ভবঘুরে সমরাঙ্গন পর্ব ১১
তাজরীন ফাতিহা
সকাল সকাল বাজার করে এনেছে নিশাত। ঘামে শরীর জবজবে হয়ে গেছে তার। এসেই ফ্যান ছেড়ে ফ্লোরে বাজারের সকল সদাইপাতি ঢেলে নিলো এক এক করে। এক কেজি মুরগি, আলু, পিঁয়াজ, কিছু শাকসবজি এগুলোই বাজার করেছে আজ। কয়েকদিন চলে যাবে এতে। ফ্লোরে বসে মাসের বাজারের হিসেবটা করে ফেললো সে। সবকিছু গুছিয়ে সকালের নাস্তা বানাতে লেগে গেলো নিশাত। যেহেতু শুক্রবারের দিন তাই আগেই সবকিছুর জোগাড় করে রান্না বসাতে হবে। শুক্রবারের আমল করতে হবে। সপ্তাহের এই দিনটায় কুরআন তিলাওয়াত, দুরুদ পাঠ বেশি বেশি করে নিশাত।
কালকের রাতের এক্সট্রা ভাত ছিল। সেটাকে ডিম, সবজি দিয়ে ভেজে নামালো নিশাত। ছেলেকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য রুমে গেলো। রুমে গিয়ে দেখলো বাবা ছেলে হাত পা ছড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে। মাঝে মাঝে এই পুরুষটির দিকে চাইলে নিশাতের বড় মায়া হয়। এতো পরিমাণে অলস এই পৃথিবীতে কেউ আছে বলে মনে হয়না। কাজ করার প্রতি এতো অনাগ্রহ কেন এই লোকের? নিশাত ভেবে কোনো কূলকিনারা পায় না। ঘুমন্ত ছেলের কপালে চুমু দিয়ে নিশাত ডেকে উঠলো,
“আব্বা উঠবেন না। উঠুন তাড়াতাড়ি। ক্ষুধা লাগেনি বাবা? উঠে পড়ুন আমার মানিক।”
নাহওয়ান মোড়ামোড়ি করে চোখ পিটপিট করে খুললো। নিশাত তা দেখে বললো,
“আমার ছানার ঘুম ভেঙেছে?”
নাহওয়ান চোখমুখ কচলে গড়াগড়ি খেয়ে বাবার কোলের উপর হাত, পা উঠিয়ে দিলো। নিশাত বললো,
“আমার আব্বা কি আরও ঘুমাবে?”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“এট্টু এট্টু।”
“আরও ঘুমাবেন? আজকে শুক্রবার। আল্লাহর ঘরে যাবেন না?”
নাহওয়ান চোখ আবারও কচলালো। তারপর মৃদুস্বরে বললো,
“যাবো। বাবা উটে নাই।”
“না তোমার বাবাকে ওঠাও।”
নাহওয়ান মোড়ামোড়ি করে বাবার গায়ের উপরে উঠে ডাকলো,
“বাবা উটো। সুকলোবাল আচকে। উটো।”
মারওয়ান ভ্রু কুঁচকে বললো,
“ঘোড়ার আন্ডা। জ্বালাস না তো। ঘুমা। আমিও ঘুমাই।”
“আচকে আল্লাহর কাচে যাবে না?”
নিশাত মন ভরে তার ছানাকে দেখে। আল্লাহ তার সন্তানকে অনেক বড় বানাক। নাহওয়ান বাবার গায়ের উপর একবার উঠে আবার নামে। এটা তার কাছে একটা খেলা। মারওয়ান বিরক্ত হয়ে চোখ খুললো। নাহওয়ান বাবাকে চোখ খুলতে দেখে ফিচফিচ করে হেঁসে দিলো। মারওয়ান ছেলেকে চ্যাংদোলা করে তার কোলের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেললো। নাহওয়ান বাবার কোল থেকে বের হওয়ার জন্য ছটফট করতে লাগলো। মারওয়ান বললো,
“আজকে তোকে বের হতে দিবো না আলুর বাচ্চা। থাক এখানে।”
নাহওয়ান হাত পা ছোড়াছুড়ি করতে লাগলো। নিশাত বললো,
“ছাড়ুন আমার ছেলেকে। ওকে এরকম লেপ্টে ধরেছেন কেন? ব্যথা পাচ্ছে ও।”
মারওয়ান ঘাড় ঘুরিয়ে বললো,
“আমার ঘুম ভাঙতে তুই শিখিয়েছিস? লেপ্টে ধরা তো তোকে দরকার। আয় ধরি।”
নিশাত মেজাজ খারাপ করে উঠে চলে গেলো। এখন কথা বাড়ালেই ছেলের সামনে উল্টাপাল্টা কথা বলে মেজাজ আরও খারাপ করে ফেলবে। তখন বিরাট একটা ঝগড়া বেঁধে যাবে তাই আগেভাগেই প্রস্থান করলো সে। মারওয়ান নিজের ঝাপটে ধরা হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলো একজোড়া ছোট্ট ছোট্ট গোল গোল মায়াবী চোখ তার দিকে তাকিয়ে আছে। মারওয়ান বললো,
“বের হতে চাস?”
