Tell me who I am part 25

Tell me who I am part 25
আয়সা ইসলাম মনি

সালটা ২০০৩। স্কলাস্টিকা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রধান ফটকের অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে আছে তিন কিশোর। বয়স ষোলো কিংবা সতেরোর বেশি নয়। অথচ তাদের প্রতিপত্তির স্বাক্ষর রেখে ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি।
স্কুলের ক্লাস শেষ হতে তখনো বাকি দুই ঘণ্টা। টিফিন টাইমের ফাঁকে তারা জড়ো হয়েছে।
তারা আর কেউ নয়—ডার্ক, ব্লাডশেড, অবস্কিউর।

এমন অদ্ভুত, খাপছাড়া নাম শুনে নিশ্চয়ই মনে হতে পারে, এরা কি বাঙালি কিশোর? প্রকৃতপক্ষে, এ নাম তাদের পিতামাতার দেওয়া নয়। বরং নিজেদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকেই প্রতিফলিত করে স্বয়ং তারাই রেখেছে এই নামগুলো।
ডার্ক, ডা. আবেলার্দো অ্যান্ড্রুর একমাত্র পুত্র। যদিও তার বাবা বাংলাদেশের কেউ নন, তিনি ইংল্যান্ডের একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। তবে তার মা বাংলাদেশের একজন ডাক্তার, এবং এখানেই তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা।
ব্লাডশেডের বাবা এক প্রভাবশালী ও বিত্তশালী ব্যক্তি। তার মা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে পড়াশোনা করেছেন। একসময় তিনি ছিলেন এক বিখ্যাত চিত্রশিল্পী, যদিও পরিচয় গোপন রেখেই নিজের নামের সংক্ষিপ্ত স্বাক্ষরে রং-তুলি চালিয়ে গেছেন।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

অবস্কিউর, তার নামের গভীরতাই রহস্যময় অতীতের গল্প বলে দেয়। তার জন্মদাতা জেনারেল অবিনিশ সরকার। তবে অবস্কিউরের অতীত ঘিরে রয়েছে বিভীষিকাময় অধ্যায়। ছয় বছরের ছোট ছোটভাইকে, সে জন্মের পর থেকেই ঈর্ষার দৃষ্টিতে দেখত। তাই এক রাতে নিজের হাতেই শেষ করে দেয়। শুধু হত্যা নয়, ভ্রাতার র*ক্তে পিপাসা নিবারণ করেছে। এখানেই শেষ নয়; এক বছরের বাচ্চাটাকে টুকরো টুকরো করে হাত পা মা*থা কে*টে সেগুলো দিয়ে খেলনার জিনিস বানিয়েছে। বাচ্চাটার মাথা*টা হলো ফুটবল, সেটাকে বারংবার লাথি দিয়েছে। হাত পা কে*টে কে*টে কিমা করে সেগুলো নিজের পোষ্য কুকুরকে খাই*য়েছে। আর বাকি বুকের পেটের মাংসগুলো বর্গাকৃতির কেটে কাজের লোকের কেটে রাখা মুরগির মাংসের সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আবার খাওয়ার সময় সেগুলো চিবিয়ে পরম আনন্দে খেয়েছে। পরবর্তীতে যখন তার বাবা মা বুঝতে পারে তাদের প্রাণপ্রিয় ছোট সন্তানকে স্বয়ং তার বড় ভাই-ই মেরে ফেলেছে; রাগে দুঃখে অবস্কিউরকে ইচ্ছামতো পেঁদানি দিলেও অবস্কিউর তখন হেসেছে। যদিও মারতে মারতে সাত বছরের অবস্কিউরের শরীর র*ক্তাক্ত বানিয়ে ফেলা হয়েছিল কিন্তু অবস্কিউর অনুভূতিহীন হেসেছে শুধু। ওর এমন ভয়ং*কর মুখমণ্ডল দেখে শেষমেশ ওকে ত্যাজ্য করা হলেও অবস্কিউর এর চাচা ওর উপর দয়ামায়া করে লালিতপালিত করার দায়িত্ব নিয়েছেন। অবস্কিউর এর হ*ত্যা করার স্বভাব বাল্যকাল থেকে হলেও ধর্ষ*ণের শুরু হবে এখন থেকে।

এবার তাদের নামের বৈশিষ্ট্য দেওয়া যাক।
ডার্ক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। নামটা বন্ধুসভার বাকি দুজন মিলেই রেখেছে। এর হেতু এই যে, ডার্ক ছোটবেলা থেকেই ডার্ক রোমান্স লাভার। কীভাবে নৃশংস*ভাবে ধ*র্ষণ থেকে শুরু করে সহিং*সতা, অ*সহিষ্ণুতা, আ*বেশ, সন্দেহ*জনক সম্মতি বা অসম্ম*তিমূলক কাজগুলি, বি*ডিএস*এম অর্থাৎ শারীরিক প্রতিবন্ধ*কতা (চোখ বাঁধা, মুখে কাপড় দিয়ে কথা বলা রোধ করা ইত্যাদি) আরোপ করা। সাধারণত এসব কাজে দড়ি, হ্যান্ডকাফ, শিকল, টেপ, চামড়ার বেল্ট ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এসব ব্যাপারে পারদর্শী ডার্ক, যার নিমিত্তে তার এরূপ নাম দেওয়া হয়েছে। যদিও আজকের ধর্ষ*ণ তার জন্য প্রথম নয় সে পূর্বে থেকেই অবগত।

তার প্রথম ধর্ষ*ণ শুরু হয় যখন তার বয়স মাত্র ১২। আর সেটাও নিজের বোনকে দিয়েই। জি হ্যাঁ, পালিত বোনকে দিয়েই তার ধর্ষ*ণের শুরু। ডা. আবেলার্দো এ্যন্ড্রুর কোনো মেয়ে সন্তান না থাকায় এতিম খানা থেকে একজন শিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন, যার নামকরণ করা হয় বেল। বেল ডার্কের থেকে দুই বছরের ছোট। দেখতে বাঙালি হলেও তার চোখজোড়া শিয়ালের চক্ষের ন্যায়, যা অসম্ভব আকর্ষণীয়। বেলের গায়ের রঙ্গ দুধের সরের ন্যায় হালকা হলুদ ফরসা। ডার্ক জন্মের পর থেকেই বেপরোয়া উ*ন্মাদনা স্বভাবের। তার যেটা চাই তো সেটা চাই-ই। তাকে বাঁধা দেওয়ার মতো কারো সাধ্যি ছিল না। কারণ কিছু হলেই ডার্ক ক্রোধে ফেটে পড়তো, আর ডার্ক রেগে গেলেই তার চক্ষুকোণ থেকে র*ক্তের ফোটা পড়তে থাকে। তথা এই কারণেই ডার্ককে শাসন করার মতো কেউ ছিল না। ডার্ক যখন থেকে ডার্ক রোমান্স বই পড়ে বুঝতে পেরেছে শারীরিক সম্পর্ক মানে কি, তখন থেকেই তার লা*লসা বাড়তে থাকে। ডার্ক ছোট থেকেই অতি বুদ্ধিদীপ্ত একজন ছেলে। নিজের ভিতর আকাঙ্ক্ষা বাড়লেও বাহিরে উলটো পালটা কিছু করলে যে ধরা খেয়ে যাবে তাই ছোট বয়সে বাহিরে নজর দেয়নি। অথচ প্রতিদিন বেলকে দেখে দেখে ভিতরের অদম্য উচ্ছ্বাস বেড়ে চলতো।

