সবটাই তুমিময় পর্ব ৩৮ || লেখনিতে – মিথিলা মাশরেকা

সবটাই তুমিময় পর্ব ৩৮
লেখনিতে – মিথিলা মাশরেকা

এএসএ’র বিয়ে!লোকে লোকারন্য হয়ে উঠেছে আমার ছোট্ট বাসাটা।গমগম করছে চারপাশ।দ্বিতীয়বারের মতো অঙ্কুরকে স্বামী বলে স্বীকার করে নিলাম।মন থেকে।ভালোবেসে কবুল করেছি তাকে আজ।বিদায়ের সময় দাদীমা,নানীমাসহ সবাইকে জরিয়ে কাদতে লাগলাম।তানহা,আস্থাও কাদছিলো।এককোনে বুকে হাত গুজে দাড়িয়ে থাকা তিহানের সাথে চোখাচোখি হয়েছিলো একবার।বৃদ্ধাঙুল তুলে হাসিমুখে অল দ্যা বেস্ট বুঝিয়েছে।গাড়ির কাছে দাড়িয়ে দাদু অঙ্কুরের হাত হাত গুজে দিলেন আমার।তার বুকে মুখ গুজে কেদে দিলাম।দাদুকে যতোটা চিনেছি,যথেষ্ট শক্ত মানুষ সে।তবুও কাদছিলো।অঙ্কুর বললেন,

-কেদোনা দাদু।তোমার নাতনিকে খুব ভালোবাসবো।খুব ভালো রাখবো।কথা দিচ্ছি।
দাদু জরিয়ে ধরলো অঙ্কুরকে।জোরে জোরে কাদতে কাদতে বললো,
-ওকে কোনোদিন কিছুই দিতে পারিনি দাদুভাই।কোনো দায়িত্বপালন করতে পারিনি ওর প্রতি।আকাশের উপরের রাগটা এতোগুলো বছর ও সয়েছে।পরিবার থেকেও নিঃস্ব ছিলো ও এতোগুলো বছর।সবটা তো জানোই তুমি।আমি জানি,আফরার মতো করে আমরা কেনো,কেউই ওর দেখাশোনা করতে পারতো না।আগলে রাখতে পারতো না।আর এটাও জানি,অনেক ভালোবাসো তোমরা দুজন দুজনকে।তাইতো এতো তাড়াতাড়ি ওকে কাছছাড়া করার কোনো ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও তোমাদের চারহাত এক করে দিয়েছি।ও আফরার কাছে,তোমার কাছে থাকলেই সবচেয়ে খুশী হবে,সুখে থাকবে।ওকে কষ্ট পেতে দিও না অঙ্কুর।কষ্ট পেতে দিও না!
কান্নার বেগ বাড়লো আমার।অঙ্কুর দাদুর হাত মুঠো করে নিয়ে বললো,

