হৃদয়ের সঙ্গোপনে গল্পের লিংক || তোয়া নিধী দোয়েল

হৃদয়ের সঙ্গোপনে পর্ব ১
তোয়া নিধী দোয়েল

রাত বারোটা বেজে তেরো মিনিট। রুমে জ্বলছে নীল আলোর ডিম লাইট। সাদা ফ্লোরে ছড়িয়ে-ছিঁটিয়ে আছে টুকরো টুকরো লাল গোলাপের পাপড়ি। বিছানার উপর বসে রয়েছে লাল বেনারসি পরিহিত এক নব-বধূ। মাথায় লাল ওড়না দিয়ে বড় করে ঘোমটা টানা। দুই হাঁটু বাহুডোরে আবদ্ধ করে শান্ত হয়ে বসে আছে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তাঁর স্বামীর জন্য!
নাহ্, এই ভাবে বসলে ও বোধহয় সুন্দর লাগছে না। তুর্কি নিজ মনে বিড়বিড় করে দুই-পা ভাঁজ করে বসে। সে এই রুমে এসে বসেছে প্রায় বিশ মিনিট। এর মধ্যে প্রায় পাঁচ- ছয় বার বসার পজিশন, স্টাইল চেঞ্জ করেছে! কোন পজিশনে, কোন স্টাইলে বসলে তাকে সুন্দর লাগবে তাই ভেবে চলেছে। দুই হাত দিয়ে ঘোমটা ধরে; মনে মনে আবার বিড়বিড় করে—

ইয়া মাবুদ, তোমাকে লক্ষ-কোটি শুকরিয়া! ফাইনালি পড়ালেখা থেকে আমাকে মুক্তি দিলে। ফাইনালি বিয়েটা করলাম। উফফ কী আনন্দ যে হচ্ছে আমার! এই শুক্রবার মসজিদে আমি পাচঁশ টাকা দেবো! না না পাচঁশ টাকা কই পাবো। আমি তো ফকির! পাচঁশ টাকা না একশ টাকা দেবো৷ এক মিনিট আমার জামাই শুনছি বিশাল কোম্পানির মালিক। এত বড় মালিকের বউ হয়ে আমি কিনা ফকির। এইটা কোনো কথা! মানুষ শুনলে কী বলবে। না না আমি পাচঁশ টাকাই দেবো। তুমি শুধু পড়ালেখা থেকে আমাকে দূরে রেখো। ওকে ডিল!
এক মনে বিড়বিড় করে আরও বিশ মিনিট পার করে তুর্কি। কিন্তু, তাঁর বর মশাই এখনো আসছে না। তুর্কি ঘোমটার আড়ালে দরজার দিকে তাকায়। নটকাটা আসছে না কেনো? রাত তো কম হলো না? কখন আসবে? রাত তো শেষ-ই হয়ে গেলো। ধ্যাত্!
বিরক্তি নিয়ে তুর্কি ঘোমটা উঠিয়ে ফেলে। দুই পা মেলে বসে। ডান পা বাম পায়ের উপর রেখে দোলাতে থাকে। আবার ও বিড়বিড় করে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“আচ্ছা, আমি আগে উনার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করবো? নাকি উনি আগে আমার ঘোমটা তুলবে?” ইসসস! ওই আপুটার কাছে শুনলে ভালো হতো। ধ্যাত্! মনে মনে খুব বিরক্ত হয় সে। আচ্ছা, আমি উনি উনি করছি কেনো উনি তো আমার স্বামী। এক মাত্র স্বামী। কত লাথি গুঁতা খাওয়ার পর আম্মু বিয়েটা দিলো। আম্মু তো আব্বুকে বলে,
‘ওগো তুর্কির আব্বু শুনছো? আবার ঝগড়া লাগলে বলে ‘আমি দেখে তোর সংসার করে গেলাম। অন্য কেউ হলে মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে চলে যেতো’। সোফিয়া ওর বয়ফ্রেন্ডর সাথে তুমি করে কথা বলে। তাহলে আমি কেন আপনি করে বলবো। আমি ও মধুর স্বরে ডাকবো “ওগো শুনছো এই দিকে একটু শোনো না” তাহলে তো এত যুদ্ধ করে বিয়ে করাটা সার্থক হবে। তুর্কি ঠোঁটের হাসি দীর্ঘ করে।

