শেষ চৈত্রের ঘ্রাণ পর্ব ১১
নূরজাহান আক্তার আলো
-‘শীতল! বাগান থেকে একটা চ্যালাকাঠ এনে দে তো। শরীর ম্যাজম্যাজ করছে কাউকে ইচ্ছে মতো পিটায়।’
আচমকা শুদ্ধের কথা শুনে চমকে উঠল উপস্থিত সকলে। ঘাড় বাঁকিয়ে
তাকাল আরাম করে বসা শুদ্ধের দিকে। এই ছেলে আবার কখন এলো?
এলো তো এলো কাউকে ডাকল না কেন?এদিকে শুদ্ধর কথা শোনমাত্রই
শীতল লাফ মেরে উঠে দাঁড়িয়েছে। চোখ-মুখে ভয়। ফাঁটা বেলুনের মতো চুপসে গেছে তার আদুরে মুখখানা। মস্তিষ্কে বারংবার ধাক্কা খেতে লাগল একটাই কথা, ‘যাহ্, শুনে ফেলল নাতো? শুনলে কি হবে?’ যখনই কিছু বলে তখনই এ লোক ভূতের মতো হাজির হয়। এ কোন জ্বালা? এ কোন বিপদ! কিন্তু এখন কি হবে, কি করে নিজেকে বাঁচাবে? পেট ব্যথা করছে না কেন? অন্যসময়ে তো খুব মাথা ঘুরায়, চোখে ঝাপসা দেখে, সবকিছু
অন্ধকার হয়ে আসে তাহলে এখন কিচ্ছু হচ্ছে না কেন? অসুখও ছ্যাচড়া লেভেলের নতুবা যখন দরকার তখন হয় না। আবার যখন প্রয়োজন হয় না তখন দলবেঁধে শরীরের উপর হামলা করে। ইশ! এই মুহূর্তে মাথা ঘুরে পড়ে গেলে বাঁচার একটা সম্ভবণা ছিল। এসব ভাবতে ভাবতে সে হাতের মুঠোয় থাকা শাকগুলো রেখে মিনমিন করে বলল,
-‘ এ এউ আপু, আ..আমি ওয়াশরুমে যাব, আসছি এক্ষুণি।’
একথা শোনামাত্রই শুদ্ধ উঠে এসে তার পথ আঁটকে দাঁড়াল। তারপর বাঁ হাতে থাকা ফোনটা পকেট রেখে বলল,
-‘আগে আমাকে তোর কথা ও কাজের হিসাবটা ঠিকঠাক বুঝিয়ে দিয়ে যা। এবার ঝটপট বল দেখি, তখন কার সমস্যার কথা বলছিলি?’
-‘আমি কিছু বলি নি ভা..ভাইয়া।’
-‘কিন্তু আমি যে অনেক কিছুই বলতে শুনলাম।’
-‘ভুল শুনেছেন হয়তো। বয়স হলে মানুষ ভুলভাল শুনে।’
-‘ওহ, এবার যা বাগানে থেকে চ্যালাকাঠ নিয়ে আয়।’
-‘আর ভুলভাল কিছু বলব না ভাইয়া।’
-‘ স্বীকার করছিস তাহলে ভুলভাল বকেছিস?’
