আপনাতেই আমি পর্ব ১৭
ইশিকা ইসলাম ইশা
পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙ্গে যায় রিদির, পিটপিট করে চোখ খুলে বুঝতে পারছে না সে কোথায় !ভালো ভাবে চোখ মেলে দেখে সে উপুর হয়ে মজনুর উপর শুয়ে।নিজের অবস্থান বুঝে লজ্জায় লাল হয়ে গেছে রিদি ।মজনু তখনো ঘুমাচ্ছে।রিদি উঠে ঝটপট বাথরুমে চলে গেল। লজ্জায় আর তাকালোও না মজনুর দিকে।রিদির এভাবে উঠে যাওয়াই মিটমিট করে হাসল মজনু।সে সজাগ ই ছিল।বৌ তার লজ্জায় লাল হয়ে গেছে এটা দেখে সে যদি কন্ট্রোললেস হয়ে যায়।তাই চোখ খুলে আর বৌয়ের লাজে রাঙা মুখ দেখেনি মজনু।বৌ তার ভীষণ আদুরে।দেখলেই আদর করতে মন চায়।।তার মতো একজন নাকি বৌ বৌ করে পাগল হচ্ছে।যার ওপরেই সবাই ফিদাহ।সে তো এই বাচ্চা বৌয়ে আসক্ত।
দিনটা শুক্রবার ,
আজ বিরিয়ানি রান্না করছে রিদি। মজনু বিরিয়ানির ঘ্রাণ পেয়ে রান্নাঘরে চলে আসে। পেছন থেকে জরিয়ে ধরে ঘামান্ত ঘারে মুখ ডুবায় মজনু।রিদির হাতের কাজ থেমে যায়।
এসব কি??ছাড়ুন!!!
মজনু চুপচাপ সেভাবেই দাঁড়িয়ে আছে।দেখে রিদি রেগে পেছনে ঘুরে বলল,
এভাবে সাপের মত পেঁচিয়ে ধরলে আমি রান্না করব কিভাবে?
মজনু জানে রিদি এই কথা বলবে তাই পকেট থেকে কাগজ বের করে রিদির হাতে দেয়,
আমি কি জানি!আমার এখন বৌ কে জরিয়ে ধরতে ইচ্ছে হচ্ছে ধরব!
রিদি বিরক্ত হয়ে বলল,
ছাড়ুন।কাজ নাই আপনার! আমাকে কাজ করতে দিন।
মজনু ছেড়ে দিল।তবে চুপচাপ আবার শশা কাটতে শুরু করল।শশার এক টুকরা রিদির মুখে দিয়ে পকেট থেকে কাগজ বের করে রিদির দিকে এগিয়ে দিল।রিদি খুন্তি রেখে কাগজ খুলল,
আপনার জন্য সারপ্রাইজ আছে বেগম জান!!
রিদি তাকালো মজনুর দিকে,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কি??
মজনু আবারো একটা কাগজ বের হাতে ধরিয়ে দিল,
দরজা খুলে দেখুন!!
রিদি মজনুর দিকে তাকিয়ে গেল দরজা খুলতে,
রিদি দরজা খুলতেই কেউ ঝট করেই জরিয়ে ধরলো।
রিদি হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইল,
পুচি তুই!!!!
পুচি খুশিতে গদগদ হয়ে বলল,
হ আপা আমি! মজনু ভাই আমারে আইতে কইছে!!
রিদি পুচিকে দেখে খুশিতে গদগদ হয়ে বলে,
আয় আয় ভেতরে আয়।তুই একা কিভাবে আসলি??
পুচি ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বলল,
আমি একা আহি নাই।আসলে আমাদের গ্রামের করিম চাচার সাথে আইছি।বাস স্টেন্ড থেকে একজন লোক আমাকে নিয়া আইছে এখানে।প্রথমে ভয় পাইছিলাম আমি। ভাবলাম ডাকাত হবে।আমিও ব্যাগের ভেতর থেকে কাঁটা চামচ রেডি করে রাখ ছিলাম।পরে এতো বড় রাজপ্রাসাদ দেখে আমি তো হা হয়ে দেখতেই থাকলাম।পরে হেই মোটা কুদ্দুসের বাপের মতো কাবাডি খেলা পালোয়ান আমাকে দরজায় দাড়াতে বলে চলে গেল।তোমাকে দেখে ভয় ছু মন্তর ছু হয়ে গেছে।
ওও আপা জানো আমি তোমাকে অনেক মিস করছি!!
