তুমি অজান্তেই বেঁধেছ হৃদয় পর্ব ৭

তুমি অজান্তেই বেঁধেছ হৃদয় পর্ব ৭
মুন্নি আক্তার প্রিয়া

“তুই কি আমার থেকে দূরে থাকতে পারিস না, অনু?”
অনু ভীত নয়নে তাকাল রায়ান ভাইয়ের দিকে। সে এই প্রশ্নের কী জবাব দেবে? মাথা নত করে শুধু বলল,
“সরি।”
রায়ানের কণ্ঠস্বর ফের গম্ভীর হলো। সে শক্ত হয়ে বলল,
“আমার কাছে আর আসবি না। দূরে থাকবি।”
অনু ফের মাথা নত করে বলল,
“ঠিক আছে।”

রায়ান ভাই আর কথা না বাড়িয়ে নিজের কাজ করতে চলে গেল। অনু ভেতরে গিয়ে চুপচাপ বসে আছে। সে ভয় পাচ্ছে অন্য বিষয়ে। রায়ান ভাই কি এখনো বুকের আঁচড়টা টের পায়নি? পেলে এটা নিয়ে কিছু বলল না কেন?
রায়ান হাতের কাজগুলো শেষ করে ওয়াশরুমে গেল ফ্রেশ হতে। আয়নার সামনে দাঁড়ানোর পর দৃষ্টি পড়ল বুকের কাছটায়। নখের আঁচড় লাল হয়ে ফুটে আছে। এখনো জ্বলছে। রায়ান দাগগুলোর ওপর হাত বুলিয়ে শার্টের বোতামটা লাগিয়ে ফেলল যেন দাগ না দেখা যায়। এরপর ফ্রেশ হয়ে এসে অনুকে বলল,
“চল।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

অনু পেছন পেছন যেতে লাগল। বাড়ির গাড়িটা রিয়াদ ভাই নিয়ে গিয়েছে। তাই ওরা অফিসের গাড়িতে যাবে। ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছে। পেছনে অনু এবং রায়ান বসে আছে। মাঝখানে এতটা দূরত্ব রেখেছে যে, অনুর মনে হচ্ছে সাত সমুদ্র, তেরো নদী বোধ হয় এখানেই এঁটে যাবে। অনু একটু একটু করে এগিয়ে বসে দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করছে। এমনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যেন রায়ান ভাই বুঝতে না পারে। কিন্তু সে আবার ধরা খেয়ে গেছে। রায়ান ভাই ঠিকই ওকে ধরে ফেলেছে।শান্ত কিন্তু গভীর দৃষ্টিতে অনুর দিকে তাকিয়ে বলল,
“কাছে আসতে নিষেধ করেছিলাম!”
অনুর মুখটা পাংশুটে হয়ে গেল। চুপসে যাওয়া মুখটা নত করে বলল,
“এত কিনারে বসা যায় নাকি? ব্রেক করলে তো ব্যথা পাব।”

রায়ান আর কথা বাড়াল না। সিটের সাথে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করল। কিছু কি ভাবছে সে? নাকি ক্লান্তিতে ঘুম পাচ্ছে? অনু ডাকবে কিনা বুঝতে পারছে না। তাই গালে হাত দিয়ে ঘুমন্ত রায়ানকে দেখছে। গাড়ির ঝাঁকুনিতে রায়ান ভাইয়ের মাথাটা এদিক-ওদিক দুলছিল। অনু ভয় পাচ্ছিল, কখন না জানি আবার মাথায় বারি খায়! এজন্য সেও সিটের সাথে মাথা এলিয়ে দিয়ে সতর্ক দৃষ্টিতে রায়ান ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। যেন পড়ে যাওয়া ধরলেই ধরতে পারে। কিছুক্ষণ বাদে রায়ানের মাথা তো এসে পড়ল ঠিকই, তবে অন্য কোথাও নয়; অনুর কাঁধে। লম্বা মানুষটা নুইয়ে পড়েছে যেন! অনু বাকহীন হয়ে শক্ত হয়ে বসে আছে। আলতো হাতে সে রায়ানের গালে হাত রাখল। রায়ান একটু নড়েচড়ে ভালো করে মাথা রাখল অনুর কাঁধে। অনুর একটা হাত বুকে জড়িয়ে ধরে রাখল। অনু হাসবে, কাঁদবে, অবাক হবে নাকি খুশি হবে কিছুই বুঝতে পারছে না। যেই মানুষটা নিজেই একটু আগেও অনুকে দূরে থাকতে বলছিল, সেই মানুষটাই এখন অনুর এতটা কাছে চলে এসেছে! আপাতত অনু আর অন্য কোনো ভাবনাতেই গেল না। নিশ্চুপ হয়ে বসে থেকে রায়ানের চুলে হাত বুলিয়ে দিতে লাগল। টেনশন হচ্ছিল বাড়ির কাছাকাছি যাওয়ার সময়। কীভাবে সে রায়ান ভাইকে ডাকবে? ঘুম থেকে উঠে এভাবে দেখে যদি কোনো রিয়াক্ট করে? অনুর মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। বাড়ির সামনে এসে সেও ঘুমানোর ভান ধরে রইল। ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে রায়ানকে ডাকল,

