Violent love part 4

Violent love part 4
Mariam akter juthi

“শহরের অতি তীব্র যানজট ও ধুলো ওরা পরিবেশ কে মোকাবেলা করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাড়ি ফিরলেন বাড়ির দুই বড় কর্তা। সাফওয়ান খান মাহমুদ খান। সাথে সাইফুল খানও ছিলেন উনাকে নেত্রীয় দল কেন্দ্রে ডেকেছেন তাই উনি অফিস থেকে সরাসরি সেখানে গেছেন। ক্লান্ত শরীর খানা সোফায় এলিয়ে দিলেন সাফওয়ান খান, উনাদের আসতে দেখে ঠান্ডা লেবুর শরবত এনে দিলেন সানজিদা খান। শরবতটা দুজনের হাতে দিয়ে বসলেন স্বামীর পাশে,সাফওয়ান খান তৃপ্তি সহকারে স্ত্রীর দেওয়া শরবতটা খেলেন। অতঃপর কিছু একটা ভেবে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন,
‘ছেলেটা সেই দুদিন আগে বাড়ি ফিরলো ওই একটু দেখার পর আর তাকে দেখলাম না। এখন পর্যন্ত একটা কথা আমার সাথে বলেনি,কই সে?
সানজিদা খান স্বামীর প্রশ্নে একই রকম নিশ্বাস ফেলে বলে,

‘মাত্র দেখলাম কোথা থেকে রেগে মেগে আগুন হয়ে এসে সোজা রুমে দিকে গেছে, পিছু ডাকলাম শুনল না। আপনার ছেলের সেই ছোটবেলার আড়ি এখনো একটুও কমেনি, ওর কথা নড়চড় হল,,— উনার বাকি কথা শেষ করার আগে উপরের দোতলা ঘর থেকে বেশে আসে ভাঙচুরের শব্দ। বুঝতে বাকি থাকে না এইসব ভাঙচুর উনার ছেলে আরিশ করছে। আবারো জিনিসপত্র ভাঙ্গার শব্দ পেয়ে ছুটে যায় আরিশের রুমের দিকে। গিয়ে দেখে রুমের অবস্থা ছন্ন বিছিন্ন। ছেলের হাত কেটে ফ্লোরে রক্ত ঝরছে। টাইস করা ফ্লোরে রক্তটা যেন বেশি গাড়ো মনে হচ্ছে। সানজিদা খানের বুকটা ধুক করে ওঠে। দৌড়ে ছেলেকে শান্ত করার জন্য আহাজারি কান্না জড়িত কন্ঠ বলল,
‘আমার শোনা, কি হয়েছে বাবা বল? এমন করছিস কেন? হাতটা কেটে কি হয়েছে দেখেছিস? শান্ত হও বাবা। কি হয়েছে মাকে বলো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘আমার তোমাদের কাউকে বলার প্রয়োজন নেই আম্মু, তোমাদের সবাইকে আমার চেনা জানাশোনা আছে। তোমরা কে কতটা আমাকে ভালোবাসো সেটা আমার জানা। তাই দয়া করে আমাকে একটু একা থাকতে দাও।
ছেলের আবারো আগের মত পাগলামি দেখে সাফওয়ান খান কাছে যেতে যেতে বলেন,
‘বাব-আমার কি হয়েছে আমাদের বল? আমরা সব ঠিক করে দেবো।
সাফওয়ান খানকে ওর দিকে এগোতে দেখে চেতে উঠা রাগটা যেন আরো চেতে উঠেছে। তাই জোরে জোরে হুংকার ছেড়ে বলল,
‘মা এই লোককে আমার রুম থেকে বের হতে বল।
আর নয়তো যদি এবার আমি আবার চলে যাই বিশ্বাস করো কোনদিন আর এই বাড়িতে পা রাখবো না।
‘আরিশ সে তোমার বাবা হয়, তুমি তার সাথে এমন ভাবে কথা বলছো কেন?
‘দেখো মা যেটা আমার সেটা একান্তই আমার, সেটা নিয়ে টানা হেসরা করা আমার মোটেও পছন্দ না। আর তোমরা বারবার সেটাই করছো।

