Violent love part 34

Violent love part 34
Mariam akter juthi

“চারিদিকে ছমছমে নীরবতা বিরাজ করছে, কারো মুখে টু শব্দটি পর্যন্ত নেই। থাকবে কি করে যেখানে স্বয়ং আরিশ খান বসে আছে সেখানে কারো কথা বলা বিলাসিতা। সবার নীরবতা লংঘন করে মিজান খান কিছুটা রুট কণ্ঠে বললেন,
‘আরিশ খান দীর্ঘদিন ধরে আমি আপনার সাথে কাজে আছি। বয়সেও আমি আপনার বড় হই, সেই অনুযায়ী আপনার কাছে আমার ছেলের মৃত্যুর রহস্যটার উদঘাটন করতে জানিয়েছিলাম, কিন্তু আপনি বিষয়টা একদম চাপিয়ে গেলেন! এটা আমার মোটেও সুবিধার লাগছে না।

‘আপনার কি মনে হয় আরিশ খান কারো অর্ডারে কাজ করে?
‘আমি সেটা বলতে চাইনি, আমি শুধু আমার ছেলে,, — ওনার কথা সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার আগে আরিশ উনাকে থামিয়ে দিয়ে গরম চোখে তেরা কন্ঠে একটা ঝুঁকে ঠোঁট চুলকে বললো,
‘ছেলের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে আপনার এই পথ পজিশনটায় যদি না থাকে?
‘মা,মানে?
‘এই যে আপনি বারবার সানভির মৃত্যুর রহস্য জানতে চাচ্ছেন, এর বিপরীতে কিনা আপনার নামের পাশে নেতা ট্যাগটা মুছে না যায়।
‘আ,আপনি কি বলতে চাইছেন?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

‘আমার যতটুকু জানা, আপনার রাজনীতির বিপক্ষের কিছু শত্রু সুযোগ পেলেই আপনাকে উপরে, এর মধ্যে যদি আপনার নেতা পদেটাই চলে যায় ভাবতে পারছেন কি হবে?
আরিশের পথ চলে যাবে ঘুরেফিরে এক কথায়, মিজান খান পরপর ঢোগ গিলে কপালের পাশাপাশি ঘাড়ের ঘাম মুছতে মুছতে শুধালেন,
‘আ,আপনি,,
‘মনে করেন আমি আপনার ছেলের মৃত্যু রহস্য খুজতে গেলাম, সেখান থেকে কিনা আপনার পজিশনটা চলে গেল, তারপর আপনাকে তো মানুষ ভাগেও পাবে না। এখন আপনি বলুন আপনি কি আপনার পজিশনটা ধরে রাখতে চান? নাকি ছেলের মৃত্যু কিভাবে হল, কে বা কারা করেছে সেটা জানতে চান? অবশ্যই আপনি যেটা বলবেন সেটাই হবে‌। যদি চান ছেলের রহস্য বের করতে ,অবশ্যই বের করব। অল দ্যাট আপনি আমার একজন খাস লোক বলতে কথা। ভাব শূন্য হয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে কথাটা বললো।

মিজান খান আরিশের এমন দায়ছাড়া, ভাবমূর্তিমার কথা শুনে, মনে কিছুটা ভয় জাগরণ হলো, আসলেই এই মুহূর্তে উনার নেতা পথটা চলে গেলে উনি বিপদে পড়বেন, ওনার প্রাণ সংশয় হওয়ার চান্স বেশি। আর ছেলে সে তো মরেই গেছে, এখন কে বা কারা মেরেছে সেটা বের করে ওনার লাভ নেই বরং আরিশ খানের কথা অনুযায়ী উনার বিপদ। তাই নিজের কথা চিন্তা করে গলার স্বর নিচু করে বললেন,
‘আমি আমার পজিশন চাই!

‘আরে বাহ, ভেবেছিলাম প্যাসলাপেছলি করবেন। যাইহোক আপনার ডিসিশনটা ভালো। এবার আপনি আসতে পারেন। আরিশ কথাটা বলতে, মিজান খান তৎক্ষণে উঠে ওকে সালাম জানিয়ে পার্টি অফিস থেকে চলে যেতে,আরিশ ও উঠে দাঁড়ায় বাসার উদ্দেশ্যে, তখন ওখানে থাকা সেদিনের এক পুলিশ কন্ঠ রিনরিনিয়ে বললো,
‘ব্যাপারটা এভাবে ধামাচাপা দিলেন? বিষয়টা যদি আপনার সাথে হত? উনার ছেলের জায়গায় যদি সেদিন আপনার বউ,,, —উনার বাকি কথা ওনার মুখেই সীমাবদ্ধ হলো, কারণ উনার কথা মুখে থাকতেই আরিশ ঘুরে উনার পা বরাবর গুলি করে।

