Violent love part 35
Mariam akter juthi
“বিয়ে বাড়ি বলতে কথা, চারদিকে ব্যস্ততায় পার হচ্ছে সবার। কিছুক্ষণ বাদেই গাড়ি ছেড়ে দিবে হলুদ ঢালা নিয়ে ছেলেদের বাড়ি যাওয়ার জন্য। এখনো তত্ত্ব গুলো সম্পূর্ণ সাজানো হয়নি। ইভাকে মাত্র হলুদ লাগিয়ে গোসল করানো হয়েছে, ওখানে একটু লেট হওয়ার কারণে, এখানে ঢালা সাজাতে এই দেরি হওয়া। তখন ওদের অভিনয় শেষ হতে, আরিশ জুথি কে স্টেজ থেকে সোজা রুমে নিয়ে আসে। যদিও জুথি বারবার বোনের গায়ে হলুদ দেওয়ার জন্য নিচে নামতে চাইছিল, কিন্তু আরিশ তাকে ওখানে যেতে দেয়নি,বলে জুথি চোখ মুখ ছোট ছোট করে, ঢোগ গেলার মতো কয়েকবার গিলে, মুখটা দুঃখী ভাব করে বললো,
‘এমন করছেন কেন? একটু যাই না? আপুর জন্য চার ফ্লেভারের কেক আনানো হয়েছে, আমাকে রেখে ওরা সব খেয়ে ফেলবে। প্লিজ যেতে দেন।
‘মৌ কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করিস না তো,ভালো লাগছে না, — বিরক্ত ভঙ্গিমা নিয়ে।
‘কেক!
আরিশ জুথির ইনোসেন্ট চেহারা দেখে, হুট করেই ওর হাত টেনে বিছানায় ফেলে ওর উপর ভর করে ফিসফিসিয়ে বললো,
‘চার ফ্লেভার নয়, যত ফ্লেভারের কেক খেতে চাস খাওয়াবো। কিন্তু এর বিনিময়ে আময় কি দিবি?
‘,,,,,,,,,,,,,,,,,,।
জুথি চুপ করে আছে দেখে আরিশ ঝুঁকে ওর ঠোঁটে চুমু খেতে খেতে নেশা ধরানো কন্ঠে বললো,
‘আমার প্রাইভেসি চাই মৌ, কেন বুঝিস না এটা?
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
জুথি আরিশের এহেম কাণ্ডে, সাথে সাথে চোখ দুটো বন্ধ করে নিল। এমনিতেই সব সময় ওর মন আরিশের কাছে থাকার জন্য উড়ু উড়ু করে, এখন আবার তার এত সহ নিকটে আরিশ কে দেখে কেমন শরীরটা কেঁপে উঠলো, তল পেটের মধ্য কেমন প্রজাপতি দৌড়াদৌড়ি শুরু করলো। আরিশ এমনিতেই ওর আশেপাশে থাকলে একটুতেই কন্ট্রোললেস হয়ে পড়ে, আদর করবো আদর করবো বলে, এখন যদি আরিশের সাথে জুথি ও দুর্বল হয়ে যায় তাহলে –‘কাম সারছে। তাই কোন রকম আরিশ কে ঠেলে সরাতে চেয়ে তুতলিয়ে বললো,
‘আ,আপনাকে তো ব,বলেছিলাম, আমার স,সময় চাই! আ,আপনার জন্য সারপ্রাইজ আছে আপ,,, — ওর আর কথা শেষ করা হলো না, তার আগেই ওকে থামতে হলো, আরিশের কান্ডে। কারণ আরিশ জুথির গলায় মুখ ডুবিয়ে গভীর চুম্বন করতে, জুথির সমস্ত সত্তা কেপে উঠল। সাথে ওর ভারী বিশ্বাস তো আছেই। আরিশের ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় জুথি বিছানা চাদর খামছে ধরলো। দুজনার সেমিস্ট্রি এতটাই কাছাকাছি মনে হচ্ছে এভাবে আর কিছু মুহূর্ত থাকলে দুজনই কন্ট্রোল হারাবে। হলোও তাই, আরিশ কন্ট্রোল হারিয়ে শার্টের প্রথম দুটো বুদাম খুলতেই দরজায় কড়াঘাতের শব্দে দু’জনেই হুসে আসে। জুথি হুস ফিরতে কি হতে যাচ্ছিল মনে আসতে লজ্জায় চোখ মুখে হাত চেপে ঠোঁট কামড়ে ধরল। তৎক্ষণে আরিশ ও জুথির দিকে তাকিয়ে তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে বিরক্ত হয়ে ওঠে বসে দাঁতে দাঁত চেপে দরজার দিকে তাকিয়ে বললো,
