Violent love part 25
Mariam akter juthi
জুথি কে এভাবে কথা বলতে দেখে আরিশ ফোনটা বিছানার উপর রেখে ওর দিকে এগোতে এগোতে শয়তানি হাসি দিয়ে বললো,,
‘মন সারাক্ষণ শুধু তুই তুই করে, তুই তুই করে।
জুথি আরিশ কে গান গাইতে দেখে মনে মনে রাগে ফুঁসছে, এই বদ লোক সব সময় ওকে ডেকে, হয়তো গান নয়তো চুমু আর নয়তো থাপ্পর এসব করার জন্য? জুথি দাঁতে দাঁত চিপে কোমরে হাত দিয়ে কিছু বলতে নিবে তার আগেই আরিশ জুথি কে ঘুরিয়ে বিছানার উপর ফেলে জুথির উপরে উঠে জুথির হাত দুটো বিছানার সাথে চেপে ধরতে, জুথি আরিশের ভর নিতে না পেরে দম আটকে বললো,
‘আল্লাহ ‘গো’ মুই মনে হয় মরেই যামু, এইটা কি? আমার উপর থেকে সরেন।
আরিশ জুথি কে চোখ মুখ খিচে কথাটা বলতে দেখে জুথির কানের লতিতে কামড় দিয়ে ফিসফিস করে বললো,
‘একটু আগে যেভাবে কথা বললি, আবার একটু বলতো।
‘ওরে বাবা,গো কানটা আমার শেষ। কানটা ঘাড়ের সাথে চেপে ধরে।
আরিশ জুথি কে ওভাবেই কোলের ভিতর আঁকড়ে নিয়ে উন্মুক্ত গলায় যখন চুমু খেতে যাবে তখন, বিছানায় রাখা ফোনে লুসিয়ানের -‘ও ভাই’ ডাক শুনে,জুথির থেকে সরে বিছানায় বসে জুথি কেও এক টানে ওর পাশে বসিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে বললো,
‘ছোটু ডাকটা দেওয়ার আর টাইম পেলিনা?
‘মনে?
আরিশ লুসিয়ানের কথায় রাগি,নিশ্বাস ফেলে বললো,
‘কিছু না, গাধা।
‘ভাই তমি অমায় গাধা ভোললা?
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
‘বলবো না তো কি করব? তোর বাংলা শুনে আমার মাথা ঘুরছে।
লুসিয়ান আরিশের কথায় কেবলা মার্কা হাসি দিয়ে বললো,
‘ঔত,একঠা হয়ইলেই হলো। তুমি ভাবির কছে ফোন টা দও ত।
আরিশ লুসিয়ানের কথায় নাক মুখ কুঁচকে ফোনটা জুথির কাছে দিয়ে বললো,
‘ওদের সাথে কথা বল।
জুথি কে ফোনটা নিতে সংকোচবোধ করতে দেখে, আরিশ ইশারায় ফোনটা নিতে বললে, জুথি ফোনটা নিয়ে বললো,
‘আসসালামু-আলাইকুম।
‘অলাইকুম-আসসালাম ভাবি ম,, — এতোটুকু বলে লুসিয়ান ম শব্দটায় আটকে যায়। অতঃপর ভ্রু চুলকে বোকা হেসে বললো,
‘তমি তো অনেক সন্দর দখতে,
লুসিয়ানের কথায় জুথি আরিশের দিক তাকাতে আরিশ ফোনটা ছো মেরে ওর হাত থেকে নিয়ে বললো,
‘ও তোর সম্পর্কে কি হয় মনে আছে তো?
‘আরে হ,হ মনে আছে। দও ত ভাবির কছে।
আরিশ ফোনটা জুথির কাছে দিতে লুসিয়ান গলা খাঁকারি দিয়ে বললো,
‘তমি কি বাঙালি মে? সতি বলবা।
‘জি আমি খাঁটি বাঙালি।
‘তমি সধারণ কোন বাঙালি নয় লা, তুমি আমার মন খাড়া এক বাঙালি,
জুথি লুসিয়ানের কথা শুনে ফিক করে হেসে দিল,জুথি কে হাসতে দেখে লুসিয়ান চোখ বড় বড় করে বললো,
‘ওমা তমর দখি গালে টোল পরে, আমি ত জানতম বাঙালি মেরা মটু হয়, এখন দখছি বাঙালি মেরা ত অনক সন্দর। — বলে আরিশ কে ডেকে বললো,
‘ভাই ও ভাই?
