তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১৬

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১৬
তাবাস্সুম খাতুন

হাসপাতালে কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে তাজউদ্দিন, সালাউদ্দিন, রোজিনা,জিহান। আর বাকি সদস্য একটু আগেই বেড়িয়ে গেছে। সিমির অবস্থা এখন একটু ভালো আছে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিলো তাই ঘুমিয়ে আছে। সিমির মূলত অতি ভয়ে প্যানিক অ্যাটাক হয়ে গেছে। আর ত্রিশ মিনিট যাবৎ পুরো বডি মাটির নিচে থাকাই আরো বেশি ক্ষতি হয়েছে দেহে। তবে ডাক্তার ভালো ভাবে দেখে বুজে চিকিৎসা করাই সিমি এখন out of dengour…..ডাক্তার সিমির এমন অবস্থা নিয়ে কিছু ধারণা দিয়েছে যে কি কারণে কি হয়েছে। এই প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার কারণ সম্পর্কে। যার দরুন তাজউদ্দিন, সালাউদ্দিন আর রোজিনা রাগে ফেঁটে পড়ছে। রাগ হওয়ার কারণ নিশানই তাকে নিয়ে গেছিলো আর নিয়ে গিয়ে কিনা সবাই আর ভাবতে পারছেনা। জিহান ও কিছু বললো না ঐভাবেই রইলো।সিমি কে আজকে রাত টা হাসপাতালে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। সকাল হলেই নিয়ে যেতে বলেছে।

রাত দশটা বেজে দুই মিনিট। অবস্থান টা শহরের একদম সীমানা। ফাঁকা মাঠে দাঁড়িয়ে আছে এক প্রান্তে কালো হুডি পড়া এক ব্যাক্তি। ওপরপাশে দাঁড়িয়ে আছে দুটো লোক ধরে আছে একজনকে। আরেক পাশে একই ভাবে দুটো লোক ধরে আছে এক জনকে। ঝম ঝম করে পানি পড়ছে।
এর মধ্যে এগিয়ে আসলো সামনে একা দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাক্তিটা। ধীরে ধীরে হেঁটে এসে দাঁড়ালো একজনের সামনে। কালো হুডি পড়াই মুখ দেখা যাই না। যেই লোকটা কে ধরে আছে সেই লোকটাও কথা বলতে পারছেনা। কারণ তাঁদের প্রচুর মারা হয়েছে সব রক্ত ছিলো গায়ে এখন বৃষ্টির পানিতে সেগুলো ধুয়ে গেছে। হুডি পড়া লোকটা ঘাড় এইপাশ ওইপাস করে ফুটিয়ে নিলো বললো,,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“সুন্দরতম একটা রাত, এই রাতে পিপাসা মেটানোর জন্য পারফেক্ট একটা সময়।”
কেউ এই কথার উত্তর ও দিলো না। না হাসলো। এইদিকে বন্ধী লোকটা বহু কষ্টে কাঁপা কন্ঠে বললো,,
“আ.মা… ডের..আমাদে…র.. এইক… এইখা.. নে.. কেও.. কেনো.. অনে.. এনেছেন..?”
লোকটার কথা শুনে হুডি পড়া লোকটা বাঁকা হাসলো। যেই হাসি হয়তো কেউ দেখতে পেলো না। বন্ধী লোকটা আবারো বললো,,

“আম..রা.. কিছ.. কিছু.. করেছি? কি আমাদের এইখানে কেন এনেছেন?”
হুডি পড়া লোকটা তার হুডি মুখ থেকে সরিয়ে পড়লো উদয় হলো চৌধুরী বাড়ির বড়ো ছেলে তানভীর চৌধুরী নিশান। নিশান কে ডেকে তারা অবাক হলো। নিশান কেন তাদের বন্ধী করলো আর যত জানে নিশান অনেক ভালো ছেলে। নিশান হুডি সরিয়েই বাঁকা হাসি দিয়ে বললো,,
“এত প্রশ্ন ভালো না, আমি কোন ইন্টারভিউ দিচ্ছি না যে তোরা এত প্রশ্ন করবি। আর চাকরি টা যেন আমার হয় এইজন্য আমি আনসার দেবো। চু চু চু চু।”
বন্ধী লোকটা বললো,,,