-‘স্বীকার না করে উপায় আছে? চ্যালাকাঠের মার খুব লাগে।’
একথা বলে শীতল চুপসানো মুখে বড় মার দিকে তাকাল। চোখে -মুখে বাঁচার আকুতি। শীতলকে জেরা করতে দেখে সিঁতারা চৌধুরী ছেলের বাহু ধরে নিজের দিকে ঘুরালেন। সুযোগ বুঝে ছেলের মাথায় পিঠে হাত বুলিয়ে স্নেহের সুরে বললেন,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
-‘ রোগের কাছে লজ্জা করতে নেই বাবা। এখন সব রোগের চিকিৎসা আছে। সন্তানের কাছে মা হচ্ছে সবচেয়ে কাছের বন্ধু। শুভাকাঙ্ক্ষী। ও বিশ্বস্ত ছায়া। মায়ের কাছে কিসের লজ্জা? ডাক্তারের কাছে যা বাবা। সায়ন কই, ওকেও ধরে বেঁধে নিয়ে যা।’
মায়ের কথাগুলো মন দিয়ে শুনল শুদ্ধ। তবে কিছু বলার আগে সায়নের বাইকের শব্দ শুনে কথাখানা আপাতত চেপে গেল। রাতে সায়ন বেরিয়ে কেবল বাসায় ফিরল সায়ন। পরনে ঝকঝকে নতুন প্যান্ট ও টি-শার্ট। কে বলবে এই ছেলে গতরাতে ভয়ানক কান্ড ঘটিয়েছে। সায়ন বাইরের চাবি আঙুলে নিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে বাড়িতে প্রবেশ করল। রান্নাঘরের সামনে সবাইকে দাঁড়িয়ে থাকে দেখে ভ্রুঁ কুঁচকে জিজ্ঞাসা করল,
-‘কি হয়েছে? সবাই এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?’
-‘আমাকে শান্তি দিবি না বলে ঠিক করেছিস তুই? আর কত টেনশনে রাখবি আমায়?’
মায়ের থমথমে মুখে তিক্ত কথা শুনে সায়নের ভ্রুঁজোড়া কুঁচকে গেল।
সে একবার শুদ্ধর দিকে তাকাল। তারপর মায়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল,
-‘কি করেছি আমি? সকাল সকাল বকছো কেন আমায়?’
-‘ বকবো না তো কি করব? তোর সমস্যা আছে জানাইস কি কেন?’
-‘সমস্যা? আমার আবার কিসের সমস্যা?’
সিঁতারা জবাব দিতে পারলেন না হঠাৎ উনার কথা আঁটকে গেল। মাকে থামতে দেখে শুদ্ধ ফিচেল হাসল। তারপর জবাব দিলো,
-‘তোমার নাকি শারীরিক সমস্যা আছে এজন্য বিয়ে করতে ভয় পাও। মা এটাই বলতে চাচ্ছে আর কি।’
-‘হোয়াট! একথা কে বলেছে? কার থেকে এসব শুনেছো আম্মু?’
ভাইকে রাগতে দেখে কেন জানি শুদ্ধর বেশ মজা লাগল। সে আড়চোখে সিঁড়ির উপর তাকিয়ে এবারও জবাব দিলো,
-‘শীতল বলেছে।’
সায়নসহ সবাই আশেপাশে তাকিয়ে শীতলকে পেল না। বড়দের কথার মাঝে পালিয়েছে সে। শীতলের নাম শুনে সায়নের ভ্রুঁজোড়া সমান হয়ে গেল। এগিয়ে এসে গ্লাসে পানি ঢেলে ঢকঢক করে খেয়ে হাতের উল্টো পিঠে মুখ মুছল। তারপর বলল,
-‘ওই পাগলের কথা শুনে তুমিও পাগল হলে আম্মু? ওসব কিছু না। সময় হোক আমিই তোমাদের বিয়ের কথা জানাব। যাই হোক, খাবার বাড়ো, আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।’
-‘সত্যি সমস্যা নেই তোদের? যদি না থাকে বিয়েতে এত ভয় কিসের?’
-‘সামনে ব্যস্ততা আরো বাড়বে। কখন বাড়ি ফিরি না ফিরি ঠিক ঠিকানা নাই। এখন বউ আনলে বউ টিকবে না। এরচেয়ে একটু সময় দাও, আর কিছুদিন পর জলজ্যান্ত বউমা এনে দিবো।’
একথা বলে সায়ন সিমিনের দিকে তাকিয়ে বলল,
-‘ছোটো আম্মু তোমার না ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা, গিয়েছিলে?’