বেলের তখন দশ বছর, ডার্কের মা লুনা ভোরেই হাসপাতালে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেছেন। এখন ঘরে শুধু ডার্ক, বেল সাথে দুজন কাজের মানুষ। বেল নিজের কক্ষে পোশাক পরিবর্তন করতে ব্যস্ত। বেল যদিও দরজা আটকে নিয়েছিল কিন্তু ডার্ক জানালা থেকে বেলের কক্ষে প্রবেশ করতেই আচমকা শব্দে বেল চমকে উঠে জলদি করে গেঞ্জি পরিধান করে পিছনে ঘুরে তাকালো।
ডার্ককে দেখেই মাত্রাতিরিক্ত আশ্চর্য হয়ে শুধালো,
“তুমি এখানে কীভাবে এলে ব্রাদার?”

ডার্ক ঠোঁটের কোনে শয়তানি হাসি দিয়ে সামনে এগোতে থাকে। ডার্কের এমন শয়তানি চেহারা দেখে বেল ভয় পেয়ে দরজা খোলার উদ্দেশ্যে সামনে আগাতেই ডার্ক পাশে থাকা ফুলদানি উঠিয়ে বেলের মাথায় ছুঁড়ে মারতেই বেল ওখানেই দাঁড়ানো অবস্থা থেকে ধপাস করে নিচে পড়ে যায়। তৎক্ষনাৎ মাথা থেকে ভলভলিয়ে রক্ত বেরিয়ে মেঝে রক্তিম হয়ে গেল। এবার কাচির সহিত বেলের শরীরের সম্পূর্ণ পোশাক কুটি কুটি করে কেটে ফেলে। পরবর্তীতে বেলকে উঠিয়ে বিছানায় নিয়ে হ্যান্ডকা*ফের সহিত বেলের হাত বেঁধে ফেলা হলো। সাথে চোখ, মুখ, চরনদ্বয় বেঁধে দেওয়া হলো।

এবার সেই অতৃপ্ত বাসনা পূরণ করার পালা। খুব কৌশলে বেলের পোশাকের বাহিরে যে অংশগুলো দৃশ্যমান, সেই অঙ্গে কোনো আঘাত হানলো না। কেননা লুনা বা বাকিরা হাত, পা মুখে আঘাত দেখলে বুঝে ফেলবে। প্রথমবার ধ*র্ষণের শুরুতেই বেল জেগে উঠে। হাত পা ছোটাছুটি করতে থাকে। কিন্তু বেল যতবার নড়াচড়া করে ডার্ক ততবার বেলের পায়ে, উদরে ছু*রির আঘাত হান*তে থাকে। বেশ কয়েকবার বেলকে ভো*গ করার পর যখন বুঝলো এর থেকে বেশি হলে বেল মা*রা যাবে, তখন থেমে গেল। কিন্তু এদিকে বেলের শরীরে শ শ কাম*ড়ের দাগ সাথে ছু*রির আ*ঘাতের চিহ্ন গাঢ় হয়ে রয়েছে। কিন্তু বেলের এভাবে হাত পা শরীর নাচিয়ে নিজেকে রক্ষা করার পন্থা ডার্কের প্রচুর ভালো লেগে যায়। বেলের কাতরানি, ছটফটানি দেখে ডার্ক অগ্নিচক্ষে ঠোঁটের কোনে তীক্ষ্ণ বাঁকা হাসতে থাকে।

এরপর নিচে গিয়ে লবণ আর মরিচ মিশিয়ে আনল। যদিও কাজের লোক দুজন ডার্কের কাণ্ড দেখেছে কিন্তু ডার্ককে কোনো প্রশ্ন করার স্পর্ধা তারা কখনোই দেখাবে না। যেখানে ডার্কের মা-বাবাই ডার্ককে ভয় পায় সেখানে তাদের সাহস করার কথাই না। ডার্ক সেই মরিচ আর লবণ একসাথে মিশিয়ে আস্তে আস্তে আলতো হাতে বেলের সেই কা*টা আর কা*মড়ের দাগের অংশে প্রলেপ লাগাতে থাকে। সেখানেই বেলের জীবনের সমাপ্তি ঘটার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

এবার বেল এত দ্রুততার সহিত হাত পা মোচড়াতে থাকে যে বিছানার কাপড় অবধি ছিড়ে যায়। কিন্তু বেলের এত কষ্ট দেখে ডার্ক অসম্ভব অতিরিক্ত উল্লসিত হয়ে সেই লবণ মরিচ লাগানো প্রলেপের উপর আরেকদফা ছু*রির আঘাত দিতে থাকলো। এভাবে কিছুক্ষণ কাতরাতে কাতরাতে বেল শান্ত হয়ে যায়। হঠাৎ বেলের নিস্তব্ধতা আর নিথর হয়ে যাওয়া দেখে ডার্ক কিছুটা ভীত হয়ে গেল। কিন্তু বেলের বুকে মাথা রেখে যখন দেখলো হৃৎস্পন্দনের শব্দ শোনা যাচ্ছে তখন নিশ্চিন্ত হলো। অর্থাৎ বেল অচেতন হয়ে গেছে। এবার বেলের চেতনা ফিরাতে একটা পাত্রে করে জল নিয়ে এসে বেলের মুখে ঢেলে দিল। তখনও বেলের জ্ঞান না ফিরায় বেলের উদরের একপাশে কা*মড়ে ধরে মাংস ছিড়ে আনে। অবিলম্বে বেলের জ্ঞান ফিরে আসে যদিও তখনও বেলের চোখ, মুখ, হাত,পা বাঁধা ছিল।
এবার ডার্ক বেলের কানের কাছে গিয়ে বলে,

“তুমি যদি আজকের ঘটনা কাউকে জানাও আমি তোমার অ্যাপোলোকে (বেলের প্রিয় কুকুর) মে*রে ফেলবো তাও নিষ্ঠুরতার সাথে। এমনকি তোমাকেও বাঁ*চিয়ে রাখবো না বেল।” বলে বেলের হাতের বাঁধন খুলে দিয়ে ক্রূর হেসে উল্লাসে মেতে প্রস্থান করে।
বেল চোখ, মুখ, পায়ের বাঁধন খুলে হস্তের দ্বারা মুখ চেপে গোঙাতে থাকে। উম উম শব্দ বের হলেও বেলের যন্ত্রণার আওয়াজ নিচে কারো কানে পৌঁছাতে পারেনি। এরপর বেল গোসল করে শরীর থেকে লবণ মরিচের প্রলেপ আর র*ক্তের কণাগুলো ধুয়ে ফেলে। ঘরে ওষুধের তো অভাব ছিল না, সেখান থেকেই ওষুধ লাগিয়ে নিয়েছে। যেহেতু ডার্ক বুদ্ধি করে দৃশ্যমান অংশে কোনো দাগ বসায়নি সেহেতু লুনা বুঝতেও পারে না তার মেয়ের সাথে কি হয়েছে। এভাবে টানা চার বছর ধরেই বেলকে ডার্ক ভো*গ করে চলেছে। কিন্তু এখন বড় হয়েছে, শুধু বেলকে কেন তার বাহিরের নারীদের প্রতিও ধর্ষ*ণের লোভ জেকে বসেছে।

