Violent love part 31
Mariam akter juthi
‘সেজ ভাই যেহেতু দেশে ফিরেছে, তাই তোমাদের সাথে আমার একটা ইম্পরট্যান্ট কথা ছিল!
মাহামুদ খান কে সিরিয়ার ভঙিতে কথা টা বলতে দেখে, সবাই গোল হয়ে বসতে, ওনি তপ্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন,
‘সেজ ভাই কিংবা বড়ো ভাই , তোমাদের কোন আপত্তি না থাকলে রোদ আম্মুকে আমার রাদিফের বউ করতে চাই। কথাটা বলে উনি মুচকি হাসলেন।
ওনার কথায় সবাই অবাক হয়ে একেকজন এককজেনের দিক তাকিয়ে থাকতে সাইফুল খান বললেন,
‘আলহামদুলিল্লাহ! রাদিফ বাবার মতো ছেলে আমার মেয়ের জন্য পেলে তো কথাই হবে না। তাছাড়া ওদের সম্পর্ক টা হলে ভালোই হবে, কি বলো বড় ভাই? উনিও হেসেই কথাটা বললেন।
ওনাকে হেসে কথা বলতে দেখে সাফওয়ান খান বললেন,
‘ভাই তো বলেই দিল, তাছাড়া এটাই ভালো বাড়ির মেয়ে বাড়িতেই থাকবে। তোমরা কি বলো? কীর্তি দের দিকে তাকিয়ে। কর্তাদের অনুমতি পেয়ে ওনারা ও মুচকি হেসে সায় জানিয়ে সবাই মাথা নাড়ল। যার মানে এতে ওনাদের ও কোন আপত্তি নেই।
মাহামুদ খান সবার হাসি মুখ দেখে রোদের দিক তাকিয়ে বললেন,
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
‘রোদ আম্মু তোমার কোন আপত্তি আছে?
রোদ মেঝো চাচ্চুর কথায় হাঁসফাঁস করে মায়ের দিক তাকাতে, উনার করা ইশারায় হ্যাঁ বলতে দেখে,রোদ তাড়াতাড়ি করে চোখ নামিয়ে ছোট্ট করে বললো,
‘না, তার কোন আপত্তি নেই।
রাদিফ সিঁড়ি পর্যন্ত আসছিল তখন সবার কথায় ওখানে দাঁড়িয়ে যায়, কথার শেষ সবার মতামত দেখে পাশাপাশি রোদ কে সহমত দিতে দেখে, রাদিফ অস্থির ভঙ্গিতে –‘ও সিট যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। বলে রুমে চলে যায়, আরিশ ও নিচে আসার জন্য করিডর পর্যন্ত আসছিল নিচে বড়দের কথায়, পাশাপাশি রাদিফ কে এভাবে চলে যেতে দেখে বাঁ হাতের বুড়ো আঙ্গুল দাঁতে কামড়িয়ে হাসলো। অতঃপর হেসে সিঁড়ি বেয়ে নিচে আসতে, সাফওয়ান খান ওকে ডেকে বললেন,
‘তুমি কি গ্যান্টানার’ কে বিয়ের ইনভাইট করেছিলে?
আরিশ বাবার ডাকে সোফায় বসতে বসতে বললো,
‘হ্যাঁ বলে দিয়েছি, বলেছিলাম আজকে ফ্লাইটে উঠতে। কিন্তু কি ঝামেলার জন্য নাকি, আজকে হবে না, কালকে উঠবে। চিন্তা করো না ওরা হলুদ সন্ধ্যায় এখানেই থাকবে। বলে আরিশ সোফা থেকে উঠতে নিলে তৎক্ষণে ওর ফোন বাজায় পকেট থেকে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে সেখানে বড় করে লেখা ‘সিস আরাধ্যা আহনাফ সূচি’। কলটা দেখে মুচকি হেসে সোফায় বসে কলটা রিসিভ করে বললো,
‘কেমন আছিস সুজি?