‘ঠাসসস,,
‘আহহ,, বলে লোকটা পায়ের অংশ চেপে ধরে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়তে কাত্রড়নো কণ্ঠে বললো,
‘সামান্য কথায় গুলি করলেন? আমার বাড়িতে বউ বাচ্চা সবই আছে, তাদেরও তো আমি ভালোবাসি। এখন তাদের ভবিষ্যৎ কে দেখবে?
লোকটার কাএড়ানো কথায়, আরিশ লোকটার পায়ের কাছে হাটু ঘিরে বসে স্থিকি সরে বললো,
‘ভয় নেই মরবেন না, তবে সাবধান বউ মানে আমার পুরো দুনিয়ার সবটা, তাকে ছোঁয়া কিংবা কিছু করার আগে আমাকে ক্রজ করতে হবে। তাই ভেবেচিন্তে কথা বলবেন। বলে রাফ পায় হেঁটে পার্টি অফিসে থাকা একজন লোকের দিক তাকিয়ে বলতে বলতে বের হয়ে গেল। — ‘উনাকে হসপিটাল নিয়ে যান। খরচ আমি পাঠিয়ে দিব। বলে চলে আসতে, সেখানে থাকা প্রতিটি মানুষ সরু চোখে তাকালো ওর পথ গমনে। আরিশ খান মানুষটাই এমন কাউকে পরোয়া করে না। সেখানে তাকে পার্সোনাল অ্যাটাক করা মানে নিজের পায়ে কুড়োল মারা।

“খান বাড়ির আনায় কোনায়, অতীত জনের ভিড় যেন এক জায়গার হয়েছে। হবে না? ইভার হলুদ সাজ কমপ্লিট করে পার্লার থেকে ফেরার সাথে সাথে ওকে সোজা স্টেজে বসিয়ে হলুদের আয়োজন শুরু করেছেন। তাই সবার ভিড় স্টেজ জুড়ে। কর্তীরা তো সব জয় জগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। খান বাড়ির বিয়ে, কোম আয়োজন? বরঞ্চ এ বাড়িতে প্রথম আনুষ্ঠানিক আয়োজন সহকারে প্রথম বিয়ে বলতে কথা। ইভা কে স্টেজে একা বসিয়ে ফারি তানিশা সুচি সব একসাথে উধাও। এক একজন কোন কোনায় নাপাত্তা হয়ে আছে কে জানে?
ফারি লম্বা চুল গুলো মাজ সিঁথি করে খোলা রেখে সিঁথিতে গোলাপ প্লাস গাধা ফুলের সংমিশ্রণের টিকলি, হাতে হলুদ চুড়ি গলায় হলুদ সেট কানে সেম কালার দুল, uk ডল সাজে সবমিলিয়ে যেন আজ তাকে সুন্দর রাজ্যের রানী লাগছে। ফারি হাতে দুটো ভারী বক্স নিয়ে সামনে পা রাখতে দেখা হয় লুসিয়ান এর সাথে, সাদা রংয়ের টি শার্ট কালো হাফ প্যান্ট হাটু পর্যন্ত। অগোছালো চুল, অতিরিক্ত ফর্সা শরীর,চোখ গুলো কেমন ভিতরে ঢুকানো দেখেই বোঝা যাচ্ছে বিদেশি বিদেশি ভাব। সব মিলিয়ে গুলুগুলু

— ‘উফ একদম পারফেক্ট। ফারি লুসিয়ানকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখার মধ্যে লুসিয়ান বলদ মার্কা হাসি দিয়ে বললো,
‘তময় দখত অনাক সন্দর লগছ।
‘মানে? ভ্রু কুঁচকে।
‘সন্দর লগছ।
ফারি লুসিয়ানের অদ্ভুত বাংলায় দাঁতে দাঁত চেপে হালকা চেঁচিয়ে বললো,
‘হাঁদারাম ওটা, সুন্দর হবে সন্দর না।
লুসিয়ান বুঝলো এখানে তার বাংলা বালা সম্ভব না, তাহলে এই মেয়ে বিয়ে বাড়িতে তার মান-ইজ্জতের ফালুদা বানিয়ে দিবে। তাই এবার ফিটফাট বিদেশিদের মত ভাবসাব নিয়ে বললো,