“নিশান আমি তোমাকে চিনি, তুমি কেন আমাদের বন্ধী করেছো? আমরা কি করেছি?”
নিশান সিম্পল ভাবে জবাব দিলো,,
“আমার কাছে আসতে গেলে তোদের ওতো ছোট খাটো কারণ লাগবে না। বড়ো কারণই লাগবে আর সেই বড়ো কারণ তোরা করেছিস?”
বন্ধী লোক দুটো একসাথে বললো,,,
“কিহ।”
নিশানের মুখের ভাব পাল্টাচ্ছে বাঁকা হাসি লেগে থাকা গম্ভীর মুখ এখন রাগে পরিবর্তন হয়েছে। চোখ দুটো লাল টুকটুক করছে। দাঁতে দাত চেপে ওদের বললো,,,

“আমি এক নাম্বারের সাইকো, আমি উন্মাদ। আমি একজনের প্রতি গভীর ভাবে আসক্ত। তাতে লোকে আমাকে পাগল বললেও হ্যা আমি পাগল। পাগল আমি আমার সব পাগলামো শুধু শুধু তার জন্য। আমার ইশুর জন্য। আমি ব্যাতিত কোন পুরুষ আমার ইশু কে ছুঁয়ে দিলে, অথবা চোখ দিয়ে তাকালে তাকে খুন করে ফেলতে দ্বিধা বোধ করি না আমি।আর সেই ভুল তোরা করেছিস। আমার পার্সোনাল প্রপার্টিতে নজর দিয়েছিস? চোখ দিয়ে গিলে খেয়েছিস। আমি তানভীর চৌধুরী নিশান এই মুহূর্তে তোদের দুইজনের কলিজা টেনে ছিঁড়ে এনে আমার প্রিয়সীর পায়ের নিচে দেবো।”

বলেই তাদের কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই নিশান পাশে থাকা এক বডিগার্ড থেকে ছুরি নিয়ে এক কোপ বসালো বুকের বাম সাইতে। চিৎকার দিয়ে উঠলো ফাঁকা জায়গায় তার চিৎকারের প্রতিধ্বনি হচ্ছে। রক্ত ছিটকে আসলো মুখে লাগলো বৃষ্টির পানিতে আবারো ধুয়ে গেলো। নিশান পরপর কোপ বসাতে লাগলো বুকের বাম সাইত বরাবর চারপাশ দিয়ে কোপ দিতে দিতে হৃদপিন্ড হাতে পেলো এক টান দিয়ে সেইটা নিয়ে আসলো বডিগার্ড পলিথিন ধরে ছিলো নিশান সেইটা ঢুকিয়ে দিলো পলিথিন এর মধ্যে। ছুরি রেখে দিয়ে মাংস কাটার জন্য বড়ো ছুরি আনলো। মাটিতে বসে বসে এক কোপ এক কোপ করে দিতে দিতে লাশ তাকে একদম মাংসের মতো পিসপিস করে কেটে উঠে দাঁড়ালো। হেঁটে গেলো আরেকজনের কাছে।

সেইজন ভয়ে প্রসাব করে দিয়েছে হাঁটু কাঁপছে চোখের সামনে এমন খুন সে প্রথম দেখল। নিশান তার দিকে তাকাতেই লোকটা ভয় এ জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকলো। নিশান হাতে হ্যান্ডগ্লাফস পরে নিলো। একটা ছুরি নিলো ডান হাতে। বাম হাত দিয়ে লোকটার জিভ টেনে ধরে ছুরি দিয়ে ফচ করে কেটে দিলো। রক্ত গলগল করে বেড়িয়ে আসছে। চিৎকার করছে কিন্তূ আওয়াজ বেরোচ্ছে না। এর মধ্যে নিশান আবারো বুকের বাম পাশে কোপাতে লাগলো যতক্ষণ না হৃদপিন্ড হাতে পাই পেয়ে গেলেই একই ভাবে আগের লাশ কে যেমন মাংসের মতো পিসপিস করে কেটেছে। ঠিক সেইভাবেই এই লাশ কেউ কেটে দিলো। উঠে দাঁড়ালো নিশানের হাতে থাকা রক্ত মুখে লাগা রক্ত সব এই বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে গেছে।নিশান বডিগার্ড দের বললো,,