-‘নারে বাপ, আর একটুপরে বের হবো।’
-‘ওকে। আমি সিরিয়াল দিয়ে দিয়েছি তুমি শুধু ডাক্তারের সহকারীকে আমার নাম বলবে তাহলেই হবে। শুদ্ধ বাইরে যাবি, কাজ আছে নাকি কোনো?’
-‘না, কেন?’
-‘তাহলে ছোটো আম্মুদের সঙ্গে যা।’
-‘হুম।’
একথা বলে সায়ন হাত দিয়ে তার চুলে ব্যাক ব্লাশ করতে করতে সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে গেল। সিঁতারা চৌধুরী বুঝলেন ছেলেদের সমস্যা নেই।
শীতলই বোধহয় বুঝতে ভুল করেছে। তবে একপক্ষে খুব ভালো হয়েছে
ব্যাপারটা সবারই জানা থাকল। এই নিয়ে কেউ কথা বাড়ালেন না তবে স্বস্তির শ্বাস ছাড়লেন। শুদ্ধও আর দাঁড়াল না সিমিনকে রেডি হতে বলে নিজের রুমের দিকে পা বাড়াল।
-‘কিছু বলবি?’
সায়নের কথা শুনে ধীর পায়ে পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে এলো স্বর্ণ। একেবারে নিঃশব্দে এসেছে তাও সায়ন তার উপস্থিতি বুঝে ফেলেছে। তাকে দেখে সায়ন শার্টের বোতাম খুলে ঘামে ভেজা শার্ট ছুঁড়ল কর্ণারে রাখা বিন ব্যাগের উপর। খালি গায়ে সিলিং ফ্যান বরাবর বসে পুনরায় জিজ্ঞাসা করল,
-‘কথা কানে যায় না? এক কথা কতবার জিজ্ঞাসা করব?’
স্বর্ণ নিরুত্তর থেকে নির্বিকার ভঙ্গিতে এসে দাঁড়াল সায়নের মুখোমুখি।তবে মুখে কিছুই বলল না শুধু তাকিয়েই রইল। সায়নও তাই। কিছুক্ষণ এভাবেই চোখে চোখে কথা বলে স্বর্ণ রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে পেছনে না ঘুরেই মুখ খুলল,
-‘ইনসান অংকনের কাজিন। অংকন রাজনীতিবিদ ছেলে। অংকনকে না পেলে সন্দেহের তীর আপনার উপরে আসতে পারে, কাজেই সাবধান।’
সায়ন শুনল। তার ঠোঁটের কোণে অদ্ভুত হাসি। হাসতে হাসতে সে শরীর এলিয়ে দিলো নরম বিছানায়। তারপর ঘৃর্ণায়মান ফ্যানের দিকে তাকিয়ে শুধাল,
-‘গতরাতে আমার পিছু নিয়েছিলি কেন?’
-‘দেখতে।’
-‘ দেখে কেমন লাগল?’
-‘রাজনীতি করলে রাজনীতিবিদের মাঝেও হিংস্রতা রাখা উচিত। নতুবা অন্যরা পিষে মারতে দু’বার ভাববে না। কাজেই মন্দ লাগে নি।’
-‘ভয় লাগছে না আমাকে?’
-‘না।’
-‘কেন? ‘
-‘অল্পতে যারা ভয় পায় তাদের জীবনে সফলতার প্রাপ্তি ধরা দেয় না।’
-‘এসবের মধ্যে নিজেকে আর জড়াস না। তোর কিছু হলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না।’
-‘ এটা আগে ভাবার উচিত ছিল। নিজের হাতে খুন করতে শিখিয়ে এখন নীতিকথা অনর্থক নয় কি?’
-‘পরিস্থিতি..আ।’
-‘আমিও পরিস্থিতি বুঝে কাজ করতে প্রস্তুত!’
-‘বাড়ির সবাই জানলে কি হবে ভেবেছিস?’
