প্রেমের সমর পর্ব ২৬
অলকানন্দা ঐন্দ্রি
মাস খানেক পেরিয়েছে৷ স্বচ্ছ বর্তমানে সুস্থ। আর এই সুস্থ হওয়ার পর থেকেই বর্তমানে তার এক এবং এক মাত্র দায়িত্ব ঠেকেছে সুহাকে জ্বালানো। সুহাকে সামনে পেলেই তার কথা বলা বেড়ে যায়। সুহাকে রাগাতে যেন আলাদাই মজা।অপরদিকে সুহা কেবল তাকে অবহেলাই ঠেলে দিল৷ এতগুলো দিন পার হলো। তবুও স্বচ্ছ সুহার মন জয় করতে পারল না এই আপসোসে স্বচ্ছ কপাল চাপড়ায়। সুহা কেন তাকে কেবল অবহেলা করে এই দুঃখেরও শেষ নেই তার। তার মধ্যে যুক্ত হয়েছে তিহানের কাজিন রোহান। স্বচ্ছকে ম্যাসেজ দিয়ে দিয়ে বুঝাতে চাইছে যে সে যে কোন মূল্যেই তার সুহাসিনীকে তার থেকে কেড়ে নিবে। বিয়ে করবে। স্বচ্ছ অবশ্য পাত্তাই দিল এই ছাগলমতো ছেলেটাকে। ছাগল?ছাগল নাহলে কি সে অন্যের বউয়র পিছে দৌড়াত? স্বচ্ছ ঘড়ি দেখে। বেরিয়েছিল সে বাসার বাইরে। টানা দুইঘন্টা বাইক চালিয়ে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করার পরই হুট করেই তার ফোনে একটা ম্যাসেজ এল। ম্যাসেজটা ঐ ছেলেটারই। রোহানের। লিখেছে,
” বড়ভাই? নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন না আপনার এলাকায় প্রবেশ না করার? এবার আমিও দেখাব যে আপনার এলাকায় প্রবেশ করে আপনার বউ নিয়ে কিভাবে পালাই।একটা এক্সিডেন্টে আপনার বউ আপনার প্রতি মায়া দেখিয়েছে ঠিক কিন্তু ভালো তো বাসে নি বলুন? ”
স্বচ্ছর মেজাজ খারাপ হয় এমন ম্যাসেজ দেখে। বের হয়েছিল সে মন ফুরফুরে করতে। অথচ এই ম্যাসেজ দেখে মেজাজ ফুরফুরে হওয়া তো দূর তার মেজাজ বিগড়ে এল যেন। দাঁতে দাঁত চেপে ম্যাসেজের রিপ্লাইটা না করেই যখন রেখে দিচ্ছিল ঠিক তখনই দুটো ছবি এল। সুহা আর ঐ ছেলেটা অর্থ্যাৎ রোহান রেস্টুরেন্টে বসে আছে। ঠিক কি আলোচনা চলছে জানা নেই। তবে ছবিটা দূর থেকে কেউ তুলেছে। নিশ্চয়এই রোহান শয়তানই ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে সুহাকে নিয়ে গিয়েছিল, আর তারপরই কাউে দিয়ে দূর থেকে ছবিটা তুলিয়েছে৷ স্বচ্ছ মনে প্রাণে তাই বিশ্বাস করল। বিনিময়ে গা জ্বালানো ভঙ্গিতে টাইপ করল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“ আমার বউ বেশি সুন্দর তো তাই অনেকেই আমার বউয়ের সাথে একটু রেস্টুরেন্টে খেতে পারলেও ছবি তুলে মেমোরি রেখে দেয়। বুঝতে হবে তো! স্বচ্ছর বউ বলে কথা!”