রিদি হেসে বলল,
আমিও মিস করেছি।তোর শুদ্ধ, অশুদ্ধ ভাষার সংমিশ্রণ কে।
পুচি,রিদি দু’জনেই হেসে উঠলো।ওদের হাসির দিকে তাকিয়ে আছে মজনু। পুচিকে সে লোক দিয়ে আনিয়েছে রিদির জন্য।রিদি পুচির সাথে থাকলে তার টেনশন কম হবে।যদিও সে প্রতিটি সেকেন্ড নজর রাখে। কিন্তু রিদি একা বাসায় বিরক্ত হয়।হয়তো এতো বড় বাড়িতে থাকতে ভয় ও হয়।যদিও এই নিয়ে কখনো তাকে কোন অভিযোগ করে নি। কিন্তু সে তো বুঝে,জানে,তার বেগমজান কে চিনে।তাই তো পুচি কে এনেছে।পুচির পড়াশুনার ব্যবস্থা ও করেছে।
রিদি পুচিকে ফ্রেশ হতে দিয়ে ছুটে এসে জরিয়ে ধরে মজনু কে।ফটাফট কয়েকটা গালে চুমু দিয়ে বলে,
আপনি এতো এতো ভালো কেন?
মজনু পকেট থেকে কাগজ বের করে রিদির হাতে দিল,
আমি জানতাম আপনি বলবেন এই কথা।আমি ভালো না। কিন্তু আপনি যে ভালো তাই আপনার সাথে থেকে থেকে একটু একটু ভালো হয়েছি মনে হয়।
আপনি ভালো না।আপনি বেস্ট।বেস্ট হাজবেন্ড ইন দা ওলাল্ড।
মজনু ইশারায় রিদিকে নিজের ঠোট দেখিয়ে দিচ্ছে যার অর্থ আমি ভালো তো এখানে চুমু চাই।
রিদি বিরক্ত নিয়ে বলল,
পাগল নাকি!!সরুন!! তাছাড়া রাতে তো আমার ঠোট কেট………..
মজনু হাসল রিদির কথায়,
ঠোঁটের একপাশে কালচে হয়ে আছে। মজনু এগুতেই রিদি মজনু কে ধাক্কা দিয়ে দৌড় দেয়।
মজনু এবার জোরেই হাসল।তবে আওয়াজ হল না।
রাত তখন ৮টা।পুচি টায়ার্ড থাকায় ঘুমিয়ে পড়েছে বেশ কিছুক্ষণ আগে। মজনু আর রিদি বাগানে হাটছে আর কথা বলছে।যদিও রিদি বলছে, মজনু শুনছে আর বৌয়ের সঙ্গ উপভোগ করছে। চাঁদের আলোতে মজনু তাকিয়ে আছে রিদির মুখের দিকে।নাকে জ্বলজ্বল সোনার নাকফুল যা সোনালি আভা ছাড়াচ্ছে।হাতে সিমপল এক জোড়া চুরি। মাথায় ওরনা দিয়ে ঢাকা।লম্বা চুলে থাকায় লম্বা বেনি হাটুর নিচে দুলছে।কোন প্রসাধনী নাই মুখে তবুও কি অদ্ভুত সুন্দর তার মায়াবতী। মজনু হঠাৎ কি মনে করে রিদির হাত ধরে দোলনায় বসিয়ে দিল। রিদির কোলে মাথা রেখে দুহাত মুঠোয় নিয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকল। রিদি অবাক হলেও কিছু বলল না। একহাতে মজনুর চুলে বিলি কাটতে লাগল। মজনু নরম তুলতুলে হাতের স্পর্শে আবেশে চোখ বন্ধ করে নিল। মনে মনে বলল,
“পৃথিবীর সবার সাথে যুদ্ধ করে হলেও আপনাকে আমার চায় বেগম জান।আপনাকেই চায়।”
রিদি মজনুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে হাজারো কথার ঝুলি নিয়ে বসল। মজনু পকেট থেকে কাগজ কলম বের করে লিখল,
একটা গান শোনাবেন বেগজান।
রিদি মানা করল না।
তুমি আমার মনের মানুষ…
মনেরই ভেতর…
তুমি আমার মনের মানুষ…
মনেরই ভেতর….
