Psycho is back part 11+12

Psycho is back part 11+12
apis indica

প্যারিসের স্যান নদীর তীরে দাড়িয়ে আছে আয়মান।।আজ তার ওয়াইফ আমায়রা কে নিয়ে ঘুরতে আসছে সে।।আমায়রা খুশিতে পাগল হয়ে যাচ্ছে।।আয়মান পাশে দাড়িয়ে দেখছে।।তার ঠোঁটের কোনেও হাসি।।
—-Yusuf, don’t run, it will hurt…পাশ থেকে একটি মহিলা তার বাচ্চাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগে।।
ইউসুফ নামটি শুনে আয়মানের তার বন্ধুর কথা মনে পরে গেল।।সাথে সাথে পকেট থেকে ফোন বের করে কল করলো।।
ইউসুফ তার অফিসে বসে আছে,, হাতে তার কফির কাপ।।কফিতে ছিপ দিচ্ছে আর কাঁচের জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে।।তখনি তার ফোনে টুংটাং করে বাঁজতে লাগে।। প্রথম বার কল বাজতে বাজতে কেটে গেল।। দ্বিতীয় বার কল বাজতেয়ী ইউসুফ এ ধ্যান ভাঙ্গলো।।ইউসুফ ফোনটি হাতে তুলে স্ক্রিনে আয়মান নামটি ভেসে উঠলো।।আয়মান নামটি দেখতে পেয়ে ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠল।।ফোন রিসিভ করেই ইউসুফ বলে উঠলো,,

——হেই ডুড ভুলে গিয়েছিস?
——ভুলে গেলে কল করেছে কে! হুম??
——আচ্ছা সরি! তোর খবর বল?
—–এই তো বউকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি!
—–তুই বিয়ে করে ফেলছি? আমাকে বলিও না??অভিমানের সুরে বলল ইউসুফ।।
—–হুম ঘরোয়াভাবে হয়েছে।। দেশে আসলে বড় করে পার্টি দিবো তখন তো আসতে হবে।। তা তোর খবর বল তোর কি হল? বিয়ে কবে করছিস?
ওপাশ থেকে ইউসুফ দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।
—–আমার আর বিয়ে? এই জনমে হবে কিনা জানিনা?
—–কেন কি হয়েছে? তার কণ্ঠে এত বিষণ্ণতার ছাপ কি জন্য? প্রেমে পড়লি নাকি?
—–হুম।।
——কি বলিস আমাদের ইউসুফ আর প্রেম??অবাকের সুরে বলল আয়মান।।তা কি করেন আমাদের হবু ভাবি?
—–আমারি ফুপাতো বোন।।
—–তো প্রোপোজ করেছিস?
—–আর প্রপোজ আমার সাথে দুই মিনিট কথা তো বলতে চায় না, সহ্যও করতে পারে না, তাকে করবো আমি প্রপোজ??
তোরটা বল?যাকে লাইক করতি সেই নাকি?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