‘*বালের বাচ্চা গুলা,আসার আর টাইম পেল না? যে সময়টায় বউয়ের সাথে একটু টাইম স্পেন্ড করতে যাই তখনই বাগড়া দিতে আসে।
“তৎক্ষণে আবারো দরজায় কড়াঘাতের শব্দে,জুথি মুখটা ছোট করে একবার আরিশের দিক তাকিয়ে, ছোট ছোট পায়ে দরজাটা খুলে দিতে দেখে রোদ দাঁড়িয়ে আছে, রোদ কে দেখে জুথি কিছু বলতে নিবে তার আগে রোদ বললো,
‘বড় আম্মু তোমাদের এখনই নিচে ডাকছে! তত্ত্ব নিয়ে যেতে হবে। — বলে ওদের কোন কথা না শুনেই রোদ দ্রুত পায়ে হেঁটে চলে যায়। রোদকে চলে যেতে দেখে জুথি ঘুরে আরিশ কে কিছু বলবে, এবার,ও কিছু বলার আগে আরিশ বললো,
‘দরজাটা দিয়ে আয়, আমরা কোথাও যাবো না!
এক সেকেন্ড দুই সেকেন্ড তিন সেকেন্ড, সময় পার হয়ে এক মিনিট হতে, আরিশ রাগি চোখে জুথির দিকে তাকিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
‘কি হলো? কাছে আসতে বললাম না?
জুথি কান্নারত চোখ দুটো নিয়ে ছোট্ট ছোট্ট পায়ে আরিশের কাছে এসে বসতে আরিশ ওকে টেনে কোলের মধ্যে নিয়ে জড়িয়ে বললো,
‘আজ থেকে আমার সামনে কান্না করা, নিষিদ্ধ তোর জন্য, এই চোখের পানি ভবিষ্যতে, তোর চোখে যেন না দেখি। – আরিশ কথাটা শেষ করতে জুথি তাৎক্ষণে ঘুরে ওর গলা জড়িয়ে ফুপিয়ে উঠে বললো,
‘কেন আটকে রাখছেন? আমার যেতে ইচ্ছে করছে তো, প্লিজ যেতে দিন।
‘মৌ,,
‘কোন ছেলেদের সাথে কথা বলবো না, দরকার হয় আপনি আমার সাথে যাবেন,আমি সারাক্ষণ আপনার পায়ে পা মিলিয়ে চলবো। তবুও চলুন না, ওরা সবাই যাবে তো?
‘নিয়ে গেলে কি দিবি?
‘আপনি যা চাইবেন তাই দিব!
‘ভেবে বলছিস?
‘হু।
“কি আর করার? যার জন্য গোটা দুনিয়া ছেড়ে দিতে পারে, সেখানে একটু নিজের বোনের বিয়ে বাড়িতে যেতে ইচ্ছা প্রশন করেছে, সে নিয়ে যেতে পারবে না? আরিশ গম্ভীর নিঃশ্বাস ফেলে, জুথি কে টেনে সামনে এনে ওর চোখের চিকচিক করা পানি মুছে দিয়ে বললো,
‘ঠিক আছে! –ওর কথাটা বলতে দেরি, কিন্তু জুথির ওকে ঝাপটে ধরতে দেরি হলো না।
সব তত্ত্ব ডেকোরেট করা হয়ে গেলে, ওরা তিনটা গাড়ি করে রওনা হলো। গোটা রাস্তা আরিশ জুথির ছোট্ট নরম তুলতুলে হাত দুটো শক্ত পোক্ত হাতের মুঠোয় চেপে রাখল। লং জার্নি শেষ করে ওরা পৌঁছালো খান বাড়ির বিয়ের গেটে। প্রতিটা গাড়ি থেকে কাজিনমহল, পাশাপাশি বড়রা যারা এসেছেন নেমে পড়তে, জুথিও নেমে দাঁড়িয়ে আরিশের হাত থেকে হাত ছাড়িয়ে, হলুদ তত্ত্ব গুলোর থেকে একটা ঢালা হাতে নিয়ে গেট পেরিয়ে ঢুকতে ঢুকতে চারপাশটা সুক্ষ্ম নজরে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো। জুথি কে এভাবে না বলে চলে যেতে দেখে, আরিশ সেদিক তাকিয়ে হাত দুটো মুঠু বদ্ধ করে নিয়ে মনে মনে আওড়ায়, — এর জন্যই এই অবাধ্য বেয়াদব মেয়েকে এখানে আনতে চাইছিল না, বলে ও ও সামনে পা বাড়ায়।