“স্যার, স্যার?”
রায়ান ভাই নিভু নিভু চোখে তাকাল। নিজেকে অনুর এতটা কাছে আবিষ্কার করে চমকে দূরে সরে গেল। সোজা হয়ে বসল সে। ড্রাইভার বলল,
“বাড়িতে এসে পড়েছি আমরা।”
রায়ান অনুকে ডাকতে লাগল,
“অনু? অনু? ওঠ।”
অনু হাই তুলতে তুলতে বলল,
“কী?”
“গাড়িতে ঘুমাচ্ছিস কেন? ওঠ। বাসায় চলে এসেছি।”
অনুর খুব হাসি পাচ্ছিল এই কথা শুনে। বলতে ইচ্ছে করছিল,
“আমি তো ঘুমাইনি। আমি তো নাটক করছি। ঘুমিয়েছেন তো আপনি।”
কিন্তু মুখে বলল,

“ওহ।”
গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির ভেতর ঢোকার সাথে সাথে রোমিও দৌঁড়ে এলো। অনু ফ্লোরে হাঁটু মুড়ে বসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
“অনেক টায়ার্ড রে এখন আমি। তোর সাথে পরে খেলব কেমন?”
রোমিও লেজ নাড়াল। রায়ান ওপরের বারান্দা থেকে অনুকে দেখছিল। অনুও হঠাৎ ওপরে তাকাতে দুজনের চোখাচোখি হয়ে যায়। রায়ান দৃষ্টি সরিয়ে রুমে ঢুকে গেল। অনু রোমিওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর মুচকি হাসছে।

রাতে সবাই খাওয়া-দাওয়া করে রুমে চলে যাওয়ার পর রায়ান উঠানে জলচৌকিতে বসে ছিল একা। রোমিও ওর পায়ের কাছে ঘুরঘুর করছে। রায়ান লক্ষ্য করেছে, সে বাড়িতে আসলেই রোমিও শুধু ওর আশেপাশে ঘোরে। এত ধমক দেয়, তাড়িয়ে দেয় তবুও যায় না। এইযে এখনো রায়ানের পা ঘেঁষে হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে। রায়ান ভ্রু কুঁচকে বলল,
“কী সমস্যা তোর? আমার পেছনে এমন ঘুরঘুর করিস কেন? যা এখান থেকে!”
রোমিও যায় না। রায়ান এবার বিরক্ত হলো। চিৎকার করে অনুকে ডাকতে লাগল,
“অনু, অনু, অনু!”

অনু পড়তে বসেছিল। রায়ানের চিৎকার শুনে ধড়ফড় করে উঠে এলো। বারান্দার রেলিঙে উঁকি দিয়ে বলল,
“কী হয়েছে রায়ান ভাই?”
রায়ান ভাই ওপরে তাকিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,
“হয়েছে আমার মুণ্ডু! নবাবজাদি নিচে না এসে ঐখান থেকে আমাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে! নাম নিচে।”
অনু দৌঁড়ে নিচে নামল। রায়ান ভাইয়ের সামনে মাথা নত করে বলল,
“বলুন।”
“তোর এই কুকুরকে আমার পেছনে কেন লেলিয়ে দিয়েছিস?”
অনু রোমিও এর দিকে তাকাল। কী রকম ইনোসেন্টের মতো তাকিয়ে আছে! অনু ভয়ার্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল,
“কী করেছে রোমিও?”
“কী করেছে মানে? বাড়িতে এসে ওর জন্য আমি একটু শান্তিও পাই না। পিছু পিছু ঘুরঘুর করে। পারে না শুধু রুমে চলে যেতে! ভালোই ভালো বলছি তোর এই কুকুরকে সামলা। নয়তো দুটোকেই বাড়ি থেকে বের করে দেবো বলে দিলাম!”

