Violent love part 39 (2)

Violent love part 39 (2)
Mariam akter juthi

“সেদিন ডক্টর আহিম চলে যেতে, ওনার সাথে সাথে সানজিদা খান ও আরিশ কে উক্ত কিছু কথা বলে,নিজের রুমে চলে যায়। তখন নিজের করা, একমাত্র প্রাণপ্রিয় হৃদপিণ্ডকে এভাবে নিথর দেহে পড়ে থাকতে দেখে, নিজেই নিজের হাত থেতলে দেয়। তারপর? তারপর আর কি, হাত অতিরিক্ত যন্ত্রণা হওয়ার কারণে, সে জায়গা ড্রেসিং করে মলম লাগিয়ে নিজেই নিজের ব্যান্ডেজ করে নেয়। সময় পার হয়ে, ঘন্টা পেরিয়ে এক সুন্দর সকালের সূচনা হয়। খান মহল জুড়ে হয় আনন্দের মেলা, আজ কাঙ্খিত দিন। ইভার বিয়ে। যদিও এটা ভেবে কষ্টও হচ্ছে, বাড়ির শান্তশিষ্ট ভদ্র মেয়েটা অন্যের বাড়ি চলে যাবে। জামাইয়ের পারমিশন ছাড়া এ বাড়ি আগের মত আর থাকতে পারবে না। সকাল সূচনা এ বাড়ি বয়ে করতে পারবেনা, আসলে মেয়েদের জীবনই এমন।

ইভা সেই সকাল থেকেই চোখ মুখ কালো করে বিছানার হেডবোর্ডের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে। আজ এত এত আপন মানুষ, এত এত চেনা মুখ রেখে, সব অচেনা ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যাবে। তখন তার একমাত্র ভরসা হয়ে উঠবে তার স্বামী। এই স্বামী নামক মানুষটার জন্যই রক্তের মানুষগুলোর থেকে আলাদা হয়ে ওই একটা শব্দ নামক ব্যক্তির জন্য আজীবনটা তার হাত ধরে চলতে হয়। সুখ দুঃখের সাথী হতে হয়। আসলেই কি ইভার জীবনটা এমন হবে? ওর স্বামী কি ওকে ভীষণ ভালবাসবে? সবার থেকে,একটু কি স্পেশাল হবে! নাকি পৃথিবীর মানুষদের মতোই স্বামী-স্ত্রী, নাম, মিলন ওই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে? ইভা নানান কিছু চিন্তা করার মধ্য, সকালের নাস্তা নিয়ে হাজির হয় দৃষ্টি। ফুপাতো বোন দৃষ্টির সাথে ইভার খুবই ভালো সম্পর্ক। ছোট থেকেই দুজনার ভিতর ভীষণ মিল, কারো সামান্য কথাটুকু কারো কাছে শেয়ার করতে না, পারলে মনে হয় তাদের পেটের ভাত হজম হয় না। ঠিক ফারি আর জুথির মত। দৃষ্টি আসতে ইভা হেডবোর্ডের থেকে মাথা সরিয়ে সোজা হয়ে বসে ওকে বসতে বললে, দুজনে বেশ অনেকক্ষণ গল্প গুজব করলো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সময়টা প্রায় ১০.২৩ মিনিট, সবাই পার্লার যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে এক জায়গা হতে, জুথি কে, কোথাও না পেয়ে, ফারি সূচি তানিশা একসাথেই গেল ওর খোঁজ করতে। তবে খোঁজে এসে যে এমন একটা ঘটনা ওদের শুনতে হবে, ওরা কল্পনাও করেনি। আরিশের পুরো রুম জুরে নীরবতা বিরাজ করছে। তার একমাত্র কারণ আরিশ নিজেই। যখন ফারিরা আরিশের রুমে এসে জথির এমন অবস্থা দেখে, সবাই অবিশ্বাস্য কণ্ঠে একটু জোরে চেঁচিয়ে বলে ওঠে,
‘আরে ওর মুখে মাক্স কেন? কি হয়েছে ওর?
ওদের এমন বাজখাঁই চেঁচানো, কথায় আরিশ শুধু অপরাধী কণ্ঠে একটা কথাই বলেছিল,
‘বেল্ট দিয়ে মেরে, জোর করে বাসর করে অজ্ঞান করে রেখেছি।
ব্যস আরিশের এতোটুকু, কথায় ওদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো মনে হল। সবাই নিশ্চুপ, শুধু সবার মাথায় একটা কথাই ঘুরছে,

