Psycho is back part 17+18

Psycho is back part 17+18
apis indica

—–দাদু চাচুর এতো বড় দোষ তোমরা ক্ষমা করতে পাড়লে,, ওই বাচ্চা মেয়েটিকে মানতে দোষ কই?? আমি বুঝি না?? আর বড় আম্মু তুমি যদি দিব্যি সব ভুলে গিয়ে থাকো তো এত বছর কেন কথা বল না বড় আব্বুর সাথে?? বড় আব্বু যা করেছেন তার শাস্তি শুধু কুহু কেন পাচ্ছে?? জম্মের পর মা হাড়ায় মেয়েটি, তার বাবা থেকেও নেই??হুয়াই দাদু??
—–তুমি জানো না কেন??তুমি তো তখন এতটাও ছোট ছিল না এহসান,,।।
—-হুম ছিলাম না।।আমি নিজে যা দেখেছি, তাতে তো কুহুর কোনো দোষ ছিল না।।তাহলে কেন ওই মেয়েটির সাথে তোমরা এমন করছো।।ভুলে কেন যাচ্ছো তোমাদের বড় ছেলের অংশ সে?
—–হুম চাইছি ভুলতে।। ওই মেয়েকে দেখলেই আমার কায়নাতের কথা মনে পড়ে যায়।।সেই চোখ, সেই চেহারা, সেই চঞ্চলতা।। ওকে দেখলেই মনে পরে যা ওর মার জন্য আমার ছোট সংসারের সুখ শান্তি কিভাবে কেড়ে নিয়েছে তার মা কায়নাত।।

—–তো বড় আব্বুও এর জন্য কম দায়ি নই??
—– না নই।।তোর বড় আব্বুকে তার মা তার রূপের জালে ফাসিয়েছে।।শেষ করে দিয়েছে সব।।
—-বাহ দাদু বাহ।। এক হাতে তালি বাজে না তা তুমিও জানো আর আমিও।।তোমার ছেলে যে যেছে গেছে তা বল না কেন…!! তোমার ছেলেই তার কাছে গিয়েছিল,, সে তো আসে নি?? বলতে গেলে তার চরিত্রে দোষ ছিল….!!
—–এহসান…!! বলে ঠাস করে চড় মেরে দেয় তার বড় আম্মু।।
—-এতক্ষণ যা যা বলেছো,, সব শুনেছি, আসচ্ছি পর থেকে সেই মেয়েটিকে নিয়ে তোমার মাতামাতি দেখেই যাচ্ছি,,কিছু বলিনি….!! কিন্তু তাই বলে তুমি তোমার বড় আব্বুর চরিত্র নিয়ে কথা বলতে পারো না।। যা দোষ ছিল ওর মার,, আমি নিজে কায়নাতের কাছে গিয়েছি,, পায়ে পড়েছি,, বলেছি,, যেন দূরে সরে যায় ও আমাদের জিবন থেকে।। সে কি বলেছিল জানো?? বলেছিল পারবেনা।।তাকে আমি আমার তিন সন্তানের দোহাই দিয়েছি।।কিন্তু সে….!! তার রং দেখিয়ে গেছে।। ভাল হয়েছে মোরে গেছে।।নিশ্চয়ই জাহান্নামের আগুনে পুরছে।।
—–বড় আম্মু মানলাম কায়নাত আন্টির সব দোষ??তো কুহুর কি দোষ??তোমরা কেন মেনে নিচ্ছো না??
তখনি দাদু বলে উঠেন,,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