অনু মুখটা কালো করে বলল,
“আপনি বারবার ওকে কুকুর বলেন কেন? ওর নাম রোমিও।”
“আসছে আমার রোমিও-জুলিয়েট! দুটোকেই যখন কান ধরে বাড়ি থেকে বের করে দেবো তখন মজা বুঝবি! এখন এটাকে নিয়ে সর সামনে থেকে।”
অনু রোমিওকে কোলে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। ওর জন্য বাড়ির মেইন গেইটের কাছে কাঠ দিয়ে বেশ লম্বা, চওড়া ছোট্ট একটা ঘর বানানো হয়েছে। রোমিওকে সেখানে রেখে মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
“রাগ করিস না রোমিও। আমি জানি, বাড়ির অনেকেই তোকে পছন্দ করে না। কিন্তু আমি তো তোকে পছন্দ করি, ভালোবাসি। তোকে রুমে নিয়ে গেলে মা আমাকে খুব মা’র’বে। নয়তো তোকে রুমেই নিয়ে যেতাম। আমাকে ভুল বুঝিস না কেমন! আর শোন, রায়ান ভাইয়ের আশেপাশেও আর কখনো যাবি না। মনে থাকবে? প্লিজ রোমিও! নয়তো সত্যি সত্যি তোকে বাইরে ফেলে আসবে।”

রোমিওর ভাবসাব বোঝা যাচ্ছে না। তবে মুখটা দেখে মনে হচ্ছে মন খারাপ করেছে। চুপচাপ শুয়ে পড়েছে ও। অনু আরো কিছুক্ষণ ওর মাথায় হাত বুলিয়ে ওর ছোট্ট ঘরের দরজাটি বাইরে থেকে লাগিয়ে দিল।
রায়ান ভাইয়ের কাছে গিয়ে অপরাধী কণ্ঠে বলল,
“রোমিও আপনাকে আর বিরক্ত করবে না।”
“তোকে বলেছে?”
“কী?”

“তোর রোমিও বলেছে যে আমাকে আর বিরক্ত করবে না?”
“না। ও কি কথা বলতে পারে নাকি?”
“তাহলে কী করে বুঝলি?”
“আমি ওকে আর বিরক্ত করতে দেবো না।”
“গুড। এখন যা। পড়তে বোস।”
“হু।”

অনু রুমে এসে আবার পড়তে বসল। কিন্তু তার মন পড়ায় নেই। শুধু রায়ান ভাইকে নিয়ে ভাবছে সে। রায়ান ভাই ওকেও পছন্দ করে না, এমনকি ওর শখের কোনো কিছুকেও পছন্দ করে না। কিন্তু কেন? কেন সে এমন করে? রায়ান ভাইয়ের কি অন্য কোথাও কোনো পছন্দ আছে? না, না! এটা হতেই পারে না। কখনো না। অনু তাহলে ম’রেই যাবে। সামান্য এই কথাটা ভেবেই তার বুক ভারী হয়ে আসছে, বুকে ব্যথা করছে, চোখে পানি জড়ো হয়েছে। আর যদি সত্যি হয় তাহলে সে নিঃশ্বাস নিতে পারবে না আর। মৃ’ত্যু’ তার জন্য তখনই অবধারিত হয়ে যাবে।

সে পড়ার জন্য মনকে আর জোর করল না। তার পছন্দের নীল রঙের ডায়ারিটা বের করল। এখানে যত লেখা আছে, সব রায়ানকে নিয়ে। রায়ানের অনেকগুলো ছবিও আছে ডায়ারির ভেতর। আগে বইয়ের ভেতর রাখত। লিলি খালার কাছে ধরা খাওয়ার পর থেকে এখন এই ডায়ারিতেই রাখে। ডায়ারিটা তার পড়ার টেবিলে তালাবন্ধ করে রাখে, যাতে কারো হাতে না পড়ে। যখন রায়ান ভাইকে নিয়ে কিছু লিখতে ইচ্ছে করে, শুধু তখনই লিখে। এইযে আজ, এখন লিখতে ইচ্ছে করল বলে ডায়ারিটা বের করেছে সে। ডায়ারির সাদা পৃষ্ঠা বের করে, অন্য হাতে কলমটা নাচাচ্ছে সে। কী দিয়ে লেখা শুরু করবে ভাবছে। সময় বেশিক্ষণ লাগল না। খসখস করে লিখতে শুরু করল সে। মুহূর্তেই ডায়ারির ফাঁকা পৃষ্ঠাটি পূর্ণতা পেল অনুর হাতের লেখায়।

রায়ান দাদা-দাদির সাথে এতক্ষণ গল্প করছিল। রাত একটা নাগাদ দাদা-দাদিকে ঘুম পাড়িয়ে সে ওপরে এলো। অনুর রুম ক্রস করে যাওয়ার সময় দেখল দরজা, জানালা খোলা। রুমের লাইট জ্বালানো। এত রাত পর্যন্ত দরজা খুলে রেখেছে কেন মেয়েটা? রায়ান আবার এসে দরজার সামনে দাঁড়াল। টেবিলের ওপর মাথা রেখে অনু গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। একবার যদি ঘুমের ঘোরে ফ্লোরে পড়ে যায়, তাহলে তো মাথাটা ফাঁটবে। মেয়েটার এখনো বুদ্ধিশুদ্ধি কিছু হলো না! বাইরে দাঁড়িয়েই রায়ান কয়েকবার ডাকল অনুকে। কোনো সাড়াশব্দ নেই। এত রাতে তো সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। এখন কাকে ডাকবে রায়ান? সে নিজেই রুমে গেল। অনুর মাথা মৃদু নাড়িয়ে ডাকছে,
“অনু? অনু?”

