Psycho is back part 7+8

Psycho is back part 7+8
apis indica

এভাবেই চলে গেল এক সপ্তাহ।।
সাইকো আমাদের তার সাথে তাদের বাসায় নিয়ে আসে একেবারের জন্য।।আমার এতটুকু পরিমাণ ইচ্ছে ছিলনা তার বাসায় আসার।।কেনই বা থাকবে? উনি আমার সাথে ওই দিন কি কাজটা করলেন??এখনো কামড়ের দাগটি রইয়েই গেছে।।যত দিন এই দাগটি থাকবে ততদিন আমি ওই কথা চাইলেও ভুলতে পারবো না।।
ওই দিনের পর থেকে আমি তার সাথে কথা বলি না।।ইগনোর করি তাকে।।যেখানে তিনি সেখানে আমি আমার ছায়া ফেলি না।।কিন্তু তিনি আমার সাথে এ কদিনে অনেক বার কথা বলার ট্রাই করেছেন।।কিন্তু পারে নি।।
এদিকে আমার ভর্তির সময়ও চলে আসে।।মামা আমাকে একটি প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি করিয়ে দেন।।কাল থেকে আমাদের ক্লাস শুরু।।তাই আর এসব বাদ দিয়ে এখন আমি আমার লাইফে ফোকাস করি।।
দুপুরবেলা ?
খাবার টেবিল বসে আছি।।আন্টি মা খাবার দিচ্ছেন।।নানুমার শরীরটা ইদানীং ভাল না তাই তিনি রুমেই খেয়ে নিয়েছেন।।আর মামা অফিসে।।
খাবার টেবিলে আমি আর আন্টি মা খাচ্ছি।।আর নানা রকম গল্প করছি।।তখনি হুড়মুড় করে বাসায় ঢুকে ইউসুফ ভাইয়া।।আমাদের দিকে একবার তাকিয়ে উপরে চলে গেলেন তিনি।।আন্টি আর আমি তো থ পুরাই।।মনে হচ্ছে অনেক রাগ করে আছেন।।তাতে আমার কি!

আমাদের খাবার শেষে উঠতে যাবো তখনি আন্টি মা বলতে লাগলেন,,
—-আম্মু একটু কষ্ট করে তোমার ভাইকে নিচে খেতে আসতে বলে আসো।।
আমি কি বলব ভাবচ্ছি! আন্টিকেতো মানাও করতে পারবো না।।
তাই মুচকে হেসে মাথা নাড়াইলাম।।
সাইকোর রুমের সামনে দাড়িয়ে আছি!
কি করবো ভাবচ্ছি? ঢুকবো কি ঢুকবো না?
তখনি ভিতর থেকে ইউসুফ গম্ভীর কণ্ঠে বলে ওঠে,,
—-ওখানে দাঁড়িয়ে কি করছিস? কিছু বলবি?
—-ইয়ে মানে! আন্টি খাবারের জন্য নিচে যাইতে বলছে আপনাকে! বলেই চলে যেতে নেই ওমনেই হাতে হেচকা টান মেরে একদম তার কাছে নিয়ে আসে।।আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলছি।।আর তার সাথে কাপাকাপি ফ্রী।।আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে আছি।।উনি তখন আমার দু বাহুতে চেপে ধরে বলতে লাগে,,,
—-খুব সাহস বেরেছে তাই না তো??আমাকে ইগনোর করছিস।।হুমমমম!! বার বার কেন আমাকে রাগাস বলতো।।
—–আমি কি করেছি আআআপনাকে?? ছাড়েন আমাকে প্লিজ।।ব্যথা পাচ্ছি হাতে।। কান্না করতে করতে বললাম।।
—–আমাকে ইগনোর করার আগে মনে ছিল না!! দাঁতে দাঁত চেপে বললেন।।
তখনি আমার রাগ উঠে গেলে,, তাকে ধাক্কানোর পর যখন তাকে সরাতে পারছিলাম না,, তখনি চিৎকার করে বলতে লাগলাম,,,
—–কি পেয়েছেন? হে আমাকে! আপনি আমাকে ছাড়ুন নয়তো আন্টিকে আমি সব বলে দেব।।হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বললাম।।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