তুমি আমার জান বন্ধু
অন্তরে আন্তর…
তুমি আমায় কইরো না গো কোনদিনো পর।
তুমি আমায় কইরো নাগো কোনদিনও …..
এইটুকু গেয়েই থামল রিদি!! না থামেনি থামতে বাধ্য হয়েছে!রিদির চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ল জল।আকরে ধরল মজনুর চুল।অনেক সাধনার পর যেন এই মানুষটা পেয়েছে।সব কষ্ট নিমিসেই ভুলে গেছে রিদি।
কিছুক্ষণ পর রিদিকে ছেড়ে বুকে চেপে ধরে মজনু। কোথাও যেন ভয় হচ্ছে। হারিয়ে ফেলার ভয়!সবটা জেনে যদি রিদি তাকে ঘৃনা করে।ভয়টা কাল রাত থেকেই বেশি লাগছে। হারিয়ে ফেলে বাঁচতে পারবে না।এই ভালবাসাটুকু যেকোন মূল্যে তার চাই।চাই মানে চাই।
সময় স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা না করেই বয়ে চলছে,
দেখতে দেখতে কেটে গেছে আরো কয়েকটা মাস।এর মাঝে রিদি মজনুর প্রথম বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে ছোট্ট একটা আয়োজন করেছিল মজনু।রিদ,আয়ান,মেঘলা,পুচি মিলে সুন্দর ভাবেই হয়েছিল সব।সেরকম সুন্দর ভাবে চলছে মজনু রিদিতার ছোট্ট সংসার জীবন।রিদির আজ রেজাল্ট দিয়েছে।রিদি প্রথমবারে টপ করেছে যেনে খুশি হয়েছেন ডঃ আশিক মাহমুদ।তিনি নিজে রেজাল্ট জানিয়েছেন রিদিকে।
মেঘলা,রিদি, আয়ান তিনজনের রেজাল্ট ভালো হয়েছে।তিনজনে বসে আছে ক্যাফেতে,
এই রিদু তুই কোন জাদুটনা করেছিস নাকি রে?এতো ভালো রেজাল্ট কেমনে করিস।(মেঘলা)
দে দে ট্রিট দে!! ট্রিট দে ! দে দে ট্রিট দে রে!(আয়ান)
আয়ানের গানের সুরে কথা কথায় হেসে উঠলো রিদি। মেঘলা মুখ বাঁকালো,
ভিখারি রে কিছু দিয়ে শান্ত কর।না হয় মাথা খেয়ে ফেলবে।
আয়ান চেতে উঠল,
কি কইলি আমি ভিখারি!!এতো বড় অপমান।
মেঘলা বিরক্ত হয়ে বলল,
অফ যা তো।তুই এখানে কেন?তোর গুন্ডামি শেষ হয় নি।
আয়ান রেগে বলল,
আমাকে গুন্ডামি করতে বাধ্য করিস কেন?
মেঘলা চরম বিরক্ত হয়ে বলল,
আমি তোকে বলছিলাম গিয়ে মারামারি কর।
তোকে খারাপ নজরে দেখে বাজে কথা বলবে।আর আমি শুনব!
