Violent love part 39
Mariam akter juthi
“খান বাড়ির মহল জুড়ে, রান্নাবান্নার ব্যস্ততা। জামাই আদর বলতে কথা, আজ রিসিপশনের পর ইভা কে ফের আনা হবে। যদিও জুথির বিষয়টা সবার মাথায় ছিল, তবুও বাড়ির একটা নিয়ম ধরে রাখার জন্য সবাইকে সবটা ম্যানেজ করার জন্য করতে হচ্ছে। ক্ষণে ক্ষণে উনারা এই তিন দিন বারবার গিয়ে ওকে দেখে এসেছে। জুথির জ্ঞান ফিরেছে কিনা। আর বেশিও চিন্তা হয়নি, আরিশ সব সময় ওর পাশে ছিল বলে। তাই ইভার বিয়ের কার্য কাজ কোনথায় কমতি না হয় সবাই সেটা খেয়ালে রেখেছেন, ও যেন কারো কর্মের জন্য কোন জায়গায় ছোট না হয়।
তখন আরিশ জুথির জন্য খাবার আনতে নিচে আসতে, জুথি তাড়াতাড়ি করে কোনরকম শরীরের শক্তি সঞ্চয় করে, ছোট ছোট পা করে কভারের কাছে এসে, কালো পিঙ্ক কালারের কম্বিনেশন করা, কুচি দেওয়া গোল ফ্রক, পাশাপাশি প্যানকাট সেলোয়ার, মেইলি প্রয়োজনীয় সবকিছু বের করে, দ্রুত ওয়াশরুমে ঢুকে দরজাটা নক করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো। জুথি ওয়াশ রুমের দরজার সাথে হেলান দিয়ে, পর পর দুটো ঢোগ গিলে হাতের জামাকাপড় গুলো শাওয়ার রডের উপর রেখে তাড়াতাড়ি করে বাথ টপের পাশে রাখা বালতিতে পানি ছেড়ে বালতি ভরে নিল, নিয়ম কানোন অনুযায়ী গোসলটা তাড়াতাড়ি শেষ করে, তোয়ালে দিয়ে ভেজা শরীর মুছে ভেজা কাপড় চেঞ্জ করে, সালোয়ারটা পড়ে নিতে, ঠাস ঠাস করে ওয়াশরুমের দরজায় কড়াঘাতের শব্দে,জুথি তৎক্ষণে কেঁপে উঠলো। তাৎক্ষণে আরিশ ওর সর্বশক্তি দিয়ে, দরজা ধাক্কাতে জুথির মনে হলো এখনই দরজাটা ভেঙে ওর শরীরে পড়বে। ভয়ে ওর মুখ থেকে কথা ও বের হচ্ছে না।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
আরিশ নিচে গিয়ে, সোজা হেলদি খাবার প্লেটে নিয়ে, আবারো ওপরে আসতে নিলে সানজিদা খান ওকে পিছু ডেকে জিজ্ঞেস করলেন,
‘এভাবে ছুটে আসলে, এখন আবার ও যাচ্ছ কেন?
‘আম্মু, আমার বউয়ের সেন্স ফিরেছে।
‘শুকরিয়া।
আরিশ আর দাঁড়ালো না, ব্যস্ত পায় হেঁটে রুমে আসতে বিছানায় জুথি কে দেখতে না পেয়ে, ভ্রু কুঁচকে খাবার প্লেট টা নতুন আনানো ড্রেসিং টেবিলটার উপর রেখে, চারপাশ তাকাতে ওর কানে আসে ঝপ ঝপ পানির শব্দ। আরিশ এটা শুনে আর একটু ওয়াশ রুমের কাছে এগোতে ওর হাত দুটো আপনা-আপনি মুঠিবদ্ধ হয়ে যায়। যখন বুঝতে পারে তার নিজ নারী আবারো তার কথার অবাধ্য হয়েছে, আরিশ পর পর চোঁখের পল্লব ফেলে রাগি নিশ্বাস ফেলে একটু জোরেই ওয়াশ রুমের দরজাটা ধাক্কা দিতে, ওপাশ থেকে কনো রেসপন্স না পেয়ে, দরজা ভেঙ্গে ফেলার মতো দাঁত কিড়মিড় করে ধাক্কা দিয়ে মনে মনে আওড়ালো , — ‘অবাধ্য বেয়াদব নারী, যেই জিনিসটা মানা করি, সেটা করতেই হবে। ওদিকে এতো জোরে দরজা ধাক্কানোর শব্দ পেয়ে জুথি শরীরে তোয়ালে পেঁচিয়ে ভয়ে ভয়ে তুতলিয়ে বললো ,
‘আ,আমার হয়ে গেছে তো, এ,একটু পরেই বের হচ্ছি।
‘তুই দরজা খুলবি? নাকি আমি দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকবো?
