থেকে কিছুটা দূরে সরে দাঁড়াল। তারপর নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে দেখে গেল রাস্তার পড়ে থাকা কৃষ্ণচূড়া ফুলের দিকে। একের পর এক গাড়ি এসে মারিয়ে দিয়ে যাচ্ছে ফুলগুলোকে। গাড়ির চাকাতে দলিত হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ফুলের আকার-আকৃতি, রুপ, রং, সৌন্দর্য।

বোন যেতেই শীতল মায়াভরা চোখে তাকাল শুদ্ধর দিকে। মানুষটা এত লম্বা সহজে নাগাল পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে তার কুচকুচে কালো চুলগুলো খামছে ধরে ঝাঁকিয়ে দিতে। কিন্তু এ দুনিয়ায় থাকতেও খুব ইচ্ছে করে। অথচ একাজ করলে বাঁচার সম্ভবনা ৫%। কারণ বিশুদ্ধ পুরুষ চুলে কাউকে হাত দিতে দেয় না, দেওয়া পছন্দও করে না। শীতল কিছু একটা ভেবে মনের সব ভয়, দ্বিধা ও জড়তাকে পেছনে ফেলে চট করে শুদ্ধর পায়ের পাতার উপর উঠে দাঁড়াল। শুদ্ধ ভ্রুঁ কুঁচকালে শীতল
শুদ্ধর শার্টের কলারের কাছে নাক ডুবিয়ে নিঃশ্বাস টেনে নিলো। এই তো সেই ঘ্রাণ! পরিচিত ঘ্রাণ! এ ঘ্রাণ হারানো ভয়েই পাগল পাগল লাগছিল।
কাঁদছিল অসহায় সুরে। সে দুই হাতে শার্টের কপাল চেপে ধরে বুভুক্ষের মতো একের পর এক নিঃশ্বাস টানতে টানতে চট করে মাথা তুলে বলল,

-‘শুদ্ধ ভাই চলেন আমরা পালিয়ে যাই?’
-‘পালাব?’
-‘হুম।’
-‘তা কোন সুখে পালাব?’
-‘ভালোবাসার সুখে। ভালো থাকার সুখে।’
-‘তারপর? পাঁচবছর পর ছানা নিয়ে ফিরব, তাই তো?’
-‘হুম।’
-‘আজ কেবল ভালোবাসার কথা বাড়িতে জানালাম। বাড়ির লোকজন মানল না আবার বোঝাব। প্রয়োজনে না মানা অবধি অপেক্ষা করব তাই বলে পালিয়ে বিয়ে করে, বাসর সেরে, বছর না ঘুরতেই বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ফেরার কথা ভেবে ফেলবি? তোকে বলেছিলাম ভালোবাসা শিখতে আর তুই ভালোবাসা শেখাল ছলে লাজ-লজ্জা গিলে খেয়েছিস?’
শীতল ঘাড় নাড়াল বোঝাতে চাইল এই লোক বুঝল আরেক। তাই সে বলল,

-‘এছাড়া কি আর উপায় আছে, আপনিই বলুন?’
-‘মাথামোটা মাথায় উপায়ও খুঁজেছিস?’
-‘ মজা একদমই ভালো লাগছে না শুদ্ধ ভাই। আপনাকে ছাড়া থাকতে পারব না, একদন্ড থাকতে চাইছিও না, কেন বুঝছেন না? চলেন না এই মুহূর্তে আমরা পালিয়ে যাই? তারপর আমরা একটা সংসার সাজাই?’
একথা শুনে শুদ্ধ চুপ তাকিয়ে আছে তার শীতলের দিকে। ব্যাঙাচি কি একদিনেই বড় হয়ে গেল নাকি? কিসব বলছে এসব? বড়দের মতো এত বড় বড় কথা বলতে কে বলেছে তাকে? আর কি বলল, সংসার করবে? সংসারের মানে বোঝে সে? ডিম ভাজতে গিয়ে ডিমের যে হাল বানায়, নিজের রুম গুছিয়েছে কখনো? তাতে আবার সে নাকি করবে সংসার..!
শুদ্ধকে চুপ থাকতে দেখে শীতল পুনরায় ফোঁপাতে ফোপাঁতে বলল,