মুহূর্তে হাসি মিলিয়ে বলে আল্লাহ, “তওবা তওবা। নতুন বউ কী বেলাজার মত কথা বলছে! ছি ছি ছি তুর্কি! মানলাম তুই জামাই ভক্ত মেয়ে। সবার সাথে ভাণ্ডামি করলে ও জামাইয়ের জন্য এক দম পিউর খাটি লয়াল। মাথার মধ্যে সব সময় এই শব্দ ঘুর ঘুর করে। তাই বলে প্রথমে-ই ওগো শুনছো বলে ডাকবি? আরে বেলাজা মেয়ে বিয়ের প্রথম প্রথম একটু লজ্জা পেতে হয়। স্বামীর সাথে আপনি করে সুন্দর ব্যবহার দেখিয়ে কথা বলতে হয়। তারপর প্রেম টা একটু জমলে তখন ঝাড়ু-ঝাটা, ঢাল -তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করবি।
তাই, এখন তোকে নিজেকে কন্ট্রোল করতে হবে। সুন্দর ভাবে মিষ্টি ভাবে কথা বলতে হবে। ভুলে ও ঝাগড়া করা যাবে না। মারা-মারি করা যাবে না। যতই হোক আম্মুর সাথে যুদ্ধ করে বিয়েটা করেছিস। আম্মু কে বোঝা-তেই হবে পড়ালেখার চেয়ে সংসার করা উত্তম। হাজার গুন উত্তম। প্রথমেই যদি জামাইয়ের সাথে ঝগড়া করি ঝামেলা করি আর যদি সে রেগে আমাকে আবার বাসায় দিয়ে আসে তখন! তখন আম্মু আর আমাকে আস্ত রাখবে না। ঘাড় ধরে আবার পড়ালেখা করাবে।”

তুর্কি দরজার দিকে তাকিয়ে ডানে বামে মাথা নাড়িয়ে বলে
“কখন আসবে আমার সাইয়া সুপারস্টার।”
সাইয়া সুপারস্টার কথাটি মনে হতেই, তুর্কি ভাবে ইসসস কত ইচ্ছে ছিলো আমার বিয়েতে আমি নাচবো। আমার জামাই যখন এন্ট্রি নেবে তখন ধুমতানা ধুমতানা করে নাচবো। কিন্তু আম্মুর জন্য নাচতেই পারলাম না। বিয়েটা এমন ভাবে হলো যে নাচার সময়ই পেলাম না। আচ্ছা, এখন একটু নেচে নিলে কেমন হয়। উনি তো এখনো আসছে না। তাহলে আমি একটু নেচে নেই।
তুর্কি দুই হাত উপরে উঠে বিভিন্ন ভঙ্গি করে দুলিয়ে গান শুরু করে

“Hai wo handsome sona sabse
Mere dil ko gaya le kar
Meri neend chura li usne
Aur khwab gaya dekar
Ab ye naina bole yaar
Bole yehi lagataar
Koi chaahe kitna roke karungi pyar.
Mere saiyaan superstar
O Mere saiyaan superstar
Main fan hui unki
O mere saiyaan superstar”