‘কি করেছি আমরা? ‘সাফওয়ান খান’
‘হ্যাঁ বলো কি করেছি আমরা? তুমি যখন যেটা চাও আমারা সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করি। তোমার মন রক্ষা করার চেষ্টা করি। তারপরও তুমি,,,— আরিশ ওর মাকে হাত জাগিয়ে বল,
‘ব্যাস আম্মু, আর মিথ্যে বলো না। তোমরা আর কত মিথ্যে বলবে?
‘আরিশ,,,,
‘আম্মু মউ তো আমার ছিল তাই না? মউয়ের সাথে তো আমার বিয়ে হয়েছিল? তাহলে ও কেন আমার হয়েও হচ্ছে না? জানো?বাদ দাও, তারচেয়ে বরং আমাকে একা থাকতে দাও। তোমরা চলে যাও। আমি আমার জিনিস বুঝে নিতে জানি। আমার জিনিস কাউকে আমার করে দিতে হবে না।
‘আরিশ ওটা কোন বিয়ে ছিল না। ছেলে খেলা বন্ধ কর। আর ওই অপোয়া মেয়েটাকে তো আমি কোনদিনও তোমার বউ হিসেবে মেনে নিব না। যে মেয়ের জন্য আমার বুক থেকে তোমাকে ৭ টা বছর দূরে থাকতে হয়েছে, সেই মেয়েকে তো,,

‘তুমি তো এমন ছিলে না, তুমি তো মউকে ভীষণ ভালবাসতে, তাহলে এখন এমন করছ কেন? সে এখন যেমনি কর তোমাদের মানতে হবে না। তোমরা আমার রুম থেকে বেরিয়ে যাও।
‘আরিশ,
‘হ্যাঁ আম্মু, আমি কোন নায়ক হতে চাই না। যে ফ্যামিলি কিংবা পরিস্থিতির চাপে পড়ে প্রিয় মানুষকে ছেড়ে দিবে। আমি আমার লাইফে ভিলেন হতে চাই, প্রিয় মানুষের ক্ষেত্রে নো কম্প্রোমাইজ,আমি সমাজ পরিবার মানুষকে বুঝি না আমি আমার প্রিয় মানুষকে ছিনিয়ে নিতে বুঝি। —‘জানো তো আম্মু লাইফে নায়ক নয়। ভিলেন প্রয়োজন,তাহলে জীবনটা সুখের হবে।

সাফওয়ান খান এতক্ষণ মা ছেলের কথা চুপচাপ দাঁড়িয়ে শুনছিলেন, ছেলে আর তার সেই ছোট ছেলে নেই। তার সবকিছুই চেঞ্জ হয়ে গেছে, শুধু চেঞ্জ হয়নি রাগ ইগো খোভ জেদ। আর সেখান থেকেই সেই ৭ বছর হয়ে গেল, ছেলে তার সাথে কথা বলে না। শত চেষ্টা করেও এই সাত বছরে তার সাথে কথা বলাতে পারিনি। ভুলটা তারই ছিল, সেদিন ছেলেটাকে এমন শাস্তি না দিলেও পারতো। কিন্তু কি করার ছিল তখন জুথিও খুব ছোট্ট ছিল, আরিশের অতিরিক্ত টর্চার ছোট মেয়েটা উপর প্রতিনিয়তই তার চোখে পড়তো। সে ভেবেছিল সেদিন সেই সিদ্ধান্তটা নিলে হয়তো তার ছেলেটা ছোট মেয়েটার সাথে এমন করবে না। কিন্তু হল তা উল্টোটা। বাবা ছেলে সম্পর্কটা ও আজ ছন্নছাড়া। উনি আবারো দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লেন। ওনার বেশ জানা আছে, ছেলে যখন বলেছে মউ তার, দুনিয়া উল্টে গেল মউ তার। সেখানে কারো কিছু বলার সাধ্য নেই। আর সে তার ছেলের ইচ্ছা কে মেনে নিবে, কিন্তু এই মুহূর্তে উনি আরিশ কে এই কথাটা বলতে পারছে না,আর এই মুহূর্তে বলতে ও চাই না।তাই আস্তে করে সেখান থেকেই চলে এলেন।

