Psycho is back part 9+10

Psycho is back part 9+10
apis indica

—–হ্যালো!
—–তোর সাহসতো কম নয়? তোকে না করার পরেও, তুই আমার কথার বরখেলাপ করলি।।এখন দেশে থাকলে আর আমার সামনে পেলে তোকে আমি চিবিয়ে খেতাম।।দাঁতে দাঁত চেপে ফোনোর ওপাশ থেকে বলতে লাগে ইউসুফ।।
—-আমি এদিকে ভয়ে ফ্রিজড হয়ে যাচ্ছি।। তাও আমতাআমতা করে বললাম,,কি করেছি আমি?
—–কি করেছিস তুই জানিস না? তোকে বলি নাই তোর উপর আমার নজর আছে? তারপরেও তুই কিভাবে ছেলেদের সাথে ঢলাঢলি করিস।।খুব শখ??
এবার আমার রাগ উঠে গেল,, আমি চিল্লিয়ে তাকে বলে উঠলাম,,
—-আমার লাইফ আমি কি করবো? না করবো? আপনি বলার কে? হো আর ইউ?আমি যেভাবে ইচ্ছা আমি চলবো।।আমার মরজি।।ফারদার আমাকে কল করবেন না?বলেই কল কেটে দিলাম।।আর নাম্বার ব্ল্যাক লিষ্টে ফেলে দিলাম।।ঝুলা থাক এবার।।হুহহহহ!!
ওদিকে ইউসুফ যখন কুহুকে ফোনে পাচ্ছে না।।মাথা রাগ চেপে বসে।।হাতে থাকা ফোন খুব জোড়ে আছাড় মারে।।আর বলতে লাগে,,,
—–উড় যতো উড়বার! আমাকে তুই চিনিস নারে কুহু।।আমি যেদিন ওই দেশে পা রাখবো! সে দিন যে তোর কি হবে! বলেই আবার বাঁকা হাসলো ইউসুফ।।
এভাবে কেটে যায় এক মাস।।

এই এক মাসে,রিয়ানের সাথে ভালো বন্ডিং হয়ে গেছে আমার।।ওর কেয়ারিং আমার খুব ভাল লাগে।।কি সুন্দর করে কথা বলে।।দিনের বেশিরভাগ সময় আমার এখন তার সাথে কাঁটে।।রিয়ান ঠিক যেমন আর ইউসুফ ঠিক তার উল্টো।।রিয়ান সব সময় হাসি হাসি ভাবে কথা বলে।।কেন জানি না, ওনার প্রতি আলাদা টান অনুভব করি।।ইদানীং আমাকে উনি রাতেও কল করেন।।মাঝে মাঝে কথা বলতে বলতে সকাল হয়ে যায়।।
কথা গুলো পড়ার টেবিলে বসে ভাবচ্ছি।।তখনি ফোন আসে।।ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি,,
রিয়ান কল করেছে।।কেন জানি কলটি পেয়ে ঠোঁটের কোনো মৃদু হাসির রেখা ফুঁটে উঠে,,
ফোনটি রিসিভ করতেই রিয়ান বলতে লাগে,,,
—-হেই ডিয়ার আর ইউ বিজি?
আমি লজ্জা মাখা মুখে বললাম,,,
—-নাহ কেন?
—-একটি কথা ছিল?
—–হুম বলুন?
—–কাল আমার বার্থ ডে।।
—–ওহো জানতাম না তো? যেহেতু এখনো ১২ টা বাজে নি,তাই অগ্রিম হ্যাপি বার্থ ডে।।
ওপাশ থেকে রিয়ান মুচকি হাসলো আর বলল,,
ধন্যবাদ ডিয়ার।।বাট এভাবে উইশ করলে চলবে না।।কাল ছোট একটা পার্টি রেখেছে বাসায়।।তুমি আমন্ত্রিত।। না আসলে চলবে না।।তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে।।
—-আচ্ছা বার্থ ডে আপনার! আর সারপ্রাইজ আমার জন্য? কেমন শুনালো না??
—–যেমনি শুনাক? আর শুনো তোমার ফ্রেন্ডদের ও ইন্ভাইট করেছি।।আর তোমার জন্য একটা গিফট ও আছে! যা সকালে পেয়ে যাবা।।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