ব্লাডশেড নামটার অর্থ রক্ত*পাত। ব্লাডশেড র*ক্ত দেখতে পছন্দ করে, কাটা*ছেঁড়ার যত কৌশল তার জানা। চা*পাতি, কা*টার, রা*মদা, রিভলভার, ব্যালিস্টিক ক্ষেপ*ণাস্ত্র, জৈব অস্ত্র এবং সাইবার অস্ত্র থেকে শুরু করে কোন অস্ত্রের কি কাজ, তার থেকে ভালো কেউ জানে না। তার খু*নের শুরু শুধুমাত্র একটা কলম নিয়ে কাড়াকাড়ি নিয়ে।
কোনো একদিন অন্তিক নামের একজন সহপাঠী ব্লাডশেডের একটা কলম নিয়ে দাবি করে সেই কলমটি তার; যা ব্লাডশেড চুরি করেছে। ব্লাডশেড এমন একটা কলম কেন, লাখো কলম অন্তিককে দিতে পারতো। কিন্তু ব্লাডশেডের মস্তিষ্কে দাবানলের ন্যায় দহন জেকে বসে চুরি করেছে শব্দটা কর্নপাত হওয়ায়। ব্লাডশেড সবসময় হুটহাট রেগে গেলেও তার একটা গুপ্ত দক্ষতা হলো অতিরিক্ত রাগে সে শান্ত থাকে। তেমনই আজকে অগ্নিসংযোগের মতো ক্ষেপে গেলেও চোখমুখে শান্তভাব রাখে। যেন কিছুই হয়নি। ছুটির ঘণ্টা পড়ে গেলে অন্তিকের প্রস্রাবের বেগ বাড়লে বাথরুমে চলে যায়। সেখানেই ব্লাডশেড তার স্বীকারকে একা পেয়ে গেল। প্রথমেই একটা বড়সড় পাথর এনে অন্তিকের পিঠে মারে যেন পড়ে গেলেও ম*রে না যায়।

ওকে দিয়েই নিজের খু*নের দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ দেখবে, যেগুলো এতদিন রপ্ত করেছে। পাথর মারার সাথে সাথে অন্তিক মুখ থুবড়ে কমোডের উপর পড়ে যায়। অন্তিকের পিঠ ছিলে র*ক্ত বেরিয়ে স্কুলের শুভ্র শার্ট ভিজে গেছে। তারপরও ভর দিয়ে ওঠার চেষ্টা করলো। কিন্তু ওকে উঠতে না দিয়ে ওর পিঠের উপর ব্লাডশেড বসে ওর ডান হাতটা ধরে উপরে উঠালো। এবার প্যান্টের আন্ডারওয়্যারের একটা পকেট থেকে ছোট সুচের ন্যায় ধারালো একটা ছু*রি বের করলো। এমনিতেই স্কুল সম্পূর্ণ ফাঁকা তারপর চিৎকার করলে আওয়াজ যেন বাহিরে না যায় তাই ছেলেটাকে নগ্ন করে ছেলেটার জামার একাংশ কেটে ওর মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে দিল। ছেলেটা ওঠার চেষ্টা করতেই আবার ওর বুকের উপর পাথরটা বেশ উপর থেকে ফেলে দিল। ছেলেটা ধপাস করে বাথরুমের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। এবার ছেলেটার বুকের উপর বসে ওর ডান হাতটা ধরে ছুরির সাহায্যে একটা একটা করে ন*খ তুলে ফেলতে থাকে। প্রতিটি নখ কাটার সাথে সাথে র*ক্তগঙ্গা বয়ে যায়।

নিজের রক্তা*ক্ত হাত দেখে ছেলেটা ওখানেই মূর্ছা গেল। কিন্তু ব্লাডশেড চায় ও নিজের ধ্বংস সচক্ষে দেখুক। তাই পানি দিয়ে ওর জ্ঞান ফিরালো। এবার ছুরি দিয়ে সুকৌশলে ডান হাতের কাঁধ থেকে হাত*টা আলাদা করে ফেলে। ছেলেটা বাম হাত আর পাযুগল ছুড়ে কাতরাতে থাকে। ওর চক্ষু দেখে ব্লাডশেডের রাগ আরও দৃঢ় হয়। তাই সুচের ন্যায় ছুরিটা খপোত করে ওর চোখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। চিরিৎ করে র*ক্ত ছিটে ব্লাডশেডের মুখমণ্ডল ভিজতে থাকে। ছেলেটার চোখ গলে ভিতরে ঢুকে গেছে। এবার ছুরি*টা নাকের মধ্যে এতটা গভীরতা নিয়ে ঢোকানো হয় যে ছুরিটা মস্তিষ্কে গিয়ে মস্তিষ্কের কিছুটা নিউরন ছুরির সাথে বেরিয়ে আসে।

এখানেই ছেলেটা চক্ষু বন্ধ করে দুনিয়া ত্যাগ করার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু ওকে এত সহজে তো ম*রতে দিলে চলবে না। তাই ওর অণ্ড*কোশ টেনে ধরে কাটতে থাকে। অন্তিক শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার আগে নিজেকে বাঁচানোর আমূল চেষ্টা করে যায়। র*ক্তে পুরো বাথরুম ডুবে যেতে থাকে। পৃথিবীতে সর্বোচ্চ ব্যথা যদি কিছু থেকে থাকে সেটা হলো অণ্ড*কোশ কাটা। সাধারণ মানুষ তার দেহে সর্বোচ্চ ৪৫ ডেল পর্যন্ত ব্যথা সহ্য করতে পারে। কিন্তু একজন নারী বাচ্চা জন্ম দেওবার সময় ৫৭ ডেল এরও উপরে ব্যথা সহ্য করে। আর বাচ্চা প্রসবের থেকেও যন্ত্রণা হয় অন্ড*কো* আ*ঘাত পেলে। সেখানে কে*টে ফেলা কতটা যন্ত্রণার সেটা লিখে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। ছেলেটা শেষবার এতটা জোরে চিৎকার দেয় যে ওর গলার স্বরযন্ত্র বা ল্যারিংস ছি*ড়ে যায়। এখানেই মাত্র ১৪ বছর বয়সেই ওর মৃ*ত্যু ঘটে।