-কষ্টের কোনো আঁচ অদ্রির গায়ে লাগতে দেবো না আমি জমিদারমশাই।পৃথিবীর সবটা সুখ দিয়ে মুড়িয়ে রাখবো ওকে।
এটুক বলে একহাতে জরিয়ে ধরলেন উনি আমাকে।কপালে চুমো দিয়ে আবারো বললেন,
-অনুমতি দাও দাদুভাই।এখানে যতোক্ষন থাকবো,এই পর্বতশৃঙ্গের অশ্রুঝর্না থামবে না।সহ্য হচ্ছে না আমার।
দাদু মাথা নাড়লো।অঙ্কুর হাত ধরে গাড়িতে বসিয়ে দিলেন আমাকে।উনি উঠে বসতেই গাড়ি স্টার্ট দিলো ড্রাইভার।জানালা দিয়ে কাদতে কাদতে তাকিয়ে রইলাম সবার দিকে।কতোটা ভালোবাসা আর দোয়ার বর্ষন সবার চেহারায়।ওরা দৃষ্টির আড়াল হতেই অঙ্কুর বুকে জরিয়ে নিলেন আমাকে।মাথায় হাত বুলিয়ে চুমো দিয়ে বললেন,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-কেদো না অদ্রি।অনেক দেখেছি তোমার কান্না।আর নিতে পারছি না।
কান্না থামিয়ে ফুপাচ্ছিলাম।জানি আমার কান্নায় ওই মানুষটারও কষ্ট হচ্ছে।অঙ্কুর শক্তহাতে জরিয়ে রাখলেন আমাকে।যথাসময়ে পৌছালাম তার বাসায়।গাড়ি থামলো।উনি আমাকে ছেড়ে আগে নিজে নামলেন।দরজা খুলে দিয়ে হাত বাড়িয়ে বললেন,
-আরো একবার,ওয়েলকাম অদ্রি।
তার হাতে হাত রেখে নেমে আসলাম গাড়ি থেকে।আলোয় আলোয় ভর্তি পুরো বাসা।চোখ ধাধানো রকমের সাজ যাকে বলে।ভেতরে এগোতেই মনিমা এসে জরিয়ে ধরলো আমাকে।কেমন যেনো সমস্ত কষ্ট উবে গেলো বলে মনে হলো।দুএকটা নিয়ম সেরে কয়েকটা মেয়ে অঙ্কুরের ঘরে বসিয়ে দিয়ে গেলো আমাকে।

সারাঘরে চোখ বুলালাম।খুতিয়ে খুতিয়ে দেখতে লাগলাম ফুলের সাজে সজ্জিত ঘরটার মোহনীয়তা।এর আগেও সেজেছিলো এ ঘর।এর আগেও বধুবেশে এ ঘরে এসেছিলাম আমি।কিন্তু সেদিন তো এতো অদ্ভুত অনুভব হয়নি!সেদিন তো এই আনন্দমিশ্রিত ভয় ছিলো না!আজ কেনো বারবার লজ্জায় নেতিয়ে যাচ্ছি?কেনো নিজের সাথে চোখ মেলানোরই সাহস হচ্ছে না?এমনটা চলতে থাকলে অঙ্কুরের দিকে তাকাবো কি করে?তাকে কি করে প্রমান দেবো?অদ্রি সাহসী!
দরজা খুলে গেলো।শাড়ী খামচে ধরে দাড়ালাম।শ্বাস দ্রুত চলতে শুরু করেছে।নিচদিক তাকিয়ে টের পেলাম অঙ্কুর এগিয়েছেন।সুন্দরমতো ড্রেসিং টেবিলের পাশে দেয়ালে একপা ঠেস দিয়ে বুকে হাত গুজে দাড়ালেন উনি।ইতস্তত করতে লাগলাম।জানি উনি আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন।চোখ তুলে তাকানোর সাহসটা অবদি পাচ্ছি না।শুধু হাত কচলাচ্ছি।অনেকটাসময় কেটে গেলো।উনি ওভাবেই দাড়িয়ে।এবার আর ভালো লাগছিলো না।ওভাবে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখার কোনো মানে হয়?একটা শুকনো ঢোক গিলে এগোলাম তার দিকে।মাথা নিচু রেখে বললাম,

-এভাবে কতোক্ষন দাড়িয়ে থাকবেন?
-তো কি করবো?কি করা উচিত আমার?
ওনার ভাবলেশহীন জবাবে হচকিয়ে গেলাম।অঙ্কুর বললেন,
-খুব সুন্দর লাগছে তোমাকে।দেখতে দাও।

-জানো অদ্রি,আজ তো‌মার দিকে তাকিয়ে থাকার দায়ে কতো কথা শুনেছি?ইনফ্যাক্ট কাল নিউজেও বেরোবে দেখো,বিয়ের পুরোটা সময় বউয়ের দিকে নির্লজ্জের মতো তাকিয়ে থেকেছে এএসএ!
শব্দহীন হেসে দিলাম।পরপরই ওনাকে সোজা হয়ে দাড়াতে দেখে একপা পেছোলাম।অঙ্কুর ঠান্ডা গলায় বললেন,
-ওভাবে হেসো না অদ্রি।একটু বেশিই তোলপাড় হয় ভেতরটাতে।এক মিষ্টি যন্ত্রনা!নিঃস্ব হওয়ার এক অসম্ভব সুখময় অনুভুতি!ভালোবাসার মানুষকে কাছে টানার এক তীব্র ইচ্ছা!তারমাঝে বিলীন হওয়ার জন্য এতোগুলো দিন যাবত সযত্মে তুলে রাখা ভালোবাসা!

