এক চিলতে রোদ পর্ব ৪৩ || Nondini Nila

এক চিলতে রোদ পর্ব ৪৩
Nondini Nila

আমার ঠিক হতে দশ মিনিট চলে গেলো। আমি গলা জ্বলার জন্য পানি খাচ্ছি। যা ওই ছেলেটা এনে দিয়েছে।ছেলেটার নাম শামিম। ভাইয়া আমাকে পানি খাইয়ে দিলো। তারপর খুব আলতো ভাবে জিজ্ঞেস করলো,
‘ এখন ভালো লাগছে? ‘
আমি মাথা নেড়ে সম্মতি দিলাম। এমন কাশি উঠলো কেন? আমি লজ্জায় নিচের তাকিয়ে আছি। সবাই কি ভাবছে আল্লাহ জানে।
দিনাদের খাবার খাওয়া শুরু হয়ে গেছে আমরা পরে খাচ্ছি। আমি খেতে পারলাম না ঠিক মতো। খালি কাশি পাচ্ছে আমার। কিন্তু বুঝতে দিলাম না ভাইয়াকে।
ভাইয়া আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে নিজেও খাওয়া অফ করে বললো,
‘ কি হলো খাচ্ছিস না কেন?’
আমি বললাম,’ আমার খেতে ইচ্ছে করছে না।’
‘ কেন?’
‘ এমনি আপনি খান।’
ভাইয়া বললো ,’ সত্যি করে বল তোর কি এখনো খারাপ লাগছে?’
আমি ভাইয়া চিন্তিত মুখে দিকে তাকিয়ে না বললাম। ভাইয়া বিশ্বাস করছে না সন্দেহ চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে আমি ঢোক গিলে আছি।
ভাইয়া নিজে খাবার আমাকে খাইয়ে দিতে এলো। আমি আঁতকে আশেপাশে তাকালাম। কেউ অবশ্য আমাদের দিকে লক্ষ্য করছে না। সবাই নিজেদের খাবার নিয়ে ব্যস্ত। তবুও আমি বললাম,
‘কি করছেন? ‘

‘আমি খাইয়ে দেয় আমার হাতে খা।’
‘আমি খাব না আর। একটু খেয়েছি তো‌।”
‘ওই টুকুতে কিছু হয়নি খা বলছি।’
আমি হতাশ চোখে তাকিয়ে আছি‌। ভাইয়া নাছরবান্দা আমি এবার বলেই দিলাম।
‘আমার গলা জ্বলছে আমি খেতে পারবো না প্লিজ জোর করবেন না‌।’
ভাইয়া আর কিছু বললো না।
নিজে খাবার খেয়ে নিলো। ভাইয়া ও খুব একটা খেলো না কিছুটা খেয়ে উঠে দাঁড়ালো।সবার খাওয়া শেষে আরো দশ পনেরো মিনিট পর আমরা বের হলাম। গাড়িতে উঠে বসে আছি। ভাইয়া আমার হাত ধরে বসে আছে। আমি সামনে তাকিয়ে আছি।
কিছু দূর আসতেই একটা দোকানের কাছে ভাইয়া গাড়ি থামিয়ে নেমে গেলো আমি হতভম্ব হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,,
‘ একি নামছেন কেন?’
ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ দরকার আছে। তুই নামিস না কিন্তু!’
বলেই দোকানের দিকে চলে গেলো। আমি সেদিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। আমাদের গাড়িতে দিনা নাই ওদের গাড়ি চলে গেছে। আমি গাড়িতে বসে তাকিয়ে আছি। ভাইয়া ঠান্ডা জাতীয় জিনিস কিনছে‌।
সব নিয়ে আবার গাড়িতে এলো। আর আমার হাতে খাবার দিয়ে উঠে বসলো। আমি বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
‘ এসব কেন?’
ভাইয়া বললো, ‘ দ্রুত এগুলো ফিনিশ কর।’
আমি চমকে উঠে বললাম,, ‘ মানে কি? এসব আমার জন্য এনেছেন?’
‘ তো আর কার জন্য আনবো?’
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে বললাম,’ এসবের কি দরকার। আমি তো খাব না।’
‘ খাবি না কেন?’
‘এমনি আমার ভালো লাগছে না।’
‘ আমি এতো কথা শুনতে চাইনা।এসব খেতেই হবে তোকে‌।’
‘ আমি….