‘হুম বল।
‘ভাই আমি তমার বউয়ের মোত সুন্দর মে বিয়ে করবো।
‘তাহলে তো তোকে বাঙালি মেয়ে বিয়ে করতে হবে?
‘হ ভাই তমার বউয়ের মোত বাঙালি মেয়ে বিয়ে করতে রাজি। — ও আরো কিছু বলবে তার আগেই ইন্দ্রিয়া ত্যাইনিন লুসিয়ানের থেকে ফোনটা নিয়ে বললেন,
‘তুই পরে বাঙালি মেয়ে বিয়ে করিস, এখন আমি একটু মেয়েটার সাথে কথা বলি, বলে বললেন,
‘কেমন আছো সোনা,মা?
‘আলহামদুলিল্লাহ, আপনি কেমন আছেন? মিষ্টি কন্ঠে।
‘ফাইন আম্মু। আমিও তো বলি, ছেলে ছুটে দেশে গেল কেন।
‘মানে?
‘আরি,, —ওনার কথা শেষ করার আগে উনার স্বামী ‘জিয়ানলুইজি গ্যান্টানার’ উনার থেকে ফোনটা নিয়ে মধু কন্ঠে বললেন,
‘এই যে ছোট মামনি হাউ আর ইউ?
‘জি আলহামদুলিল্লাহ।
‘এই বাবাইটাকে জিজ্ঞেস করবে না?
‘জি, আপনি কেমন আছেন?
‘আই এম অলমোস্ট ফাইন, ছোটমা। — ওনারা ওর সাথে আরো কিছুক্ষণ কথা বলে,আরিশের সাথে দু একটা কথা বলে ফোন রাখতে, জুথি কৌতূহল নিয়ে বললো,
‘আরিশ ভাই ওনারা কে?
আরিশ জুথির প্রশ্নে, ভ্রু কুঁচকে বললো,
‘ওনাদের বিষয়ে তোকে কেউ বলেনি?
জুথি মাথা দুই পাশে নাড়ালো যার মানে না, তাকে কেউ এ বিষয়ে বলেনি। জুথিকে না করতে দেখে আরিশ বললো,
‘ওনারা আমার মামনি, বাবাই হন।
‘ওনাদের সাথে আপনার কিভাবে পরিচয় হলো?
জুথির এমন প্রশ্নের মনে পরে সেই সাত বছর আগের ঘটনার কথা, যখন আরিশ সুইজারল্যান্ড গিয়েছিল দুমাসও ঠিক করে পূর্ণ হয়নি।
~ফ্ল্যাশ~
“এমন এক দিনে, রাতের বেলায় আরিশের মনটা বিষন্নতায় ঘিরে আরিশ কে অস্থির করে তুলছিল। তার মৌ কে এক নজর দেখার তৃষ্ণায়,আরিশ কোনভাবেই নিজেকে ঘর বন্দী করে রাখতে পারছিল না, তাই এই মুহূর্তে এই পরিস্থিতি থেকে স্বাভাবিক হওয়ার জন্য প্রকৃতির হওয়া দরকার। তাই কোন রকম একটা টি-শার্ট গায়ে জড়িয়ে সিগারেট মুখে পুরে বাসা থেকে বের হয়ে, একটা নির্জন ঝঞ্ঝাটহীন লেকের কাছে বসে পিছন দিক থেকে চুলগুলো মুঠ করে ধরে, আকাশের দিক অশান্ত ভাবে চেয়ে রইল। এভাবে যে, ও কতক্ষণ কলঙ্ক গায়ে জড়ানো চাঁদের দিকে চেয়েছিল, সময়টা হয়তো ওর স্মরণে আসলো না। ওর মনে কোন অনুভূতি ও হলো না। শুধু ফেল ফেল করে চেয়ে রইল দূর বিহীন ঝলঝল করা গোল চাঁদের দিক। হঠাৎ ওর কানে কয়েকজন লোকের চাপা কন্ঠ, পাশাপাশি কারো গোঁড়ামির আওয়াজ শুনে