Violent love part 14
Mariam akter juthi
“কাঁচের দরজা টা খুলে ইভা শপের ভিতর ঢুকতে কিছুটা অবাক হয়, কারণ ও ভিতরে ঢুকতে দুজন সেলসম্যান ওর হাতে একটা গোলাপ দিয়ে বললো,
‘স্বাগতম ম্যাম, আমাদের এখানে আসার জন্য।আর যারা আমাদের এখানে প্রথম আসে আমরা তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাই।
‘বাহহ, আপনাদের পরিবেশন টা অনেক সুন্দর।
‘এটা আমাদের মালিকের পরিকল্পনা।
‘হুম দেখেই বোঝা যাচ্ছে, আপনাদের মালিক অনেক সৌখিন।
বলে ইভা শপের ভিতরে ঢুকে চারপাশটা ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকে। আসেপাশটা দেখতে দেখতে হুট করেই কারো সাথে ধাক্কা লেগে দু’জনেই মেঝেতে পরে যায়। ইভা পরে যেতে জামা ঝেড়ে উঠতে উঠতে বললো,
‘আইএম সো সরি, আমি আসলে খেয়াল করিনি।
সামনে পরা যাওয়া লোক টা ইভার থেকে মিষ্টি কন্ঠে সরি বলতে শুনে কিছুটা অবাক হল। কারণ দোষ তো ইভার না, দোষ টা সম্পুর্ন ওর। তাই উঠে ইভার দিকে তাকিয়ে বললো,
‘আসলে দোষ আপনার নয় আমর। আমিই তারাহুরা করে বের হচ্ছিলাম তখন,— এতোটুকু বলে ইভার মুখশ্রীর দিক চোখ পরতে লোকটার চোখ দুটো যেন সামনে থাকা মধ্যে আটকে যায়।এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ইভাকে সুক্ষ ভাবে দেখার মধ্যে ইভা বললো,
‘আচ্ছা সমস্যা নেই। কিন্তু আপনি লেডিস শপে কি করছেন? এখানে তো ছেলেদের কোন পোষাক বিক্রি করা হয় না।
সামনে থাকা লোকটার ইভাকে দেখা হয়ে গেলে, ইভার কথায় মুচকি হেসে বললো,
‘আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে, আমি এখানে সপিং করতে আসিনি।
‘তাহলে আপনি লেডিস হাউজে কি করেছেন?
ওদের কথায় একজন সেলসম্যান বলে,
‘ম্যাম ওনিই আমাদের শপের মালিক।
ইভা সেলসম্যানের কথায় রনির দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ও আপনি তাহলে ইমরান খান রনি? আসলে আমি বুঝতে পারিনি।
‘it’s ok. বাই দা ওয়ে আপনার নাম টা জানতে পারি?
‘অবশ্যই, আমি সুমাইয়া খান ইভা।
‘বাসা কোথায় তোমাদের?
‘গুলশান খান বাড়ি।
‘মির্জানি? ভ্রু কুঁচকে কনফিউজড হয়ে।
‘হুম।
ইভা’কে হুম বলতে শুনে, রনি কিছুটা খুশি হয়ে বলল।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
‘ও তোমাদের তো আমরা চিনি, এবার ঈগল টিমে তোমার ভাই নেতৃত্বে দাঁড়িয়েছে তাই না?
‘হ্যা আমার বড়ো আব্বুর ছেলে।
‘আচ্ছা আমাকে এখন বেরতে হবে, nice to meet you. and I will see you again — বলে ইভাকে একটা হাসি উপহার দিয়ে চলে যায়।
জুথি তখন রুমে এসে ড্রেস চেঞ্জ করে,ফারির রুমে গিয়ে দেখে ফারি বিছানায় শুয়ে শুয়ে কোরিয়ান মুভি দেখছে,ফারি শুধু করিয়ান মুভি না, তার পাশাপাশি ইংলিশ মুভি ও দেখে,তার নাকি বিদেশি ছেলেদের ওনেক ভালো লাগে। সুজুক পেলে নাকি সে বিদেশি একটা ছেলেকে বিয়ে করে নিত।এমন টা তার কথা।জুথি ফারির কাছে এসে ওর ফোনটা ছো’মেরে ওর কাছে নিয়ে বললো,
‘তোর মুভি দেখা হলে, চল গিয়ে গোসল করি।
‘মুই তো আফা আম্মের লোইগা অফেক্ষা করতে আছিলাম।কহন আম্মে আইবেন। যাগ্গা আম্মের পিরিক্ষাহান কেমন হইছে?
‘আলহামদুলিল্লাহ, ওই তুই ঠিক করে কথা বল।
‘আমি ঠিক করেই কথা বলি, বাই দ্যা ওয়ে কিসটা কিন্তু সেই ছিল।
ফারির কথা শুনে জুথি মুখটা কাচুমাচু করে বললো,
‘মা,নে?