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

‘এসব খেলে গলায় জ্বালাপোড়া করবেনা। তাই কথা না বাড়িয়ে শুরু কর।’
ভাইয়ার জরাজরির সাথে না পেরে খেতে হলো। তিন্নি আপুদের বাসায় এসে দেখতে পেলাম সবাই নাচানাচি করছে হলুদ নিয়ে দৌড়াচ্ছে। একজন আরেকজনকে লাগিয়ে দিচ্ছে। আমরা সেখানে গেলাম কিন্তু ভাইয়া আমাকে সবার সাথে আনন্দ করতে দিলো না হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
‘আমাকে যেতে দিন না।’
‘না তুই অসুস্থ।’
‘আমার কিছু হয়নি ওটা সামান্য বিষয়।’
‘যাই হোক তুই যেতে পারবি না। এখন ঘুমাবি চল এগারোটা বাজে।’
‘কিন্তু সবাই তো জেগে আছে আমি ও।’
কথা শুনলে তো টেনে আমাকে নিয়ে এলো। আর আমার মানে দিনার রুমে এলো ভাইয়া ও আমার সাথে। বিছানায় বসে আমাকে ফ্রেশ হতে বললো‌ আমি বাধ্য মেয়ের মত বললাম,
‘আপনি বের হোন আমি চেঞ্জ করবো।’
‘আমি বের হবো কেন? বাথরুমে গিয়ে চেঞ্জ কর!’
‘ শাড়ি বাথরুমে চেঞ্জ করলে ভিজে যাবে। এখানে করতে হবে আপনি যান।’
‘ আমাদের বিয়েটা হয়ে গেলে আমার সামনেই এটা করতে বলতাম কিন্তু হলো না বলে যাচ্ছি।’
বলেই উঠে দাঁড়ালো।

‘একি আপনি ওইদিকে কেন যাচ্ছেন? বাইরে যান।’
‘ রুমে বাইরে যাচ্ছি। সেটা বেলকনিতে গেলেও হবে।’
বলেই চলে গেলো আমি হাঁ করে তাকিয়ে রইলাম। এরে আমি কোন কথা শুনাতে পারবো না।
শাড়ি খুলে অন্য ড্রেস পরে নিলাম। পুরোটা সময় আমি বারান্দায় দরজার দিকে তাকিয়েছি এই বুঝি ভাইয়া এসে পরলো। তাকিয়ে আছে এমনটা মনে হয়েছে।
‘এবার শুয়ে পর।’
বলতে বলতে ভাইয়া এগিয়ে এলো আমি বিছানায় কাছে দাঁড়িয়ে আছি।
ভাইয়া আমার কাছে এসে দাঁড়ালো একদম মুখ বরাবর। তার একহাত বাড়িয়ে আমার গালে রেখে বললো,
‘তোর কিছু হলে আমার নিজেকে পাগল পাগল লাগে ঊষা। নিজের খেয়াল রাখবি প্লিজ।’
আমি চুপ করে তাকিয়ে আছি। ভাইয়া আমার কপালে গভীর চুম্বন দিলো। আমি চোখ বন্ধ করে তা অনুভব করলাম। ভাইয়া আমাকে টেনে বিছানার শুয়ে দিয়ে আমার পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। আমার চোখের কোনা দিয়ে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো। এতো সুখে কান্না পাচ্ছে আমার।