তখনি তিনি আরো জোরে ধরলেন হাত আর সাথে আমাকে তার আরো কাছে নিয়ে আসলেন।।আর আরেক হাত দিয়ে কোমরে চেপে ধরলেন জোরে।মনে হচ্ছে তার নখ আমার জামার উপর দিয়েই গিথে যাচ্ছে শরীরে।। আমি আরো জোরে কেঁদে দিলাম।।আর কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলাম,,,
—–আমি আন্টি মাকে সব বলে দিব।।আপনি একটা অসভ্য।।
তখনি তিনি আমার হাত ছেড়ে দিলেন।।আমি হাত ছাড়া পেয়ে তাকে ধাক্কা দিতে লাগলাম।।কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছি।।উনি আমার কোমরে একি ভাবে ধরে আছেন।।আমার কথা গুলো শুনে তিনি এক পাশে হেসে অন্য হাত দিয়ে আমার গালে হাত রাখলেন।।উনার এমন কাজে ভয় আরো বারতে লাগে।।কি করতে যাচ্ছেন বুঝতেসি না।।আমার কান্না তখন াআপনিতেই বন্ধ হয়ে গেছে।।কিন্তু চোখ দিয়ে পানি পড়ছেই।।তিনি ধীরে ধীরে আমার গালে তার হাত দিয়ে স্লাইড করতে করতে নিচে আমার ঘাড়ের পিছনে নিয়ে গেলেন।।আর ধীরে ধীরে আমার ঘাড়ের উপর থেকে চুলের কাছে নিয়ে আসলেন।।উনার এই কাজে আমার কাতুকুতু লাগছে অনেক।।অন্য সময় হলে হয়তো হেসে দিতাম।।কিন্তু এখন বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছি তার দিকে।।তখনি চুলে টান অনুভব করি।। কারণ উনি আমার কিছু চুল তার হাতের মুঠে নিয়ে আমাকে তার আরো কাছে নিয়ে আসে।।আর আমি আমার চুল ছাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।। ব্যথায় আমার জান বের হয়ে যাচ্ছে।। তখনি তিনি আমার কোমর থেকে হাত সরিয়ে আমার নিচের ঠোঁটে তার হাত দিয়ে জোড়ে চেঁপে ধরে বলতে লাগেন,,,
—–বাহহহ। তাই নাকি কি বলবি? তা মমকে কি বলবি?? কি অসভ্যতা করেছি তোর সাথে??তোর এই গোলাপী ঠোঁটে কিস করেছি?? নাহ তো গলায় লাভ বাইট দিয়েছি।?? নাকি তোর বুকে…..??

আমি উনার আমার ঠোঁটের উপর থেকে সরিয়ে নিজের সব শক্তি দিয়ে ধাক্কা মারলাম।।তাতে উনি আমার থেকে কিছুটা দূরে সরে গেলেন।।আর আমি সাথে সাথে দৌড় দিতে লাগলাম।।কিন্তু ব্যর্থ হলাম।।উনি আমার চুলের ধরে টান দিলেন জোড়ে।।। আর আমি তার কাছাকাছি এসে পরি।।আর উনি আমার চুল ছেড়ে আমার হাত ধরে টেনে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে ফিসফিস করে বলতে লাগলেন,,,
—–আমি তো তোর সাথে অসভ্যতামি করেছি তাই না? তুই জানিস অসভ্যতামি কি?? এখন যদি তোর ঠোঁটে চুমু খাই! তোর গায়ে জায়গায় জায়গায় টাচ করি তাহলে হবে অসভ্যতামি।।এখন বল! করবো??
—–না না।।ভাইয়া প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেন।। আমি কিছু বলব না কাউকে।। প্লিজ।। জোড়ে জোড়ে কেঁদে দিলাম এবার।।
তখন তিনি ধীরে ধীরে বলতে লাগেন,,
—– এক শর্তে!
তিনি আমার সামনের চুল গুলো কানের পিছনে গুজে দিতে দিতে বললেন।।
আমি কাপা কাপা কন্ঠে বলতে লাগি,,,
—-কি??
তখনি তিনি বলতে লাগেন আমার চোখে পানি মুছে দিতে দিতে,,,
—-আজকের পর থেকে আমি যা বলব সব শুনতে হবে।।উঠতে বললে উঠবি।। বসতে বললে বসবি।।বাঁকা হেসে বলতে লাগেন তিনি।।
আমি মাথা ঝাঁকালাম।।তখনি তিনি ছেড়ে দিলেন।।আমি দৌড়ে আমার রুমে চলে আসি।।
আর বালিশে মুখ গুজে কাঁদতে লাগি।।
কেন এমন করেন উনি আমার সাথে।।
আমি থাকবো না এ বাসায়।।আমি বাসায় যাবো।।
আম্মু আমি থাকবো না।।তোমার কাছে নিয়ে যাও প্লিজ ?।।
আজ ভার্সিটিতে যাচ্ছি।।