উল্টোদিক ফিরলাম।কথাগুলো শ্বাস থামিয়ে দেওয়া জন্য বারবার করে কানে বাজতে লাগলো যেনো।অঙ্কুর বললেন,
-তোমার মনে আছে অদ্রি?প্রথমবার এ বাসায় যখন নিয়ে এসেছিলাম তোমাকে,সে রাতে তোমাকে মেঝে থেকে বিছানায় কোলে তুলে শুইয়ে দিয়েছিলাম বলে,স্পর্শ করেছিলাম বলে তুমি কতোটা রিয়্যাক্ট করেছিলে।মনে পরে তোমার?আমার পরবর্তী স্পর্শ কবে ছিলো অদ্রি?সেটা মনে পরে তোমার?সেটা কিন্তু ছিলো আমাদের বিয়েটার পর।তোমার কপালে আমার ভালোবাসার স্পর্শ ছিলো অদ্রি। আমার একপাক্ষিক ভালোবাসা সেদিন বিয়ে নামক সম্পর্কের অধিকারবোধ খাটিয়ে ফেলেছিলো।আটকাতে পারিনি নিজেকে।
বিস্ময়চোখে পিছন ফিরলাম।একটু থামলেন উনি।আবারো বলতে লাগলেন,

-আরো অনেককিছুতেই আটকাতে পারিনি নিজেকে।প্রতিবার তোমার চাওনিতে প্রেমে পরেছি তোমার।প্রতিবার তোমাকে বকে,কাছে টেনেছি।প্রতিবার তোমার অশ্রুসিক্ত নয়নে ঠোট ছুইয়ে নিজের জ্বলতে থাকা হৃদয়কে শীতল করেছি।কারনে,অকারনে কাছে এসেছি তোমার।আটকাতে পারিনি নিজেকে।
চোখ ভরে উঠেছে আমার এসব কথা শুনে।আস্তেধীরে এগিয়ে তার হাত তুলে নিজের গালে ধরে বললাম,
-আজ এসব বলা জরুরি অঙ্কুর?আজ তো…
উনি দুহাতে আকড়ে ধরলেন আমার দুগাল।হাসিমুখে বললেন,

-হ্যাঁ,জরুরি।কারন আমি জানি,আমার সে স্পর্শগুলোতে ঘৃনা হতো তোমার।আজ যখন তুমি ভালোবাসো আমাকে,আমি সে সমস্ত ভুল স্বীকার করে কাছে আসতে চাই তোমার।বিশ্বাস করো অদ্রি,যা করেছি,তোমাকে ভালোবেসে।ভালোবাসি।খুব ভালোবাসি তোমাকে।
শরীরের সমস্ত শিহরনকে উপেক্ষা করে দুগালে হাত রাখলাম তার।বললাম,

-আপনার স্পর্শ অপবিত্র ছিলো না অঙ্কুর।আর আমিও তো আপনাকে ভালোবাসি।অনেক ভালোবাসি।আপনার এই ভালোবাসি শুনতে ভালোবাসি।এর জবাবে প্রতিবার ভালোবাসি বলতে ভালোবাসি অঙ্কুর।ভালোবাসি!
কপালে ঠোট ছুইয়ে জরিয়ে ধরলেন আমাকে উনি।কোথাও থেকে ভেসে আসলো ডাহুকের শব্দ,পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দ।মুঠো করে নিলাম তার পান্জাবী।আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে উনি সযত্মে আমার চশমা খুলে দিলেন।দুচোখে ঠোট ছুইয়ে দিয়ে কোমড় জরিয়ে ধরে বলেন,