দরজার কপাট খোলার আওয়াজ হতে তুর্কি গান গাওয়া বন্ধ করে দেয়। হাত নামিয়ে দ্রুত ঘোমটা টানে। ওর বুক ধুকপুক করে উঠে। মেলানো পা জোড়া ভাঁজ করে বসে। পিঠ ঘুরিয়ে তাড়াহুড়ো করে মাথার ঘোমটা টেনে মিটিমিটি হাসতে থাকে। এসে গেছে, এসে গেছে আমার সাইয়া সুপারস্টার এসে গেছে। না হাসলে হবে না আমাকে এখন লজ্জা পেতে হবে!
রুমে প্রবেশ করে দীর্ঘদেহী এক মানব। হালকা নীল আলোয় লোকটির মুখ অস্পষ্ট। তবে বোঝা যাচ্ছে লোকটির পরনে ফর্মাল ব্ল্যাক শার্ট। হাতে বেশ ভারী একটা ব্যাগ। বিছানায় বসা নব-বধূর দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে সোজা ড্রেসিং টেবিলের সামনে চলে যায়। হাতের ব্যাগ নামিয়ে প্যান্টের পকেট থেকে ফোন, ওয়ালেট,গলা থেকে আইডি কার্ড সব রাখে।

পরিচিত একিটা ঘ্রাণ নাকে আসতে; তুর্কি ভ্রু কুঁচকে কয়েক বার টেনে শ্বাস নেয়। ওর মনে হচ্ছে এই পারফিউমের ঘ্রাণ ওর খুব চেনা। ও হালকা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখার চেষ্টা করে লোকটা কে! লোকটার সাথে ওর আজ সারাদিন দেখা হয়নি। এমন কী বিয়ের সময় ও না। এই বাড়িতে আসার সময় ও না। তুর্কি নিজেকে নিজে বলে তুর্কি তুর্কি তুর্কি, এত অধৈর্য হলে চলে নাকি! তোরই তো জামাই। একটু অপেক্ষা কর এখনি আসবে তর কাছে। ও আবারো ঘাড় ঘুরিয়ে বসে।
লোকটা ফ্রেশ হয়ে এসে স্টাডি টেবিলের সামনে লেদার ডেস্কে বসে। মাথার বাম পাশে হাত দিয়ে চাপতে থাকে। মাইগ্রেনের সিমটোমস। এক কাপ কড়া লিকার চা পান করতে হবে। হাতে অনেক কাজ।
তবে ও সে ভুলে করে ও একটা বার বিছানার দিকে তাকায়নি। ইচ্ছে হোক বা অনিচ্ছে!

তুর্কি ভ্রু কুঁচকে বিড়বিড় করে এত লজ্জা পাওয়ার কী হলো! নিজেরি তো বউ৷ বাসর ঘরে এসে যে প্রথমে বউয়ের ঘোমটা খুলতে হয় সেটা বোধহয় জানে না! জানবে কী ভাবে, আগে কখনো বাসর করে নি তো। নাকি ওর কপালে আবার আনরোমান্টিক জামাই জুটলো! হে আল্লাহ্! আমার থেকে অর্ধেক উত্তেজনা, না না অর্ধেকের চেয়ে একটু বেশি আমার জামাইয়ের মধ্যে দিয়া দেও। প্লিজ! আমার মতো এত রোমান্টিক একটা মেয়ের কপালে এই রকম আনরোমান্টিক জামাই ব্যাপারটা কেমন দেখায়? পরে দেখা গেলো, আমার রোমান্টিকতার জন্য আমাকে না ডিভোর্স দিয়ে দেয়। থাক সমস্যা নেই। যতই নিরামিষাশী হোক, আমার কবলে যখন একবার এসেছে পরেছে, তখন তিন বেলাই আমিষ খাইয়ে ছাড়বো।

‘উনি বোধহয় লজ্জা পাচ্ছেন। থাক আমি তাহলে আগে যাই।’ তুর্কি আপন মনে ভেবে বিছানা থেকে নেমে ওড়নার ফাঁকে লোকটার অবস্থান দেখে। ধীর পায়ে হেটে লোকটার সামনে যায়। চেনা পারফিউমের ঘ্রাণ আরো তীব্র হয়। ভক্তির সাথে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে। লোকটার একটু ও ভাবান্তর ঘটে না। সে আঙুল কপালে ঠেকিয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকে। তুর্কি উঠে দাঁড়িয়ে মৃদু কণ্ঠে বলে,
“আপনি বোধহয় জানেন না ; বাসর ঘরে এসে প্রথমে বউয়ের ঘোমটা খুলতে হয়, তাইনা? জানবেন কী ভাবে, আগে কখনো বাসর করেন নি তো। সমস্যা নেই আমি আপনাকে সব শিখিয়ে দেবো। আপনি কোন টেনশন নেবেন না। এখন আসুন। সময় নষ্ট করবেন না।”