-‘আপনি কি আমার কষ্টটা চোখে দেখছেন না শুদ্ধ ভাই?’
-‘না।’
-‘কেন? কেন দেখছেন না?’
-‘তোর বাবা-মা কি আমার কষ্ট দেখছে যে আমি তোর কষ্ট দেখব?’
-‘আপনার কিসের কষ্ট?’
-‘বুঝবি না।’
-‘এজন্যই বলছি এরা এদের ইগো নিয়ে থাকুক আমরা আমাদের পথ বেছে নেয়।’
-‘ তোর এই ছোট্ট মাথায় এতকিছু ভাবতে কে বলেছে, আমি আছি না?’
-‘ঠিক আছে ভাবব না। তবে বেশিদিন দূর থাকতেও পারব না এই বলে দিলাম। ঠিক এক সপ্তাহের মধ্যে যেন আমার সামনে দেখি।’

-‘এবার যা।’
-‘ঠিক এক সপ্তাহ।’
-‘হুম।’
-‘বাড়িতে গিয়ে সবাইকে বলবেন আমি তাড়াতাড়ি চলে আসব।’
-‘আচ্ছা বলব।’
-‘যাব?’
-‘হুম।’
-‘মন টা..টানছে না।’
-‘সিমিন চৌধুরী খুঁজতে চলে আসবে তখন আমাকে কথা শুনতে হবে।’
-‘যা..যাচ্ছি তো। দূরে গেলে কাছে আসতে বলেন আর কাছে গেলে দূরে সরতে বলেন। আপনি এবং আপনার ভালোবাসা খুবই খারাপ শুদ্ধ ভাই, খুব খারাপ। ‘
-‘যা।’

মুখে যাচ্ছি বললেও শীতল একচুল নড়লও না, না পায়ের উপর থেকে নামল। ওর অবস্থা বুঝে শুদ্ধ নিজেই শীতলকে নিজের থেকে সরালো। কি ভেবে একটু ঝুঁকে দুগালে হাত রেখে মুখটা কিঞ্চিৎ তুলল। পুরো মুখে চোখ বুলাল তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে। খুব মন দিয়ে দেখল শীতলের ছোট্ট কপাল, ডাগর ডাগর ফোলা চোখ, বোচা নাক, ফোলা গাল আর সর্বনাশা চিকন ঠোঁটজোড়ার মৃদু কম্পন। আচ্ছা, বোকারাণী কখনো কি জানবে তাকে ঘায়েল করার অস্ত্র তার কাছে লুকায়িত আছে। প্রেমিক পুরুষকে মারতে বুলেট প্রয়োজন হয় না প্রিয় নারীর কম্পিত ঠোঁটের কম্পনই যথেষ্ট তার সবকিছু এলোমেলো করে দিতে। শীতল নিজেও শুদ্ধর চাহনি বুঝে কিছু বলল না। সেও দেখতে চাইল শুদ্ধ কী করে কিন্তু তাকে হতাশ করে দিয়ে
শুদ্ধ তাকে ছেড়ে দিয়ে চোখের ইশারায় যাওয়ার কথা বলল। শীতল শুধু
ঘাড় কাত করে গুঁটি গুঁটি পায়ে গাড়ির কাছে এগিয়ে গেল। শুদ্ধ ভুলেও
চোখ তুলে তাকাল না সেখানে দাঁড়িয়ে মেঝের দিকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। সেভাবে কয়েক মিনিট পেরুলে হঠাৎ দেওয়ালের ওপাশ থেকে ইঁদুরের মতো মাথা বের করে শীতল বলল,
-‘কি হলো আসছেন না কেন? আপনি না বললেন যাবেন আমাদের সাথে? আমাকে ভুলভাল বুঝানোর পায়তারা তাই না? আপনি না গেলে আমিও কিন্তু যাব না।’