কিন্তু এতেও ব্লাডশেড শান্তি পায় না। ওর পুরু*ষা* কে*টে সমানভাবে ১০ ভাগ করে। হাত পায়ের চাম*ড়া ছি*ড়ে তুলে নেয়। আবার সেই চামড়া নিজের গায়ে জড়িয়ে বাকি কাজ সাড়তে থাকে। সুনিপুণভাবে মাং*স*গুলো আলাদা আলাদা করে টুকরো করে। এবার মাং*সগুলো কমোডের মধ্যে ফ্ল্যাস করে দিল। বাকি বক্ষঃপিঞ্জর, আননাস্থি, করোটিকাস্থি, মধ্যকর্ণাস্থি, মেরুদন্ড ব্যাগে ঢুকিয়ে নিল। বাথরুমটা পানির দ্বারা এত স্বচ্ছ ভাবে পরিষ্কার করে নিল যে হ*ত্যার মতো কিছু হয়েছে ভাবা তো দূরের কথা, এর সুন্দর চকচকে বাথরুম দেখেই সবার মাথা ঘুরে যাবে। পরবর্তীতে ব্যাগে ঢোকানো হাড্ডিগুলো নিষিদ্ধ শাশ্বত নামক অরণ্যের মাটি কেটে তার ভিতর লুকিয়ে রাখলো।

অবস্কিউর নামটার অর্থ অস্পষ্ট। কারণ অবস্কিউরের কোন বিষয়ে এমন নৃ*শংস দক্ষতা আছে সেটা ডার্ক আর ব্লাডশেড জানে না। তবে অবস্কিউরের বিজ্ঞানের বিষয়ে উৎকৃষ্ট দক্ষতা। হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (এটি ক্যালসিয়াম ফসফেটকে দ্রবীভূত করে এবং হাড্ডিকে নরম করে।), নাইট্রিক অ্যাসিড (এটি আরও শক্তিশালী এবং দ্রুততর প্রতিক্রিয়া দেখাতে ব্যবহার করা হয়।), ক্রিমেশন (এই পদ্ধতিতে লা*শকে উচ্চ তাপমাত্রায় পুড়িয়ে ভস্মে পরিণত করা হয়।), অ্যানট্রোপজেনিক কনজার্ভেশন (এই পদ্ধতিতে লা*শের টিস্যু এবং অঙ্গগুলোকে রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়, যা পচন প্রক্রিয়া বাঁধা দেয়।), এক্সট্রিম কোল্ড স্টোরেজ (কিছু গবেষণায় লা*শকে অত্যন্ত কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়, যা পচন প্রক্রিয়া বন্ধ করে।) অবস্কিউর খুব সূক্ষ্মভাবে এমন বিষয়ের প্রতি ধারণা নিজের মধ্যে আয়ত্ত করেছে। ভবিষ্যতে তার রসায়নবিদ হওয়ার অবিচল স্বপ্ন রয়েছে।

তাদের রোজকার কাজ হলো টিফিন টাইমে দেয়াল টপকে স্কুল থেকে পালানো। তারপর অ্যা*লকোহল, গাঁ*জা, হেরো*ইন, কো*কেন, এমফেটা*মিন, এল*এসডি, মেথাম*ফেটামিন, এক্স*ট্যাসি, অপি*য়েট, কেটা*মিন ইত্যাদি মাদক*দ্রব্য গ্রহণ করে সেটাও সেই নিষিদ্ধ শাশ্বত বনে। কিন্তু ওরা এগুলো পায় কোথায়? মূলত ডার্কের বাবার গোপনে এগুলোর ব্যাবসা আছে। যদিও উনি দেশে থাকেন না, তাই ডার্কের মামাই এই দায়িত্বে রয়েছেন। সেখান থেকেই ডার্ক গোপনীয়তা বজায় রেখে চুরিচামারি করে নিয়ে আসে।
টিভিন টাইমের আর মাত্র ২০ মিনিট বাকি। এখন পালানোর সময়। প্রতিদিনের মতো কৌশলে আজকেও তিনজন পিছন দিক থেকে দেয়াল টপকে পালালো।
সামনে যেতে যেতে ডার্ক বলে,

“ব্লাডশেড দিনে দিনে যেভাবে মটু হচ্ছিস কবে না যেন ফেটে যাস।” কথাটা শুনতেই অবস্কিউর হেসে দিল।
ব্লাডশেড হেসে বলে,
“আমি ফুডি ব্রো। খাওয়া তো ছাড়তে পারি না।” এভাবেই টুকটাক আজেবাজে কথা বলে বনের দিকে এগোতে থাকে।
অরণ্যে চরনযুগল ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তিনজনই।
এরই মধ্যে পিছন থেকে মেয়েলি একটা মিহিসুরের কণ্ঠ ভেসে আসে,
“এই যে শুনছো?”
ওরা তিনজন ভয় পেয়ে যায়। ধীরে ধীরে ঘাড় মুড়িয়ে পিছনে তাকাতেই একটা স্বস্তির নিশ্বাস নিংড়ে বের করলো। অর্থাৎ এ চেনা পরিচিত কেউ নয়, সাধারণ একটা মেয়ে মাত্র।
মেয়েটি দেখতে বেশ সুমিষ্ট। খুব একটা লম্বাটে নয়। বয়স ১৫ বৈকি ১৬ হবে। গেঞ্জির সাথে মিনি স্কার্ট পরিহিত। তার ফরসা পা উন্মুক্ত। গলায় ঝুলানো যিশু খ্রিস্টের লকেট। তবে বেশেভূষায় অন্যকে ছাড়িয়ে চোখে পড়বার মতো। মেয়েটি যে বড়লোক বাড়ির মেয়ে সেটাও অনায়াসে বোধগম্য হবে।
মেয়েটি খুব হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় ডার্কের সামনে এসে একটু আমতাআমতা করে বলে,

“আমিইই অ্যামান্ডা। তোমার সাথে কিছু কথা বলবো। একটু এদিকে আসবে?”
ডার্ক ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেই কাটকাট কণ্ঠে জবাব দিল,
“বলো।”
মেয়েটা একবার ব্লাডশেড আর অবস্কিউরকে পরখ করে নিল।
এবার একটু কেঁশে নিয়ে সাহস করে বলেই দিল,
“আমি গত এক বছর যাবত তোমাকে দেখে আসছি। জানি না এদিকে কোথায় যাও। তবে আমি গাড়িতে এখান থেকেই যাওয়া আসা করার সময় তোমাকে দেখতে পাই। আর এভাবেই ভালো লাগা শুরু হয়ে যায়। অ্যাকচুয়ালি ইন রিয়ালিটি আই লাভ ইওর হেয়ার।” বলে হেসে ডার্কের চুলে হালকা করে ঝাঁকানি দিল।
ডার্ক আড় হেসে মনে মনে আওড়ায়,

“শিকার নিজে এসে ধরা দিয়েছে। এতদিনের অপূর্ণ ইচ্ছেটা তাহলে আজকেই পূরণ করে ফেলি।” বলেই খপ করে মেয়েটার হাতটা ধরে নিল।
অকস্মাৎ হাত ধরায় মেয়েটি একটুখানি ভয় পেয়ে গেল।
ডার্ক গম্ভীর শিহরণকর কণ্ঠে বলে,
“ইউ মিন, ইউ লাভ মি।”
মেয়েটা একটু ইতস্তত বোধ করে বলে,
“ইয়া। বাট নাও আই হ্যাভ টু গো। অন্য একদিন কথা বলি। বা বায়।”