‘ওই তো ব্রো আছি?
‘কেন?
‘আরে আর বলো না তো, কলেজের প্যারায় পাশাপাশি পরীক্ষার চাপ সব মিলিয়ে অতিষ্ঠ পাগল প্রায়।
আরিশ সূচির কথায় দুঃখ প্রকাশ করে, বললো।
‘আহারে সুজির কি কষ্ট!
সুচি বুঝতে পারে আরিশ দুঃখ প্রকাশ করার নামে যে মজা নিচ্ছি, তাই ভ্রু কুচি করে বললো,
‘ব্রো তুই আর মজা নিস না, আর আমাকে একদম সুজি বলবি না?আমি সত্যি বলছি অনেক প্যারায় আছি।
“কি অবাক হচ্ছেন তো? সূচি কলেজ পড়ুয়া মেয়ে হয়ে আরিশ কে তুই বললো কেন? তাহলে শুনেন, এ দুজন খালাতো ভাই বোনের সম্পর্কটাই এমন। কতক্ষণ তুমিতেই থাকবে কতক্ষণ তুইতে। সূচি মেয়ে হিসেবে খুবই ভালো ও মিশুক। কিছুদিন আগে ওর অসুস্থ বাবা মারা গেছেন, সে শোক কাটিয়ে এখন যে একটু স্বাভাবিক হয়েছে এটাই অনেক।
আরিশ সূচির কষ্টময় কথা শুনে বললো,
‘আমি দেশে ফিরলাম, খালামনি আসলো তুই আসলি না কেন?
‘ওরে ভাই আসতে তো চাইছিলাম! একটু সমস্যার জন্য আসতে পারিনি।
আরিশ কে কারো সাথে হেসে হেসে কথা বলতে দেখে, জুথি ভ্রু কুঁচকে সিঁড়ি বেয়ে দ্রুত পায়ে নেমে ওর পাশে দাঁড়াতে আরিশ আড় চোখে ওকে একবার দেখে কিছু একটা ভেবে ঠোঁট কামড়ে হেসে ওকে শুনিয়ে শুনিয়ে বললো,
‘তোমাকে খুব মিস করছি সোনা, তুমি আসবে কবে সেটা বলতো?
সূচি আরিশের এহেম কথায়, অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে দ্রুত ভঙ্গিতে বললো,
‘এই ভাই তোমার কি হয়েছে? এমন ভাবে বলছো কেন?
আরিশ সূচিকে বোকা বনে যেতে দেখে, ফোনটা মুখের সামনে এনে হোল্ড করে টেক্সট লিখে পাঠালো, —‘আমার মৌচাক তোর সাথে কথা বলতে দেখে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে তাই তাকে আর একটু ক্ষ্যাপানোর জন্য…. সূচি মেসেজটা পেতে মুচকি হেসে মনে মনে বললো, –‘পাগল। বলে মুখে বললো,
‘আচ্ছা শোনো ভাই আজ তো হবে না,কাল ছুটি নিয়ে পরশু গায় হলুদের সন্ধ্যায় থাকবো।
‘আচ্ছা। — বলে ফোনটা রেখে, জুথি কে দেখেও না দেখার মত করে, উঠে চলে যেতে নিলে, জুথি কোমর হাত দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
‘আরিশ ভাই?
আরিশ ঠিকই ভেবেছিল তার বোকা মৌচাক এখন তাকে ঠিক পিছু ডাকবে, সে সেজন্য প্রস্তুতি নিয়েই দাঁড়িয়ে ছিল। ডাক পেতে পিছন ঘুরে জুথির মুখের কাছাকাছি মুখ এনে বললো,
‘হুম। ডান ভ্রু জাগিয়ে।
জুথি আরিশ কে এত কাছে থেকে লক্ষ্য করে, তার মুখের দিক একটু তাকিয়ে সাথে সাথে চোখ দুটো বন্ধ করে ঢোগ গিলে নিঃশ্বাস নিতে নিতে ভাবল – ‘তার শখের পুরুষ দেখতে কি মারাত্মক! উফফফ।
আরিশ জুথি কে চোখ বন্ধ করে নিতে দেখে, আশপাশটা তাকালো অতঃপর টুপ করে গালে একটা চুমু খেয়ে বললো,
‘ডাকলি কেন?