‘যে আরিশ এই একটা মেয়ের জন্য গোটা দুনিয়ার বিরুদ্ধে যেতে পারে, সে নিজে এভাবে মেরে অজ্ঞান করে রাখল? এটাও চোখে দেখতে হবে?
পরক্ষণই আবার তারা ভাবল, আরিশ যে মানুষ, তার দ্বারা সবই সম্ভব। পুরো রুমের নীরবতা ভাঙ্গন করে ফারি বললো,
‘ভাই, কি করেছিল ও? যার জন্য এভাবে আঘাত করলে?
‘ও কেন চিলেকোঠার ঘরে রাদিফ কে জড়িয়ে ছিল? ও জানে না ওর শরীরের একটা পশম পর্যন্ত আমি ব্যতীত অন্য কেউ স্পর্শ করুক, সেটা আমার পছন্দ না। মেঝের দিকে দৃষ্টি স্থির রেখে গম্ভীর কণ্ঠে।
আরিশের এতুর কথায়, তৎক্ষণে সূচি মুখে রাগি আভা ফুটিয়ে একটু জোরেই বললো,
‘তুই কি মানুষ ব্রো? মেয়েটা তোর জন্য এত কিছু করলো সেখানে তুই…?
‘মানে? এরপরও তোরা বলবি আরো বড় সারপ্রাইজ ছিল?

‘হ্যাঁ হ্যাঁ তোর জন্যই ছিল। কদিন ধরেই তো দেখছিলাম, তোর পিছে পিছে সারপ্রাইজ দিবে বলে ঘুরঘুর করছিল। কালকে মেহেদী আর্টিস্ট সবার হাতে মেহেদি দিয়ে দিলেও, জুথির হাতে দিতে পারিনি। কারন সে তোর নাম নিজের হাতে যত্ন সহকারে লিখবে বলে নিজে দুহাত রাঙিয়ে ছিল। কাল সারা সন্ধ্যা বসে আমরা এত প্লান করে, মেহেদী অনুষ্ঠান রেখে তোর জন্য রুমটা সাজালাম যেন তোর পছন্দ হয়, তোদের এই মুহূর্তটা তোরা স্মৃতি হিসেবে রাখতে পারিস। সেখানে তুই কি করলি ব্রো?
আরিশ এক দৃষ্টিতে নিচের দিক স্থির ভাবে তাকিয়ে ছিল, সূচির এতগুলো কথায়, মাথাটা তুলে জুথির বিছানায় পড়ে থাকা হাত দুটো উঠিয়ে ঘুরিয়ে ফিরেয়ে দেখতে দেখতে দেখলো, জুথির হাত দুটো মেহেদি রঙে চমৎকার ডিজাইনে রঙিন হয়ে আছে। দু হাতের তালুর মাছ বরাবর AK লেখা গোল আবৃত বৃত্তের মধ্য। হলুদ ফর্সা হাতে লেখাটা যেন ঝকঝক করে বোঝা যাচ্ছে। আরিশ এটা দেখে, ওর চোখ দুটো বন্ধ করে নিল। সাথে সাথেই গড়িয়ে পড়ল দু ফোটা চোখের পানি। আরিশ কোন রকম মাথা ঠান্ডা রেখে বললো,

