Violent love part 16

Violent love part 16
Mariam akter juthi

‘হোয়াট, এটা সুইজারল্যান্ড থেকে আনানো? ১ মিলিয়ন, যার মানে বাংলাদেশি রেট ১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রোদ কৌতুহল হয়ে পার্সেলটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে দেখতে, সোফায় এসে বসে পার্সেলটা খুলতে নিলে ফারি বললো,
‘ডেলিভারি ম্যান তো বললো, এটা আরিশ ভাইয়ার।
‘তো?
‘তাহলে তুই আনবক্সিং করছিস কেন?
‘তাতে তোর সমস্যা? আরিশ এনেছে আর আমি দেখব না।
‘ভাইয়ের জিনিসে অন্য কেউ হাত দেক, এটা তার পছন্দ না, এটা তো তুই জানিস আপু। তাহলে?

রোদ ফারির কথায় তেমন পাত্তা না দিয়ে, পার্সেলটা আনবক্সিং করে দেখে, একটা মাঝারি লম্বা সাইজের চ্যাপ্টা বক্স। যেটা চকচকে কালো কাঠের তৈরি, ম্যাট ফিনিশে খুব যত্নে তৈরি করা। রোদ বক্সটা দেখে আরো অবাক হয়, এত নিখুঁত, এত সূক্ষ্ম এত কম্বিনেশন? রোদের চোখ জোড়া বক্সের উপরেই আটকে যায়, এত নিখুঁতভাবে তৈরি করা দেখে। বক্সের উপর পিঠটায় খুব সুন্দর করে খোদাই করে সুইজারল্যান্ডের লোগো দেওয়া, রোদের বক্স এপিঠ ওপিট সম্পন্ন দেখা হয়ে গেলে,বক্সে কি আছে দেখার জন্য বক্স খুলতে নিলে দেখে সেখানে একটা পাসওয়ার্ড। রোদের পাসওয়ার্ড দেখে বক্স খুলতে তেমন সমস্যা হয় না, কারণ পাশেই পাসওয়ার্ড কোড দেওয়া ছিল।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রোদ বক্সটা খুলে যেন চোখ কোঠায় ওঠার উপক্রম, সাথে এত সু-মিষ্টি ঘ্রাণ বের হতে দেখে চোখটা বন্ধ করে নেয়, অতঃপর চোখ খুলে বক্সের ভেতরে দেখে নরম ভেলভেটের কাপড়ে মোড়ানো, রোদ কাপড়টা সরাতে কিছু ছোট ছোট LED লাইট জ্বলে ওঠে হিরা মিশ্রিত স্বর্ণের চেইনের উপর। এটা দেখে রোদ, কতক্ষণ যে চোখ দুটো বড় বড় করে চেইনটার দিক তাকিয়ে ছিল সেটা হয়তো সে নিজেও জানেনা, একটা সময় ধ্যান কেটে গেলে, অবিশ্বাস্য কন্ঠে বলে ওঠে।
‘ও মাই গড, একটা চেইন এর মূল্য এত? তাছাড়া আরিশ মেইলি চেইন দিয়ে কি করবে? এসব ভেবে রোদ চেইন টা হাতে নিয়ে বাড়ির সকলকে বসার ঘরে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে ডাকছে, রোদের ডাকে সানজিদা খান, লিমা খান, ও মেহজাবিন খান, আসলেও মোমেনা খান রান্না ঘরেই রইলেন। কারণ সবাই তো আর একসাথে যেতে পারবে না। রান্নাটা চুলায় বসানো, তাই উনি আর আসেননি। উনাদের আসতে দেখে রোদ চেইনের বক্সটা সানজিদা খানের সামনে ধরে বললো,

‘বড় আম্মু দেখো?
‘কি এটা?
‘তোমার ছেলে আনিয়েছে, রোদ একটা নোট উনার দিক দিয়ে বললো,
‘দেখো এই নোটটা পড়ে।
সানজিদা খান রোদের হাত থেকে গোল্ডেন কম্বিনেশন করা একটা পেপার হাতে নিয়ে তাতে লেখা দেখে।
(Limited to two-no more, no less.)
অর্থ-(এই হীরার চেইনটির পৃথিবীতে শুধুমাত্র দুইটি কপি আছে।)
একটি সুইজারল্যান্ড এর স্থানীয় বিলাসবহুল ধ্বনি ‘জিয়ানলুইজি গ্যান্টানার’, এর ছেলে ‘লুসিয়ানের’ বউয়ের জন্য তৈরি। ও আরেকটি তারি অপর ছেলের বউয়ের জন্য।
এই দুইটি ছাড়া এই গহনাটির আর কোনো প্রতিলিপি কখনো তৈরি হবে না।
এটি একান্ত, অমূল্য, আর একবারেই চিরন্তন।
সানজিদা খানের পেপারটা পড়া হয়ে গেলে,