বলে মেয়েটা সামনে আগাতেই ডার্ক হিংস্র চক্ষে রাস্তার পাশে থাকা একটা ইট মেয়েটার দিকে ছুড়ে মারে।
ইটটা মেয়েটার ঘাড়ে গিয়ে আঘাত হানায় সাথে সাথে মেয়েটি রাস্তায় পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারায়। এরপর ডার্কের ইশারায় ওরা দুজনও বুঝে যায় এখন কি করতে হবে। মেয়েটাকে জঙ্গলের মধ্যে টেনে নিয়ে যাওয়া হলো। এরপর রুমাল দিয়ে মেয়েটার মুখ বেঁধে দেওয়া হলো। জ্ঞান ফিরলেও যেন নড়াচড়া না করতে পারে তাই সেই ইটটা এনে সবেগে মেয়েটার ডান হাতের কব্জিতে মেরে কব্জির অংশ থে*তলে দেওয়া হলো। এতেই মেয়েটার হুঁশ ফিরে আসে আর সাথে সাথে ছটফটানি শুরু হয়ে যায়। মেয়েটার ছটফটানি দেখে ওরা তিনজনই উচ্চস্বরে হাসতে থাকে।
এবার ব্লাডশেড ইটটা উঠিয়ে মেয়েটার বাম হাতের কব্জিতে এত জোরে মারলো যে মেয়েটার হাত থেকে কবজি খুলে যায়। মেয়েটা চিৎকার করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকে কিন্তু এত শক্ত করে মুখ বাঁধা হয়েছে যে মেয়েটার মুখ থেকে উম উম শব্দ ছাড়া কিছুই বের হলো না।

ডার্ক খুলে যাওয়া হাতের অংশটি ধরে আঙ্গুলগুলি কাম*ড়াতে থাকে। কিন্তু মেয়েটার কিঞ্চিৎ উম উম শব্দও ওদের পছন্দ হচ্ছিল না। তাই মেয়েটার মুখ খুলে জি*হ্বা কেটে নেওয়া হলো। হাতের মধ্যে জিহ্বাটি লাফাতে থাকে। প্রখর যন্ত্রণায় মেয়েটার পা বেয়ে গড়িয়ে তরল পদার্থ পড়তে থাকে। অর্থাৎ অতি পীড়াদায়ক বেদনায় মেয়েটির প্রস্রাব হয়ে গেছে। কিন্তু এতকিছুর পরও অ্যামান্ডা হাল ছাড়ে না। অ্যামান্ডা অতি সাহসী এবং শক্তপোক্ত মানুষ। পা খোলা থাকায় ওদেরকে উলটো পালটা লাথি দিয়ে উঠে পালানোর চেষ্টা করতেই অবস্কিউর ইটটা তুলে পাক্কা মেরে ওর পায়ের গোড়ালি ভেঙে ফেলে। অ্যামান্ডা ওখানেই বসে পড়ে। দেখে পায়ের হা*ড্ডি ভেঙে বেরিয়ে এসেছে। অথচ এদিকে চিৎকার করার জন্য জি*হবাও নেই।

এবার OWL নিজেদের শরীর উন্মু*ক্ত করে সামনে আগাতে থাকে। অ্যামান্ডা বুঝতে পারে এখন তার সাথে কি হতে যাচ্ছে। কিন্তু বাঁধা দেওয়ার মতো শক্তি, সামর্থ্য, মনোবল কোনোটাই অবশিষ্ট নেই। এতক্ষণে অ্যামান্ডার চক্ষের জলে ওর সম্পূর্ণ মুখশ্রী ভিজে গেছে। সাথে বুকের গেঞ্জির খানিকটা অংশও ভিজে গায়ের সাথে লেগে গেছে। অ্যামান্ডা শক্তিহীন শুয়ে পড়ে নিজেকে ওদের কাছে সঁপে দিল। ওরা ছুরির সাহায্য অ্যামান্ডার শরীরের কাপড়গুলো কাটতে থাকে। কিন্তু শুধু কাপড় নয় তার সঙ্গে অ্যামান্ডার দেহও কেটে যেতে থাকে। একসাথে তিনজন অ্যামান্ডার শরীরকে ধ*র্ষণ করতে থাকে। কেউ গলায় কাম*ড় বসায় তো কেউ বক্ষস্থলে। অন্যজন উদরে। পরাপর ১০ থেকে ১২ বার ধ*র্ষণের পর ওরা যখন বুঝতে পারে অ্যামান্ডার শ্বাস ঘনিয়ে এসেছে ওরা শয়তানি হাসি দিল।
ডার্ক বলে,
“আই লাভ ইওর হেয়ার। তাই না?” বলে রহস্যময়ী হাসি দিল।

এবার অ্যামান্ডার চুল ধরে টেনে মাথার স্কাল্পসহ (চামড়াসহ) উঠিয়ে আনে। র*ক্তে মেয়েটার পুরো মস্তক ভিজে যায়। কিন্তু এতেও ওদের নির্ম*মতা থেমে থাকে না। ইটের সহিত বারেবারে মেয়েটার বক্ষস্থলে আঘা*ত করতে থাকে। বক্ষপিঞ্জরের স্ক্যাপুলা, পেলভিক, মেরুদণ্ড সব গুঁড়ো গুঁড়ো করে ফেলতে থাকে। প্রথম আঘাতেই মেয়েটার রুহু বেরিয়ে যায়। অর্থাৎ সে অনেক আগেই মা*রা গেছে, কিন্তু এখন মৃ*ত দেহটার উপরে অত্যাচার চালানো হচ্ছে।
আঘাত করতে করতে মেয়েটার যকৃৎ, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস দৃশ্যমান হয়ে যায়। এরপর মেয়েটার মাথায় ইট মেরে করোটি ভেঙে ফেলে। অবস্কিউর উষ্ণ সদ্য বের হওয়া মগ*জ দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারে না। সঙ্গে সঙ্গে এক থাবা মেরে মগজটা হাতে নিয়ে কাঁ*চাই চিবিয়ে চিবিয়ে খে*তে থাকে।

এবার ওরা বুঝতে পারে অবস্কিউর হলো নরখা*দক। কিন্তু অবস্কিউরের এত ভয়ংকরভাবে মগজ খাও*য়া দেখে ব্লাডশেডের গা গিন গিন করতে থাকে। অবশেষে ব্লাডশেডের পেট থেকে সব খাবার উগড়ে বমি হয়ে বেরিয়ে আসে। অথচ অবস্কিউরের সমস্ত চোয়াল র*ক্তে ভিজানো। মুখের মধ্যেও র*ক্ত। দাঁতও র*ক্তিমাকার ধারণ করেছে। কিন্তু ও যেন মগজ খে*য়ে ভিতরে ভিতরে অতিরিক্ত শান্তি অনুভব করেছে।
ব্লাডশেড ক্ষণকাল পর পানির বোতল থেকে কুলকুচি করে বলে,
“এবার লাশ*টির কি করবি?”
ব্লাডশেডের কথাটা শুনে অবস্কিউর উচ্চস্বরে হাসতে হাসতে বলে,