ভ্রু কুঁচকে আসে ওর। শব্দের উৎস খুঁজতে চাঁদের দিক থেকে চোখ সরাতে তাতে কেমন ঝাপসা দেখলো। এটাতো হওয়ারই কথা? চোখ যদি এক দিকে নির্দিষ্ট ভাবে তাকিয়ে থাকে পর মুহূর্তে অন্যদিক তাকালে কেমন ঝাপসা লাগবে এটাই স্বাভাবিক। আরিশ চোখ দুটো হাত দিয়ে মুছে স্বাভাবিক করতে, শব্দটা যেন ক্রমশেই বেড়ে যাচ্ছে। আরিশ এমন শব্দে আশেপাশটা তাকালো তবে ওর চোখে কিছুই বাজল না। তাই উঠে দাঁড়িয়ে গম্ভীর কণ্ঠে উচ্চারণ করল -‘কে শব্দটা? ওর একটা শব্দ যেন পুরো লেকটা কেমন নিস্তব্ধ হয়ে গেছে, এটা দেখে আরিশ কেমন চোখদুটো ছোট ছোট করে বাঁকা হাসলো, এমন সময় ওর মাথা বরাবর পিছন থেকে কেউ হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করতে যাবে, ঠিক সেই সময়টাই আরিশ ব্যাক ভাবে হকিস্টিকটা ধরে এক টানে লোকটাকে সামনে এনে ঘাড়টা কাত করে বললো,
‘-*কুত্তার কলিজা নিয়ে পিছন থেকে আঘাত করা, বন্ধ কর *শুয়োরের বাচ্চা। চোখ দুটো রক্ত আবা করে।
আরিশ হকিস্টিক এতটাই জোরে চেপে ধরেছে যে, সামনে থাকা লোকটার হাত কিছুটা বাঁকিয়ে যায়, লোকটার মনে হচ্ছিল আরিশ হকিস্টিকটা না ছাড়লে হয়তো ওনার হাতটা এখনই ভেঙে যাবে। হলোও তাই! আরিশ হকিস্টিকটা আরেকটু বাকিয়ে ধরতে লোকটার হাতটা মুহূর্তেই ভেঙ্গে যায়। তার পরেও আরিশ লোকটাকে ছাড়ছে না বলে লোকটা চিৎকার করে বললো,
‘লিওন, নিকো,কাম ফাস্ট।
লোকটার ডাকে ওখান কার কিছু স্থানীয় লোক হাতে হকিস্টিকট নিয়ে হাজির হতে, আরিশ বাঁকা হেসে বললো,
‘ও তার মানে তোরা পরিকল্পনা মাফিক, এমন নির্জন ঝঞ্ঝাটহীন লেকে এসেছিস? বলে ধরে রাখা লোকটার হাত ছেড়ে দিতে একটা লোক বললো,
‘আই ডোন্ট আন্ডারস্ট্যান্ড দ্য বাংলা ল্যাংগুয়েজ। অ্যাণ্ড উই ডিডন’ট কাম হিয়ার টু কিল ইউ, বাট সামওয়ান এলস। ডোন্ট গেট ইনভলভ উইথ আস, অর এলস ইউ উইল ডাই টু।
~অর্থ:আমি বাংলা ভাষা বুঝি না।আর আমারা এখানে তোকে নয় অন্য একজন কে মারতে এসেছি। তুই আমাদের সাথে জরাস না।আর নয়তো তুই ও মরবি।
আরিশ লোকটার কথায় বেঞ্চটায় বসে শয়তানি হাসি দিয়ে হাটুর উপর ভর দিয়ে বললো,
‘ওহ রিয়েলি? দেন গো অন। হাউ আর ইউ গোনা কিল মি? উইথ আ হকিস্টিক অর ইউ গান শুট?
অর্থ ~ও তাই? তা শুরু কর। আমাকে কিভাবে মারবি?
হকিস্টিক দিয়ে না গুলি করে?
