এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ১৭ || অনেক কষ্টের গল্প

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ১৭
তানজিল মীম

“হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে রিয়াদ তানজুর দিকে’!!চোখে মুখে ভয়ের ছাপ তার’!!কারন বেশকিছুক্ষন যাবৎ সে ডেকে চলেছে তানজুকে’!কিন্তু তানজুর কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না’!!রিয়াদ তানজুকে জড়িয়ে ধরে বললঃ
———“কথা বলছো না কেন ”লাউডস্পিকার” প্লিজ চোখ খোলো,তুমি এমনটা করতে পারো না,প্লিজ চোখ খোলো….
“বলেই তানজুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠে রিয়াদ’!!একরাশ ভয় এসে ভর করেছে তাঁকে’!!ভালোবাসার মানুষকে হারানোর ভয়’!!কি করে থাকবে রিয়াদ তানজুকে ছাড়া ভাবতেই দম বন্ধ হয়ে আসছে রিয়াদের’!!
“কিছুক্ষণ পর…..
“রিয়াদের চোখের দু’ফোটা পানি গড়িয়ে পরল তানজুর চোখের উপর’!!

“অস্পষ্ট কিছু ধ্বনি এসে বাজছে কানে’!!কেউ কিছু বলছে আমায়’!!বাট সেগুলো সবকিছুই অগোছালো আর খাপছাড়া মনে হচ্ছে আমার’!!কি বলছে না বলছে কিছুই বুঝতে পারছি না আমি’!!মিটমিট চোখে আস্তে আস্তে তাকালাম আমি’!!আশেপাশে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না’!!চোখের সামনে রিয়াদ স্যারকে কাঁদতে দেখে অবাক আমি’!!ঘন ঘন শ্বাস ফেলে বলে উঠলাম আমিঃ
———-“কি হলো স্যার আপনি কাঁদছেন কেন?
“আচমকা তানজুর ভয়েস শুনতে পেয়ে হকচকিয়ে উঠলো রিয়াদ’!!তানজুকে চোখ মেলে তাকাতে দেখে প্রচন্ড বেগে খুশি হয়ে তানজুকে জড়িয়ে ধরে বলল রিয়াদঃ
———-“তুমি ঠিক আছো “লাউডস্পিকার” আমি তো ভেবেছিলাম তোমায় চিরকালের মতো হারিয়ে ফেলেছি আমি….
“বলেই তানজুর গালে কপালে পাগলের মতো চুমু দিতে থাকে রিয়াদ’!!
“এদিকে…
“রিয়াদ স্যারের এমন পাগলামি দেখে হতবাক আমি তার সাথে রিয়াদ স্যারের কাজে চোখ মুখ রসগোল্লার মতো হয়ে যাচ্ছে আমার’!!কিন্তু এই মুহুর্তে কিছু বলতে পারছি না আমি’!!মনে হচ্ছে সব কথা শুধু মস্তিষ্কে এসেই জমা হচ্ছে মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছে না’!!ধীরে ধীরে কাল রাতের হয়ে যাওয়া সব ঘটনা মনে পরছে আমার’!!কাল যখন পানিতে পড়ে গিয়েছিলাম তখনই কেউ জড়িয়ে ধরে ছিল আমায় তাহলে কি সেটা রিয়াদ স্যার ছিল’!!পানির শব্দ এখনও কানে বাজছে আমার…..

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

“কয়েক মুহূর্ত পর….
“রিয়াদ শান্ত হয়ে এখনও জড়িয়ে ধরে আছে তানজুকে’!!দিশাহারা হয়ে পড়েছিল প্রায় সে’!!এখন মনে হয় প্রান ফিরে পেল রিয়াদ’!!
——-“কিন্তু এখন কি করবে সে কোথায় যাবে তাঁরা….
“আচমকা মস্তিষ্কের কোনায় কথাগুলো বাজতেই হতবাক হয়ে পড়ল রিয়াদ’!!আশেপাশের চারদিকে তাকাতেই আরো ঘাবড়ে গেল সে’!!কারন সামনে শুধু সবুজ সবুজ গাছ পালা আর বড় বড় পাহাড় ছাড়া কিছুই দেখতে পাচ্ছে না রিয়াদ’!!জায়গাটা একদমই অচেনা মনে হচ্ছে রিয়াদের কাছে কোথায় আছে তাঁরা কি করে বের হবে এখান থেকে তারা….
।।
“রিয়াদ আস্তে আস্তে তানজুকে ধরে নিজেও বসা থেকে দাঁড়িয়ে পরলো’!!আশেপাশের সব জায়গায় চোখ বুলালো তাঁরা’!!হর্ঠাৎ তানজু বলে উঠলঃ
———-“স্যার এটা আমরা কোথায় চলে এসেছি….
———-“কি করে বলি বলো বুঝতে পারছি না….
———–“এখন কি করবো স্যার আমরা কি করে থাকবো এখানে….
———-“চিন্তা করো না একটা না একটা ব্যবস্থা হয়েই যাবে…
“বলেই দুজন দুজনকে ধরেই সামনে এগোতে লাগল’!!কারন দুজনেই ক্লান্ত খুব’!!শরীরে মটেও জোর নেই তাদের’!!অনিশ্চিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাঁরা! সামনে কোথাও যাচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না তাঁরা!’ আধও বাড়ি কোনোদিন ফিরতে পারবে কিনা সেটাও জানে না তাঁরা’!!
“তাদের পিছনে দূর দূর সীমান্তে শুধু পানি আর পানি! পানি ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না’!!যতদূর চোখ যায় শুধুই সমুদ্রের পানি,,আধও কেউ এদিকে আসে কিনা কে জানে?….
“মনে হাজারো প্রশ্ন আর হাজারো চিন্তা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দুজন মানুষ’!!যাদের সামনে কি হবে কেউ জানে না….”

