Violent love part 47
Mariam akter juthi
“মাঝরাতে আরিশের এলোপাথালি অত্যাচারের পর, মাত্রই জুথির সেন্স এসেছে। জুথির সেন্স আসতে শরীরে নিজের থেকেও ভারি কিছু অনুভব করতে, বুঝতে পারলো। তার রাগি আরিশ ভাইটা তাকে এভাবে নিজের সাথে আঁশটে পিষ্টে জরিয়ে ঘুমিয়ে আছে। আরিশ জুথিকে নিজের সাথে এমন ভাবে জড়িয়ে রেখেছে যে জুথির শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। – ‘আরে বাবা জড়িয়ে ধরবি ধর, তাই বলে এভাবে? যে আমি একটু শ্বাস পর্যন্ত করতে পারবো না? – কথাটা ভেবে জুথি আরিশের হাত পা গুলো নিজের থেকে সরানোর চেষ্টা করতে। ততক্ষণে আরিশ সেটা টের পেয়ে উঠে বসে জুথির দিকে তাকিয়ে বলল,
‘আমার মৌয়ের সেন্স ফিরেছে? আরিশের খুশি হওয়া মুখটা দেখে জুথি মুখের উপরে উড়ে আসা চুলগুলো বা হাত দড়া সরিয়ে উঠে বসতে। আরিশ ওকে টেনে ওর গালে কানে চুলে চুমু খেতে জুথি ওকে নিজের থেকে সরাতে চেয়ে বলল,
‘আমার পুরো শরীর ব্যথা। আপনার সামান্য চুমুতেও আমি ব্যাথা পাচ্ছি।
‘লাভ ইউ, মৌ। – কানের কাছে ঝুঁকে।
আরিশ কথাটা বলতে জুথি চুপ হয়ে অন্যদিক তাকাতে আরিশ আবারো ওর দিক তাকিয়ে বলল,
‘আমার ছোঁয়া পেয়ে তুই এত সুন্দর হবি জানলে আরো আগে ছুয়ে দিতাম। – বলে জুথির গলায় মুখ ডুবাতে। জুথি আরিশের লক্ষণ ভালো না দেখে, আরিশ কে ছাড়াতে চেয়ে বলল,
‘আরিশ ভাই আপনি নিজের মধ্যে নেই। মরে যাব আমি।
‘হুসসস।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
‘প্লিজ না, আপনি আমাকে অনেক ব্যথা দেন। আমি,,
‘আরিশ খান যেখানে হাত দেয় সেখানে ক্ষত করে ছাড়ে। যেটা তার সেটাকে যত্ন করতে জানে। আর যেটা তার নয় সেখানে কান্না করার সুযোগটুকু রাখেনা। আর যেখানে তুই সম্পূর্ণটাই আমার, সেখানে তুই আমার ছোঁয়ায় কাঁদবি না যন্ত্রণা পাবি না। আমি তোকে ছুয়েছি তার ক্ষত তোর শরীরে থাকবে না। এটা তো হতেই পারে না। আমি তোকে ছোব, ব্যথা দিব। তুই সেই ব্যথায় কাঁদবি। তাও আমার দেওয়া ব্যথায় আমাকে জড়িয়ে। আর নয় তুই অন্যথায় কাঁদতেও পারবি না। – বলে আরিশ জুথির ঠোঁট দুটো নিজের সাথে মিশিয়ে নিতে, জুথি ফুপিয়ে উঠতে আরিশ ওর ঠোঁট দুটো ছেড়ে কানের কাছে ঝুকে ফিসফিসিয়ে বলল,
‘আই রিয়েলি লাভ ইউ সো মাচ, লেট মি গিভ ইউ আ লিটল অ্যাফেকশন। প্লিজ। – আরিশ কথাটা বলতে জুথি ওকে জোরে ধাক্কা দিয়ে বলল,
‘ছাড় আমাকে।
‘কি বললি আবার বল?