—–কোনো জারজ, নাজায়েজ সন্তানকে আমরা কেন নাম দিব??আর তারতো কোনো প্রুভ ও নেই,, যে তোর বড় আব্বুর সন্তান??
—–দাদু তুমি এসব কি বলচ্ছো,,, তুমি নিজেও জানো কুহু বড় আব্বুর,,,।।
বাকিটা বলতে না দিয়ে বড় আম্মু বলে উঠে,,
—-ঠিক বলছে,, তোমার দাদু।। কায়নাতে চরিত্র ভালছিল না।। কুহু যে তোমার বড় আব্বুর সন্তান! তার কোনো গ্যারান্টি নেই।।আর এসব কথা এখানেই শেষ কর।। আর ওই মেয়ে একটা অশুভ আত্না ঠিক তার মার মতো।।সেও যখন আমাদের লাইফে আসে,,তখন সব শান্তি কেড়ে নেয়।।আর এখন এই মেয়ে এসেছে সব উলোট পালট করে দিয়েছে।।
—-দাদু, বড় মা তোমরা এতটা নিষ্ঠুর কিভাবে হতে পারো??একটা মেয়েকে এসব….!!
—–আর কিছু বলতে চাই না এহসান।।ঘুমুতে যাও।। আর কালকের পর যেন তোকে ওই মেয়েকে নিয়ে এত মাতামাতি না দেখি তাহলে তোর দাদু হারাবি।।
দাদুর ঘরে, দাদু, এহসান আর বড় আম্মু তাদের কথোপকথন চলছিল।।তখনি বাহিরে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ বাহিরে আসে এহসান,, দেখে কুহু দাড়িয়ে আছে,, সারা শরীর তার কাপচ্ছে,,সাথে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে অনর্গল।।হাতে থাকা পানির জগটি মাটিতে পড়ে ভেঙ্গে গেছে। এহসান যখনি কুহুকে ধরতে চায় কুহু দৌড়ে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে কাঁদতে লাগে।।
তখন আমায়রা আপি আমাকে খাইয়ে চলে গেলেন,,

তার সাথে অনেক কথাও হলো।।
উনি খুব ফ্রী মাইন্ডে।।
আপি যাওয়ার সময় তার ফোনটা আমার রুমে ভুলে রেখে চলে গেছেন।।যা ক্রমাগত বেজে চলেছে।।না পারতে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি স্ত্রিনে লাভ লিখা।।তাই ফোনটা নিয়ে রুম থেকে বাহিরে আসি।।সিঁড়ির কাছে এসে থমকে যাই।।তাই আড়ালে চলে যাই পিলারের।।
সকলেই ডিনার টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছেন।।
কি সুন্দর, হাসি ঠাট্টা করে কথা বলছেন, সেখানে একটি আন্টি তাদের খাবার দিচ্ছেন বেড়ে।।দাদু তাকে বড় বউ ডাকছেন।।হয়তো তিনি আমার মা??
সৎ মা বলতে কেন যেন মন সায় দিলোনা তাই মা বললাম।।মা তো মাই হয়! সে সৎ হত আর আসল।।মাকে দেখে সত্যি জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে।।তাকেও মা বলতে ইচ্ছা করছে।।পাশেই আমার বাবা বসা।।বাবর মুখেও হাসি, তৃপ্তির হাসি।।তার সম্পূর্ণ পরিবার তার সামনে হাসচ্ছে, খেলছে খুশিতো হবেই।।আমার খুব লোভ হচ্ছে।।সত্যি!! আমি যদি তাদের পরিবারের ছোট একটা অংশ হতে পারতাম।।তাদের এই খাবার টেবিলে আমার একটি জায়গা হতো??তাদের মনের কোনে আমাকে একটু ছোট জায়গা দিত???দিবে কি কখনো??

সবাই তানহাকে মুখু তুলে খাইয়ে দিছে।।সে নাকি আমার বোন,, তার পাশেই আমার বড় ভাই আয়মান, আর তার বউ আমায়রা আপি বসা।।আমায়রা আপি ভাইয়ার ওয়াইফ।।তাদের রিলেশনে বিয়ে।।কি সুন্দর হাসি খুশি ফ্যামিলি তারা।।
আর আমার কেউ নেই শুধু নানু মা ছাড়া।।ইসসস!! আমি তাদের ফ্যামিলির একটি অংশ হতে পারতাম।।এসব ভাবতে ভাবতেই ঘরের দিক যাচ্ছিলাম তখনি এহসান ভাইয়া আমাকে টেনে নিচে নিয়ে আসলেন সবার সামনে।।
তখন খাবার টেবিলে সবাই চুপ হয়ে গেলেন।।আমার নিজের কাছে তেমন জানি আন ইজি ফিল হচ্ছিল।।তাই চলে যেতে নেই।।কিন্তু এহসান ভাইয়া আমাকে চেয়ার টেনে বসিয়ে দেন।।তখন সাথে সাথে তানহা মেয়েটি দাড়িয়ে যায়!!
—-আম্মু আমার খাওয়া শেষ।। বলে গট গট করে চলে গেল।।কিছুক্ষণ পর আয়মান ভাইয়া,, এহসান ভাইয়ার বড় আম্মু, দাদু সবাই চলে গেলেন।।

