Violent love part 23

Violent love part 23
Mariam akter juthi

‘আ,আমি নি,নিচে যাব।
‘কিন্তু আমি তো তোকে যেতে দিব না।
‘দে,দেখুন আপনার কা,কাছে থাকলে আমার কেমন অস্বস্তি হয়, কেমন কেমন জানি লাগে।
আরিশ জুথির তোতলানো কথায় স্থির দৃষ্টিতে জুথির দিকে তাকাতে জুথির ঠোঁট দুটো মধু কাঁপতে দেখে হুট করেই জুথির ঠোঁট দুটোর সাথে ওর ঠোঁট দুটো মিশিয়ে চেপে ধরে। জুথি আরিশের এমন কাজে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে আরিশ জুথিকে ওমন অবস্থায়ী ঘুরিয়ে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে, আরিশ এতটাই শক্ত করে চেপে ধরছে যে জুথির শাঁস নিতে পর্যন্ত কষ্ট হচ্ছে। অনেকক্ষণ হওয়ার পেরেও আরিশ জুথি কে ছাড়ছে না বলে জুথি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে, বৃষ্টির পানির সাথে চোখের পানি ও একত্রিত হয়ে যাচ্ছে ওর। আরিশ একটা সময় জুথির ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে শাঁস নিতে নিতে গম্ভীর কণ্ঠে বললো,

‘আমাকে সহ্য করার ক্ষমতা না থাকলে,নিজে কে আমার সামনে এমন ভাবে প্রেজেন্ট করবি না, জাতে করে আমার তোকে ছুঁতে মন চাইবে। মনে রাখবি আমি বারবার তোকে ছোঁয়া থেকে নিজেকে সামলাতে পারবো না। আর একবার যদি ধরি,আমাকে সামলাতে কষ্ট হয়ে যাবে তোর কাছে।
জুথি আরিশের কথা শুনে ঘৃণা দৃষ্টি নিক্ষেপ করে চলে যেতে নিলে, আরিশ জুথির হাতটা চেপে ধরে বললো,
‘তোকে যেতে বলেছি?
‘আমার হাত ছাড়ুন। নিচের দিক তাকিয়ে।
‘কি বললি শুনতে পাইনি?
‘,,,,,,,,,,।
‘ছুড়ুন‌, কথাটা আজ এই মুহূর্ত থেকে তোর জীবন থেকে সমাপ্ত করে দিবি,আর নয়তো, — আরিশ কে সম্পূর্ণ কথা শেষ করতে না দিয়ে জুথি বললো,
‘আর নয় তো কি? কি করবেন আপনি? কে হন আপনি আমার? সব সময় আপনার এরকম নোংরামি আমার সহ্য করতে হবে? এটা আপনি ভাবলেন কিভাবে? হালকা চেঁচিয়ে।
আরিশ জুথি কে চেঁচিয়ে কথা বলতে দেখে,জুথি কে ওর বুকের কাছে এনে স্লো ভয়েজে বললো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘আমি তোর কি হই সেটা তুই জানিস না?
‘না না না, আপনি আমার কিচ্ছু হন না। আপনি আমার পরপুরুষ। কোন অধিকার নেই আপনার, আমার সাথে এমন করার?
‘আমার সামনে চেঁচিয়ে কথা বলার সাহস নেক্সট টাইম করবি না। আর অধিকার আছে কি, নেই সেটা আমি দেখে নিব।
‘বললাম না অধিকার নেই, কারণ আমাদের বিয়েটা ভেঙ্গে গেছে,আমি আপনাকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছি। তাই আমার থেকে দূরে থাকুন। বলে আরিশের থেকে হাত ছাড়াতে নিলে আরিশ জুথির দুই বাহু চেপে ধরে ঝাঁকিয়ে বললো,
‘কি বললি? আবার বল।