সাইকো সাথে করে নিয়ে যাচ্ছে।।উনি ড্রাইভ করছেন আর আমি তার পাশে বসে, বাহিরে তাকিয়ে আছি।।মামার আজকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।।বাট মামার কাজ পরে যাওয়াতে সাইকোটাই নিয়ে যাচ্ছে।।তিনি আমার সাথে নানান কথা বলে যাচ্ছেন।।আমি শুধু হু হা আর মাথা নাড়িয় উওর দিচ্ছি।।কালকে উনি আমার সাথে যা করেছেন তার জন্য আমি তাকে কখনো ক্ষমা করবো না।।কিন্তু তাই বলে আর রিস্ক নিতে চাই না।।তাই যা জিগাসা করেন উওর দিচ্ছি।।
উনি আমাকে নানান রকম উপদেশ দিয়ে যাচ্ছেন যা আমি এক কান দিয়ে ঢুকাচ্ছি তোনআরেক কান দিয়ে বের করছি।।
ভার্সিটির গেটের সামনে এসে গাড়ি থামালেন।।
আমি নেমে যেতে নিলেই তিনি বলতে লাগেন,,,
—–অল দ্যা বেস্ট।।
আমি মুচকি হাসি দিলাম।।
উনি চলে গেলেন।।আমি গেট দিয়ে ঢুকতেই।।
কিছু একটার সাথে বেজে ধাড়াম করে নিচে পরে গেলাম।।
তখনি,,,,,
তখনি কায়নাত বলে ডাকে,,
আমি মুখ উপরে তুলে দেখি একটি সুদর্শন পুরুষ আমার সামনে দাড়িয়ে আছেন।।আমার কেন যানি তাকে খুব চিনাচিনা লাগছে।।বাট মনে করতে পারছি না কই দেখেছি।।আমি আমার শরীরের কাপর ঝাড়ছি আর আড়চোখ তাকে দেখে যাচ্ছি।।নাহ্ আমার অবস্থা এখন এমন হচ্ছে পেট আছে কিন্তু মুখে নাই।।তখনি লোকটি বললে উঠে,,

—-কায়নাত! কেমন আছো? আমাকে চিন্তে পাড়ছো না?? আমি রিয়ান।।ওই যে সেদিন পার্ক আমাদের দেখা হলো।।
—-ও হে! মনে পরেছে।।আপনাকে কিভাবে ভুলতে পাড়ি।।অাপনার জন্য পুর ৩ ঘন্টা হাত ধুইতে হইসে,,শেষের কথাটি বিড়বিড় করে বললাম।।আর কথা গুলো মুখে মেকি হাসি দিয়ে বললাম।।
—-তা এখানে কেন?
—-ভার্সিটিতে মানুষ কেন আসে? এক ভ্রু উচু করে বলাম।।
তিনি মুচকি হেসে বললেন,,,
—-না না আমি বলতে চাইছি তুমি এখানে ভর্তির হয়েছে?
—-জ্বী
—-কোন ইয়ার?
—-ফার্স্ট ইয়ার।।
—-কোন সাবজেক্ট??
বিরক্ত লাগছে তার প্রশ্ন গুলো।।তাও মুখে হাসির রেশ টেনে বললাম,,
—–সাইকোলজি.. আছা আমি আসি।।
বলে পা বাড়ালাম।।
তখনি পিছন থেকে বলে উঠেন তিনি,,
—–ওহো।। আচ্ছা শুনো।।কোনো প্রব হলে আমাকে বলো আমি এখানেই পড়ি ফাইনাল ইয়ারে।।
আমি মনে মনে বললাম,,
—–তোরে কেন কমু? আমি নিজেই একাই ১০০ হুহহহহ।। কিন্তু মুখে হাসি রেখি তাহাকে বলিলাম,,
জ্বী আচ্ছা বলবো।।আসি বলে চলে গেলাম আমার ক্লাস উদ্দেশে।।
প্রথম ক্লাস নেই।।