জুথি আরিশের চুমু খেয়ে তাড়াতাড়ি করে চোখটা খুলে আশপাশটা তাকাতে দেখে,না কেউ তাদের দিকে তাকিয়ে নেই। এটা দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে আরিশের দিক তাকিয়ে বললো,
‘কথা ছিল।
আরিশ বসার ঘরে সবার দিক একবার দেখল,কেউ কাজ করছে, তো কেউ মাঝে মাঝে ওদের দিক তাকাচ্ছে। এটা দেখে আরিশ হুট করে জুথি কে কোলে তুলে বাহিরের দিক যেতে নিলে জুথি নামতে চেয়ে বললো,
‘আরে, আরে কি করছেন? কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?
আরিশ জুথির কথায় কোন জবাব না দিয়ে, সোজা গার্ডেন এর কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে।একটু ঝুঁকে জুথির কপালে চুমু খেয়ে বললো,
‘কি কথা এখন বল!
‘নামান আমাকে।
আরিশ জুথি কে আস্তে করে দাঁড় করাতে, জুথি মুখ দিয়ে ফু এর মতো শ্বাস ছেড়ে বললো,
‘আমার কিছু জিনিস লাগবে।
‘কি লাগবে?
‘আপনাকে বলা যাবে না।
‘তাহলে কিভাবে দিব? ভ্রু কুঁচকে।
‘সে আমি নিয়ে নিব!
‘কিভাবে?
‘আপনি একটু আগে বলে এলেন না? আমি যেন আপনার অনুপস্থিতে বাহিরে না বের হই? তাই আপনার কাছ থেকে অনুমতি নিতে এলাম,আপনি শুধু বাহিরে যাওয়ার পারমিশন দেন।
‘নো! গম্ভীর কন্ঠে।
‘প্লিজ, আমি তো আপ,, বলতে নিয়েও থেমে যায়।
জুথিকে থেমে যেতে দেখে, আরিশ ওকে কাছে টেনে বললো,
‘টাকা লাগবে?
‘না না টাকা লাগবে না, আমার কাছে অনেক টাকা আছে। আপনি শুধু,,
‘কত টাকা আছে?
‘অনেক আছে।
‘তাহলে আমাকে দে?
‘আপনাকে কেন দিব?
‘তুই না বললি অনেক আছে?
‘হুম আছেই তো।
‘তাহলে সেখান থেকে আমাকেও কিছু দে।
‘না আপনাকে দিব না,
‘কিন্তু আমার যে লাগবে!
‘আরে আপনার তো অনেক টাকা আছে? আমার টাকা নিয়ে কি করবেন?
‘আমি এতকিছু জানিনা, আমার টাকা লাগবে আমাকে টাকা দিতে হবে।
‘না, দিব না!
‘ওকে না দিলে একটা শর্ত আছে?
‘কি শর্ত? কন্ঠটা ছোট্ট করে।
‘আমাকে চুমু খাও!
আরিশ কথাটা বলতে, জুথি চোখ দুটো বন্ধ করে ঠোট দুটো চুমুর মত করে আরিশের দিক করতে,আরিশের কোন রেসপন্স না পেয়ে চোখ মেলে তাকাতে দেখে আরিশ ঠিক আগের মতো দাঁড়িয়ে। এটা দেখে ভ্রু কুঁচকে বললো,
‘কি হলো নুচ্ছেন না কেন?
‘চুমু খাবি তুই, আমি কেন নুব?
‘আরে আমি তো আপনার থেকে শর্ট, আপনাকে কি নাগাল পাব?