টেবিলে শুধু দাদা, আমার বাবা, আর এহসান ভাইযা, তার আব্বু আম্মু রয়ে গেলেন।।তখনি দাদা আমার দিক তাকিয়ে বলতে লাগেন,,
—–এহসান কাজটা ভাল কর নি!! বলে তিনিও চলে গেলেন।।
আর বাবা একবার আমার দিক তাকিয়ে দাদার পিছনে চলে গেলেন।।
আমার এখন জানি কেমন লাগচ্ছে,,
সবাই আমার জন্য খাবার ছেড়ে চলে গেলেন,,
আমি কি এতি খারাপ,,,
কলিজা ছিড়ে যাচ্ছিল আমার।।
চোখে যেন কান্না আটকাতে পারছি না।।তাই দৌড়ে রুমে চলে আসলাম।।আর তখন ইউসুফ কল করে,,
চোখ মুখে ফোনটা রিসিব করতেই বলতে লাগেন,,
—-কি করছে আমার বাবুইপাখিটা??খেয়েছে সে??
—-হুম খেয়েছে!! আপনি খেয়েছেন??
—–হুম খেয়েছি।।তা কি করছে বাবুই??
—–কিছু না।।আপনি??
—–আমি তো আমার মো না লি সার সাথে কথা বলছি।।
আমি ফিক করে হেসে দিলাম।।
আর তিনি বলতে লাগেন,,

—-যাক আমার বাবুইপাখি হাসলো লাস্ট পর্যন্ত।।তোমার হাসির জন্য কতটা পাগল তুমি জানো না বাবুইপাখি।।
“তোমার ওই ঠোঁটের হাসিতে প্রতিবার হই কাতাল
তোমার ওই চোখের চাহনীতে ঘায়েল হই কতখানি,
তোমার ওই মন মাতানো শরীরের ঘ্রাণ টেনে আনে বার বার।।
তোমার ওই মিষ্টি হাসিতে মাতাল হয়েছি কত যে বার।।
তুমি যে আমার নেশা,তোমাতেই আমি মাতাল।।””
—–তাই নাকি??আজ আপনার কথা শুনে কবি কবি লাগচ্ছে।। একটু হেসে।।
—–কোনো এক মহাপুরুষ বলেছিল,, যখন মানুষের মনে প্রেম, ভালবাসার আবির্ভাব হয় তখন নাকি মানুষ কবি হয়ে যায়।।আর জানো যত কবি,, আছে তারা কেউ প্রেম, ভালবাসা, নয়ত ছেঁকা খেয়ে কবি হয়েছেন।।বুঝলা বাবুইপাখি।।
—–এতো ভাল কেন বাসেন??
—–তুমি যে বাসনা তাই!!বাবুইপাখি??আমাকে কি ভালবাসা যায় না??
—–আমি চুপ।। কি বলবো তারে??
—–আচ্ছা থাক বলতে হবে না।।আমিতো বাসি তাতেই চলবে।।

এভাবে অনেক রাত পর্যন্ত ইউসুফের সাথে কথা হয় আমার।।ধীরো দীরে সে আমাকে তার প্রতি আসক্ত করে তুলছে।।বেচারাকে আমিও যে ভালবেসে ফেলেছি??কিন্তু তাকে যে মুখ ফুঁটে বলতে পারছি না।।কিন্তু তিনি যে অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে।।আমার এই কথাটি শুনতে।।নাহ আর তাকে কষ্ট দিবো না।।তাকে এবার বলেই দিব।।সে আমার কাছে একজন ম্যাজিশিয়ান।। যে যাদুকে সব দুঃখ, কষ্ট গুঁজে দেয়,,মুহুর্তে আর হাসি ফুঁটিয়ে তোলে।।
এসব ভাবচ্ছি,, তখন পানি তৃষ্ণা পেলে।।তাই টেবিলের কাছে পানি নিতে যাই।।কিন্তু জগে পানি নেই।।তাই নিচে যাচ্ছিলাম পানি আনতে,, আর তখনি দাদুর ঘরের মধ্যে এহসান ভাইয়ার জোড় গলায় কথা শুনা গেল।।তখন তাদের নিজেদের ব্যাপার বলে চলে যেতেই নেই তখনি শুনতে পাই আমার মার কথা।।তাই না চাইতেও দাঁড়িয়ে যাই সেখানে।। আর যা শুনলাম।।তার জন্য মোটেও তৈরি ছিলাম না।।