সকাল গড়িয়ে বেলা দুপুর ১.২৫ মিনিট। জুথি পরীক্ষা শেষ করে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে। একা বললে ভুল হবে সাথে ওর বেস্ট ফ্রেন্ড তানিশাও ছিল। কিন্তু আজ মনে হয় সব রিক্সা ওদের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। কোন রিক্সা খালি পাচ্ছে না। একপর্যায়ে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বিরক্ত হয়ে যায়। হাতে ঘড়ির দিক তাকিয়ে দেখে দেড়টা বেজে যাচ্ছে। মনে ভয়ের রেশ আসে, সামনের মোড়ের রাস্তাটা একদম ভালো না। দুপুরবেলায় মেয়েদের একলা পেলেই টিস করে, সেটা প্রথম পরীক্ষার দিনই সে টের পেয়েছিলো। কি করবে ভেবে পাচ্ছে না, যত দাঁড়াবে ততই দেরি হবে। তাই মনে এক বুক সাহস নিয়ে হাটা দিল, কিছুটা পথ হাঁটতে খুব স্পিডে ওদের সামনে একটা বাইক থামলো, হঠাৎ থামতে দেখে জুথি চোখ মুখ খিচে দু’পা পিছিয়ে যায়। আস্তে পিটপিট করে চোখ খুলে দেখে রাদিফ বাইকের উপর হাসিমুখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। জুথি রাদিফ কে দেখে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পায়। ও রাদিফ কে দেখে মুচকি হেসে বলল,
‘ভাইয়া তুমি? এই রাস্তায় কি করছো?
‘আমার সামনে একদম হাসবে না তুমি, তোমার গালে টোল পড়া হাসি আমার বুকে মারাত্মক তীর বেঁধে, সেটা তুমি বোঝনা?

জুথি বিরক্ত হয়, এই লোক ওকে যখনই দেখে তখনই গালের টোল নিয়ে পড়ে থাকে, মনে মনে শপথও করে নেয় এই লোকের সামনে আসলে কোনদিনও আর হাসবে না। তাহলে আর গালে টোল পারবে না, আর ওকে ফালতু বকবক শুনতে হবে না। তাই কিছুটা কিঞ্চিত রাগ নিয়ে বলল,
‘তুমি এদিকে কেন এসেছ আগে সেটা বল?
‘বাড়ে, টোলয়ালি একা একা বাড়ি যাবে তাইতো তাকে নিতে এলাম।
‘তুমি আমাকে নিতে এসেছ?
‘না আপনাকে নয়, আপনার আশেপাশে মানুষকে নিতে এসেছি।
জুথি বুঝলো এখন রাদিফ, কথাটা মজা করেই বলছে, তাই ও রাদিফ কে আর কিছু বলল না। আস্তে করে রাদিফের বাইকের পিছে উঠে ঘাড় ঘুরিয়ে তানিশার দিকে তাকিয়ে বলল,
‘কিরে তুই কি দাড়িয়ে থাকবি নাকি আমাদের সাথে যাবি?
‘যাব, কিন্তু তোদের সাথে না। আসলে আমার একটা কল এসেছে, ও আমাকে এক্ষুনি নিতে আসবে। ও না আসলে তোদের সাথেই যেতাম,তুই বরং চলে যা।

‘কে আসবে? আমাকে তো তখন বললি না?
‘বাড়ি গিয়ে ফারির ফোন থেকে কল দিস তখন বলবনি এখন তাড়াতাড়ি যা ।
রাদিফ এতক্ষণে তানিশার দিকে তাকালো, তাকিয়ে কিছুটা অবাক হলো। ভালো করে তাকিয়ে দেখে, তানিশা নামের মেয়েটি একদম জুথির কপিক্যাট। ফর্সা চেহারা চোখ নাক ঠোঁট এমন কি ঠোঁটের নিচে তিল সাথে গালে পরা টোল, সবকিছুই খেয়াল করে রাদিফ অবাক কন্ঠে বলে,
‘কি একটা কুইন্সিডেন্ট বিষয়। তোমরা দুজন দুজনার কত মিল। হঠাৎ করে কেউ দেখলে বলতে পারবেনা তোমরা আপন বোন না, সবাই এক বাক্যে উপাধি দেবে তোমরা যমজ বোন।
‘আমার বোনের থেকে ও বেশি কিছু হই ভাইয়া। আর নয়তো দেখেন আমাদের মধ্যে কি এত মিল থাকার কথা তাইনারে জুথু?

