অভিমানেই আছো তুমি শেষ পর্ব  || Writer:TanjiL Mim

অভিমানেই আছো তুমি শেষ পর্ব 
Writer:TanjiL Mim

“মাঝ খানে কেটে গেল দু-দিন…..
||
“আজকে আরুশির বাড়িতে আদিত্য আর আরুশির বিয়ে উপলক্ষে বড় অনুষ্ঠান হবে’!!পুরো বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে’!!পুরো বাড়ি টাকে ফুল দিয়ে অসম্ভব ভাবে তৈরি করে রাখা হয়েছে’!!পার্লার থেকে বিউটিশিয়ানরে এসেছে আরুশিকে সাজাতে’!!আজকে আরুশি অসম্ভব খুশি সাথে আদিত্যও’!!হয়তো কেউই বিশ্বাস করতে পারছে না এতো সহজেই সবাই সবটা মেনে নিয়েছে’!!আজকে আদিত্য সাদা রঙের সেরোয়ানি পড়েছে,সাথে সাদা জুতো,হাতে ঘড়ি, চুলগুলো বরাবরের মতো সুন্দর করে সাজানো’!!অল্প সাজেই অসাধারণ লাগছে আদিত্যকে..আর অন্যদিকে আরুশি আজকে রেড সাদা কমিনেশনে মিশ্রিত একটা লেহেঙ্গা পড়েছে,চুলগুলো গর্জিয়াস ভাবে খোঁপা করা,মুখে ভাড়ি মেকাপ,গলায় ভাড়ি নেকলেস, হাতে গর্জিয়াস চুরি,চোখে আইলাইনার,মাসকারাসহ পুরো গর্জিয়াস মেকাপ দিয়ে সাজানো হয়েছে তাকে,তাকেও অসম্ভব সুন্দর লাগছে আজকে……

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

“সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে আরুশি আর আদিত্য,পুরো অনুষ্ঠানের মানুষের চোখ এখন ওদের দিকে’!!আরুশির বাবার সব বন্ধুরা সহ সেদিনের বিয়েতে যারা যারা তাদের অনেকেই আজকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছে’!!সবাই শুরুতে একটু কিন্তু কিন্তু করলেও পরক্ষণেই আরুশির বাবা বলে দেয়__যেটা হয়েছে সেটা হয়ে গেছে সেটা নিয়ে বারাবারি না করাই ভালো তার চেয়ে যেটা হচ্ছে সেটায় ইনজয় করুন’!!

“সারাদিনটাই গান বাজনা,নাচ,খাওয়া দাওয়া ফটোশুট সহ বলেন বিভিন্ন আনন্দের সঙ্গে কেটে গেছে’!!এক কথায় বললে পুরো হেপি ইনডিং…..
||
“রাত_৮ঃ০০টা…….
‌আরুশির বান্ধবীরা আরুশিকে খুব সুন্দর করে আবার সাজিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে গেছে’!!এক কথায় বলতে গেলে আজকে আদিত্য আর আরুশির বাসররাত___
“একরাশ ভয় ভালো লাগা সবকিছু নিয়ে বসে আছে আরুশি’!!আজকে আরুশির রুমটা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে’!!এই সবকিছু আরুশির বন্ধু -বান্ধবীদের কাজ……
“বেশকিছুক্ষন পর…….
“দরজার খোলার শব্দে আরুশি নড়েচড়ে বসলো’!!
আদিত্য সামনে আসতেই আদিত্যকে সালাম দিলো আরুশি……
“আচমকা এমনটা হওয়াতে আদিত্য একটু ঘাবড়ে গেলেও পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে সালামের জবাব দিলো সে’!!তারপর পুরো রুমটা দেখতে লাগলো’!!আরুশির রুমটা এতো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে সেটা আদিত্য জানতো না’!!এই জন্যই তখন আরুশির বান্ধবী হাসতে হাসতে বলে ছিল….
——“শুভ রাএী দুলাভাই,,,,
“আদিত্য হাসলো…….!!তারপর আরুশির সামনে বসে আরুশির মাথার গোমটা খুলে দিয়ে বলে উঠলঃ
————“আজকে আমার ময়ূরীজানকে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল কিন্তু…..
“সাথে সাথে আরুশি একটু গম্ভীর হয়ে বললোঃ
————“তার মানে এখন ভালো লাগছে না……
“আদিত্য হেঁসে বললোঃ
————“সেটা কখন বললাম…..
————-“এই মাএই তো বললে,,আর অনুষ্ঠানে আমার বান্ধবীদের সাথে এতো গা গেসে ছবি তোলার কি ছিল হুহ…..
“এতক্ষণ পর আদিত্য বুঝতে পারলো আরুশি কেন গম্ভীর মুডে আছে’!!আদিত্য হালকা হেঁসে বললোঃ
————“ও এইজন্য মহারানী রেগে বোম হয়ে আছে,তবে যাই বলো তোমার বান্ধবীরা কিন্তু খুব সুন্দর…
“সাথে সাথে আরুশি রেগে মেগে বিছানার উপর দাঁড়িয়ে বললোঃ
———-“কি বললে তুমি…….(আদিত্যের কলার চেপে)
“আদিত্য আরুশির কাজে অবাক হয়ে বললোঃ
———–“এটা কি করছো…….
———–“আমায় রেখে অন্য কোনো মেয়ের দিকে তাকালে একদম চোখ উপড়ে ফেলবো বলে দিলাম, বলে কিনা আমার বান্ধবীদের সুন্দর দেখতে(রেগে)
————“আরে ওটা তো মজা করে বলেছি…..
————“তোমার মজার গুষ্টিকিলাই, থাকো তুমি গেলাম…..
“এই বলে যেই না আরুশি বিছানা থেকে নামতে যাবে সাথে সাথে আদিত্য আরুশির হাত ধরে দিল টান’!!সাথে আরুশি এসে পরলো আদিত্যের বুকে…..