সাথে সাথে আমার হাতে থাকা জগ টা মাটিতে পড়ে যায় আর দৌড়ে চলে যাই ঘরে।।এহসান ভাইয়া পিছন থেকে বার কয়েক ডাকলেন।।কিন্তু আমার যে দাড়িয়ে থাকার মত অবস্তা নেই।।আমি দরজা লাগিযে কাঁদতে লাগি।।এত দিন যা জানতাম সব ভুল সব।।আমি নাজায়েজ কথাটি বার বার যে কানে বাঁজতে লাগল।। আমি আজ চিতকার করে কাঁদচ্ছি।।আমার মাকে তারা খারাপ বলছে? আমার মার নাকি চরিত্র ভাল না।।
আমি এসব বিশ্বাস করি না।।কিন্তু আমি যে নাজায়েজ।। আর পারছি না সইতে।।মাথাটা কেমন জানি ঘুরছে।।চোখর সামনে সব ঘোলাটে লাগছে।। ধীরে ধীরে দেয়াল ধরে বিছানার পাশে বসলাম।।আর গা এলিয়ে দিলাম বিছানায়।।ধীরে চোখ বন্ধ হয়ে আসলো।। চোখের সামনে সব আন্ধকার হয়ে উঠলো।।তার পর আর কিছু মনে নেই আমার।।
খুব সকালে চোখটা খুলে যায় আমার।।
বাহিরের আজানের মিষ্টি সুর কানে আসচ্ছে।।
ধীরে ধীরে উঠে বসি আমি,,মাথাটা কেমন ভার ভার লাগচ্ছে।।রাতের কথা গুলো মনে পড়তেই আবার চোখটা ঝাপসা হতে লাগলো।।চোখের কোন থেকে জল গড়িয়ে পড়তে লাগলো অনর্গল।। চোখটা মুছে বিছানা থেকে ওয়াশরুমে চলে যাই।।শাওয়ার টা ছেড়ে কিছুক্ষণ ভিজতে থাকি।।মনের মাঝে অনেক প্রশ্ন জমা হয়েছে,, সকল প্রশ্নের উত্তর যে বের করতে হবে আমার…!!
ফ্রেস হয়ে নামাজ আদায় করে নেই।।এই একটি জায়গায় যেন কোনো কষ্ট, দুঃখ নেই শান্তি আর শান্তি।।মনের সকল অভিযোগ, অভিমান, মোনাজাতের মধ্যে আল্লাহর কাছে তুলে ধরি।।নামাজ শেষে,, নিজের ব্যাগপত্র গুছিয়ে নি।।
এখানে যে আর এক মুহুর্তে থাকা সম্ভব না আমার।।আমি তো না…জায়েজ, অশুভ আত্মা।।আমার মতো মানুষ গুলোর এ ভদ্র পরিবেশে কোনো জায়গা নেই যে…!!
ব্যাগপত্র হাতে নিয়ে বের হতেই রুমের বাহিরে দেখা হয় আমার মা মানে সৎ মা তিনি আমাকে দেখে দাড়ালেন, আর ভ্রু কুচকে জিগাসা করলেন,,

—–এই মেয়ে এত সকালে কই যাও?
আমি মুচকি হেসে জবাব দিলাম,,
—–চলে যাচ্ছি,, মা,,, সরি আন্টি।।
—–চলে যাচ্ছো মানে কি? তাও এতো সকালে?? বাহিরে আলোও ফুঁটে নি এখনো!!
—–না আন্টি সমস্যা নেই চলে যেতে পারবো,,এমনিতে না চাইতো অনেক ঝামেলায় ফেলে দিয়েছি।।তার জন্য ক্ষমা করবেন।।আর চেষ্টা করবো আপনাদের সবার থেকে দূরে থাকতে।।
বলেই সামনে পা বাড়ালাম।।
তখনি তিনি বলে উঠেন,,
—–ঠিক মার মতো হয়েছো,,, সে ডং করতো তুমিও তাই!! তোমার এখন এখান থেকে চলে যাওয়ার সকল দোষ আবার এসে পরবে আমাদের গায়।।কেন শান্তি দেও না তোমরা।।
আন্টির কথায় পা থেমে গেল আমার,,আমার আর মার জন্য তার মনে কতো ক্ষোভ তার মনে।। আমি হেসে বললাম,,
—–আন্টি চিন্তা করবেন না আমি বলে দিবনে ভাইয়াকে।।
—–তোমার কি মনে হয়? তোমার এভাবে চলে যাওয়া হাজার বার তুমি বললেও সব দোষ পড়বে আমাদের।।তার উপর দেখা যাবে এহসান এঙ্গেজমেন্টটাই করবে না।। যা রুমে যাও তোমার, আর অনুষ্ঠানের পর চলে যেও দয়া করে আর কোনো তামাশা করো না প্লিজ,, আর হে আজকের পর থেকে তোমার এই চেহারা আমাকে দেখিও না।। তোমাকে দেখলে আমার ভিতরে ক্ষত গুলো তাজা হয়ে যায়।।