“এদের এই পিসপিস করে রাখা মাংস গুলো দুইজনের বাড়িতে পাঠাবি অল্প মতো। যাতে বুজতে না পারে। আর বাকি মাংস এইসব কুকুর শেয়াল দের দিয়ে খাওয়া।”
বলে নিশান পলিথিন দুটো নিজের হাতে নিয়ে সেই জায়গা ত্যাগ করলো। নিজের গাড়িতে গিয়ে ফুল স্প্রিডে গাড়ি চালাতে লাগলো। গন্তব্যে হাসপাতালে সিমিকে যেই হাসপাতালে এডমিট করা হয়েছে সেখানে। পুরো দের ঘন্টা ড্রাইভ করার পরে নিশানের গাড়ি হাসপাতালের সামনে দাঁড়ালো। গাড়ি থেকে নেমে আসলো হৃদপিন্ড যেই পলিথিনে আছে সেগুলো গাড়িতে আছে। সে দ্রুত হেঁটে হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করলো। সময়টা এখন রাত একটা বাজে। নিশান হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করতে সিমির কেবিনের বাইরে দেখলো রোজিনা, সালাউদ্দিন, তাজউদ্দিন আর জিহান দাঁড়িয়ে আছে। নিশান সোজা কেবিনের ভিতরে ঢুকতে গেলেই বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো সালাউদ্দিন বলে উঠলো,,,
“খবরদার নিশান, আমার মেয়েকে আঘাত করার কথা আর ভুলেও ভাববে না। চলে যাও ও রেস্ট নেবে, ছেড়ে দাও ওকে মুক্তি দাও। আমার মেয়েটা নয়তো মরে যাবে।”

মরার কথা যেন নিশানের মেজাজ খারাপ করে দিচ্ছে সে সালাউদ্দিনের দিকে তাকালো দাঁতে দাত চেপে বললো,,,
“আপনার মেয়ে কম সে আমার বউ বেশি। মুক্তি আমার মৃত্যু ও ওকে মুক্তি দেবে না সেখানে আমি জ্যান্ত থাকতে ওকে মুক্তি কিভাবে দেবো। আর লাস্ট ওয়ার্নিং আমার ইশু মরে যাবে এই কথা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করলে আমি এই দুনিয়াটাই ওলোট পালট করে দেবো।”
বলে সালাউদ্দিন কে সরিয়ে সিমির কাবিনে ঢুকলো। হাতে থাকা ক্যানেলা আস্তে আস্তে খুলে কাটার টেপ লাগিয়ে দিলো। তারপর পাঁজা কোলে তুলে কেবিন থেকে বেড়িয়ে গেলো। সিমি কে এইভাবে নিয়ে বেরোতে দেখে তাজউদ্দিন বললো,,,

“ওকে ঐভাবে কোলে নিয়ে কই যাচ্ছ তুমি?”
নিশান — “কাউকে উত্তর দেওয়া আমার প্যাশন না।”
বলে চলে যেতে নিলে তাজউদ্দিন আবারো বললো,,,
“আমাকে প্যাশন সম্পর্কে শেখাচ্ছ? তুমি কি আদাও মানুষ বাচ্চা মেয়েটাকে এইভাবে জ্যান্ত কবর দিয়েছিলে তুমি?এখন আগলা পীড়িত দেখাতে আসছো?”
নিশান সিমির মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,,,
“জ্যান্ত কবর দিলেও ও আমার, আগলা পীড়িত দেখালেও ও আমার। So be carefull আমার ইশু কে আমার থেকে আলাদা করতে চাইলে আপনি জন্মদাতা পিতা হয়েও কিন্তূ ছাড় পাবেন না।”
বলে নিশান আর দাঁড়ালো না হনহন করে চলে গেলো। রোজিনা সালাউদ্দিন কে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো। তার ছোট্ট মেয়েটা কত কি সয্য করবে? তার মেয়েটাকে বাঁচতে দেবে না এই নিশান। জিহান এসে রোজিনা কে নিজের কাছে নিলো মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো। তবে শান্তনা দেওয়ার মতো কোন বাক্য পেলো না। তারা নিজেরাও বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলো।