আরিশের ভাব মূর্তিমা, দেখে লোকগুলো একে অপরের দিক তাকিয়ে একজন বাংলা ভাষায় বললো,
‘দেখো আমাদের ঝামেলা তোমার সাথে না? তাই তুমি যেতে পারো আমরা তোমাকে কিছু বলব না।
লোকটার এমন কোথায় আরিশ গর্জে ওঠে তেরে গিয়ে বললো,
‘কেন মারবি না আমায়? এইতো বললি তোদের কথা না শুনলে আমি মারা পড়বো? লোকটার কলাট ধরে। — ২০ বছরের ছেলে আরিশের এমন গর্জে কথা বলা দেখে লোক গুলো কিছুটা ভয় পেয়ে যায়, অতঃপর একে অপরের দিক তাকিয়ে ইংলিশ বাক্যে, বললো,
‘টেক জিয়ানলুইজি গ্যান্টানার’ উইথ ইউ। অর এলস দ্য বস উইল পানিশ আস ফর দিস।-বলে চলে যেতে নিলে আরিশ লোকটার কলাট পিছন থেকে চেপে ধরে বললো,
‘হু ইজ জিয়ানলুইজি গ্যান্টানার’?
আরিশ লোকগুলো কে কোন কথা বলতে না দেখে, কলাট ছেড়ে, নিজ থেকে হকিস্টিক টা হাতে নিতে লোকগুলো একে অপরকে তাগিদ দিয়ে দৌড়ে পালালো,আরিশ লোক গুলোকে পালাতে দেখে হকিস্টিক টা শব্দ করে মাটিতে ফেলে লোক গুলোর যাওয়ার দিক তাকিয়ে বললো,
‘এইসব ছাগলের পুত কি? ঝামেলা করতে পৃথিবীতে পয়দা হয়? বলে বিরক্তি নিঃশ্বাস ফেলে চলে যেতে নিলে, ওর মনে পড়ে ওরা কোন একটা লোককে মারার কথা বলছিলো, এটা মনে হতে আরিশ ঠায় দাঁড়িয়ে পড়ে। অতঃপর আশেপাশটা তাকিয়ে কাউকেই দেখতে পেল না। তাই আরো কিছুটা সামনে আসতে দেখে একজন লোক মারাত্মকভাবে মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় গোমড়াছে, মনে হচ্ছে উনার হাত পা পাশাপাশি মাথা থেকে যেন রক্তের স্রোত নামছে। উনার পাশেই এক তরুণ জ্ঞানহীন ভাবে পড়ে আছে। যাকে দেখে আরিশের মনে হল বয়স হবে হয়তো ১৮। আরিশ ওদের রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে হাঁটু ভাঁজ করে উনাদের পাশে বসতে রক্তাক্ত লোকটার কাঁপা কন্ঠ শুনতে পেল,
‘লিভ মাই সন অ্যালোন,প্লিজ ডোন্ট টেক দিস লাইফ।
আরিশ স্থির দৃষ্টিতে লোকটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে, উঠে দাঁড়িয়ে সিগারেট মুখে পুরে একটা ক্যাপ, লেক লোকেশন অনুযায়ী বুক করল।–কিছু সময় যেতে ক্যাপ আসতে আরিশ ক্যাপ ড্রাইভারকে সাথে নিয়ে উনাদের গাড়িতে উঠিয়ে হসপিটাল নিতে বলে চলে আসতে নিলে, ড্রাইভার আশ্চর্য নয়নে ইংলিশ বাক্যে বললেন,
‘ইটস স্ট্রেঞ্জ, ইফ ইউ আর দ্যা পেশেন্ট, হোয়্যার আর ইউ গোয়িং?
অর্থ~আজব আপনার রোগী আপনি কোথায় যাচ্ছেন?
‘ওনারা আমার কিছু হন না, আপনি ওনাদের নিয়ে যান বলে একটা কাট বের করে দিয়ে বললো,—‘কাটে নাম্বার আছে ব্যাংকে গিয়ে কল করবেন আমি বলে দিব,যত টাকা লাগে এখান থেকে নিয়ে নিবেন।
ড্রাইভার লোকটা আরিশকে বাংলা বলতে দেখে কিছুটা খুশি হয়ে বললো, -‘আপনি নিশ্চয়ই বাঙালি?