-আজকে সত্যিসত্যি এদের ঘুম কেড়ে নেওয়ার দায়িত্ব নিতে চাই মিসেস পর্বতশৃঙ্গ।মে আই?
মুখ লুকালাম তার বুকে।এর উত্তরে কিছু মুখে বলার সাহস ছিলো না।তবে অঙ্কুর জানতেন আমার উত্তর।জরিয়ে রেখে কয়েকবার চুলে চুমো দিয়ে খুব কাছে টেনে নিলেন নিজের।তার সবটা ভালোবাসায়,মুড়িয়ে নিলেন তার সে প্রেয়সীকে।আর সে প্রেয়সী?সে তো কাছে পেয়েছিলো তার সে প্রেমিকপুরুষকে,যার ভালোবাসার সঙ্গা,আমার *সবটাই তুমিময়*
তার সবটাতে আমি।সবটাতে!

ঘুম ভাঙতেই অঙ্কুরের অপলক দৃষ্টিতে চোখ আটকে গেলো আমার।মাথার নিচে একহাত দিয়ে মাথা কিছুটা উচু রেখে নিস্পলকভাবে তাকিয়ে রয়েছেন উনি।ঠিকমতো তাকাতেই তার উদোম শুভ্র বুক দেখে চোখ নামিয়ে নিলাম।গলা অবদি‌ চাদর টেনে আরো গুটিশুটি হয়ে শুয়ে পরলাম।উনি ঠোট কামড়ে হেসে কপালে ঠোট ‌ছুইয়ে বললেন,
-লজ্জা পেলে আরো বেশি সুন্দর লাগে তোমায় অদ্রি।আনকমন একটা ভিউ।যেটা দেখার সৌভাগ্যটা শুধুই আমার।

-আয়নায় দেখো গিয়ে নিজেকে।সব সাজ নষ্টের পরও ঠিক কতোটা সুন্দর লাগছে তোমাকে।আফটার অল,এএসএ’র আদরের রঙে সেজেছো‌ বলে কথা!
পাশ ফিরলাম।বাইরে ভোরের আলো ফোটে নি।এই লোকটার দৃষ্টিতাকের জন্যই ঘুমটা এতো আগে ভেঙেছে।আর এও সকালসকাল উঠেই নির্লজ্জের মতো আবোলতাবোল বকে চলেছে।আমাকে অস্বস্তিতে ফেলার যতসব ধান্দা!অঙ্কুর আমার পেট জরিয়ে ধরে কানের নিচদিকটায় চুমো দিয়ে ফিসফিসিয়ে বললেন,

-বার্থমার্কটা একটু বেশিই সুন্দর।কেমন যেনো নেশালো টাইপ!
চাদর মাথার উপরে দিয়ে রইলাম।লাগামহীন কথাবার্তা!একটুপর ওনার স্পর্শ নেই‌ দেখে আস্তেধীরে‌ মাথা তুললাম।টাওয়েল কাধে আমার দিক ফিরে দাড়িয়ে উনি।হচকিয়ে গিয়ে আবারো চাদর টেনে মাথা ঢেকে শুয়ে পরলাম।অঙ্কুর বললেন,
-নিজে থেকে উঠবে?নাকি কোলে করে সেদিনের মতো বাথটাবে চুবাবো?
-আ্ আপনি যান,আমি…

-বর হই তোমার!এই লজ্জা পাওয়ার চ্যাপ্টার ক্লোজ করো তো অদ্রি।আরো বেশি আদর করতে ইচ্ছে করে।উঠে ফ্রেশ হয়ে নাও।নইলে দেরি করলে আমি বাইরে সবাইকে বলে দেবো তুমিই আমার দেরির কারন!
উঠে বসে সরু চোখে তাকাতেই হেসে দিলেন উনি।ইশারায় ওয়াশরুমে ঢুকে যেতে বললেন।করলামও তাই।ফ্রেশ হয় বেরিয়ে দেখি অঙ্কুর ঔষুধের বক্স নাড়াচাড়া করছেন।মাথা মুছছিলাম।তোয়ালে ছেড়ে এগিয়ে গিয়ে ব্যস্তভাবে বললাম,
-ঔষুধ ঘাটছেন কেনো?কোনো সমস্যা?কি হয়েছে?
উনি বক্সটা ছেড়ে মুচকি হেসে ফিরলেন আমার দিকে।কোমড় জরিয়ে ধরে কাছে টেনে নিয়ে বললেন,
-অনেক সমস্যা।শ্বাসকষ্ট হচ্ছিলো।দম আটকে আসছিলো।
-কই?কেনো?আপনি তো….