‘ডিভো,, —জুথির সম্পূর্ণ কথা শেষ করার আগেই আরিশ জুথির বা গালে ঠাস করে থাপ্পড় দিয়ে বললো,
‘ঠাসসসসসসসসসসসস।—‘ তোর এত বড় সাহস, আমার সামনে ডিভোর্সের কথা উচ্চারণ করিস? একটা কাগজের সামান্য সইতে তুই আমার থেকে আলাদা কোনদিন হতে পারবি না, আমি হতে দিব না। তু,,— আরিশ সম্পূর্ণ কথা শেষ করার আগেই ওকে থামতে হয়, কারণ ও থাপ্পড়টা এতটাই তীব্র ছিল যে জুথি মাথা ঘুরে সেন্সলেস হয়ে আরিশের বুকে মাথাটা রেখে পড়ে যেতে নিলে আরিশ ওকে ধরে ফেলে,আরিশ একহাতে ওকে বুকের সাথে আগলে রেখে অন্য হাত মোটি বদ্ধ করে রাগে ফসতে ফসতে বললো,
‘সব *বাল পাকনামি আমার সামনেই করতে হবে, ডিভোর্স তাই না? ওকে এর ব্যবস্থাও আমি করছি তারপর দেখব তোর বাহানা কোথায় যায়?—বলে ওকে পাজাকোলে তুলে ঝুমঝুম বৃষ্টির ভিতর দফ দফ পা ফেলে ছাদ থেকে নেমে ওর রুমের দিকে চলে আসে,

রুমে এসে সানজিদা খান কে রুমে ডেকে, জুথির ভেজা কাপড় চেঞ্জ করে দিতে বলে সানজিদা খানের কোন কথা না শুনে ওর জামা কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়, আরিশ চলে যেতে উনি জুথির দিক তাকাতে কিছুটা আঁচ করে নেন। অতঃপর তপ্ত নিশ্বাস ফেলে জুথির রুম থেকে ওর জামাকাপড় এনে ওকে চেঞ্জ করার কিছুক্ষণ পরপরই আরিশ কে তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে মুছে বের হতে দেখে সানজিদা খান অসন্তুষ্ট কন্ঠে বললেন,
‘জ্ঞান হারালো কিভাবে?
‘,,,,,,,,,,,,,,,,,,।
‘কি হল চুপ করে আছো কেন?
আরিশ মায়ের কথায় জুথি কে কোলে নিয়ে বিছানায় শোয়াতে শোয়াতে বললো,
‘আবদ্ধ হয়েছিল, তাই মেরেছি।
‘তাই বলে তুমি অবুঝের মত আঘাত করবে?
‘আমার থেকে আলাদা হতে চাইলে, থাপ্পড় কেন? ওকে গুলি করে মারতে ও আমার এক মিনিট সময় লাগবে না।
‘আরিশ,,
‘হ্যাঁ আম্মু, আমি যদি পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট রূপ নিয়ে ওর সামনে আসি, তাহলে ওকে সেভাবেই আমাকে মানতে হবে।

সানজিদা খান এ বিষয়ে আর কথা বাড়ালেন না। কারণ ছেলের স্বভাব তার জানা, তাই প্রসঙ্গ পাল্টে বললেন,
‘ওকে ওর রুমে রেখে আসো, আমি ভিজা জামা কাপড় গুলো ধুয়ে শুকা দিয়ে দিব। — বলে উনি চলে যেতে নিলে আরিশ গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
‘ও আজ থেকে আমার কাছে, আমার রুমেই থাকবে।
আরিশের কথায় সানজিদা খান দাঁড়িয়ে গিয়ে বললেন,
‘কিন্তু এটা হয় না,
‘এখন হবে।
‘কিন্তু তোমাদের বিয়ে তো,,
‘সেটা আমি দেখে নিব।

“সময়টা সন্ধ্যা ৭:১৪ মিনিট,আরিশের অবস্থান পার্টি অফিসে, সেখানে জনগণের লিস্ট পাশাপাশি নেতৃত্বে সবার কি কাজ দু’ঘণ্টা বসে সবাই মিলে আলাপ আলোচনা করে ঠিক করে,আয়ান কে বুঝিয়ে দিতে বলে, আরিশ আমানের ইনভাইট করা ক্লাবে যায়। আরিশ ক্লাবে যেতে আমান এগিয়ে এসে বললো,
‘ওয়েলকাম, এমপি সাহেব।
আরিস আমান কে পাস কাটিয়ে একটা চেয়ার টেনে অ্যাটিটিউডের সাথে বসে বললো,
‘বলতেই হবে তোর সাহস আছে, আর নয় তো আমাকে ডাকতি না।

