তুমি অজান্তেই বেঁধেছ হৃদয় পর্ব ১৪
মুন্নি আক্তার প্রিয়া
বাড়িতে আজ বড়ো ফুপিও এসেছেন। মেয়ে দেখতে যাবেন তিনিও। এত মানুষ মিলে মেয়ে দেখতে যাওয়া ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছিল না কেউ। শেষমেশ রমিজ চৌধুরী বলেছিলেন ৫/৬ জন গিয়ে আগে মেয়ে দেখে আসবেন। ছোটো ফুপি বললেন, কোনো সমস্যা নেই। মেয়েপক্ষ থেকে সবাইকেই দাওয়াত করা হয়েছে। বাড়ির মানুষদের অবশ্য বিষয়টি ভালো লাগেনি। কেননা এত মানুষ মিলে মেয়ে দেখতে গেলে বিষয়টা তো গ্রামে ছড়াছড়ি হয়ে যাবে। এই বিয়ে যদি না হয় তাহলে মেয়েটারও একটা বদনাম হয়ে যাবে।
তাই মেয়ের বাবা নিজে ফোন করেছিলেন সবাইকে রাজি করানোর জন্য। মেয়ের পরিবার ব্যতীত কেউ জানবে না ওরা যে মেয়ে দেখতে যাচ্ছে। সবাই যাচ্ছে দাওয়াত খেতে এটাই জানানো হবে। রমিজ চৌধুরী শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। মেয়ের বাড়ি থেকে কোনো খাবারের আয়োজন করা যাবে না। তারা খাবার অর্ডার করে নেবেন। প্রথম পর্যায়ে মেয়ের বাবা মেনেও নিয়েছেন। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে বুঝা গেল তারা খাবারের বেশ ভালো রকম আয়োজন করেছেন। এদিকে রায়ান, তমাল মিলে বাইরে থেকে খাবার অর্ডার দিয়ে নিয়ে এসেছে।
সবাই আগেই চলে এসেছে। খাবার আনার জন্য তমাল ও রায়ানের দেরি হয়েছে। বাড়ি দেখে তমাল বলল,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“অবস্থা ভালোই মনে হচ্ছে!”
রায়ান বলল,
“হয়তো।”
“এখন মেয়ে ভালো হলেই হবে।”
“ফুপি যখন পছন্দ করেছে, তখন খারাপ হওয়ার অবকাশ নেই।”
“তাও ঠিক। কিন্তু আমি ভাবছি রিয়াদ ভাইয়ের কথা। সে কি শেষে গিয়ে রাজি হবে বিয়ে করতে?”
রায়ান দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল,
“কী জানি! দেখা যাক কী হয়!”
দুজনে মিলে ভেতরে গিয়ে দেখল এত বড়ো ড্রয়িংরুম, সবখানে শুধু ওদের পরিবারের সদস্যই। অনুদের এখানে দেখা যাচ্ছে না। রিয়াদ গম্ভীর হয়ে বসে আছে এক সাইডে। ছোটো ফুপি মেয়ের বাবা-মায়ের সাথে রায়ান ও তমালের পরিচয় করিয়ে দিলেন। রায়ান ছোটো ফুপির পাশে বসে জিজ্ঞেস করল,
“জুঁই, অনু ওরা কোথায়?”
“ছোটোদের অন্য রুমে বসিয়ে দিয়েছি। বড়োদের মধ্যে ওরা কী করবে? তুই কি একটু রেস্ট করবি?”
রায়ান একটুখানি ভেবে বলল,
“হু। জুঁই কোন রুমে?”
“ঐতো সামনে গিয়ে বামের রুমে।”
“আচ্ছা।”
রায়ান আর তমাল মিলে ঐ রুমে চলে গেল। আয়ানও ছিল এখানে। কিন্তু রায়ানের চোখ পড়ল অনুর দিকে। ওর পাশে সূর্য বসে আছে। মাঝখানে খাবার-দাবার। সবাই খাচ্ছে। অনুকে খাওয়ার জন্য জোর করছে সূর্য। সূর্য আপেলের টুকরা অনুর মুখের সামনে ধরে বলছে,
“একটুখানি খাও। একটু…”
রায়ানের মেজাজ চড়ে গেল পুরো! এত আদিখ্যেতা কেন করতে হবে সূর্যর? তমাল, আয়ান এমন করলেও না হয় হতো। কিন্তু সূর্য কেন? রায়ান আ’গু’ন গরম দৃষ্টিতে আয়ানের দিকে তাকাল। মনে চাচ্ছে মে’রে আগে ওর মুখটাই ভে’ঙে দিতে। রায়ান কিছু বলতেও পারছে না, সইতেও পারছে না। ও গিয়ে চুপচাপ একটা চেয়ারে বসল। জুঁই ওকে খাবার এগিয়ে দিলে হাতের ইশারায় না করল রায়ান।
অনু এতক্ষণ খাবে না বললেও এবার সূর্যর হাতে খেয়ে নিল। সঙ্গে সঙ্গে রাগে দাঁড়িয়ে পড়ল রায়ান। চেঁচিয়ে বলল,
“বিরক্তিকর!”