“আচমকা এমনটা হওয়াতে আরুশি পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল’!!আদিত্য আরুশিকে ধরে বলে উঠলঃ
———“বাসর ঘরে এই ভাবে চলে গেলে চলবে নাকি…..
———-“মানে…..
———“মানে বোঝাচ্ছি তোমায়……
“তারপর দুজনেই ডুব দিল ভালোবাসার সাগরে।।।???
_____________________________________
_______________________
“খুনশুঁটি, রাগ, অভিমান নিয়েই দিন কাটছিল আদিত্য আর আরুশির জীবন…….
||
“দেখতে দেখতে কেটে গেল পুরো ৫ বছর………
“আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আদিত্য চেচাচ্ছে….
————“আরুশি, আরুশি…..কোথায় তুমি আমার টাই কোথায়…….
“ওদিকে আরুশি রান্না ঘরে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে বলোঃ
———–“আরে ড্রয়ারে আছে দেখো…..
———–“আমি পাচ্ছি না তুমি আসো…..
“একরাশ বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে আসলো’!!এমন সময় শাড়ির আঁচল ধরে দাঁড়ালো কেউ’!!পিছন ঘুরে আরুশি তাকে দেখে বললোঃ
———-“ওরে শয়তান,চল আমার সাথে……
_________________
“এদিকে আরুশি এখনো না আসায় আদিত্য আবারো চেঁচিয়ে বললঃ
———–“কি হলো আরুশি…..
————“কিছু এই তোমার টাই…..
“আদিত্য ঘুরে তাকাতেই তার ছেলে আয়ুশের গলায় দেখে বলে উঠলঃ
———-“এটা কি করেছো তুমি…..
“সাথে সাথে আয়ুশ হাতে তালি দিতে দিতে বললোঃ
———–“আমাকে তেমন নাগছে পাপা…..
“আদিত্য হেঁসে আয়ুশকে আরুশির কোল থেকে নিয়ে বললোঃ
———–“খুব সুন্দর লাগছে সোনা…..
“হাসলো আয়ুশ…..!!আয়ুশ হলো আদিত্য আর আরুশির ছেলে…….
“আদিত্য আবারো বলে উঠলঃ
————-“কিন্তু এখন যে এটা দিতে হবে পাপাকে পাপা যে কাজে যাবে……

অভিমানেই আছো তুমি পর্ব ১২

————”না আমি দিবো না……
————-“এসব কি হচ্ছে আয়ুশ পাপা বলছে না পাপার লাগবে এখন দেও বলছি(আরুশি)
“সাথে সাথে আয়ুশ আদিত্যকে বলে উঠলঃ
———–“পাপা আম্মি পতা খানি বকে….
“আয়ুশের কথা শুনে আদিত্য বলে উঠলঃ
————“ঠিক বলছো আম্মি পঁচা….
————-“কি আমি পঁচা…..(আরুশি)
“আদিত্য আয়ুশকে কোল থেকে নামিয়ে বললোঃ
————-“সোনা তুমি এখন বাহিরে গিয়ে খেলো আমি তোমার জন্য চকলেট নিয়ে আসছি…..
“আয়ুশও আর কিছু না বলে চলে গেল রুম থেকে……
“এদিকে আরুশি হাবলার মতো তাকিয়ে রইল’!!তারপর বলে উঠলঃ
————“এটা কি করলে ও তো টাই না দিয়েই চলে গেল………
“আদিত্য একটু একটু করে সামনে আগাতে আগাতে বললোঃ
————-“ভাবছি আজকে আর কোথাও যাবো না বাড়িতে থাকবো…….
————“বাড়িতে থাকবে কেন??
———–“সেটাই তো বলবো এই যেই না আদিত্য এগোতে গেল সাথে সাথে আরুশি দিল দৌড়…..আর আরুশির পিছনে আদিত্য দিল দৌড়…….
“পুরো রুমে দুজনেই ছুটাছুটি করছে….. আর এভাবেই খুনশুটি আর ভালোবাসায় কাটছে আদিত্য আরুশির জীবন’!!

……….সমাপ্ত…….