ওইভাবে আমি ঘুমিয়ে পরলাম। ইহান ভাই আমার ঘুমিয়ে যেতে দেখে মাথায় দেখে হাত সরিয়ে নেয়। আমার ঘুমন্ত মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে উঠে দাঁড়ায়। গায়ে চাদর জড়িয়ে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
পরদিন ঘুম ভাঙল সকাল সকালই কারণ জোরে গান বাজছে। আটটা বাজে তখন উঠে দেখি দিনা উঠে গেছে। আমাকে বললো,
‘আরে উঠে গেছো! আর কাল কোথায় ছিলে আসার পর আর দেখলাম না। রুমে এসে দেখি ঘুমিয়ে পড়েছো। তোমার কি অনেক খারাপ লাগছিলো।’
‘না তেমন না এমনি ঘুমিয়ে পরেছি।’
‘ওহ। কিন্তু বলতেই হয় ইহান ভাইয়া তোমাকে খুব ভালোবাসে।কাল কতোটা উত্তেজিত হয়েছিলো। এমন একজন পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।’
আমি কিছু বললাম না কিন্তু আমি জানি এসব পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। ভাইয়ার এই ভালোবাসা সব সময় থাকবে তো?
আমি কথা ঘুরিয়ে বললাম,
‘ দিনা আমাকে আশেপাশে ঘুরতে নিয়ে যাবা।’
‘ তুমি ঘুরতে চাও!’
‘হুম।’
‘আচ্ছা কিন্তু আজ তো বিয়ে। থাক গা এখন তো কিছুই নাই চলো আমরা ঘুরে আসি।’
‘আচ্ছা। আমি একবার ভাইয়ার রুমে থেকে আসি।’
‘আচ্ছা যাও।’
আমি ভাইয়ার রুমে এসে দেখলাম ভাইয়ার গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। তাই আর ডাকলাম না। ঘুরে চলে এলাম।

দিনার সাথে আসার আগে ইমা আপুকে বলে এলাম। আমরা চারপাশের ঘুরতে লাগলাম। সবুজ এই প্রকৃতি। একটা পুকুর দেখলাম যেখানে হাঁস গোসল করছে ঘুরছে। আমি মুগ্ধ হয়ে সে দিকে তাকিয়ে র‌ইলাম। সকাল বলে মানুষ নাই রাস্তায় আমরাই আছি শুধু। দিনা একটা স্কুল দেখালো। এটা নাকি প্রাইমারি স্কুল এখানে ও পরেছে। সামনে মাঠ খুব বড় না হলেও ছোট না।
একটা বট গাছ দেখলো ইয়া বড় জিনিসটা অসম্ভব সুন্দর। গাছটা অনেকটা জায়গা জুড়ে আমি অবাক হয়ে বললাম,
‘এটা এতো বড় কেন?’
“জানি না গো। এই গাছটা শুধু ছড়িয়ে বড় হচ্ছে। দেখো কতো জায়গা দখল করে ফেলেছে আর ওইযে সামনের খেতে দেখছো ওইটা আমাদের। আর একটু গেলে ওইটাও দখল হয়ে যাবে।’
‘ও মাই আল্লাহ বলো কি? এটা কাটে না কেন?’
‘ কে কাটবে? আগে নাকি যারা কাটতো তাদের সমস্যা হতো তাই আর কাটে না এটা যত খুশি বড় হোক।’
‘ওহ!’
চলে আসার সময়। বাসার কাছাকাছি আসতেই ভাইয়াকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। কপাল কুঁচকে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি থমকে দাঁড়িয়ে পরলাম।
দিনা আমার হাত ধরে বললো, ‘ দাঁড়িয়ে পরলে কেন?’
আমি ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে ঢোক গিলে বললাম, ‘ ভাইয়া উঠে গেল।’
দিনাও ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে এগিয়ে গেলো আমাকে নিয়ে। ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ কোথায় গেছিলি?’
আমি বলার আগে দিনা বললো,’ ওই ভাইয়া আসলে ঊষা কে আমাদের গ্ৰাম দেখাতে নিয়ে গেছিলাম।’
আমি ভয়ার্ত মুখে দাঁড়িয়ে আছি। এই বুঝি বকা খাবো। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে ভাইয়া মুখে হাসি ফুটিয়ে বললো,