—-আমি এবার সত্যই তাজ্জব হচ্ছি! এখন মনে হচ্ছে বার্থ ডে আপনার নয় আমার।।
—–উম হুম।।একই তো।।বলে হাসতে লাগলো রিয়ান।।
এভাবে কথা বলতে বলতে রাত হয়ে যায় অনেক।। তখনি কথা বলার মাঝে দু এক বার আননোন নাম্বারে কল আসে।।আননোন দেখে ধরলাম না।।কারণ এ কয়েক মাসেই এটা নতুন কিছু না।।
কথা শেষে রিয়ানকে বায় বলে ঘুমিয়ে পড়ি।।
সকালবেলা ?
ঘরে বসে আছি।। আর এফবিতে ঘুরছি।।আজকে আমার ৫ হাজার ফলোয়ার হয়েছে।।খুশি লাগছে অনেক।।তখনি হঠাৎ চোখ পড়ে সাইকোর এফবি আইডি।।কেন জানি ঘাটতে ইচ্ছা হলো তার আইডি।।তাই ঢুকলাম।।
তার আইডিতে ডুকে আমি থ।।
উনার আইডিতে ৬০ হাজার ফলোয়ার।।তার একেকটা পিকে কি লাইক?
তার উপর একেক টা পিকের লুক একেক রকম।।তার থেকে বড় কথা তার একটি পিক দ্বিতীয়বার রিপিট করা না।।আর একটি ড্রেস পরের বার রিপিট ও করা না।।তাহলে কি তিনি কোনো ফেমাস মানুষ?? ভাবছি তখনি রূপালী আসে।।আর একটি গিফট বক্স দিয়ে যায়।।বক্সটি দেখে বুঝলাম রিয়ান দিয়েছে।।কিন্তু কেন জানি ওই গিফট দেখার চেয়ে বেশী, সাইকোর আইডি ঘাটার আগ্রহ বেশী হচ্ছে আমার।।আর তার পিক গুলো দেখ যাচ্ছি।।সাইকো সত্যই অনেক সুন্দর গুড লুকিং,তার পার্সোনালিটি অনেক আলাদা।।তার প্রতিটা পিকে মেয়েদের কমেন্ট অনেক।।কেন যানি হিংসে হচ্ছে আজ।।অথচ এ কদিন আমার তো একবারের জন্য সাইকোর কথা মনে পরে নি।।তখনি একটি পিকের দিক আমার নজর আটকে যায়।।সেখানে সে একটি বেলকনিতে কফির কাপ নিয়ে দাড়িয়ে আছে।।আর উনি দূর আকাশে তাকিয়ে আছে।।পরোনে তার জিন্স সাথে লং হাতার একটি জলপাই কালারের টি শার্ট।।পিক টা ভাল লাগলো তাই সেভ করে রাখলাম ফোনে।।আরো কিছু ঘাটতে লাগলাম সাথে।।তখনি ফোনটা বাজতে লাগলো।।রিয়ান কল করেছে।।কিন্তু কেন জানি তার কলে বিরক্তি লাগলো।।রিসিভ করলাম কিন্তু কিছু বললাম না।।
তখনি ওপাশ থেকে রিয়ান বলল,,