—-হুম। সেই! যাকে ভালবাসি তাকে কিভাবে হাত ছাড়া করি।।শুন তোকে কিছু এডভাইস দেই আমার নিজের জীবন থেকেই।।তুইতো জানিস আমুকে পেতে কত কাঠখড় পোহাতে হয়েছে! কি পরিমাণ টর্চার টা আমি করেছি তার উপর।।জোর করে বিয়েও করেছি।।এতে কি লাভ হল? আমি ওকে আপন তো করে নিয়েছি, কিন্তু সে আমাকে মানতেই পারছিল না।।তাই রাগ টাগ বাদ দিয়ে বন্ধুতের হাত বারিয়ে দেই।।আর এখন ওই আমার সাথে কতটা হেপি।।এক মুহুর্তে জন্য আমাকে একা ছাড়তে চায় না।।তাই তোকে সাজেস্ট করছি, ভালবাসার মানুষটিকে টর্চার বা ব্লেকমেল করে নয়,,সাইকো লাভার হয়ে জয় করে নে।।দেখবি তোর ভালবাসা তোর হয়ে যাবে।।বুঝলি??
—–বাহ্ ডুড তুমিতো ভালবাসায় পুরোই পিএইচডি করে ফেলেছ।। যাই হোক তোর সাথে কথা বলে আমার কিছু প্রবলেমের সলিউশন পেয়ে গেলাম।। থ্যাংকস দোস্ত।। দেশে ফিরে মিট করিস।।
—-হুম। ওকে বায়।।
—বায়।।
আয়মান ফোন রেখে তার আমুর কাছে চলে যায়।।আর তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগে,,
—-ভালবাসি বউ।।
আমুও হেসে আয়মানের কপালে তার কপাল হালকা বারি দিয়ে বলতে লাগে,,
—–আমি বাসি না।।হি হি।।
আয়মান ছোখ পিট পিট করে বলতে লাগে,,,
—-তাই না।।হুম! বলেই কাতুকুতু দিতে লাগলো।।
আমায়রা আর সইতে না পেরে বলতে লাগে ভালবাসি জামাই ?।।এভাবে তাদের খুনসুটি চলতে থাকে।।
ইউসুফ ফোন কেটে তার অফিসরুমের বড় জানালার সামনে দারায়।।বাহিরে সন্ধ্যা নেমেছে।।আকাশে লাল লাল আভা দেখা যাচ্ছে।।দূরের পাখি গুলো ঘরে ফিরে যাচ্ছে।। সাথে হালকা মনমুগ্ধকর বাতাস বইছে।। ইউসুফের কপালে পড়ে থাকা চুলগুলো হালকা উড়ছে।।ইউসুফ দুপাশে হাত মেলে চোখ বন্ধ করে এক শ্বাস টানলো আর শ্বাস ছাড়লো।।বাম হাতে পরে থাকা চুল গুলো উপরে তুলে বলতে লাগে,,
—–অনেক হয়েছে আমার রাগটা দেখানো তোমার উপর বাবুই পাখি।।এখন থেকে শুরু হবে আমার লাভ কেয়ারিং।।আয়মান ঠিকি বলে ভালবাসার মানুষকে টর্চারিং, ব্লেকমেলিং করে নয়, ভালবেসে জয় করে নিতে হয়।।
>
সকাল সকাল কারো নিশ্বাস আমার উপর পড়ায় ঘুমটা ছু মন্তর হয়ে যায়।।তাকিয়ে আর সেই ব্যাক্তিটিকে পেলাম না।।কেউতো ছিল যে তার নরম ওষ্ঠদ্বয় ধারা আমার ফোঁটা কপালে স্পর্শ করেছে।।কিন্তু কেন জানি না এই স্পর্শটা আমার সেই লেগেছে??।।ঘুম থেকে উঠে বেডে বসে এসব ভাবচ্ছি।।তখনি নজর যায় টেবিলের উপর,,যেখানে একটি ফুলের স্টিক।।সাথে একটি চিরকুট।। যেখানে লিখা,,
—-গুড মর্নিং বাবুই পাখি।।
আজ দিনটি তোমার শুভ যাক।।
❤ ভালোবাসি ❤
চিরকুট দেখে কেন জানি ব্লাশিং করতে লাগলাম।।
তখনি দরজায় নক পরে।।দরজা খুলতেই কালকের সেই দুজন গার্ড।।একজন গার্ড একটি শপিং ব্যাগ এগিয়ে দিল,, আর বলল,,
—-Sent sir?
—-ওকে।
ব্যাগটি নিয়ে দরজা নক করে দেখতে লাগলাম।।একটি মিস্টি কালার সালোয়ার সুট।। খুব সুন্দর ডিজাইন।।তখনি সাথে সাথে একটি মেসেজ আসে মোবাইল,,,