‘আমি কি জানি, হয়তো টাকা দিবি নয়তো চুমু খাবি!
জুথি বুঝতে পারে, আরিশ ইচ্ছে করেই এমন করছে। তাই ও আরিশের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে ওভাবে দু পা পিছিয়ে গিয়ে দৌড়ে আরিশের গলায় ঝুলে চুমু খাওয়ার চেষ্টায়, উম উম করতে, এবারও ব্যর্থ হল। কারণ আরিশ ইচ্ছে করে মুখটা সোজা করে রেখেছে। যেন জুথি চুমু খেতে না পারে। জুথি অনেক চেষ্টা করে চুমু খেতে না পেরে, হাল ছেড়ে আরিশের গলায় মুখ লুকাতে, আরিশ ওকে দুহাতে আবদ্ধ করে ডাকতে ও আরিশের দিক তাকাতে, আরিশ মুচকি হেসে ওর ঠোঁটে ঠোঁট মিলালো। এমন যে দুজনে কতক্ষণ ছিল হয়তো দুজনার কারো জানা নেই। হঠাৎ ফারির কথায় তাদের ধ্যান ভাঙ্গে, –‘হায়রে কি ভালোবাসা! বাগানে বসে টাইটানিক মুভির সিন করছে।
ফারির কথায় জুথি আরিশের থেকে সরতে চাইলেও,আরিশ তাকে সরতে না দিয়ে নিজের মন মত কিছুক্ষণ থেকে ছেড়ে ফারির দিকে তাকিয়ে বললো,
‘বাগানে এসেও শান্তি নেই। অনেক বড় হয়ে গেছিস, দাঁড়া তোরও একটা বিয়ের ব্যবস্থা করছি।
‘আর বিয়া? আমার কপালে নেই। বলে ফিক করে হেসে দিল।
জুথি আরিশের কাছ থেকে একটু সরে ফারির কাছে দাঁড়িয়ে বললো,
‘আমি কি যাবো?
আরিশ তার প্রিয়সীর দিক একবার তাকালো অতঃপর কিছু একটা ভেবে বললো,
‘ওকে তবে আয়ানক সাথে নিয়ে যাবি।
‘ঠিক আছে আয়ান ভাইকে সাথে নিয়ে আমার কোন সমস্যা নাই।
‘ওকে।
আরিশ কে, ওকে বলতে দেখে জুথি খুশি হয়ে আরিশ কে হুট করে জড়িয়ে ধরে বললো,
‘অনেক অনেক ধন্যবাদ!
‘হুম। আমি বেরোচ্ছি,আমার ফিরতে লেট হবে। ঠিকমতো খেয়ে নিস।
‘হুম।
আরিশ চলে যেতে জুথি ফারির কাঁধে ফারি জুথির কাঁধে হাত দিয়ে খুশি মনে বাড়িতে ঢুকতে ঢুকতে ফারি বললো,
‘অবশেষে পূর্ণতা পাবে?
‘আশা রাখছি! বাকিটা আল্লাহর উপর। বলে দু বোন আয়ানের রুমে গিয়ে দেখে আয়ান এখনো ঘুমিয়ে। এটা দেখে একে অপরের দিক তাকিয়ে কপালে হাত দিয়ে বিরক্ত হয়ে, আয়ানের শরীর থেকে খাতাটা টেনে সরিয়ে দুজনে চিল্লিয়ে বললো,
‘আয়ান ভাই? আর কত ঘুমাবে? এবার তো ওঠো! নিচে তানিশা এসেছে। বলে ঠোঁট কামড়ে হাসলো।
আয়ান দুই বোনের এমন ভয়ংকর চিৎকার শুনে পাশাপাশি তানিশার কথা শুনে সাথে সাথে ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে লাফ দিয়ে বিছানায় বসে বললো,
‘কি হয়েছে বনু? আর সত্যি তানিশা এসেছে?