“জাস্ট ওয়েট টেন মিনিটস। তোরা লা*শটাকে দেখে রাখ। আমি ল্যাব থেকে আসছি।” বলে প্রস্থান করে।
ঠিক দশ মিনিট পর বাদামি বোতলে করে নাইট্রিক অ্যাসিড নিয়ে আসে। এবার অ্যামান্ডার ফিমার (রান) থেকে কিছু মাংস কেটে বিকারে সংরক্ষণ করে নাইট্রিক অ্যাসিড পুরো শরীরে ঢেলে দিতেই শরীরটা গলে যেতে শুরু করে। শুধুমাত্র ডান হাতের ফ্যালাঞ্জেসগুলো (আঙ্গুলের হাড্ডি) গলানো হয় না। ফিমারের নমনীয় মাংসগুলো সংরক্ষণ করার কারণ অবস্কিউর রান্না করে খাবে। আর ফ্যালাঞ্জেস রেখে দেওয়ার কারণ ঐ আঙ্গুলগুলো দিয়েই ডার্কের চুলে হাত বোলানো হয়েছিল। তাই ডার্ক আঙ্গুলগুলো থেকে চাম*ড়া খসে রেখে ফ্যালাঞ্জেসগুলো গুঁড়ো করে পাউডার বানিয়ে নিজের মুখমণ্ডলে মাখবে। এভাবেই তাদের প্রথম ধ*র্ষণের শুরু হয়।

পুরোনো চৌধুরি বাড়িতে ৫ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে মিরা ফজর নামাজ আদায় করে নিল। অথচ এদিকে কারানের ওঠার নাম নেই। মিরা কারানের বিছানার পাশে বসে ক্ষণকাল প্রণয়ভরে কারানের মুখাবয়ব দেখে নিল। এরপর কারানের কপালের চুলগুলো আলতো হাতে সরিয়ে দিল। মিরা খুব ভালোভাবেই জানে এখন কারানকে ডাকলেও উঠবে না কারণ কাল পরিবারপরিজনদের সাথে গল্প করেই সারারাত পার করে শেষরাতে ঘুমিয়েছে। তাই এখন একপ্রকার দুষ্টু বুদ্ধি আঁটে। প্রথমত কারানের গালের সম্পূর্ণ সন্নিকটে গিয়ে হালকা স্পর্শে কিছুক্ষণ চুম্বন খেয়ে নিল। এরপর হেসে কারানের গালে বিড়াল কাটার মতো কিঞ্চিৎ পরিমাণে কামড় দিল। দিয়েই জলদি করে পাশের কক্ষে ছুটে চলে গেল।

কারান উঠে গাল ডলতে ডলতে ঘুমো ঘুমো চোখে বলে,
“উফফ কিসে কাটলো?”
মিরা খুক করে কাঁশি দিয়ে কিছু না জানার ভান করে স্বাভাবিক গলায় বলে,
“অনেক ঘুমিয়েছ। এবার উঠো, নামাজ পড়তে যাও।”
অপ্রত্যাশিতভাবে কারান ভ্রূ কুঁচকে বলে উঠে,
“তুমি কি আমাকে কামড় দিয়েছো?”
মিরা এদিক ওদিক মাথা নাড়িয়ে অবাক হওয়ার স্বরে বলে,
“ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখো নাকি? ওঠো জলদি।” বলে মুখ বুঝে হাসতে হাসতে প্রস্থান করে।
কিন্তু ব্যাপারটা কারানের সন্দেহজনক মনে হয় বলে আয়নায় গিয়ে মুখশ্রী পরখ করেই দেখে ইঁদুরের ন্যায় চিরি চিরি কয়েকটি দাঁতের দাগ।
কারান হেসে বলে,
“আমার বউটা দিনে দিনে মিথ্যুক হয়ে যাচ্ছে। বাট বাড়ির কেউ দেখলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।” বলে কামড়ের অংশটি ডলতে থাকে।

মিরা কক্ষের বাহিরে পা রাখতেই সাক্ষাৎ হয়ে গেল ফাতিমার সাথে। ফাতিমাও নামাজ পড়ে এখন ঘরের কাজ করবে। দেখতে শুনতে ভারী মিষ্টি একখানা মুখশ্রী, শ্যামবর্ণা ফাতিমাকে শ্যামলীপুরের রানি হিসেবে খুব মানাবে। লম্বা নয় তবে এই আকারটাই তার চেহারার সাথে মানানসই। গ্রামীণ মহিলাদের মতোই যেনতেন করে শাড়ি পড়া।
মিরাকে দেখেই অধর প্রসারিত করে হেসে নিয়ে বলে,
“তোমার প্রশংসা আমি করুম না বৌমা। কারণ ফাতিমা রূপে বিশ্বাসী না, গুণই আসল। রূপ তো আল্লাহ মাবুদের দান, মানুষের গুন হইলো তার নিজের দক্ষতা। তবে এটুকু না বললে আবার কবা ফুফি ভালা না। সৌন্দর্যের দিক দিয়া তুমি তোমার শ্বাশুড়িকেও ছাড়াইয়া ফেলছো।”
মিরা একটুখানি মিহি হেসে বলে,
“আপনাকে ফুফিজান ডাকি?”
ফাতিমা আমোদ-প্রমোদ চক্ষে বলে,

“ওমা গো! আইসাই ফুফির সাথে জান লাগাইয়া দিছো? এত জলদি আপন করাও কিন্তু ঠিক না বৌমা।”
মিরা স্বচ্ছ হেসে বলে,
“ফুফিজান আপনার কণ্ঠস্বর খুব মধুর। বারবার শুনতে ইচ্ছে করে। আপনার সাথে অনেক গল্প করার ইচ্ছে জেগেছে, কাল রাতে যখন আপনার ভয়েস শুনেছি তখনই। গল্প করবো যেন আপনার মিষ্টি কণ্ঠস্বর অনেকবার শুনতে পারি।”
ফাতিমা হেসে বলে,
“মাইয়া তো দেখছি খুব চালাক! আইসাই আপন করার ধান্দা। টেকনিক তো ভালা। আর আমারও তোমারে ভাল্লাগছে।”

মিরা হেসে বলে,
“চলুন। সকালের নাস্তাটা করে ফেলি ফুফিজান।”
ফাতিমা অবাকের সহিত বলে,
“ইভা কী হ বৌমা? নতুন বউ হাজ কিল্লাই গরিবো? বারির মানইজ্জত তাহিবু নে? আর আইসু বেড়াইতে, তুই অইলে দে মেমান। তোয়ারে দিয়েরে হাজ গরাইউম, ইয়ান কেনে ভাবিলে?”
ফাতিমার কথা শুনে মিরা ভ্যাবলাকান্তের মতো ফাতিমার পানে তাকিয়ে থাকে।
ফাতিমা হেসে বলে,
“দেখো বৌমার কাণ্ড। বুঝতে পারো নাই তাইতো?”
“না মানে কিছুটা।”
ফাতিমা ঈষৎ হেসে বলে, “শোনো আমার শ্বশুর বাড়ি হইলো চট্রগ্রামে। তাই সেইখানের ভাষা আপনা-আপনি রপ্ত কইরা ফেলছি। আর কইলাম তোমার কাজ করোন লাগবো না। তুমি বও গিয়া।”
মিরা হেসে বলে, “আপনি না বললেন গুন না দেখে মানুষ বিচার করেন না। আজকে না হয় রান্নার গুণটা দেখে নিন।”
ফাতিমা ভ্রূ উঁচিয়ে অবাকের সহিত হেসে বলে,
“বৌমার তো দেহি খালি ভূরি ভূরি বুদ্ধি। আহো।”
মিরা হেসে ফাতিমার পিছু পিছু রসইশালার দিকে পা বাড়ায়।