মেঘলা কিছু বলতে যাবে তখনি ডঃ মাহমুদ এসে দাঁড়ায় টেবিলের সামনে।স্যার কে দেখে মেঘলা রিদি দাঁড়িয়ে পড়লেও আয়ান চুপচাপ বসে আছে। ডঃ মাহমুদ আয়ানের দিকে তাকিয়ে।রিদিকে বলল,
খুব ভালো লাগলো তোমার রেজাল্ট শুনে রিদি।এভাবেই এগিয়ে যাও। মানুষ চাইলে অনেক কিছু করতে পারে। কিন্তু কিছু মানুষ গুন্ডামি করা ছাড়া আর কিছু করতে পারে না।
মেঘলা,রিদি আড়চোখে আয়ানের দিকে তাকালো। আয়ান ক্ষিপ্ত মেজাজে বলল,
শ্রেদ্ধয় স্যার কে বলে দে আয়ান কখনো কারন ছাড়া কিছু করে না।
কারনটাই তো জানতে চাচ্ছি। জুনিয়র হয়ে সিনিয়র এর গায়ে হাত তুলছো কেন?
স্যার স্যারের মতো থাকবেন!
আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন মি:আয়ান মাহমুদ আমি আপনার জন্মদাতা পিতাও।
আয়ান হাসল,
পিতা!হাসালেন ডঃ মাহমুদ।এই তোরা আয় আমি বাইরে অপেক্ষা করছি।
ডঃ আশিক ছেলের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছেন। ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে। তিনিও চলে গেলেন।
রিদি,মেঘলা একে অপরের দিকে তাকিয়ে থেকে।আয়ানের পিছু পিছু গেল। এদের বাবা ছেলের এমন সম্পর্কে প্রথমে অবাক হয়েছিল রিদি।তবে ধীরে ধীরে বুঝতে পারে এদের ছিন্নমূল সম্পর্কের কারন।
আয়ান ক্ষিপ্ত মেজাজে পুকুরপাড়ে বসে আছে।পাশেই ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে আছে পুচি।কলেজের পাশেই পুচির স্কুল।রিদি যাওয়ার সময় পুচিকে নিয়ে বাসায় যায়।এই কয়মাসে পুচির সাথেও বেশ ভাব হয়েছে আয়ানের। মেয়েটার কথা বেশ ভালো লাগে আয়ানের।আয়ানের ক্ষিপ্ত মেজাজ দেখে চটপটে পুচি বলে,
আয়ান ভাই আপনারে কেডাই মারছে নাকি!!
আয়ান বিরক্ত হয়ে বলে,
এই পুচি তোমার বাবা নেই না।যার বাবা আছে তার ভীষণ প্যারা।জীবনে কখনো বাবা নিবে না।
আহাম্মক এর মতো তাকিয়ে আছে পুচি,বাবা আবার কেমনে নেওয়া যায়।পুচি কিছু বলবে তার আগেই সেখানে উপস্থিত হয় মেঘলা, রিদি।পুচি রিদি আর মেঘলা কে দেখে এগিয়ে আসে,
ভাইয়ের কি হয়ছে আপা??
মেঘলা রেগে বলে,
ভূতে ধরছে!!
কিহহহহ….