—-আমার বাবুইপাখির জন্য ছোট একটি গিফট আমার তরফ থেকে।। প্লিজ আজকে ড্রেসটি পড়ো।
বাহ্ সাইকো আজ রোমান্টিক মুডে আছে ব্যাপার টা কি??? কথায় আছে অতি ভক্তি চোরের লক্ষন তাহলে কি তাই? নাকি আমার সাথে যা করেছে তার জন্য? মাফ চাইতে পারছে না বলে হয়তো এতো কিছু করছে।।যাই হোক পছন্দ হয়েছে ড্রেস্টি।।ভার্সিটিতে আজ এই ড্রেস্টি পরে যাবো।।যা ভাবা তাই কাজ।।ড্রেসটি পরে রেডি হয়ে নিলাম।।ড্রেসের মাথে ম্যাচ করে ছোট টপ বললাম, চুল গুলো ছেড়ে দিলাম।। ঠোঁটে হালকা লিপবাম লাগিয়ে নিলাম।। আয়না একবার পর্য্যবেক্ষণ করে একটা সেলফি তুলে নিলাম।। এফবিতে আপলোড দিলাম।।তারপর বের হতেই চামচি দুইটা দাঁড়িয়ে।।আমি তাদের পাত্তা না দিয়ে চলে আসলাম সাথে তারাও আমার পিছন পিছন আসলো।। নিচে এসে তো আমি একেবারেই অবাক।।লিভিং রুমে এহসান ভাইয়া আর চাচি বসে,, আমি আশেপাশে কে আছে না আছে তা না দেখেই দৌড়ে জড়িয়ে ধরলাম তাকে “এহসান ভাইয়া ” বলে।।তার পাশে একটি মেয়ে বসা ছিল।।এহসান ভাইয়াও আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগেন,,
—-কেমন আছিস আমার কটকটি? বলে আমার কপালে চুমু খেলেন।।
—–ভাল আছি ভাইয়া।।এতো বড় সারপ্রাইজ পাবো ঘুম থেকে উঠে ভাবি নি।।
এহসান ভাইয়াকে এতদিন পরে পেয়ে যেন আমার কোনো হুশই নেই।।
আর এদিকে ইউসুফ সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে।।কুহুকে অন্য কারো বাহু ডোরে আবদ্ধ দেখে ঠোঁট কামরে রাগ কন্টোল করতে সে।।তার সাথে তার দাদু বসে হাসতেসে।।কিছু বলতেসে তাই যেন রাগ আরো দিগুন, তিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।।রাগে মাথার রগ ফুলে উঠেছে তার।।চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে সে।।এখন আশে পাশে কেউ না থাকলে হয়তো চিবিয়ে খেয়ে ফলতে কুহুকে।।
এহসান ভাইয়াকে জড়িযে ধরেই দেখতে পাই একটি মেয়ে আমাদের দেখে হাসছে মিটমিট করে।।তাই এহসান ভাইয়াকে জিগাসা করলাম,,,

—–ভাইয়া এ আপুটি কেরে??
এহসান ভাইয়া আমাকে ছেড়ে ওই আপুটির পাশে বসে তাকে হালকা জড়িয়ে ধরে বলতে লাগে,,
—–তোর ভাবী।। পছন্দ হয়েছে?
আমি খুশিতে ভাবীর পাশে বসে তার গালে হাত রেখে এদিক ওদিক ঘুরিয়ে দেখলাম।।আর ভাবের সাথে বললাম,,
—–হে রে ভাই তোর বউতো পুতুলের মতো আমারতো সেই পছন্দ হয়েছে।।
আপিটাও হেসে বলতে লাগে,,
—-এহসান আমার কিন্তু আমার ননদকে সেই পছন্দ হয়েছে।।আমি ভাবছি আমার ভাইয়ের জন্য একেই উঠিয়ে নেই কি বল? দুষ্টমির সুরে বলতে লাগে নুহা।।
আমিতো লজ্জায় মাথা নিচু করে আছি।।তা দেখে সবাই হাসচ্ছে।। নুহা আপু আর কিছু বলবে তার আগেই।।কেউ গলা পরিষ্কার করলো।।আমি সামনে তাকিয়ে দেখি আমার যম বসে আছে আমার দিকে চোখ গরম করে।।এ বুজি টুপ করে গিলে ঢেকুর তুলবে।।এতখন তো আমার খেয়ালি ছিল না।।তার মানে ভাইকে ঝাপটে ধরা তিনি দেখেছেন।।হায় কপাল।।এটা ভেবেই শুকনো ঢোগ গিললাম কয়েক ধপা।।
তিনি আমাকে হাতে ইশরা করে কি জানি একটা বললেন,, তারপর গট গট করে চলে গেলেন নিজের রুমে।।আমি হা করে চেয়ে আছি।।আজ আমার কপালে শনি, রবি সব আছে বুঝতে পারছি।।