সবার দৃষ্টি রায়ানের দিকে। আয়ান ভয়ে ভয়ে বলল,
“কী হলো ভাইয়া?”
রায়ান থতমত খেয়ে বলল,
“এত গরম! বিরক্ত লাগছে!”
আয়ান বোকা বোকা দৃষ্টিতে এসির দিকে তাকিয়ে বলল,
“কিন্তু! এসি চলছে তো!”
রায়ান ধরা খেয়ে যাচ্ছিল প্রায় তখন তমাল বলল,
“মাত্র বাইরে থেকে এসেছ তো তাই। আমারও লাগছে গরম। একটু বসো। শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে পরে।”
রায়ান মুখ গম্ভীর করে বলল,
“হ্যাঁ, হ্যাঁ এটাই বলতে চাচ্ছিলাম।”
এরপর দাঁত কিড়মিড় করে সূর্যর দিকে তাকিয়ে ফের বসে পড়ল। আগে কখনো সে সূর্যকে এমন করে লক্ষ্য করেনি। আজ করল। কেন জানি ওর কাছে বিষয়টা গড়বড় লাগছে। মনে হচ্ছে সূর্য অনুকে পছন্দ করে। আসলেই কি তাই? নাকি তার মনের ভুল চিন্তা-ভাবনা!
রায়ান বেশিক্ষণ এখানে বসতে পারল না। তার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। তাই সে ড্রয়িংরুমে চলে গেল। খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষ হলে মেয়েকে আনা হলো। মেয়ের নাম স্নিগ্ধা। নামের মতো মেয়েটাও দেখতে স্নিগ্ধ। লম্বা, ফরসা, হাসলে গালে টোল পড়ে। চুলগুলোও ভীষণ সুন্দর। সবারই এক দেখাতেই স্নিগ্ধাকে পছন্দ হয়ে গেছে। রিয়াদ একবারের জন্যও স্নিগ্ধার দিকে তাকায়নি। কোনো প্রশ্ন করেনি। তবে যতটা পেরেছে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেছে। আলাদা কথা বলতে চায় নাকি জিজ্ঞেসও করেছে, কিন্তু রিয়াদ নিষেধ করে দিয়েছে। কথাবার্তা টুকটাক হলে স্নিগ্ধাকে আবার ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অনু, জুঁই, মাহফুজা, কল্পনা, আরিফা, ইতি সবাই গেল স্নিগ্ধার কাছে। সবাই মুগ্ধ ওকে দেখে। শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, স্নিগ্ধার কথাবার্তা, আচরণও ভীষণ সুন্দর। এত অল্প সময়েই ওদের সাথে মিশে গেছে ভাবতেও পারছে না ওরা। শুধু পারছে না আজই স্নিগ্ধাকে বউ করে নিয়ে যেতে ওদের বাড়িতে।
সবাই বিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার সময় গাড়িতে অনুর পাশে বসেছে সূর্য। এটা দেখে রায়ানের বিন্দুমাত্রও সন্দেহ নেই যে, সূর্য সত্যিই অনুকে পছন্দ করে। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব? সূর্য অনুর চেয়ে বয়সে ছোটো! রায়ান নিজের রাগ, ক্ষোভ ভেতরেই পুষে রেখেছে। বাড়িতে যাওয়ার পর সবাই ফ্রেশ হয়ে একটা গোল বৈঠকে বসল উঠানে। দাদা সবার থেকে মতামত নিচ্ছেন। সবাই পজিটিভ উত্তর দিচ্ছে। অনু তো স্নিগ্ধার প্রশংসায় একদম পঞ্চমুখ। জ্বর এসেছিল বলে মুখ কিছুটা শুকিয়ে গেছে। মলিন লাগছে। তাও যেন খুশিতে ঝলমল করছে এখন। ওকে দেখলে মনে হবে বিয়েটা বুঝি ওরই! রায়ান ওকেই দেখছিল চুপচাপ।
সবার পজিটিভ উত্তর পেয়ে ছোটো ফুপি নিজেও আনন্দে ঝলমল করে উঠে বললেন,
“আমি তো আগেই বলেছিলাম স্নিগ্ধার মতো মেয়েই হয় না! ছোটো থেকেই তো চোখের সামনে বড়ো হতে দেখলাম। খারাপ হলে কি আমাদের রিয়াদের জন্য দেখতে চাইতাম নাকি?”