এখনো সে যায় নি দেখে শুদ্ধ ওকে মারতে এদিক ওদিক তাকিয়ে কিছু খুঁজল। তার অবস্থা বুঝে শীতল এবার এক দৌড়ে গাড়ির কাছে। এরপর পেছনের গাড়ির খেয়াল করে স্বর্নের হাতে পেটপুরে খেলো। জানালার দিকে চেপে বসে উঁকি মেরে দেখতে লাগল শুদ্ধর গাড়ি আসছে কী না। আসছে দেখে আকাশের চাঁদের সঙ্গে মনের চাঁদটাকে নিয়ে কত কথা বলল। একা একা হাসল। তারপর একটা সময় ঘুমিয়ে গেল নিশ্চিন্তমনে। স্বর্ণ বোনকে কোলে টেনে নিয়ে মেসেজ করার সাথে সাথে শুদ্ধর গাড়িটা থেমে গেল। তারপর কিছুক্ষণ স্থির থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে পথ ধরল চৌধুরী বাড়ির উদ্দেশ্যে। অথচ শুদ্ধ যাচ্ছে ভেবে কত নিশ্চিন্তে না ঘুমাল বোকা শীতলরাণী। সকালে যখন শুদ্ধকে দেখতে পাবে না তখন কি হবে? তার কান্না কে থামাবে? কে তাকে বাহুডোরে আগলে নেবে?

-‘আয়, আয়, চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা।
আমার সায়ন, শুদ্ধর চাঁদ কপালে টিপে দিয়ে যা। ‘
-‘আমি টিপ নিবো না ছোটো আম্মু। চাঁদকে বলো আমার জন্য বউ এনে দিতো।’
-‘বউ কি করবি বাপ?’
-‘ একসাথে খেলবো। ঘুরবো। মারবো। বকবো। কাঁদলে হাসাব। হাসলে মেরে কাঁদাব।’
সাত বছরের ফোঁকলা সায়নের কথা শুনে সিমিন হতবাক। উনি কথার খৈই হারিয়ে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলেন সায়নের দিকে। পাজি ছেলে বলে কি? নিজে এখনো বিছানায় হিসু করে বিছানা ভেজায় অথচ
বলে কি না বউ এনে দাও। সিমিনের মুখ দেখে সায়ন কিছুক্ষণ উনার মুখের দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিলো। পোকাতে খাওয়া ফোকলা দাঁতে সে কি হাসি। উনি এবার উনার আরেক উরুর উপর শোয়া আরেক পাজির দিকে তাকালেন। তিনি আরাম করে শুয়ে পাজেল ঘুরাচ্ছে। তার বয়স সবে সাড়ে চার বছর হলেও সায়নের থেকে শুদ্ধ একটু ঠান্ডা।

তবে সায়ন, শুদ্ধ ভীষন আদুরে বাচ্চা। ফর্সা, গলুমলু, সব পোশাকে খুব সুন্দর মানিয়ে যায়। কথায় কথায় ছোট ছোট ইংলিশ বলে। সায়ন তখন কথায় কথায় একটা ইংলিশ শব্দ বেশিই বলত। সেটা হলো, ‘জাস্টফস্টিং।’ এই ইংলিশ শব্দ নাকি সে শারাফাত চৌধুরীকে বলতে শুনেছিল। উনি নাকি ফোনে কাকে বলেছিলেন, ‘ইউ ডিসকাস্টিং’ সেটা পাশে শুনে সে বানিয়ে দিয়েছে জাস্টফস্টিং। তখন রেগে গেলে বলত ‘ইউ জাস্টফস্টিং।’ একথা শুনে হাসি পেলেও হাসা যাবে না কারণে তাতে বড়মহারাজ আরো রেগে যেতো। আর শুদ্ধর যা পছন্দ নয় সেটা কখনোই করতো না। বরং জোর করলে চোখ, মুখ কুঁচকে শাহাদত আঙুল নাড়িয়ে বলত, ‘ইই নো, নো।’ এদের কথা আর কাজে না হেসেও পারা যায় না। একদিন রাতের কথা,
তখন রাত বাঁজে আড়াইটা অথচ পাজি দুটোর চোখে ঘুম নেই৷ যত রাত বাড়ছে তাদের চোখ যেন ফুটছে। তারা খেলবে। খেলনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে একাকার। ওদিকে সিঁতারা চৌধুরী অসুস্থ বিধায় পাশের রুমে উনি শুয়ে ছিলেন। আর এই পাজি দুটো উনার কাছে এসে উনার কোল দখল করে নিয়েছে। আবদার গল্প শুনবে। এদিকে সারাদিন কাজকর্ম করে উনারও চোখে ঘুম যেন ঢেলে পড়ছে। কিন্তু এ দুটোর তো ঘুমানোর নাম নেই তাই সায়নের পিঠে আস্তে করে থাবা বসিয়ে বললেন,