‘হুম।
‘দেখুন আমি একা ওনাকে নিয়ে যেতে পারবো না, আপনি যদি সাথে যান তাহলে আমি ওনাদের নিব আর নয়তো আমি চলে যাব।
আরিশ পরলো মহা ঝামেলা, একে তো এসব একদমই পছন্দ না, কারো সাথে আদিখিতা করা। এর উপর লোকটার বাড়াবাড়ি তাই বিরক্তি নিয়ে বললো,
‘ওকে, চলেন।
“তিন দিন,তিন রাত পর জ্ঞান ফিরলো তরুণ ছেলেটির, এই তিনদিন স্যালাইনের উপর জীবন বেঁচে ছিল তার। আজ জ্ঞান ফিরতে প্রথমেই বাবাকে খুজলো, ততক্ষণে মাথায় চাপ পড়তে নাক মুখ খিচে মাথা চেপে ধরতে, আরিশ স্বাভাবিক বিরক্তি নিয়ে রুমে ঢুকে কেবিনের একটা চেয়ার টেনে বসে সোজা সাপটা কন্ঠে বললো,
‘লুক এ্যাট মি, কেমন লাগছে তোমার এখন?
লুক এ্যাট শব্দটা শুনে মাথা চেপে ধরে পাশে তাকালো, তবে বাংলা ভাষায় বলা কথাটুকু সম্পূর্ণ বুঝল না। তরুণটিকে কেমন চোখে তাকাতে দেখে আরিশ বললো,
‘ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড বাঙালি?
আরিশের কথায় তরুণ ছেলেটি মাথা দুদিক নাড়িয়ে বুঝালো সে এই এ ভাষা বোঝে না, অতঃপর মুখে বললো,
‘আই আন্ডারস্ট্যান্ড সামহোয়াট।
আরিশ ছেলেটার কথায় ইংলিশ বাক্যে বললো,
‘কেমন লাগছে এখন তোমার?
আরিশের কথায় ছেলেটি মাথা চেপে ধরে ইংলিশ ব্যক্যে বললো,
‘একদমই দুর্বল লাগছে। মাথা ঝিমঝিম করছে দাদা ভাই।
আরিশ ছেলেটার সভ্য শান্ত ব্যবহার দেখে কুঁচকানো কপাল স্বাভাবিক করে বললো,
‘হাউ অল্ড আর ইউ? এন্ড হোয়াট ইজ ইউর নেম?
‘লুসিয়ান, 18 ইয়ার্স ওল্ড। বলে ওর আশেপাশটা ভালো করে দেখে ইংরেজিতে বললো,
‘দাদাভাই এটা কি কোন হসপিটাল? আর আমার বাবা কোথায়?
‘তোমার বাবা আইসিইউতে আছে।
আরিশের কথা শুনে লুসিয়ান কপাল কুঁচকে ইংরেজি বাক্যে বললো,
‘কি হয়েছে আমার বাবার?
আরিশ লুসিয়ানকে উত্তেজিত হতে দেখে গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
‘তোমার বাবা কোমায় আছেন!
আরিশের কথা শুনে লুসিয়ান কিছু বলবে এমন সময় ‘ইন্দ্রিয়া ত্যাইনিন’ তাড়াহুড়া করে কেবিনে ঢুকে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ কান্না করে ইংরেজি বাক্যে বললো,
‘তোর জ্ঞান ফিরেছে বাবা?আল্লাহ অনেক মহান, আমার কোলে আমার হীরাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। লুসিয়ান মায়ের কান্নার তোপ নিতে না পেরে ঠান্ডা কণ্ঠে বললো,
‘মম আই এম ফাইন, প্লিজ ডোন্ট ক্রাই। এভাবে মা ছেলে বেশ কতক্ষণ কাটালো। অতঃপর ইন্দ্রিয়া ত্যাইনিন’ আরিশের দিক তাকিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বললেন,
‘তুমি এতোটুকু একটা ছেলে, আমাদের কত বড় একটা উপকার করলে? আমার কোল বাঁচালে আমার অর্ধেক আমার স্বামীকে বাঁচালে। তোমাকে কি বলে,বা কি দিয়ে যে এর ধন শোধ করবো আমি জানিনা।
ওনার কথায় আরিশ গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
‘দেখেন আমাকে ধন প্রকাশ করতে হবে না,আমার অনেক টাকা আছে। আমি শুধু মানুষ হিসেবে কর্তব্য পালন করেছি।
আরিশের গুরু গম্ভীর কণ্ঠ শুনে উনি বললেন,
‘তুমি আমাদের চেনো?