‘না, তোমাকে মিথ্যা বলে উঠালাম।
‘আমার ইমোশন! বলে ঠোঁট ভেটকালো।
আয়ান কে ঠোট ভেটকাতে দেখে ফারি ভ্রু কুঁচকে বললো,
‘আয়ান ভাই তুমি তানিশার কথা শুনে এত খুশি হলে কেন?
‘আরে তুই জানিস না? আয়ান ভাই তো তানিশাকে পছন্দ করে!
‘আ্যহ! হায় আল্লাহ একে একে সবাই সেটেল হচ্ছে। আমার পছন্দের বিদেশি পোলা কবে আসবে? হায়রে এমন পোলা মনে হয় আসবেও না, আমার বিয়েও হবে না? বলে দুঃখ প্রকাশ করতে, জুথি আয়ান ওর মুখের এক্সপ্রেশন দেখে ফিক করে হেসে উঠলো। অতঃপর জুথি আয়ানের দিক তাকিয়ে বললো,
‘তোমাকে কালকে কি বলেছিলাম?
‘আমি তো বললাম ভাই পারমিশন দিলে নিয়ে যাব।
‘উনি পারমিশন দিয়েছেন, এখন তো নিয়ে চলো?
‘আচ্ছা তাহলে তোরা রেডি হ আমি ফ্রেশ হয়ে রেডি হচ্ছি।
‘আচ্ছা।
জুথি ফারি,আয়ানের কথায় রেডি হওয়ার জন্য যে যার রুমে যেতে যেতে ফারি নিজের কথা ভেবে উপরের দিক তাকিয়ে বললো, – ‘আমার কপালটা এমন কেন? আমার প্রিয় কল্পনা পুরুষ তুমি আসবে কবে? আমার মতো এই হতভাগীকে তোমার করবে কবে? বলে গিয়ে উঠলো,
~ ~ সাত সাগর আর তের নদী…
~~ পার হয়ে তুমি আসতে যদি?
~~ রূপকথার রাজকুমার হয়ে…
~~ আমায় তুমি ভালো বাসতে যদি।
গানটা গাইতে গাইতে ফারি দুঃখ প্রকাশ করে নিজের রুমে চলে গেল।
“বসার ঘরে, যে যার কাজ সেরে রুমে যেতে থেকে গেল মেহজাবিন খান। যদিও উনি নিজের কাজই থেকেছেন, স্বামী ফিরেছে আজ দীর্ঘ চার মাস পর। তাই নিজের হাতে স্বামীর জন্য ব্ল্যাক কফি বানাচ্ছেন, এই টাইমে উনি এটা খুবই পছন্দ করেন তাই। সাইফুল খান ও, স্ত্রীর খোঁজে রান্নাঘরে আসতে উনাকে একলা পেয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে বললেন,
‘কই জামাই দেশে ফিরেছে তাকে একটু আদর সোহাগ করবে, তা না করে রান্না ঘরে ঘুরঘুর করছ?
স্বামীর কথায় বেশ লজ্জা পান মেহেজাবিন খান, অতঃপর বললেন,
‘এই বুড়ো বয়সে তোমার আদর চাই তাই না?
স্ত্রীর এহেম কথায়, মুখ বাঁকিয়ে শক্ত চোয়ালে বললেন,
‘আমি একদম বুড়ো হইনি, আমি এখনো টগড়া যুবক। বিশ্বাস না হলে রুমে চলো প্রুফ দিয়ে দিব।
Violent love part 30
মেহজাবিন খান স্বামী কে মুখ বাঁকিয়ে কথা বলতে দেখে বললেন,
‘এহ দুই মেয়ের বাবা হয়ে, আসছে উনি নাকি টগড়া যুবক?
সাইফুল খান স্ত্রীর কথায় আশপাশটা দেখলেন, অতঃপর ওনাকে কাছে টেনে কোলে তুলে রুমে গেলেন,,