আমান, আরিশের অ্যাটিটিউড দেখে দাঁত কিড়মিড় করে মনে মনে বললো—‘ আমার ব্যবসা লাটে তুলে আমার সামনে আয়েশী হচ্ছে? তবে চিন্তা করিস না আমি তোর মাথার উপর দিয়েই কাঁঠাল ভাঙ্গবো, তোর টাকা দিয়েই আমি আমার ক্ষতিপূর করবো।ওর এসব চিন্তা ভাবনা করার মধ্যে দু’জন ওয়েটার আরিশের কাছে এসে ওয়াইনের গ্লাস দিতে আরিশ না করে দেয়, কিন্তু আরিশের বারণ করার সত্তেও ওয়েটার দুজন ওকে জোর করতে আরিশ উঠে দাঁড়িয়ে পিছনে গুঁজে রাখা পিস্তল বের করে দু’জনার বুক বরাবর ঠুস ঠুস করে গুলি করে দিতে, লোক দুজনের হাত থেকে গ্লাস মেঝেতে পরে খানখান হয়ে যায়, সাথে ওনারা আস্তে করে লুটিয়ে পড়ে ছটফট করে নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। আরিশ লোক দুজনের ছটফট কমতে, হাঁটু ভাঁজ করে বসে লোক দু’টোর রক্ত হাতে লাগিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বাঁকা হেসে বললো,

‘কোন জিনিস দু’বার বলা আমার পছন্দ না, একবার বলেছি শোনেনি,তাই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হলো। — বলে আমানের কাছে এসে ওর কাঁধে চাপর দিয়ে বললো,
‘তোকে একবার সুযোগ দিয়েছি, দুবার দেব না। তাই কাঁঠাল ভাঙ্গতে যাস না, নাহয় কান্না করার সুযোগ টুকু পাবি না। — বলে ক্লাবে থেকে চলে আসে।

“জুথি ফারির রুমে বসে গল্প করছিল, এটা ওটা নিয়ে। কিন্তু ফারির কথার শেষ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই কথা, ‘আসর নাগাদ’ জুথি আরিশের সাথে তার রুম থেকে বের হলো কেন? তারা কি এক রুমেই ছিল? জুথি ফারির কথায় বিরক্ত হয়ে বললো,
‘তুই একটা, তানিশা একটা’ তোদের কাছে থাকলে আমার পেটে কয়টা নারী ভুরি আছে তোদের জানতেই হবে।আর যতোক্ষণ পর্যন্ত না জানবি, না শুনবি তোদের শান্তি নেই।
‘তুই বলবি কিনা বল? ভ্রু কুঁচকে।
‘কি বলবো?
‘দেখ একদম নাটক করবি না।
‘কি নাকট করলাম? বিরক্তি নিয়ে।
ফারি জুথির বিরক্তি মাখা মুখ দেখে রাগী ফেস করে ফুঁসতে ফুঁসতে বললো,
‘তোর মুখের কথা আর ঘাটের পানি এক।
‘মানে?
‘একদম মানে মানে করবি না,

জুথি ফারি কে রেগে যেতে দেখে মুখটা ছোট করে জরিয়ে ধরে বললো,
‘এমন করছিস কেন?
‘ছাড় আমাকে। জুথিকে ওর থেকে সরিয়ে।
জুথি ফারির কথায় কষ্ট পেয়ে, মুখ বার করে বিছানায় বসতে ফারি ওর দিক তাকিয়ে ওর ফোনটা ওপেন করে সেদিনের তোলা জুথির ওয়ালপেপার এর ছবিটা দেখিয়ে বললো,
‘তুই যখন ভাইকে ঘৃণাই করিস,তাহলে তার ছবিটা তোর ওয়ালপেপারে কি করছে?
জুথি ফারির ফোনে পিকটা দেখে মাথা নিচে করে বললো,
‘তুই,,