জুথি নিজ মনে হলুদের ঢালাটা হাতে নিয়ে,হবু দুলাভাই এর বাড়িটা,কেমন করে সাজানো হয়েছে, দেখার জন্য ভিতরে ঘুরঘুর করে ঘুরতে হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কায় মাটিতে পড়ে আহাজারি কন্ঠে লোকটার চেহারা না, দেখেই বললো,
‘আল্লাহ, যে আমাকে ফেলে দি‘ল, আমার স্পেশাল সাজ,নষ্ট করলো, আমি তাকে অভিশাপ দিলাম,তার টুনটুনি তে যেন ভল্লায় কামড় দেয় হু…
“তাড়াহুড়ার দরুন,মেয়ের বাড়ির লোকেরা
এসে পড়েছে শুনে তাদের রিসিভ করবে বলে
তাড়াহুড়ো করেই বের হচ্ছিল এই বাড়ির ছোট ছেলে রকি, গেট পর্যন্ত আসতে এমন আপত্তিকর বিষয়ে সেও কিছুটা অপস্তুত হয়ে গেছে,তার ভিতর এমন অভিশাপ শুনে চোখ দুটো বড় বড় করে নিচের দিক তাকিয়ে বললো,
‘মানুষ অভিশাপ দেয় জানতাম, কিন্তু এইটা আপনি কেমন অভিশাপ দিলেন? ডাইরেক্ট আমার টুনটুনি নিয়ে?
“জুথি মাটিতে পড়ে গেছে দেখছে” — কিন্তু এই পোলাডা হাত পর্যন্ত বাড়াচ্ছে না ওকে সাহায্য করতে? তাই কোনরকম কোমর চেপে উঠে দাঁড়িয়ে বললো,
‘তো? আপনি যে কাজ করেছেন, আপনাকে আর কিভাবে অভিশাপ দিব? আপনি আমার এত সুন্দর সাজ নষ্ট করেছেন! শেষ কথাটুকু বলে নিজের দিক একবার তাকালো।
জুথির এমন কথায় রকি ভ্রু কুঁচকে ঠ্যাঁস মেরে বললো,
‘আপনি যে সাজ দিছেন, তাতে তো আপনাকে বিশ সুন্দরী ঐশ্বরিয়া লাগছে।
‘একদম ঠ্যাঁস মেরে কথা বলবেন না! আঙ্গুল উচিয়ে।— বলে এবার রকির দিক ভালো ভাবে তাকাতে, আর্মি হেয়ার কাট স্টাইল চুল, লম্বা পাঁচ ফিট ১০ ইঞ্চি। দাঁত বের করে হাসা, শ্যাম গায়ের বর্ণ, সব মিলিয়ে ক্রাশ খাওয়া যায়। কিন্তু জুথি ক্রাশ খেতে চেয়েও খেলো না, কারণ জুথির তো ক্রাশ খাওয়া বারণ, সে তো অন্য কারো আমানত, অন্য কারো বউ, সবচেয়ে বড় কথা সে তো তার স্বামীকে ভালবাসে, ভিশন রকম ভালবাসে। ওর এসব ভাবার মধ্যে আরিশ ওদের দেখেও না দেখার মত জুথি কে ক্রস করে ভিতরে চলে যেতে, জুথি, সেদিকে একবার তাকিয়ে কটমট চোখে আবারো রকির দিক তাকিয়ে বললো,
‘মিশকা শয়তান বেডা একটা! আপনার জন্য গম্ভীর লোকটা আমার উপর রাগ করলো মনে হয়।
‘আপনার উপর কে রাগ করেছে, কে করিনি, তাতে আমার কি? — বলে ওকে এক প্রকার এভোয়েড করে চলে যেতে জুথি ভ্যাবাচ্যাকা খেলো। এই লোক টা ওকে এভাবে অ্যাভয়েট করল? জুথি ফোঁস ফোঁস নিঃশব্দে নিতে নিতে চাঁপা কন্ঠে বললো,
‘গাব গাছের গোড়া একটা! তোর বউ মোটা হবে, তুই কোলে নিতে পারবি না। মনে রাখি, হু… বলে সামনের দিকে এগিয়ে আরিশ কে খুজলো, জুথি চারপাশটা খুঁজতে খুঁজতে তার কানে এল কিছু কথা,
‘এই যে বেয়াইন, কেমন আছেন?