সামনে বসে থাকা লোকটির মাঝে কোনো ভাবান্তর হয় না। সে ভ্রু কুঁচকে চোখ ছোট ছোট করে, মাথায় থাকা হাতের কনুই টেবিলে রেখে তাকিয়ে থাকে। তুর্কি আবার বলে,
“এত লজ্জা পাওয়ার কী হলো! আমি তো আপনার বিয়ে করা বউ। লজ্জা পাবেন না প্লিজ। এখানে বসে সময় নষ্ট করবেন না। আসুন আমরা গল্প করি।”
লোকটা তুর্কির কথায় হতভম্ব হয়ে যায়! মেয়েটাকে কী বলে আখ্যায়িত করা যায়! বেয়াদব! নাকি বেহাইয়া!
উপর পাশ থেকে কোনো উত্তর না আসায় তুর্কি আবার বলে,
“দেখুন, আমি আপনার বিয়ে করা বউ। আপনি প্লিজ লজ্জা পাবেন না। ভয় পাবেন না। জানি প্রথম প্রথম একটু লজ্জা লাগবে। কিন্তু পরে ঠিক হয়ে যাবে!”
এই দফায় লোকটার কুঁচকানো ভ্রু আরো কুঁচকে যায়। মাথায় ঠেকানো হাত নামিয়ে ফেলে। ভীষণ বিরক্ত নিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে লোকটি বলে উঠে,

“স্টুপিড!! স্টপ ইউর ননন্সেস!!”
“স্টুপিড” পরিচিত শব্দ আর পরিচত কণ্ঠস্বর শুনে আঁতকে উঠে তুর্কি। ভ্রু যুগল কুঁচকে ফেলে। ও কী ভুল শুনলো। মাথার ঘোমটা এক টানে সরিয়ে ফেলে। ততক্ষণে লোকটি উঠে গেছে। অতি পরিচিত শরীরের গঠন দেখে তুর্কির হৃদস্পন্দন বেরে যায়! আশে পাশে তাকিয়ে সুইচ বোর্ড খোঁজে । দরজার পাশে সুইচ বোর্ড দেখতে পেয়ে ছুটে বোর্ডের কাছে যায়। সব গুলো সুইচে একের পর এক আঙুল চালিয়ে রুমের লাইট অন করে।
লোকটা এক টানে বেডসিট উঠিয়ে দুই হাত দিয়ে ধরে এক ঝাড়া দিয়ে সব গুলো গোলাপের পাপড়ি তুর্কির উপরে ফেলে। তুর্কি চোখ বড় বড় করে দেখে। কী করে সম্ভব! এই লোক এই খানে কী করে!
“লুক এট দ্যা সাইড ওফ দ্যা টেবিল।”
তুর্কি বড় বড় চোখ মেলে সামনে থাকা লোকটির দিকে তাকিয়ে থাকে। লোকটি বেডসিটটি ছুঁড়ে বিছানার উপর ফেলে বলে,