‘ব,বললাম তো ব,বের হচ্ছি।
‘তোর বের হওয়ার গুষ্টি কিলাই, তুই এই মুহূর্তে দরজা খোল। আর নয় তো…
কি আর করার? জুথি মারের ভয়ে এক প্রকার বাধ্য হয়ে, দরজা খুলে দিতে আরিশ হুমুরি খেয়ে ভিতরে এসে ওকে কিছু বলবে, তার আগেই জুথি তোয়ালেটা বুকের কাছ থেকে খামচে ধরে, অন্য পাস ঘুরে যেতে,ওর হলুদ ফর্সা শরীরে পানির ফোঁটায় আরিশের চোখে চিকচিক করে ধরা দিল। মুহূর্তেই আরিশের রাগ গলে পানি হয়ে গেল। হঠাৎ করেই ওর শরীর কেমন কাঁটা দিয়ে উঠলো। মনে হলো ওর নাক পাশাপাশি ফিলট্রামের অংশটা মুহূর্তে ঘামে ভিজে উঠছে। ওর এটা মনে হতে দ্রুত ডান হাত দ্বারা নাকের ডগার পাশাপাশি ফিল ট্রামের চিকচিক করা ঘাম গুলো মুঝে পরপর ঢোগ গিলে নিল। নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে বললো,
‘আমার দিকে ঘোর।
‘,,,,,,,,,,,,।
জুথি কে একইভাবে পিছন ভাবে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, আরিশ ফের কিছু না বলে নিজেই ওর সামনে যেতে, জুথি আবারো ঘুরে অন্ন পাশ হতে নিলে তাৎক্ষণে আরিশ ওকে ধরে ওর দিক ঘুরিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে বললো,
‘গোসল করতে নিষেধ করেছিলাম না?
‘,,,,,,,,,,,।
জুথি আরিশের কথায়,কি উওর দিবে? ওর হাত পা সহ ঠোঁট জোড়াও মধু কাঁপছিল ওর ভয়ে। জুথির চোখ বন্ধ, ঠোঁটের পাশাপাশি পিসিগুলো ও মধু কাঁপছিল, ঠোঁটের নিচের তিলটা, যেন পানির ছোঁয়ায় ওর চেহারায় আকর্ষণীয়টা ক্ষণে ক্ষণে বাড়িয়ে তুলছিল, এটা দেখে আরিশ আর নিজেকে সামলাতে পারল না। তাৎক্ষণে জুথির কাঁপা ঠোঁট দুটো নিজের ঠোঁট দুটোর সাথে মিশিয়ে নিল। গুনে গুনে দুটো মিনিট শেষ হতে, জুথি নিজের থেকে আরিশ কে ঠেলে সরাতে চেষ্টা করতে, আরিশ নিজেই ওর ঠোঁট ছেড়ে দিল। আরিশ ঠোঁট ছেড়ে দিতে, জুথি স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ার উদ্যেগে বড় করে শ্বাস টানতে আরিশ ওকে টেনে বুকের সাথে জড়িয়ে বললো,
‘আমাকে পাগল করার জন্যই হয়তো, heart queen এর জন্ম। এখন আমি এটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি।
আরিশ ওকে এভাবে জড়িয়ে ধরতে, জুথি ওকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে বললো,
‘ছা,ছাড়ুন, জামা পরবো।
জুথির কথা শেষ হতে না হতে আরিশ ওকে ছেড়ে, ওর দুই বাহুতে হালকা হাত রেখে বললো,
‘দে আমি পরিয়ে দিচ্ছি।
‘একদম না, আমি পড়ে নিতে পারবো। নির্লজ্জ লোক। শেষ কথাটা নিচের দিক তাকিয়ে বিড়বিড় করে বললো।
‘কিন্তু আমি যে তোকে পরিয়ে দিবই!