‘তোরা আমার রুম থেকে এক্ষুনি যা।
‘কিন্ত আমাদের কথা তো এখনো শেষ..
‘তখন তোরা কোথায় ছিলি? যখন আমি আমার মৌ কে ভুল বুঝে, ওর সাথে চিৎকার চেঁচামেচি করছিলাম? ওকে ব্যথা দিয়েছিলাম? – শেষ কথাগুলো একটু চেঁচিয়ে বলতে, ওরা দেখল আরিশ অবরতন কান্না করছে। ওরা বুঝল এই টাইপের মানুষ গুলো এমনই হয়। দোষ করলে ভিতরে অনুতপ্ত ঠিকই হয়, তবে তা স্বীকার করতে রাজি নয়‌‌। এই যেমন আরিশ না বুঝে, কারো কোন কথা না শুনে, আঘাত করলো। এখন দোষ গুলো ওদের মাথায় দেওয়ার জন্য, ওরা কেন আসলো না বলে আক্ষেপ করল। ওরা আরিশের রাগ দেখে তপ্ত শ্বাস ফেলে , এ রুমে আর দাঁড়ানোর সাহস পেল না। নিজ দায়িত্বে যেমন এসেছিল ঠিক সেভাবেই চলে গেল।

“ওরা নিচে এসে সাজার আর ইচ্ছা দেখালো না। সিম্পল ভাবে জামাকাপড় গুলো পরে নিলো। ওরা সাজতে যাবে না বলতে, ইভা কে দৃষ্টি মাইশা মনির সাথে পাল্লার পাঠিয়ে দিল। যদিও রোদ কে ইভার সাথে পার্লার যেতে বলেছিলেন, মেহজাবিন খান। আজ রোদ আর রাদিফের বিয়েটাও উনারা একসাথে দিয়ে রাখবেন বলে। তবে রোদ ওদের সাথে যায়নি, গিয়ে কি করবে? কার জন্য বউ সাজবে? রাদিফ সে তো জুথি কে ভালোবাসে, আর রোদের বিষয়? তাহলে ও,ওর মা বাবার ইচ্ছা কে প্রধান্য দেওয়ার জন্যই বিয়েতে হ্যাঁ বলা, তাছাড়া সে একটা মেয়ে, তার কতটুকুই বা ক্ষমতা? যে সে বিয়ে করবে না বলে বেঁকে বসবে। যেখানে রাদিফ ছেলে হয়ে মা বাবার মুখের উপর কিছু বলতে পারল না। বিয়ে আটকাতে পারল না, সেখানে সে… বিষয়টা হাস্যকর হয়ে যেত না? তবে সে জেনে শুনে এক বিষাক্ত জীবনে পা রাখতে যাচ্ছে, বিষয়টা তার মাথায় চওড়া হয়ে দাঁড়াচ্ছে বারংবার। কারন সেও জানে ভালবাসা না পাওয়ার বেদনা। তবে পার্থক্য হচ্ছে, সে পেরেছে আরিশ কে ভুলতে,কারণ সেটা তার মোহ ছিল। সুপ্ত একটা বাসনা ছিল মাত্র। কিন্তু রাদিফের ক্ষেত্রে বিষয়টা সম্পূর্ণ উল্টা, আদৌ কি তাদের সংসার হবে? নাকি নামেই মাত্র তারা বিয়ে করছে?

তখন ফরিরা চলে যেতে, আরিশের ফোনে ফোন আসতে আরিশ সেদিকে খেয়াল দিল না। ও তখন ও দুহাতে মাথা চেপে ধরে নিজেকে শান্ত করতে ব্যস্ত। তার বউ তার কলিজা পাখি তার জন্য.. শুধু এই বাক্যটাই মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। আরিশের ফোনে তখনও একই ভাবে সমান তরে ফোন বেধে যাচ্ছিল। বারবার এভাবে ফোন আসতে আরিশ বিরক্ত হয়ে ফোনটা রিসিভ করে কানের কাছে নিয়ে ক্ষিপ্ত কন্ঠে কিছু শুনতে যাবে তার আগেই ওপাশ থেকে বলে উঠলো,
‘Ak উনাকে হসপিটাল থেকে রিলিজ করা হয়েছে। গতরাতে উনাকে আমরা ফ্লাইটে উঠিয়ে দিয়েছি, হয়তো এখন এয়ারপোর্ট পৌঁছে গেছে। আপনি যদি উনাকে নিতে আসতেন।
‘জি আসছি। — বলে ফোনটা কেটে আরিশ উঠে দাঁড়িয়ে, একবার জুথির দিকে তাকিয়ে সেভাবেই চোখ দুটো মুছে হেঁটে বেরিয়ে গেল।