রোদের হাত থেকে চেইন টা নিয়ে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে দেখতে ওনার চোখ জোড়া সরু হয়ে আসে। উনি রোদের দিক তাকিয়ে কিছু বলবেন তখনই আরিশ ফোনে কথা বলতে বলতে, সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসে, সবাইকে এক জায়গায় জড়ো হতে দেখে ভ্রু কুঁচকে সে দিকটায় এগিয়ে গিয়ে বললো,
‘কি হয়েছে এখানে?
সানজিদা খান ছেলের আগমনে, উনার হাতের চেইন টা আরিশের সামনে ধরে বললো,
‘তুমি এনেছো?
আরিশ পার্সেল পৌছে গেছে ফোন পেয়েই, নিচে নেমে আসছিল। পার্সেল নেওয়ার জন্য, কিন্তু এখানে এসে দেখে পার্সেল আনবক্সিং ও হয়ে গেছে। এটা দেখে আরিশের মেজাজ মুহূর্তেই খারাপ হয়ে যায়। কারণ তার জিনিসে কেউ হাত দিক সেটা তার কোন কালেই পছন্দ ছিল না। আর এখন পার্সেল নিতে এসে সম্পূর্ণ খোলাতে গম্ভীর কণ্ঠে বললো।

‘এটা আনবক্সিং করছে কে আম্মু?
‘রোদ।
আরিশ রোদের কথা শুনে, আগুন চোখে ওর দিক তাকিয়ে বললো,
‘তোর সাহস কি করে হলো, আমার জিনিসে হাত দেওয়ার?
‘,,,,,,।
রোদ কে চুপ করে থাকতে দেখে আরিশ জোরে ধমক দিয়ে বললো,
‘কি হল চুপ করে আছিস কেন?
রোদ আরিশের ধমক খেয়ে মিন মিন করে বললো,
‘আসলে এত ছোট পার্সেলের এত রেট দেখে আমি কৌতল হয়ে পার্সেলটা খুলেছি।
‘নেক্সট টাইম, আমার কোন জিনিসে হাত দেওয়ার আগে অন্তত ১০ বার ভাববি।
‘কিন্তু তুমি এত দাম দিয়ে এই চেইন কার জন্য আনিয়েছো?
‘কারো প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি বাধ্য নই।
সানজিদা খান আরিশের তেরা উত্তর শুনে, বললেন।
‘ওর প্রশ্নের উত্তর না দাও, আমার প্রশ্নের তো উত্তর দিবে?
‘আম্মু আমি কারো প্রশ্নের উত্তর কিংবা, কারো মত মতো চলতে পছন্দ করি না এটা তো তুমি জানো?
‘বুঝলাম, কিন্তু তুমি এটা আনিয়েছো কার জন্য?
আরিশ বিরক্তি নিয়ে, অন্যদিক তাকিয়ে বললো,

‘আমার বউয়ের জন্য।
‘এই চেইন পৃথিবীতে দুটো কপি, আর চেইনের অন্য কপি কোন সাধারণ মানুষের কাছে না, বিলাসবহুল সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় ধনী লোকের কাছে। তাহলে তুমি এর দ্বিতীয় কপি কোথায় পেলে?
‘এটা বাবাই পাঠিয়েছে। আর এর অন্য কপি লুসিয়ান মানে ছোটুর কাছে।
‘ও উনি পাঠিয়েছেন,
‘হ্যাঁ।
রোদ আবারো কৌতুহল হয়ে, আরিশ বউয়ের জন্য আনিয়েছে, বলতে কাকে বুঝিয়েছে? এটা জানতে আরিশের সামনে গিয়ে বললো,
‘তুমি কাকে বউ বলছো?
‘আমার মৌকে,
‘কোন সম্পর্ক নেই ওর সাথে তোমার, কারণ বড় আম্মু তোমার সাথে তার ডি,—রোদের কথা সম্পন্ন করতে না দিয়ে সানজিদা খান রোদকে একপাশে টেনে নিয়ে গিয়ে আস্তে করে বললো,
‘তুই কি বলতে চাইছিলে ওকে?