নিশান গাড়িতে বসে সিমি কে নিজের কোলে বসিয়ে বুকে মাথা টা রেখেই ড্রাইভ করছে সিমি এখনো অজ্ঞান আছে। নিশান সিমির চুলে গভীর চুমু দিয়ে বললো,,
“আমার এইসব শাস্তি তে তুই কষ্ট পাশ আমি জানি, তোর বড্ড কষ্ট হয়। তবে আমি যে নিরুপায়। আমার ভালোবাসা আর পাঁচটা স্বামীর মতো না যে আদর করবে অন্যায় করলে বোঝাবে। আমার ভালোবাসা বিষাক্ত সাপের থেকেও ক্ষতিকর। তুই অন্যায় করলে আমি বোজাতে পারি না ডাইরেক্ট একশন নিয়ে তোকে শাস্তি দেই। আদর ও দিতে পারি না আমার আদর মানে তোর সারা দেহ ব্যাথায় জর্জরিত। কি করবো আমি মানুষ টা উন্মাদ আমি সয্য করতে পারি না তোর কাছে থাকা কাউকে পারিনা সয্য করতে কেউ তোকে দেখুক। সয্য করতে পারিনা তুই আমাকে ছাড়ার কথা ভাবিস। আমার ভিতরের যে জ্বলতে থাকা হার্টবিট এর পোড়া গন্ধ হয়তো তোর নাকে যাই না তবে আমাকে শেষ করে প্রতিটা সেকেন্ড।”

থামলো নিশান চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে। আবারো বললো,,,
“আমার থেকে ভালোবাসা পাবি, আমি তোকে ভালোবাসা দেবো যা তোর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আমি স্বাভাবিক না জানবাচ্চা আমি উন্মাদ শুধু তোর জন্য। আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা কোন সময় ভাববি না তাহলে আমি যে কি করবো নিজেও জানি না। আমার সবথেকে বড়ো আসক্ত তুই। মানুষ নেশা করে এলকোহলে আর আমার প্রতিটা সেকেন্ড প্রতিটা মিনিট প্রতিটা ঘন্টার নেশা তুই। আমি ডুবে আছি এই নেশাতে। আর এই নেশা আমি কাটাতে চাই না। তোকেও কাটাতে দেবো না। তুইও আমার নেশায় বুদ হবি জানবাচ্চা।”

থামলো নিশান। গাড়ি এখনো চলছে। এর মধ্যে সিমি নড়ে উঠলো হয়তো জ্ঞান ফিরছে। সিমি পিটপিট করে তাকালো অন্ধকার লাগছে ঝাঁপসা চোখ বন্ধ করে আবারো তাকালো। অনুভূতি যেন শুন্য কিছু মনে পড়ছে না। মাথা নাড়াতে গিয়ে ঠেকলো নিশানের থুতনির সাথে। সিমি তাকালো নিশানের মুখের পানে। অনুভূতি যেন সব শুন্য। তার জ্ঞান ফিরেছে কিন্তূ কিছু মনে পড়ছেনা। সিমি চোখ বন্ধ করলো খুললো নিশানের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে নিস্পলক চাহুনি তে। নিশান একবার নিচু হয়ে। সিমি কে দেখে আবারো গাড়ি ড্রাইভ করতে মন দিলো। সিমি চোখ বন্ধ করলো মাথায় হয়তো চাপ প্রয়গ করছে। সবকিছু মনে পড়তে সিমি চোখ খোলে নিশান কে দেখে নড়াচড়া করতে থাকে বললো,,,

“নিশান ভাই আমাকে মারবেন না আর, আমাকে আর জ্যান্ত কবর দিবেন না আমার ভয় করছে।”
বলে নড়তে লাগলো নিশান সিমির কপালে চুমু দিয়ে বললো,,
“দেবো না জ্যান্ত কবর আর। লাগবে না ভয়। তবে তুই এত নড়াচড়া করিস না আমি কন্ট্রোল হারা হলে এই গাড়ির ভিতরেই বাসর কমপ্লিট করবো।”