-‘এ্যাই পাজি ঘুমাবি কখন? রাত ক’টা বাজে?’
-‘ঘুম আসছে না তো গল্প বলো।’
-‘ঘুমা বাপ। যত গল্প জানতাম সব শুনিয়েছি তো। ‘
-‘বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলো।’
ভাইয়ের কথা শুনে শুদ্ধ তখন শাহাদত আঙুল নাড়িয়ে বলল,
-‘নো, নো, নো বানিয়ে না ওইতা বলো।’
-‘কোনটা? ‘
-‘লাজকন্যাকে ড্রাগন এসে তুলে নিয়ে যায় ওইতা।’
-‘একই গল্প আর কত শুনবি?’
-‘মেলাদিন শুনব তুমি বলো।’
-‘ মেলাবার শোনালে আমি কি পাব?’
-‘আমলা যতদিন বাঁচব তোমাকে এত এত ভালুপাশবো।’

শুদ্ধর কথা শুনে উনার কলিজাখানা যেন জুড়িয়ে গিয়েছিল। ততক্ষণে দুটো পাজি উনার কোল দখল করে গল্প শোনার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। তাই উনিও বিছানার হেডবোর্ডে হেলান দিয়ে খোলা জানালার দিয়ে আকাশের দিকে তাকালেন। আকাশে ঝলমল করছে চাঁদ। চাঁদের এত আলো এর আগে দেখেন নি উনি। কোন মাসের চাঁদ তাও মনে করতে পারছিলেন না। উনি চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করলেন,
-‘একদেশে ছিল এক রাজা। রাজার ছিল দুই পুত্র। তারা একজন ছিল চন্দ্র আরেকজন সূর্য। তাদের দেখাশোনার জন্য এক রাজকন্যাকে তুলে আনা হয়েছিল। রাজকন্যা ছিল ভীষণ সুন্দরী তবে কোনো কাজ করতে পারত না। সারাদিন কাঁদত…। খেতে দিলেও খেতে পারত না কারণ ওর গলায় এক ধরনের কাঁটা বিঁধে থাকত। এই কাঁটা জন্মগতভাবে এবং এর সমাধান কেউ জানত না। একদিন রাজকন্যার স্বপ্নে একটা ড্রাগন এসে জানাল, চন্দ্র আর সূর্যের রক্ত পান করলে সে মুক্ত হবে। একথা শুনে সে তাই করতে নিজেকে প্রস্তুত করল…!’

এভাবে গল্প বলতে বলতে খেয়াল করলেন পাজি দুটো ঘুমিয়ে পড়েছে।
ওদের মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে চুমু খেলেন। সেদিনের মতো আজও আকাশে পূর্নিমার চাঁদ। মধ্যেরাত। উনিও উপস্থিত। শুধু এ কোলে জুড়ে সেই সায়ন, শুদ্ধের মাথাটা । নেই পছন্দের গল্প শোনার মিষ্টি আবদার ।
সেসব মনে করে সিমিন হাসলেন আর হাসতে হাসতে চোখ দিয়ে অঝরে অশ্রু ঝরে গেল টেরই পেলেন না।

শেষ চৈত্রের ঘ্রাণ পর্ব ৪৪

গাড়ির চলছে মাঝারি গতিতে। শাহাদত চৌধুরী, সিমিন পাশাপাশি বসে থাকলেও কথা নেই কারো মুখে। শাহাদত চৌধুরী অভিজ্ঞ হাতে গাড়ির হুইল ঘুরতে ব্যস্ত আর সিমিন তাকিয়ে রইল পূর্নিমার চাঁদের দিকে। কাল থেকে একা সংসার গুছাতে হবে। দিন শুরু হবে সেনা হাউজে। ধরা বাঁধা নিয়মে নিজেকে অভ্যস্ত করতে হবে।

শেষ চৈত্রের ঘ্রাণ পর্ব ৪৬