‘একদম।
ওদের কথা শুনে রাদিফও মুচকি হাসলো, বাইক স্টার্ট দিতে দিতে বলল,
‘আমাদের বাড়িতে এসো।
‘অবশ্যই ভাইয়া।
জুথি যাওয়ার আগে তানিশাকে বলে,
‘ওই শোন আমি বাড়ি গিয়ে ফারির নয় আমার ফোন দিয়েই তোকে কল দিব নে, ওকে।
‘তুই ফোন পাবি তুই ফকিন্নি?
‘ও তোকেও তো একটা কথা বলা হয়নি, আমিও বাড়ি গিয়ে ফোনে বলবো নে হ্যাঁ, এখন যাই।
‘হ যা।

রাদিফ জুথি তানিশাকে বিদায় দিয়ে ওখান থেকে চলে আসে, ওদের চলে যেতে দেখে তানিশা ও গুটিগুটি পায়ে রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকে , কিছু দূর যাওয়ার পরে হাফিজ কে হাসিমুখে ওর দিকে আসতে দেখে ও মুচকি হেসে আরো এগিয়ে যায়। দুজন একদম কাছাকাছি দাঁড়িয়ে দুজন দুজনাকে আরো একটা হাসি উপহার দেয়, অতঃপর হাফিজ ওর পিছন থেকে হাতটা এনে তানিশাকে দিয়ে বলল,
‘এই গোলাপটা আমার কিউট পরির জন্য।
তানিশা মুচকি হেসে ফুলটা হাতে নিল, ঘুরেফিরে দেখে হালকা ঘ্রাণ নিয়ে বলল,
‘তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।
‘তোমার পরীক্ষা কেমন হয়েছে?
‘আলহামদুলিল্লাহ ভালই হয়েছে।
‘আন্টি ভাই বোনেরা কেমন আছেন?
‘তারা ভালো আছে, তোমার বাসার সবাই কেমন আছে?
‘এইতো ভালো আছে।

‘চলো সামনে দিঘীরপাড়ে গিয়ে বসি, ওখানে শস্য বাতাস বয়, কথা বলতে ভালো লাগবে।
ওরা দুজন কিছুটা সামনের দিকে এগোতেই, তানিশখর চোখে পড়ে, আয়ান ওর দল বল নিয়ে একেকজন বাইকের উপর বসে আছে। ব্যাস হয়ে গেল, তানিশা কাচুমাচু করে ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলতে লাগলো। মনে মনে আল্লাহ আল্লাহ করে গলা শুকিয়ে ডাকতে লাগলো। এই বান্দা এখানে কি করে? আজ আবার না কোনো গন্ডগোল করে। আল্লাহ তুমি বাঁচিয়ে নাও। ওর মনে মনে বিড়বিড় করার ভিতর আয়ান ওর একেবারে কাছে এসে হাফিজের দিক সরু চোখে তাকায়। অতঃপর দাড়িটা একটু চুলকিয়ে বলল,
‘তুই কে রে? তোকে তো আগে কখনো দেখিনি।
আয়ান ওকে না চিনলেও হাফিজ আয়ান কে ঠিকই চিনলো, আর চেনারি কথা পুরো ঢাকা শহরে তাদের দুই ভাইয়ের ইলেকশনের পোস্টার লাগানো। তাছাড়া তাদের কমবেশি তো সবাই চেনে। সেই সূত্রে হাফিজের ও চেনা। তাই হাফিজ কিছুটা বিনয়ের সুরে বলল,

‘আরে ভাই আপনি? কেমন আছেন ভাই আপনি?
‘চেনো আমাকে?
‘কি বলছেন ভাই আপনাকে চিনব না?
‘দেখো তুমি আমাকে চেনো কিন্তু তোমার পাশের জন আমাকে চেনে না, এতবার ওয়ার্নিং করার পরেও তোমার সাথে মিশছে। আজ আমার জায়গায় যদি ভাইয়া হতো না তো এই মেয়ের কি যে হতো, আমি বলেই এখন পর্যন্ত সুস্থভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
‘ভাই আপনার কথা বুঝতে পারছিনা।
তুমি বুঝতে পারছ না, আমি তো বাংলা ভাষায় বলছি। তারপরও যদি বুঝতে না পারো তাহলে বুঝিয়ে বলছি।
‘এই যে তোমার পাশে দাঁড়ানো মেয়েটা কে দেখছো না, ওই মেয়েটা আমার। তাই আজ এই মুহূর্ত থেকে ওর কাছ থেকে দূরে থাকবে। আর নেক্সট টাইম যদি তোমাকে এই এলাকায় কিংবা ওর আশেপাশে দেখি তোমাকে দুনিয়া থেকে বিলুপ্ত করতে এক মিনিটও ভাববো না। এটা আমার না ভাইয়ের কথা, প্রিয় মানুষের ক্ষেত্রে নো কম্প্রোমাইজ। তাকে ভালো লেগেছে মানে সে সারা জীবনের জন্য আমার। এবার সোজা ভালো ছেলের মত এখান থেকে কেটে পরো।