‘মেবি আই ক্যান্ট স্পীক বাংলা প্রপারলি, বাট ইউ কুড অ্যাট লিস্ট টিচ মি ইনস্টেড অফ সেয়িং ইট লাইক দ্যাট।
~অর্থ (হয়তো বাংলা ঠিকভাবে বলতে পারি না, তাই বলে এভাবে না বলে আমাকে একটু শিখালেও তো পারো?)
ফারি ভ্রু কুঁচকে তাকালো লুসিয়ানের মুখের দিক, এতক্ষণ লুসিয়ান বাংলা পারছিল না বলে, তা কে কিভাবে কথা শুনালো, এখন সে তার বলা ইংলিশ বাক্য ঠিকভাবে বুঝতে পারল না। এখন কি উত্তর দিবে? ভেবে পাচ্ছে না, কারণ সে ইংলিশে ততটা পারদর্শী নয়। মোটামুটি বইকি চলে। ফারিকে কাচুমাচু করে দাঁড়াতে দেখে লশিয়ান ফারির দুই বাহু আস্তে করে ওর দিকে ঘুরিয়ে শুধালো,
‘হুয়াই আরেন্ট ইউ টকিং বিউটি?
~অর্থ(কথা বলছো না কেন সুন্দরী)

ফারি এবার কিছুটা হলেও বুঝলো, লুসিয়ান কি বলতে চাইছে। তাই মাথাটা নিচু করে মেকি সরে বললো,
‘আসলে আমি আপনার প্রথম কথাটা সঠিকভাবে বুঝতে পারিনি, আমি ইংলিশে ততটাও ভালো না। বলতে পারেন মোটামুটি।
‘সমোরসা নই। তমি অমকে বাংলা সিকাভে অমি তমকে ইংলিশ সিকাভো।
‘আপনি তো বিয়ের পর চলে যাবেন? তাহলে বাংলা শিখে কি করবেন? তাছাড়া আপনাদের দেশের মেয়েদের তো বাংলা শিখার প্রয়োজন হবে না! মুখটা ছোট করে।
‘ইফ ইউ সে সো, আই উইল স্টে-ইফ ইউ ওয়ান্ট মি টু, আই উইল স্টে ফরএভার।
~অর্থ (তুমি বললে থেকে যাব, থাকতে চাইলে আজীবন রেখে দিব)

লুসিয়ানের দুটো শিকরোক্তি কথা যেন ফারির হৃদয় থমকালো। ছল ছল নয়নে লুসিয়ানের দিক তাকাতে লুসিয়ান চমৎকার হেসে ফারিকে আরেকটু কাছে টানলো। লুসিয়ান সম্পূর্ণ বিদেশী একটা ছেলে যার দরুন ফারির সামনে তাকে দানব আকৃতির লাগছে,ফারির উচ্চতা ৫ ফিট ৩ ইঞ্চি। আর লুসিয়ান ৬.২ইঞ্চি। যার দরুন ফারির মাথা এসে পড়ল লুসিয়ানের বুকের এক ইঞ্চি নিচ বরাবর। লুসিয়ান ফারিকে একদম কাছে আনলে ফারির হার্টবিট কেমন দ্রুত চলতে শুরু করল। তবে লুসিয়ান স্বাভাবিক তার কোন কাপাকাপি নেই, বরং সে ফারির মায়াময় মুখটা একটু উপরের দিক তুলে বললো,

‘ইউ ডিডন্ট আন্সার?
~অর্থ (উত্তর দিলে না যে)
‘আমার বলায় কিবা আসবে যাবে?
‘উইল ইউ ম্যারি মি?
লুসিয়ানের ডাইরেক্ট কথায় ফারি মাথাটা নিচু করে নিতে লুসিয়ান বললো,
‘ডোন্ট ইউ লাইক ফরেন বয়েজ?
~অর্থ (তোমার না বিদেশি ছেলে পছন্দ)
‘আপনি কিভাবে জানলেন?
‘শে অমি যবাবই জনি তমার উত্তরটা ভোলো!
‘দুদিনে কিভাবে পছন্দ করলেন আমাকে?

Violent love part 33

‘পিপল মিট জাস্ট ওয়ান্স, ফিক্স এ ডেট অ্যান্ড গেট ম্যারিড, দেন দে গেট টু নো ইচ আদার অ্যান্ড বিল্ড আ লাইফ টুগেদার। আই’ভ সিন ইউ ফর জাস্ট টু ডেইজ কান্ট উই অলসো হ্যাভ আ লাইফ লাইক দ্যাট?
~অর্থ (মানুষ তো একবার দেখে ডেট ফিক্স করে বিয়ে করে, তারপর দুজন দুজনার চেনাজানা হয়। তাদের একটা সংসার হয়। সেখানে তোমাকে দুদিন ধরে দেখলাম, আমাদের কি সংসার হওয়া সম্ভব নয়?)
‘কিন্তু আপনার আম্মু আব্বু,,
‘তুমি শুধু হ্যাঁ বলো বাকিটা আমার বাবা-মাই দেখে নিবে,,,

Violent love part 34 (2)