জুথি আরিশের ত্যাড়া কথা শুনে, দাঁতে দাঁত চেপে বিড়বিড় করে আওড়ালো, — ‘এখন কি আপনি আমার ইনার ও পরিয়ে দিবেন।
‘তুই চাইলে দিতে পারি। ঠোঁট কামড়ে হেসে।
‘এ্যাহ
‘এ্যাহ নয় হ্যাঁ।
‘অসভ্য নির্লজ্জ লোক।
আরিশ আর তার অবাধ্য নারীর কথা শুনল না, নিজ হাতে ওকে জামা পরিয়ে কোলে তুলে ওয়াশরুম থেকে বের হতে নিলে জুথি নামার জন্য বলে উঠলো,
‘আরে নামান আমাকে, ভেজা জামা কাপড় গুলো ধুবো তো?
‘তোকে ধুতে হবে না। — কথাটুকু শেষ করে ওকে নিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে টুলে বসিয়ে, তোয়ালে দিয়ে ওর চুলগুলো নিজ হাতে মুছে দিয়ে, হেয়ার ড্রায়ার টা এনে চুলগুলো শুকিয়ে নিল। অতঃপর আবারো ওকে কোলে তুলে, বিছানার ওপর বসিয়ে খাবার প্লেটটা নিজ হাতে তুলে ওর মুখে খাবার দিতে, জুথি সেটা আরিশের হাত থেকে এনে নিজ হাতে খেতে খেতে আস্তে করে বললো,
‘প্রয়োজন নেই।
জুথির খাবার অর্ধেক শেষ হতে, মোমেনা খান আরিশের রুমে আসেন জুথির সেন্স ফিরেছে শুনে। উনি এই তিন দিন, এই রুমে মেয়েকে দেখতে বেশ কয়েকবারই এসেছেন। তার বড় মেয়ের বিয়ে, তাই বলে মেঝো মেয়ের খেয়াল রাখবে না এমনটা তিনি নন। হতে পারে ভালোবাসাটা একটু অন্য দুই মেয়েকে উনি বেশি দেন, তাই বলে এটা নয় সে মেঝো মেয়েকে ভালোবাসে না। ওকেও সে ভালোবাসে। মেয়ে কে খাবার খেতে দেখে, ওর পাশে এসে বসে বললেন,
‘শরীর কেমন লাগছে তোমার?
‘মোটামুটি আম্মু।
‘খাবারগুলো সম্পূর্ণ শেষ করবে।
‘হুম।
‘শরীর ভালো লাগলে আমার রুমে এসো, তাকে দেখলে ভীষণ খুশি হবে। – মুচকি হেসে।
‘আচ্ছা। – উনার শেষ কথা না বুঝেই উত্তর দিল।
উনি বেশ কিছুক্ষণ,জুথির সাথে কথা বলে নিজের রুমে চলে যেতে, ডিম সেদ্ধ অন্য হাতে গ্লাস ভর্তি দুধ নিয়ে হাজির হলেন সানজিদা খান। সানজিদা খানের হাতে এসব দেখে, জুথি ঢোগ গিলে আড় চোখে আরিশের দিকে একবার চাইল। তাৎক্ষণে সানজিদা খান হাতে আনা খাবার গুলো টেবিলে রেখে, জুথির পাশে বসে ওকে টেনে বুকের সাথে জড়িয়ে কপালে চুমু খেয়ে বললেন,
‘কেমন লাগছে তোমার শরীর আম্মু?