“রাত_৮ঃ০০টা….
“এখনও জাহাজের কিনারায় রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে অপূর্ব চোখ তাঁর নিচের পানির দিকে’!!জাহাজ তাদের চলছে না থেমে আছে স্থির হয়ে কিন্তু নদীর পানির ঢেউয়ে হাল্কা দুলছে জাহাজ’!!অপূর্বের খুব কষ্ট হচ্ছে, বড্ড কষ্ট হচ্ছে’!সে কিছুতেই মানতে পারছে না এক রাতের মধ্যে কি থেকে কি হয়ে গেল’!!বোন,বন্ধু দুজন একসাথে এইভাবে হারিয়ে যাবে এটা স্বপ্নেও ভাবে নি অপূর্ব’!!চোখ দিয়ে অজোর হারে পানি পরছে অপূর্বের’!!বাসা থেকে লাগাতার ফোন আসতে অপূর্বের’!!কিন্তু ফোন তুলে কি বলবে আম্মুকে ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে অপূর্বের’!!এই মুহূর্তে তার নিজের ওপর খুব রাগ হচ্ছে যদি সেদিন মায়ের কথা শুনতো তাহলে আজ এগুলো কিছুই হতো না’!!ভেবেই স্ব-জোরে রেলিং এর ওপর বারি মারলো অপূর্ব’!!রাগ,কষ্ট দুটোই হচ্ছে তার’!!কি করবে না করবে বুঝতে পারছে না অপূর্ব’!!সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে তার’!!দিশেহারা হয়ে বসে পরল অপূর্ব জাহাজের ওপর’!!এমন সময় পিছন থেকে অপূর্বের কাঁধে হাত রাখলো কেউ’!!সামনে তাকিয়ে আফরিনকে দেখেই জড়িয়ে ধরে অপূর্ব’!!তারপর কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠল সেঃ
———“এসব কি হয়ে গেল আফরিন, আমার বোন আমার বন্ধু দুজন এভাবে কেন হারিয়ে গেল আফরিন, কেন হলো এমন…

“বলেই আফরিনকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠল অপূর্ব’!!অপূর্বের কান্না দেখে আফরিনও কাঁদছে’!!অনেকক্ষন আগেই সে আর তার বাবা এসেছে এখানে’!!সবকিছুই শুনেছে দুজন’!!অপূর্বের সাথে রিয়াদের বাবারও খুব ভালো সম্পর্ক’!!আফরিন তার চোখের পানি মুছতে মুছতে বলে উঠলঃ
———–“শান্ত হও অপূর্ব,কিছু হয় নি রিয়াদ তানজুর….
———-“কি করে শান্ত হবো আফরিন, কতক্ষণ হয়ে গেল ওদের কোনো খবরই পেলাম না এখনও, কি করবো না করবো কিছুই বুঝতে পারছি না’…
———-“এভাবে ভেঙে পরলে চলবে না অপূর্ব,,নিজেকে শক্ত করো আর আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে…
———-“হবে তো সব ঠিক আফরিন আমরা খুঁজে পাবো তো রিয়াদ আর তানজুকে….
“মাথা নাড়িয়ে হা সমর্থন দেয় আফরিন’!!আফরিনের কথা শুনে হাল্কা শান্ত হয় অপূর্ব’!!জীবনের এমন মুহূর্তের সময় একজন মানুষের একটু আস্থার কথা শুনলেও শান্তি লাগে মনে’!!যেমনটা এখন অপূর্বের লাগছে’!!
”জীবনে ভালো খারাপ সময় আসবেই তাই বলে ভেঙে পড়লে চলবে না’!!শক্ত হও আর ভরসা রাখো আল্লাহর ওপর উনিই সব ঠিক করে দিবে..??
“কিছুক্ষন পর….
“হর্ঠাৎই আফরিন বলে উঠলঃ