দাদা কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থেকে রিয়াদকে জিজ্ঞেস করলেন,
“তোমার কী মত? স্নিগ্ধাকে ভালো লেগেছে?”
রিয়াদ গম্ভীরকণ্ঠে বলল,
“আমার মতামতের কি পরোয়া করো তোমরা?”
“করি বলেই জিজ্ঞেস করেছি। স্নিগ্ধাকে পছন্দ না হলে আমরা অন্য মেয়ে দেখব। তোমার পছন্দেই তোমার বিয়ে করাবো। কিন্তু বিয়ে তোমাকে করতেই হবে। বিয়ে করবে নাকি করবে না সেই বিষয়ে কোনো মতামত জানতে চাইনি। স্নিগ্ধার বিষয়েই আমরা আগাবো নাকি অন্য মেয়ে দেখব সেই বিষয়ে মতামত জানতে চেয়েছি।”
রিয়াদ বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
“বিয়ে যখন বাধ্যতামূলক করতেই হবে, তখন কোনো মেয়েকে নিয়েই আমার সমস্যা নেই। তোমাদের ইচ্ছেতেই আমার মত।”
এরপর সে নিজের রুমে চলে গেল। ছোটো ফুপি বললেন,
“ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে করানো কি ঠিক হবে?”
জবাবে বড়ো ফুপি বললেন,
“আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। স্নিগ্ধার মতো মেয়ে বউ হয়ে আসলে এমনিতেই আমাদের ছেলে গলে যাবে। এত চিন্তা করিস না।”
সূর্য খুশিতে গদগদ হয়ে বলল,
“তাহলে ফাইনালি এবার এই বাড়িতে একটা বিয়ে হচ্ছে!”
আয়ান বলল,
“রিয়াদ ভাইয়ের বিয়েটা শুধু হোক আগে। এরপর দেখবি একে একে সবার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।”
“হ্যাঁ, এরপর রায়ান ভাই। তারপর তমাল ভাই, তারপর তুমি।”
তমাল মৃদু ধমকের সুরে বলল,
“চুপ! অনুর বিয়ে না দিয়ে আমরা দুই ভাই বিয়ে করব না।”
সূর্যর মুখটা কালো হয়ে গেল। ভীতসন্ত্রস্ত দেখাচ্ছে ওকে। কণ্ঠ নিচু করে বলল,
“এত তাড়াতাড়িই অনু আপুর বিয়ে দেবে তোমরা?”
রায়ান আর চুপ থাকতে পারল না। কটমট করে তাকিয়ে বলল,
“তোর অনু আপুর বিয়ে নিয়ে এত ভাবতে হবে না। আগে দোয়া কর, রিয়াদ ভাইয়ার বিয়েটা হোক।”
“তা তো করবই ভাইয়া।”
দাদা আর চাচারা মিলে এবার স্নিগ্ধাদের পরিবারের সবাইকে দাওয়াত দিলেন। তাদের আত্মীয়স্বজনদেরও নিয়ে আসতে বললেন। তাদেরও তো বাড়ি-টাড়ি সব দেখার ও জানার প্রয়োজন আছে।
পরবর্তী শুক্রবারেই সবাই আসবে বলে জানিয়েছে। দুদিন আগে থেকেই সব আয়োজনের ব্যবস্থা করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার বাজারে গিয়ে সবকিছু বাজার করে এনেছে রায়ান, তমাল এবং আয়ান। রিয়াদ আগে-পিছে কোথাও নেই। একটু চুপচাপও হয়ে গেছে সে। প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে তেমন কথাও বলে না। অফিসে যায় আবার কাজ শেষ হলে বাড়িতে এসে নিজের রুমে বসে থাকে। খাওয়ার সময় ছাড়া তাকে তেমন দেখা যায় না।
শুক্রবার সকালে উঠেই অনু, জুঁই, মাহফুজা, কল্পনা, আরিফা, ইতি গোসল করে নতুন জামা পরেছে। সাজুগুজু করেছে। বাড়িতে মেহমান আসবে বলে কথা। অনুকে এত হাসি-খুশি দেখে ভালোই লাগছে রায়ানের। হলুদ থ্রি-পিসে মনে হচ্ছে একটা হলুদ পাখি। এত কিউট লাগছে মনে হচ্ছে গালটা একটু টেনে দিতে। এতক্ষণ কী সুন্দর সবার সাথে হাসাহাসি করছিল, কিন্তু যেই না রায়ানের দিকে চোখ পড়েছে অমনি হাসি বন্ধ হয়ে গেছে। মুখটা কালো হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ বাদে সূর্য কোথা থেকে ছুটে এলো কে জানে। এসেই খপ করে অনুর হাত ধরে বলল,
“মেহমান চলে এসেছে। চলো, চলো আমরা গিয়ে রিসিভ করি।”
অনু টাল সামলাতে পারছে না। সূর্য ওকে নিয়ে ধুপধাপ সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে। রায়ানের রাগে-জিদ্দে মাথাটা যেন ছিঁড়ে যাচ্ছে। দাঁতে-দাঁত চিপে রেলিঙে ঘুষি দিয়ে বলল,
“কবে জানি বেয়া’দবটাকে মে’রে ফেলি!”