বলে তিনি চলে গেলেন।।
আমি কি করবো ভাবচ্ছি থাকবো না চলে যাবো তখন চাচি আম্মু এসে হাজির,,,।।
—–কুহু তুই কই যাচ্ছিস??
—–বাসায়।
—–মারবো এক চড়! যা ঘরে।।এহসান এ গুলো শুনলে কত রাগ করবে জানিস তুই।।বলে তিনি আমাকে টানতে টানতে রুমে নিয়ে এসে বেডে বসিয়ে দেন।।আর শাসনের সুরে বলেন,,
—-আনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগে এক পা বাড়ালে ভুলে যাস আমাকে…!! বলে চলে গেলেন।।
তাই বাধ্য হয়ে থাকতে হলো।।আর যাই হোক ছোট থেকে চাচা চাচি আম্মু, এহসান ভাইয়া অনেক করেছেন আমার জন্য,, তাদের খুশির জন্য এতটুকু করতে পারি।।
সন্ধ্যা হতেই সবাই চলে এসেছে।।চারিদিক খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছ।।এহসান ভাইয়া, আর নুহা আপুকে স্টেজে বসানো হয়েছে।।নুহা আপুকে অনেক সুন্দর লাগচ্ছে।।পার্লার থেকে সেজেছে।।আমি এক কর্ণারে দাড়িয়ে সব দেখছি।।
এদিকে ইউসুফ, তার বাবা-মা, আর তার দাদু গাড়িতে বসে পড়ে,, গন্তব্য এহসানের বাসা।।
গাড়ি স্টার্ট দিয়ে নানান রকম কথা বলছেন তারা।।কিন্তু দাদু যেন চুপ,, আজকে না এহসান যবে থেকে কুহুকে নিয়ে গেছে তবে থেকেই তার মনটা কেমন খচখচ করছে।।

এহসানদের বাসার রাস্তায় এসে গাড়ি থামায় তারা।।আজকেই প্রথম এসেছে তাই বাড়ি চিনে না।।
সামনের লোকটিকে জিগাসা করতেই বাড়ি দেখিয়ে দিল।।
বাড়িতে ঢুকতেই ইউসুফ কারো সাথে ধাক্কা লাগে।।
দু জনেই বলে উঠে এক সাথে,, সরি!!বলে দুজন দুজনের দিক তাকায়।।আবার দুজনেই বলে উঠে,,
—-তুই?? বলে দু জন দু জনকে জড়িয়ে ধরে।।আর ইউসুফ বলতে লাগে,,
—তুই এখানে??
—-হে আমার ভাইয়ের এঙ্গেজমেন্ট।।আর তুই?
—-এহসান তোর ভাই??ওই আমাদের ইন্ভাইট করেছে।।
—-হে চাচাতো ভাই আমার।।তুই এহসানকে কিভাবে চিনিস??
—-আমার ফুপাতো বোন কুহুর চাচাতো ভাইসে।।
আয়মান এবার চমকে গেল।।কিছু না বলে হেসে দিল।। আর পিছন থেকে ইউসুফের আব্বু আম্মুকে দেখে সালাম দিয়ে ভিতরে যেতে বলেন।।আর তার পিছনে নানু মা কে দেখে আয়মানের মুখটা গম্ভীর হয়ে যায়।।কিছু বলতে নিবে তার আগেই ইউসুফ বলতে লাগে,,
—-ওহো তোকে পরিচয় করিয়ে দেই?? দাদু আমার।।আর দাদু ও হচ্ছে আয়মান আমার বন্ধু বিদেশে আমরা এক সাথে পড়াশুনা করেছি।।