———“সারাদিনে মনে হয় না কিছু মুখে দিয়েছো চলো আমার সাথে কিছু মুখে দিবে….
“আফরিনের কথা শুনে মাথা নারিয়ে না সমর্থন দেয় অপূর্ব’!!যার অর্থ “সে খাবে না”…
অপূর্বের কথা শুনে আফরিন বলে উঠলঃ
———“এমন কেন করছো বলো তো এমন করো না প্লিজ না খেয়ে থাকলে শরীর খারাপ করবে তখন কি করে খুজবে রিয়াদ আর তানজুকে…
“অসহায়ভাবে তাকালো অপূর্ব আফরিনের দিকে’!!তারপর বললোঃ
———“কি করে খাবো বলো, না জানি বোনটা আমার কতটা কষ্ট পাচ্ছে না জানি কোথায় আছে…
“অপূর্বের কথা শুনে কি বলবে আফরিন বুঝতে পারছে না’!!হতাশ সে’!!আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবলো আফরিনঃ
———-“ভাই তুই কোথায় আছিস? যেখানে আছিস সেখান থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে আয় না ভাই তানজুকে নিয়ে, না হলে অপূর্ব যে বোনের চিন্তায় পাগলই হয়ে যাবে’!!তার সাথে আমিও যে তোকে ছাড়া কিভাবে বাঁচবো ভাই,কোথায় আছিস তুই….
“ভেবেই ঠুকরে কেঁদে উঠে আফরিন!!

“জলন্ত আগুনের দুপাশে খোলা আকাশের নিচে বসে আছে রিয়াদ আর তানজু’!!আর চারপাশে শুধুই অন্ধকার’!!বর্তমানে আশেপাশে কিছুই দেখা যাচ্ছে না তেমন’!!কয়েক ঘন্টা আগেই এই দ্বীপের ভিতর ঢুকে সবার আগে আগুন জ্বালায় রিয়াদ’!!তারপর দ্বীপের ভিতর থাকা কিছু গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করে রিয়াদ’!!এই মুহূর্তে তারা একসাথে বসে সেগুলোই খাচ্ছে’!!
———-“স্যার আমরা এখান থেকে কি করে বের হবো…?
“খেতে খেতেই কথাটা বলে উঠলাম আমি’!!
———-“এত চিন্তা করছো কেন,দেখবে অপূর্ব ঠিক আমাদের খুঁজে বের করবে?
———-“আপনাকে ভাইয়া ফোন করেছিল বুঝি…
“তানজুর মুখে এমন আহাম্মকের মতো কথা শুনে রিয়াদ বলে উঠলঃ
———-“না ফোন দেই নি মেসেজ করেছিল…
———-“সত্যি…
———“মজা নিচ্ছো আমার সাথে…
———-“আপনি ভুলভাল বকছেন কেন?
———-“কি ভুলভাল বকেছি আমি…
———-“এই যে অপূর্ব ভাইয়া আমাদের এখানে খুঁজতে আসবে,তাঁরা তো নিশ্চয়ই ভেবে নিয়েছে আমরা মরে গেছি….
“তানজুর কথা শুনে রিয়াদেরও একটু খটকা লাগলো’!!কিছুটা কনফিডেন্স নিয়ে বলে উঠল সেঃ
———“তাহলে আর কি সারাজীবনের জন্য তুমি আর আমি এখানেই থেকে যাবো…..
———-“কি(চেঁচিয়ে)
———–“চেঁচাও কেন কানের পর্দা ফেটে যাবে আমার…..
———-“ইমপসিবল আমি এখানে কিছুতেই থাকবো না….
———-“ঠিক আছে থেকো না তোমার যদি এখান থেকে বের হওয়ার পথ জানা থাকে তাহলে চলে যাও…
“রিয়াদ স্যারের এইবারের কথা শুনে হতাশ হয়ে বসে রইলাম আমি’!!!