সেমিনার হবে।।তাই হলে বসে বসে ফোন চাপ ছিলাম।।তখনি হুড়মুড় করে এসে কেউ আমাকে জড়িয়ে ধরে।। প্রথমে ভয় পেলেও।।জড়িয়ে ধরা ব্যাক্তিটিকে দেখে আমি চিৎকার দিয়ে উঠলাম।।সাথে সে ও।।
এ যে আমার প্রাণ প্রিয় #ক্রাইম_পার্টনার? লিজা।।আমি ওকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠি,,
—তুই এখানে? এত বড় সারপ্রাইজ!!
—-হুম হুম হুম।।তুমি যেখানে, আমি আমি সেখানে সে কি জানো না! বাধা দুজনে, একই বাঁধনে, সে কি মানো না।। সুর টেনে টেনে বলতে লাগে লিজা।।
—-আমি লিজাকে টাইউলি হাগ করে বলি।।আমি যানি পাখি।।তখনি চোখ পরে লিজার সাথে থাকা মেয়েটির দিক।।মেয়েটি আমাদের দেখে হাসচ্ছে।।তখনি লিজ আমার চাহনি অনুসরণ করে তাকিয়ে হেসে দিল, আর বলতে লাগে,,
—-ও হচ্ছে তাথৈ।।আমার কাজিন।।ওদের বাসাতেই উঠেছি।। আর ওই আমাদের সাথে এই ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে।।
—-ওহো ভালই হয়েছে।।হাই আমি কুহু।।হাত বারিয়ে বলতে লাগলাম।।
তাথৈ হাত না বারিয়ে না দিয়ে জড়ায়ে ধরল আর বলতে লাগলো,,,
—–আমি ফ্রেন্ডস ক্লাসমেটদের সাথে ফর্মালিটি পছন্দ করি না তাই তুমি টুমি বলতে পারবো না।।তাই সোজাসুজি তুই বলবো।। তোকেও বলতে হবে।।
আমি কিছুক্ষণের জন্য থ মেরে রইলাম।।আর লিজের দিক তাকালাম।।লিজ হেসে দিল।।আর বলতে লাগে,,
—–ওই এ রকমি!!
হাসতে লাগলাম সবাই।।

তারপর ক্লাস করে যে যার বাসায় চলে আসলাম ভার্সিটি থেকে।।ড্রাইভার চাচা নিয়ে এসেছেন।।ভালই কেটেছে দিনটি।।
রুমে এসে সটান করে শুয়ে পড়লাম।। আজ ক্লান্ত লাগছে খুব।। তখনি বেডের সাইডে টেবিলের উপর একটি গিফট বক্স দেখতে পেলাম।।গিফট কে দিল ভাবতে ভাবতে বক্সটি কাছে নিয়ে আসলাম।। বক্সটি খুলে তো আমি পুরাই থ হয়ে গেলাম।। একটি নিউ ব্র্যান্ডের আইফোন।। তার সাথে একটি লেটার।। ফোনটি রেখে।।লেটার টা খুললাম।।অবাক লাগছে,, এই ইন্টারনেটর যুগে লেটার আমায় কে দিল।।তার সাথে এই ফোন! তাও এত দামি।।লেটার টা খুললাম।।লেটার টা খুলতে ১৮০ বোল্ডের শকট খেলাম,, চোখ গুলো বড় বড় করে এক দফা চিঠির উপর নিচ দেখে নিলাম।।এ যে মিস্টার সাইকোর চিঠি।।উনি আমাকে চিঠি লিখেছেন বিশ্বাসী হচ্ছেনা।।
চিঠি পরে তো ভয়ে আত্মা বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম।। শালা সাইকো চিঠির মাঝেও সাইকোগিরি করছে।।ভাবা যায়!!!
চিঠিতে লিখা,,,!!

“”দেখ এই প্রিয় টিয়ো দিয়ে আমার পক্ষে চিঠি লিখা সম্ভব না।।তাই প্রিয় ক্যানসেল।। এখন হয়তো ভাববি চিঠি কেন লিখছি।।দেখ তোর সাথে বিগত কদিন যাবত খুব রুট ছিলাম, যানি অনেকটা কষ্টও দিয়ে ফেলেছি তোকে।।তার জন্য সরি।।আমি কাউকে কখনো সরি বলি না তুই ফাস্ট।। তাই বলে নাচতে শুরু করিস না।।আর ভার্সিটিতে গিয়েছিস বলে পেখম তুলে নাচতে হবে না।। আকাশে উঠতে হবে না।। মাটিতেই থাকিস।।আর হে ছেলেদের থেকে ১০ হাত দূরে থাকবি।।নয় তো তোর জন্য সেটা ভাল হবে না বুঝলি।। আর হে খাবার দাবার সময় মতো করবি।।সারাদিন এখানে-সেখানে ধেই ধেই করে ঘুরে বেড়াবি না।।আমি নেই বলে যা ইচ্ছে তা করবি এটা ভাবিস না আমার নজর 24/ 7 আওয়ার তোর দিকে থাকবে।। তাই বলে ভ্যাবলার মতো সিসিটিভি ফুটেজ খুঁজতে যাসনে।।আমি এতটাও চিপ মাইন্ডেড নই।। যে তোর নামে ক্যামেরা ফিট করবো।। তাই বলে এতটা ভালো নই,তো সাবধানে থাকিস।।আমার কথা বরখেলাফ হলে তোর জন্য ভাল হবে না,,যেদিন বাংলাদেশে ফিরবো তাহলে সে দিন তোর জন্য কাল হয়ে দাড়াবে।।সো বি কেয়ারফুল।।ভাল থাকিস বায়।।খুব শিগ্রই ফিরব।। “”