‘,,,,,,,,,। – জুথিকে চুপ থাকতে দেখে আরিশ আবারো বলল,
‘আই উইল অ্যাডোর ইউ নাউ, অ্যান্ড ইউ উইল এনডিউর ইট দ্যাটস ফাইনাল।” — আরিশের মুখে এমন একটা কথা শুনে জুথি চোখ দুটো ছোট করে ফুপিয়ে বলল,
‘আমার কথাটা তো শুনুন! আমি মরে যাব,
‘হুসসস,মৌ। – বলতে বলতে আবারো জুথিকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিতে নিতে বলল,
‘আমি ডার্ক রোমান্স পছন্দ করি। আমার সাথে থাকলে অভ্যাস হয়ে যাবে। — আরিশ এবারও জুথিকে বুঝলো না বলে জুথির ছোট্ট অষ্টদাসী মনটা কষ্টে জর্জরিত হলো। কিন্তু তবুও তা আরিশ কে মুখ ফুটে বলতে পারল না। আরিশ মন মত তার মৌকে এলোপাথালি আদর করে। ছেড়ে দিতে জুথি কোনরকম বিছানা থেকে টেনেটুনে নিজেকে তুলে, শরীরের চাদরটা পেচিয়ে ওয়াশ রুমের দিকে যেতে আরিশ সেদিক তাকিয়ে তৃপ্তির হাসি হেসে বলল,
‘আই রিয়েলি রিয়েলি রিয়েলি লাভ ইউ, আই লাভ ইউ ডীপলি।” – জুথি আরিশের কথায় কোনরকম সাড়াশব্দ না করে আগের মত ওয়াশরুমে ঢুকতে আরিশ ঠোঁট কামড়ে হেসে বলল,
‘একা একা গোসলে যাচ্ছিস! আমাকে নিবি না? দাঁড়া আমিও আসছি। – বলে শুয়া থেকে বিছানার উপর উঠে বসতে জুথি ওয়াশরুমের দরজাটা মুখের উপর ঠাস করে লাগাতে লাগাতে বলল,
‘না। — জুথি কে এভাবে দরজা লাগিয়ে দিতে দেখে আরিশ এবার একটু শব্দ করেই হেসে উঠে বলল,
‘শাড়ি পরে পুতুল সেজে শরীর দেখিয়ে আমাকে শিক্ষা দিতে আসলে। পরেরবার এর থেকেও বেশি কষ্ট দিব।
“সারাবেলা পার হয়ে বিকালের শেষ প্রান্ত। গোধূলির পড়ন্ত সময়। আরিশ আয়ান রাজনীতিক কাজে ব্যস্ত। আজ দুপুরের খাবারটাও দুভাইয়ের পেটে ঝুটেনি। পলিটিক্স কাজ আরিশের পছন্দ। ক্ষমতা ক্ষমতা খেলা বরাবরই তার একটা পেশা। তবে সময়ের সাথে যেন রাজনৈতিক কাজ কমবে বেড়েই চলেছে। রাত করে ছাড়া এখন বাড়ি ফেরা হয় না। এর মধ্যে আবার সামনে আয়ানের অনার্স ফাইনাল ইয়ার পরীক্ষা। যার জন্য আয়ানকে এখন সব সময় আরিশের পাশে পাওয়া যায় না। এই যেমন দুদিন যাবত আয়ান পরীক্ষার প্যারায় আরিশের সাথে থাকতে পারেনি। সে দুদিনের কাজ। গতকাল আর আজ সমানে তরে যাচ্ছে ওরা। সারাদিনের এত এত ব্যস্ততার মাঝে আরিশ একবারের জন্য তার মৌয়ের খবরটা নিতে পারিনি, দেখে তাড়াতাড়ি কাজ সেরে, ক্লান্তির নিঃশ্বাস ফেলে পকেট থেকে ফোনটা বের করে বাড়িতে কল দিতে সানজিদা খান কলটা রিসিভ করতে আরিশ বলল,
‘আমার বউকে ডেকে ফোনটা দাও। — আরিশ কল দিতে উনি জুথিকে ডাকতে জুথি উপরে নিজের রুমে বসেই চেঁচিয়ে বলল,
‘মা ভালো লাগছে না, পেটে ব্যথা হচ্ছে। সিঁড়ি দিয়ে নামতে ইচ্ছে করছে না।
সানজিদা খান জুথির কথায় আরিশ কে বললেন,
‘মৌয়ের শরীর ভালো না তুমি বরং বাসায় এসে কথা বল।
‘হুম।
‘তুমি আসবে কখন?