বাড়ি ভরতি মানুষজন। নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিকভাবে মেহমানদের সঙ্গে কথা বলল রায়ান।
অনুদের ভীষণ মন খারাপ হয়ে গেল স্নিগ্ধা আসেনি বলে। ওরা আশা করেছিল আজ স্নিগ্ধাও আসবে। পুরো গ্রাম ঘুরিয়ে নিজেদের সব বাড়ি, জমি সব দেখালেন চাচ্চুরা। সন্ধ্যা হয়ে গেলে দাদু অনুরোধ করলেন রাতের খাবারটা এখানেই খেয়ে যেতে। প্রথমে তারা রাজি না হলেও পরে আর এত অনুরোধ অবজ্ঞা করতে পারলেন না। আজকে রাতের খাবারটাও বাইরে থেকেই আনতে পাঠালেন রায়ান এবং তমালকে।
সবাই উঠানে বসেই কথাবার্তা বলছিল। অনুর গরমে হাসফাস লাগছিল তাই ও ছাদে চলে যাওয়ার জন্য উপরে উঠল। অর্ধেক সিঁড়ি ওঠার পরে দেখল ছাদে যেন কারা আছে। অনু আড়াল থেকে দেখে বুঝতে পারল ওর ভাই আয়ান এবং জুঁই হাত ধরে কথা বলছে। কী বড়ো কলিজা! বাড়ি ভরা মানুষ। মনে কি একটুও ডর-ভয় নেই? যদি কেউ দেখে ফেলে তাহলে তো একদম সর্বনাশ হয়ে যাবে। কথা বলতে বলতে জুঁই আয়ানকে জড়িয়ে ধরল। আয়ানও আলতো করে জড়িয়ে ধরেছে জুঁইকে। হঠাৎ করে অনুর মাথা থেকে সব চিন্তা দূর হয়ে গেল। একরাশ ভালো লাগা কাজ করছে এখন। এই অনুভূতিটা ভীষণ সুন্দর, যখন দুজন মানুষই দুজনকে ভালোবাসে। অনুর বুক থেকে একটা ভারী দীর্ঘশ্বাসও বেরিয়ে এলো।
“অনু?”
কারো মৃদু কণ্ঠে নিজের নাম শুনেই ভয় পেয়ে পেছনে তাকাল অনু। ওর থেকে হাত তিনেক দূরে দাঁড়িয়ে আছে রায়ান ভাই। অনু আবার ছাদের দিকে তাকাল। ওরা এখনো একে-অপরকে জড়িয়ে ধরে আছে। রায়ান ভাইয়ের কণ্ঠ কি শোনেনি? শুনলে তো লুকিয়েই পরত!
রায়ান খাবার এনে অনুকে খুঁজতে খুঁজতেই ওপরে এসেছে। সে সামনে আগাতে আগাতে জিজ্ঞেস করল,
“সিঁড়িতে কী করছিস?”
তুমি অজান্তেই বেঁধেছ হৃদয় পর্ব ১৩
অনুর মনে হচ্ছে ওর প্রাণটা এখনই দেহ ছেড়ে বেরিয়ে যাবে। এই দৃশ্য যদি একবার রায়ান ভাই দেখে তাহলে আয়ান ভাইয়া আর জুঁই আপু দুজনকেই জানে মে’রে ফেলবে। সে কখনোই ওদের সম্পর্ক মেনে নেবে না। যে ব্যক্তি অনুকেই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছে, সে নিশ্চয়ই নিজের বোনের জন্য অনুর ভাইকে পছন্দ করবে না।
রায়ান ভাই ক্রমশ সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। অনু কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না। একটা উপায় আছে! অনু সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামল। দু-কদম এগিয়ে গিয়ে আচমকা জড়িয়ে ধরল রায়ান ভাইকে। অনুর হঠাৎ এমন আচরণে রায়ান হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে আছে।