‘বড় আম্মু তুমি তো,,
‘এটা আরিশ জানেনা। ওকে এসব কিছু বলার দরকার নেই। না হয় আবার কুরুক্ষেত্র বাজবে।
‘কিন্তু বড় আম্মু ,
‘আরিশ রুমে যাক আমি তোকে বলবো।
আরিশ একবার তার মায়ের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে, অতঃপর উপরে জুথির রুমের দিক তাকিয়ে গলা ছেড়ে ডাকলো,
‘মৌ, মৌ।
জুথি রুমে বসে, তানিশার সাথে ফোনে আড্ডা মারছিলাম, তখন আরিশের ডাক শুনে ফোনটা কেটে উঠে দাঁড়ায়। আর মনে মনে ভাবে এই সময় কেন ডাকছে এই লোক? ওরে এসব ভাবার মধ্যে নিচ থেকে আবারও আরিশের একই ভাবে ডাক আসে। পরপর ডাকায় জুথি তাড়াতাড়ি করে শরীরে ওড়নাটা পেচিয়ে, ছোট ছোট পায়ে সিঁড়ির কাছে আসতে দেখে, নিচের সবাই ওর দিকে কেমন চোখে তাকিয়ে আছে। এটা দেখে আড় চোখে একবার সবার দিক তাকাচ্ছে তো আরেকবার আরিশের দিকে।জুথি নিচে এসে আরিশের থেকে অনেকটা দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়ে বললো,

‘ডাকছেন কেন আমাকে?
‘কাছে আয়।
আরিশের সহজ কথায়,জুথি একবার ওর বড় আম্মু তো একবার সবার দিক তাকাচ্ছে,জুথি সবাইকে দেখে পরপর ঢোগ গেলে নিল, অতঃপর আরিশের দিকে তাকিয়ে বললো,
‘এখানেই ঠিক আছি, আপনি ডেকেছেন কেন বলেন?
জুথির কথায় আরিশ জুথির হাত ধরে ওর কাছে দাঁড় করিয়ে বললো,
‘তারামি আমার পছন্দ না, তারপরও সেটাই করবি আমার সামনে, ন্যাকামি করে। বলে আরিশ চেইনটা জুথির গলায় পরিয়ে দিয়ে বললো,
‘তুই না সেদিন বলেছিলি, তোর ছোট পেনডেট দিয়ে চেইন পড়তে অনেক ভালো লাগে?
‘কিন্তু আমার,,
‘নিজের হাতে পরিয়ে দিলাম, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোনদিন যেন এটা তোর গলা থেকে খোলা না হয়। আর যদি ভুলবশত খোলার চেষ্টা করি তো আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।
‘,,,,,,।
জুথিকে চুপ করে থাকতে দেখে আরিশ বললো,

‘সোজা রুমে যাবি, গো।
আরিশের কথাটা বলতে দেরি কিন্তু জুথির ছোট ছোট পায় সেখান থেকে যেতে দেরি হল না। জুথি চলে যেতে আরিশ ওর মায়ের দিক তাকিয়ে বললো,
‘কি যেন বলছিলে তখন?
রোদ সানজিদা খানের পাশ থেকে আরিশের কাছে এসে বললো,
‘এত দামি একটা চেইন তুমি ওর মত মেয়েকে দিলে?
‘মৌ আমার কাছে পৃথিবীর সব কিছুর উর্ধে দামি। আর সেখানে সামান্য চেইন,,
‘ওই মেয়েকে,

রোদের মুখে বারবার ওই মেয়ে ওই মেয়ে শুনে আরিশ ঠাস করে রোদের গালে একটা থাপ্পড় দিয়ে বললো,
‘ঠাসসস,—‘মৌ তোর বয়সে ছোট হতে পারে, কিন্তু সম্পর্কে বড়। কারণ মৌ আমার বউ, তাই এখন থেকে ওকে সম্মান দিয়ে কথা বলবি। আর যদি সেটা না পারিস, তো-তোর ওর সাথে কোন কথা বলার প্রয়োজন নেই। বলে আরিশ সিঁড়ি বেয়ে রুমে চলে যায়।আরিশ চলে যেতে রোদ ভেজা চোখে ওর বড় আম্মুর দিক তাকিয়ে বললো,
‘বড় আম্মু তুমি তো বলেছিলে আরিশ দেশে ফিরলে তুমি আমাকে তোমার ছেলের বউ বানাবে। তাইতো আরিশ চলে যেতে ডিভোর্স পেপার বানিয়ে সেখানে জুথির সাইন নিয়েছিলে। তাহলে এখন?
‘বলেছিলাম রোদ আম্মু, কিন্তু সে কথা আমি রাখতে পারছি না। আর ডিভোর্সের কথা আরিশ জানেনা, আমি তাকে জানাতেও চাই না। তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা সেদিন আমার চাপে পড়েই মৌ ডিভোর্স পেপারে সাইন করেছিল। কিন্তু আরিশ সাইন করিনি। সে সাপেক্ষে, তাদের ডিভোর্স এখন হয়নি। কারণ একজন সাইন করলে তো আর ডিভোর্স হয়ে যায় না? দুজনারি সাইন করতে হয়।