সাইকোর রুমের সামনে দাড়িয়ে আছি।।হাত, পা আমার কাঁপচ্ছে, সাথে ঠান্ডা হয়েও আসচ্ছে না জানি কি হয়????
কিছুক্ষণ আগেই এহসান ভাইয়া আর নুহা আপু গেছেন, সামনের শুক্রবার তার এঙ্গেজমেন্ট, তাই ইন্ভাইট করতে আসচ্ছেন।।গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে ভিতরে আসচ্ছিলাম, আমার তো খুব খুশি লাগচ্ছে, তখনি উনার এক গার্ড এসে বলে গেছে ইউসুফ নাকি আমায় ডাকচ্ছে….।তখন আমার মনে পরে সাইকো যাওয়ার সময় তাহলে তার ঘরে যাওয়ার জন্যই ইশারা করেছিল।।ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ….আমার।।না জানি কি করে??? না গেলেও আবার কি করে বসে,, তাই ৭/৫ না ভেবে চলে গেলাম তার রুমে….!!
কখন থেকে দাড়িয়ে আছি,, ভিতরে যাওয়ার সাহস করে উঠতে পারছি না।।এক কদম এগিযেও যেতে পারছি না।।বার বার আমার কাঁপা হাত দিয়ে দরজা খুলার জন্য হাত বাড়াচ্ছি।।মুহুর্তে আবার পিছিয়েও ফেলছি….!! ভয়ে আমার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে আছে।।তখনি খট করে দরজা খুলে যায়।।আর আমি ভয়ে ভয়ে সামনে তাকিয়ে দেখি….ইউসুফ দরজার সাথে হেলে দাড়িয়ে আছে…দুহাত তার বুকে গুজা।।খুব শান্ত ভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিক…..!!
আমি আমার ওরনার কোনা দুহাত দিয়ে পেঁচাচ্ছি।। আর বার বার এদিক ওদিক তাকাচ্ছি ভয়ে তাররদিক তাকাতেই পাচ্ছি না।।হঠাৎ আমাকে টান দিয়ে তার রুমের ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলেন….!! তার এই কাজে আমি আরো ভয় পেয়ে গেলাম।।সারা শরীর থর থর করে কাপঁচ্ছে আমার। আমাকে এভাবে টান দেয়াতে আমার এক হাত ইউসুফের শার্টের মুঠ করে চোখ বন্ধ করে রাখি।।তিনি এখনো আমাকে ছাড়েন নি।।আমি পিটপিট করে চোখ জোড়া মেলে দেখি…..সাইকো এক ধ্যায়ানে আমার দিক তাকিয়ে আছে।।চোখের চাহনীও তার স্থীর।। দুজনের মাঝে পিনপতন নিরবতা।।উনি আমার খুব কাছে…. তার এক হাত আমার কমোড়ে তো আরেক হাত আমার পিঠে।।তার এমন চাহনীতে আমার কেমন যানি অনুভুতি হচ্ছে,,,, তবে খারাপ না সেই অনুভুতিটা।।তখনি তিনি মৃদু সুরে বলে উঠেন,,,

—–আমি তোকে টাচ করলে তুমি এতো কাপা কাপি কর কেন??
আমি কিছু বললাম না চুপ থাকলাম।।কেন জানি বলতে ইচ্ছে করছেনা কিছু।।সাথে লজ্জাও লাগচ্ছিল।।সাথে শ্বাস আটকে আসচ্ছে আমার।।
আমি তার বুকের বামপাশের দিক শার্ট কুচঁকে ধরে ছিলাম।।সেখান থেকে ধুকপুক ধুকপুক হৃদছন্দ ছড়াচ্ছে।।কেন যানি হাতের মুঠ করাটা ছেড়ে তার বুকের সেই হৃদপিন্ডে হাত রাখলাম।।তখন তিনি আমার পিঠ থেকে হাত ছাড়িয়ে আমার হাতের উপর হাত রেখে বলতে লাগে,,
—–শুন্তে পারছো বাবুই পাখি?? আমার হার্ড কতটা বিট করছে!!…!! ইউ নো হোয়াট বেবি…যেদিন তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম? সেদিন ঠিক সেইম ভাবে বিট করেছিল…!!ইনফ্যাক্ট যখন যখন তুমি আমার খুব কাছে থাকো…..ঠিক সেইম ভাবে বিট করে….!!
উনার কথা গুলো শুনে আমার চোখ কঁপালে,,, আমি তার দিক বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছি।।তিনি তখন মুচকি হেসে বলতে লাগে,,
—-তুমি যখন এভাবে চোখ বড় বড় করে তাকাও তখন তোমাকে এক ছোট ডলের মতো লাগে।।
আমি সাথে সাথে নিচে তাকাই।।তখনি তিনি আমার আরো কাছে এগিয়ে আসে,,আর আমার থুতনির নিচে দুটো আঙ্গুল দিয়ে মুখ উপরে তুলে।।আমি সাথে সাথে কেন জানি চোখ বন্ধ করে ফেলি।।তার এমন হুঠহাঠ স্পর্শে প্রতিবার আমার শরীরে শিহরণ দিয়ে উঠে,,,!!আমার বন্ধ চোখ জোড়ায় তিনি ফু দিলেন….!!! আমার জানি কেমন লাগলো….!! তার সেই বুকের মাঝে রাখা হাতটা আবার মুঠ করে নিলাম।।তিনি ধীরে ধীরে আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলতে লাগে,,,
—–আজ তোমাকে খুব সুন্দর লাগচ্ছে বাবুই পাখি!! ঠিক আমার মোনালিসার মতো!!
মোনালিসার নাম শুনে আমার সব ফিলিংস ফুড়ুৎ করে উড়ে গেল…. তার মানে তার দুইটা জিএফ আছে আর তাও আমার সাথে ফ্লাট করছে চোখ মলে তাকালাম,,
আর এক ভ্রু বললাম,,