———“ধুর এখন কি হবে আমাদের স্যার…’!!
———“কি আর হবে এখানেই থাকতে হবে….
———“অসম্ভব স্যার বাড়ি না ফিরলে আমার ক্যামেরার ছবিগুলোর কি হবে….
———“লাইক সিরিয়াসলি তুমি তোমার ছবির কথা ভাবছো….
———-“ইয়ে না মানে….
———-“একদম চুপ ঘুমাও বলছি….
———“কোথায় ঘুমাবো স্যার….
———“কেন এই নিচে….
———“অসম্ভব স্যার আমি কিছুতেই এখানে ঘুমাতে পারবো না….
———“তোমাকে ঘুমাতে হবে জেগে থাকো সারারাত….
———-“স্যার বলছিলাম কি….
———-কি?
———“স্যার এখানে কি বাঘ, ভাল্লুক আছে….
———-“কি জানি থাকতেও পারে….
———-“সত্যি সত্যি স্যার তাহলে তো আমাদের শরীরের গন্ধ পেয়ে যেকোনো সময় এখানে চলে আসতে পারে স্যার…..
———–“এই থামবে তুমি এমনিতেই টেনশনে আছি তারওপর তোমার এই বক……
———“তার মানে আপনি ভয় পাচ্ছেন স্যার….
———-“থামবে তুমি ঘুমাও বলছি…
———–“এইভাবে ঘুমানো যায় নাকি….
———–“কেনো বুঝতে পারছো না লাউডস্পিকার আজকের রাতটা এভাবেই কাটাতে হবে কিছু করার নেই তো”….
———-“বুঝতে পারছি স্যার এমনি বলছিলাম…
———-“হুম!

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ১৬

“তারপর আর কোনো কিছু না ভেবেই চুপচাপ শুয়ে পরলাম কিছু পাতা বিছানোর খাটে’!!শুয়েতেই সোজা উপরে খোলা আকাশ দেখা যাচ্ছে’!!কোনো তাঁরা নেই আকাশটায়’!!আশেপাশে র গাছপালা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস আসছে’!!
———-“ভাবতেও পারছি না কি করে কি হলো!!এতক্ষণে নিশ্চয়ই ভাইয়া আম্মু সব জেনে গেছে’!!না জানি অপূর্ব ভাইয়া কেমন করছে আমায় খুঁজে না পেয়ে,আম্মু বা কি করছে…
“এসব ভাবতে ভাবতেই চোখ বুঁজিয়ে নিলাম আমি’!!
“হর্ঠাৎই রিয়াদ স্যার বলে উঠলেনঃ
———“কাল রাতে কি হয়েছিল তোমাদের আর তুলির সাথে….
“আচমকা এমন কথা শুনে হকচকিয়ে উঠলাম আমি’!!কি বলবো এখন’!!আমার ভাবনার মাঝে আবারো রিয়াদ স্যার বলে উঠলেনঃ
———-“কি হলো কথা বলছো না কেন?
———-“কিছু না স্যার…
———-“কিছু না মানে তুমি বললেই হবে নাকি সত্যি করে বলো কি হয়েছিল তোমাদের মাঝে মধ্যে….
———-“কিছু হয় নি স্যার….
———-???
———-”আপনিও দেখি আমার মতো তাকান স্যার….
———-“তুমি বলবে কি বলবে না….
“শেষমেশ কোনো উপায় না পেয়ে মাথা নিচু করে সবটা বলে দিলাম আমি’!!
…….
“এদিকে তানজুর মুখে সব শুনে চোয়াল শক্ত হয়ে গেল রিয়াদের’!!চোখের তার রাগের ছাপ’!!কিন্তু সেটা বাহিরে প্রকাশ করলো না রিয়াদ’!!চুপচাপ চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে পরল সে’…..

“আর এদিকে রিয়াদ স্যারকে ঘুমিয়ে পড়তে দেখে আমিও আর কথা না বারিয়ে ঘুমের দেশে পারি জমাতে লাগলাম’!!হর্ঠাৎই আশেপাশে ছমছম আওয়াজে ভয়ে শরীর কেঁপে উঠল আমার’!!চোখ খুলে উঠে বসলাম আমি’!!আশেপাশে তাকাতেই ভয়ে কলিজা কেঁপে উঠল আমার’!!ছোট বেলা থেকেই ভয়টা একটু বেশি আমার’!!একটু টুকটাক শব্দ আসলেও রাতে ঘুমাতে পারি না’!!আর আজ সেখানে খোলা আকাশের নিচে এই অন্ধকার জায়গায় শুয়ে আছি ভাবতেও কেমন লাগছে….
“আমি আস্তে আস্তে রিয়াদ স্যারের পাশে গিয়ে চুপচাপ শুয়ে পরলাম’!!কলিজার পানি অর্ধেক শুকিয়ে গেছে আমার…..
___________________
“সূর্যের ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙল রিয়াদের….

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ১৮