—-গুড মর্নিং ডিয়ার।।
—-হুম।।
—-ঘুম ভেঙেছে?
—-হুম।।
—-গিফট পাইসো??
—-হুম।।
—–খুলে দেখছো?
—–
—–কি হলো? চুপ কেন??ডিয়ার মুড ওফ?
আমি বির্ক্তিকর ভাব নিয়ে বললাম,,
—-পরে কথা বলছি।।রিয়ানকে কিছু না বলতে দিয়ে কল কেটে দিলাম।।
আজ জানি কেন এমন করলাম ওর সাথে জানা নেই আমার।। তখনি মেসেজ টোন বেজে উঠলো।।
ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি রিয়ানের মেসেজ।।
“”ডিয়ার আমি বুঝতে পারছি তুমি কোনো কিছু নিয়ে আপ সেট। বাট বিলিভ মি তুমি গিফট দেখ, তোমার মন ভাল হয়ে যাবে।।আর হে টাইমলি চলে এসো ওয়েট করবো।।””
মেসেজটি পড়ে গিফট বক্সটা ওপেন করতেই,সত্যিই আমার মনো ভাল হয়ে গেছে।।গিফট বক্সে একট গাউন।।প্রিন্সেস দের মত, ড্রেস।।অনেকটা ফোলা নিচের দিকটা।।সত্যই আমার মন ভাল হয়ে গেল মুহুর্তে।। আমি এটি পরে দেখতে লাগলাম হুম অনেক মানিয়েছে আমাকে।।ছোট থাকতে যখন বার্বি কার্টুন, সিনড্রেলা কার্টুন দেখতাম তখন থেকেি এমন ড্রেস পরার ইচ্ছা আমার।।সাথে সাথে ফোন নিয়ে ধন্যবাদ জানালাম।।
সন্ধ্যাবেলা?
রেডি হয়ে নিচে আসলাম।।আন্টি মা আমাকে দেখে তার চোখে থেকে কাজলের ফোঁটা নিয়ে লাগিয়ে দিলেন আমার কানের পিছনে আর বললেন,,

—-মাশাআল্লাহ।।সুন্দর লাগছে আমার আম্মুটিকে।।
—-ধন্যবাদ আন্টি মা।।
জড়িয়ে ধরলাম তাকে।।তার সাথে কথা বলার মাঝেই এসে উপস্থিত হয় তাথৈ আর লিজ।।তারাও গাউন পরেছে।।তাদের ও সুন্দর লাগছে অনেক।।আমরা বের হয়ে যাই তাথৈ আর লিজ রীতিমত আমার সাথে দুষ্টামি করছে।।আর আমার খুব লজ্জা লাগছে।।তখন লিজ বলতে লাগে,,
—-আজ রিয়ান তো গায়ো? বলে কিটকিটিয়ে হেসে দিল।।তার সাথে তাথৈ ও তাল দিচ্ছে।।
হাসি ঠাট্টা করতে করতে পৌঁছে গেলাম রিয়ান দের বাসায়।।খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে বাসাটা।।তাদের বাড়িটাও অনেক বড়।।ইউসুফ ভাইয়াদের বাড়ির মতো।।পার্টি পুল সাইডে অ্যারেঞ্জ করেছে।।আমরা যেতেই একটি পুচকে মেয়ে এসে জড়িয়ে ধরে আমাকে এ আর কেউ না রিয়ানে ভাস্তি।। এসেই বলতে লাগে,,
—–আজ তোমাকে আমার বার্বি ডোলের মতো লাগছে।।
আমি হেসে তার গাল টেনে বলতে লাগি,,
—-হুম তোমাকেও প্রিন্সেস লাগছে।।
সে হেসে আমার গালে চুমু খেল।।আমিও দিলাম।মেয়েটির জন্য মায়া লাগে সেই ছোট থাকতেই নাকি তার বাবা, মা কার এক্সিডেন্টে মারা যান।।এ কদিনে বাচ্চাটির সাথে আমার বন্ডিং অনেক ভাল হয়ে যায়।।তখনি রিয়ান এসে হাজির।।ওকে সুন্দর লাছে সে আমার ড্রেসের কালারের মতো সুট পরেছে।।

সব গেষ্ট আসার পর রিয়ান কেক কাঁটছে,, রিয়ান তার বাবা, মা আরর ভাস্তিকে খাইয়ে আমার মুখের সামনে ধরলো।।আমি খেলাম।।
ডান্সিং এর সময় রিয়ান আমার সামনে হাত বারিয়ে দেয়।।আর আমিও তার সাথে ডেন্স করি।।খুব ভাল লাগছিল সব কিছু।।কাপল ডান্স শেষেই রিয়ান আমাকে সবার সামনে হাটু গেরে বসে প্রপোজ করে।। আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না।।অবাক লাগছে।।কি বলবো তাও ভাবছি।।রিয়ানের মাঝে সেই সব কিছু আছে যা একজন ভালবাসার মানুষের মাঝে থাকে।।কি করবো বুঝতে পারছি না।।রিয়ান তার হাত রিংটি আমার সামনে ধরে রেখেছে।।আর এদিকে তাথৈ,আর লিজ বলতে লাগে,,
—-say yes.. কুহু।।
রিয়ান ও হাসি মুখে তাকিয়ে আছে।।আর সবাই এক কথাই বলে যাচ্ছে।।
আর এইদিকে পার্টির মাঝে উপস্থিত একজন তাদের দিক অগ্নিদৃষ্টি মেলে তাকিয়ে আছে।।হাত দুটো মুষ্টিবদ্ধ করে।।সেখানে আর দাড়িয়ে থাকতে না পেরে উল্টো পথে হাটা ধরে।।