‘আপনি আবার কে? ভ্রু কুঁচকে।
‘আমি রনি ভাইয়ের মামাতো ভাই, সীমান্ত!
‘ভালো, — বলে চলে যেতে নিলে সীমান্ত ছেলেটা তার সামনে এসে দাঁত কেলিয়ে বললো,
‘আরে বিয়াইন আপনি যান কই? আপনাদের জন্য আমাদের তরফ থেকে স্পেশাল বসার জায়গা করা হয়েছে।
‘আপনার কোদালের মত দাঁতগুলো নিয়ে, আপনার ওই স্পেশাল জায়গায় গিয়ে বসেন! – আমি মরি আমার জ্বালায়, এনি আসছে এনার স্পেশাল জায়গা নিয়ে, শেষ কথাটুকু মনে মনে বিড়বিড় করে ভেংচি কাটলো।
সীমান্ত জুথির এতুর কথা উপেক্ষা করে কেমন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
‘আরে আসেন তো, আপনাদের জন্য খেলা রেখেছি খেলবেন চলেন।
সীমান্তর কথায় জুথি কিছু বলার জন্য মুখ খুলবে, তার আগেই আরিশ সীমান্তর পিছন থেকে গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
‘শুনতে পাওনি? ও তোমার সাথে যাবে না? তাহলে তোমার সাহস ক…. — আরিশ কে রেগে যেতে দেখে জুথি ব্যস্ত পায়ে আরিশের কাছে এসে ওকে জড়িয়ে একটু দূরে ঠেলে গলার স্বরটা আস্তে করে কোমল কন্ঠে বললো,
‘আই এম সরি, আমার ভুল হয়ে গেছে। আর এমন হবে না, তবুও আপনি এখানে কারো সাথে রাগারাগি… ততক্ষণে আরিশ রক্ত অভা চোখ দুটো সীমান্তর দিক থেকে সরিয়ে জুথির দিকে নিক্ষেপ করে ওর গাল চেপে গম্ভীর ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললো,
‘নিষেধ করেছিলাম না? এখানে আসতে? কেন এলি বল? আমাকে অশান্তি না দিলে, শান্তি লাগেনা তোর ? তাই না?
জুথি আরিশের চেপে রাখা হাতের মধ্য থেকে ঠোঁট নাড়িয়ে বললো,
‘এ,এইতো আমি! আপনার কাছেই তো আছি, দেখুন..
আরিশ জুথির কথায় ওকে ধাক্কা দিয়ে, চেঁচিয়ে বললো,
‘লাগবে না তোকে আমার, যেই নারী আমার অবাধ্য, তাকে আমার চাইনা। — বলে দফ দফ পা ফেলে পাতানো, চেয়ারগুলোর কাছে এসে বসে পড়তে, জুথি হাতের ঢালাটা হাতে নিয়েই দৌড়ে আরিশের কাছে এসে ওর কোলের উপর বসে পড়ে মুখটা ছোট করে বললো,
‘কিন্তু আমার তো এই গম্ভীর অপ্রিয় লোকটাকে লাগবে!