আয়মান কি বলবে বুঝতে পারছেনা।।সে চুপ থেকে কিছুক্ষণ,, তার হেসে বলতে লাগে,,
—-আসসালামু আলাইকুম দাদু।।আসেন ভিতের।।
এদিকে ভিতরে গিয়ে ইউসুফ তার বাবইপাখিকে খুঁজতে লেগে পড়ে।।এবং দেখলো কুহু একটি কোনায় দাড়ানো।।ইউসুফ সেখানে গিয়ে পিছন থেকে কুহুর চোখ ধরে ফেলে।।
—-ইউসুফ ভাইয়া?? আপনি…! আমি জানি। কখন আসলেন??
ইউসুফ আমার চোখের উপর থেকে হাত সরিয়ে সামনে এসে বলে,,
—-কেমনে বুঝলি বাবুইপাখি, হালকা গাল টিপে দিয়ে বলল ইউসুফ।।
—–আমি বুঝতে পারি।।
—–কিভাবে??
—-বলবো না,, সিক্রেট।।
—-বাহ আপনার সিক্রেট ও আছে??
—-হুম আছে অনেক,, আনমনে বলে দিলাম।।
ইউসুফ ভ্রুকুটি কুচঁকে বললো,,
—-মানে??
—-না না কিছু না।। ভাইয়া সবাই এসেছেন??
—-হুম এসেছে।।তুই কি বলতে….!!
ইউসুফের কল চলে আসে।।
তখন আমি বলি,,
—-আপনি কথা বলুন আমি নানু মাদের সাথে দেখা করে আসি।।
—-হুম।।বলে ফোন রিসিভ করেন।।
ফোনে কথা বলে পিছনে ঘুরতেই মুড খারাপ হয়ে যায় ইউসুফের।।খুব বিরক্তি নিয়ে নাক মুখ কুচঁকে বলতে লাগে,,,
—–তুমি!!!

Psycho is back part 15+16

আয়মানের বাবা-মা, আর ইউসুফের বাবা-মা কথা বলতে থাকেন।।এত বছরের সম্পর্ক তাদের সম্পর্ক শুধু শুনেছে যে আয়মানের একটি ছোট চাচা আছেন।।তারা বাংলাদেশে থাকেন।।আর তার উপর এহসানের বাবাই যে তার ছোট জানা ছিল না তাদের।।তার উপর এখানে কিছু জিনিস কেমন জানি ঘোলাটে লাগছে তাদের কাছে।।যেমন, আয়মানের বাবা আর এহসানের বাবা দু ভাই আর এক বোন হলে..!! কুহু তাহলে আয়মানের বাবার সন্তান কিন্তু।।ইউসুফের বাবা-মা যতটুকু জানে,, তার বোনের মৃত্যুর পর তার বাবা বিয়ে করেছে তাহলে,, কুহুর বাবা কে???
আর এদিকে আয়মানের ফ্যামিলি পুরাই শকড,,, কুহুর মা তাদের পরিবারের অংশ??কিন্তু এত বছর সাথে ছিল তারা বিদেশে শুধু তাদের সম্পর্কে যানত মা আর বোন আছে,,বোনটা মারা গেছে,,তার নাকি একটা বাচ্চা রেখে গেছে।।এর থেকে বেশী জানা হয়ে উঠেনি কারো।।সকলেই এখন শুধু অনুষ্ঠান শেষের অপেক্ষায়।।

দু পরিবারের মাঝে অনেক প্রশ্ন হলেও,, সবচেয়ে বেশী প্রশ্ন কুহুর মামা-মামীর।।কি হচ্ছে মাথায় কিছু আসচ্ছেনা।।এ সকল প্রশ্নের উত্তর শুধু আছে নানু মার কাছে।।এদিকে নানু মার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসচ্ছে।। যা এত দিন যাবৎ লুকানো ছিল তা এভাবে সবার সামনে আসবে জানা ছিল না তাঁর।।এখানে আসার পর থেকেই কেমন জানি লাগচ্ছে তাঁর,,তিনি স্টেজের একটু দূরে বসে আছেন।।তখনি দেখেন তাঁর ছেলের বউ আর ছেলে তার দিকে আসচ্ছে।।তাঁরা এসেই প্রশ্ন ছুড়লো!!
—–মা এসব কি হচ্ছে??কুহুর বাবা কে?
নানু মা হয়তো এই ভয়ে করছিলেন।।তিনি ঘামতে লাগলেন।।আর তাঁর সাথে উনা কথা গুরো কেমন জড়িয়ে যাচ্ছে।।
—–আমি,, আমি…!!
—–কি হয়েছে মা।।
নানু মা আর কথা বলতে পারলেন না সেখানেই জ্ঞান হারালেন।।

Psycho is back part 19+20