সকাল ৮ টা নাগাত নাস্তার জন্য সবাই খাবার টেবিলে হাজির। মিরা রান্নাঘরে থাকতেই ফাঁক দিয়ে সবাইকে পরখ করে নিল।
বলিষ্ঠ দেহের লম্বা-চওড়া একজন পুরুষ, গায়ের বর্ণ শ্যামলার থেকেও কালো তবে তার চেহারা দেখলে বেশিরভাগ নারী আকর্ষিত হতে বাধ্য। গম্ভীর মুখ অথচ চুলগুলো স্টাইলিশভাবে কাটা সাথে তার পরনের পোশাকাশাকে আধুনিকতা উপচে পড়ছে। বেশ বোঝা যাচ্ছে সে বাহিরে থেকেই এসেছে। কারণ তার চলনে-বলনে বিদেশি একটা ভাব আছে। আর ইনি হলেন তালহা আহমেদ।

দ্বিতীয় জন তারান্নুম। তার মুখশ্রী কান্তিময় ধবল। বয়স মিরার মতো হতে পারে কিন্তু সেটা ঠাওর করা গেল না। দেখে মনে হবে এ যেন অষ্টাদশী যুবতী। ছোটোখাটো একটা বাচ্চার মতো চেহারা। লম্বায় ৫ ফুট ৩ হবে। অর্থাৎ মিরার থেকে খানিকটা খাটো। মেয়েটি সালোয়ার কামিজ পরিহিত। কিন্তু তার সব ছাড়িয়ে মূল আকর্ষণ হলো তার কেশগুচ্ছ। বেণি করে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু সে চুল তার পায়ের গোড়ালিতে গিয়ে ঠেকেছে। মাঝ রাত্তিরে যদি কেশলয় খোলা দিয়ে ছাদে বসে থাকে, নির্ঘাত কয়েকজন মানুষ অক্কা পাবে।

আরেকজন ছোট মেয়ে সায়েমা তাজিন তুব্বা, তার বর্ণনা কম দিলেও চলবে। বয়স ১২ কি ১৩ হবে। শ্যামলী মেয়েটা মায়েরই অবিকল। যার চেহারায় মিষ্টিভাবটা সাথে একগাল হাসি সব সময় দৃশ্যমান।
এ বাড়ির সবচেয়ে বয়স্ক মানুষটি হলেন আম্বিয়া জমাদ্দার। যিনি সাদা আভার সঙ্গে কালো ধূসর মিশ্রণে পাড় দেওয়া কাপড় পড়েছে। তার মাথায় অবশ্য বড় করে কাপড় টানা। তবে যৌবনে যে সৌন্দর্যের কমতি ছিল না সেটা হাড়ে হাড়ে বোঝা যায়।
সবকিছুই ঠিক আছে, কারানও এসেছে। কিন্তু তালহাকে দেখেই মিরা আর রান্নাঘর থেকে সামনে আসে না।
ফাতিমা মিহিগলায় হাঁকে,
“খাইতে আইবা না বৌমা? আহো আহো। মাইয়াটা এতক্ষণ কি কাজটাই না করছে। বাববা! (কারানের দিকে তাকিয়ে হেসে) বউ একখানা আনছিস কারান।”
কারান মৃদু হাসে কিন্তু মিরার এখানে না আসার কারণও উপলব্ধি করে ফেলে।
তাই প্লেট নিয়ে উঠে বলে,

“তোমরা কিছু মনে করোনা ফুফি। মিরা আসলে সবার সামনে খেতে পারে না। হেজিটেটিং ফিল করে।”
কথাটা শুনেই তারান্নুম তাচ্ছিল্যের সহিত ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে নেয়।
ফাতিমা বলে,
“ওহ আইচ্ছা আইচ্ছা। আমি তাইলে প্লেট কইরা দিতাছি। তুই নিয়া যা।”
“না না, দরকার হবে না। আমারটা দিয়েই খেয়ে নিবে।”
বুড়ি কাঁপা কাঁপা গলায় বলে,
“এই হইলো আমার নাতনি। কেমনে বউরে কইলজার মধ্যে হান্দাইয়া রাহোন যায়, আর যতন করোন যায়। ভালা কইরাই জানে।”
কারান হেসে রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালো।
অথচ তারান্নুম কারানের খাবার নিয়ে যাওয়া দেখে রেগেমেগে আগুন হয়ে যায়।
ক্ষুব্ধাতার সহিত বলে,
“আম্মা আমারে চার পাঁচটা মরিচ দাও তো।”
ফাতিমা কপাল কুঁচকে বলে,
“মরিচদা কি করবি?”

“মরিচ দিয়া কি করে জানো না? চিবাইয়া খাবো। তুমি দাও।”
তুব্বা খিলখিল করে হেসে বলে,
“হইছে। তুই খা আপা। একটা মরিচই তো খাইতে পারো না আবার চার পাঁচটা।”
তারান্নুম ফুঁসতে ফুঁসতে চোখ বন্ধ করে আবার তাকিয়ে খাওয়া থেকে উঠে নিজ কক্ষে চলে গেল। ওর অকস্মাৎ কাণ্ডকারখানা দেখে সবাই কিছুটা বিস্মিত হলেও কেউ কোনো ভাষ্য ছাড়ে না। কারণ তারান্নুম এমনই; হুটহাট চেতে যাওয়া তার বরাবরের প্রবৃত্তি।
অন্যদিকে কারান গিয়েই মিরার গালে কিঞ্চিৎ পরিমাণে কামড় দিয়ে বলে,
“সকালেরটা ব্যাক দিয়ে দিলাম জান।”
মিরা দাঁতে দাঁত চেপে মুখ বুঝে হেসে কারানের দিকে তাকিয়ে থাকে।
কারান মিরার মুখের কাছে খাবার এগিয়ে দিলে মিরা পরমানন্দের সহিত খেতে থাকে।