—–দুইটা বুঝি আপনার জিএফ??তাই বুঝি আপনি আমার সাথে এভাবে টানাটানি করেন??তাদের মতো দেখতে বলে??
তিনি এবার আমাকে ছেড়ে দিয়ে হাসতে লাগলেন।। আর বেডে গড়াগড়ি খেতে লাগলেন….!! এই প্রথম তাকে রাগ গুস্সা না বরং হাসতে দেখছি তাও মন খুলে।।আমার কি হলো জানি না।।তাকে এভাবে হাসতে দেখে আমারো কেন জানি ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠলো।।তার দিকে তাকিয়ে আছি…..আসলেই উনি অনেক সুন্দর।।শুধু শুধু কেন এমন গম্ভীরতা ছেয়ে রাখে???তিনি তো হাসতেই পারেন….হাসলে কি হয় সব সময়…??
সাইকো হঠাৎ হাসি থামিয়ে দেয়…..মুহুর্তেই মুখে গম্ভীরতার ছাপ ফুঁটে ওঠে তার।।তার এ রূপ দেখে আমিও চুপসে গেলাম।।তিনি বেডে মাথা নিচু করে বসে থাকেন কতক্ষণ তারপর আমার দিক তাকালেন…..হুট করে দাড়িয়ে বড় বড় পা ফেলে আমার সামনে এসে দাড়ালেন আমি সাথে সাথে দুকদম পিছিয়ে গেলাম…… আর একটু পিছিয়ে যেতেই তিনি ধরে ফেললেন আমাকে আর তার সামনে বরাবার দাড় করিয়ে দিলেন….সাইকো আমার থেকে অনেক লম্বা ৬ ফুটতো হবেই!!আর আমি মাত্র ৫ ফুট ২….সাইকো আমার কোমোরে ধরে একটু উঁচু করে তার মুখের সামনে আমার মুখ নিয়ে আসলো…..তার এই কাজে আমি অনেক ঘাবড়ে গেলাম এবং সাথে সাথে দুই চোখ কুচকে বন্ধ করে ফেললাম।।আর কিছুক্ষণ পর তার নিশ্বাস আমার কানের কাছের পরছে…..সাথে সাথে কিছুক্ষণ আগের অনুভুতি, শিহরণ আবার হানা দিচ্ছে।।তার সাথে নতুন করে বুঝতে পারছি,,আমার শরীর কেমন অসাড় হয়ে আসছে।। এই বুঝি তার বুকে ঢোলে পরে যাবো….তখনি তিনি ফিসফিস করে বলতে লাগে,,,,,