‘আসলে আমি কোরিয়ান মুভিতে মাএ দেখলাম।মুখ টিপে হেসে।
জুথি ফারির কথা শুনে হাঁফ ছেড়ে বললো,
‘ও তাই বল,আর চল এখন।
‘হুম।
ওরা গোসলের জন্য রুম থেকে বেরনোর সময় আরিশের চোখে পড়ে,আরিশ তার মৌকে গোসল করতে যেতে দেখে মুচকি হেসে তোয়ালে নিয়ে জুথির পিছু আসতে নিলে হঠাৎ করেই জুথির চোখ পরে আরিশের দিকে,আরিশ কেও তোয়ালে নিয়ে নিচে নামতে দেখে বুঝে যায় আরিশ গোসলের জন্য আসছে তাই জুথি ওখানে দাঁড়িয়ে পরে,ফারির হাত ধরে বললো,
‘আমি বাহিরে গোসল করবো না। আমার ওয়াস রুমে করবো।
‘কেন? ফারি কপাল কুঁচকে।
‘আমি আসলে,— জুথির কথার মধ্যে রাদিফ ও সেখানে উপস্থিত হয়ে জুথির দিকে তাকিয়ে বললো,
‘কোথায় যাচ্ছ তুমি?
রাদিফের কথায় ফারি আগ বাড়িয়ে বললো,
‘গোসল করতে যাচ্ছিলাম।
‘ও আমিও তাহলে সুইমিং’য়ে গোসল করব।
‘কিন্তু তুমি তো সুইমিং এ গোসল করো না?
‘করি না তো কি হয়েছে? আজকে করব, জুথির দিক তাকিয়ে।
রাদিফের কথায় আরিশ রাদিফের কাঁধে হাত রেখে গম্ভীর কণ্ঠে বললো।
‘তুই গিয়ে সুইমিং’য়ে গোসল কর, আর তুই ভাবলি কি করে মৌ তো সাথে গোসল করবে?
রাদিফ আরিশ কে ওর কাঁধে হাত রাখতে দেখে বিরক্তি নিয়ে ওর কাঁধ থেকে হাতটা সরিয়ে বললো,
‘সেটা না হয় জুথি বলুক?
‘কেন আমি বলেছি তাতে তুই শুনতে পাসনি? দাঁত কিড়মিড় করে।
‘জুথি তুমি বাহিরে গোসল করবে? জুথির দিকে তাকিয়ে।
জুথি কিছু বলতে যাবে, তার আগেই আরিশ হুংকার দিয়ে বললো,
‘বললাম না মৌ তোর সাথে গোসল করবে না।
আরিশের হুংকার দেখে, জুথি ভয়ে পিছিয়ে যেতে নিলে, রাদিফ জুথির কাছে গিয়ে বললো,
‘তুমি ভয় পেয়ো না, আমি আছি তো?
জুথি রাদিফ কে ওর কাছে এগোতে দেখে আরো দুপা পিছিয়ে যেতে নিলে,আরিশ জুথির হাতটা থাবা মেরে ধরে বললো,
‘তুই আমার সাথে চল, তুই আমার সাথে গোসল করবি। বলে জুথির হাত ধরে হাঁটতে নিলে রাদিফ জুথির অন্য হাত টেনে ধরে আরিশের দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ওর হাতটা ছাড় আরিশ।
আরিশ একবার রিদিফের ধরে রাখা হাতের দিক তাকাচ্ছে তো একবার রাদিফের দিক তাকাচ্ছে। আরিশ রাগ কে কন্ট্রোল করতে না পেরে চেচিয়ে বললো,
‘ছাগলের পুত, মৌয়ের হাত ছাড়।
‘মুখের ভাষা ঠিক করে তুই ওর হাত ছাড়।
‘না ছাড়লে কি করবি তুই? আমার *বালে দড়ি দিবি? যদিও তা পারবি না। শুনে রাখ এই হাত আমি কোনদিনও ছাড়বো না। জোরে চিৎকার করে।
আরিশ কে চিৎকার করতে দেখে রাদিফ জুথির হাতটা আস্তে ছেড়ে দেয়, কারণ রাদিফ যতক্ষণে হাত না ছাড়বে আরিশ এভাবেই চিৎকার চেঁচামেচি করবে। আর তখন বাড়ির সবাই এক জায়গায় জড়ো
হয়ে, আরিশ কে নয় বরং জুথিকে ভুল বুঝবে। আর মামনি সে তো একবারও ভাববে না জুথির গায়ে হাত তুলতে। তাই রাদিফ সবকিছু চিন্তা করেই হাতটা ছেড়ে দেয়। রাদিফ জুথির হাত ছেড়ে দিতে আরিশ জুথি কে টান মেরে ওর কাছে এনে পাঁজাকোলে তুলে দফদফ পা ফেলে ও রুমের দিকে হেঁটে, সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে জুথিকে বাথ টবের উপর ঠাস করে ফিক্কা মেরে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে,রুমের দরজাটা দিয়ে আবারো ওয়াশরুমে ঢুকে জুথিকে এক টান দিয়ে বাত টপ থেকে উঠিয়ে দাঁড় করিয়ে ঝরনাটা ছেড়ে দিয়ে দুজন একসাথে ভিজে চুপচুপ হচ্ছিল। কারো মুখে কোন কথা নেই, শুধু শোনা যাচ্ছিল দুটো মানুষের ঘনঘন নিঃশ্বাস।