“ দুদিন পর রোহানের বউ হলে কি করবেন বড়ভাই? আরেকটা কথা শুনবেন? আমি কিন্তু তিহানদের ছাদে এখন। আপনার বউয়ের সাথে আড্ডা দিচ্ছি! ”
রোহানের সাহস দেখে স্বচ্ছ অবাক হয় যেন। যে ছেলেটাকে ইচ্ছে মতো কেলিয়ে এসেছিল সে, হাত পা ভেঙ্গে রেখেছিল সে ছেলেই আবার তার মুখে মুখে কথা বলছে? সাহস কত এই ছেলের। স্বচ্ছ কল করে এবারে। ফোসফোস শ্বাস টেনে বলে উঠে শাসানোর ন্যায়,
“ মে’রে না হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছিলাম? বলেছিলাম না আমাদের এলাকায় যাতে না দেখি?ঠিকমতো ডোজটা পড়েনি তাহলে ব্রো? ওকে, তুমি যদি বলো এরচাইতেও কড়া ডোজের আয়োজন করতে পারি। নিতে পারবে তো? ”
তিহানের কাজিন নিহির তখন হালকা হেসে তাকায়। যেন স্বচ্ছর কথাটায় সে বিন্দুমাত্রও ভয় পেল না। উল্টো হেসে হেসে বলল,
“ প্রথমবার ভদ্র সেজেছিলাম বড়ভাই। কিন্তু এবারও যে ভদ্রতা দেখিয়ে মার খাব তেমনটা ভাববেন না। আপনি যেমন পুরুষ, আমিও তেমন পুরুষ।আপনার রক্ত গরম হলে আমার রক্তও শীতল নয়। আপনি যেমন ভালোবাসা দেখাচ্ছেন হুট করেই? আমিও তেমন দুই বছর যাবৎ ভালোবাসছি মেয়েটাকে। তাহলে বলুন?কার ভালোবাসার বয়স বেশি? ”
স্বচ্ছ মুহুর্তেই বলে উঠল,
“ তোর দুইবছরের ভালোবাসা, আর আমার চারবছরের বউ হয়। ”
ওপাশ থেকে রোহান তখন হেসে বলে,
” চারবছরের বউ ঠিক কিন্তু আপনি তো ভালোবাসেননি ব্রাদার। বরং কষ্ট দিয়েছেন। ভবিষ্যৎ এ যে দিবেন না নিশ্চায়তা আছে তার কোন? আসলে সত্যি বলি বড়ভাই? সুহা আসলে আপনার সাথে সুখী হবে না। আপনি ঠিক ওকে আমার মতো করে ভালোবাসতে পারবেন না। তাই আপনার কাছে ওকে ছাড়তেও আমি একমত হতে পারছি না। আরেকটা কথা বলি? এতদিন শুধু আপনি অসুস্থ ছিলেন বলেই সুহার দাদা বা সুহা কোন স্টেপ নেয়নি। শুধু মায়া দেখিয়েই চুপ ছিল। ”
স্বচ্ছর এই পর্যায়ে এত বেশি মেজাজ খারাপ হয় ফোনটাই এক আঁছাড় মেরে ফেলে খসখসে রাস্তার জমিনে। ভাগ্য ভালো! দামী আর ভালো মানের ফোনটা বলে কিছু হলো না। স্বচ্ছর রাগ কমল না। রাগে হাঁসফাস করতে করতেই স্বচ্ছ বাসায় ফিরল।অথচ বাসায় ফিরেই স্বচ্ছর মেজাজ দ্বিগুণ খারাপ হলো। বাসায় সুহাকে না পেয়ে হুড়মুড় করে সর্বপ্রথম সে ছাদেই গেল। দেখা গেল ছাদের এক কোণে সুহা দাঁড়ানো। অপর ছাদ থেকে কথা বলছে তিহানের সেই কাজিনটাই। স্বচ্ছর গায়ের রক্ত যেন টগবগিয়ে উঠে। সুহার কি দরকার ঐ ছেলের সাথে কথা বলার? কি প্রয়োজন ঐ ছেলের সাথে আড্ডা দেওয়ার? স্বচ্ছ কপাল কুঁচকে চেয়ে থাকে। প্রায় মিনিট পাঁচেক যাবৎ সুহার কথা বলার ধরণ খেয়াল করছিল সে নিরবে। কিছু একটা নিয়ে হেসে হেসে কথা বলছিল। কিন্তু যখনই সুহাকে একটু জোরেই হেসে উঠতে দেখল স্বচ্ছর পায়ের রক্ত মাথায় উঠল যেন।দু পা বাড়িয়ে ওখানে সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েই সুহাকে বলে উঠে,
“ এখানে এসে অন্য ছেলের সাথে আলাপ জুড়েছো কেন? ভালোবাসো নাকি ছেলেটাকে? এই কারণেই বুঝি এত অবহেলা আমার প্রতি?দয়া দেখাচ্ছিলে এতকাল আমার প্রতি? বলেছিলাম? বলেছিলাম দয়া দেখাতে? ”
সুহা স্তব্ধ হয়ে তাকায়। স্বচ্ছর কথা বলার ধরণটা তার পছন্দ হলো না একটুও।কেন তাকে এভাবে অন্য একটা ছেলের সামনে বলবে? কেন এভাবে শোনাবে কথাগুলো?স্বচ্ছ থাকতে সে অন্য কোন ছেলেকে ভালোবেসেছিল? ভালোবাসবে? স্বচ্ছ বুঝে না যে সুহা তাকে ভালোবাসে? হয়তো একটু রাগ দেখায়,অবহেলা দেখায় কিন্তু এই ছেলেটাকে তো সে ভালোবাসে। হৃদয়েে সবটুকু দিয়েই ভালোবাসে।সুহা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে উঠে,
“ এমন করছেন কেন আচমকা? সমস্যা কি? রেগেই বা আছেন কেন ?”