এতো সুন্দর ভাইয়া কে ভুতে ধরবে না আবার।আমি বলছিলাম সুন্দর ছেলেকে ভুতে ধরে।
রিদি বিরক্ত হয়ে বলল,
উফফফ থাম তো তুই।তোদের দুই পাগলের জন্য আমরা পাগল হয়ে যাব।
আয়ান উঠে এসে দাঁড়াল পুচির পাশে,
কিছু খাবি পুচি? আমার খিদে পেয়েছে চল।বলেই পুচির হাত ধরে হাটতে লাগল। হাঁটতে হাঁটতে বলল।খাম্বার মতো না দাঁড়িয়ে আসলে আয়।তোর রেজাল্ট এর খুশিতে ট্রিট দিবো।
রিদি মেঘলা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাটতে থাকল।
দুপুর গড়িয়ে তখন বিকেল,
পুচির হাত ধরে হাটছে রিদি,বার বার মনে হচ্ছে কেউ যেন ফলো করছে তাদের।ফাকা রাস্তায় কোন গাড়ি না পেয়ে হাঁটতে শুরু করেছে দুইজন।কিছুদূর গেলেই বাড়ি।রিদি পেছনে ফিরে কাউকে না দেখে আবারো সামনের দিকে হাটতে লাগল।ভয়ে ভয়ে এসে পৌছাল বাসায়।তখন প্রায় বিকেল হয়ে এসেছে। দুইজন এ ফ্রেশ হয়ে রেস্ট করছে।আজান দিলে নামাজ পড়ে পুচির রুমে এসে দেখে পুচি পড়তে বসেছে।রিদিও নিজের বই নিয়ে এসে পড়তে বসল। তখনকার ঘটনা ভুল ভেবে বাদ দিলেও মনে হচ্ছে সত্যি কেউ তাদের পিছু করছিল।রিদির ভাবনার মাঝেই ফোন বেজে উঠে।রিদি ফোনে নাম্বার দেখে ভু কুঁচকে তাকাল।অননোন নাম্বার দেখে রিসিভ করবে কি না ভেবে রিসিভ করতেই, শোনা গেল কারো কন্ঠ,কোন কথা ছাড়াই সরাসরি কেউ বলল,
যাকে আকরে ধরে বাঁচতে চাইছো সে নিজেই ধোয়াশা।মজনু হিসেবে যাকে চিনো সে মজনু নয়। মজনু বলে কেউ নেই।তততমি….
আগৈ কিছু বলবে কিন্তু ফোন কেটে গেল।রিদি হ্যালো হ্যালো করছে। ফোন কেটে গেছে।লোকটার বলা কথা কানে বাজছে। রিদি ফোন করে ঐ নাম্বারে কিন্তু নাম্বার বন্ধ।রিদি ধপ করে চেয়ারে বসে পড়ে।সারা শরীর কাঁপছে। হঠাৎ কারো ছোঁয়াই চমকে উঠে।পেছনে মজনু কে দেখে চট করে জরিয়ে ধরে। মজনু অবাক হয়।রিদি বেশ কিছুক্ষণ সেভাবে থাকে।তার মজনু সাহেব তো তার ই।সে অবিশ্বাস করবে না।কখনো না।
মজনু অবাক হলেও কিছু বলল না।
ক্লাসে স্যার রিদির সামনে দাঁড়িয়ে আছে।রিদি নিজের ভাবনায় ব্যস্ত দেখে বেঞ্চ এ বারি দেয় লিমন স্যার।রিদি হচকচিয়ে তাকাল স্যারের দিকে।লিমন স্যার বেশ বিরক্ত নিয়ে বলে,
এভাবে অমোনোযোগী হয়ে ক্লাস করলে কোন লাভ হবে না রিদিতা।এতো ভাবনা থাকলে বাইরে গিয়ে ভাবুন।
রিদিতা লজ্জিত হল।সবার সামনে এভাবে বলায় খারাপ লাগল।তবে লিমন স্যার কেন যেন পছন্দ করে না রিদিকে কারনটা অবশ্য জানে না রিদি।যখন তখন ই অপমান করে রিদিকে।
ক্লাস শেষে বাইরে আসে রিদি।মেঘলা রিদিকে দেখে বলে,
কি হয়েছে বল তো!! কয়েকদিন ধরে দেখছি তুই অন্যমনস্ক থাকিস??কি এতো ভাবিস।
রিদি তাকালো মেঘলার দিকে। ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে বলল,কিছু না এমনিই।মেঘলা আর কিছু বলল না।ভাবল হয়তো সংসারিক কোন ব্যাপার হবে।
আপনাতেই আমি পর্ব ১৬
রিদি আবারো ভাবনার মাঝে চলে গেল,
সেদিনের কলের পরে আরো একদিন কল করেছিল।একই কথা বলেছে।রিদি বিশ্বাস করে নি।কারন মজনুর প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস আছে।কখনো এসবে কান দিবে না।এতো ভালোবাসা পেয়ে সন্দেহ কিভাবে করবে।তবে ভাবনা গুলোও যেন পিছু ছাড়ছে না।