‘এক্ষুনি আসছি আমি।
‘তুমি যখন আসছোই তাহলে ফোন করার কি প্রয়োজন ছিল?
‘সে তুমি বুঝবে না আম্মু। – আরিশ কথাটা বলতে সানজিদা খান নিশ্চুপ হয়ে যেতে আরিশ ফোনটা রেখে আয়ানকে বলল,
‘আয়ান?
‘হুম ভাই?
‘আমি বাড়ি যাব, আমার মৌয়ের কাছে।
‘আচ্ছা যাও আমি এদিকটা দেখছি। শেষ হয়ে গেলে চলে আসবো।
‘আচ্ছা, তারাতাড়ি আসিস।
‘হুম।
“ফকফকে রাতের আকাশের তারাগুলো দেখতেও যেন একটা অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করে। কেমন গা ঠান্ডা হওয়া অস্থির বাতাস অশান্ত মনটাকেও শান্ত করে দিতে পারে। তবে আজ যেন ফারির মনটা কিছুতেই ভালো হচ্ছে না। যে ফারি ছাদে এসে আকাশের তারা শরীরে ঠান্ডা প্রকৃতির বাতাস লাগা মাত্র সব মন খারাপ ভালো হয়ে যেত। আজ তার কিছুই হচ্ছে না। ফারি ছাদের রেলিং ধরে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে মনে হলো কেউ তার পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে। ফারির এমনটা মনে হতে তপ্ত নিশ্বাস ফেলে পাশে তাকাতে লুসিয়ান কে লেখা মাত্র ওকে ঝাপটে ঝরিয়ে ধরে ফুপিয়ে কেঁদে উঠে বলল,
‘আমাদের জীবনে পূর্ণতা পেলে, খুব বেশি কি ক্ষতি হয়ে যেতো? বলুন না? আপনার আমার পরিচয় তো বেশি দিনের নয়। তাহলে কেন! কেন আমি আপনার প্রতি এতটা দুর্বল হলাম? আপনাকে হারিয়ে ফেলবো এই জন্য? যদি হারানোরই হয় তাহলে মায়া কেন জন্মালো? বলুন? বলুন না?
ফারির কান্নাটা হয়তো লুসিয়ান বুঝলো, তাই বাঁকা হেসে ফারির মাথায় হাত বুলিয়ে ইংলিশ বাক্যে বলল,
‘কেউ কাউকে হারাবো না। ওয়েট এন্ড সি।
লুসিয়ান এর এমন কথার মানে বুঝদার ফারি কিছুই বুঝলো না। তবে হারাবো না শুনে লুসিয়ানের বুক থেকে মাথা তুলে বলল,
‘আম্মু কোনদিনও মানবে না। তাছাড়া আপনাদের তো কালকে ফ্লাইট। আপনি তো চলে যাবেন। কিভাবে কথা বলব আপনার সাথে? আম্মু তো আমার ফোনটাও নিয়ে গেছে।
‘কথা বলার প্রয়োজন নেই।
‘মানে?