জুথি কে চুপচাপ থাকতে দেখে আরিশ বন্ধ চোখ জোড়া খুলে জুথির আদলের দিকে তাকিয়ে দেখে জুথির বন্ধ চোখ জোড়া অবনত কাঁপছে পাশাপাশি গোলাপি ঠোট দুটো ও কাপছে।আরিশ জুথির দিকে তাকিয়ে নিজের চৈতন্য হারায়। আস্তে আস্তে করে জুথির ঠোঁট দুটো পরম যত্নে ওর সাথে আবদ্ধ করে চুষতে থাকে। আরিশ জুথির ঠোটে চুমু খেতে, জুথি সাথে সাথে চোখ দুটো বড় করে তাকায়। অতঃপর আরিশের থেকে ছাড়া পেতে আরিশের বুকের উপর থাপড়া থাপড়ি শুরু করে দিল। আরিশের কাজে বিপত্তি বাজাতে আরিশ জুথির ঠোঁট ছেড়ে জুথির দিক তাকিয়ে কিছু বলবে তখন ওর চোখ পড়ে, জুথির স্বর্ণ কালার চেইন পড়া ঝকঝক করা গলা ও ঘারের দিকে। আবারো আরিশ ওর কন্ট্রোল হারায়, ঝুঁকে জুথির ঘাড়ের দিক চুমু খেতে গেলে জুরি আরিশ কে নিজের থেকে ঠেলে সরিয়ে বললো,
‘আপনাকে আমি সহ্য করতে পারি না, আপনার এমন কাজে আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না। প্লিজ আমার কাছ থেকে সরুন।
আরিশ জুথির কথায় পাত্তা না দিয়ে, জুথিকে টেনে ওর কাছে এনে ঘাড়ে মুখ ডুবাতে ডুবাতে নেশাক্ত কণ্ঠে বললো,
‘যদি আর একবার নাড়াচাড়া করিস তো, আমি তোকে রেপ করব। এখন as you wish.
জুথি আরিশের কথায়, কি বলবে কিছু ভেবে পাচ্ছে না, কারণ আরিশের কাজে ডিস্টার্ব হলে সে যেটা বলেছে সেটাই করবে। কিন্তু আরিশের এমন বিহেভিয়ার দেখে জুথি জোরে কান্না করে দিয়ে বললো,
‘প্লিজ, আমি সহ্য করতে পারছি না তো? আপনাকে নিতে পারছি না, প্লিজ আমাকে ছাড়ুন।
আরিশ জুথির কান্না শুনে ওর থেকে সরে আসে, আরিশ জুথির থেকে সরে আসতেও জুথির কান্না থামছে না দেখে আরিশ কথা ঘুরাতে বললো,
‘গলায় কি পরেছিস এইসব *বালছাল?
জুথি আরিশের কথায় ওর গলার দিক তাকিয়ে এক হাত গলার চেইনের উপর দিয়ে বললো,
‘চেইন পরেছি দেখতে পারছেন না?
‘এটা এক্ষুনি খুলে ফেল।
‘না এটা খুলবো না। চোখের পানি মুছে।
জুথির মুখে খুলবো না শুনে,আরিশ জুথির গলা থেকে চেইনটা টান মেরে খুলে ওর হাতে নিতে দেখে জুথি আবারো কান্না করে দিয়ে বললো,
‘কি করলেন এটা আপনি? কত কষ্ট করে টাকা জমিয়ে এই ছোট পেনডেট সহ চেইনটা কিনলাম। আর আপনি সেটা ছিড়ে ফেললেন?
জুথিকে আবারো কান্নাকাটি করতে দেখে আরিশ বিরক্ত হয়ে বললো,
‘কয় টাকা জমিয়ে কিনেছিস?
‘১২৬০ টাকা। একটা টাকা আমার থেকে কম রাখেনি। আর আপনি,
জুথির অভিমানী কন্ঠ শুনে, আরিশ শব্দটা টেনে বললো,
‘এতততত টাকা?
‘হুম।
Violent love part 13
আরিশ জুথির কথা শুনে হাসবে? না কিছু বলবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না, শুধু ওর দিক তাকিয়ে আছে। আরিশ কে ওর দিক তাকিয়ে থাকতে দেখে জুথি বললো,
‘আমার ছোট পেনডেট সহ চেইন পরতে অনেক ভালো লাগে। আমার চেন টা দিন আমি জোড়া লাগিয়ে পড়বো।
‘অনেকক্ষণ হয়ে গেছে, ভিজে আছিস। ঠান্ডা লাগবে চেঞ্জ করে নে।
‘আপনি কি বোকা?
‘মানে?
‘আপনি তো কিডন্যাপারদের মত আমাকে কোলে করে নিয়ে এসেছেন, আমি কি জামা কাপড় আনতে পেরেছি? যে চেঞ্জ করে নিব।
‘সমস্যা নেই আমারটা পড়েনে,,