“সময়টা দুপুর দুটো, ছেলে বাড়ির লোকেরা আসতে এখনো দেরি হবে, এমনটা তারা জানিয়েছেন কিছুক্ষণ আগেই। উনারা যে যার ব্যস্ততায় কাজ করায়, হঠাৎ থমকে যায় আরিশের আগমনে, উনাদের মনে হল উনারা জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছেন। কারণ উনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ওনাদের চার বছর আগে হারিয়ে যাওয়া সেই ছোট্ট ভাই ইউনুস খান। যাকে উনারা নিখোঁজ হওয়ার পর তন্ন তন্ন করে পুরো শহর খুঁজেছেন। কিন্তু পাননি, আজ এত বছর পর ওনাকে এমন ভাবে দেখে আবেগ প্রফুল্ল হয়ে তিন ভাই একসাথে ছুটে এসে উনাদের বুকে জড়িয়ে নিলেন প্রিয় ছোট ভাইকে, অতঃপর ওনারা একসাথেই বলে উঠলেন,
‘ভাই আমার, তুই বেঁচে আছিস? এত বছর কোথায় ছিলি? কোথায় না খুঁজেছি তোকে?
বড় ভাইদের এমন আবেগ প্রফুল্লতা, পাশাপাশি উত্তেজিত হতে দেখে ইউনুস খান আস্তে ধীরে বললেন,

‘আয়না ঘরে ছিলাম।
‘মানে?
ইউনুস খানের কথায়, সাফওয়ান খান বিস্ফোরিত কন্ঠে বললেন,
‘কি বলছিস ছোট ভাই?
‘হুম, বড় ভাই আমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়েছিলাম, দেশের বিরুদ্ধে কিংবা দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবৈধ কাজ করতে নয়। আর সেজন্যই আমাকে সরকার আয়না করে বন্দী করে রেখেছিল, কেন জানো এই আয়না ঘর সম্বন্ধে আমি জেনে গিয়েছিলাম। তো সেখান থেকে আমাকে সতর্ক করা হয়েছিল, এ বিষয়ে যেন আমি কাউকে না জানাই, মুখ না খুলি। কিন্তু ভাই আমি এটা মানতে পারছিলাম না। এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে, আমাকে চার বছর আগে আয়না ঘরে বন্দী করা হয়। যেন আমি বাহিরের আলোটুকু পর্যন্ত দেখতে না পারি। – এক সাথে কথাটুকু বলে উনি নিঃশ্বাস ছাড়লেন।