-‘ পিছু ফেরার পথ বন্ধ আর কিছু করার নেই।’
একথা বলে স্বর্ণ যেভাবে এসেছিল সেভাবেই বেরিয়ে গেল। তাকে যেতে দেখে সায়ন হাসল। অদ্ভুত সেই হাসি। তারপর হাসতে হাসতেই বিরবির করল
-‘ এই নাহলে চৌধুরীদের রক্ত!
প্রায় আধাঘন্টা পর, সিমিন আর শীতল রেডি হয়ে পাকিং লটে এসে দাঁড়িয়েছে। সিমিন তখনকার ঘটনার জন্য শীতলকে এখনো বকছেন।
শীতল মুখ গোমড়া করে চুপ করে মায়ের বকুনি শুনছে। এখানে সত্যিই তার দোষ নেই। সে যা শুনেছে তাই বলেছে একটা কথাও আগ বাড়িয়ে বলে নি। এসব নিয়ে শুদ্ধর ফ্রেন্ডরা নিজেরা হাসাহাসি করেছিল। শুদ্ধর কাঁধে হাত রেখে কীসব বোঝাচ্ছিল। তাদের কথা শুনেই শুদ্ধর সমস্যার কথা জেনে সবাইকে জানানোর কথা ভেবেছিল সে। তার কপাল খারাপ নয়তো যখনই যা বলে শুদ্ধ ভাই শুনতে পায় কেন? বাসায় নেই জেনেই কথাটা তুলেছিল। কিন্তু কে জানত কখন এসে ঘাপটি মেরে বসেছে সেই
বিশুদ্ধ পুরুষ। আর কিছু বললেই মারতে হবে কেন? সুন্দর করে বুঝিয়ে বলা যায় না? মনে মনে এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ কানে এলো,
-‘গাড়িতে বসো ছোটো আম্মু। ‘
একথা বলে শুদ্ধ গাড়িতে উঠে ড্রাইভিং সিটে বসল। সিমিনও বসলেন। শীতল বিষ্ময় নিয়ে শুদ্ধের দিকে তাকাল। এই লোক তাদের সঙ্গে যাবে নাকি? ওমা, একি সর্বনাশের কথা! তারা কি বিয়ে বাড়ি যাচ্ছে যে সঙ্গে যেতে হবে? তারা যাচ্ছে ডাক্তারের কাছে। কারণ তার পিরিয়ড জনিত কিছু সমস্যা রয়েছে। শুদ্ধ গেলে সে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে পারবে না। তার সামনে বলবেই বা কীভাবে তার সমস্যার কথা? ওদিকে তাকে গাড়িতে বসতে না দেখে শুদ্ধ হর্ণ বাজাল। শীতল বলার মতো শব্দ না পেয়ে রাগে গজগজ করতে করতে শুদ্ধর পাশে বসল। গাড়িতে চলতে লাগল হাসপাতালের পথ ধরে। রাস্তায় কি নিয়ে যেন ইয়া বড় মিছিল বের হয়েছে। দলে দলে ছেলেপুলেদের একটাই জয়ধ্বনি, বিচার চাই! বিচার চাই!’
সেই মিছিল পার হতে একটু সময় লাগল। জ্যামে বাঁধা গাড়িগুলো ছুটতে লাগল আরো বিশ মিনিট। একজায়গায় পানির পাইপ ফেটে পানি বের হয়ে রাস্তার দুই পাশে পানি জমে গেছে। রাস্তা পার হতে গিয়ে দু’একজন খিস্তি করে চলে যাচ্ছে। এসব নানান ঝামেলা শেষে অতঃপর হসপিটালে পৌঁছাল একটু দেরিতেই। কিন্তু রিসিপশনের কাছে যেতেই সিমিনের স্কুল ফ্রেন্ডকে কাঁদতে দেখে দাঁড়িয়ে গেলেন। একবার মেয়ের দিকে তাকিয়ে আবার শুদ্ধর দিকে তাকালেন। উনাকে মুখে মুখে তাকাতেই দেখে শুদ্ধ বলল,
-‘কি হলো চলো।’
উনি এবার আমতা আমতা করে বললেন,
-‘বাপ তুই শীতলকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে যা,আমি আসছি।’
-‘তুমি কোথায় যাচ্ছো?’