নাহওয়ান মাথা নাড়ালো। মারওয়ান বললো,
“আমার পিঠের উপর দাঁড়িয়ে পিঠটা মেসেজ করে দে তাহলে।”
বলেই বাচ্চাটাকে ছেড়ে দিলো মারওয়ান। নাহওয়ান ছাড়া পেয়ে বাবার পিঠের উপর দাঁড়ালো। লাফিয়ে লাফিয়ে পাড়া দিতে লাগলো। মারওয়ান আরামে আবার ঘুমিয়ে পড়লো। নাহওয়ান কতক্ষণ লাফিয়ে ক্লান্ত হয়ে বিছনায় বাবার পাশে বসলো। বাবাকে আবার ঘুমিয়ে যেতে দেখে আর ডাকলো না। ছোট্ট শরীরটা নিয়ে আস্তে আস্তে বিছানা থেকে নামলো। রান্নাঘরে মাকে কাজ করতে দেখে মাকে ডেকে উঠলো। নিশাত সামনে তাকিয়েই বললো,
“আব্বা উঠেছেন। আসুন এখানে। আপনার আব্বা কই?”
“গুমায়।”
“আবারও ঘুমাচ্ছে। এই লোক এতো ঘুমায় কিভাবে?”
শেষের কথাটুকু মিনমিন করে বললো। তারপর ছেলেকে কোলে নিয়ে রুমে গিয়ে মারওয়ানকে ঝাড়া দিয়ে বললো,
“এই উঠুন। তাড়াতাড়ি উঠুন।”
অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর মারওয়ান চোখ খুললো।বললো,
“আবার কি?”
“উঠুন তাড়াতাড়ি। আজকে শুক্রবার শুনে বেশি বেশি আলসেমি করছেন তাই না?”
“ধুরু ঘুমাতে দে। শান্তি নাই, শান্তি নাই কোথাও শান্তি নাই লিলিপুট আর লিলিপুটের বাচ্চার যন্ত্রণায়।”
নিশাত কটমট করতে করতে বললো,
“উঠুন। আপনি এখন না উঠলে আমি সারাক্ষণ ডাকতে থাকবো নাহয় ছেলেকে রেখে যাবো আপনাকে জ্বালিয়ে কয়লা করে দিতে।”
মারওয়ান এক চোখ খুলে নিশাতকে একবার দেখে নিশাতের কোলে হা হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকা ছেলের দিকে তাকিয়ে বললো,
“ঐ কবুতরের বাচ্চা তুই আমাকে জ্বালাবি?”
নাহওয়ান মাথা নাড়িয়ে অসম্মতি জানিয়ে মায়ের ঘাড়ে মুখ লুকালো। মারওয়ান ঠোঁটের কোণে হাসি রেখে নিশাতের দিকে তাকালো। নিশাত বললো,
“ওকে আবারও উল্টাপাল্টা নামে ডাকলেন কেন?”
“কবুতরের বাচ্চা মোটেও উল্টাপাল্টা নাম না। কি আদুরে সম্বোধন! তুই কি বুঝবি এসবের?”