‘আমি আপনাদের চিনে কি করব?
আরিশের সোজা কথায় উনি মুচকি হেসে বললেন,
‘না মানে আমাদের সুইজারল্যান্ডে তো সবাই আমাদের বিলাসবহুল হিসেবে চেনে, তাই আর কি তোমায় জিজ্ঞেস করলাম।
‘হয়তো এত নাম সুনাম বিলাসবহুল বলে আপনাদের এত শত্রু! নট ইন্টারেস্ট দেখিয়ে।
ইন্দ্রিয়া ত্যাইনিন’ এই তিন দিন আরিশের ব্যক্তিত্বতে বেশ মোহিত হয়েছেন, কথা বলার স্টাইল সহজে কারো সাথে কথা না বলা, সব কিছুই বেশ লক্ষ্য করেছেন উনি, যদিও উনি সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় মহিলা, তবে উনি বাংলা ভাষা পছন্দ করেন। সে ভাষায় কথা বলতে উনার বেশ পছন্দ, ওনার স্বামীরও তাই, তবে ছেলের জন্য ওনাদের ইংলিশ টাই বলতে হয়। বাংলায় আর বলা হয় না,এ তিন দিন আরিশের সাথে উনি বেশ বাংলায় কথা বলেছেন। উনি ওনাদের জীবন ইতিহাস আরিশকে শোনালেও আরিশ পারিবারিক একটা কথা ওনাকে বলেনি। যদিও আরিশ সেই রাতেই হসপিটাল থেকে চলে আসতে চেয়েছিল কিন্তু, ইন্দ্রিয়া ত্যাইনিন’ জোর করে আরিশ কে উনার কাছে রেখে দেয়। এতে আরিশ বিরক্ত হলেও মায়ের বয়সী মহিলার কথা ফেলতে পারিনি। লুসিয়ান এর জ্ঞান ফেরার ঠিক এক সপ্তাহ পরে জিয়ানলুইজি গ্যান্টানার’ ওনার হুস আসে। যদিও ডাক্তার উনাকে পুরোপুরি সুস্থ ঘোষণা দেয়নি। কিন্তু উনি কমা থেকে ওঠে সর্ব প্রথমেই স্ত্রী সন্তান কে দেখতে চাওয়ায় উনারা দুজনই ওনার পাশে বসতে উনি বললেন,
‘ওরা তো আমাদের,, —উনার সম্পূর্ণ কথা শেষ করতে না দিয়ে ইন্দ্রিয়া ত্যাইনিন’ বললেন,
‘উপরে একজন আল্লাহ আছে, সে কি তুমি জানো? তাইতো তোমার জীবনটা আজ বেঁচে আছে। আর তার একমাত্র আমার এই ছেলেটার জন্য। আরিশ কে দেখিয়ে।
ওনি আরিশ কে ওনার দুর্বল চোখ দুটো দিয়ে সম্পূর্ণ চোখ বুলিয়ে মোহিত কন্ঠে বললো,
‘আমার পাশে এখানে বসো বাবা।
আরিশ ওনাদের এমন গা লেপটানো কাজে বিরক্ত হয়ে সোজা সাপটা বললো,
‘দেখুন আপনাদের সাহায্য করা আমার কর্তব্য ছিল, আমি এখন আমার বাসায় যাব।
‘কিন্তু তোমাকে তো যেতে দিব না,
‘আর ইউ ট্রাইং টু সে দিস?
‘আমি ঠিক বলছি,
Violent love part 24
আরিশ উনার কথায় রাগে গজগজ করতে করতে উঠে চলে যেতে যেতে বললো,
‘আমার উপর কারো জোর খাটে না, উপকার করেছি বলে যে আপনাদের কাছে রেখে দিবেন, আর আমি থেকে যাব এটা ভাবলেন কিভাবে?
‘শোনো আমাদের কথা, –ওনার সম্পূর্ণ কথা শেষ হওয়ার আগেই আরিশ কেবিনের দরজা খুলে দ্রুত পায়ে চলে যায়,,