-‘ওই যে বোরকা পরা মেয়েটা হাউমাউ করে কাঁদছে ও আমার বান্ধবী। একসঙ্গে পড়েছি আমরা। ও কাঁদছে কেন দেখে আসি।’
-‘হসপিটালের ভেতরেই থাকবে এক পা বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলেও আমাকে কল দিবে।’
একথা বলে শুদ্ধ শীতলকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারের সামনে দাঁড়াতেই শীতলের নাম ধরে ডেতরে ডাকল। আসতে অনেক দেরি করাতে তারাই শেষ পেশেন্ট। শীতল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দাঁত দিয়ে নখ কাটছে। এবার কি হবে? এদিকে পুনরায় নাম ধরে ডাকলে শুদ্ধ ওকে যেতে বলে নিজেও যেতে নিলে শীতল হববড় করে বলল,
-‘না, না, আপনাকে যেতে হবে না। আপনি এখানেই দাঁড়ান।’
-‘কেন, আমি গেলে কি সমস্যা?’
-‘আছে, অনেক সমস্যা।’
একথা বলে শীতল একা একা ডাক্তারের রুমে ঢুকে বসল। ডাক্তার ওকে
যা জিজ্ঞাসা করল আমতা আমতা করে বলল। মহিলা ডাক্তার তবুও সে থতমত খাচ্ছে দেখে ডাক্তার জিজ্ঞাসা করল,
-‘ সঙ্গে কেউ এসেছে?’
-‘হুম, শুদ্ধ ভা..
শীতল পুরো কথা শেষ করার আগেই সহকারী মেয়েটা হাঁক ছেড়ে বাইরে থাকা তার অভিভাবককে ডাকল। পাশের চেয়ারে কাউকে বসতে দেখে শীতল সিমিন ভেবে খুশি মনে তাকিয়ে হতবাক হয়ে গেল। আবারও শুদ্ধ ভাই! এই ছেলেটা অভিভাবক এবং এই মেয়ে এখনো অবিবাহিত দেখে ডাক্তার ধরে নিলেন এই ছেলেই তার ফিয়ন্সি। তাছাড়া এ মেয়ের হাতের অনামিকাতে জ্বলজ্বল করছে খুব সুন্দর স্বর্ণের আংটি। তাছাড়া মেয়েরা আপন ভাইকে নিয়ে এ সমস্যা নিয়ে সচারাচর আসে না। তাই তিনি ধরে নিলেন পাশে বসা সুদর্শন ছেলেটা মেয়েটার হবু স্বামী। কিংবা বয়ফেন্ড।
তাই রশিক মানুষ হিসেবে তিনি প্রেসক্রিপশন লিখতে লিখতে বললেন,
শেষ চৈত্রের ঘ্রাণ পর্ব ১০
-‘মেডিসিন দিয়ে আমি আমার দায়িত্ব পালন করলাম। এবার আপনিও
তাড়াতাড়ি বিয়েটা সেরে ফেলুন।’
ডাক্তারের কথা শুনে শুদ্ধর ভ্রুঁ কুঁচকে গেল। তার বিয়ের সঙ্গে শীতলের রোগের কি সম্পর্ক? কিসব বলে এই ডাক্তার? তাকে ভ্রুঁ কুঁচকে তাকাতে দেখে ডাক্তার এবারও নিজেই মুখ খুললেন,
-‘ অবিবাহিত মেয়েদের কিছু কিছু রোগের ট্রিটমেন্ট বিয়ে। বিয়ের পর অনেক মেয়ের পিরিয়ডজনিত রোগের সমস্যাগুলো ক্লিয়ার হয়ে যায়।
আমি কি বলতে চাচ্ছি আশা করি এইবার বুঝতে পেরেছেন।’