আর এদিকে কুহ তার হাত বারিয়ে দেয়।। যা দেখে সবাই হাত তালি কেউ সিটি বাজাতে শুরু করে।।রিয়ান রিং পড়িয়ে দেয়।।
হলে বসে আছে ইউসুফ।। ঘড়িতে ১২ টা ছুঁই ছুই।।সোফার উপর বসে পা দুটো টেবিলের উপর রাখা।।চুল গুলো সব এলে মেলো হয়ে পরে আছে কপালে আর এক চোখে।।সোফায় হেলে মাথা উপরের দিক দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে সে।।পাশে থাকা টেবিল ল্যাম্পটি এক হাত দিয়ে জালাচ্ছে আর বন্ধ করছে।।টেবিলের পায়ের কাছেই তার রিভলবার।।বার বার হলটিতে ল্যাম্পটি জালানো নিভানোর কারণে মৃদু আলো জ্বলছে কিছুক্ষণ পর পর।।দরজায় শব্দ হতেই লাইটনএকে বারেই বন্ধ করে দেয় ইউসুফ।।
রিয়ানের সাথে কাটানো কিছু মুহুর্তে মনে করতে করতে বাসায় ঢুকলাম।। নক করার আগেই দেখি দরজা খোলা।।কিছু না ভেবেই ঢুকে গেলাম বাসায়।।পুরো বাড়ি অন্ধকার।।আর পিনপতন নিরবতা বিরাজ করছে।।মনে হচ্ছে এ বাড়িতে কেউই থাকে না।।কিছু কদম যেতেই টেবিল ল্যাম্প জ্বলে উঠলো।। যা ইউসুফ জালিয়েছে।।কিন্তু সে আগের মতোই বসা।।কিন্তু এবার আর সে লাইট ওফ করে নি।।
ইউসুফকে চোখের সামনে দেখে ভয় লাগছে।। আমি কিছু না বলে তার পাশ কাটিয়ে চলে গেলাম দুটো সিরি পার করতেই হঠাৎ গলি করার ওয়াজ হলো।।আর সাথে হল থাকা বিশাল কাচের ঝাড়বাতি মাটিতে পড়ে গেল এবং আর বিকট শব্দে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গেল।। আমি সাথে সাথে কান চেঁপে সিরিতে বসে পরি।।আর কাঁপতে লাগি ভয়ে।।ধীরে ধীরে পিছনে তাকিয়ে যা দেখলাম,,,
আজ ৩ মাস পর দেশে ফিরেছি ইউসুফ।।