আরিশ এখনো অন্যদিক তাকিয়ে চুপ হয়ে আছে দেখে, জুথি আরিশের কোলে ওভাবে বসেই বললো,
‘এমন করছেন কেন? তাকান না আমার দিকে।
আরিশ কোনভাবেই রেসপন্স করছে না দেখে জুথি ঢালা রাখার জন্য আশেপাশে তাকাতে দেখে, ফারি সামনের দিকে হেঁটে যাচ্ছে। ওর পাশ ঘেঁষে লুসিয়ানও আসছে। ওদেরকে আসতে দেখে জুথি আরিশের উরুর উপর থেকে উঠে ওদের সামনে গিয়ে ফারির হাতে ঢালাটা দিয়ে বললো,
‘ফারু, এটা ধর। — এতটুকু বলে ওদের কথা না শুনে আবারও গিয়ে আরিশের কোলে বসে, ওর গলা জড়িয়ে আহ্লাদি কণ্ঠে বললো,
‘তাকার না, আমার দিকে। এমন করছেন কেন? – বলে আরিশের গালে টুপ করে চুমু খেতে আরিশ বাঁকা চোখে একবার তার মৌয়ের দিকে তাকাতে দেখে, কেমন লাজুক হয়ে নিচের দিক তাকিয়ে আছে। এটা দেখে তপ্ত নিশ্বাস ফেলে জুথির বা পাশে পেটের শাড়ি ভেত করে এক হাত নরম তুলতুলে পেটের উপর রেখে অন্য হাত শাড়ির উপর থেকে রেখে বাচ্চাদের মত করে ওকে নিজের সাথে আবদ্ধ করে মনে মনে বললো, — ‘বোকা মৌ পোক, এমনভাবে নিজেকে আমার কাছে প্রেজেন্ট করিস, কোনোভাবেই তোর উপর রাগ করে থাকা যায় না। বলে জুথির পিঠে মুখ ঠেকিয়ে সামনের দিক তাকালো, ওদের এতক্ষণের কান্ড সরু চোখে তাকিয়ে সীমান্ত সবটাই প্রজবেক্ষণ করলো। তখন আরিশের হঠাৎ এভাবে গর্যে কথা বলায় উত্তরে আর কিছুই বলার সাহস দেখালো না। তবে দুজনকে এভাবে চিপকে থাকতে দেখে ভ্রু কুঁচকে দুপা সামনে এগিয়ে, ফারির কাছে এসে ওদের দিক তাকিয়েই জিজ্ঞেস করলো,
‘আচ্ছা বিয়াইন ওরা তো সম্পর্কে ভাই বোন তাই না?
ফারি সীমান্তর কথায় ওর দৃষ্টি অনুসরণ করে সেদিক তাকিয়ে আরিশ জুথি কে দেখে মুচকি হেসে বললো,
‘না বেয়াই আপনার ভুল হচ্ছে, ওরা ভাই বোন নয়, স্বামী স্ত্রী।
ফারির মুখে স্বামী স্ত্রী শুনে সিমান্ত বিস্মিত চোখে তাকিয়ে বললো,
‘কি হ? কিন্তু এর বড় আপার তো এখনো বিয়ে হয়নি তাহলে এর কি করে,,?
সীমান্ত কে এভাবে চমকাতে দেখে, ফারি আরেকটু চমকানোর জন্য মুখ টিপে বললো,
‘ওদের আরো সাত বছর আগে বিয়ে হয়ে গেছে।
সীমান্ত ছ্যাঁকা খাওয়ার মত ফারির দিকে তাকাতে দেখে সামনে আরেক পরি দাঁড়িয়ে, তাই জুথির প্রতি আকর্ষণ সরিয়ে ফারির দিকে তাকিয়ে বললো,
‘আশা করি আপনি বিবাহিত না? – ওর উত্তরে ফারি কিছু বলবে তার আগে লুসিয়ান ফারির কাঁধে হাত রেখে দৃষ্টি স্থির করে বললো,
Violent love part 34 (2)
‘উই আর অলসো ম্যারেড।ইফ ইউ হ্যাভ এনিথিং টু সে, প্লিজ টেল মি। আই অ্যাম হার হাসব্যান্ড।
~অর্থ: জি আমরা বিবাহিত, আপনার কিছু বলার থাকলে আমাকে বলুন আমি ওর হাজবেন্ড।
লুসিয়ানের কথায় ফারি ওর দিক তাকাতে দেখে লুসিয়ান জেলাসি নিয়ে সীমান্ত নামের ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছে, তবে স্বামী বলায় কিছু না বলে শুধু মুচকি হাসলো, এদিকে পরপর সবাই বিবাহিত শুনে সীমান্ত বুকে হাত রেখে সামনের দিক হাঁটতে হাঁটতে বললো,
‘দিল তো পাগল হে,ভেঙ্গে খান খান হে… সব বিয়াইত্বা কেন আমার সামনে ঘোরে?