স্বচ্ছ আচমকা এই উত্তরটা পেয়ে রাগী চাহনিতে তাকায়৷ তিহানের সেই ড্যাবড্যাব চেয়ে থাকা কাজিনটার সামনেই এভাবে রেগে কথা শোনানো উচিত হলো সুহাসিনীর? এটা বলা কি উচিত হলো? স্বচ্ছ রাগে নাক লাল করে। হাত শক্ত করে উত্তর দেয়,
“ ভেবে বলছো? আমি কিন্তু আবারও জিজ্ঞেস করছি, ভালোবাসো এই ছেলেকে? কি আছে ওর কাছে? আমার থেকেও দেখতে সুন্দর এই ছেলে? ”
ফের আবার ও রাগান্বিত স্বরে জবাব পেয়ে সুহা বিরক্ত হয়৷ কি করেছে সে? বিনা কারণেই তার সাথে এভাবে খারাপ ব্যবহার কেন করবে স্বচ্ছ? সুহা শক্ত চাহনিতে তাকায়। উত্তরে বলে,
“ দেখতে সুন্দর হলেই যে ভালোবাসা যায় তা কে বলল আপনাকে? দেখতে অসুন্দর হলে বুঝি ভালোবাসা যায় না? ”
স্বচ্ছ তখনও রেগে।আর সুহার কথাটা যেন এই পর্যায়ে স্পষ্টভাবেই তার কাছে জানান দিল যে সুহা এই ছেলেটাকে ভালোবাসে৷ সত্যিই ভালোবাসে। স্বচ্ছর দাঁত কিড়মিড় করে। সুহার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরেই শুধায়,
“ কথা ঘুরাবে না সুহাসিনী! ”
সুহা তখন টানটান স্বরে জানায়,
“ আপনার কি মনে হচ্ছে? এক বাসার বউ হয়ে ঐ বাসাতে থেকেই আমি অন্য ছেলের সাথে পরকিয়া করব? ”
স্বচ্ছ এই পর্যায়ে ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসে৷ অবহেলা নিয়ে বলে,
“ করতেই পারো। হাজার হোক আমাকে ডিভোর্স দিয়ে এই বেয়াদব, ক্যারেক্টারল্যাস ছেলেটার সাথেই তোমার দাদাজান তোমার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ ”
সুহার তখনও রাগ লাগে। অকারণে তাকে ভুল বুঝবে কেন এই লোক? সে তো কিছু করেনি। সুহাকে কেউ বিনা কারণে দোষারোপ করলে রাগ লাগে। এবারও রাগ লাগছেে।উত্তর দেয়,
“ তো? এটা দ্বারা কি বুঝাতে চাইছেন? ”
স্বচ্ছ গম্ভীর গলায় উত্তর করে,
“ কিছুই না। এখন থেকে তুমি এক্ষুনি যাবে শুধুু এইটুকু জানি। ”
সুহার তখন চোখ টলমল করে অতিরিক্ত রাগে। জোরে শ্বাস টেনে জানায়,
“ যাব না। কি করবেন? ”
এই পর্যায়ের স্বচ্ছর চাহনি ভয়ানক ঠেকল। উত্তর আসল,
“ আঁছাড় দিব সুহা। যাবে কিনা? ”
আচমকা স্বচ্ছর মুখে সুহাসিনী নামের বদলে সুহা নামটা বিশ্রী ঠেকল সুহার কাছে৷ জঘন্য লাগল। সাথে এক পাহাড় কষ্ট যেন আঘাত করল এক মুহুর্তেই। অথচ স্বচ্ছ অপেক্ষা করল না। সুহাকে কোলে তুলে নিল এক মুহুর্তেই। তারপর ঝটফট পা চালিয়ে চলে যেতে নিয়েও ফের আবার রোহানের দিকে ফিরে বলল,
“ তোকে বলেছিলাম না এই এলকায় যাতে তোকে আর না দেখি? কেন এসেছিস? অন্যের বউ দেখতে? শা’লা ক্যারেক্টারলেস পুরুষমানুষ। অতই যদি ইচ্ছে হয় নিজের বউ আন, বিয়ে কর। আরেকজনের বউ কেন টানাটানি করছিস বল? ”
রোহান হাসে। ঠোঁট এলিয়ে বলে,
“ কারণ আপনার বউটাকেই যে প্রাণ দিয়ে বসে আছি বড়ভাই। আপনি এতকাল পর কেনই বা দেশে আসলেন বলুন? ”