‘জি মা মোটামুটি।
‘তোমার সাথে আমার কথা আছে।
‘বলো?
সানজিদা খান, আরিশের দিক তাকাতে দেখে ও ওদের দিকেই তাকিয়ে আছে, এটা দেখে সানজিদা খান একটু চাপা কন্ঠে বললেন,
‘আমার ওর সাথে কিছু কথা আছে, তুমি বরং এখন এই রুম থেকে যাও।
‘বললে আমার সামনেই বল, আর নয়তো আমি কোথাও যাবো না।
‘ঠিক আছে, তো দাঁড়িয়ে থাকো ওখানে, আমি বরং আমার রুমে নিয়ে যাই।
সানজিদা খান কথাটা বলতে, আরিশ বিনা বাক্যে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। আরিশ কে চলে যেতে দেখে সানজিদা খান, মনে মনে আওড়ালেন, -‘তুমি যেমন তোমার সাথে ঠিক তেমনি করেগ চলতে হয়। – ভেব উনি জুথির দিকে ঘুরে আদেশের সুরে বললেন,
‘তোমাকে যেমন বলবো তুমি সেভাবেই চলবে। কি পারবে তো?
‘,,,,,,,,,,,।
‘কথা বলছো না কেন?
‘হুম।
‘আমি জানি, তুমি আমার ছেলের প্রতি দুর্বল। তার থেকেও তোমার প্রতি দুর্বল আমার ছেলেটা। তাই তোমার সাথে কাউকে সহ্য করতে পারে না। একটুতেই ওর মাথা গরম হয়ে যায়, এটা তুমি হওয়ার পর দিনে দিনে ওর মাথা খারাপ করে ফেলেছে। তাই আমি চাই তুমি ওর সাথে কথা বলবে না,
‘আ,,
‘আমার কথা শেষ হয়নি?
‘বলো? নিচের দিক তাকিয়ে।
‘তোমার গায়ে হাত তোলা এটা আমি মোটেও পছন্দ করি না, মানছি ওর রাগ বেশি, একটু উন্মাদ টাইপের। তাই বলে ওর প্রতিটা কাজ তুমি মুখ মুঝে সহ্য করবে এটা আমি মানবো না। ও যতদিন পর্যন্ত তোমার কাছে ক্ষমা না চাইবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না বলবে তোমার গায়ে আর হাত তুলবে না, ততদিন পর্যন্ত তুমি ওর সাথে কথা বলবে না। এটা আমার আদেশ
‘উনি যদি রেগে যান?
‘সেটা দেখা যাবে, আমি জানি, তুমি ওর সাথে দু’দিন ঠিক ভাবে কথা না বললে, তখন ঠিকই বুঝবে, বউয়ের মর্মতা।
‘আমি পারবো আম্মু? উনি বুঝবেন আমার অভিমান?
সানজিদা খান ওর এমন কথায় ওকে বুকের মধ্য জড়িয়ে, ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,
‘আমার আম্মু পারবে, ঠিক পারবে। – বলে আবারো ওর মাথায় চুমু খেলেন।
‘আম্মু?
‘হুম?
‘আজ তো আপুর বিয়ে তাই না? বুকের থেকে মুখটা একটু উনার মুখের দিক উঁচু করে।
‘মানে? ওর দিক ভ্রু কুঁচকে?
জুথি সানজিদা খানের কোলের মধ্যে থেকে উঠে গোল হয়ে বসে বললো,
‘ইভা আপুর!
সানজিদা খান এবার বুঝলেন, জুথি এখন পর্যন্ত স্মরণে আনতে পারিনি, ওর সেন্স একদিন পর নয়, বরং তিনদিন পর ফিরেছে। উনার নিজেরি এবার খারাপ লাগলো, বোনের বিয়ে হয়ে গেল মেয়েটা একটু আনন্দ করতে পারল না। তাই তপ্ত নিশ্বাস ফেলে বললেন,
‘তুমি সেন্স হারিয়েছিলি কবে মনে আছে?