‘ আমাকেও নিয়ে যেতেন। আমিও না হয় গ্ৰাম দেখতাম।’
‘আপনিও দেখতে চান।’
‘ হুম।’
‘ আচ্ছা চলুন তাহলে।’
‘ চলেন।’
আমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছি। ভাইয়া আমার হাত ধরে বললো,’ চল ।’
‘ আমি তো গেছিলাম আপনি যান‌।’
‘ তো আমি একা যাব নাকি। গেছিলি আবার যাবি।’
বলেই এগুতে লাগলো। দিনা বললো,
‘ ভাইয়া আমাকে আপনি বলেন কেন? ‘
‘ এমনি।’
‘ আমাকে তুমি বলবেন প্লিজ নিজেকে বড় লাগে।’
‘ আচ্ছা চেষ্টা করবো।’
আবার এক জায়গা দিয়ে ঘুরতে হলো। ভাইয়া আমার হাত ধরে হাটলো। আর এখন মানুষের আনাগোনা রাস্তায় পেলাম।
সকালের খাবার খেয়ে বসে আছি সোফায় আমি একাই তখন চাচি এসে বসলো আমার কাছে। আমি কাচুমাচু করে বসলাম। চাচি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি আমতা আমতা করে বললাম, ‘ তোমার কি কিছু লাগবে চাচি?’
চাচি বললো, ‘ কেন তোর কাছে সব আছে নাকি?’
আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না। চুপ করে গেলাম। তখন ভাইয়া এলো আর চাচির সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
‘ আম্মু আমাকে আজকেই ঢাকা ব্যাক করতে হবে।’
‘কেন? বিয়ে তো শেষ হয়নি।’
‘হুম কাল একটা জরুরী মিটিং আছে। স্যার বললো এটেন্ট করতেই হবে।’
চাচি বললো আমাকে না বলে ইমাকে বল।
ভাইয়া চলে যাবে আবার আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
‘আমার সাথে আয়।’

আমি উঠে দাঁড়িয়ে ভাইয়ার পিছু ধরলাম। চাচি কটমট করে তাকিয়ে ছিলো।
কেউ মানতে না চাইলেও ভাইয়ার যেতেই হবে। যেখানে স্যার কল করে বলেছে না গেলে খারাপ দেখা যায়। তাই ইমা আপু বললো,
‘আচ্ছা যা কিন্তু এখন না বিকেলে।’
ভাইয়া তাই রাজি হলো কিন্তু সাথে আমাকেও নিয়ে যাবে বললো,
‘ কেন ওকে কেন?’
‘আমি না থাকলে ও থেকে কি করবে?’
‘ বিয়ে শেষ হলে আমার সাথে যাবেনি।’
‘ দরকার নাই‌। আমার সাথে ঊষাও যাবে।’
কারো কথা শুনলো না আমাকে নিয়েই যাবে। আমি আর কি বলবো? সব নিরব শ্রোতা হয়ে শুনলাম।
চাচির এনে দেওয়া ড্রেসটা পরলাম আজ। কিন্তু আনন্দ আমার হলো না যাওয়ার তারা। বিয়ে পরানো হবে সন্ধ্যায় আর ভাইয়া আগে যেতে চায়।
আমি ভাইয়া কাছে এনে মুখ কাচুমাচু করে বললাম,
‘ চলেই তো যাব বিয়েটা দেখে যাই প্লিজ।’
‘রাত হয়ে যাবে তাহলে।’
আমি গোমড়া মুখে দাঁড়িয়ে র‌ইলাম। ভাইয়া ও কিছু বললো না।
কিন্তু ভাইয়া গেলো ও না। সন্ধ্যায় আগেই বিয়ে পড়ানো শুরু হলো‌ আমি থাকতে পেরে সেই খুশি‌। আপু যখন কবুল বলছিলে হায় কি কাঁদা। আমরাও কাদলাম।
বিয়ে পরানো শেষ এ বর কনেকে এক সাথে বসালো। সন্ধ্যায় আযানের আরো পর আটটার দিকে ভাইয়া আর আমি বেরিয়ে পরলাম। আমাদের গাড়িটা নিয়ে এলাম। রিফাত ভাই বলেছে তারা ম্যানেজ করতে পারবে আমরা এটা নিয়ে গেলে সমস্যা নাই‌‌।