নিশাত আর কথা না বাড়িয়ে বললো,
“প্লিজ একটু উঠুন। আমার শরীর ভালো লাগছে না। বাচ্চাটার হাতমুখ ধুইয়ে নিজেও মুখ ধুয়ে খাবার খান। দয়া করে আর কথা বলাবেন না। ঘরের সমস্ত কাজ আমার করতে হয়। বাজার করা থেকে শুরু করে রান্নাবান্না, ঘর গোছানো, স্কুল করানো। বিশ্বাস করুন প্রচুর হাঁপিয়ে উঠি। আমারও বিশ্রাম করতে মন চায়, সারাদিন কাজকর্ম ফেলে ঘুমিয়ে থাকতে মন চায় কিন্তু ঐযে দায়িত্ব শব্দটা আমাকে ঘুমাতে দেয়না কিন্তু আপনি দিব্যি সবকিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ঘুমান। অথচ বিয়ে দুজনের সম্মতিতেই হয়েছিল।”
কথাটুকু বলে নিশাত ছেলেকে নিয়ে প্রস্থান করলো। মারওয়ান কিছু বলার মতো পেলো না। আসলেই তো নিশাত যা বলে গেলো একটুও মিথ্যা ছিল না এতে। বিছানা থেকে উঠে ছেলেকে নিয়ে আসলো। তারপর ব্রাশ করিয়ে জামা কাপড় বদলিয়ে দিলো। নিজেও মুখ হাত ধুলো। সকালের নাস্তা ছেলেকে খাইয়ে তারপর সে খেলো। সারা সকাল নিশাতকে আর টু শব্দ করতে হয়নি। সব আগ বাড়িয়ে মারওয়ান নিজেই করলো।
মাহদী আজকে বাজার থেকে পোলাও, গরুর গোশত কিনে এনেছে। সপ্তাহে একটা এই একটা দিন নিজের হাতে বাজার করার সুযোগ পায় সে। অন্যান্য দিন বিভিন্ন কাজে থাকে। যেহেতু কৃষি উদ্যোক্তা তাই এদিক সেদিক তাকে সময় দিতে হয়। বাজার মাকে দেখিয়ে বললো,
“মা আজকে গোশত কষা আর পোলাও করো। অনেকদিন ধরে খেতে ইচ্ছে করছে।”
মায়মুনা বেগম বললেন,
“এতো মজাদার খাবার তোরা খাবি আমার বড় মনিকটা তো খেতে পারবে না। হ্যাঁরে বাবা ওকে একটা ফোন দেনা। ওকেও আসতে বলি।”
মাহদী বললো,
“সব কথায় ভাইয়াকে না টানলেই নয় মা? তোমার বড় মানিক ফোন ধরলে তারপর তাকে আসতে বোলো। এতদিন বলে কোয়েও আনাতে পারো নি এখন তোমার পোলাও গোশত খাওয়ার জন্য তিনি এসে বসে থাকবেন। সহজ সরল হওয়া ভালো কিন্তু এতো সহজ সরল হওয়া ভালো না আম্মা।”
বলেই মানহাকে হাক ছেড়ে ডাকতে ডাকতে মুখ হাত ধুতে কলপাড়ে গেলো। মানহা ভাইয়ের ডাক শুনে গামছা নিয়ে কলপাড়ে গেলো। তারপর বললো,
“ভাইয়া তোরা বিয়ে করবি কবে? আমাকে খালি খাটাস তুই আর ছোট ভাইয়া।”
মাহদী বললো,
“আগে তোকে বিদায় করি তারপর আমরা করবো। ভালো করে কল চাপ। গায়ে শক্তি নাই?”
মানহা মুখ ফুলিয়ে বললো,
“তোর কল তুই চাপ। আমি তোর কামলা লাগি? এমন চোখ রাঙিয়ে কথা বলিস কেন?”
“একশোবার বলবো। পাজি, বদ কাজ করার বেলায় ফাকিবাজি খালি। আমার পা’টা ওই ডলোনি দিয়ে ডলে দে। সওয়াব কামা।”
মাহফুজ কোথাথেকে এসে যেন বললো,
“আমারটাও ডলে দে।”
মানহা ফোঁসফোঁস করতে করতে বললো,
“পারবো না। নিজেরটা নিজেরা ডল।”
মাহফুজ চোখ রাঙিয়ে বললো,
“ডলবি না তাইনা। দেখিস স্বামীর গুতা খেতে খেতে জীবন পার হয়ে যাবে তোর। বড়দের সেবা করবি তানা করে চটাং চটাং করছিস।”
মানহা চোখমুখ ফুলিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো। মাহদী বললো,
“এভাবে বললি কেন? ও ছোট। আমাদের আদরের। মাঝে মাঝে ওকে ক্ষেপালেও ও মনে কষ্ট পায় এমন কিছু বলিনি। তুই এভাবে বললি কেন? কষ্ট পেয়েছে না?”
মাহফুজ বললো,
“মেজো এসব ওর নাটক। একটু পরই দেখবে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করতে হাজির হয়ে যাবে। তাছাড়া আমাদের কাউকে সম্মান দেয়না। ডিরেক্ট তুই করে বলে কত বড় বেত্তমিজ ভেবেছো একবার।”
মাহদী বললো,
“থাক বাদ দে। একমাত্র বোন। একটু আধটু দুষ্টুমি করবেই। মুখ ধুয়ে যা।”
গরুর গোশত কষানো হলে মানহা বাটি নিয়ে বললো,
“আম্মা আমাকে একটু দাও। দেখি লবণ ঠিক হলো কিনা?”