উনার লেটার পড়ে আমি স্তব্ধ।। এটা লেটার ছিল না ছোট খাটো হুমকি।। ?
;আল্লাহ প্লিজ সেভ মি।।
তার মানে সাইকো বাসায় নেই কিন্তু গেল কই???
জাহান্নামের চৌরাস্তায় যাক আমার কি ?।।
বাট ফোনটা সুন্দর।।ফোনটা ওন করলাম।।ক্যামেরা সেটিং দেখলাম।। বাহ স্লোমো আছে।।এখন আমার টিকটক আরো সুন্দর করতে পারবো ইয়া হু।।।
না চাইতো সাইকো তোরে ধন্যবাদ।।।
ফোনটা চার্জ দিয়ে নিচে নেমে আসলাম।।
নিচে এসে জান্তে পারলাম,বিজনেসের কারণে আব্রড গেছে তাও ২ মাসের মতো নাকি সময় লাগবে আসতে।।মামাও নাকি গেছেন সাথে।।আমার যে কি খুশি লাগছে কি বলবো।।নাচতে ইচ্ছা করছে যাই হোক।।দু মাস শান্তি পাবো তো।।
পরের দিন ভার্সিটিতে গেলাম।।
আজ ভার্সিটিতে তেমন ক্লাস ছিল না তাই, লিজ, আমি, তাথৈ মিলে পার্ক চলে আসলাম।।
কতক্ষণ ঘুরলাম তারপর ফুচকা খেতে গেলাম।। ;ফুচকা খাওয়া শেষে একটা লেকে ধারে হাটতে লাগলাম তিনজনে।। এর মাঝে লক্ষ করলাম,,দুটি ছেলে আমাদের কখন থেকে পিছু নিয়েছে।। প্রথমে মনের ভুল ধারণা ভেবে এগুলোর করলাম।। কিন্তু পরবর্তীতে দেখি আমরা যেখানে দেখে তারাও সেখানে সেখানে।। এবার ডাউট হলো।। তাথৈ আর লিজকে সব বললাম।। তারাও খেয়াল করলো।।তারপর আরো কনফার্ম হওয়ার জন্য তাথৈ বলে উঠলো,,,

Psycho is back part 5+6

—-এক কাজ করি আমরা সামনে গিয়ে ওই গাছটা লুকিয়ে পরি।।যদি তারা আমাদের খুজে তাহলে আমরা কনফার্ম হয়ে যাব তা আমাদের ফলো করছিল।।
যা ভাবা তাই কাজ।।আমরা সামনে গিয়ে লুকিয়ে পড়লাম।।লুকিয়ে দেখতে লাগলাম।।তখনি বুঝতে পারলাম আমাদের ফোলো করছে।।তখনি আমাদের ছেলে গুলো না পেয়ে কাউকে কল করলো।।
তারপর তারা সেখান থেকে চলে গেল।।
আমরা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।। মজাও লাগছিল তাদের আমরা মজাটা দেখালাম।। তারপর আমরা হাসিহাসি করতে করতে চলে গেলাম।।

এভাবে কেটে যায় কিছুদিন।। হাসি ঠাট্টা তামাশা করে দিন পার করলাম আমরা।।এরি মাঝে কিছু নিউ ফ্রেন্ডস হইসে।।আর রিযানের সাথে ভাল ফ্রেন্ডশিপ হয়েগেছে।।তিনি ভার্সিটিতে অনেক হেল্প করেন আমাদের।।
রাতে পড়তে বসেছি।।নতুন বই সব কিছু ঘেটে ঘেটে দেখছি।। তখনি টুংটাং করে আমার ফোন বেজে উঠলো।। ফোনটা রিসিভ করতেই।।ফোনের ওই পারের ব্যাক্তিটির ভয়েস শুনে জমে গেলাম ভয়।।ব্যক্তিটি রীতিমতো ধমকানি শুরু করেছে।। আমি সাথে সাথে ফোন কেটে দিলাম।।আর তখনি একটি মেসেজ আসলো ফোনো।।কাঁপাকাঁপা হাতে ফোনটি তুলে স্ক্রিনে মেসেজটি দেখে আরো ভয় লাগতে লাগলো।। আবার কল আসলো।। ফোন রিসিভ করতেই,,,,

Psycho is back part 9+10