এ তিন মাসে প্রতিটি সময় ছটফট করেছে এখন সে বিডিতে আসবে।।বাসায় এসে জানতে পারে তাথৈ রিয়ানের বার্থ ডে পার্টিতে গেছে না সইতে পেরে সেখানে যায় সে।।দুজনকে এতো ঘনিষ্ঠ ভাবে দেখে সইতে পারে না সে চলে আসে বাসায়।।তার আসার ২ ঘন্টা পর বাসায় আসে কুহু।।তার উপর সে ইউসুফ
কে ইগনোর করে উপরে যেতে নেয়।।যার জন্য ইউসুফ রেগে আগুন হয়ে উঠে আর সইতে না পেরে গুলি চালিয়ে দেয়।।এ ক মাসে তাকে যেভাবে ইগনোর করে চলছে সব কিছু যেন এক সাথে মাথায় ঝেঁকে বসে তার।।
পিছনে তাকিয়ে যা দেখলাম,,
সাইকো তার বাম হাত উঁচু করে আছে, হাতে তার প্রাণ প্রিয় বন্ধুক।।আমি বসা থেকে ভয়ে ভয়ে উঠে দারালাম।।যেই এক কদম বারাবো ওমনি সাইকো বলতে লাগে,,,
—-খবরদার আর একটা কদম এগিয়েছিস তো!
সে বসা থেকেই বলতে লাগে কথা গুলো।।আমি বুঝতে পারছি আজ আমার কঁপালে ভাল কিছুই আছে।।আমি এদিক ওদিক তাকাতে লাগলাম।।আন্টিমা আছে কি না দেখার জন্য না তিনি নেই।।পরে মনে পরলো তিনি আজ রাতে ফিরবেন না।।সাথে সাথে শুকনো ঢোক গিললাম।।
ধীরে ধীরে সাইকো আমার দিক এগিয়ে আসলো।।আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করলো।।তারপর তাচ্ছিল্য একটা হাসি দিল।।তার হাসিতে আমি জমে যাচ্ছি পুরোই।।আমার জান পাখিটা উড়ার জন্য রেডি।।আমি মাথা নত করে আছি।।আর গাউনের দু পাশে শক্ত করে চেপে ধরে আছি।।দাড়িয়ে থাকার শক্তিটুকুও নেই আমার।।হঠাৎ করে সে এসে তার হাতের বন্দুক দিয়ে আমার মুখ উঁচু করলো।।আর বলল,,

—-ভয় পাচ্ছিস? পাবারি কথা?? কিন্তু এখন কেন পাচ্ছিস?? হুম! বল বলনা?? খুব শান্ত ভাবে কথা গুলো বলল ইউসুফ।।
তার এত শান্ত কথা আমার দম বন্ধ হয়ে আসচ্ছে।।
কথা গুলো বলে কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন।।তারপর হটাৎ করেই আমার হাত ধরে টানতে টানতে তার রুমে নিয়ে আমাকে মেঝেতে ছুড়ে মারেন।।আমি পরে যাই সাথে সাথে।।আর উনি রুমের দরজা লক করে দেন।।আর আমার সামনে এক হাটু গেরে বসে আমার থুতনিতে খুব জোড়ে চেপে তার দিক তুলে ধরেন।।আমি দু হাত দিয়ে তার হাত সরাতে চাইছি।।খুব ব্যাথা করছে।। ব্যথায় দু ফোটা চোখের জল গড়িয়ে পরলো সাথে সাথে।। তিনি বললেন,,
—–ড্রেসটা কে দিয়েছে? রিয়ান?
আমি কিছু বললাম না ভয়ে কান্না চলে আসচ্ছে
তখনি তিনি জোড়ে ধমক দিয়ে বললেন,,
—কি হলো কথা বলছিস না কেন?? এমনিতে তো সারা রাত কথা বলিস।। আমি কিছু জিগাসা করলেই তালা দিয়ে রাখিস মুখে হুম।।কথা বলল।।লাষ্ট কথা গুলো খুব জোড়েই বলল সে।।
তার চিল্লানো শুনে কেপে উঠলাম।।আর হালকা মাঁথা নাড়ালাম।।
তিনি এবার আমার থিতনী ছেড়ে দিলেন আর আমার সামনে হাটু ভাজ করে বসে পরলেন।।
—-তোকে যাওয়ার আগে একটা একটি লেটার দিয়েছিলাম? সেখানে কি লিখা ছিল??
আমি কিছু বললাম আমার এখান থেকে ছুটে পালাতে ইচ্ছা করছে।।কিছু মাস তো শান্তিতেই ছিলাম।।আর ভাল লাগছে না আমার।।তখনি তিনি বললেন,,