এক চিলতে রোদ পর্ব ৪২

কিন্তু কে জানতো এই গাড়ি আমাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াবে।
গাড়িটাতে যে তেল কম আমরা জানবো কি করে? সেটা এমন একটা জায়গা গিয়ে থামলো না আছে দোকান পাট আর না আছে মানুষ জন। কেবল নয়টা বাজে এই সময়টা এই অবস্থা।কিন্তু গ্ৰামে এই সময়টা অনেক আমরা গ্ৰাম পার করতে পারিনি।
কিন্তু তিন্নি আপুদের থেকে দুই গ্ৰাম পেরিয়ে এসেছি
মানে একঘন্টা চলে এসেছি এগিয়ে।
ভাইয়া গাড়িতে থেকে নেমে গাড়িতে একটা লাথি দিয়ে গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়ালো। কপালে আংগুল চেপে কিছু চিন্তা করছে। আমি পাশে দাঁড়িয়ে আছি। ভয়ার্ত মুখ করে চারপাশে তাকাচ্ছি। অন্ধকার ঘুটঘুটে অন্ধকার। আকাশে চাঁদ নেই না আছে জোসনা‌। শহর হলে এই সময় কেন রাত এ দিনের মতো কিন্তু এখানের অবস্থা আলাদা। আমি অন্ধকার রাস্তায় দিকে তাকিয়ে কাঁপছি। ভয় ভূতের ভয় আমি পা ফেলে গাড়িতে হেলান দিলাম। আস্তে আস্তে ভাইয়া গা ঘেঁষে দাঁড়ালাম। ভয়ে আমি ভাইয়া হাত না পেয়ে শার্ট খামচে ধরে আছি। ভাইয়া কপালে থেকে হাত সরিয়ে আমার দিকে অন্ধকার এ তাকিয়ে বললো,
‘কি হয়েছে?’
আমি ভয়ার্ত গলায় বললাম, ‘ আমার ভয় করছে এখানে থেকে চলুন!’
‘ এখন তেল কোথা থেকে পাবো। এখানে থেকে দোকান দেখছি না। আচ্ছা তুই ভেতরে গিয়ে বস আমি দেখছি পাওয়া যায় কিনা?’

আমি চেঁচিয়ে উঠলাম,,’ না আমি আপনার সাথে যাব।’
ভাইয়া হতাশ হয়ে আমার হাত শক্ত করে ধরে ফোনের লাইট ধরে হাঁটতে লাগলো। আমি ভাইয়ার বাহু শক্ত হয়ে ধরে হাঁটছি। হুট করেই এলোমেলো ভাবে বাতাস আসতে লাগলো বৃষ্টি হবে নাকি?
বাতাসের বেগ বেড়ে চলেছে।
গুরিগুরি ফোঁটা গাড়ি এসে পরছে। তার মানে বৃষ্টি হবে।
‘ওই মাই গড ঝড় হবে মনে হচ্ছে। সারাদিন তো ভালোই ছিলো। এখন এমন হচ্ছে কেন?’
আমি ভাইকে আরো জরিয়ে ধরে বললাম,
‘ আজকে বের হ‌ওয়া ঠিক হয়নি।’
‘ এজন্য দিন থাকতে বের হতে চাইছিলাম। তোর তো বিয়ে দেখতে হবে।’
আমি মুখ গোমড়া করে ফেললাম।

এক চিলতে রোদ পর্ব ৪৪