‘হ্যাঁ সেদিন তোর রুম থেকে আসার সময় তানু ফোন করতে, ফোনটা ধরায় দেখেছিলাম। পরে জিজ্ঞেস করলে তুই যাতে অস্বীকার করতে না পারিস, তাই ছবি তুলে রেখেছিলাম।
ফারির কথায় জুথি কে চুপ থাকতে দেখে ফারি ওর কাছে এগিয়ে এসে, ওর পাশে বসে গালে হাত দিয়ে বললো,
‘তুই আমার থেকে লুকাতে শিখেছিস মৌ? বলবি না তোর ফারুকে?
জুথি ফারির কথায় চোখ থেকে পানি ছেড়ে দিয়ে বললো,
‘বাসি’ত ওনাকে ভীষণ ভালোবাসি।
‘তাহলে ভাই কে বলছিস না কেন?
‘কি বলবো তোর ভাইকে? উনিতো আমাকে ভালোবাসেন না।
‘বলদ মেয়ে, ভাই তোকে ভালোবাসে না তো কে ভাসে?
‘ফারি আমি চাইনা উনার সাথে আমার জীবনটা জড়িয়ে আবারও উনাকে হারিয়ে কাঁদতে।
‘বুঝলাম না?

‘উনি যে আমাকে আবারো ছেড়ে যাবেন না এর কোন গ্যারান্টি আছে? আমি ওনাকে ছাড়া থাকতে শিখে গেছি ফারি, এখন আবার জড়িয়ে উনার সাথে থাকলে আমি উনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। আমার সেই শক্তি নেই, ফারু উনাকে হারিয়ে নিজেকে গড়তে।
‘আমার বিশ্বাস,তুই একবার ভাইকে ভালোবাসি বললে, ভাই কোনদিন ও তোকে ছেড়ে যাবে না।
‘না, ফারি উনি যতদিন পর্যন্ত না আমার কাছে ভালবাসি কথাটা বলছে, আমি ওনার কাছে কিছুতেই নিজেকে বিলিয়ে দিব না।
‘দেখ সবাই ভালোবাসা প্রকাশ করতে জানে না, এইসব মানুষ যারা, তারা ভালোবাসার মানুষের বিরহে ধুমরে মুসরে যাবে তবুও ভালোবাসা স্বীকার করবে না।
‘,,,,,,,,,,,,,,,,।
জুথি কে চুপ থাকতে দেখে ফারি জুথি কে ওর দিক ঘুরিয়ে বললো,
‘আচ্ছা এটা বাদ দে, তোরা তখন একসাথে বেরোলি, তুই কি সারাদিন ভাইয়ের রুমে ছিলি?
জুথি ফারির কথায় কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,

‘উনি তখন বৃষ্টির ভিতর আমাকে থাপ্পড় দেওয়ায় আমি মাথা ঘুরে সেন্সলেস হয়ে যাই, তারপর কি হয়েছিল মনে ছিল না। যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখি আমি ওনার,,
‘কি হল চুপ হয়ে গেলি কেন? বল।
জুথি সংকোচ বোধ নিয়ে মিনমিন কণ্ঠে বললো,
‘তখন দেখি আমি উনার বিছানায় উনার বাহুডোরে ঘটিসুটি মেরে ঘুমিয়ে ছিলাম,উনি বুঝতে পারে আমার জ্ঞান ফিরেছে তাই ইচ্ছে করেই ওনার বুকের সাথে আরো চেপে ধরে, আমি ভয়ে কিছু বলতে ও পারছিলাম না। কারণ তখন উনার মুখের উপর কথা বলায় উনি থাপ্পড় মেরেছিল। ‘এখন জ্ঞান ফিরে উনার সাথে কথা বলা আমার সাহসে কুলাচ্ছিল না। আর না ওনার দিক তাকানোর সাহস পাচ্ছিলাম। তাই এভাবে কিছুক্ষণ থাকার পর– ,, এটুকু বলে ওর মনে পড়ে তখন এর কথা,
“আরিশ জুথি কে নাড়াচাড়া করতে দেখে, বাহুডোর থেকে উঠিয়ে বিছানায় বসিয়ে বললো–”
‘মাথা ব্যথা করছে?
‘,,,,,,,,,,,,,।

জুথি কে চুপ থাকতে দেখে কপাল কুঁচকে বললো,
‘কিছু জিজ্ঞেস করছি তো?
জুথি আরিশের কথায় মাথা দুই দিক নারায়, যার মানে ‘না, ‘মাথা ব্যথা করছে না’।
আরিশ জুথির মাথা নাড়ানো দেখে ওর মাথাটা মুখের কাছে এনে চুমু খেয়ে বললো,
‘আমার অবাধ্য হবে না।
জুথি আরিশের কথায় ওর থেকে সরে,বিছানা থেকে নামতে নিলে, আরিশ পিছন থেকে জুথি কে জড়িয়ে বললো,
‘থাকো না একটু,— বলে আরিশ মুখ টা জুথির ঘাড়ের কাছে নিয়ে, অসংখ্য চুমু দিতে থাকে, জুথি আরিশের এমন কাজে বিছানার চাদর খামছে ধরে ঘন ঘন নিশ্বাস ফেলে তোতলিয়ে বললো,
‘আ,আমার শরীর কাঁ,কাঁপছে, আমাকে যেতে দিন।