ঘোরাঘুরির সময়টা বেলাশেষেই বেশ উপভোগ করা যায়। অস্তমিত সূর্যের মৃদু আলো সাথে মিহি শীতল বাতাসের ছোঁয়া।
এদিকে ইলিজা চুলগুচ্ছ জুটি করে, ওড়নাটা গলায় পেঁচিয়ে, সাথে কাঁচা হলুদের ন্যায় একখানা ফ্রক পড়ে নিল। সাথে মায়ের ফোনটা নিতেও ভুলল না। এবার ঘরের বাহিরে পা রাখতেই কিছু একটা জিনিস দেখে ওষ্ঠ প্রসারিত করে হেসে নিল। কারণ কারান তার জন্য ব্যক্তিগত গাড়ি পাঠিয়েছে। গাড়িতে উঠে ড্রাইভারকে ডিরেকশন বলে দিল। ২০ মিনিট পর গাড়িটি একটা বাড়ির সামনে থামলো। বাড়ির সামনেই কামিজ আর জিন্সপ্যান্ট পরিহিত একটা মেয়ে দাঁড়ানো।
ইলিজা গাড়ি থেকে নেমে ভাবের সহিত স্নেহার দিকে তাকিয়ে ভ্রূযুগল জাগালো।
স্নেহা কিঞ্চিৎ হা করে আশ্চর্যের সহিত বলে,

“ও এম জি, মার্সিটিজ। আঙ্কেল কিনেছে বুঝি?”
ইলিজা হেসে বলে,
“আরে না। বলবো। আগে গাড়িতে ওঠ।”
দুজন গাড়িতে উঠে গাড়ির পিছনের সিটে বসলো।
স্নেহা ইলিজার হাত ঝাঁকিয়ে বলে,
“এবার বল না রে।”
“আরে বাবা বলছি বলছি। জিজাজি গিফট করেছে।” বলে দাঁত বের করে হাসতে থাকে।
স্নেহা আফসোসের স্বরে বলে,
“ভাই এমন একটা জিজাজি থাকলে আর কি চাই।”
এভাবে বন্ধুসুলভ কিছু কথাবার্তার মাধ্যমেই ক্ষণিকের মধ্যে তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাল। গাড়িটা একটা পার্কে থামলো।

ইলিজা ও স্নেহা গাড়ি থেকে নেমে গেল।
ইলিজা ভণিতা করে বলে,
“আঙ্কেল আপনি প্রয়োজনে চা বিস্কুট খেয়ে আসুন। আমরা এখন ঘুরবো তো সময় লাগবে।”
“ওকে ম্যাম। তবে বেশি দূরে যাবেন না। ফোন নাম্বার তো আছেই, আমাকে কল করবেন। কারান স্যার কিন্তু আপনাকে চোখে চোখে রাখতে বলেছে। দিনকাল ভালো না যে তাই।”
“আচ্ছা আচ্ছা। আপনি চিন্তা করবেন না। আমরা এইতো সামনেই আচার খাবো শুধু।”
“আচ্ছা ম্যাম।”
স্নেহা আর ইলিজা সামনে হাঁটতে হাঁটতে আগাতে থাকে। স্নেহা বলে,
“ভাই তোর তো সেই ভাগ্য। এমন একজন ভাইয়ের মতো কেয়ার করা জিজু কয়জন পায়। আপু তো তার মানে সেই লাকি।”
ইলিজা কিঞ্চিৎ হেসে বলে,
“সে আর বলতে। (থেমে) আচ্ছা শোন আজকের আচারের ট্রিটটা আমি দিব। চল।”
স্নেহা ভ্রূ উঁচিয়ে বলে,

“ও বাবা। কিপ্টুস এর বাচ্চা তুই আবার ট্রিট দিবি।”
ইলিজা নয়নগোচর করে বলে,
“কিপ্টুস বললি তো। যা মাইন্দার, তোকে দিব না। আমি একা একাই খাবো।” বলে আগাতে থাকে।
“আরে সরি সরি। আসছি রে মা। (গলা উঁচিয়ে) মাহি দাঁড়া।”
দুজনে গোগ্রাসে আচার খেতে থাকে। এরই মধ্যে ইলিজা মুখের ভিতর আচারের মধ্যে বালু অনুভব হওয়ায় কুলকুচি করার জন্য পানি মুখে দিয়ে পাশে ফেলে দিতেই আহাম্মক হয়ে গেল। অর্থাৎ আজকেও অঘটন। ইলিজা ভুল করে কাব্যের মুখমণ্ডলেই পানি ছুঁড়ে মেরেছে। কাব্য হাত দিয়ে মুখটা মুছে গোমড়া মুখে ইলিজার পানে তাকিয়ে রইলো।
ইলিজা ডান হাতের তর্জনী আঙ্গুলের নখ দাঁতে কাটতে কাটতে বিড়বিড়িয়ে বলে,
“হে আল্লাহ। আজকেও সেই লোক।”
স্নেহা জিভ কেটে চক্ষুদ্বয় বড় করে বিব্রত বোধ করে বলে,

“এটা তুই কি করলি মাহি?”
ইলিজা স্নেহার দিকে ঘাড় কাত করে মিনমিনে গলায় বলে,
“ইচ্ছে করে করেছি নাকি?”
কাব্য শান্ত চেহারায় একটা আহত নিশ্বাস ত্যাগ করে বলে,
“আমি ইন্টারভিউ এর জন্য যাচ্ছিলাম।” বলে নিজের শরীরের দিকে একবার তাকিয়ে নিল। দেখলো অর্ধেক শার্ট ভিজে গেছে।
এদিকে ইলিজা যে ভুল করে ফেলেছে এটা তো কাব্যকে বোঝানো যাবে না।
তাই ভাবলেশহীন বলে উঠে,
“আপনি কেন প্রতিবার আমার সামনে চলে আসেন? আমার কি দোষ। আর বিকেল বেলা কীসের আবার ইন্টারভিউ?”
“পার্ট টাইম জব। (হেসে) আর হ্যাঁ মিস ইলি আমারই ভুল। যাই হোক এখানে কি করছেন?”
ইলিজা মুখ কাঁচুমাচু করে বলে,

“খাচ্ছিলাম।”
এর মধ্যে পিছন থেকে শুভ্র বলে উঠে,
“গো*লামেরফো যাবি না নাকি?”
কথাটা শুনে কাব্য কপাল চাপড়ালো। শুভ্র আবার প্রেমে বাগড়া দিল।
এরপর শুভ্র এসে হেসে বলে,
“আরে ক্যালিস্তা (গ্রিক-অতুলনীয় সুন্দরী) ইলিজা দেখছি। বাহ বাহ বেশ লাগছে তো তোমাকে। একদম হলুদিয়া পাখি, সোনারই বরণ
পাখিটি ছাড়িল কে।”

Tell me who I am part 24

এটা শুনেই কাব্য ভিতরে ভিতরে জ্বলে ফুঁসতে ফুঁসতে ওর পায়ে একটা লাথি দিল।
শুভ্র পায়ে হাত দিয়ে ব্যথিত চেহারায় বলে,
“আরে মারিস ক্যান?”
ইলিজা গুনগুনিয়ে বলে,
“স্নেহা চল তাড়াতাড়ি। মানুষ দেখলে অন্য কিছু ভাববে।” বলে সামনে আগাতে থাকলে কাব্য আকুলতার সহিত প্রেমমিশ্রিত কণ্ঠে সম্ভাষণ করে,
“ও ইলিজা।”

Tell me who I am part 26