—-কথা বলছিস না কেন?
—-আপনি আমার সাথে এমন কেন করছেন? আমাকে যেতে দিন! আমার লাইফ আমি যা ইচ্ছা তা করবো তাতে আপনি বাঁধা দেয়ার কে??কোনো অধিকার নেই আপনার আমার কোনো কাজে অধিকার দেখানোর।।বুঝলেন।।
প্রথমে ভয় পেলে এখন রাগ লাগছে।কেন বার বার আমার সকল বিষয়ে তিনি নাক গলাতে চলে আসে।।আজ এর শেষ করেই ছাড়বো আমি।। তাই মুখ দিয়ে যা আসচ্ছে তাই বলে যাচ্ছি।।
আমার কথা শেষ হতেই সাইকো তার লাল চোখ গুলো আমাকে নিক্ষেপ করে।।আর সাথে সাথে গালে জোড়ে চর মেরে দেয়।।ঠাসস করে।।আর আমার গাল চেপে বলতে লাগে,,,
—–বাহ্ অনেক বুলি ফুটেছে তোর মুখে হুম??আমাকে অধিকারের কথা শিখাতে আসচ্ছিস?তোর উপর সব থেকে বেশি অধিকার আমার! বুঝলি? তোর উপর তোর নিজেরও কোনো অধিকার নেই!!
উনার কথা শুনে আমি পুরাই অবাক।। কি বলছেন তিনি।। তার উপর আমার গালে এমন ভাবে চেপে ধরাতে আমি খুব ব্যথা পাচ্ছি তার কাছ থেকে ছুটতে চাইছি।।কিন্তু পারছি না।।কোনো ভাবেই না।।
আমি তাকে এবার ধাক্কা মারলাম আর তিনি খানিকটা দূরে সরে গেলেন।। সেই সুযোগে আমি দৌড়ে দরজার কাছে যাই।।আর তিনি খপ করে আমার হাত ধরে ফেলেন।।আর ধাক্কা মেরে আমাকে বেডে ফেলে আমার উপর চরে বসেন।।এবং আমার গাল চেপে ধরে আমার ঠোঁট তার দখলে নিয়ে নেন।।খুব রাফলি কিস করতে থাকেন।।আমার মনে হচ্ছে তিনি আমার ঠোঁট কামরে খেয়ে ফেলছেন।।এদিকে আমি তাকে ঠেলে, ধাক্কিয়ে সরাতে পারছি না।।আমার যেন দম যায় যায় অবস্থা।।এভাবে কিছুক্ষন যাওয়ার উপর উনি আমাকে ছেড়ে দেন।আর আমাকে তার বুকে টেনে নিয়ে বলতে লাগেন,,

—-কেন বুঝিস না বাবুই? আমি তোকে লাভ করি।।খুব লাভ করি।।তোকে কোন ভাবে আঘাত করার ইনটেনশন আমার নেই।। কিন্তু তুই প্রতিবার আমার কথার বাহিরে চলে যাস।।
উনার লাভ করার কথা শুনে কান আমার গরম হয়ে গেছে সাইকো বলেকি।।এতক্ষণ আমি চুপ করে থাকলেও এখন আর পারছি না।।আমিতো তাকে লাভ করি না।।তার থেকে ছাড়িয়ে নিচেকে চেঁচিয়ে বলতে লাগি,,,
—-আমি আপনাকে লাভ করি না।।না কখনো করবো আমি আপনাকে হেট করি বুঝলেন।।হেট করি আপনাকে।।
তখনি তিনি আমার গালে চর মারার জন্য হাত উঠায় আর আমি সাথে সাথে দু হাত মুখ আড়াল করি।।তখনি তিনি থমকে যায়। এবং আমার রিং ফিঙ্গার এর হাত তার দিকে টেনে বলতে লাগে,,
—–তুই ওর প্রপোজাল একসেপ্ট করেছিস?
—-হুম করেছি।। তাতে আপনার কি? আমি তাকে ভালবাসি।।
তিনি এবার তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন।।আর কোমোরের বেল্ট খুলে মারতে লাগলেন আমাকে আর বলতে লাগলেন,,
—-আর কখন যদি রিযানের সাথে তোকে দেখেছি।।সেদিন রিয়ান আর তোকে গুলি করে মাটিতে পুতে দিব।।তুই যানিস না বাবুই রিয়ান ভাল ছেলে না।। বলে আমার রিং ফিঙ্গার থেকে রিং খুলে তিনি বের হয়ে গেলেন রুম থেকে।।
এখন আমার বলতে ইচ্ছে করছে আপনি কি খুব ভাল? এটা কি সেই ভালোর নমুনা? কিন্তু কিছু বলতেই পারছি না, আমার শরীরে ব্যাথা করছে।।ঠোঁট জালা করছে।।আঙ্গুল থেকে রিং বের করার সময় আঙ্গুলের দু পাশে ছিলে গেছে।।আমি কোনো রকম উঠে দাঁড়াই।। আর দেয়াল ধরে ধরে নিচের রুমে চলে আসলাম।।আয়নায় নিচেকে দেখে খুব কান্না পাচ্ছে।। এমন বিধ্বস্ত দেখা যাচ্ছে আমাকে।। আমি ড্রেসটি খুলে ফ্লোরে ফেলে ওয়াশরুম চলে গেলাম।।শাওয়ার ওন করে মাটিতে বসে কাঁদতে লাগলাম।।পানির সাথে রক্ত ও ভেসে যাচ্ছে।।আজ পর্যন্ত নানু মা আমার গায় হাত দেয় নি সেখানে সাইতো এ কদিনে আমার সব ওলট পালট করে দিয়েছে।। আমি থাকবো না আর এখানে যে করেই হোক।।সকালে নানুর সাথে কথা বলবো যেন আমাকে হোস্টেল শিফট করে দেয়।।
অনেকক্ষণ ভেজার পর বের হয়ে আসি।।আর খাটে গিয়ে শুয়ে পরি।।আর শক্তি নেই আমার।। সাথে সাথে রাজ্যের ঘুম এসে নামে চোখ জোড়ায়।।