নিশানের স্বাভাবিক কথা ও যেন সিমির কাছে অস্বাভাবিক লাগছে। সে নিশান কে ভয় করছে ভীষণ ভয় করছে। সে ঠান্ডা হয়ে গেলো আর নড়াচড়া করছে না বেশি করলে যদি এইবার সত্যিই মেরে ফেলে তখন। তার থেকে চুপ থাকা ভালো। সিমির চুপ দেখে নিশান ও কিছু বললো না
গাড়ি এসে থামলো নিশানের গেস্ট হাউস এ। নিশান নামলো কোলে নিলো সিমি কে। সাথে আরেক হাতে পলিথিন। সময়টা এখন রাতের শেষ প্রহর তিনটা বাজে। নিশান সিমিকে ঐভাবেই কোলে নিয়ে বাড়ির ভিতরে গেলো। নতুন বাড়ি দেখে সিমি কি বলবে বুজতে পারছেনা তাকে বোবা হয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করতে পারবেনা। কথা বললে যদি এইবার মুখ টা কবর দেই তখন ও আর বাঁচবে না তো। নিশান সিমি কে নিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো। ড্রইং রুমে থাকা সোফায় বসিয়ে পলিথিন থেকে হৃদপিন্ড বাহির করে সিমির পায়ের কাছে রাখলো। হৃদপিন্ড থেকে সিমি আঁতকে উঠলো ভয় পাচ্ছে। ও হৃদপিন্ড দেখেছে ফোনে টাই ও চেনে। নিশান সিমির দিকে তাকিয়ে বললো,,,
“যারা তোকে ডিসটার্ব করবে তাঁদের অবস্থা এইরকম হবে, জানবাচ্চা তুই রিলাক্স এ থাকবি কারোর সাহস নেই তোকে কিছু বলার চোখ তুলে তাকানোর।”

তার মানে নিশান খুন করেছে এইটা সিমির মাথায় খেলে যেতেই সিমি নিশান কে আগের থেকে আরো দ্বিগুন ভয় পেতে লাগলো। ওকেও যদি মেরে দেই ভয় হচ্ছে তার। খুব ভয় হচ্ছে কাঁপছে। সিমি কে কাঁপতে দেখে নিশান বললো,,,
“কি হলো ইশু কাপছিস কেন? আরে ভয় পাশ না আমাকে আমি তোকে কিছু করবো না।”
সিমি মাথা নাড়ালো কিন্তূ মন থেকে ভয় কি যাই? নিশান সার্ভেন্ট ডাকলো ঐগুলো পরিষ্কার করতে বললো। তারপর সিমি কে কোলে নিয়ে উপরে বেডরুমে গেলো। সেখানে গিয়ে সিমি কে ওয়াশরুমের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বললো,,,
“সর্বোচ্চ দশ মিনিট সময় দিলাম। দ্রুত বাহির হো। নয়তো দরজা ভেঙে দেবো।”

সিমি কোন কথা না বলে ঢুকে পড়লো। সাওয়ার নেওয়া শেষ হতে দেখলো তার পোশাক নেই। শুধু একটা টাওয়াল। সিমি টাওয়াল টা জড়িয়ে ওয়াশরুমের দরজা থেকে একটু মুখ বাহির করে নিশান কে ভয়ে ভয়ে বললো,,
“আমার পোশাক নেই তো।”
নিশান কাভার্ড থেকে নিজের একটা কালো শার্ট এনে সিমি কে দিলো। সিমি কিছু না বলেই শার্ট টা নিলো পরে নিলো বিনা বাক্য ব্যায় করেই। সিমি ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে আসলো নিশান সিমির দিকে তাকাতেই যেন ঘোর লেগে গেলো শার্ট সিমির হাঁটুর একটু উপরে পযন্ত উঠেছে। সিমি টেনে টেনে যেন আরো লম্বা করতে চাচ্ছে।নিশান এর এইভাবে তাকাতেও যেন সিমির অস্বস্তি হচ্ছে কিন্তূ কিছু বললো না।নিশান নিজের চোখ সংযত করে সিমি কে বললো,,

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১৫

“তুই বস আমি আসছি।”
বলে নিশান চলে গেলো সিমি বসলো। তার কিছু ভালো লাগছে না। একা থাকতে ইচ্ছে করছে কিন্তূ নিশান থেকে সে কি থাকতে পারবে। যদি বলে তাহলে নিশ্চই খুন করবে। এর মধ্যে নিশান হাতে খাবারের প্লেট নিয়ে আসলো। সিমি কে এক লোকমা করে তুলে খাওয়াতে লাগলো সিমি যেন বাধ্য হয়ে গেছে চুপচাপ কোন বাক্য ছাড়া খেয়ে নিলো। খাবার শেষ হতেই নিশান সিমি কে ওষুধ দিলো। ওষুধ খাওয়ানোর পরে সিমি কে নিয়ে বেডে চলে গেলো। সিমি কে নিজের বুকের মধ্যে নিয়ে লাইট অফ করে সিমি কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,,,
“ঘুমিয়ে পর।”
সিমির কি ঘুম আসবে। বাঘের গুহায় ঘুম কিভাবে আসবে। তাও চুপচাপ শুয়ে আছে।দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়লো।

তুই শুধু আমার উন্মাদনা পর্ব ১৭