‘বড় আম্মু আমি তো আরিশ কে ভালবাসি।
‘দেখ মা আমি তোর মনের অবস্থা বুঝতে পারছি, কিন্তু এইসব বিষয় আরিশ জানলে আবারও রাগারাগি করে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে।
সানজিদা খান, এতোটুকু বলে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে আবারও বললেন,
‘ও আজ দেশে ফিরেছে কতদিন কিন্তু ওর আব্বুর সাথে একটা কথাও বলেনি, এখন আবার এই বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করে ও চলে যাক, আমি মা হয়ে এটা চাইছি না।
রোদ তার বড় আম্মুর কথা শুনে, ফুপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে সোফায় বসে পড়ল। সেও তো তার বড় আম্মুর কথায় আরিশ কে নিয়ে স্বপ্ন বুনছিল। মাঝপথে এসে যদি স্বপ্নটা নিমিষেই উধাও হয়ে যায়, তখন প্রতিটা মানুষই ভেঙে পড়ে। ওই যেমন পাখি একটা একটা করে বন নিয়ে তার বাসা বনে,রোদ ও ঠিক প্রতিটা দিন একটা একটা করে আরিশ কে নিয়ে স্বপ্ন বুনত। কাউকে ভালোবাসা কি অন্যায়? একদমই না। রোদকে কান্না করতে দেখে সানজিদা খান ওর পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন।
‘রোদ আম্মু, তুমি রান্না করো না। আমি তোমাকে আরিশের থেকে ভালো ছেলের সাথে বিয়ে দেব।
রোদে ওর বড় আম্মুর দিক ফিরে গলা জড়িয়ে হাউমাউ করে কান্না করতে করতে বললো,
‘বড় আম্মু,,,

“পেরায় বিকেল গড়িয়ে এলো, অয়ন বাইক নিয়ে বাড়িতে আসার সময়, তানিশাদের বাসার সামনে দাঁড়ালো, আজ দু তিন দিন ধরে তার প্রেয়সী কে দেখা হয় না, কথাও হয় না। এখন তার প্রিয়সী কে এক নজর দেখবে ,একটু কথা বলবে। তারপর এখান থেকে যাবে, আর নয় তো না। অয়ন এসব ভেবে ওর পকেট থেকে ফোনটা বের করে তানিশাকে ফোন দিতে প্রথম বারে রিসিভ হলো না, দ্বিতীয়বারেও হল না, ‌ অয়ন বুঝতে পেরেছে তানিশা ইচ্ছা করে ফোনটা ধরছে না। কারণ সেদিন যে লজ্জাটাই না অয়ন তানিশাকে দিয়েছিল। সেটা কি সে এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেছে? না কখনোই না। অয়ন বার কয়েক ফোন দিতে, তানিশা ফোনটা রিসিভ করে কন্ঠ নামিয়ে বললো,

‘বারবার ফোন দিচ্ছেন কেন?
‘নিচে আসো তোমার সাথে কথা।
‘আমি আসতে পারবো না।
‘তুমি আসবে নাকি আমি উপরে আসবো?
‘দেখুন ভালো হচ্ছে না কিন্তু,
‘যা দেখার বাসর ঘরেই দেখব, এখন ফোনের মধ্যে আমি কিছু দেখতে পারবো না।
‘মানে?
‘তুমিই তো বললে দেখুন, তাই তো বললাম এখন দেখব না বাসর ঘরে দেখব।
‘আপনি, আপনি একটা,,
‘তোমার জামাই। বলে মুখ টিপে হাসলো।
‘,,,,,,।
‘নিচে আসো, আর নয় তো আমি উপরে,,,
‘এই না না, আপনি দাঁড়ান আমি নিচে আসছি।

Violent love part 15

গারো টকটকে হলুদ কালারের ভিতর ছাই কালারের কম্বিনেশন করা একটা গোল কুচি দেওয়া ফ্রক সাথে ম্যাচিং সালোয়ার ওড়না, নাকে একদম ছোট ডায়মন্ডের সাদা নাকফুল পড়া। ঠোট দুটো গোলাপী রাঙা, সব মিলিয়ে যেন অসম্ভব সুন্দর লাগছে তানিশাকে। তানিশা বাইকের কাছে এসে দাঁড়াতে, অয়ন বাইক থেকে নেমে, হুট করেই তানিশাকে ওর বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বললো,
‘আহহ,এখন শান্তি লাগছে,,

Violent love part 17