‘কিছু না।
‘আপনি কিছু একটা বলতে চাইছিলেন! প্লিজ লুকাবেন না বলেন না।
‘পূর্ণতা না পেলে তো কিছু করার নেই। – ভাবলেশহীন ভাবে।
‘কিহহ? – ছল ছল নয়নে।
‘দেখো সব কিছুর পূর্ণতা পেতে হবে এমন তো কারণ নেই। থাক না কিছু অপূর্ণতা। ভুলে যাও আগের সবকিছু। আমি তো চলে যাব। মনে করবে আমি এক মরীচিকা ছিলাম।
‘লসিয়ান! হালকা চেঁচিয়ে।
‘হ্যাঁ আমি এটা বলতেই ছাদে এসেছিলাম।
‘তাহলে এতদিন,,
‘বললাম তো মনে করবে মরীচিকা।
লসিয়ানের মুখে প্রতারণার কথা শুনে, ফারি লুসিয়ান এর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে পিছাতে পিছাতে অবিশ্বাস্য কণ্ঠে চিৎকার করে বলল,
‘কেন করলেন প্রতারণা? আমার ফরেন্ট ছেলেদের প্রতি দুর্বলতা ছিল এর জন্য? এটারই সুযোগ নিলেন তাই না?
‘হ্যাঁ নিয়েছি তো? – দায়ছাড়া ভাব নিয়ে।
ফারি লুসিয়ানের থেকে পরপর প্রতারণার আঘাত পেয়ে, ওর হাত পা কাপে। চোখ থেকে অজস্র অশ্রু গড়িয়ে পড়তে শুরু করল। ততক্ষণে ফারি রাগে লুসিয়ানের কলার্ট চেপে কাপা কন্ঠে বলল,
‘ভালোবেসে ছিলাম। অ,অন্যায় তো করিনি? কেন করলেন এটা আমার সাথে? আমার ভালবাসা তো ভুল ছিল না।
‘আমি এমনই।
‘ত, তাহলে এতদিন? আপনি আমার কাছে আসা। আপনার ছোয়া,,
‘সবকিছু মিথ্যা ছিল। – লুসিয়ান কথাটা বলতে ফারি ঠাস করে লুসীয়ানের দুই গালে থাপ্পড় মেরে বলল,
‘একটা মেয়ের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে লজ্জা করল না?
‘না।
‘কি করে বলছেন এগুলো? আপনি চলে যাবেন বলে মনকে কোনরকম মানাতে পারছিলাম না। বাড়ির কাউকে বোঝাতেও পারছিলাম না। আমি আপনাকে ভালোবাসি। আর না পারলাম নিজের মনকে বোঝাতে।
‘কথা পেচাও কেন তুমি? বললাম তো ভুলে যাও সবকিছু।
‘সবকিছু এত সহজ?
‘চাইলেই সহজ।
‘আপনি আমার সাথে প্রতারণা করে এড়িয়ে যাবেন ভাবছেন? সেটা পারবেন না।
‘কি করবে তুমি?
‘বাজে লোক আমি আপনাকে ছাড়বো না।
‘কিছুই করতে পারবে না।
‘পারবোনা?