“আমাকে দেখতে বলি নি। টেবিলের পাশে তাকাতে বলেছি। ফাস্ট ফাস্ট! তাকাও।”
তুর্কি রোবোটের মত ঘাড় ঘুরিয়ে টেবিলের পাশে তাকায়। সে খানে বেশ ভারী একটা ব্যাগ। লোকটা ঘার কিঞ্চিৎ বাঁকা করে বলে,
“ব্যাগের ভেতর তোমার সব বই খাতা নোট ইত্যাদি আছে। কাইন্ডলি ওই খানে থেকে ফিজিক্স বইটা নিয়ে এসো। আই থিংক তোমার মনে আছে সামনে মাসে থেকে তোমার সিটি (ক্লাস টেস্ট) এক্সাম।”
তুর্কি ব্যাগের দিকে ক্ষণকাল তাকিয়ে থাকে। তার পর ফোসে উঠে ফিক করে হেসে বলে,
“সিরিয়াস্লি!! বাসর রাতে আমি ফিজিক্স পড়বো? আপনি বোধহয় জানেন না বাসর রাতে বায়োলজি পড়তে হয়।”
তুর্কি হাসি থামিয়ে সামনে থাকা লোকটির দিকে তাকিয়ে বলে

“এক মিনিট, আজকে আপনি আমার ক্লাস নেওয়ার কে? একটু আগে আমার বিয়ে হয়ে গেছে। এর মানে আজ থেকে পড়ালেখাকে আমি নিজ হাতে কবর দিয়েছি। আমি কোনো বইটই আনতে পারবো না।’
‘আজ থেকে তোমার পড়াশোনার সব দায়িত্ব আমি সম্মানের সাথে গ্রহণ করেছি, ম্যাডাম। তাই, বিয়ে হয়েছে বলে ভেবো না পার পেয়ে গেছো। দ্রুত বই-খাতা নিয়ে তৈরি হও!

লোকটার নাম সারফারাজ আদনান ফরাজি। সে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের— ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের প্রভাষক।
আদনান বাকানো ঘাড় বাঁকা রেখেই কথাটি বললো! কথাটি শুনে যেনো তুর্কির মাথায় বাজ পড়লো। ও তো পড়াশোনা থেকে বাঁচার জন্য এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করলো! আর ওর কপালে কিনা এই রকম একটা বর জুটলো!
“মানি না আমি। আপনার সাথে তো আমার বিয়ে হয়নি। আমার বিয়ে হয়েছে— সারফারাজ আদনানের সাথে। আপনি এখানে কী করছেন? দ্রুত বের হোন এখান থেকে। আল্লাহ্! আমি তো আপনাকে ভালো জানতাম স্যার! মানলাম বুড়ো হয়ে গেছেন বলে কেউ পাত্তা দেয় না। তাই বলে একজন বিবাহিত নারীর ঘরে ঢুকবেন? আল্লাহ্! বাঁচাও আমাকে! আমার বর কে অপহরণ করেছে। বাঁচাও!
এই বলে চিৎকার করতে থাকে তুর্কি। তুর্কি চিৎকার করতেই— আদনান ওর কাছে এসে ওর মুখ চেপে ধরে। তুর্কি আদনানের হাতের উপর দুই হাত রেখে মুখের বাঁধন খোলার চেষ্টা করে।
আদনান রাশভারী কণ্ঠে বলে—

“এই মেয়ে, একদম চুপ। চেঁচামেচি করছো কেনো? বেশি চেঁচামেচি আমার পছন্দ না। আর, বিয়েটা তোমার আমার সাথেই হয়েছে। আমিই— সারফারাজ আদনান! সো আর নয়েস না করে পড়তে আসো। এইবার সিটিতে পাশ করতে হবে। কাম ফাস্ট।”
তুর্কি জোরে জোরে শ্বাস নেয়। মাথায় দুই হাত চেপে বলে
“হে আল্লাহ্! এইটা কী করে সম্ভব! আপনার নাম কীভাবে সারফারাজ হতে পারে? আল্লাহ্, আমার মাথা ঘুরতেছে। তুমি পড়ালেখার পাপ গুলা আমার পুণ্যের খাতায় লিখে দেও তবু ও আমাকে তুলে নেও। প্লিজ আল্লাহ্! আমি আর বাঁচতে চাই না!”
এই বলে তুর্কি ধপ করে ফ্লোরে শুয়ে পড়ে।

হৃদয়ের সঙ্গোপনে পর্ব ২