-এখন আর নেই মিসেস পর্বতশৃঙ্গ।আপনাকে ছাড়া একমুহুর্ত থাকতে শ্বাসকষ্ট হয়।তাই ইনহিলার খুজছিলাম।
দুম করে কিল বসিয়ে দিলাম তার বুকে।উনি শব্দ করে হেসে দিয়ে বললেন,
-সামনেই পরে ছিলো,তাই এমনি চেক করছিলাম বক্সটা।হেডেকের মেডিসিনটা আছে কি না।নইলে বেগম সাহেবা তো না পারেন কফি বানাতে,না চান মাথায় হাত বুলোতে।তাইনা?
-দুটোই শিখে নেবো।পাক্কা বলছি!
-রিয়েলী?কেনো?
-আপনার জন্য।

সবটাই তুমিময় পর্ব ৩৭

-এতো ভালোবাসাই তো আমার নির্ঘুম রাতের কারন মিসেস পর্বতশৃঙ্গ!তার কি?
-নিউটনের থার্ড ল এপ্লাই করে নিউট্রিলাইজ করে দেবেন।
ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিলাম ওনাকে।উনি আবারো এগোতেই দুপা পিছিয়ে গেলাম।উনি বললেন,
-সুযোগটাই বা দিচ্ছো কই?পালাচ্ছো যে!
শব্দ করে হেসে দিলাম আমি।অঙ্কুর চুলগুলো উল্টে তোয়ালে কাধে নিয়ে বললেন,
-আরো একটা জিনিস খুজছিলাম।
-কি?
-স্লিপিং পিলস্!
-মানেহ্?স্লিপিং পিলস্ কেনো?
-কাল সারারাত ঘুমোতে দাওনি।তুমি কিন্তু ঠিকই আমার বুকের উপর নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলে।আমিই ঘুমোতে পারিনি।তুমি চোখের সামনে থাকলে ঘুম উড়ে যায় আমার।এখন থেকে ঘুমের ওষুধ খেয়েই না হয়…
ছোটছোট চোখে তাকিয়ে রইলাম।অঙ্কুর হেসে দিলেন আবারো।চাওনির পরিবর্তন হলো আমার।মুগ্ধচোখে হাসিটা দেখতে লাগলাম তার।উনি আমার নাকে নাক ঘষে দিয়ে বললেন,
-ওভাবে দেখো কেনো?আজকে কি রুম থেকে বেরোতে না দেওয়ার ধান্দায় আছো?

-চশমা ছাড়া তোমাকে অন্যরকম দেখায় অদ্রি।
বিরক্তি নিয়ে অন্যদিক তাকালাম।দিলো মুড নষ্ট করে।ছাড়িয়ে নিলাম নিজেকে।”আনরোমান্টিক অলরাউন্ডার একটা”বিরবির করে বলতে বলতে ড্রেসিং টেবিলের দিকে এগোলাম।সামনে থেকে চশমাটা নিতে যাবো,অঙ্কুর হাত ধরে ফেললেন আমার।পেছন থেকে জরিয়ে ধরে ঢুলতে লাগলেন।নড়াচড়া করে বললাম,
-এভাবে ধরে আছেন কেনো?যান গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন!
-আমাকে আনরোমান্টিক বলার সাহস কি করে হলো তোমার?এখন আরেকদফা রোমান্টিসিজম দেখাবো,তারপর ছাড়বো!এন্ড ইটস্ ফাইনাল!

সবটাই তুমিময় পর্ব ৩৯