জুথির তোতলানো কথায় আরিশের দিক থেকে শুধু একটা শব্দই ভেসে আসলো, —‘হুস,,।
জুথি আরিশের এত ঘনিষ্ঠতা সহ্য করতে না পেরে আরিশকে ঠেলে সরাতে চেয়ে বললো,
‘দ,দয়া করে আ,আমাকে ছা,ছাড়ুন, এটা আ,আপনি ঠিক ক,করছেন না।
আরিশ জুথির কথায় পাত্তা না দিয়ে, ওকে বিছানায় শুইয়ে হাত দুটো বিছানার সাথে চেপে ধরে,ওর উপরে উঠে ঠোঁটে চুমু খেয়ে, সারা মুখে পর পর চুমু খায়। অতঃপর বুক বরাবর একটা চুমু খেয়ে ওর বুকে মাথা রেখেই বললো,
‘কেন এতটা পাগল করলি আমাকে? কেন এত ছোট দেহটাকে বারবার ছুঁতে মনে চায়? বলে ওকে ঘুরিয়ে আরিশের বুকের মধ্যেখানে চেপে ধরে চোখটা বন্ধ করে নিঃশ্বাস ফেলে, নেশাক্ত কন্ঠে গাইতে লাগলো,

Hum tere bin ab reh nahi sakte..
Tere bina kya wajood mera…(২)
Tujh se juda agar ho jaayenge
Toh khud se hi ho jaayenge juda..
Kyunki tum hi ho..
Ab tum hi ho..
Zindagi ab tum hi ho…
Chain bhi, mera dard bhi…
Meri aashiqui..ab tum hi ho…
Tera mera rishta hai kaisa…
Ik pal door gawara nahi..
Tere liye har roz hai jeete..
Tujh ko di hai meri zindagi…
Zindagi ab tum hi ho..
Chain bhi, mera dard bhi..
Meri aashiqui ab tum hi ho..
Tumhi ho… Tumhi ho…

আরিশ গানটা শেষ করে জুথির মাথায় আবারো চুমু খায়, অতঃপর নিজেকে অনেক কষ্টে নিয়ন্ত্রণ করে, ওকে রুমে থাকতে বলে নিজের হাতে দুজনার খাবার একসাথে নিয়ে এসে ও নিজেও খায়, জুথিকে খাইয়ে দেয়। জুথি কিছু বলতেও পারছে না, আবারও থাপ্পড় খাওয়ার ভয়ে, এক সময় খাওয়া হয়ে গেলে, আরিশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়, অতঃপর বাহিরে বের হওয়ার জন্য রেডি হয়ে, জুথির হাত ধরে রুম থেকে বেরিয়ে আসে আর তখনই ফারি ওদের দেখে,,
জুথি ফারি কে সবটা না বলে, মোটামুটি যেটুকু বলা যায় ওকে, সেটুকু বলতে দুজনই তপ্ত নিশ্বাস ফেলে, তাই এ প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে আবারো বিভিন্ন কথা বলতে শুরু করে,,

Violent love part 22

“সময়টা রাত ৯.৩৪ মিনিট। আরিশ আয়ান কে নিয়ে বাড়ি ফিরে বসার ঘরে দুজনে ক্লান্তিতে ছোপায় শরীর এলিয়ে দেয়, ওরা আসতে মোমেনা ঠান্ডা পানি দেন, আরিশ পানিটা শেষ করে একটা ফাইল থেকে কিছু পেপার বের করে টেবিলে রেখে বড়দের ডাকে, আরিশের ডাকে বাড়ির কর্তীরা সহ সাফওয়ান খান ,ও মাহমুদ খান বসার ঘরে আসেন। সবাইকে আসতে দেখে আরিশ গম্ভীর কণ্ঠে বললো,,

Violent love part 24