‘না। একই রকম দায়ছাড়া ভাব নিয়ে।
লুসিয়ান কে আজ এভাবে বদলে যেতে দেখে ফারি নাক ফুলিয়ে কাঁদতে কাঁদতে পিছিয়ে যেতে যেতে বলল,
‘পারবো, তবে হ্যাঁ আপনার হয়তো কোনো ক্ষতি করতে পারব না। তবে নিজেকে তো শেষ করতেই পারব। তখন আর কেউ কোন বোঝা জোর করে আমার উপর চাপিয়ে দেবেনা।
‘তোমার মত মেয়েরা আর কি পারে? ফালতু যত্তসব। – লুসিয়ানের শেষ কথাটা ফারির কারণকুহন হাতে, ও আর ওখানে এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে থাকতে পারল না। কষ্টে দুঃখে নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করে দৌড়ে সেখান থেকে ছুটে চলে আসে। ফারি চলে যেতে লুসিয়ান ছাদের দরজার দিক ভালো করে দেখে নিল। ফারি একেবারে নিচে চলে গেছে কিনা। লুসিয়ান ফারি কে দেখতে না পেয়ে। ফারির দেওয়া গালের থাপ্পরগুলোর জায়গায় হাত রেখে বলল,
‘বাবাহ, হোয়াটস দ্য ফাস্ অ্যাবাউট আ বাঙালি গার্ল? ডিড হি স্ল্যাপ হার টু টাইমস? লাকিলি, কারণ শি’জ ইউজড টু পিপল’স হ্যান্ডস শি ডিজেন্ট ফিল মাচ পেইন। আদারওয়াইজ মাই হোয়াইট চিকস ওউড হ্যাভ টার্ন্ড টু রেড।
~ অর্থ: বাবা বাঙালি মেয়ের কি ঝাঁজ। দুটো থাপ্পড় মেরে দিল? ভাগ্যিস মেয়ে মানুষের হাত বলে বেশি ব্যথা পায়নি। নয়তো আমার সাদা গাল দুটো লাল হয়ে যেত। — বলে সেভাবেই গালে হাত রেখে ছাদ থেকে সিঁড়িবে নিচে চলে আসে।
“আরিশ তখন চলে আসতে, আয়ান মোটামুটি কাজ গুছিয়ে, বাইক স্টার্ট দিয়ে আগে এলো তানিশারদের বাসার সামনে। আয়ান প্রায় ২৫ মিনিট বাইক রাইড করে তানিশার বাসার নিচে আসতে, পকেট থেকে ফোন বের করে মনু নামে সেভ করা তানিশের নাম্বারে কল দিতে আজ প্রথমবারই কল রিসিভ হতে আয়ান বলল,
‘শত চাপ ক্লান্তির মাঝে আমার জান কল রিসিভ করলে আমার সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
আয়ানের মুখে এমন আদরে কন্ঠে জান শব্দটা শুনে ফোনের অপর পাশে তানিশার অদ্ভুত একটা ভালো লাগা কাজ করল। তবে কিছু বলল না। চুপচাপ ফোনের অপর পাশে তানিশাকে লজ্জা পেতে দেখে আয়ান আবারো বলল,
‘নিচে অপেক্ষা করছি। তাড়াতাড়ি আসো। — আয়ান কথাটা বলে ফোন কেটে দিতে তানিশা নাক কান দিয়ে গরম নিঃশ্বাস ছেড়ে হাতের ফোনটা বিছানার উপর রেখে। মাথায় সুন্দর করে কাপড় দিয়ে নিচে এসে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি বের করে লেবু কেটে শরবত বানিয়ে সেটা হাতে করে আয়ানের সাথে দেখা করতে রাস্তায় এসে দাঁড়াতে আয়ান সেদিন তাকাতে তানিশা মাথাটা নিচে করে আয়নের দিক বাড়িয়ে দিতে বলল,
‘নিন আপনার শরবত।
‘আমার?
‘হুম।
‘বাব্বাহ। ভাবা যায়? আমার তানু রানী আমার জন্য শরবত করে নিয়ে এসেছে?
Violent love part 46
‘হুম, আপনি কষ্ট করে এলেন তো। তাই ভাবলাম বাসায় তো আর ঢুকবেন না। এখানেই নিয়ে আসি।
আয়ান আর এ নিয়ে কথা বাড়ালো না। তবে প্রিয়সি নিজ হাতে শরবত নিয়ে এসেছে এটাই তার শান্তি। ভেবে ডক ডক করে সম্পূর্ণ গ্লাস খালি করে গ্লাসটা এক পাশে রেখে পকেট থেকে কতগুলো কিটক্যাট চকলেট বের করে তানিশার দিকে দিতে। তানিশা আজ কোন বাধা ছাড়াই সেটা নিতে আয়ান হুট করেই হঠাৎ তানিশার হাত ধরে ঘুরিয়ে পিছন ভাবে জড়িয়ে তানিশার ঘাড়ে মুখ ঠেকিয়ে বলল,,