‘কি বলছিস ভাই? সেখান থেকে বের হলে কিভাবে?
‘সরকার পদত্যাগ হওয়ার কারণে, সেখানে খাবার প্রায় ছড়িয়ে যায়। তখন আমার অবস্থা ছিল বেদারুণ। বাঁচার কোন রাস্তা ছিল না। আমি ভেবে নিয়েছিলাম,হয়তো আমার এখন এই দুনিয়ার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে হবে। আমি মরে যাব, কিন্তু না, আল্লাহ তোমার ছেলেকে ফেরেশতা স্বরূপ আমার সাথে যোগাযোগ পাইয়ে দেন। আর আমার খবর পাওয়ার সাথে সাথে আরিশ আমাকে ইমিডিয়েটলি সুইজারল্যান্ড নিয়ে সুচিকিৎসা দেয়, যার দরুন এখন আমি তোমাদের সামনে। — উনার কথা শেষ হতে সাফওয়ান খান, ছোট ছোট চোখ করে ছেলের পানে চাইলেন। আজ ওনার সত্যি মনে হচ্ছে, আরিশ নামক ছেলেটা ওনার। আজ ওনার গর্ব হচ্ছে। ছেলের প্রতিটা পদক্ষেপে ঠিক। এসব ভেবে উনি আরিশের কাছে এগিয়ে ওকে বুকের সাথে জড়িয়ে পিঠের উপর চাপড় মেরে বললেন,
‘তুমি ছোট ভাইয়ের খবর পেয়েছো, ওর চিকিৎসা করার জন্য সুইজারল্যান্ড পাঠিয়েছো। আমাদের বললে না কেন?
‘বলার প্রয়োজন বোধ করিনি। গম্ভীর কণ্ঠে।

আরিশের এমন কন্ঠে সাফওয়ান খান কিছু জিজ্ঞেস করার মত, বলার থাকলেও বললেন না, তার ভাইয়ের খবর কবে পেয়েছে? ভাইয়ের অবস্থা কি ছিল? এসব জিজ্ঞেস করার থাকলে উনি করলেন না, কারণ আরিশের থেকে যে ওনারা উত্তর পাবেন না, এটা ওনারা সবাই জানেন। তাই কথা না বাড়িয়ে সবাই আরিশ এর কাছে এসে ওকে জড়িয়ে কৃতজ্ঞতা জানালো। পরিশেষে সবাই একটা কথা ধিক্কার দিয়ে জানালো,
‘তুমি যে বংশের বড় ছেলে আজ তা আবার প্রমাণ করলে।

ইউনুস খান ওনার উপস্থিতি ছিল সবার কাছে কাল্পনিক স্বপ্নের মত, ইভা সে বাবার ফিরে আসার কথা শুনে বউরুমে আর বসে থাকতে পারেনি। ছুটে এসে বাবার কাছে তাকে জড়িয়ে হাউমাউ করে কান্না করেছিল সেদিন। চোখ থেকে টপটপ করে পানি বেরিয়েছিল মোমেনা খানের। বাবার উপস্থিতিতে ইভার ধুমধাম ভাবে বিয়েটা সম্পূর্ণ করে মেয়েকে বিদায় করেছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল তার মেয়েদের বিয়ে দেখার, তাইতো একটু সুস্থ মনে হতে আজ ইভার বিয়ে শুনে একদিন আগেই ফ্লাইটে উঠেছিলেন। উনার সাথে দেখা হতে ওনার উপস্থিতিতে খান বাড়ি যেন আনন্দের মেলা ক্ষণে ক্ষণে ভেসে উঠছিল।

Violent love part 39

ইভার পাশাপাশি তিন কবুল বলে, আইনি পেপার সাইন করে সবার উপস্থিতিতে বিয়ে হয়েছে রাদিফ রোদের, ইভার বিয়েতে অনেক মানুষ উপস্থিত থাকায়,রাদিফের বিয়েটাও সবাই সেভাবেই দিল। এ বাড়ির ছেলের বিয়ে, মেয়ের টা সম্পূর্ণভাবে ঠিক করে। রাদিফের জন্য ও,ওর রুমে বাসর ঘর সাজানো হলো। বিয়েটা যেভাবেই হোক, বিয়ে যখন হয়েছে দুজনের সংসার করতে হবে। সেটা তারা যেভাবে যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারবে, সেভাবেই ভালো।
“মোমবাতির স্নিগ্ধ আলোয়, গোলাপ ফুল রজনীগন্ধা ফুলের গন্ধে রাদিফের রুম জুড়ে মো মো করছে। তার ঠিক মধ্যখানে, রোদ ঘাপ্টি মেরে গুজো হয়ে ঘুমিয়ে আছে…

Violent love part 40