অনুর সাড়াশব্দ নেই। ছোটোবেলা থেকেই ও এমন। একবার ঘুমিয়ে গেলে একদম ম’রে যায়। ঘুমন্ত অবস্থায় ওকে পানিতে ফেলে দিলেও বুঝতে পারবে না। দ্বিতীয়বার ডাকতে গিয়ে ডায়ারির খোলা পৃষ্ঠায় ওর চোখ আটকে গেল। সচরাচর কারো অনুমতি ব্যতীত তাদের ব্যক্তিগত কোনো কিছু সে দেখে না কিংবা পড়ে না। কিন্তু এই প্রথম তার ভীষণ কৌতুহল হলো লেখাগুলো পড়ার জন্য। এর অবশ্য একটা কারণও আছে। পৃষ্ঠার শুরুতেই ‘রায়ান ভাই’ নামটা একদম জ্বলজ্বল করছে। নিজের নাম দেখেই তার এত কৌতুহল। অনু পড়াশোনায় গাধা হলেও হাতের লেখাগুলো সুন্দর। নীল কালিতে ওর সুন্দর হাতের লেখাগুলো আরো সুন্দর হয়ে ফুটে উঠেছে। রায়ান ভাই চোখ বুলিয়ে পড়তে লাগল লেখাগুলো,
“রায়ান ভাই,

আপনি এমন অদ্ভুত স্বভাবের নিষ্ঠুর মানুষ কেন বলুন তো? আমি আপনার এমন কী ক্ষতি করেছি, আমি জানি না। কেন সবসময় আপনি এমন কঠোর আমার প্রতি তাও জানি না। কেন আমাকে, রোমিওকে আপনি দেখতে পারেন না তাও জানি না। আমার পছন্দের কোনো কিছুই হয়তো আপনার পছন্দ না। কিন্তু আমার সবচেয়ে পছন্দের মানুষটা যে আপনি! এখন কি আপনি নিজেকেও অপছন্দ করতে শুরু করবেন? প্লিজ এমনটা করবেন না! করলেও আপনাকে আমি অপছন্দ করতে পারব না। সত্যি বলতে পারি না। আপনার প্রতি আমার অমোঘ, সীমাহীন এক টান কাজ করে। আমি চাইলেও পারি না আপনার থেকে দূরে থাকতে। আপনি কাছে থাকলে, সামনে থাকলে এক অনন্য শান্তি অনুভব করি আমি। কিন্তু আপনার প্রতি আমার নিরব অভিমান।

আপনি হয়তো সেই অভিমানের ভাষা বোঝেন না, বুঝতেও চাইবেন না কখনো। তবুও কেন আমার অভিমান হয় বলতে পারেন? কথাগুলো আপনাকে বলার সাহস নেই আমার। হবেও না কখনো। হয়তো সারাজীবন মনের কথাগুলো এভাবে ডায়ারিতে লিখেই প্রকাশ করতে হবে। তারপর? তারপর কী হবে? আচ্ছা রায়ান ভাই, আপনি কি বলতে পারেন, কেন আপনাকে আমি এত করে চাই?”

তুমি অজান্তেই বেঁধেছ হৃদয় পর্ব ৬

ব্যস এই পর্যন্তই লেখা। আর কিছু নেই। রায়ান আর পৃষ্ঠা উল্টায়নি। এই পৃষ্ঠার আগের পৃষ্ঠাগুলোতে কী লেখা আছে বা থাকতে পারে সে জানে না। ইচ্ছেও নেই। যতটুকু তার সামনে খোলা অবস্থায় ছিল সে ততটুকুই পড়েছে। আর এটুকুতেই সে অনেককিছু বুঝতে পেরেছে। তার চোখের ভাষা অন্যরকম। বোঝা দ্বায়। ডায়ারিটা বন্ধ করে অনুকে কোলে তুলে নিল রায়ান ভাই। এরপর অনুকে শুইয়ে দিল বিছানায়। হাত ঠিক করে রাখতে গিয়ে দেখল হাতের মুঠোয় কলম। কলমটা নেওয়ার সময় দেখল, অনু হাতের তালুতে ইংরেজিতে লিখেছে ‘Rayan’.

তুমি অজান্তেই বেঁধেছ হৃদয় পর্ব ৮