‘হুম,৮ তারিখ ছিল ঐদিন!
‘আজ ১১ তারিখ, তোমার আপু আজকে জামাই নিয়ে ফের আসবে।
‘কি বলছো? তিন দিন আমার সেন্স ছিল না?
‘হুম।
সানজিদা খানের হুম, বলে স্বীকারোক্তি দিতে, সাথে সাথেই ওর মনটা খারাপ হয়ে গেল। ও ভাবতেও পারিনি ওর বোনের বিয়েটা ও খেতে পারবে না। স্বামী নামক মানুষটার জন্য। এটা ভেবে এবার আরো বেশি অভিমানের পাল্লাটা ভারী হয়ে এলো ওর আরিশের প্রতি। ও মনে মনে ভেবেই নিল এই লোকটার সাথে কোনভাবেই আর কথা বলবে না, বলবেই না। জুথি কে মুখটা ভেজার করে চুপ হয়ে যেতে দেখে, উনি উঠে দাঁড়িয়ে ওর গালে হাত দিয়ে বললেন,
‘মন খারাপ করো না আম্মু, সব ঠিক হয়ে যাবে। দুধ আর ডিম সিদ্ধটা দিয়ে গেলাম, খেয়ে নিও।
‘আম্মু ডিম সিদ্ধ খাব না বমি আসবে। ওটা তুমি নিয়ে যাও।
সানজিদা খান ও আর কথা বাড়ালেন না, ডিমের পিরিজ হাতে নিয়ে দুধ টুকু রেখে চলে গেলেন।
“বিকেলের স্বচ্ছ বাতাস, জুথি নিজের রুমের বারান্দায় বিষন্ন মন নিয়ে দাঁড়িয়ে আকাশের দিক তাকিয়ে আছে। তখন সানজিদা খান চলে যেতে, এক রাজ্যে অভিমান এসে ওর মনে জেঁকে বসতে আরিশের রুমেও থাকবে না বলে তৎক্ষণেই নিজের রুমে চলে আসে। এসে দরজা বন্ধ করে, চিত হয়ে বিছানায় শুয়ে থাকতে, এক সময় শরীর দুর্বলতায় ঘুমিয়ে যায়। জুথি এক ঘন্টা প্রায় রুমে আসতে,ইভা এসেছিল বোনকে দেখতে কিন্তু ডাকার পরও সারা শব্দ না পেয়ে ঘুমাচ্ছে ভেবে নিজের রুমে চলে যায়। ইভা যেতে পরপর ফারিও এসেছিল জুথির কাছে। বিকাল পেরিয়ে যাচ্ছে দেখে সানজিদা খান প্লেটে খাবার বেড়ে ফারি কে ডেকে জুথি কে দিতে বললে ফারি প্লেট হাতে নিয়ে জুথির দরজার কাছে এসে ধাক্কা দিতে নিলে, দেখে দরজা ভেতর থেকে খোলাই আছে। ফারি রুমে এসে প্লেটটা রেখে রুমের চারপাশ তাকাতে দেখে জুথি বারান্দার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে। ফারি ওকে দেখে এগিয়ে গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললো,
Violent love part 38
‘কেমন আছিস?
জুথি ফারির উপস্থিতি টের পেয়ে, আকাশের দিক থেকে চোখ সরিয়ে তপ্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে বললো,
‘এইতো আছি।
‘তুই জানিস তিন দিন তোর সেন্স ছিল না।
‘হুম আমার শাশুড়ি বলেছে।
‘জানিস এই তিন দিনে কি হয়েছে?
‘তুই না বললে কিভাবে জানব? ক্লান্ত চোখে ওর দিক তাকিয়ে।
‘জানলে, দেখলে আমার মত হার্ট ব্লক করবি, — বলে ফারি বলতে শুরু করলো,
[ফ্লাশ] ….