হাফিজ যা বুঝার বুঝে নিল, তাই বড় নেতা মানুষদের সাথে ঝামেলা করতে চাই না বলে চুপচাপ একবার তানিশা দিক তাকিয়ে ওখান থেকে চলে গেল। হাফিজ কে চলে যেতে দেখে আয়ান এবার স্বাভাবিক মানুষ থেকে রাগী মানুষে পরিণত হলো। তানিশা দুই বাহু চেপে ধরে ঝাঁককিয়ে বলল,
‘সাহস কি করে হয়? আমি ব্যতীত পর পুরুষের সাথে মেশার?
‘,,,,,,,,,
‘চুপ করে থাকবে না অ্যানসার মি?
তানিশা আয়ানের রাগী চেহারা দেখে ভয়ে ভয়ে বললো, — ‘আপনি কে হন আমার? যে আপনার সব কথা আমাকে শুনতে হবে?
‘ভবিষ্যতের জামাই।
‘আমি রাজি হলে না ভবিষ্যৎ?
‘তুমি রাজি হলে হবে না হলে না হবে, তোমাকে আমি ছাড়ছি না মেয়ে।
‘দেখুন ভালো হচ্ছে না কি,,
‘বাইকে উঠো বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি।
‘না আমি আপনার সাথে যাব না।

‘দেখো বাড়াবাড়ি করো না, ভালোবাসি তোমায়? জোর করছি না, যেদিন ভালবাসতে পারবে সেদিনই ভবিষ্যৎ হবে তার আগে আমি তোমাকে ফোর্স করব না। তবে যে ছাড় দেবো সেটাও না। যে তুমি অন্য ছেলেদের সাথে মিশবে।
তানিশা আর কথা বাড়ালো না কারণ ও এই ৪ বছরে খান বংশের সব মানুষ কে খুব ভালোভাবে চিনে গেছে, এরা এক কথার মানুষ। কথার কোন নরচর হবে না। তাই ভালো মেয়ের মতো আয়নের বাইকের উঠে বসলো, তানিশা কে বসতে দেখে আয়ান ও আর কথা বাড়ালো না বাইক স্টার্ট দিয়ে তানিশার বাসার দিকে রওনা হলো।

আরিশ ও মাত্র বাইক নিয়ে বাসায় ঢুকছিল, তখন পাশ দিয়ে রাদিফ কে বাইক নিয়ে ঢুকতে দেখে ভ্রু কুঁচকে ওর দিক তাকায়। রাদিফের পেছনে হেলমেট পড়া কাউকে দেখে কুঁচকানো ভ্রু জোড়া আরো কুঁচকে যায়। আরিশের কোঁচকানো ভ্রু জোড়া তখন স্বাভাবিক হয় যখন দেখে রাদিফের পিছনে হেলমেট পড়া মেয়েটা আর কেউ নয় তার মউ। তখনই রাগে দাঁত কিরমির করে হাত দুটো মুঠি বদ্ধ করে নেয়। চোখ দুটো বন্ধ করে ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিয়ে রাগকে শান্ত করার জন্য। তবে সে ব্যর্থ, রাগ কমছে না তার বরং বেরেই যাচ্ছে। সে তার মউ কে কারো সাথে সহ্য করতে পারে না। এতটা বছর কাছে ছিল না ঠিকই তবে, আয়ান বাপ চাচারা,ব্যতীত তার মউ আজ পর্যন্ত কোন ছেলের সাথে কথা বলতে পারিনি। শুধু পারেনি এই বেটা রাদিফের সাথে কথা বলাটা বন্ধ করাতে।আরিশ একবার রাগী চোখে রাদিফের দিকে তো আর একবার জুথির দিকে তাকিয়ে, বাইকে জোরে একটা লাঠি দিয়ে বলল,

Violent love part 3

‘ছ্যা শালার জিন্দেগি, একটা ছেলে থেকে আমার মউ কে সামলাতে পারছি না। মনে তো চাচ্ছে দুটোকেই মেরে আমি নিজেও মরি। আজ খালি তুই ভিতরে আয় তোর সঠিক ব্যবস্থাই নিব,,

Violent love part 5