মায়মুনা বেগম বাটিতে একটুকরো গোশত উঠিয়ে দিলেন। মানহা খেতে ধরতেই মাহফুজ কোত্থেকে এসে বাজের মতো খাবলে গোশতের টুকরো হাতে নিলো। মানহা চিল্লিয়ে বললো,
“তুই পাতিল থেকে নিতে পারতি না? আমারটা নিলি কেন? দে আমার গোশত ফেরত দে।”
বলেই মাহফুজকে তাড়া করতে লাগলো। মাহফুজ গোশতের টুকরো মুখে পুড়ে গোশত আবার বের করে বললো,
“নে খা।”
মানহা ভাইয়ের হাতের বাজুতে বারি দিয়ে বললো,
“গিদর, খবিশ।”
মাহফুজ হেঁসে গোশত চিবোতে লাগলো। মানহা আরেক টুকরো গোশত ও চর্বি নিয়ে অন্যপাশে চলে গেলো।
নাহওনাকে পাঞ্জাবি পড়িয়ে চুল আঁচড়ে দিলো নিশাত। আতর পাঞ্জাবিতে ডলে দিলো। মারওয়ান গোসল করে বের হলো মাত্র। নিশাত বললো,
“দ্রুত করুন। খুতবা শেষ হলো বলে। নামাজ শুরু হয়ে যাবে। এতো সময় লাগান কেন সবকিছুতে। সপ্তাহের একটা দিন নামাজে যান তাও এতো আলসেমি?”
মারওয়ান বিছানা থেকে পাঞ্জাবি নিয়ে পড়ে নিলো। নিশাত নাহওয়ানের হাতে আতর দিয়ে চোখ দিয়ে ইশারা করলো বাবাকে দিতে। নাহওয়ান আতর নিয়ে বাবার পা জড়িয়ে ধরলো। মারওয়ান ছেলেকে বললো,
“কিরে ইঁদুরের মতো পা ধরে আছিস কেন?”
নাহওয়ান হাত এগিয়ে দিয়ে বললো,
“ইটা নাও।”
মারওয়ান আতর নিয়ে পাঞ্জাবিতে মাখলো। তারপর জায়নামাজ নিয়ে ছেলেকে কোলে নিয়ে ঘর থেকে বের হলো। নাহওয়ান মাকে ডেকে বললো,
“মা যাই। আল্লাহর কাচে যাই।”
নিশাত মারওয়ানকে বললো,
“একটু ঝুঁকে দাড়ান।”
মারওয়ান “লিলিপুট” বলে একটু ঝুঁকলো। নিশাত ছেলেকে আদর করে বললো,
“যান আব্বা। আল্লাহ আপনাকে পুরস্কার দিবে।”
“আচ্চা।”
নিশাত দোয়া দুরুদ পড়ে উভয়কে ফুঁ দিয়ে দিলো।
নামাজ পড়ে এসে খেতে বসেছে মারওয়ান। নিশাত আজকে চিকেন কারী, শুঁটকি ভুনা করেছে। নাহওয়ান মায়ের কোলে বসে আছে। নিশাত মুরগির টুকরো ছিঁড়ে ছিঁড়ে ছেলের মুখে দিলো। নাহওয়ান মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে খেতে লাগলো। নিশাত বললো,
“আব্বা হাড্ডি খাবেন?”
“কাবো।”
নিশাত গোশত ছাড়িয়ে হাড় আলাদা করে রাখলো। নাহওয়ান বাবার প্লেটের হাড্ডির দিকে তাকিয়ে আছে। মারওয়ান তা দেখে বললো,
“ঐ তুই আমারটার দিকে নজর দিচ্ছিস কেন? এটা আমি খাবো।”
নাহওয়ান হেঁসে বললো,
“আমি আমি।”
“তোর গুলো আছে না। ওগুলো খা।”
ভবঘুরে সমরাঙ্গন পর্ব ১০
নাহওয়ান মায়ের কোল থেকে নেমে বাবার প্লেটে থাবা বসিয়ে দিলো। মারওয়ান চোখ বড় বড় করে বললো,
“সর্বনাশ আসল জায়গায় হাত দিয়ে দিয়েছে। কি বুদ্ধি এই পন্ডিতের! ছাড় আমার হাড্ডি।”
রাতারাতি বাবা ছেলের লড়াই লেগে গেছে হাড্ডি নিয়ে। সবসময় হাড্ডি নিয়ে বাবা ছেলের যুদ্ধ লেগে যায়। নিশাত ভালোই ফেসেছে। সে কপালে হাত দিয়ে বাবা ছেলের দিকে তাকিয়ে আছে। বাপ, বেটা উভয়েরই হাড্ডি পছন্দ। কেউ কাউকে দিতে রাজি না। এরকম কতক্ষণ খাবলাখাবলি চলবে তারপর মারওয়ান পরাজিত ভঙ্গিতে হাড্ডি দিয়ে দিবে। বাচ্চা ছেলের সাথে এরকম করতে হবে কেন এই আধবুড়োর। বুড়ো বেটার লেদা বাচ্চার মতো কার্যক্রম।