স্বচ্ছ রেগে বলে,
“ না আসলে তো তোর লাভ হতো শা’লা, কু’ত্তা কোথাকার।
রোহান বলে,
“ শিক্ষিত মানুষের ল্যাঙ্গুয়েজ এমন হয়? ”
“ তোর মতো অশিক্ষিতের কারণে মুখ খারাপ করছি। নয়তো করতাম না। ”
কথাটা বলেই স্বচ্ছ পা বাড়ায়। সুহা এতোটা সময় নিশ্চুপ থেকে এসব দেখছিল। স্বচ্ছর মুখচোখ দেখে রাগের পরিমাপটুকু বুঝতে পারল বলেই আগ বাড়িয়ে কিছু বলেনি দুইজনের মধ্যে। পাছে দুইজনের মধ্যে যদি আবার ঝামেলা বেঁধে যায়?স্বচ্ছ সুহাকে নিয়ে বাসার সবার সামনে দিয়েই রুমে নিয়ে এল। কোল ছেড়ে নামিয়ে বসাতেই সুহা শান্ত গলায় শুধাল,
“ যে রিয়েক্টটা আপনি করেছেন তেমন রিয়েক্ট করার মতো কিছুই ছিল না সেখানে। এটা একটা অহেতুক সিনক্রিয়েট।”
স্বচ্ছ হাত রাখে সুহার চিবুকে। দৃঢ় চাহনিতে তাকিয়ে থেকে উত্তর করে,
“ অহেতুক নয়। ”
সুহা ফের বলে,
“ তাহলে এই সিক্রিয়েটটা কি যৌক্তিক মনে হচ্ছে আপনার? ”
স্বচ্ছ ছোট শ্বাস টানে। তার এই মুহুর্তে সুহাকে বিশ্বাস হচ্ছে না। বিশ্বাস হচ্ছে না সুহা তাকে ভালোবাসে। হতেই পারে সুহা তার প্রতি প্রতিশোধ নিচ্ছে। চারবছর কষ্ট পেয়েছে। কম তো নয়। প্রতিশোধ নিতেই পারে। স্বচ্ছ বৃদ্ধা আঙ্গুলি সুহার চিবুকে বুলাতে বুলাতেই ক্রুর হাসে৷ বলে,
“ অযৌক্তিক বোধ হচ্ছে না। সুহাসিনী? সরাসরি জিজ্ঞেস করছি, তুমি কি আমায় চাও?আমায় সত্যিই চাও? ”
সুহা এই পর্যায়ে শান্ত চাহনিতে তাকায় স্বচ্ছর চোখে। আজকের স্বচ্ছ একেবারে ভিন্ন। আজকের স্বচ্ছকে চালাক লাগছে। অন্যদিনে স্বচ্ছ বোকা, বাচাল, সুহাকে চোখ বন্ধ করে ভালোবাসে এমন এক পুরুষ। সুহা চোখ বুঝে। বলে,
“ কি মনে হচ্ছে আপনার? ”
স্বচ্ছ শক্ত স্বরে জানায়,
“ আমি আন্সার চেয়েছি সুহাসিনী! ”
“ জানি না। ”
স্বচ্ছ এবারে আঙ্গুল রাখে সুহার চোখের পাতায়। বুলাতে নিয়ে বলে,
“ ওকে ফাইন, ঐ ছেলেকে ভালোবাসো? ”
সুহা চোখ মেলে তাকায়। উত্তরে বলে,
“ ঐ ছেলেকে ভালোবাসলে আমি নিশ্চয় আপনার জন্য এখানে পড়ে থাকতাম না স্বচ্ছ। ”
স্বচ্ছ তাচ্ছিল্য করে হাসল এবারে। পাশে বসে বলে,
“ ভুলাচ্ছো আমায়? ”
“ কেন? ”
স্বচ্ছ উত্তরে বলে,
“ তুমি ছেলেটার সাথে দেখা করেছিলে গতকাল বিকালে রেস্টুরেন্টে। কি নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলে? আরেকটা কথা কি জানো? আমাদের সেদিনকটার এক্সিডেন্টটা সত্যিই প্ল্যানমাফিক হয়েছিল! কিন্তু কার প্ল্যানমাফিক তা কি তুমি জানে সুহাসিনী? ”
সুহা বিস্ময় নিয়ে তাকায়। সত্যিই?সত্যিই প্লানমাফিক? কিসব বলছে? সুহা কি করে জানবে? সুহা উত্তর করে,
প্রেমের সমর পর্ব ২৭
“ কে? ”
স্বচ্ছ হেসে শুধায়,
“ তার মানে তুমি জানো না? যাক! ভাগ্যিশ! তুমি জানো না। ”