—–মো না লি সা মানে হচ্ছে মাই লেডি…..আমার কোনো জিএফ নেই!!! কিন্তু হে…..আমার মুখে তার দু হাত দিয়ে তুলে বলতে লাগেন,,,একদম সুইট ভয়েসে…..তুমি আছো….এ মনের কোনে নয়??? সবটা জুড়ে।।বলে আমার কঁপালে তার ঠোঁট দিয়ে স্পর্ষ করলেন।।
আমি এবার তাকে ধাক্কা দিযে সরিয়ে দৌড়ে দরজার কাছে চলে আসচ্ছিলাম,,কারণ হঠাৎ তার এই রূপ আমি হজম করতে পারছি না।।দরজা খুলতেই তিনি বলতে লাগেন,,,,
—-এই শুনো….!! নিচে ওয়েট করো আমি আসচ্ছি।। আজ তোমাকে আমি ড্রপ করে দিব ভার্সিটিতে।।
তুই থেকে ডিরেক্ট তুমি…..!!!
আর পারছি না…!!!
এত শক্টড একদিনে আমি আর নিতে পারছি না….!!
তার দিক না তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে হে বলে দৌড়ে চলে আসলাম রুমে….!!!
হুহহহহ…!!!!
এখন নিতে পারছি শ্বাস…. বড় বড় করে আরো কয়েক বার শ্বাস নিতে লাগলাম…..।।
তখনি আমার ফোনের মেসজ টিউন বেজে উঠে…।।
এতক্ষণ ফোনের কথা মনেই ছিল না।।
ফোন হাতে নিতেই দেখি রিয়ানের ৫০০+ মিসড কল….!!!
ও মাই খাট…!!
এত কিছুর মাঝে এর কথা মাথা থেকে চলেই গিয়ে ছিল…সাথে সাথে মেসেজ টা চেক করলাম….!!
“where are you??
pick up the phone…..!!
damn it….!!!””
এইটা কেমন মেসেজ?? বুঝলাম না….!!!
সাথে সাথে তাকে কল করলাম ফোনটা বন্ধ….!!
কি হলো এর কিছু বুঝচ্ছি না…!!
থাক ভার্সিটিতে গিয়ে মিট করে নিবো…!
হয়তো রাগ করেছে…??
—–কুহু???

Psycho is back part 9+10

নিচে থেকে আন্টি মা ডাকাচ্ছেন…।। আমি বেগ নিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দৌড়ে নিচে আসলাম।।ইউসুফ ভাই গাড়িতে বসে ছিল।। আন্টি আর নানু মাকে বায় বলে গাড়িতে চড়ে বসলাম।।গাড়ি চলছে আপন গতিতে…!!
গাড়িতে বসে আমার লজ্জা লাগছিল ভাইয়ার করা তখনকার কাজ গুলো মনে পরছে বার তাই বাহিরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।।উনিও হয়তো বুঝতে পারছেন…তাই মুচকি হেসে গাড়ি ড্রাইভ করছেন….।।
গাড়ি এসে ভার্সিটির সামনে থামলো….তখনি তিনি বলে আমার সামনে পরে থাকা চুল গুলো কানের পিছনে গুজে দিতে দিতে বলতে লাগেন….,
—–গার্ডরা সর্বক্ষণ তোমার আশেপাশে থাকবে তোসার অগোচরে… এমন কিছু করো না বাবুই পাখি…যাতে আমার আগের রূপে ফিরতে হয়।। যাও বলে মাথার এক পাশে চুমু খেলেন।।আর বললেন যাও….!!
হঠাৎ উনার এমন ঠান্ডা হুমকিতে জমে গেছি…।
ভেবেছিলাম হয়তো ভাল হয়ে গেছে কিন্তু এতো সাইকো শালা….।। সাইকো কখনো ভাল হয় নাকি?? হুহহহহ!!!
কিছু না বলে নেমে চলে গেলাম গাড়ি থেকে…!!
ইউসুফও চলে গেলেন…।।

আমি আশেপাশে আমার ফ্রেন্ডদের খুঁজতেসি।।তখনি কেউ পিছন থেকে আমার হাত টেনে কোথাও নিয়ে যেতে লাগলো…।। সামনের লোকটি আর কেউ না রিয়ান…! ও কে কেমন জানি দেখাচ্ছে…।। রাগে আছে বুঝাও যাচ্ছে।।হটাৎ একটি ক্লাস রুমে এনে আমাকে ছুরে মারলো।।আর আমি পরে যেতেই বাম হাতের কুনির দিক অনেকটাই ছিলে গেসে….!! খুব ব্যথাও করছে…তাই চিল্লিযে রিয়ানকে বললাম…!!
—–সমস্যা কি আপনার এমন করছেন কেন?? দেখন আমি কতটা ব্যথা পাইছি।।বলে ফুপাতে লাগলাম….!!
তখনি রিয়ানের কথায় আমার কান গরম হয়ে লাল হতে লাগলো….যেন এখনি ধোঁয়া বের হবে….!!!

Psycho is back part 13+14