Psycho is back part 7+8

পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি।।
আমার সেই ড্রেসে কেউ আগুন লাগিয়ে পুড়ে ফেলছে।। বুঝলাম এটা সাইকোর কাজ।।আমার শরীরে নজর যেতেই দেখি সারা শরীরে ব্যথা পাওয়ার জায়গাগুলোতে ব্যান্ডেজ করা।।সারা শরীরে এক ফোঁটা ব্যাথাও নেই।। বুঝলাম এটাও সাইকোর কাজ।।আমি এখন কোনো দিকে নজর না দিয়ে নানু মার রুমে যাওয়ার জন্য পা বারালাম।।আমার রুম থেকে বের হতেই আমি অবাক দুজন বিদেশি মেয়ে ফরমাল ড্রেসে দাড়িয়ে আছে কালো পোশাক পরিহিত, কানে ব্লুটুথ, দেখে বোঝা যাচ্ছে বডিগার্ড।। আমি সেদিকে পাত্তা দিলাম না।।তাদের পাশ কাটিয়ে বের যেতে নিলাম।। নাহ তারা আমার পিছনেই আসচ্ছে।।আমি যেদিকে যাচ্ছি তারাও সেদিকে আসচ্ছে।।এখন রাগ লাগছে,,আমি তাদের দিক ঘুরে কোমরে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,,,

—–হোয়াট’স রং উইথ ইউ? হোয়াই আর ইউ ফলোইং মি??
—–উই আর ইওর বডিগার্ড ম্যাম।।
—-হোয়াট??আই ডোন্ট নিড ইউ! ইউ ক্যান গো নাউ!
—-সরি ম্যাম।। ইট হাস বিন আওয়ার অর্ডার।।
—-দ্য অর্ডার অফ হো ডিড ইট?
—-ইউসুফ স্যার…!
ওহো আমি কেন ভুলে গেলাম এই খাইশটা কাম একমাত্র ওই সাইকোরি হুহ।।এখন আমার পিছনে বডিগার্ড লাগানো হচ্ছে।।এখন আবার নতুন পেরা ভাল লাগেনা।।কালকে মেরে শান্তি পায় নি আর এখন বডিগার্ড।।আল্লাহ প্লিজ হেল্প মি।।
রাগে গজ গজ করতে করতে নানু মার ঘরে চলে গেলাম।। আর এই দুইটা আমার পিছন পিছন ছুটল।।

Psycho is back part 11+12